Best Bengali Poetic Lines | Shabdodweep Bangla Kabita

Sharing Is Caring:

Best Bengali Poetic Lines – Talal Uddin

নিয়তির খেলা – তালাল উদ্দিন

১.

নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন
পরাণটা পিষিলাম যাঁতায়
ভালোবাসা সে কারণ
যাতনা বিষে নীল হইছে এ জীবন
হায়গো, যাতনা বিষে নীল হইছে এ জীবন।

দুঃখ চলে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
জড়ায় মোরে প্রেমের ফান্দে
পশমে পশমে জপি
আউলা-ঝাউলা হইছে মন
নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন
হায়গো, নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন।।

২.

সুখ নাই রে পোড়া ভালে
জীবন জড়ায় মহাজালে
দমে দমে জিকির টানি
আঁধার হল আপনজন
নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন
হায়গো, নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন।।

মন বন্ধক দিলাম তাঁরে
জীবন জড়ায় মহাঋণে
পাগল হয়ে ঘুরি আমি
খুঁজি শুধু তাঁর চরণ
নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন
হায়গো, নিয়তি আমারে সদা করে জ্বালাতন।।

হলুদিয়া পাখি – তালাল উদ্দিন

হলুদিয়া পাখি আমার
পত পত করে ওড়ে
মরার বাতাস আসলে পাখি
ছটফট করে মরে,

সোনা দিলাম
দানা দিলাম
সোনার পাখির তরে
তবু এ পরাণের পঙ্খী
আমার হইল না রে।

আঁধারের দ্বার খুলে
বসে আছি ধরায়
যদি এ আলোর পাখি
আমার দিকে চায়,

নিতি তাই তসবিহ জপি
“ও দিল আসমানের পাখি”
আমায় নিয়ে যাও ওড়ে
সাত আসমান ছাড়ি।।

হলুদিয়া পাখি আমার
বুঝে না রে ব্যথা
আমার কথা ভুলে পাখি
ওড়ে হেথা হোথা,

জন্ম থেকে দেখলাম শুধু
ঘুঙুর বাঁধা পাখির পায়
এ ঘুঙুরের ভেদ জানতে
সারা জনম যায়,

তবু পাখির হুঁশ হলো না
ওড়ল না আকাশে
হলুদিয়া পাখির জন্য
পরাণ আমার কান্দে।।

মনের ব্যবচ্ছেদ – তালাল উদ্দিন

১.

মন কান্দে মনের তরে
চন্দ্র সূর্য হতে চায়
পরাণ আমার বন্দী আছে
দেহ পিঞ্জিরায়
হায়গো,
পরাণ আমার বন্দী আছে
দেহ পিঞ্জিরায়।।

২.

মনের সাথে মন জড়ালে
মহা সত্যের কিরণ মিলে
মনের আহুতি দিলে
পিরীতি বেড়ে যায়
পরাণ আমার বন্দী আছে
দেহ পিঞ্জিরায়
হায়গো,
পরাণ আমার বন্দী আছে
দেহ পিঞ্জিরায়।।

৩.

কোনখানে হয় আলোর বরণ?
চুপিসারে হয় উদঘাটন
তাঁর চরণে লেগেছে চরণ
জীবন আলা হয়ে যায়,
পরাণ আমার বন্দী আছে
দেহ পিঞ্জিরায়
হায়গো,
পরাণ আমার বন্দী আছে
দেহ পিঞ্জিরায়।।

অন্তরের আগ্নেয়গিরি – তালাল উদ্দিন

১.

ভালোবেসে তোমাকে অন্তরে সযতনে
শত আগুন করেছি জমা
সে আগুনের তেজ তুমি
কখনো সইতে পারবে না
না না, কখনো সইতে পারবে না।

জীবনের সাগরে
মাস্তুল ভেঙেছে
ঝড়ে হারিয়েছি দিশা
এ কূল ও কূল আমার
দু’কূলই গিয়েছে
তবু সঁপেছি এ হিয়া
সে ভালোবাসার তেজ তুমি
কখনো সইতে পারবে না
না না, কখনো সইতে পারবে না।

২.

আঁধারে আঁধারে
জীবনটা কেটেছে
আঁধারকে ভেবেছি বিভাবসু
জীবনের সব আশা
গিয়েছে অতলে
তবু সঁপেছি এ হিয়া
সে ভালোবাসার তেজ তুমি
কখনো সইতে পারবে না
না না, কখনো সইতে পারবে না।।

কালের খেয়ালে
কাল্যবান হয়েছি
জগতের নিয়তিকে মেনে নিয়েছি
জীবনের সব স্বপন
গিয়েছে দূরে
তবু সঁপেছি এ হিয়া
সে ভালোবাসার তেজ তুমি
কখনো সইতে পারবে না
না না, কখনো সইতে পারবে না।।

সন্ধ্যা – তালাল উদ্দিন

১.

যারে যারে সন্ধ্যা
নিয়ে আয় বাহন
আমার ভ্রমণ হল
আঁধারের মতন,

দিন এল রাত হয়ে
রাত হল রঙিন
আমার কানে বাজে
বেদনার বীণ,

হয় তারাদের রোদন
শুধু তারাদের রোদন
যশস্বী তপস্বীদের
ধ্যানের মতন,

যারে যারে সন্ধ্যা
নিয়ে আয় বাহন
আমার ভ্রমণ হল
আঁধারের মতন।।

২.

দুঃখ আশা মোর
দুঃখ ভালোবাসা
আঁধারের পাখি গুলো
হয়ে যায় সখা,

দুঃখ পোড়াই না
দুঃখ ভালোবাসি
দুঃখ পোড়াতে গেলে
হব ভিনগ্রহী,

হয় দুঃখের উদযাপন
রচি নতুন সংস্করণ
অনেকটা নেপচুনের
ওয়েভের মতন,

যারে যারে সন্ধ্যা
নিয়ে আয় বাহন
আমার ভ্রমণ হল
আঁধারের মতন।।

৩.

যাতনা নিরন্তর
নতুনের পথে যায়
সন্ধ্যা তারা হয় তার বাহন,

খুঁজে খুঁজে বিরান ভবে
নতুন বসতি গড়ে
নব নব সভ্যতার হয় পত্তন,

আমার যাতনা আপন
করি এ মনে লালন
অনেকটা সক্রেটিসের
প্রজ্ঞার মতন,

যারে যারে সন্ধ্যা
নিয়ে আয় বাহন
আমার ভ্রমণ হল
আঁধারের মতন।।

সমর্পণ (২য় কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

পৃথিবীর এ গৃধ্নুতা ফেলে
এলাম তোমার কাছে গো
এলাম তোমার কাছে,
আমার যা পাথেয় আছে
দিলাম তোমার হাতে গো
দিলাম তোমার হাতে।

দিলাম তোমায় জীবনখানি
শয়ন স্বপন আশা সবই
দিলাম তোমায় প্রেম তরণী
প্রেমের নকশা এঁকে
আমার যা পাথেয় আছে
দিলাম তোমার হাতে গো
দিলাম তোমার হাতে।

২.

জানি, আমার মরণ
তোমার হাতে
দ্যুলোক-ভূলোক সবই আছে
আমি শুধু চাই তোমারে
আর কিছু আর চাই না গো,
আমার যা পাথেয় আছে
দিলাম তোমার হাতে গো
দিলাম তোমার হাতে।

আমার ভাগ্যলিপি
তোমার হাতে
গড়িয়ে নিবে আপন ছাঁচে
আমার জীবন কেমনে যাবে?
বিশ্বজয়ী বীরের বেশে
নাকি রেলের ঐ কুলি হয়ে
তা তুমি সব জান গো
আমার যা পাথেয় আছে
দিলাম তোমার হাতে গো
দিলাম তোমার হাতে।

পৃথিবীর যাত্রা – তালাল উদ্দিন

১.

সেদিন পৃথিবী ছিল আলোড়িত
ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মেতে ওঠেছিল সে
রেবেকার সোনালি ঠোঁটে ছিল না
লিপস্টিকের প্রলেপ
ধূমায়িত ভাবধারা বিকাশের সাথে সাথে
জেগে ওঠেছিল সকল সভ্যতা
লাল আর নীল কষ্টের ফোয়ারা
দেখা পেলাম নানা রঙে রূপবতী প্রকৃতির
নদীর কলতান, পাখির কুজন
অসংখ্য হিংস্র জানোয়ার যেমন হায়েনা,
সমুদ্রের জোয়ার ভাটা
গাছ-গাছালি, সুউচ্চ পাহাড়
খালি চোখে বুঁদ হয়ে যতদূর দেখা যায়
আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে এর বেশি দেখা যায় না।।

২.

মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেল
আর চারদিকে বহু পরিবর্তন সাধিত হল
পৃথিবী উষ্ণ থেকে ঠান্ডা হল
পাহাড় স্থির হল
পাখি নীড় বাঁধল
ফুলে ফুলে ঢেকে গেল আমার চারপাশ।
হঠাৎ দেখলাম এক তন্বী তরুণী
আমার দিকে হেঁটে আসছেন
পরনে তার কয়েকটা গাছের বাকল
আমারও একই হাল
তখন আমাদের মনে কোন পাপ ছিলো না
তাই পোশাকের ও কোন বালাই ছিলো না।

(আমি অনেক পরে টাইম ট্র্যাভেল করে পোশাক সম্বন্ধে জেনেছি। যদি ও খুব বেশিদূর যেতে পারিনি)

প্রথমে আমাকে দেখে সে বেশ ভয় পেয়েছিল
কিছুক্ষণ পরে আশ্বস্ত হল কথা শুনে
তখন দু’জনে একে অপরের দিকে
অপার হয়ে তাকিয়ে ছিলাম
নীরবতা সাঙ্গ করে আমি বলে ওঠলাম,
অনেক ক্ষুধা লেগেছে
এবার খাবার সংগ্রহ করতে হবে
সে উত্তরে বলল, চলুন
আমার ছোট্ট গুহাটাকে দেখিয়ে দিতে ও
কসুর করলাম না
এ হল পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবীর আলাপ
আর সে থেকে শুরু হল পৃথিবীর যাত্রা।

ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের খেলা – তালাল উদ্দিন

১.

রাস্তায় রূপজীবীদের বেহেল্লাপনা দেখে
চুপিসারে কেটে পড়েন টাইপরা ভদ্দরলোক
আর পিছন থেকে খিস্তি খেঁউড় করতে থাকেন
খানকি মাগি, কাস্টমার খোঁজার টাইম পেলি না আর।

হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখতে পেলেন
রাস্তার পাশের বিলবোর্ডে অর্ধনগ্ন নায়িকার ছবি
চোখের তৃপ্তি মিটিয়ে সবকিছু দেখলেন তার
অবশ্য, ভদ্দরসমাজে এসবের দোষ নেই আর।

২.

আবার সন্ধ্যা নেমে এলে
টাইপরা ভদ্দরলোক চলেন
ঐ অন্ধকার গলিটির মোড়ে
সিগারেট ফুঁকেন, বিভিন্ন চিহ্ন দেখান
তারপর চলে দরদাম
পরদিন আবার টাই পরে অফিসে যান
অবশ্য, ভদ্দরসমাজে এসবের দোষ নেই আর
সবকিছু যে চলছে ফাইন, চমৎকার।

৩.

সেদিন এক হুজুরকে লেবাস পাল্টিয়ে
কান্দুপট্টি যেতে দেখলাম
যে মেয়ে কোনদিন নামাজ-রোযার ধার ধারেনি
বা কোন শরীয়ত মানে নি
বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বদা অশ্লীলতা চর্চা করেছে
সে ও ইসলামি হুকুম মতে
বিয়ের সময়ে দাবি করে মোহরানার
আর বুলি কপচায় নারী অধিকার।
চারদিকে এতসব ভণ্ডামি দেখে
বিরক্ত হয়ে গেছি আমি
তাই বার বার প্রশ্ন করি
হে পৃথিবী, তুমি কী নিজেই এক ডাবল স্ট্যান্ডার্ড?
নাকি আমরাই পঁচে গেছি।

অনাদিকালের পথে – তালাল উদ্দিন

১.

অনাদিকালের পথে
চলে যাবার পূর্বে
মেকি জগতে ছিলাম
কিছুদিনের তরে,
দেখেছি, রাস্তার দু’পাশে
গড়ে ওঠেছে দুটি দালান
একটি হল আংরা মাইন্যুর*
অপরটি আহুরা মাজদার।
যেখানে হরদমই লেগে থাকে টোকাটুকি
কেউ জয়ী হলে দালানের উচ্চতা বাড়ে
আবার কারোটা কমে
অবশ্য এসব মিরাকলে টিরাকলে
আমি আর বিশ্বাস করি না।

২.

দেখেছি, এ পথ ধরেই
এভাবে লড়াই চলে
বিভিন্ন ধর্ম, মতবাদ ও দর্শনের
কেউ কেউ গায়ের জোরে হতে চায় জয়ী।

অথচ অধিকাংশই জানে না এসব
সবকিছুর মূলে হল মনুষ্যত্ব
আত্মা, ভালোবাসা ও করুণা।
তাই, তারা বাণী কপচায়
শান্তি হল স্বর্গে
আর শাস্তি নরকে
পৃথিবীকে তারা আর স্বর্গ বানাতে চায় না
তোমাদের তৃতীয় শ্রেণির স্বর্গ
আমার ভালো লাগে না।।

টীকাঃ

জরথুষ্ট্রবাদ হল ইরানী ধর্মের শিক্ষা। জরাথুষ্ট্রা স্পিটামা, যাকে সাধারণত জোরোস্টার নামে অভিহিত করা হয়। বিশ্বের প্রাচীনতম সংগঠিত বিশ্বাসগুলির মধ্যে একটি। এর অনুগামীরা আহুরা মাজদা নামে পরিচিত একজন অসৃষ্ট, পরোপকারী, এবং সর্বজ্ঞানী দেবতাকে উচ্চারণ করে, যাকে সর্বপ্রথম পদ বলে অভিহিত করা হয়। আহুরা মাজদার বিরোধী হলেন আংরা মাইন্যু যিনি ধ্বংসাত্মক আত্মা এবং সমস্ত ভাল জিনিসের প্রতিপক্ষ হিসাবে মূর্ত। জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম ভাল এবং মন্দের একটি দ্বৈতবাদী বিশ্বতত্ত্বকে একত্রিত করে একটি এস্ক্যাটোলজিকাল দৃষ্টিভঙ্গির সাথে যা মন্দের উপর আহুরা মাজদার চূড়ান্ত বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করে।

বন্ধু (১ম কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

বন্ধু গলার ফাঁসি
তারে বড় ভালোবাসি
তার জন্য দিতে পারি
সাত সমুদ্র পাড়ি,
বন্ধু হল গাড়ি
আমায় নিয়ে যাবে বাড়ি
ভাড়া টাড়া খুঁজলে পরে
দেব একটা ঝাড়ি।

২.

বন্ধু হল ব্যাঙ্গ
আরে করে ঘ্যাঙ্গর ঘ্যাঙ্গ
বন্ধু হল ট্যাং
তারে দিতে চাই এক ল্যাং,
বন্ধু হল থালা
আরে করে ঝনঝন
বন্ধু হল ফোঁড়া
শুধু করে টনটন।।

৩.

বন্ধু হল বায়ু
আরে করে শনশন
বন্ধু হল মাছি
শুধু করে ভনভন,
বন্ধুর সাথে আড়ি
যদি হই অভিমানী
বন্ধুর সাথে আন্ধার রাতে
হবে রে মাস্তানি।

৪.

বন্ধু হল হাতি
শুধু করে ধ্বস্তাধস্তি
বন্ধু হল বাতি
শুধু তার আলোতেই চলি,
বন্ধু হল রতন
তারে করব রে যতন
বন্ধু হল বাঁশি
কানে পোঁ পোঁ সারাক্ষণ।

৫.

বন্ধু হল ঘোড়া
শুধু হয় ছোটাছুটি
বন্ধু হল পাখি
শুধু হয় ওড়াউড়ি

বন্ধু হল স্বজন
প্রাণের চেয়ে আপন
বন্ধু হল রাতের
জোনাকির মতন।।

৬.

বন্ধু গলার মালা
গলায় ঝুলে সারাক্ষণ
নিজে জোকস বলে
হেসে নিজেই পাগল,

বন্ধু হল সাথী
নিত্য পথের যাত্রী
তার সাথে হবে জীবনের
সব ছোঁড়াছুড়ি।।

ঢাকির ঢাক – তালাল উদ্দিন

১.

ঢাকির ঢাক ঢাকির ঢাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক।

২.

ছন্ন ছাড়া দৃষ্টি হারা
নতুন সুরে দাও রে টান
নতুন সুরে দাও রে টান,

ঢাকির ঢাক ঢাকির ঢাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক।

৩.

অসম্বৃত কাকের গীত
মধুর সাকি আনরে্ আন
মধুর সাকি আনরে্ আন,

ঢাকির ঢাক ঢাকির ঢাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক।

৪.

বঞ্চনার সব শেকল ভেঙে
হড়পা বান আনরে্ আন
হড়পা বান আনরে্ আন,

ঢাকির ঢাক ঢাকির ঢাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক
দেদার তালে দিচ্ছে ডাক।

ভালোবাসার অনুকাব্য (২য় কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

৫.

অর্ধেক কল্পনা আর
কামনার ঘোরে
বন্দী করেছি তাকে
কর্সিকা দ্বীপে
জানিনা তার সাথে
কবে দেখা হবে?
(অপেক্ষা)

৬.

প্রিয় মানুষ যাওয়ার সময়
একা যায়না
সাথে আত্মাকে ও নিয়ে যায়
চারপাশটা তখন শুধু
প্রাণহীন মনে হয়
তুমি তাই আমার আরেক আত্মা।।
(পরিপূরক)

৭.

আমার সাথী হলো আমারই আপন
পৌষের রাতে সে উষ্ণ পরশ
দোয়া চাই
পানাহ চাই
এ মরু সাহারায়
আমার সাথী হলো মেঘের মতন।।
(প্রশান্তি)

৮.

আমি নিয়ে আসব
নদের চাঁদ
আর তুলে আনব
মহুয়ার ফুল
দু’য়ে মিলে লিখব
বিষাদের ইতিহাস।।
(বিষাদের ইতিহাস)

৯.

বসে আছি একা আমি
জাহ্নবী তটে
যদি গো প্রিয়া আসে
বর্ষাতি হাতে।।
(বর্ষাতি)

১০.

রাতের গহ্বর থেকে
বের হয়ে আসে
একটি সোনালি স্বপ্ন
এবং সিনেমার প্লট,
সে স্বপ্নের পথ ধরে
যতদূর হেঁটে যাই
প্রেমাস্পদের দিকে,
দেখি তার সাদা ওড়না
আর সোনালি চুল।।
(সিনেমার গল্প)

১১.

পৃথিবীর সব আশা
যদি বা ফুরায়
ভালোবাসা বেঁচে থাকে
দু’চোখের কোটরের ভেতর,
হতে পারে চাহনি তার
নীলাভ কিংবা সাদা
তবু্ও তো ভালোবাসা
এ যুগে যা এক দুর্মূল্য ব্যাপার।।
(তবুও ভালোবাসা)

চন্দ্র সূর্য মন – তালাল উদ্দিন

Kinna sohna tenu Rab nay banayaaa
Kinna sohna tenu Rab nay banayaaa
Dil karay dekhda rawaan
Kinna sohna tenu Rab nay banayaaa
(How lovely the Lord has made you
How lovely the Lord has made you
All I want is to look at you
How lovely the Lord has made you)
— Ustaad Nusrat Fateh Ali Khan

১.

তোমার ঐ চন্দ্র সূর্য মন
মহব্বত করুক উচ্চারণ
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
সংসদে করব উত্থাপন।

২.

আমার জীবন শত কাহন
তোমাকে চিনেছে রতন
তুমি জাহান
তুমি পরাণ
ঘটাও না আলোর বিচ্ছুরণ।।

তোমার ঐ চন্দ্র সূর্য মন
মহব্বত করুক উচ্চারণ
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
সংসদে করব উত্থাপন।।

৩.

মনের কথন তুমি আপন
সাধনায় পেয়েছি সে ধন
নারঙ্গি মুখ
গজগমন
আমাকে করছে আকর্ষণ,

তোমার ঐ চন্দ্র সূর্য মন
মহব্বত করুক উচ্চারণ
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
সংসদে করব উত্থাপন।।
(কোরাস:
আয় ধীরে ধীরে
প্রেম ছন্দ তুলে
বিরহ গান বাজে
সদা পড়ে বরিষণ)

৪.

মনের ভেতর তোমার বসত
দু’নয়ন দেখবে আমরণ
বিরহের গান
সুখের টুং টাং
এখানে চলবে সারাক্ষণ,

তোমার ঐ চন্দ্র সূর্য মন
মহব্বত করুক উচ্চারণ
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
সংসদে করব উত্থাপন।।

ভালোবাসা বান্ধে মন – তালাল উদ্দিন

ভালোবাসা জিতে যায়
যদি শোধ না হয় পূরণ
কপোল বেয়ে পড়া অশ্রুগুলো
করে শুধু চিকমিক মুক্তোর মতন
আঁধারের বেপারী ছিলাম
আর লকলকে জিব ছিলো
আমার সম্বল
চৈত্র্যের দাহনে
যে হত না দহন।
এ ধূসর ভূমি
যে করে দিল উসর
আর ফলালো সোনালী ফসল
তারে মানি আলোকবর্তিকা
ফ্লোরেন্সের মতন
ভালোবাসা করি প্রণিপাত
আশাহত না হয় যেন কারো মন।।

ঢেউ ওঠে হৃদয়ে – তালাল উদ্দিন

Love is the poetry of senses.
— Balzac

১.

ঢেউ ওঠে হৃদয়ে
সুপ্ত বাসনায়
কেমনে বলব গো
থাক জোছনায়।।

২.

স্বপ্ন তুলে রাখি
আর মনকে শুধাই
একই আশা
নানা ঘুড়ি
কত জন ওড়ায়।।

৩.

চোখে চোখ রাখি
আর দেখি পৃথিবী
লোকে বলে চলে গেছ
দূর অজানায়।

৪.

আশার তরী বাই
আর মনকে শুধাই
হৃদয় ঘরের
ছোট্ট কোণে
যেন পাই তোমায়।

৫.

সুরের মূর্ছনায়
খুঁজি গো তোমায়
রাত যখন
আপন হবে
ডাকব নিরালায়।

৬.

আমার পৃথিবী
সবই যে তুমি
নদী হবে
সাঁকো হবে
এ জীবন পথে হায়

৭.

ঢেউ ওঠে হৃদয়ে
সুপ্ত বাসনায়
বলতে চাই জোরেশোরে
ভালোবাসি তোমায়।।

ভালোবাসা – তালাল উদ্দিন

শব্দহীন ঘাতক মৃত্যুর মতো
যদি কিছু থেকে থাকে পৃথিবীতে
তবে তার নাম ভালোবাসা।
এবং
রূপোলী জ্যোৎস্নার রাতে
যদি মেলে ধরা আশাগুলো
নিমিষেই চুপসে যায়
চাঁদটা মেঘে আড়াল হলে
তবে তার নাম ভালোবাসা।
অথবা
কোন এক সুন্দর সকালে
যদি তাজা ঘুম ভেঙ্গে যায়
কোন এক প্রভাতীর মিষ্টি ডাকে
তবে তার নাম ভালোবাসা।
অথবা
কোন এক পাতাভরা বিকেলে
কোন এক ধূমকেতু মুখ দেখে
মুগ্ধ হওয়া
কিংবা
উড়ন্ত পাখির ঝাঁক দেখে
মোৎসার্টের দু’চার লাইন গাওয়া
তবে তার নাম ভালোবাসা।
চোখের ভাষা বলে
মনের ভাষা
তারপরে যদি কোন কথা থাকে
তবে তার নাম ভালোবাসা।।
দেখি ধেয়ে আসে
সামুদ্রিক ঝড়
যে ঝড়ে নেভে না তবু
চিরায়ত আশার পিদিম
এবং
কিছু ভয়, কিছু দ্বিধা
অস্ফুট কথাবার্তা
খেলা করে
করে খেলা
পরাণের ভেতর
যে তার গতর দিয়ে
লালন করে সোনার ফসল
তবে, তারে বলি ভালোবাসা
আজো তার সবকিছু হলো না তো লেখা।।

জরিনার পুতের ভালোবাসার গান – তালাল উদ্দিন

১.

মনের ভাষা বদলে গেলে
বদলে যায় চোখের ভাষা
তারপরে যদি কোন কথা ওঠে
তবে তার নাম হলো ভালোবাসা।।
দুঃখ দুয়ার খুলে দেখি
তোমারেই খুঁজে আশা
চড়ব শুধু তোমার নায়ে
হোক সেটা জলে ভরা।।
মনের পিঞ্জরে সে অনুভূতির
নাম হলো ভালোবাসা।

২.

উর্ধ্ব গগনে চলব দু’জনে
দু হাত ধরে মুগ্ধ চলা
খেলব খেলা চাঁদটা ঘিরে
হোক না তা রাহুতে ঘেরা
মনের পিঞ্জরে সে অনুভূতির
নাম হলো ভালোবাসা।
মনের ভাষা বদলে গেলে
বদলে যায় চোখের ভাষা
তারপরে যদি কোন কথা ওঠে
তবে তার নাম হলো ভালোবাসা।।

৩.

হিম সাগরটা দেব পাড়ি
আনব মোরা উষ্ণতা
প্রাণের খেলা খেলব ভবে
আসুক না শত বাধা
মনের পিঞ্জরে সে অনুভূতির
নাম হলো ভালোবাসা।
মনের ভাষা বদলে গেলে
বদলে যায় চোখের ভাষা
তারপরে যদি কোন কথা ওঠে
তবে তার নাম হলো ভালোবাসা।।

চান্দের বুকে – তালাল উদ্দিন

১.

দাঁড়াইয়াছি চান্দের বুকে
চান যেন ডাকে
হৃদয় ভাঙ্গার মহাপাপ
যেন হৃদয় দিয়ে মুছে
পড়ে আছি সে সাধনাতে
ও মন মনিয়ারে
পড়ে আছি সে সাধনাতে।।

২.

সমর অঙ্গে মদন অনল
ধিকিধিকি জ্বলে
আঁধারের সব শয়তানেরা
এ হৃদয়ে ঢুকে
কেন মন আঁধারেতে ডুবে ?
ও মন মনিয়ারে
পড়ে আছি সে সাধনাতে।।

৩.

তাই ডুব দিয়ে যাই চান্দের দেশে
যেন হৃদয় আলা হয় রে
যেন চান ডাক দিয়ে কয়
পাপ মুছে গেছে
পড়ে আছি সে সাধনাতে
ও মন মনিয়ারে
পড়ে আছি সে সাধনাতে।।

৪.

শরীরে আজ চান্দের আঁখি
জোরে জোরে “খোদা” ডাকি
দেখি রঙ্গের খেলা চলছে ভবে
তাই জোয়ার-ভাটা হয় রে
কেন মন আঁধারেতে ডুবে?
ও মন মনিয়ারে
চান্দের দেশে হৃদয় আলা হবে
ও মন মনিয়ারে
চান্দের দেশে হৃদয় আলা হবে।।

বন্ধু কই রইল্যা রে – তালাল উদ্দিন

[স্বর্গচ্যুত হওয়ার পরে হযরত আদম ও হাওয়া(আঃ) একে অপরের থেকে বহুদিন বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তখন আদম (আঃ) হাওয়া (আঃ)এর বিরহ বেদনায় যে মনের কথাগুলো বলতে চেয়েছিলেন আমি কেবল সেসবের ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।।]

১.

বন্ধু কই রইল্যা রে
বন্ধু কই রইল্যা রে
দেখে যাও মোরে
কপাল-দোষে বন্দি আছি
পিঞ্জিরার ভিতরে
বন্ধু কই রইল্যা রে।।

২.

সোনার পালঙ্কে ছিলাম
ছিলাম ফুল বাগানে
তোমার ভুলে
তোমার দ্বন্দ্বে
সব হারাইলাম রে।

বন্ধু কই রইল্যা রে
বন্ধু কই রইল্যা রে
দেখে যাও মোরে
কপাল-দোষে বন্দি আছি
পিঞ্জিরার ভিতরে
বন্ধু কই রইল্যা রে।।

৩.

তোমার খুঁজে ঘুরি আমি
নদীর শত ঘাটে
তুমি বিনে কাইন্দ্যা মরি
মন্দিরার কাননে,
বন্ধু কই রইল্যা রে
বন্ধু কই রইল্যা রে
দেখে যাও মোরে
কপাল-দোষে বন্দি আছি
পিঞ্জিরার ভিতরে
বন্ধু কই রইল্যা রে।।

৪.

চন্দ্র সূর্য কষ্ট পাইছে
তোমার ব্যবহারে
তুমি বিনে আমি অচল
এ জগৎ সংসারে রে

বন্ধু কই রইল্যা রে
বন্ধু কই রইল্যা রে
দেখে যাও মোরে
কপাল-দোষে বন্দি আছি
পিঞ্জিরার ভিতরে
বন্ধু কই রইল্যা রে।।

৫.

এমনি নিঠুর বন্ধু
আইলায় না দর্শনে
হায়গো, এমনি নিঠুর বন্ধু
আইলায় না দর্শনে
প্রাণপাখি যখন ভব ছাড়বে
আসবে ত্বরা করে
হায়গো, প্রাণপাখি যখন ভব ছাড়বে
আসবে ত্বরা করে।

বন্ধু কই রইল্যা রে
বন্ধু কই রইল্যা রে
দেখে যাও মোরে
কপাল-দোষে বন্দি আছি
পিঞ্জিরার ভিতরে
বন্ধু কই রইল্যা রে।।

রাইতের পিরীত – তালাল উদ্দিন

১.

ও মনরে
যুবতী যমুনার তীরে
পিরীত হল রাইতের সাথে
মূল আরশে ওঠার সে সময়
ও বন্ধুরে
যে চাতক হয়ে গেছে
বৃষ্টির পানিতে তারে
পিপাসা মেটাতে হয়
মূল আরশে ওঠার সে সময়।।
ও বন্ধুরে, মূল আরশে ওঠার সে সময়।

২.

এ ধরায় মরণ বিষ আছে
সে বিষে মন নীল হয়েছে
এক অঙ্গে বহু রূপ ধরে
ধরাধামে তাই হাজির হয়
ও বন্ধুরে
যার পিরীতি হয়ে গেছে
নিশিদিন তারার সাথে
তসবিহ জপতে হয়
মূল আরশে ওঠার সে সময়
ও বন্ধুরে, মূল আরশে ওঠার সে সময়।।

৩.

পাপাত্মা বিনাশ করে
লীন হয়েছি তাঁর মধ্যে
“সে আমি আমিই সে”
গেয়ে যাই দিকে দিকে,
ও বন্ধুরে
যার পিরীতি হয়ে গেছে
সে কী থাকে নিজের মধ্যে?
তখন সমুদ্রের সকল পানি
এক আঁজলায় ভরতে হয়
মূল আরশে ওঠার সে সময়
ও বন্ধুরে, মূল আরশে ওঠার সে সময়।।

ত্রিধারা – তালাল উদ্দিন

১.

ত্রিধারাতে হবে মিলন
ত্রিনয়ন ও হবে প্রয়োজন
ত্রিনয়না আসবেন যখন
সবই হবে বিসর্জন
ত্রিভুবনের বহু আশা
তখন হবে সমর্পণ
মন, ত্রিভুবনের বহু আশা
তখন হবে সমর্পণ।

২.

নিত্য পথে চলতে চলতে
নিকষ কালো অন্ধকারে
স্বপ্ন বিলাসী
স্বপ্ন বিনাশী
সবই দেখি এ জীবন
ত্রিভুবনের বহু আশা
তখন হবে সমর্পণ
মন, ত্রিভুবনের বহু আশা
তখন হবে সমর্পণ।

৩.

ত্রিপুর বধে মহারাণী
চললেন শত রাজ্য ছাড়ি
দিলেন শত মহাবাণী
জাগল শত আলোড়ন
ত্রিভুবনের বহু আশা
তখন হবে সমর্পণ
মন, ত্রিভুবনের বহু আশা
তখন হবে সমর্পণ।

টীকাঃ

ত্রিধারাঃ ত্রিস্রোতবিশিষ্ট। বিশেষ অর্থে গঙ্গাকে বোঝায়। গঙ্গা স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতালে প্রবাহিত বলে পুরাণে কথিত।
ত্রিনয়নঃ শিব
ত্রিনয়নাঃ দুর্গা
ত্রিপুরঃ অসুর বিশেষ।

আঁধারের বেপারী – তালাল উদ্দিন

১.

আঁধারের বেপারী আমি
আঁধারি যে ঠিকানা
আঁধারের চিহ্নগুলো
বিক্রি করে যাব
এ মোর জনম সাধনা
ও প্রিয়রে, এ মোর জনম সাধনা।।

২.

তারারা ও আসবে চলে
আমার কুঁড়েঘরে
কিনবে তাঁরা আমার
“যাতনা” বিছানা
এ মোর শেষ কামনা
ও প্রিয়রে, এ মোর শেষ কামনা।।

৩.

যার কাছে ত্রিভুবন
লাগে নিশুতির মতন
তাকে আর আঁধারের ভয় দেখিয়ে
কোন লাভ হবেনা
না না, কোন লাভ হবে না
সে যে মোর নিয়তির পরম পাওয়া
ও প্রিয়রে, সে যে মোর নিয়তির পরম পাওয়া।

আঁধারের বেপারী আমি
আঁধারি যে ঠিকানা
আঁধারের চিহ্নগুলো
বিক্রি করে যাব
এ মোর জনম সাধনা
ও প্রিয়রে, এ মোর জনম সাধনা।।

তালাল উদ্দিন | Talal Uddin

Bengali Article 2023 | “স্তন কর” বিরোধী নারী আন্দোলন ও নাঙ্গেলির (Nangeli) আত্মত্যাগ

Bengali Article 2023 | চিরায়ত ধর্মমঙ্গলের স্বাতন্ত্র্য | প্রবন্ধ ২০২৩

Bengali Story 2023 | স্বপ্নের জোনাকিরা | গল্প ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | সুভাষ নারায়ণ বসু | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Shabdodweep Web Magazine | Best Bengali Poetic Lines | Talal Uddin

Bengali poetry is an essential part of the cultural fabric of Bengal, representing the emotional depth, beauty, and intellectual richness of the region. Best Bengali poetic lines have the power to captivate hearts and stir minds, often resonating across generations. From the lyrical beauty of Rabindranath Tagore to the rebellious verses of Kazi Nazrul Islam, Bengali poetry has a long and celebrated tradition. In this article, we explore some of the most memorable famous lines of poetry, Bengali quotes, and Bengali poems, and how they shape Bengali literature.

Whether you are a literature enthusiast, a student of Bengali poetry, or simply curious about the art form, this guide will introduce you to some of the best Bengali poetic lines that continue to inspire readers worldwide.

The Essence of Bengali Poetry

Bengali poetry is known for its emotional expressiveness and its ability to connect deeply with readers. From the classics to contemporary works, Bengali poetry has always been a reflection of the people’s struggles, joys, and aspirations. Best Bengali poetic lines are often marked by their simplicity, yet they carry profound meaning that transcends time.

The Significance of Bengali Quotes

Bengali quotes, often taken from Bengali poems, carry forward the wisdom of generations. These short lines, although brief, are deeply philosophical and insightful, making them widely shared and quoted. Bengali quotes may convey emotions ranging from love and longing to rebellion and freedom, providing timeless reflections of life and society.

One of the most famous Bengali quotes is from Rabindranath Tagore’s “Jodi tor daak shune keu na ashe tobe ekla cholo re” (“If no one responds to your call, then go your own way alone”). This line is not just a call for personal courage but an enduring symbol of self-reliance and perseverance.

The Appeal of Bengali Poetry: Emotional Depth and Simplicity

The beauty of Bengali poetry lies in its ability to connect at an emotional level. Whether through longing, love, or loss, Bengali poems have a way of articulating emotions that are universal, yet deeply rooted in the Bengali cultural context. The lyrical nature of these poems, combined with their rich symbolism and vivid imagery, makes Bengali poetry accessible to both native and non-native speakers.

Modern Bengali poets like Talal Uddin, a distinguished poet featured on Shabdodweep Web Magazine, continue this legacy. His poetry reflects a deep understanding of Bengali poetic forms, capturing the essence of contemporary Bengali society while staying true to the traditional techniques that have shaped Bengali literature. His works are often shared in the form of Bengali quotes, which inspire and provoke thought among readers.

Contemporary Bengali Poetic Lines

While the classical poets laid the foundation, contemporary Bengali poetry has embraced a broader range of themes, often focusing on personal expression, social justice, and political movements. Today, poets experiment with free verse, prose poetry, and other forms to express the changing landscape of Bengal and the world.

For instance, Talal Uddin’s work in Shabdodweep Web Magazine offers fresh perspectives on familiar themes of love, loss, and resilience, while maintaining the emotional intensity and linguistic beauty characteristic of Bengali poetry.

Bengali Literature and its Enduring Influence

Bengali literature, enriched by centuries of poetic tradition, continues to inspire readers worldwide. From the best Bengali poetic lines to the most profound Bengali quotes, these literary gems offer profound insights into the human experience. Bengali poems are more than just words; they are the heartbeats of an entire culture, speaking to the experiences and aspirations of generations.

At Shabdodweep Web Magazine, we celebrate this legacy by publishing a wide range of stories, poems, and Bengali quotes that reflect the evolving landscape of Bengali literature. Writers like Talal Uddin continue to enrich this tradition, providing readers with new ways to connect with the timeless art of Bengali poetry.

FAQ: Best Bengali Poetic Lines and Shabdodweep Web Magazine

  1. Who is Talal Uddin, and what is his contribution to Bengali poetry?
    Talal Uddin is a contemporary Bengali poet featured in Shabdodweep Web Magazine. His work explores deep themes of love, loss, and identity while staying rooted in the rich tradition of Bengali poetry. His poems are widely appreciated for their emotional resonance and literary beauty.
  2. Where can I read more Bengali poetry online?
    You can explore a rich collection of Bengali poetry, including best Bengali poetic lines and Bengali quotes, at Shabdodweep Web Magazine. The magazine publishes a diverse range of stories, poems, and articles that highlight the beauty of Bengali literature.
  3. How does Bengali poetry reflect Bengali culture?
    Bengali poetry encapsulates the emotions, history, and culture of Bengal. Through famous lines of poetry, poets express a range of emotions, from love to rebellion, while capturing the essence of Bengali society, its struggles, and its triumphs.

Conclusion

The best Bengali poetic lines continue to inspire and captivate readers around the world, offering timeless insights into love, loss, and the human condition. At Shabdodweep Web Magazine, we are proud to continue showcasing these beautiful expressions through the work of talented poets. Whether you are exploring Bengali quotes or Bengali poems, our platform offers a window into the rich tapestry of Bengali literature. Join us on this poetic journey today.


Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment