Feelings of Bangla Kabita | Read and Share Bengali Poetry

Sharing Is Caring:

Poetry of Sabyasachi Roy

Feelings of Bangla Kabita | Read Bengali Poetry Online

ভারী

রান্নাঘরে, সিঙ্কের সামনে ঝুঁকে —
কাঁধের উপর যেন এক দিগন্ত ভেঙে পড়েছে।
জল প্লেট ধুয়ে নিয়ে যায়, তেলের মতো ক্ষুদ্র বিশ্বাসঘাত।
তার উপরে, পাঁচটি বাল্বের আলো ধুসর দাগ ফেলে।
ফলের বাটি নীরবে পচছে,
ধুলো বাতাস তাড়া করছে খালি কাঠের মেঝে।
ভাঙার জন্য সব অপেক্ষা।
দরজার পাশে দাঁড়িয়ে গুনছি
যে বোতলগুলো স্পর্শ করেনি।
ঘর নিঃশ্বাস বন্ধ করে।
এই দৃশ্য জানি: এক শূন্য জমি, যেখানে বৃষ্টি হয় না,
শুধু না বলা কথার ভার ঝুলে থাকে।
বাইরে, বাতাস নিজের সঙ্গে খেলছে।
ভেতরে, আমরা স্থির, দুটি মূর্তি, ক্ষয়ে যাচ্ছে ভেতর থেকে।
ভালোবাসার মধ্যে নৃশংসতা লুকিয়ে থাকে —
যেভাবে তা তোমার দৃষ্টি ধরে,
তারপর ছিঁড়ে ফেলে, একটা শূন্যতা খুলে দেয়-
পূর্ণ হওয়ার নয়।
যেন আদর দিয়ে সহিংসতা মুছে ফেলা যায়।

আলোখাদ্য লাইটহাউস

ওরা আসে কুয়াশা ঘনীভূত হলে—
মুখ হাঁ করে গিলে ফেলে জোয়ার,
পিচ্ছিল হাত চেপে ধরে কাচের উপর।
একদিন ওদের ডাকতাম,
ভিতর থেকে খুলে দিতাম আলো,
দিতাম উষ্ণতা, দিক নির্দেশনা।

কিন্তু অশরীরী কৃতজ্ঞতা জানে না।
ওরা সলতে চিবিয়ে খায়,
হাড় থেকে মোম খসে পড়ে,
আমি নিভে গেলে
ওরা ঠান্ডার দোহাই দেয়।

এই রাতে চুপ করে থাকি।
সমুদ্র ক্ষুধার্ত।
পাথর ধারালো।
এখন ওরা শিখুক আমার মতো করে।

দূরে একটা জাহাজের হুইসেল বাজে, শেষ নিঃশ্বাস?
লাইটহাউস শোনে, কিন্তু বলে না কিছুই।

দুর্ঘটনার নকশা

ট্রেনটা হঠাৎ ঝাঁকুনি দিল। কফি ছলকে পড়ল —
গৃহস্থ বিশৃঙ্খলা, ছোট্ট অথচ মারাত্মক,
আমার প্যান্টে দাগ ফেলে, যেন প্রেমিকার লিপস্টিক-
ভুল জায়গায়।
অনেকে একে বলবে গোলযোগ;
আমি বলি – অসমাপ্তির স্থাপত্য।
শহর রাতের দিকে কাশছে, রাস্তাগুলো মাতাল অর্কেস্ট্রা – বেসুরো।
নিয়ন আলো ঝরে পড়ে ভাঙা মুকুটের মতো,
আর কোথাও এক বাইকওয়ালা ছুঁড়ে দেয় ভবিষ্যদ্বাণী।
ছড়িয়ে পড়ে খুচরো পয়সার মতো—
পকেটের নাগালের বাইরে, গোনার অযোগ্য।
চাঁদ, একপেশে রেফারি, নিঃশব্দে দেখে,
আমি কিভাবে নিজের ছায়ায় হোঁচট খাই।
সৌন্দর্য অতিমূল্যায়িত; মহাবিশ্ব সঙ্গীত ভালোবাসে।
ছিন্নভিন্ন ধারালো হওয়ার কাটা সুর…যেকোনো পরিকল্পিত গানের চেয়ে শ্রেয়।
আমি জানি – প্রতিবার তাল মিলিয়ে গাই।

অবশেষের আসন

এক পা, সোফা থেকে ঝুলে আছে —
নিস্তব্ধ বিদ্রোহে।
ছবি ফিসফিস করে, ফুলের শোকগান,
পাপড়ি ছড়িয়ে যেন ভুলে যাওয়া নৃত্যের ছায়া।
পুরনো কাপড়, একদা উচ্ছ্বসিত উদ্দেশ্যে,
এখন গাঢ় হয়ে গেছে শরীরের কথা, যে তাতে,
দুপুর ছড়িয়ে পড়ে সন্ধ্যা।
ছায়াগুলি বুনে চলে নিঃশব্দ ষড়যন্ত্র,
মৃদু বিশৃঙ্খলা।
এই স্থির মুহূর্তে,
যেখানে পায়ের আঙ্গুল শুধু স্পর্শ করে তলার অন্ধকার ভাষা,
আড্ডার প্রেতাত্মা লুকিয়ে আছে —
অর্ধেক বাক্য, অনুপস্থিতি।

কানাকানি: সূর্যমুখী

সূর্যমুখীগুলো সবার খবর রাখে —
গুজবজানা মৌমাছিদের সঙ্গে মাথা নাড়ে,
পরাগ-লেগে থাকা চোখ মেলে তাকায়।
হাওয়া আমায় এসব জানায়,
আমার চুলের ভেতর দিয়ে হাসির দমকা বইয়ে।

আমি বসে থাকি তাদের এই গুজবের নিচে,
অলক্ষ্যে স্কেচ করার ভান করি – কিন্তু আমিও কান পাতি।

তুমি জানো ওরা কী বলে?
মানুষ নিজেদের জায়গা বোঝে না।
অত্যাধিক অ্যাসফল্ট, অত্যাধিক আগুন,
আর মুখে যথেষ্ট বীজ নেই।

একটি সূর্যমুখী নিচু হয় আমার মুখের কাছে,
যেন হতাশ কোনো সন্তানের ওপর ঝুঁকে থাকা অভিভাবক:
“মাটি কি তোমার মনে পড়ে না?”
আর সত্যিই মনে পড়ে।
সেই মাটি যা নখে লেগে থাকে,
যার গন্ধ জীবনের মতো,
যা তোমার ভুলগুলোকে গিলে ফেলতে কোনো আপত্তি করে না।

ডক্টর ড্যানের গৃহসংকট

ডক্টর ড্যান কাউকে ভয় পায় না। একজন দুর্ধর্ষ দুঃসাহসী: নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সমস্যাটা – বা বলা ভালো, রহস্য সমান্তরাল – তার শত্রুরাও তাকে ভয় পেত না। এই নিরানন্দ পরিস্থিতিতে ডক্টর ড্যান বিয়ে করল। মানে, সেটা তো একেবারেই আলাদা বিষয়, কারণ এই সম্পর্ক টিকল না ততদিন, যাতে তার আসল শত্রুদের তালিকায় জায়গা পায়। সুতরাং, এক তরুণ মানসিকতার ক্ষুদ্র পরিসরে, ডক্টর ড্যান চরম নিঃসঙ্গ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বনীয় আসক্তি – এটাই তার বেঁচে থাকা, এটার সাথে বা এটাকে নিয়ে – (ব্যাকরণগত বিশ্লেষণ তার মাথাব্যথা নয়)। এদিকে, যখন ঘূর্ণায়মান পাথর শ্যাওলা জমাতে শুরু করল, লবণজলে ঢেউয়ের উন্মত্ততায় একলা জলপরী একদৃষ্টিতে চেয়ে রইল – স্টিলের গ্রিডজোড়া দিগন্তের ওপারে, ক্ষয়মান প্রবালপ্রাচীরের কোনো এক কোণে, কোনো একদিন।

করিম কামাল খানের জাল নোট

প্রতিটি দাগ কাটা বিকেলের মোড়ে, করিম কামাল খান তার তাসের প্যাকেট বের করে, “পেশেন্স” খেলতে বসে। (এই শব্দটার মধ্যে কোথাও একটা সহনশীলতার ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে।) আর তিনি সহনশীল, অনেক কিছুর প্রতিই— যদিও তিনি নিজে নিরপেক্ষ নন একেবারেই। কিন্তু দোষত্রুটি, সেগুলো তো স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেওয়া হয়। এই উল্লম্ব মৌলবাদ আর নিরপেক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার সহাবস্থানের মাঝে, তার তাসের জোকারটি উপহাসের হাসি হাসে। আর কিছুক্ষণ পর হয়তো সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে, অথবা হঠাৎ করেই রাত ফুরোবে। করিম কামাল খান এক দাগ কাটা বিকেলের মোড়ে, তাসের “পেশেন্স” খেলে যায়।

কালিপদ গাঙ্গুলির ভেতরের কবি

যদি কবিতা স্বচ্ছ হয়, যদি তার মধ্যে জলের ভাগ বেশি থাকে, তাহলে কালিপদ গাঙ্গুলির কখনো জলস্বল্পতা হয়নি— না দিনে, না রাতে, না সপ্তাহে, না মাসে, না বছরেও। সুতরাং, স্পষ্টই বলা যায়— কালিপদ গাঙ্গুলি কবি। তবে এক অদ্ভুত অঙ্ক মিলিয়ে কোনো প্রকাশকই তার লেখা ছাপায় না। না একবার, না কখনো। ফলে, কালিপদ গাঙ্গুলি কোমর বেঁধে নিজেই প্রকাশক হয়। কিন্তু নতুন এক ধাঁধার মুখোমুখি সে— কেউ তার কবিতা মুদ্রণও রাজি নয়। তবু, কালিপদ গাঙ্গুলি হতাশ হয় না। প্রেসের মালিককে ধাওয়া করে, স্বহস্তে অক্ষর গাঁথে। কালিপদ গাঙ্গুলি নিশ্চিত জানে না, যা সে লেখে, তা আদতে কবিতা কিনা। কিন্তু এক সত্য সে জানে— না লিখে সে টিকতে পারবে না নিজের খোলসে।

বারস্টুলের উপকথা

একটা উপকথা আছে,
দুজন মানুষ যারা কখনো স্পর্শ করেনি,
তবু বাতাসে রেখে গেছে আঙুলের ছাপ।

বারে বসে আমরা স্বরবর্ণে ভালোবাসা লিখতাম,
ব্যঞ্জনগুলো ছিল ভারবাহক নীরব।
তুমি আমার নাম উচ্চারণ করতে,
যেন ফুঁ দিয়ে গল্পের পাতা উল্টানো হয়।
আমি উত্তর দিতাম, যেন পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা হলো।

বারটেন্ডার – অর্ধেক ভবিষ্যতদ্রষ্টা, অর্ধেক পরিচ্ছন্নকর্মী-
অর্ধেক উদাস, অর্ধেক ঈর্ষান্বিত,
ভিজে কাপড়ে মোছে আমাদের উপকথা।
কাউচটা পড়ে থাকে, পরিত্যক্ত এক বিছানা,
গোপনে বলে যায় আমাদের গল্পের বিভিন্ন সংস্করণ।

বাইরে বৃষ্টি তার সংলাপ মুখস্থ করছে….

মৃত কোড: মাংসের পুনর্লিখন

নিওনের রাত আত্মাকে ডিবাগ করে,
হৃদস্পন্দন হাসে যুক্তির মুখে-
এলোমেলো, অসংগঠিত তরঙ্গ।
চামড়ায় আঁকা লুকোনো সংকেত,
প্রতিটি দাগ অর্ধেক লেখা মৃত্যু-গান।
হাঁটি ভাঙা প্রতিফলনের ভেতর,
রাস্তার আলো ছুঁড়ে দেয় বিকৃত ভবিষ্যদ্বাণী,
হাসি, ভুলগুলোর তিক্ততা চিবিয়ে।
একদিন বৃষ্টি ক্ষতগুলো নতুন করে লিখেছিল।
মধ্যরাতে খসড়া লিখি ফিসফিসে কালি দিয়ে

লেবুর স্বপ্ন

সে জানত না কেন, কিন্তু অনুভব করত।
একটা টুকরো বৃষ্টি যেন বসে আছে মগজে,
লেবুর টক গন্ধে তার স্বপ্নগুলো হলুদ।

চিকিৎসকের কাছে গেল, বলল—
মাথার ভেতর একখানা দেশ,
সেখানে কেবল লেবুর বাগান,
আর আমি যেন সেই দ্বীপের মালিক।
মাথার গভীরে, এক টক উৎসব জাগে—
স্বপ্নগুলো নাচে পুরোনো পপ গানের ছন্দে।
ভাষার অর্ধেক বোঝাপড়ায় হারানো লেবুর গল্প…

একবার ঝুলন্ত বাসের কোলাহলে
নিজের হাসি ধরে ফেলেছিলাম—
এই স্বপ্নিল অ্যাসিড ট্রিপের মাঝে।
মনের প্রান্তে লেবুর খোসা ছড়িয়ে পড়ে,
সেই অনাকাঙ্ক্ষিত, রসালো পাগলামিতে।

তথ্যচালিত কামনা: এক পর্যালোচিত আকাঙ্ক্ষা
কোথাও এক নির্বাক গবেষণাগারে,
স্পর্শকে ছক কেটে মেপেছিল— স্তন, ত্বক, ফুসফুস, মূত্রথলি—
প্রতিটাই একেকটা অনুমান, পরিসংখ্যানের অপেক্ষায়।

কিন্তু, কানের লতিকে তৃষ্ণার মানচিত্রে কোথায় বসানো যায়?
কোন গ্রাফ ধরে রাখবে আমার জিভের তত্ত্বচর্চা তোমার কার্টিলেজে,
যেখানে প্রতিটা কামড় ঈশ্বরের পরীক্ষিত সত্য?

স্নায়ুর আল দান্তে অনুকরণ— তাই তো বিজ্ঞানের কাজ?
দূরত্বকে নিয়ন্ত্রণ করা, উষ্ণতাকে প্লাসিবোতে বন্দি করা,
একটা ফলাফল, যেখানে লেখা— “অস্পষ্ট”—
কারণ ভালোবাসা ডাবল-ব্লাইন্ড হতে পারে না।

আঙুল রাখি তোমার বক্ররেখায়, একটা ছুঁয়ে থাকা ফুটনোট,
ফিসফিসানি, গোপন তরঙ্গতরল ভাষায়
একদিন উৎসের মতো স্বীকৃত হওয়া।

আশ্লেষের ঘর

অসম্ভব মনে হতেই পারে, তবু বিশ্বাস করো—
আমি দেখেছি তোমার জটিল স্নানরীতি,
তোমার মুগ্ধকর খেলা, মনভোলানো গণিত,
আর ব্যক্তিগত কোয়ান্টাম রহস্য— একান্তে লুকানো।
তুমি কখনো ভেসে থাকো স্বপ্নে— ভেজা, রহস্যে মোড়া ।
এখানে ভুলের সীমা— ধারালো ব্লেডের মতো,
ঠিক ঠিক চূড়ান্ত বিন্দুটা— যেন সূচের ডগা।
পা রাখার ঠাঁই হারায় প্রান্তরের মতো খাদে—
শিখর সঠিকভাবে নির্ধারিত;
দু’দিকে অগাধ, বিশাল গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন,
তুমি দাঁড়িয়ে থাকো আঙুলের ডগায়,
গোপন ট্র্যাপিজ খেলার ভেতর—
জোড়া পা শক্ত করে চেপে।
তোমার দীপ্তিময় কোমর চূড়ান্ত ঠেলে
মুক্তি দেয় এক উষ্ণ, গ্রীষ্মমন্ডলীয় নদী।

তারপর তুমি তরঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসো, নিদ্রায়,
আর গুঞ্জন প্রতিধ্বনিত হয়—সেই নিষিক্ত উৎসবের দিনে
কে যেন হাতের নরম স্পর্শে…. তুমি কি মনে রেখেছ?

বিলোপসন্ন স্বপ্নের লগইন

স্বপ্ন ভুলে যাওয়ার পর থেকে
তীর্থযাত্রী আর নয়, শুধু এক বিটম্যাপের গণ্ডগোল — স্মৃতির বাঁয়ে সোয়াইপ, ছায়ার ডানে। হাওয়ায় বিজ্ঞাপন ভাসে, তারুণ্যের শপথ বিকোয়, আর রাত ফিসফিস করে বলে: ইনবক্স ভরা আছে! আমি ঋতু লিখি বাইনারিতে, এক হৃৎস্পন্দন, শূন্য অনুতাপ। বসন্ত লগ আউট করে যায় আপডেটের আগে… পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া পুরস্কার। বারবার রিফ্রেশ করি, কিন্তু সার্ভার ফেরায়— ৪০৪: প্রেম পাওয়া যায়নি। পরেরবার হয়তো লগ অফ করব।

রোববারের স্বীকারোক্তি: ভূতের/ পরকালের অপেক্ষার ঘর থেকে
আমি ছিলাম- শহরের ট্রাফিক আটকে দিতাম এক ফোন কলে। অ্যাপয়েন্টমেন্টকে মুদ্রা বানাতাম, মোবাইলের কম্পন ছিল— কংক্রিটের দীপ্তিময় মৌমাছি। শহর ঝুঁকত, আমি ক্ষমতার রস টানতাম। এখন স্প্যাম ফোল্ডারের ভূত, পুরোনো ভয়েস-মেলের মতো প্রত্যাখ্যাত। পরিবারের স্মৃতি অন্য কোথাও ক্যাশে। ভূতেরা হ্যাসল করে না— আমরা শুধু অনন্তকাল বাফার করি। তবু ডায়াল করি, জীবিতদের ভয়েস-মেল ছেড়ে যাই: ১ চাপলে মনে পড়বে। ২ চাপলে ক্ষমা করবে। কেউ কখনো ৩ চাপেই না।

ওয়াই-ফাই আসার আগেই মৃত প্রেম/ ঘোস্টিং-এর অনেক আগের কথা
রাত ছিল পুরোনো রেডিওর মতো— বজ্রঝড়ে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া সিগন্যাল। তারারা নিভে গিয়েছিল, নেটওয়ার্কও উধাও। আমার প্রেম, এক বাফারিং আইকন, যা লোডই হলো না। সে ছিল পপ-আপ বিজ্ঞাপন— উজ্জ্বল, চোখ ধাঁধানো, ক্লোজ করার আগেই মিলিয়ে গেল। তার নাম লিখেছিলাম পুরোনো ফন্টে, এখন হৃদয় ক্যাশে রাখে—অব্যক্ত প্রতিটি শব্দ, করাপ্টেড ফাইল, আর পড়া যায় না। প্রেম? সেটা ছিল ডায়াল-আপের ত্রুটি।

হৃদয়ের অবৈধ ডাউনলোড/ অতীত আর ভবিষ্যতের মাঝে বাফারিং
একবার প্রেম পাইরেট করেছিলাম— রিপ, কমপ্রেস, সতর্কীকরণ বাদ দিয়ে। তার চোখে ছিল প্রতিশ্রুতির টরেন্ট, যা ছুঁড়ে দিয়েছিল অনুতাপ, পজ না করা অনুতাপ। আমি প্রেমের ক্ষতি চেয়েছিলাম এইচডি-তে, কিন্তু তা এসেছিল পিক্সেল ভাঙা যন্ত্রণায়। হৃদয় অসমাপ্ত ট্র্যাকের প্লেলিস্ট, ভালো অংশগুলোতেই স্কিপ করে যায়। একা একা এখন বিঞ্জ করি, তার দৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করি, যেন কোনো সিক্যুয়েল: আপনাআপনি প্লে হবে। কিন্তু ক্রেডিট দ্রুত শেষ হয়ে যায়, আমি আটকে থাকি— রিওয়াইন্ড করি সেই প্রেম, যা কখনো অন-ডিমান্ড ছিল না।

ঋতুর প্রেম, সময়ের সাথে অসামঞ্জস্য
আহা, পুরোনো হাওয়া— তুমি মেমো পেলে না? শরৎ তার শোক আউটসোর্স করেছে, আর বসন্ত? স্টকে নেই বহুদিন। ভালোবাসা বাতাসে সিগন্যাল পাঠিয়েছিল, কিন্তু কানেকশন টাইম আউট। এমনকি কুয়াশাও,
ভালোবাসার সস্তা ভিপিএন, দীর্ঘশ্বাস ঢেকে রাখতে পারল না। তার নাম উচ্চারণ করেছিলাম, কিন্তু প্রতিধ্বনি গিয়ে ঠেকেছিল ভুল শতাব্দীতে। এখন আমি সোয়াইপ করি— মেয়াদোত্তীর্ণ ঋতুদের মধ্য দিয়ে, আমার হৃদয় বাফার করছে ১% এ।
কিন্তু, ওস্তাদ—
কমপক্ষে ভাঙা হৃদয় কখনো রিবুট লাগে না।

অপূরণীয় বিছানার উপকথা

সোফার কুশনে একটা গল্প চাপা পড়ে আছে,
ফসিলের মতো গাঁথা—
আমাদের ওজন, আমাদের প্রায়-স্পর্শ,
ফেলে যাওয়া হাসির খুচরো কয়েন।

এটাই ভালোবাসা, বা তার কাছাকাছি কিছু,
শুধু শব্দ, কোনো হাত নেই,
যেন চাঁদকে ডেকে বলছি,
“তুমি অনুভব করছ তো?”

আমি বাতাসে সেলাই করি আকাঙ্ক্ষা—
এক সূচীকর্ম, যা কিছু বলা হয়নি তার।

শেষে, আমরা চলে যাই,
সোফার কুশন কুঁচকে থাকে,
গুজব রটায়।

কাহিনী প্রদর্শনী

চার গ্লাসের গভীরে, হঠাৎ তোমার রূপ
যেন একটি মিস্ড কল-
যা আর মনে থাকে না।
এক দীর্ঘ কৌতুক—কি এই রকম?
চোখ বন্ধ করি, জগত ধোঁয়ায় মিশে যায়—
ভালোবাসা আসে, দেখাটাও থামে।
তোমার ঠোঁট, বা হয়তো সেই গ্লাসের,
হিমের ছোঁয়ায় মাখানো কিছুর স্বাদ।
বাইরে, কলকাতার এক গলিতে,
এক পুরুষের ভাস্কর্য ঠাণ্ডার কাছে ভেঙে পড়ে,
তার দুঃখ যেন জাদুঘরের আলোয় পালিশ।

একসময়, তুমি কলকাতার আঁধারের ভিনাইলের মত ঝিকমিক,
বিদ্রোহী প্রাচ্যের ছাপের মাঝে বাজত।
ঘুরে বেড়ালাম গলি-আধুন্মত্ত, আধস্বপ্নে,
ভাবলাম—ভালোবাসা কি আঘাত আর হাসির অজোড় মিশ্রণ?
এক অপ্রচলিত প্রদর্শনী, অজানা উন্মেষের মিউজিয়াম—
প্রত্যেক শেডে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির কাহিনী।
ঠাণ্ডা চায়ের সাথে একটু হাসি ফোটে,
গোপন চুম্বনে, নিস্তব্ধে।

সাইড এ, ট্র্যাক ১: আশির দশকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য

আকাশের দিকে আঙুল তুলল—
চার্টের কোনো হিট ট্র্যাক, নিওনের মতো দীপ্তিময়, অসীম।
আবার করল, এবার তার দিকে,
সে হাসল—জেনেই যেন, কিছু গান কারও একার হয় না।

সৈকত যেন এক ক্যাসেটের রিল খুলে যাচ্ছে,
ঢেউ ফিরিয়ে নিচ্ছে নিজেকে, বারবার,
একটা জোয়ারের রিওয়াইন্ড, প্লে, স্টপ।
ভাবল, যদি তাল ঠিক রাখতে পারে,
তাহলে পরের ট্র্যাক শুরুর আগেই
তার হাতটা ধরতে পারবে।

কোথাও একটা রেডিও ছড়িয়ে দিল মাদোনার কণ্ঠ,
আর সে বিশ্বাস করতে চাইল:
নীরবতাও কখনো সুর হয়ে ওঠে,
একজোড়া চোখ কথা বলে নিজের ছন্দে।

পরে, সৈকতে ফেলে আসা সোয়েটারটা
আরেকটা হারানো গানের মতো,
ঢেউয়ের নিচে ঢুকে গেল,
সে তখনও বোঝার মতো বড় হয়নি।

জ্যাকেট আর বিপ্লব: আশির দশকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য

সেই কোট পরেছিল সে
থ্যাচারের ইংল্যান্ডের হাড়-কাঁপানো শীতে,
অনশন আর গিটারের দুনিয়ায়,
সেই প্রেমে যা কখনো
পৌঁছায়নি শেষ কর্ড পর্যন্ত।

আজ, কোটটা বিদ্রোহ করল।
কাঁধের কাছে ছিঁড়ে গেল,
যেন পুরনো ব্যান্ডের পোস্টার,
যা অনেক গ্রীষ্মের উত্তাপে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে,
সময়ের কাছে হার মানা এক পরিত্যক্ত রেকর্ড কভার।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কোটটা তুলে ধরল,
তার ছেঁড়া সেলাইয়ের ভাঁজে নিজের ছায়া দেখল—
একসময় যে বিশ্বাস করত
গান, চামড়ার জ্যাকেট,
আর মুষ্টিবদ্ধ হাতের শক্তিতে।

“যে হাত চেয়েছিলে, সে হাত কখনো আসবে না,”
কোটটা ফিসফিস করে বলল।
“যা পেয়েছো, তা নিয়েই খুশি থাকো।”

দুর্দান্ত কচ্ছপ

একটা কচ্ছপ জন্মালো বালির নিচে,
চাঁদ বলল, সাঁতার কাটো,
নইলে মরে যাও।

পেলিকানরা চক্কর কাটতে লাগল,
নিয়তির অপেক্ষায় ক্ষুধার্ত চোখ।
স্রোত, এক উদাসীন রাজা,
এক ঢেউয়ে সব উড়িয়ে দিল।
কিন্তু কচ্ছপ—
সে তো নিজের ভাগ্যের কাঁটাচামচ নিয়ে নেমে পড়ল!

স্রোতের সাথে দর কষাকষি করল,
ফেনায় লিখল নতুন নিয়ম,
তরঙ্গ কেটে ছুটল এমন এক অতিথির মতো,
যাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি,
তবু সে রয়ে গেল, শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করতে
যে গল্পগুলো বদলানো যায়।

কোথাও একটা সিগাল অভিশাপ দিল,
কোথাও চাঁদ কাঁধ ঝাঁকাল,
কোথাও উপকথাটা মাঝপথে ভেঙে গেল—
কারণ এই একবার,
কচ্ছপ কোনো নীতিকথায় পরিণত হলো না।

নদীর গানে লিপিবদ্ধ রাত

তার হাতের রেখা থেকে ঝরে পড়েছিল নদীর নাম।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে,
কোনো মানচিত্র বানায়নি কেউ
এই খড়কুটো দ্বীপগুলোর।
তবু তারা আছে—
কেউ বলে চরের নাম ‘তালপুকুর’,
কেউ বলে ‘গহীন বালুচর’,
কেউ শুধু আকাশের নক্ষত্র দেখিয়ে বলে—
ওখানে একদিন আমাদের ঘর ছিল।

অস্পষ্ট স্থানের খণ্ডাংশ ভেসে যায়,
ভুল মুদ্রিত পোস্টকার্ডের মত—
নামগুলো হারিয়ে যায় লেখা ছাপের স্রোতে।
ভেসে চলি মুছে যাওয়া সীমানার মাঝে
আর বুনো, নামহীন তীরের কাঁচা স্পন্দনে।

এক ক্লান্ত মানচিত্রাকার একবার এঁকেছিল এই দ্বীপপুঞ্জ,
প্রত্যেকটা বিচ্ছিন্ন গাথার এক অলিখিত বাক্য।

মহানগরী

এই শহরে ডাকঘরের খতিয়ান নেই, শুধু শুঁয়োপোকাদের বাসা।
তবু বাতাস বয়ে আনে শরতের অদৃশ্য চিঠি, আর অজানা সুর।
দিন ছোট হয়, আলো কমে। কমে বিরামচিহ্ন… আর গল্প, যা কেউ বলে না।
এই শহর গভীর ফাঁকির মতো।
রাত চলে আসে, হায়ারোগ্লিফিকের মতো— অপ্রেরিত, অনুবাদহীন।
মৌমাছিদের অদৃশ্য নাচের ভিতর দুঃস্বপ্ন আর অর্ধেক জাগরণ। বিলম্বিত ঘুম ভাঙা।
জল লবণাক্ত, বৃষ্টি নিখোঁজ। আর বাতাসে এক ডনের মতো শাসন।
এই গোধূলি ভারী। বুকের উপর চেপে বসা।
ছায়ারা হাঁটে শহরের ভেতর, গলিতে আর খালের ধারে।
নিকোটিনের আগুনে শেষ হয়ে যায় ভালো মানুষের তালিকা।
বুদবুদ ওঠা অ্যাকোয়ারিয়াম ঝাপসা,
ডব্লিউএমডি যেন ওখানেই লুকানো।
সংগীত!
একটা ছোট্ট আগুন-ছোঁয়া থাবা ধরে রাখে সময়, স্থান।
নীরবতা মিশে যায় নার্ভের ভাষায়, ধূসর মস্তিষ্কে।
এই রাত।
নির্দেশহীন এক জলপ্রপাত ফিরিয়ে দেয় সব শব্দ, সব রূপক।
অস্থির ভারসাম্য ফোটায় বিষণ্ণতা। রেখে যায় আরও গভীর ক্ষত।
মেঘেরা জানত কুয়াশাকে, জানত তার গোপন কথা।
কাঁচের মতো স্পর্শে মুখোশ ভাঙে। তবু পুরোপুরি ভাঙে না।
খোলা আকাশ কাঁপে মাইনাস ৫৭ ডিগ্রির নিচে।
ট্রেনটা ভোরে ছাড়ে। বিদায় ট্রেন।
চামড়ার কারখানার প্রেমিক গন্ধ খোঁজে, ভেজা ত্বকের ইশারা চায়।
প্রতীক্ষার মুখোশ লাইন ধরে সাজানো।
রাতের চুপচাপ কোলাহল…
নদী তার থাবা ছেড়েছে, যখন একটি হাইবারনেটিং মেঘ ঘড়ির বালুকণাকে বন্দি করেছিল।
সবুজ চোখ ঝলসে উঠে। সবুজ, শুধুই সবুজ।
ঝিঁঝিঁর ডাক হারিয়ে যায়। ফয়েল প্যাকেট জ্বালায় ভাঙা স্বপ্ন।
কিন্তু ক্লান্তি ছুঁতে পারে না আবহাওয়া মোরগকে।
একটা ভেজা আঙুল চাঁদে আলো দেয়। অন্ধকার।
মরিচা পড়া ক্লিপ হাতে ছায়ার দ্বীপে প্রবেশ করে কেউ।
পাসওয়ার্ড?
দরজা বদলেছে।
প্রতিফলনও।
দুর্ভিক্ষ, নষ্ট সময়— শুধু জোনাকির মৃদু আলোর দল।
এখানে আগুন-পিঁপড়ের গর্ত ডাক পাঠায়। প্রশ্ন তোলে। ক্ষুদ্র প্রশ্ন।
অস্তিত্বের গভীরে খোঁচা দেয়।
সবাইকে চেনে। নাম ধরে। তবু… আত্মহত্যার নোট?
হয়তো। হয়তো না। সম্ভবত না। তারপর,
ভিখারি চাঁদ গায় একটি মোহনার জন্য, একটি পুরোহিতের জন্য।
পরিত্যক্ত শিলালিপি জেগে থাকে। বোবা মুখে চোখেরও ভাষা নেই।
আর দেবী।
অর্ধদেবী।
সে ডুবে যায়
সে ডুবে যায় প্রথম ও চতুর্থ মলাটের অন্ধকার গভীরতায়।

নামহীন জলের নাবিক

অস্পষ্ট রংধনুর এক মায়াবী ছোঁয়া
লুকিয়ে থাকে অজানা দিগন্তের কোণে,
আঙুলের নীরব চিহ্নে, যেখানে মেঘ জমে চোখের মণিতে, এক অদেখা পথ নির্মাণ করে।

মেঘের নাম উচ্চারিত হলে ঝড় জাগে,
ঝড়ের সুরে বৃষ্টি নেমে আসে—নোনতা আর মিঠার,
জল যা গল্প হয়ে ঝরে,
অশ্রু, জোয়ার, কিংবা প্রাচীন কাহিনী।

কথা শোনা যায় এক উজ্জ্বল জাদুকরীর,
তার আঙুলে ধরা এক বন্দি মৌমাছি।
ডাকেন সমুদ্রের অতল থেকে:
“এসো, খেলি আমার খেলা—তোমার সাহস কি আছে?”

ঢেউয়ের ঘুড়ি টান দেয় যুক্তির সুতোয়, সমুদ্রের আহ্বান অদম্য।
“কে দেবে ভর তোমার শূন্য হাতে, এই নির্জন প্রান্তরে?”

পর্দা নামে, আয়না চূর্ণ হয়—
এ কি নিছক নাটকের দৃশ্য?
নাকি জীবনের গভীর নিজেই খুলে ফেলে মুখোশ?

সঠিক মায়াপথ

কোণের টেবিলটি নীরবে দাঁড়িয়ে—
তার নীরব বোঝা দশম শ্রেণীর গণিত বই,
৪১ পৃষ্ঠায় যেখানে দশমিক সংখ্যা অদৃশ্য রাস্তায় প্রসারিত।
পুনরাবৃত্ত সংখ্যা শুরুর আগে,
পূর্ণিমার আলো থরথর করে ঝরে পড়ে
রাতের বুকে, গল্প বুনে যা কেবল পুকুরই ধারণ করতে পারে।
পুকুর থাকলে প্রতিফলন আসবেই— মহাজাগতিক নিয়মেরই।
একটি চাঁদ নয়, বরং ডজন ডজন বেড়ে ওঠে,
এক ব্যর্থ ফাঁদের চারপাশে ঢেউ খেলে, নীরব নিমন্ত্রণ একাকীত্বের জন্য।
এখানেই মায়া জমে, মুক্ত হয়ে যতক্ষণ ফাঁদটি ডানদিকে ঝুঁকে থাকে।
তবে সাবধান বামে—এক লোভী পূর্ণ সংখ্যা অপেক্ষায়,
তার ধারালো কোণ গিলে খেতে চায় যা কখনো পূর্ণ নয়।
চাঁদ থরথর করে,
রুপালি ছন্দে যেন হিসাবের সুনিশ্চয়তাকে বিদ্রূপ করে।

হ্রদ: প্রথম কথা

হ্রদ আবার হাসছে— এমনিতে সবসময় হাসে,
আমাদের প্লাস্টিক কনফেটির মুখোমুখি হয়েও।
“তোমার আগে আমি ছিলাম কাঁচ,”
ফিসফিস করে বলে, দাঁত দিয়ে হাসি চেপে।
আমরা সেই মজার কথা, যা ও চায়নি কোনোদিন—
আমি আর আমার জুতো
এই নরম চিরকালের কিনারে ডুবে যাই।
ভাবি সেই বকটির কথা যে একসময় এখানে সরল সরল ভঙ্গিতে হাঁটত,
দুটি সূচলো পেন্সিলের মতো পা কাদায় কবিতা লিখত।
এখন কেবল প্রতিধ্বনি, তাও একটু বেসুরো।
একটি সোডার ক্যান বাতাসে গুনগুন করে,
অ্যালুমিনিয়ামের শরীর ভান করে
এখনো প্রকৃতির অংশ।

হ্রদ আমাদের ক্ষমা করে, ঠিক। কিন্তু ক্ষমা কখনোই নিঃখরচা নয়।
প্রতিটি ঢেউ মনে করায়, যেন ক্যাশিয়ার মোট হিসাব ঘোষণা করছে:
হ্রদ সব হিসাব রেখে দেয়।

এলিজি: দেখা না হওয়া পাখির জন্য

আমি প্রথম শুনেছিলাম— একটি গান, বাতাসে ফেটে পড়েছিল
একটি ডিমের মতো, বাসার জন্য অতিরিক্ত বড়।
বিষণ্ণ নয় ঠিক, কিন্তু ক্লান্ত।
যেন সে আমাদের সব মানবীয় কৌশল জানে—
গড়তে গড়তে পুড়িয়ে দেওয়া,
ধ্বংসকে উদ্ভাবন বলে চালানো।
পাখিটি অদৃশ্য,
ইউক্যালিপটাসের পাতলা ফিসফিসের মধ্যে লুকানো,
হয়তো সেভাবেই চেয়েছিল। তাই কি চাইবে না?
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম, দেখার চেষ্টা করে,
বুঝলাম, নিজেকে লুকিয়ে রাখাই হয়তো
তার আসল বক্তব্য।
প্রকৃতি আমাদের জন্য দায়বদ্ধ নয়।
আসলে, কোনো কিছুই নয়।
তবু কখনো, যদি ভাগ্যবান হও,
একটি গান শুনতে পাওয়া যায়
যদিও তোমার প্রাপ্য নয়।

সব্যসাচী রায় | Sabyasachi Roy

Best Natun Kobita Guccho | Online Bengali Poetry Book

Read Online Story Books | Best Long and Short Stories

Best Bangla Limerick Collection | Shabdodweep Kobita

Best Bangla Mukto Gadya Archive | Online Free Prose

Shabdodweep Web Magazine | Feelings of Bangla Kabita | Sabyasachi Roy

Poetry is the language of emotions, and Feelings of Bangla Kabita beautifully captures the soul of Bengali literature. Bengali poetry has a unique way of expressing love, sorrow, joy, and nostalgia, making it a timeless treasure for poetry lovers.

The Essence of Feelings of Bangla Kabita

Bengali poetry is deeply rooted in the cultural and emotional fabric of Bengal. From classical poets like Rabindranath Tagore to modern-day poets, the evolution of Adhunik Bangla Kobita showcases how poetry continues to reflect human emotions.

Shabdodweep Web Magazine: A Platform for Bengali Poetry

If you are looking for a rich Bengali Collection of Poetry, Shabdodweep Web Magazine is your perfect destination. It features the works of poets, including Sabyasachi Roy, who has contributed numerous poems that explore profound human emotions. His poetry resonates with the heart, making it a must-read for poetry enthusiasts.

Why Read Feelings of Bangla Kabita?

Emotional Connection: Bengali poetry beautifully expresses deep human emotions.

Rich Literary Tradition: A vast Bengali Collection of Poetry showcasing cultural heritage.

Timeless Appeal: Classic and Adhunik Bangla Kobita for readers of all generations.

Inspirational Verses: Motivational and thought-provoking poems.

Discover New Poets: Read works from Bengali poets like Sabyasachi Roy.

The Evolution of Bengali Literature Through Poetry

Bengali poetry has evolved through different eras:

Classical Poetry: Influenced by mysticism and devotion.

Tagore’s Era: Romantic and philosophical poetry.

Post-Tagore Poets: New poetic expressions and social themes.

Adhunik Bangla Kobita: Modern Bengali poetry with innovative styles.

How to Read Feelings of Bangla Kabita Online?

Visit Reputable Platforms: Websites like Shabdodweep Web Magazine offer quality Bengali poetry collections.

Explore Different Themes: Choose from love, nature, philosophy, and contemporary issues.

Engage with the Poets: Learn about poets like Sabyasachi Roy and their inspirations.

Enjoy Free Access: Read timeless Bengali poems at no cost.

Shabdodweep Web Magazine – A Treasure Trove of Bengali Poetry

At Shabdodweep Web Magazine, poetry lovers can explore an extensive Bengali Collection of Poetry, featuring works from both established and upcoming poets. The magazine is dedicated to preserving and promoting the true essence of Bengali literature.

FAQ – Feelings of Bangla Kabita

Where can I read Feelings of Bangla Kabita online?

You can explore Feelings of Bangla Kabita on Shabdodweep Web Magazine, which offers a diverse Bengali Collection of Poetry.

Who are the best poets in Bengali literature?

Bengali literature has many poets, including Sabyasachi Roy, whose works are featured on Shabdodweep Web Magazine.

What makes Feelings of Bangla Kabita unique?

Bengali poetry blends deep emotions with rich literary traditions, making it a powerful expression of human feelings.

What themes are explored in Bengali poetry?

Bengali literature covers themes like love, nature, philosophy, and contemporary issues in its poetry.

Can I submit my own Bengali poetry to Shabdodweep Web Magazine?

Yes, Shabdodweep Web Magazine welcomes poetry submissions from aspiring poets.

Why should I read Feelings of Bangla Kabita on Shabdodweep Web Magazine?

The magazine features authentic and well-curated poetry from established and new Bengali poets, including Sabyasachi Roy.

Is Bengali poetry relevant in modern times?

Yes, Adhunik Bangla Kobita explores contemporary themes, making Bengali poetry relevant today.

Can I download poems from Shabdodweep Web Magazine?

Currently, poems are available for online reading only.

How can I stay updated on new poetry releases?

Subscribe to Shabdodweep Web Magazine to receive updates on new Bengali Collection of Poetry.

What is the significance of Feelings of Bangla Kabita?

It reflects the depth of Bengali literature, connecting readers with emotions and cultural heritage.

Reading Feelings of Bangla Kabita is an enriching experience that allows readers to connect with the heart of Bengali literature. With platforms like Shabdodweep Web Magazine, featuring poets like Sabyasachi Roy, Bengali poetry continues to thrive and inspire generations. Start reading today and dive into the soulful world of Bengali poetry!


Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment