Modern Bangla Kabita Pandulipi – Sisir Dasgupta
পথ (১) – শিশির দাশগুপ্ত
মাত্রা হারিয়েছে পথের দাবী; মাত্রাজ্ঞানের পরিসরে
ভৃত্য হয়েছে মনের বিলাস, দাঁড়িয়ে বিবেক কিছু দূরে
বালক বয়স তুমিও দেখেছো; পেয়েছো অভিজ্ঞতা
পেয়েছো চোখ, পেয়েছো মন পেয়েছো আপনজন
অথচ, সময়ে উড়ে গেছ দূরে; হারাতে চেয়েছ বালির স্তূপে
উত্তাপে আজ গলেছে শরীর; দূরেতে মানুষজন
পথ নয় আজ বিরামই ভালো
গতিশূন্যতা ভোরের লক্ষণ
স্থবিরতা মানে নতুন অঙ্ক; নবপক্ষের সূচনা
তোমার জন্য নতুন সমীকরণ; নতুন অঙ্ক গোনা
চলতে চলতেই জমিতে ফসল; চলতে চলতেই চাকা
শুরুর শুরু মানেই হলো মনের ছবি আঁকা।
পথ (২) – শিশির দাশগুপ্ত
এসেছ যখন শোনই তখন একে একে বলি গতি নিয়ে কিছু কথা
কথার মারপ্যাঁচ যেমনই হোক
কথায় কথা যতই বাড়ুক; অথবা শব্দের আগুনবুলি
তবুও পথ এমন কিছু; বোঝাবে তোমাকে জীবনের অলিগলি
সেই পথ, যা তোমাকে হাঁটায়
ঝড়ের পথে কখনো বা নাচায়
মনোযোগী হলে পথ হয় আকাশ; আরো মনোযোগ, আরো অভ্যাস
পাশাপাশি যদি কেউ হেঁটে যায়, ভাবতেই পারো নতুন সহযোগী
আরো ভাবলে; গভীরে গেলে
গভীরতায় শূন্যে পৌঁছালে
কথার আকাশে পথ পেয়ে যাবে; পেয়ে যাবে আলো; আকাশের আলো
ভালো-মন্দের অবগাহনে মনভোলানো সকালে- বিকালে
আকাশ থেকে নেমে বুঝবে গতি গিয়েছো ভুলে
গতির অঙ্ক এতো সোজা নয়; বড্ড গোলমেলে।
পথ (৩) – শিশির দাশগুপ্ত
ইন্দ্রিয় সজাগ রেখেই বলি; এখনো পথ খুঁজি
কল্পনায় ক্রসিং দেখি, লাল-সবুজের সংকেত পড়ি, রাস্তা-ঘাটের নাম পড়ি
চলতে চলতে ঘুম পায়; মন চায় চোখ বুজি
ইন্দ্রিয় ক্লান্ত হলে রাত দেখি চোখে
শূন্য হতে কল্পনা নেমে আসে; মাথায় শব্দ আসে
সমস্ত ব্যর্থতার শেষে; পথের আঁকেবাঁকে
রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকে, হাত নেড়ে ডাকে
রাস্তা বড় হলে, সীমানা হারিয়ে গেলে
পথের ঘুম পায়; শহরের আলো নিভে যায়
শরীরের মতন মনে তখন ঋতু বদলায়
মনে নতুন ঋতু মানে পথ ক্রমশ বড় হয়।
পথ (৪) – শিশির দাশগুপ্ত
পা থেকে পথ চলকে যায় যদি
যদি পথ পাকদণ্ডীর মতন যন্তরমন্তর হয়ে যায়
নিঝুমে চোখ বুজি, অথবা নিজেকে ভেবে নিই নতুন এক নদী
নাব্যতা হয়তো নেই; দিগন্তে মিথ্যা-সত্য যাই থাকুক
এমনকি ভরসাহীন পা ইত্যাদি ইত্যাদি
পা থেকে যদি মন সরে যায়
যদি বদলে যায় নিয়মের ঝকমারি
বদলে যায় ঘরবাড়ি, বিছানা রকমারি
তখন পথচিন্তা বড্ড এক বাড়াবাড়ি
তখন এক শরীরময় নতুন আশা
ভুল পথ; ভুল রাস্তা; ভুল আয়োজন
চলতে চলতেই তুমি বুঝে যাও
পা আর পথে মিল থাকা বড্ড প্রয়োজন।
পথ (৫) – শিশির দাশগুপ্ত
কতদূর হেঁটেছো তুমি; কতটা অতিক্রম করেছো?
হয়তো নদীর মতন, হয়তো বা বাতাসের মতো
নতুবা পথিক যেমন চক্রব্যূহে ঢুকে
পথকে গালিচা ভাবে; আলাদীনের গর্তে
পথ অচেনা মনে হলে; অথবা
পথ পাল্টে গেলে
রাস্তা সরলতা হারায়; মন বালিশে মুখ লুকাতে চায়
ঘরে ফিরে অঙ্ক কষো; বারবার ভুল করো
কঠিন পথ ছেড়ে, সহজে হাঁটতে চাও
যতই পথ ভোলো; ততই গভীরে যাও
অভিজ্ঞতার প্রান্তে এসে; নয়নের চিত্তদোষে
তুমি বুঝে যাও; উচ্চস্বরে বলে যাও
অঙ্ক না জেনে করেছো সময়ের অপচয়
পথ আর রাস্তা কখনোই এক নয়।
পথ (৬) – শিশির দাশগুপ্ত
কাঁকুড়ে পথেও নেমে আসে আকাশের ছায়া
শ্রাবণের ঘোলাজলে সীমানা হারানোর কথা
না বুঝেই পথ হাসে; কথা বলে নীরবে
অবিরাম জলস্রোতে মন হারায় পথ
কংক্রিটের আস্তরণে লুকিয়ে থাকে সূত্র
খুঁজে চলে পথিক;
হারানোর শোকে কংক্রিটে পড়ে দাগ
খসে পড়ে আস্তরণ; হারায় সমস্ত আব্রু
অবিরাম পাহাড়ি পথে শুরু হয় গোপনে আলাপ
আগুনের ছোঁয়া পায় শরীর; স্তুতি গায় কেউ কেউ
পুড়তে থাকে ঘর, রাস্তা, পথ
পুড়ে পুড়ে শরীর মজবুত,
শরীর ঘর হয়, হয় রাস্তা, মজবুত শরীরকে
তখন প্রকাশ্যে বলা হয় — পথ।
পথ (৭) – শিশির দাশগুপ্ত
পথের অন্য এক নাম আবেগ
সেই পথে আসল-নকল যায় মিশে
সেই পথে সমুদ্রের জল কম হয়ে যায়
আলোর ঝলকানিতে গুরুত্ব পায় আঁধার
নবীনের ত্বরিত গতি; উজ্জ্বল পায়রার গোলাকার ঘূর্ণন
মধ্যাহ্ন আতুর হলে, বাড়ে ভালবাসার রঙ
মরুভূমিতে বালির বাসায় জ্বলে ওঠে আলো
আবেগশূন্য পথে ঘুমিয়ে পড়ে শিশু
আনাচ-কানাচ থেকে উঁকি দেয় শীত
বল্মিক উড়ে বেড়ায় যান্ত্রিক সভ্যতায়
আবেগশূন্য পথে হা-হুতাশ করে ট্র্যাফিক
সিগনাল।
পথ (৮) – শিশির দাশগুপ্ত
অঙ্কের নিয়মে আসে জোয়ার-ভাঁটা
ক্ষয়-ক্ষতি মেপে দাম করা দস্তুর
সময়েরও শরীর থাকে;
থাকে নাব্যতা; থাকে চোরা- জোয়ার
জোয়ারের সুরে হেঁটে চলে নম্র অভিলাষ
নাগাল পায় না বালি- কাঁকরের
বুকের মধ্যে চলে ফিসফাস
হাঁটুতে সময়ের হিসেব
অঙ্কের নিয়মে হাঁটুতে আসে অবসাদ
ছিন্ন হয় সম্পর্ক
ধরাশায়ী হতে চায় সময়
শুধুই অপেক্ষা; এক-দুই-তিন
দরদাম যাই হোক; যে দিক থেকেই বাতাস বয়ে যাক বা আসুক
চোখ বন্ধ হলে সময়কে বলা হয় — পথ।
পথ (৯) – শিশির দাশগুপ্ত
টাকা দিয়ে কেউ কেউ ছোঁয় আকাশপথ
পা ভাসিয়ে বসে বাতাসে
সারা শরীর জুড়ে উত্তাপের মহড়া
পথ বেয়ে বেয়ে উঠে যায় টাকা
কখনও বা ডানা মেলে
চূড়ান্ত শরীরে থাকে স্বপ্নের ক্ল্যাইম্যাক্স
টাকা ছেড়ে কেউ বা ছোঁয় তুলসীপাতা
বুকে তার বাসা বাঁধে ঘুম-স্বপ্ন
উজাড় হয়ে দিগম্বরী হয় স্বপ্ন-পথ
আকাশে হাসে গ্রহসকল; চাঁদ -তারা হারায় পথ
পাখীর ডিমের মত নরম হয় মতামত
এক নিশ্বাসে কলঙ্ক এঁটুলিপোকা হয়
ঠিকানাহীন হয় না কিছুই
সকলেরই পদবী নিশ্চিতভাবে পথ।
পথ (১০) – শিশির দাশগুপ্ত
সম্পর্কের বাধ্যবাধকতা আসলে ঠিক যেন চাবি
কাঁধের ক্ষমতা যাই থাকুক
বোঝা বইতে গেলে দরকার বিশাল বুক
সম্পর্ক ছোঁয়া ছোঁয়া হলে গায়ে লাগে বাতাস
আঙ্গুলের দিকে থাকে নজর
সম্পর্ক বোঝা হলে কালো হয় আকাশের মুখ
সম্পর্কে প্রয়োজন মোটা দড়ি
খুঁটিও প্রয়োজন মইয়ের মতো
বাতাস থেকে ছেঁকে নিতে হবে সমস্ত অক্সিজেন
সম্পর্কের শরীরে তখন ছুঁড়ে দেয় জল
ভেজা শরীর তখনই হতে চায় হিমালয়
আকাশের শরীরে তখন অমাবস্যা
তবু কাঁধ শক্ত থাকে
সম্পর্ক কাঁধে চেপে পাড়ি দিতে চায় হাজার হাজার মাইল।
পথ (১১) – শিশির দাশগুপ্ত
খুঁজে হয়রান হয়েছে যে মানুষ
সে আমাকে চেনে; জানেও
আমার দেহের সমস্ত রঙ,
সমস্ত কথা আজ হয়েছে পাহাড়
উচ্চতা সে ভয় পায় না;
দেখা পেলে যে কথা বলে অকপট
সে আমাকে বোঝে; জানেও
আমার মনের সমস্ত ছবি
সমস্ত অভাব আজ হয়েছে সাগর
প্রবাহকে সে মনে করে বন্ধু
কথা ছাড়াও কথা হয়
দূর বলে কি কিছু হয়, হয় কি?
কফিনের পাশে বসে যে মানুষ
প্রচার করে মৃত্যুর ভূমিকা —
তাকে মৃত্যু দেখায় বদান্যতা
কফিন ও মৃত্যু আমাদের পরিচয়
কফিনের রাস্তা, গতি এঁকে দেয়
মৃত্যুর বন্ধুতা–
এক অনির্বচনীয় সুখময় পথ।
পথ (১২) – শিশির দাশগুপ্ত
অবিলম্বে শোক নেমে গেলে
ধূলোয় মিশে যায় সমস্ত শরীর
শোক জলবাহিত হলে, পুড়ে যায় পরিচয়
অনন্ত আকাশের রঙ ফ্যাকাশে হলে
মন্দিরে কেউ বাজায় ঘন্টা
সময়ের পরিমাপে শোনা যায় আজান-ব্রত
অনতিবিলম্বে খুলে যায় বাতাসের দরজা
কায়িক শ্রমের মূল্য দাবি তোলে মর্যাদার
তখন ঘন্টা ও আজানের শব্দ হারায় সুর
না পাওয়া সমস্ত বিধান হাই তোলে
হারিয়ে যায় কথা, মিথ্যা হয় শিক্ষা
শুধু থাকে যন্ত্রণা, গুমরে ওঠে শোক
পুড়ে যাওয়া শোকে মানুষের কথা থাকে
হারায় না কিছুই; শোকশব্দ গড়ে নয়াপথ
পথ (১৩) – শিশির দাশগুপ্ত
বিরোধিতার থাকে একটা প্রত্যয়
অঙ্কের নিয়মানুযায়ী
স্ব-বিরোধিতা আসলে অঙ্কেরই ফসল
তীব্র জ্বালার পর মাথায় ঘূর্ণন আসে
লাট্টুর মতো ঘোরে সব
টাকাপয়সা, ধন-সম্পত্তি হেসে ওঠে
তাদের রাগ- অনুরাগ বোঝে না মন
আকুতির শেষে হারায় দৃষ্টিশক্তি
অম্লানবদনে তাকায় আপনজন
বিরোধিতায় সঙ্গ দেয় সম্পত্তি
লক্ষ্য ভুল হলে শরীর হয় তিঁতো
সব হারানো আসলে নতুন পোশাক
অঙ্কের নিয়মে মনে – মাথায় জাগে চমক
রাগ-অনুরাগের শেষে শুধু পড়ে থাকে পথ
পথ (১৪) – শিশির দাশগুপ্ত
আকাশে শুতে চায় সবুজসাথী
বোঝালেও অপ্রকাশ থাকে চোখ
আকাশে থাকা তো সহজ নয়
ঈশ্বরও পায় না স্থান; শোয়া তো মিথ্যা রোখ
মাটির নিচে শুতে চায় সবুজসাথী
শিক্ষার পরেও ঘুমিয়ে থাকে চোখ
মাটির নিচে থাকে উষ্ণ সরণী
ঈশ্বরও পায় না মাটি; যাওয়া দূরস্থান
নদীর পাড়ে থাকতে চায় সবুজসাথী
অবুঝের গতি অসুস্থতা ডেকে আনে
নদীর পাড়ে কথা বলে জোয়ার-ভাটা
ঈশ্বরও নদীপাড়ে বসে না ; প্রবাহ আটকানো দু:সাধ্য
কফিনে হাত রাখে সবুজসাথী
চোখের জলে নির্মিত হয় নতুন আলাপ
আকাশ, মাটি, নদী সবই বাতাসের রূপ
ঈশ্বর থাকে না বিভাগে; বিভক্ত প্রকৃতি
অবশেষে ঘুমাতে চায়; ঘুমই যে শেষ পথ
পথ (১৫) – শিশির দাশগুপ্ত
হাঁটু ভেঙে দমকা হাওয়ায় উড়ে যায় বাণী
এ’পথ সেপথের শেষে বয়সের হিসেব বাড়ে
জীবনের কথা সব পোড়া হাওয়ায় ভাসে
মুখ লুকায় রবীন্দ্র কাব্য, মানুষের বিপদে
কনুই ভেঙে দমকা হাওয়ায় গান হয় বাণী
সমস্ত আশার শেষে শূন্য হয় পাত্র
হা-হুতাশের কথা ভাগ্যলিখন হয়
সুখী হয় রাজনৈতিক, মানুষের আপদে
বুক ভেঙে উড়ে যায় বাতাসীর হৃদয়
সমস্ত স্বপ্নের শেষে থাকে প্যান্ডোমার বাক্স
দিনরাত সেখানেই চলে আলোর চাষ
অসুখে ভোগে মানুষ, কারো বিপর্যয়ে সুখ
মাথা ভেঙে ডুবে যায় মানুষ সংসারে
হৃদয়ের রঙ হয়ে যায় নিকোটিন কালো
সেই বুকে আধময়লা ছবি তোলে ঢেউ
চোখ থাকতেও অন্ধ হলে ভুলতে হবেই পথ।
ঝিলমিল – শিশির দাশগুপ্ত
পরশ পাওয়ার পর যৌগিকতা বেরিয়ে আসে
রসায়নাগার থেকে, দুর্দমনীয়ভাবে
রক্তে তঞ্চকতা বাড়ে
পিষ্টনে বিজ্ঞানবলয়; শক্তিতে সামাজিক
দেহ, মন, মগজ পতাকা ওড়ায় সুখসমুদ্রে
অবগাহনের শেষে উড়ে যায় পাখি
গমনাঙ্গে ধূলিকণা সভ্যতার উর্বশী
মস্তিষ্ক ঘেরাও হলে, পৃষ্ঠা বদলে যায়
এভাবেও সভ্যতার মুন্ডুপাত হয়।
অবসর – শিশির দাশগুপ্ত
লালবাতি জ্বলে যদি মানসচক্ষে
শক্তিমান ঘোড়া নিলামে চড়ে
বটবৃক্ষ শুকনো পাতা গোনে, নিরন্তর
ছায়াকাশে।
অবরুদ্ধ চাকা ত্যাগের লড়াইয়ে
সিনেমা গড়ে ওঠে;
অন্তর্জালে তুমি আর আমি
লালপতাকা কাঁটা ফোটায়, আবার বিপ্লবও বটে
সূর্যও খসে পড়ে অবসরে অন্তর্জলী ঘাটে।
হরতাল – শিশির দাশগুপ্ত
আলোচিত সব শব্দরাই তখন ডানা মেলেছে
ল্যান্ডস্কেপে নতুন ভাবনা—
ইতিউতি খবরে প্রকাশ, অস্ত্রে শান হবে এইবার
এমতাবস্থায় প্যান্ডেলে ভরে ওঠে আনন্দ
যাত্রায় নামে কিছু ওস্তাদ
তুমি আমি একপাশে দর্শক, তথাপি
আমাদের শব্দেরাও প্রাণ চায়
আমাদের শব্দেরা কথা বলে কবিতায়
শয়নেস্বপনে নতুন ভাবনায়
আমাদের কবিতায় যাপনকাল
তোমাদের শব্দচিত্রে হরতাল।
উৎসব – শিশির দাশগুপ্ত
আকাশ থেকে নেমে আসছে মেঘেরা,
আন্দোলিত হচ্ছে বৃক্ষরাজি
আলস্য ঝেড়ে গ্রীবা উচ্চে তুলে,
কেউবা আওয়াজ তোলে বৃংহিত
আনন্দে স্বর্গরাজ্য হতেছে নিলাম
স্ত্রী-সকল কেমন যেন নিমরাজি
চাষী মদ গিলেছে সায়াহ্নে,
এখন এই দুনিয়ার আনন্দে সেই একমাত্র পুরোহিত
আমরা ত্রিপল খাটাই, বাঁশ বাঁধি
ভোগান্ন রান্নায় হাত লাগাই
চোখের জলে আনন্দ ভাগ করতে জানে দিদিমণি
অলস কলসিতে টগবগ আওয়াজে চলকে ওঠে পাড়ার জগাই-মাধাই
মেঘেরা জায়গা করে নিয়েছে ত্রিপলের ওপরে, জল ঝরছে রিনিঝিনি
সমাজটা ভেঙ্গে গেছে, সম্পর্কে বাড়তি চিনি
উৎসব চলতে চলতে আমরা বুঝে যাই —
কে আসল খুনি।
পুড়ছি সবাই – শিশির দাশগুপ্ত
আজো অসহায়তার দিনে বিশ্বাসে লব্ধ থাকে মন,
উড়ে যায় কা কা রবে বস্তুত সমস্ত স্বপ্নেরা
মুঠি ধরে সৈনিকের মতো, অথবা বাংলা
মায়ের চোখ; ভাসাভাসা পূর্ব আকাশ
সন্ধ্যায় আগুনতি ভিড়ে, কাব্যগাথা জুড়াতে পারে না মন
খিল দিয়ে চোখ বুজি, তথাগত সাজি
কুমারীর স্তনে দেখি নাছোড় ক্ষিদে
স্বল্প কিছু রান্না আছে
রেকাবি সাজানো আছে থরেথরে, বাক্যবিনিময়ে
ও মেয়ে, তুই ঘুমাতে যা, প্রাণপণে
হারানো বিছানায়
দ্যাখ, সকলেই পুড়িতে ব্যস্ত
কেউ উল্লাসে; কেউ বা হতাশায়
সম্পর্কের স্বর – শিশির দাশগুপ্ত
মেঘ সরে গেলে পুকুরের চোখে জল,
যদি রোদ আসে ; অশ্রু শুকায় আপনা হতেই
দিন গত হলে, অন্ধকার মনে চলে দাবার আসর
সেখানে যুদ্ধ হয়, অগুনতি সময় নীরবে বয়ে যায়
ঝড় ওঠে, দরজা-জানালায় ঝাপটির শব্দ
মেঘ তখন হাওয়ার জাহাজে, ভাবে সময় হয়েছে আজ জব্দ।
মেঘ এলে, শুনশান হাওয়া বয় পুকুরের বুকে
নিঃশব্দে কলা- বৌ সিঁড়ি ভাঙ্গে ঝুঁকে
অমিত চরণ ফেলে, অন্ধকার নেমে আসে জলের উপর
অগুনতি সময়কণা ব্যস্ত হয়, উষ্ণতার উষ্ণীষ গায়ে চড়ায়
পুকুরের উপরিতলে ছায়াখেলা শুরু হয় ;
মেঘেরা হাত বাড়ায়
পুকুর আনন্দে জন্মদিন মানায়, পাখি হয়,
পাখা মেলে আকাশে উড়ে যেতে চায়।
পরাজিত বর্ষা – শিশির দাশগুপ্ত
হিংস্র অরণ্য থেকে বেরিয়ে আসা নখ
খুবলে নিতে চাইলো শিশুর হৃৎপিণ্ড
উস্কোখুস্কো চুল ছুঁলো মেঘ
হাত ফস্কে উড়ে গেলো সমস্ত বেলুন
মুহূর্তে রঙিন উধাও মেঘের আকাশে
বর্ষা পেখম মেলেছে শিশু বেলুন-বিক্রেতার চোখের উপর ; বেদম হাওয়ার চাবুকও তার সাথী
উপোসী শরীরে শুধু হাহাকার, যন্ত্রণা
বেলুনখেকো আকাশের প্রতি ভর্ৎসনা
শিশু নিধিরাম, গরীব নিধিরাম, দুঃখী নিধিরাম তখন ঘরমুখো
বদলের ধরাধামে—
এখন সমুদ্রতট হাসিমুখ, নান্দনিক
এখন নিধিরাম অশ্রুহীন, সর্বভুক
পৃথিবী তার শীতল আবাস, যুদ্ধ-ময়দান
যুবক নিধিরাম স্বপ্নবিমুখ, এক মৃত্যযান
সব কান্না- অনাহার- যন্ত্রণার পাশবিক গোলা
শক্ত করেছে তার শরীর, হারিয়ে গেছে শিশু বেলুনওয়ালা।
ভদ্রলোক – শিশির দাশগুপ্ত
১.
ছুটে চলেছে চাঁদ মানিকগঞ্জের মাথার উপর দিয়ে
বাজা মহিলারা ঘোমটার আড়ালে
কপালে তাদের ভরসা চোখ
বুকের ভেতরে আগুন আর শোক
২.
হুশ শব্দে ছুটে চলেছে কামানের গোলা
ঝড়ের মত হাওয়ায় নদীতে তুফান
পদ্মার সেতুতে ওড়না জড়িয়ে যাচ্ছে
কেমন যেন ধারণাশক্তির গতিরোধ হচ্ছে
শুধু চোখে মুখে তৈজসের কথা
ভাল – মন্দ উভয়েরই ব্রতকথা।
৩.
লক্ষ্মীছাড়া ধনের জ্বালায় হাতসাফাই শেখা
মন না চাইলেও পরিখাতে ঢুকে থাকা
চাঁদ ডুবলে কালো মনে রোদ-রচনা
তখন পরিখাতে সোনার বাংলা গান
ঝুলে ভরা শহরের দেয়ালে ভোটের শ্লোগান
এইসব বকবকানিতে পয়সা পাওয়া যায় না
এইসব রাস্তায় ভাল পোশাকের আনাগোনা।
ঝট করে দু-পেগের নেশায় টলছে শহর
বাজা মহিলাদের ঘরে ঢোকে নতুন নাগর
ভুল পায়ের ব্যাখ্যায় আইন দেখে স্বপ্নলোক
ট্যাক গরম থাকলে তুমি-আমিও ভদ্রলোক।।
পালোয়ান – শিশির দাশগুপ্ত
কবিতাও এমন এক রণাঙ্গন হতে পারে
ভাবতে পারেনি সে
কবিদেরও ভাগ আছে; মহিলা ও পুরুষে
ভালমন্দ মিশিয়ে কে যেন নির্মাণ করেছে এক সবুজ সমাজ
সেখানে পাখীর গান, ফুলেদের ফিসফাস, মোটা ফ্রেমের রাজ
সন্ধ্যা ভুলিয়ে দেয় মাটি, পথ, পাড়া
জুটে যায় মৌ – চোর, ভাঙা শিরদাঁড়া
রাতে অন্ধ হয় কবিকুল, ক্ষুধার্ত পণ্ডিত
অজ্ঞাত কারণসকল; তারা তখন তারকারঞ্জিত
হাওয়া বয় তিরতির, চারাগাছ নিশ্চিত – ভয় নাই, ভয় নাই, ঝড়কে সে করে আহ্বান
বড় গাছ চুপচাপ, ভয়ে পাংশুটে সে
ঝড় – ভয়ে জড়সড়;
মই ভেঙে পড়েছে কোথাও একজন
বুঝে গেছ তুমি, সেটা আসলে কবির তিরোধান ।
সম্পত্তি – শিশির দাশগুপ্ত
ভাগ – বাটোয়ারা শেষে জলেতে উঠেছে ঢেউ
সেখানেও দাবি পেশ, আমার আমার করে কেউ কেউ
যদি কূল ছাপায়, হাঁটাপথ বদলে হয়ে যায় জলপথ
সেখানেও হট্টগোল; চিন্তায় মশগুল,
যাবে কোথা দিয়ে পিতার নামাঙ্কিত রথ
রথও ভাগ হয়; ভাগ হয় জলপথ
সম্পত্তি মুচকি হাসে; এখনো হয়নি শেষ
জানে সে শেষ অধ্যায়ের নাম – রক্তপথ।
টাকা – শিশির দাশগুপ্ত
স্বর্ণ-কলস ভরে চুপিসারে কে যেন গিয়েছে গোপন অভিসারে
সেখানে নিতম্বে গৌরবগাঁথা, শরীরের কোটি কোষে নিয়ত লালা ঝরে
ভোগারতি শেষ হলে, অন্ধকারে কুপিত হয় মন
তবু আনচান আনচান, স্বর্ণ-কলসে আছে ভরা মধুর গুপ্তজ্ঞান
আধোবুলি ফুটেছে মুখে, রঞ্জিত করেছে বংশ
তারই নাম স্বর্ণ-কলস, সেখানেই গোপনে বাড়ে মৃত্যুঞ্জয়ী কংস
নাই বুঝতে পারো তুমি, না বোঝাতে পারি আমি
অর্থ এমনই সদাশয়; ঘোরেফেরে হাতে হাতে; অবশেষে শুরু করে ভেদবমি।
এখন – শিশির দাশগুপ্ত
মৃত্যু শিয়রে এলে নীরব হয় চারপাশ
কান পাতলে শোনা যায় চুপচাপ হা-হুতাশ
আপনজনের চোখে বয়ে যায় নদী
অবশেষে ভাগফল – ভাগশেষ ইত্যাদি
মৃত্যু হাত বাড়ালে পরিবেশে শীত নামে
তারা সব নিভে যায় পোড়া কাঠের ধামে
শরীর শূন্য হয় যেন চাতক পাখির দাবি
নগ্ন পরিবেশে কে যেন আঁকে সময়ের ছবি।
নিদ্রা – শিশির দাশগুপ্ত
ঘুম এখন এক জুয়া
কাগজের টুকরো যেমন হাওয়ায় ভাসে
জল যেমন আকাশে বাসা বানায়
ঘুমও যেন কীভাবে উবে যায়
পারাপারের জন্যে নৌকা দরকার
মাঝি দরকার ; মন দরকার
জলের বিছানায় শান্তি দরকার
ঘুম বিছানায় হয় না
বালিশে হয় না ; চাদরে হয় না
উবে যাওয়া সবকিছু আসলে রূপান্তর
জুয়াতে হারজিত আছেই
ফিরে আসা টাকা, মন, শরীরও রূপান্তর
আসল ঘুম এক রূপান্তরিত অবস্থা
সঠিক ঘুম আকৃতিহীন
সুন্দর অথচ বসনহীন, বিছানাহীন।
মাটি – শিশির দাশগুপ্ত
প্রতিটি ইটের শরীরে বাস্তুহারা ঠিকানা
দেশ-বিদেশে ঘোরার শখ
বালি-সিমেন্টের সঙ্গে ভাব করার প্রয়াস
চরিত্রে কুলি মানসিকতা
প্রতিটি ইটের শরীরে ভয়ার্ত চোখ
ভুল পথ যেমন কিশোরীর ভাগ্যলিখন
পোড়াকপাল ও অশ্রুত জীবন
আচার-ব্যবহারে ভালবাসাহীন ভিখারি
প্রতিটি ইটের চোয়াল শক্ত
ইমারতের রক্তস্নান- কাহিনী
অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া কিশোরী- মাতা
যেন জমে যাওয়া বরফ ; শব্দহীন; বোবা
প্রতিটি ইটের শরীরে চাকা
প্রতিটি ইট ঘুরেফিরে স্টেশনে পৌঁছায়
প্রতিটি ইট আগুনজন্মা
অবশেষে মাটিতে গেঁথে যায় তার চাকা।
শ্রান্ত মন – শিশির দাশগুপ্ত
জানা- অজানার ভারসাম্যহীনতা অসহ্য
বেদুইনের হাতে যেমন পৃথিবী- পতাকা
হাওয়া-বাতাসের রাতে সুর সাধে কেউ
বাড়ি ফেরে না কোনো কোনো নাগরিক
ভারসাম্যহীন শরীরে শ্রান্ত, অবসন্ন
এক জোড়া চোখ
হাওয়ার বিমুখতায় হারিয়ে যায় পথিক
ভারসাম্যহীন বলো না তাকে ;
তারও এক নিজস্ব রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকে,
আচরণ-শৃঙ্খলতা থাকে; থাকে
রহস্যে মোড়া যুদ্ধ-ব্যবস্থা
প্রতিদিনের নাট্য- বিনোদনের সমাপ্তিতে
থাকে সম্মান- সংগীত
ভারসাম্য বজায় রাখে গোপন লজ্জা
ভারসাম্যহীনতা সত্যি এক গোপন শয্যা।
হিস্ট্রি রিপিটস – শিশির দাশগুপ্ত
বাল্মিকীর আর্যবন্দনা কারণহীন নয়
বাল্মিকীর শৌর্যবন্দনা কবিতা হয়ে রয়
মুখর সমাজের নম্রতা আশাহীন হয়
বাল্মিকী উদ্ধতের হাতে নয়ছয় হয়
মেধার বাজারে উদ্ধত চাকুরি বিকোয়
লালা সুযোগ বুঝে ব্যবসা ছড়ায়
টাকা ও ক্ষমতা বন্ধু যোগান দেয়
রঙ করা খবর টি আর পি বাড়ায়
বাল্মিকী ঘুরেফিরে রত্নাকর হয়ে আসে
ইতিহাস আড়াল থেকে মুখ টিপে হাসে।
বন্দুক – শিশির দাশগুপ্ত
বন্দুকের চলন হাতে হাতে; কাঁধে,কাঁধে
বন্দুক ইউনিফর্ম বোঝে না, চেনেও না
বন্দুক জলের চরিত্র বয়
বন্দুকের লক্ষ্য মূর্তিপূজা
বন্দুকের পথে নিষিদ্ধ লালবাতি
বন্দুক বধির, সময়ে অন্ধ
বন্দুকে থাকে বোকা বুলেট
বন্দুকের তখন অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা
বন্দুক মিত্রহীন, অপ্রেমে নিযুক্ত
বন্দুক এক অসহায় কাঁধ
কান-খাওয়া এক শশ্মানের চিৎকার
শৈশবের আদুরে খেলনা
বন্দুক জলের মতো অসহায়
বন্দুক ক্ষমতার উৎস
বন্দুক ক্লান্তিহীন, মালিকের তেজ
বন্দুক হাঃ হাঃ হাস্যরসের উপাদান বয়
আত্মসমর্পণের পর বন্দুক মাটিতে লুটায়।
নিকেশ – শিশির দাশগুপ্ত
রস ভরে আছে জলে; সেখানে প্রাণ নেই
আগুনে আছে বরফ; সেখানে মান নেই
শিক্ষাতে বরাভয়
ভাল’তে হায় হায়
লক্ষ গানে হাওয়া কন্ঠে ছোঁয়; রক্ত নেই
নিশানায় চোখ নেই; ধারাপাতে সুর নেই
রক্ত লালা হয়ে ঝরে
মন হারালে মুক্তি হারে
সুকৌশলে মালা গাঁথে কেউ; পণ্য ও পণ্য
গরীব চাকার তলায়; ধনী তুমি ধন্য, ধন্য।
শিশির দাশগুপ্ত | Sisir Dasgupta
Bengali Poetry 2023 | সুভাষ নারায়ণ বসু | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩
Bengali Poetry 2023 | বৃন্দাবন ঘোষ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩
Bengali Poetry 2023 | যুবক অনার্য | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩
Bengali Story 2023 | ইচ্ছাপূরণ | গল্পগুচ্ছ ২০২৩
Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Modern Bangla Kabita Pandulipi 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books | Modern Bangla Kabita Pandulipi pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Modern Bangla Kabita Pandulipi Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2023 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023 | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending Modern Bangla Kabita Pandulipi | Modern Bangla Kabita Pandulipi – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | Modern Bangla Kabita Pandulipi examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | Modern Bangla Kabita Pandulipi Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life | Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New Modern Bangla Kabita Pandulipi | Writer – Modern Bangla Kabita Pandulipi | Top Writer – Natun Bangla Kabita 2023 | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – Modern Bangla Kabita Pandulipi | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Modern Bangla Kabita Pandulipi | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf | Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live collection Bengali Poetry | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | Best Bangla Kobitar Live Video | Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Live Bangla Kobita | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online Modern Bangla Kabita Pandulipi Selection | Modern Bangla Kabita Pandulipi translation in english | Modern Bangla Kabita Pandulipi | Modern Bangla Kabita Pandulipi for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics
পালোয়ান | সম্পত্তি | টাকা | এখন | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | সেরা বাংলা কবিতা | কবিতাসমগ্র ২০২২ | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন | পালোয়ান – সুকুমার রায় | পালোয়ান – উইকিপিডিয়া | পালোয়ান সমার্থক শব্দ | সম্পত্তি – অসমীয়া | সাধারণ সম্পত্তি সংক্রান্ত | সম্পত্তি কী বা কাকে বলে | স্থাবর সম্পত্তি কি | পৈতৃক সম্পত্তি | হিন্দু সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা আইন | সম্পত্তি কাকে বলে | ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি | সম্পত্তি বন্টন | ৰাজহুৱা সম্পত্তি | সম্পত্তি কত প্রকার | সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত | ভারতীয় টাকা | টাকা সংক্রান্ত | টাকা ছবি | টাকা কি | টাকা তৈরির উপাদান | টাকা রেট | বাংলাদেশী টাকা ছবি | টাকা ছাপানোর নিয়ম | নিদ্রা | মাটি | শ্রান্ত মন | হিস্ট্রি রিপিটস | বন্দুক | নিকেশ | সচেতন নিদ্রা | যোগ নিদ্রা | নাম নিদ্রা | অনিদ্রা | অনিদ্রা রোগ | নিদ্রা কবিতা | ঘুম কি | গভীর নিদ্রা অর্থ | ঘুমের মধ্যে | নিদ্রা সমার্থক শব্দ | নিদ্রাহীনতা কি | তেতুল পাতার নিদ্রা | কত নিদ্রা যাওগো বন্ধু | বিশ্ব নিদ্রা দিবস | নিদ্রা কুসুম তৈল | অপূর্ব নিবিড় নিদ্রা | নিদ্রা-দেবী | মাটি কাকে বলে | মাটি ও মাটির ধর্ম | মাটি কী | পিটি মাটি কাকে বলে | মাটি কিভাবে তৈরি হয় উত্তর | মাটির প্রকারভেদ | দোআঁশ মাটির ছবি | এটেল মাটি কোথায় পাওয়া যায় | মাটির প্রধান পুষ্টি মৌল কি | বেলে মাটি | বাগানের মাটি | মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি | মাটি সংরক্ষণ কেন | মাটির ম্যাজিক | ভারতের মৃত্তিকা | মাটি ক্ষয় | টাকা মাটি, মাটি টাকা | খড়ি মাটি | ক্লান্ত দেহ শ্রান্ত মন | ক্লান্ত শরীরে শ্রান্ত মন | বন্দুক সংক্রান্ত সাম্প্রতিক খবর | বন্দুকের দাম | খেলনা বন্দুক | বন্দুক অর্থ | বন্দুকের ছবি | বন্দুক সমার্থক শব্দ | বন্দুকের গুলির ছবি | বন্দুক থেকে গুলি | বন্দুক তাক করা ছবি | বন্দুক এবং কার্তুজ | বন্দুকের সহজলভ্যতা | হাতে বন্দুক