All Poetry in Bengali | Best Bengali Poetry | Bangla Kobita

Sharing Is Caring:

Poetry of Arati Sen

All Poetry in Bengali | Read All poetry collection

প্রেমের চিরন্তন বিচরণ

রং হাতে মন করলে চুরি
ওগো শ্যামসুন্দর প্রেমের ব‍্যাপারী।
প্রেম পসরা প্রাণে তোমার
যেজন ডাকে হয়ে যাও তার।
ধনী গরীব মানো না যে আদর যতন পেলে
অনাথ আতুর সকলকেই নাও যে তুলে।
কণ্ঠে শোভে বনফুলের মালা
শিরে শিখী পুচ্ছ মেলা।
হাতে তোমার মোহন বাঁশী
পায়ে ধরি শ্যাম বাঁশী বাজিয়ে
করো না শ্রীরাধাকে মন উদাসী।
রাধার নূপুর চঞ্চল বড়
বাঁশী শুনলেই চরণ থাকে না জড়।
চরণযুগল সমুখ পানে ধায়
ওগো রাই খোয়ালে কি মান সম্ভ্রম বৃথাই।
শ্যাম শ্যাম করো শুধু
মন তোমার উষ্ণ প্রান্তর ধূ ধূ।
যেথায় প্রেমের চিরন্তন বিচরণ
হোক রাধাকৃষ্ণের মিলন।।

মায়াভরা সংসার

যেজন পথ হারাই পথের বাঁকে
হয়তো আসে ফিরে সাঁঝ বিকালে
পথ চিনে।
যেজন হারায় হাঁটের মাঝে
পায় না পথ, পথ হারাই
অলিগলি ঘুরে বেড়ায়
হাঁটে যখন রাত্রি নামে
হারিয়ে যায় নিঝুম রাতে
সেখান থেকে কেউ ফেরে
কেউ হাতড়াই জীবনের পথ
পাই না খুঁজে সঠিক পথের ঠিকানা।
সারা জীবন ধন্দে মরে দ্বন্দ্বে মরে
মরে বাঁচে জীবনের দোটানায়।

যখন কেউ হারিয়ে যায় ভবের মাঝে
দিনরাত্রি সমান বোঝে।
কড়ির মূল্য তার কাছে নাই
মন তার থাকে না বিষয় বাসনায়
শুধু খুঁজে সৃষ্টিকর্তার চরণের আশ্রয়।
সংসারের বেড়াজালে আর ফিরে না মোহে পড়ে
পা ফেলতে কখনো ভুল করে না
পথে কিংবা হাঁটে বাজারে
সত‍্যি করে বাঁচতে শেখে মায়াভরা এই সংসারে।

স্নেহময় শৈশব

স্নেহমায়ায় গড়া শৈশব
সর্বদা পিতামাতার আদরের বৈভব।
দেখে দেখে শুনে শুনে সব শেখা মনে মনে
দেখে শুনে বড় হওয়া এইভাবে সব পাওয়া জীবনে।
বাবার আঙুল ধরে মায়ের কাছে পাঠ পড়ে
এক দুই তিন চার পাঁচ করে বয়স বাড়ে।
তারপর পাঠশালা অথবা নার্সারি
অনেক বন্ধু পড়ার সাথে খেলা রকমারি।
ওয়ান, টু, থ্রি ফোর প্রাইমারি বিদ্যালয়
ফাইভে উঠলে একটু যেন হলাম বড় হলো আরো নানা বিষয়।
সাঁতার অঙ্কন খেলাধুলা বিভিন্ন তার সাথে টিউশনি
শৈশবের ঘোর তখনো কাটেনি।
সিক্স সেভেন এইট শৈশব আর কৈশোরের লাগছে ফাইট
শৈশব ছাড়তে হবে, কৈশোরে বিধিনিষেধের কড়া পাহারার গাইড।
এটা করো না, ওটা ভালো না, শুধু পড়ায় দাও মন
সেই পিতামাতাই বদলে গেলেন শৈশবে যাদের কাছে
আদর ছিল সারাক্ষণ।

কবিতা তুমি

কবিতা আমি তোমাকে ভালোবাসি
কারণ তুমিই একমাত্র আমার মন পড়তে পারো
আমার ভাবনার কদর করো
আমার কল্পনার আল্পনা আঁকো।
আমার মনের সামনে আয়না ধরো।
প্রতিবিম্ব গুলো প্রকাশ করো।
কখনো বিশেষ অনুভূতি গুলোর
শব্দের আতশকাচে ছবি তুলে রাখো
কখনো প্রতিবাদ করো, কখনো প্রতিবাদ করাও
কখনো সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করো।

তুমি পারো, তুমি অনেক কিছু পারো।
যা সাধারণ ভাষায় বলা যায় না
কবিতা তুমি মুখর, তুমি প্রবল হাওয়া
তুমি প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসা আকুলতা।
তুমি নারীর বেদনা, নারীর কন্ঠস্বর।
তুমি বিদ্রোহ, তুমি বিদ্রূপ, ব‍্যঙ্গ, তামাসা
তুমি বোবাকান্নার ভাষা, তুমি মায়াবী আর্কষণ।
তুমি নিশাচর, তুমি প্রভাত সূর্যের হাসি।
তুমি পাখির কলতান, তুমি একঝাঁক প্রজাপতি,
তুমি ফুলের সৌরভ, অলি ও মৌমাছির গুঞ্জন।
তুমি উত্তাল ঢেউ, তুমি স্রোতস্বিনী নদী।
তুমি পাহাড়িয়া ঝর্ণা, তুমি কালী তুমি অপর্ণা
তুমি কবিতা তুমি কবির কাব‍্যের ব‍্যঞ্জনা।
তুমি অফুরন্ত জ্ঞান ভান্ডার তুমি শব্দের ছন্দের অন্নপূর্ণা।।

প্রতিভাহীন নীরব ছবি

একটা কবিতা স্বপ্ন দেখায় বারবার
একটা কবিতা ভাবতে শেখায় প্রতিবার।
কতগুলো শব্দ বাক‍্য রচে কবিতার
কবিতা স্নিগ্ধ ছায়া মায়ের মমতার।
কিন্তু রাগলে ভারি ভীষণ কড়াকড়ি
জেনো খুবই রাশভারী সামলে চলা দরকারি।
কখনো বা স্বচ্ছল প্রাণবন্ত উচ্ছল
প্রেমের জোয়ারে ভাসে হোক যত প্রতিকূল।
প‍্যান প‍্যান; ঘ‍্যান ঘ‍্যান একঘেয়ে প্রতিবার একই বিষয়
বিষয় উপপাদ্য নয় বয়ে চলে ভাষা আবহাওয়ায়।
যদি হত অতই সোজা হয়ে যেতাম সবাই কবি
প্রাণহীন প্রতিভাহীন কবিতার নীরব ছবি।

জীবন সার্থক

আজো! এমনি করে আসে হোলি
আজো রাধা শ্যামকে খোঁজে বৃন্দাবনের অলি গলি।
কোথায় পাবে শ্যাম? শ্যাম তো অধরায়;
শ্রীরাধা থাকেন অন্তর মিলনের অপেক্ষায়।
অপেক্ষার অবসান শেষ নাহি হয়
হোলির গুলাল হাতেই শুখায়
কেঁদে কেঁদে আকুল হয় শ্যামরাই।
শ্যামের অন্তর কাঁদে রাধা রাধা সুরে
বাঁশীতে ধুন একই সুরে বাজে মথুরাপুরে।
উভয়ের প্রেমলীলা অনন্ত অপার
বিচ্ছেদ বিরহ শোক মনে দোঁহাকার।
মন বোঝে প্রেমের মিলন
অকুলে তবুও ঝরে দুনয়ন।
ওগো রাই করো না এত চিন্তন
রাধাকৃষ্ণের প্রেম জগতে চিরন্তন।
রাধাকে স্মরিলে কৃষ্ণকে পাবে
এমন প্রেম আর কোথায় মিলবে।
জনমে জনমে উভয়ের চরণে
জীবন সার্থক হবে মন সমর্পণে।

একটু ভেবে

একটু শুধু মিষ্টি হাসি
এরই নাম ভালোবাসি।
ভেতরে প্যাঁচ কথার ক্যাচ ক্যাচ।
অন্তরে বিষ বোঝালে অহর্নিশ।
বিকট হাসি কাকে শোনাও।
অন্তর্যামী হাসবে যখন
পালাবার পথ খুঁজবে তখন।
মান সম্মান সবারই থাকে।
শুধুই আমি আর তুমি
তুমি আর আর আমি।
আর সব নগণ্য এমনি
মানুষ বলেও গণ্য করো না
ভেবো না এ তো নয় সময়ের ছলনা।
ভাবলে যাকে করলে অপমান,
সেই অপমান তোমার হৃদয়ের অপমান।
হৃদয় তোমার অতি ক্ষুদ্র
নেই কোন সুন্দর চেতনা।
ভালোবাসা তো কিনতে হয় না।
জল গাছ ছাড়া যেমন ভবিষ্যৎ অন্ধকার
ভালোবাসারও আছে দরকার।
ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাবে,
নিজেরই অহম জ্বালায় জ্বলবে।

মাতৃত্বের মায়া

মাতৃত্ব জগত জুড়ে
মাতৃত্ব হৃদয় ভরে।
মানুষ পশুপাখি গাছপালা
এই প্রকৃতি ও বিশ্ব জুড়ে
মাতৃত্ব উপচে পড়ে।
সর্বত্র দেখি মাতৃত্বের অপরূপ মায়া
সবুজ প্রকৃতির ছায়ামাখা বিশ্ব জগত কায়া।
সুনীল জলধি ভরা এই সংসার সারা
মাতৃত্বের মমতা আছে ভরা।

রূপ রস গন্ধ মাখানো মায়ের নির্মল অস্তিত্ব
মায়ের মমতা বিছানো কোল উদয় হতে অস্ত।
লুটোপুটি খাই এই কোমল ধরিত্রী ছায়ায়
তোমার বিস্তীর্ণ আঁচল গায়েতে জড়ায়।
তোমার মাতৃত্ব, তোমার করস্পর্শ যেন শীতল ছোঁয়া
দোলা দিয়ে যায় শরীর জুড়ে মৃদুল হাওয়া।
শণ শণ বাতাসে, ঝমঝম বৃষ্টিতে
যেন মায়ের নূপুর বাজে ঘুমায় স্বস্তিতে।

ঘুম পাড়ানিয়া গান পাখীদের কল কাকলীতে
জেগে উঠি আবার প্রভাতের আলোমাখা রশ্মিতে।
জলভরা দীঘিতে স্পর্শ গভীর শীতল
শান্ত শীতল হয় পদ ও করতল।
বর্ষার বারিধারা শুকনো মাঠ ভেজায়
ধনধান্যে ভরিয়ে তোলে মাতৃত্বের পরিচয়।
মাতৃত্বের মাঝখানে নিজেকে খুঁজে পাই
দিয়ো গো মা তোমার চরণে ঠাঁই।
মাতৃসুধা মাতৃত্বের আসল পরিচয়
জীবন গড়ে উঠে এই কথা সুনিশ্চিয়।

হে নিরুপমা

হে নিরুপমা!
জন্ম নিলে মাতৃক্রোড়ে আজকের পূণ্যলগ্নে।
ধন্য হলো মাতৃক্রোড়
ধন্য হলো ধরিত্রী এই শুভক্ষণে।

হে নিরুপমা!
শিক্ষা দীক্ষা স্বভাব ও চরিত্র গঠনে
হয়ে উঠলে অনন্যা অতুলনীয়া।
পার্শ্ব কলা কুশলী তে হয়ে উঠলে কুশীলব
নৃত‍্যগীত, শিল্পীসৌন্দর্য‍্য কাব‍্য রচনাতেও সমান পারদর্শী।

নিরুপমা তোমার গুণের নেই পরিসীমা
যত দেখি হয় আশ্চর্যান্বিত, উৎফুল্লিত।

তুমি শতকে শতক সহস্রে সহস্র
তোমার ভক্ত তোমার ভালোবাসা অজস্র
স্নিগ্ধ কোমল উচ্ছ্বসিত দিগন্ত প্রসারিত।

হে নিরুপমা! বারবার আরবার বারংবার
শুধু কল্পনার দৃষ্টিতে নয় বাস্তবের আরশিতে স্বচ্ছ প্রতিবিম্বিত তুমি।
তুমি আমার, আমাদের সবার নিস্পলক নয়নের মণি!
তুমি যোগ শিরোমণি।

হে নিরুপমা ক্লান্তিহীন হোক তোমার পথচলা,
বিরামহীন হোক তোমার কর্মধারা,
সার্থক হোক সকল মনোবাসনা,
সদর্থক হোক সকল প্রচেষ্টা।
জয় হোক তোমার অকৃত্রিম ভালোবাসার।।

প্রত‍্যাশাহীন

ফুলে ফুলে ঘুরে ফিরে মধু সংগ্রহ করে
মৌচাক ভরা মধু সঞ্চয় সকলের তরে।
ধাপে ধাপে বহুতল ইমারত ধায় আকাশের দিকে
কারিগর যারা তারা জানে না কি সুখ থাকে ইমারত কক্ষে।
গাছ গাছে ডালে ডালে ফুল ফুটে সহস্র
ফুলেরা অর্পিত হয় পুষ্পাঞ্জলিতে অজস্র।
কত ফুল ঝরে পড়ে মৃত্তিকাকে করে ধন্য
কত শত ফুটে সুশোভিত করে গহন অরণ্য।
নরীরা মাতৃত্বেই সুখী, কখনো করে না আক্ষেপ
নারী জন্ম সার্থক মা শব্দে ভাবে না ব্যর্থ জীবন ব্যর্থ কালক্ষেপ।
শ্রম বা জীবনের দ্বারা হয় যে আত্মতৃপ্তি
জীবন শেষ হলেও এই ঋণ হয় না শোধ না পরিসমাপ্তি।

ক্ষণজন্মা

কেন ওঁরা জন্মায় ক্ষণজন্মা হয়ে
হয়তো জীবনের ঋণ শোধরাতে
হয়তো বা লভে অমরত্ব চিরকাল
ওঁরা ক্ষণজন্মা ওঁরা ইহকালে গড়েন পরকাল।
জীবনের মানে সহজ করে বোঝেন
জীবনে শুধুই জীবন খোঁজেন।
অস্ফুট এক আদর্শ রেখে চলে যান
কল্পিত কাহিনী মনোভাব অম্লান।
ভাষাময় বাঙময় কবিতার আখ্যান
নতুন পুরাতন মিলেমিশে সমান।
জীবন মৃত‍্যু যাঁদের কাছে মূল্যহীন
মৃত‍্যুদূত সমুখে দাঁড়িয়ে পাহারায় থাকে দৈনন্দিন।
জীবনের পাশাখেলায় হারজিৎ অনিশ্চিত
যখনই পালটাই পাশা জীবনের সীমারেখা হয় সুনিশ্চিত।।

জ‍্যোৎস্না ও নদীর বন্ধুত্ব

চাঁদের জ‍্যোৎস্না মেখে নদী অতি হরষিত
বালুচর চিক চিক জল প্রবাহিত।
নদী ও জ‍্যোৎস্না যেন দুই পরাণের সখী
মাস শেষে সাক্ষাৎ মাসভর থাকে তারা দুঃখী।
কখন সাক্ষাৎ হবে উভয়ে তারই দিন গুণে
জোছনা নদীর বুকে আনন্দে মগ্ন হয় সন্তরণে।
নদীর বুকেও উঠে আনন্দ লহর
দেখো দুই সখীর আনন্দের বহর।
জ‍্যোৎস্না ও নদী করে জলকেলি
নদীর বক্ষে জ‍্যোৎস্না হয় উৎফল্লি।
চাঁদ যেন নেমে আসে নদীতে জ‍্যোৎস্নার সাথে সাথে
নদীর জলে চাঁদ অবগাহন করে
নদীর সৌন্দর্য আনন্দে বহুগুণ বাড়ে।
নদীর জলে আসে জোয়ার ও ভাঁটা
চাঁদের জ‍্যোৎস্নার নদীর বুকে কি অপূর্ব ছটা।
প্রকৃতির মাঝে নদী ও জ‍্যোৎস্নার অটুট বন্ধুত্ব
অবস্থানে তাদের মধ‍্যে যতই থাকুক না দূরত্ব।

কেউ একা নয়

নিজেকে একা ভেবো না
আছে তোমার ইচ্ছাশক্তি
আছে প্রতিভা, আছে কল্পনা, আছে ভক্তি।
নিজেকে কখনো অসহায় ভেবো না
আছে তোমার মনোবল, আছে ধৈর্য, আছে প্রেরণা।
নিজেকে নিজে চেনো, অন্তরকে প্রশ্ন কর বারবার
নিশ্চয়ই পাবে উত্তর কিছু জানবার।
কখনোই তুমি একা নও, তুমি একাই পারবে
তোমার অস্তিত্ব তোমাকে পথ চিনতে শেখাবে।
যেমন দু হাত তোমার সব কাজ করে দেয়
দুই পা চলে বেড়ায়।

তেমনি অর্ন্তশক্তি অন্তরের ইচ্ছামতো কাজ করে
তোমার ইচ্ছাকে রেখো না দমন করে অন্তরে।
শুধু সামনে দেখো বিশাল বিস্তীর্ণ অবকাশ
তোমার সকল ইচ্ছা কর তুমি প্রকাশ।
কোন কিন্তু রেখো না মনে।
যা চাইবে মনে মনে সমাধা করে ফেলো তৎক্ষণাৎ
ঘটবে একের পর এক পথের সূত্রপাত।
নতুন পথের দিশা ঘটবে জয় নিশ্চয়ই
হয়তো বা ঘটতে পারে সাময়িক পরাজয়।
আবার নিজের মধ‍্যে নিজের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
কত রকমের মানসিক প্রতিযোগিতা।

নিজের উপর রাখতে হবে আস্থা
নিজের উপর রাখতে হবে বিশ্বস্ততা।
এগিয়ে চলে জীবন বাঁচবো যতক্ষণ
থেমে যাওয়ার নাম মরণ
সে তো আসে তার ইচ্ছে মতো
আসবে না মৃত‍্যু তোমার কল্পনা যত।
তবুও একটা সুযোগ থাকে নিজের হাতে
আরো কিছুদিন দেখবে সুপ্রভাতে।
তারই প্রয়াস রেখো পা দেবে না মৃত‍্যু ফাঁদে
যতই মৃত‍্যু আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধে।
এ জীবন করেছে মানবের সৃষ্টি
এই জীবনে কেন ঘটবে অনাসৃষ্টি।

প্রতিধ্বনির শব্দ

যদি নদীকে ডাকি তীরে গিয়ে শুনি
নদী উত্তর দিলে হয় প্রতিধ্বনি।
যদি সাগরকে ডাকি পাড় থেকে
জলরাশি আছড়ে পড়ে তটের বুকে।
যদি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ডাকি আয়—
তবে প্রতিধ্বনি শুনি যায়—“
যদি মনকে ডাকি তবে কি প্রতিধ্বনি হয়
মনকে ডাক দিলে মন হরষিত হয়।
মনকে প্রশ্ন করি তোমার প্রতিধ্বনি হয় না কেন
মন উত্তর জানাই; মন চঞ্চল আনমনা জেনো।
মন যদি প্রতিধ্বনি দেয় বিপরীত হবে উত্তর
ভাষা হয়ে যাবে তখন নিরুত্তর।
প্রতিধ্বনির একটাই উত্তর শুনি
যা বলবে হবে নিরুত্তর; তাই তো প্রমাদ গণি।

জীবন নয় মরীচিকা

আকাশ পানে সুগভীর দৃষ্টি
কোন দিকে নাই যে তার ভ্রুকুটি।
দূর আকাশে বিজলি চমকাই
মনের ঘরে মনের হদিশ নাই।
প্রাণে যে তার চাতক পিপাসা
স্থির তবু দৃষ্টি হতাশা।
ভাবের ঘরে শুধুই এলোমেলো
মন উদাসী লাগে না কিছু ভালো।
স্বপ্ন গুলো বাসা বাঁধতে চাই
স্বপ্নবাসার কোন দরজা নাই।
মিথ‍্যে মায়ার ছায়ার মরীচিকা
পুরাতন বাড়ি উড়ে চলে চামচিকা।
পথ ভুলা পথিক পথ ঠাওরাই
বাতাস তারে পথ চিনিয়ে দেয়।
দূর সাগরে পথ চেনাই শঙ্খচিল
নাবিক যখন দিশাহীন অথৈ সাগর সলিল।
শঙ্খচিল দিক নিদর্শন দেয়
সাগরের বুকে নাবিক পথ খুঁজে পাই।
শরৎ আকাশে মেঘ ও সূর্যের খুনসুটি
তখনই প্রচণ্ড রোদ্দুর তখনই অঝোরে ঝরে বৃষ্টি।

নদীর মতো

এক ছুটেতে ধরবো গিয়ে ঝর্ণাটাকে
মিশবো এসে নদীর বুকের অতল জলে।
ভাসিয়ে দেব মনটা আমার নদীর সাথে
ডুববো না তো আমি রইবো বসে নদীর কুলে।

নদীর সাথে মনটা আমার হারিয়ে যাবে অচিন পুরে
নদী যেমন বয়ে চলে দূরে দূরে বহুদূরে
নদীর সাথে হারিয়ে যাবো উজান ভাটায়
গাইবো গান নদীর সাথে আপন সুরে।

নদী যেমন দুকুল ছাপায় অঝোর জলে
নদীর মতন ছাপিয়ে যাবো খুশির স্রোতে
ওগো নদী পাগল পারা কোন দেশে যাও
একটু থামো আমিও যাবো তোমার সাথে আনন্দেতে।

হৃদয়ে যন্ত্রণার বাস

দিলে সাতনরী হার দিলে কানের সোনা
তারই সাথে দিলে দুঃসহ বেদনা
যতই সহ্য করে যাই
বাড়ে আরও যন্ত্রণা।

সকালের আহার পরিপাটি
ধোপদস্তর পরনের পোষাকটি
আমার কাপড় তেলে হলুদে একসা
বললেই কথা সংসারে লাগে বচসা।

আমি তো আদরিণী কন্যা অনাদরের নারী
আমাকে মানায় দুচারটে গয়না এবং শাড়ি
উদয়াস্ত পরিশ্রম করি এটা আমার শ্বশুর অথবা স্বামীর বাড়ি।

আমি বলি কথা কম করি কাজ বেশি
নাহলেই আমি সর্বনাশী।

আমার সন্তান আমারই
শেষ বয়সে তার দেখি বাবুগিরি।
নাহ আমি নিছক মানুষ
আমার কোন দিকে নেই হুঁশ।

আমার নেই জমিদারী
যা ছিল যা আছে সব বাবা এবং ভাইদেরই
স্বামীর জমিদারীতেও নেই ভাগ
আমার শুধুই দুর্ভাগ্য।
আমার শুধুই একটিই অহংকার
আমি যুগে যুগে এক আদর্শ নারী
শত লাঞ্ছনার পরে আমি সব সহ্য করেও হাসতে পারি।

সকল কালি মেখে কালী

মা গো জগতের সকল কালি মেখে নিয়ে সানন্দে
ঘুচিয়ে দে মা মনের কালো থাকি পরমানন্দে।
মা গো একটু ভালো হলেই সবার মনটা জ্বলে
একি হলাহল মিশিয়ে দিলি মানুষের কপালে
কেন রে মা ছোট বড় হিসাব কষে অর্থ দিয়ে
রক্ত মাংসে গড়া শরীর বিচার করুক পঞ্চত্বত্ত দিয়ে।
পঞ্চভূতের ব্যাখ্যা যদি নাই মানি
এই জীবন শুধুই বৃথা সবাই জানি।
মন যদি থাকে আঁধার কালো
বাইরে যতই জ্বলুক আলো।
মনের আঁধার ঘুচবে না কোনদিনও
তোর ওই রাঙা চরণে ঠাঁই হবে না কখনো।
বৃথাই জপি তারা তারা
অহংকারে মন আত্মহারা।
ভুলে যাই মা আলোর মানে
জ্ঞানের আলো জ্বলুক মনে।

আমি যদি হতাম জবা

জবা ফুলে খুশি মা তারা
তাইতো জবাও খুশিতে আত্মহারা।
কি আছে আমার ভক্তি ছাড়া
খুশি দিতে পারি বল মা তারা।

হৃদয় ভরা তোর নাম লেখা
তোর নামে জপি জপের মালা
নয়ন মুদেও তোকেই দেখি
সাজাই আরতি ফুলের থালা।

তুই মা আমায় বাস রে ভালো
তবেই বুঝবি মনের জ্বালা
সব বাসনা দিয়েছি ত‍্যাজে
তোর গলে দেবো জবার মালা।

জবার মতো বাস রে মন ভালো
তবেই পাবি মায়ের চরণ
মা তো সবার মাঝেই আছে
জবার মতো নিজেকে করো সমর্পণ।

একপক্ষের জন্ম জবার
কুঁড়ি থেকে পুষ্প জীবন
কে আর ভাবে জীবন মরণ
তোর পদে মা পেলে স্মরণ।

মানব জীবন পেয়ও আমি
নয় তো সুখী জবার মতো
জবার মালা সার্থক গলায়
জীবনটা যদি জবা হতো।

ওই যেন আসছে দেবদূত

ওই যেন আসছে দেবদূত
শুধু একটা দূরভাষের মাধ‍্যমে আহ্বান।
দূত গতিতে চালিয়ে তার যান (বাহন)
যা কিছুর সময়ে প্রয়োজন
একঘন্টায় হাজির সুমহান।
শুকনো জিনিস চাল ডাল আটা
প্রস্তুত খাদ্য করতে কেনাকাটা
শুধু একটা আহ্বান দিয়ে জানান
প্রাণদায়ী ওষুধপত্র দিয়ে যায় দ্রুত।
চিকিৎসক সেবিকা চিকিৎসা করে করেন ভালো
চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে দেন ওষুধ।
কিন্তু এরা স্বল্প মূল্য পাই তার বিনিময়ে খাদ্যের যোগান দেয়
খাদ্য না খেয়ে কোন ওষুধ লাগবে না কাজে
আবার কখনো হয়তো ওষুধ খেয়েই খাদ্য লাগে কাজে।
খাদ্যের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় না
দিলেই হলো খাবারের বায়না।
কথায় কথায় উঠে আসে
আজকালকার ছেলেরা করে না কোন কাজ?
এরাই তো স্বামী বিবেকানন্দের যুবসমাজ।
যারাই ধরেছে আজ অসুস্থ সমাজের হাল
এরাই কাজী নজরুলের নওজোয়ান দল
দেশের মানুষের জন্য করছে কাজ
ভাবে না এরা নিজেদের কথা আজ।
শুধু টাকাটাই শেষ কথা নয়
উদার মানবিকতা চাই।
রোদ জল ঝড় বৃষ্টি বা হোক শীত
তোমাদের হাতে জীবনে বাঁচবার সঙ্গীত।
তোমারা নিজের ছেলের সমান প্রিয়
তোমাদের জানাই আশীর্বাদ ভালোবাসা ও স্নেহ।
সুস্থ শরীরে সুস্থভাবে ভালো থাকো
এমন উদার মানবিকতার উদাহরণ রাখো।

নিষ্ফল মন জমি

ফসল ফলে নি মনজমিতে
শুধুই অনাবৃষ্টি
এত ফেলি অশ্রুজল
তবুও অনাসৃষ্টি।

শুকনো মন শুকনো জমি
কত নাম জপি দিনযামী
আঁধার ঘনায় পাই না যে পথ
তাই তো স্মরি তোমায় আমি।।

কোথায় কোথায় হেরি তোমায়
খুঁজে না পাই দিশা
পথ ভুলে দেখি তুমি আমায়
খুঁজে খুঁজে ভোর হলো কেটে নিশা।

মা আসছে মা

চল ছুটে যায় মা আসছে
মা কি এবার সত‍্যি আসছে?
নাকি সন্তানশোকে পাথর মা আজ
বাকি সন্তানদের মন রাখছে।
মা কি কখনো আনন্দে থাকে
চলে গেলে তার সন্তান।
কি করবে আর মায়ের মন ব‍্যাকুল এখনো
এখনো মায়ের আছে ভয়।
এখন রোগের ওষুধ নেই কেউ জানে না কি হয়।
যদি মা তুমি সত‍্যি আসছো তবে দয়া করো
এই দুরারোগ্য ব‍্যাধি তুমিই দূর করতে পারো।
আমারা তো মা সন্তান তোমার
আছি অপেক্ষাতে তোমার আসবাব
জানি গো মা তুমি এলেই এই অসুখ
পাবো এই রোগ থেকে রক্ষা
নিরাশ করো না মা করে আছি প্রতীক্ষা।

আসবে উমা আসছে উমা

আসবে মা মায়ের ঘরে মা আসবে
মায়ের উমা আসবে।
সাজছে সবে সাজছে
আসবে উমা তাই সাজছে।
বছর পর ষষ্ঠীর বোধনে মা আসছে
মর্ত্তবাসীর আহ্বানে মা আসে
প্রতি বছর আসে।
কার্ত্তিক গণেশ লক্ষ্মী আর সরস্বতী
সব সন্তানেরা মাতুলালয়ে আসে
সকলে বাহন সাথে নিয়ে আসে।
সঙ্গে থাকেন ভোলা মহেশ্বর সর্বোপরে বসেন।
মায়ের আপন আলয়
সব আয়োজন হয় ভালোয়
কেউ যেন না থাকে উপবাসী
তবেই দেখতে পাবে মায়ের মুখে হাসি।
সকল শিশু ধনী হোক বা নির্ধন
করো পোষাকের আয়োজন।
সকলের মুখে দাও তুলে অন্ন
মা যেন হন প্রসন্ন।
দশভূজা দশ অস্ত্র
অসুর প্রবৃত্তি কে করো মা পরাস্ত।
মানুষ যেন শুধু আপন খুশী তে না থাকে মত্ত
সকলের তরে উন্মুক্ত কর সকলের চিত্ত।
এসো মা এসো পুষ্পাঞ্জলি আর আরতিতে হও মা খুশী
যেন তোমার চরণ তলে থাকতে পারি দিবানিশি।
মাগো বরাভয় বর প্রদায়িনী
সকলের হৃদয় বাসিনী দুর্গা দুর্গোত্তারিণী।
হও মা বর্তমানে অসুর প্রবৃত্তি বিজয়িনী
দুঃখ হারিণী রোগ হারিণী।

চিদানন্দময়ী শঙ্করী উমা পার্বতী
দেবাদিদেব যাঁর পতি
তিনিই তো দুর্গা দুর্গতিনাশিনী
পাপ তাপ হারিণী মুক্তি এবং ভক্তি প্রদায়িনী।

লক্ষ্মী এলো ঘরে

আজ লক্ষ্মী এলো প্রতি ঘরে ঘরে
তবু কি ছাড়পত্র পেয়েছে লক্ষ্মী
অবাধে জন্ম নেবার তরে।
আজ লক্ষ্মী এলো ঘরে
তবুও মেয়েরা পণের জন্য মরে।
লক্ষ্মী মানে তো ধনের ঝাঁপি
হাতে থাকবে সারাক্ষণ
ধন যৌতুক আনবে আর ভরিয়ে রাখবে মন।
লক্ষ্মী মানে তো মাঠ ভার আর গোলা ভরা ধান
লক্ষ্মী মানে তো লক্ষ্মী হয়ে গৃহকোণে আসন।
মাটির লক্ষ্মীর হয় সমাদর সম্মান উপাসনা
গৃহলক্ষ্মীর উঠতে বসতে কত অবমাননা।
তবুও লক্ষ্মী পদ্মাসনে বিরাজ করবেন আজ
ফুলফল নৈবেদ্য মিষ্টি নাড়ু থালাভরা ভোগের সাজ।
লালপদ্ম মায়ের হাতে শোভে মা যে সুলক্ষণা
প্রতি কন্যায় লক্ষ্মীর বাস বুঝতে ভুল কর না।
লক্ষ্মীপূজা করবার আগে গৃহলক্ষ্মীকে পুজো
গৃহলক্ষ্মীতে লক্ষ্মীর বাস মূর্তিতে বৃথা খোঁজ।
নারী করে লক্ষ্মীপূজা শ্রী আসে ঘরে
উলুধ্বনি দিয়ে মাকে স্মরণ করে।
সকলে যেমন চায় মা লক্ষ্মী গৃহে থাকুন অচলা
একই সমাদর থাকুক কন্যাদেরও বেলা।
লক্ষ্মী আসুক ঘরে ঘরে এই ব্রত পালন করুন
লক্ষ্মীর শ্রীমুখ যে কখনো হয় না করুণ।

বন্ধু বন্ধুই

বন্ধু হবে যে বন্ধুই হবে
পিঠ পিছে ছুরি মারবে না
বাস্তব হোক আর ফেসবুক ফ্রেন্ড
মনেতে কলুষতা আনবে না।

অর্থ প্রতিপত্তি সমান নাইবা হলো
মনে আনো সমানতা
কাজ ফুরালেই হাত গুটাবে
দেখিও না এমন মূর্খতা।

মনের বেশি সময় লাগে না
চিনতে মানুষ সঠিক বেঠিক
বন্ধুত্ব গড়তে হলে
মনটাকে করো পবিত্র এবং ঠিক।

মেঘমুক্ত আকাশটাকে দেখতে লাগছে বেশ
নীল আবরণ আকাশের বুকে শরতের পরিবেশ।
তার উপরে তুলোর মতো শুভ্র মেঘের অলংকার
মা আসবার সময় হলো এসো মা এসো এবার।
আলপনা আর সিঁদুর ফোঁটা পড়বে রাঙা চরণ
পুষ্পাঞ্জলির পাত্র ভরবে ফুলে মায়ের চরণে করবো অর্পণ।
মা যে আমার শক্তি স্বরূপিনী অসুর বিজয়িনী
রণ রঙ্গিণী শিবসঙ্গিনী বরাভয় হারিণী বিপদত্তারিণী।
জাগো মা এসো মা মহিষমর্দিনী ত্রিশূলধারিণী
জগতকে করো কলুষমুক্ত পাপ মুক্ত আর্য়ুরারোগ‍্য বিজয়ং দেবী জগত পূজিনী।

ছোট্ট সুখের বাড়ী

ছোট্ট সে হোক এক ছোট বাড়ী
ইমাারত নাই হল নাই হলো গাড়ী।
সুখ থাক সারাক্ষণ আঁচলেতে বাঁধা
বেশী সুখ ভালো নয় চোখে লাগে ধাঁধা।
ইমারত হয় যদি ভঙ্গুর শীশমহল
ভয় লেগে থাকে মনে হোক না সেটা বহুতল।
ইমারত গড়া যায় অর্থ থাকলে হাতে
সুখ কেনা সায় না জেনো তার সাথে।
গৃহে থাকা সকলে যদি থাকে মিলেমিশে
ছোট্ট গৃহকোণেও চাঁদ উঁকি দিয়ে।আসে।
জঙ্গল সাফ করে বানায় বড় বড় ইমারত
দূষণের কবলে পড়ে মৃত্যু দেয় দস্তখত।
স্থায়ী নয় কোনকিছু একদিন ধ্বংস হবে
প্রয়োজন যতটুকু সেটুকুতেই সন্তুষ্টি আসবে।

খবরাখবর

মাগো আজ চোখের জলে
ভাসিয়ে দিয়ে গেলে।
নিজের ঘরে গিয়ে আমাদের
যেয়ো নাকো ভুলে।
খবর একটা পাঠিয়ে দিয়ো
কাজের ফাঁকে সময় পেলে।
গণেশকে মা দেখে রেখো
কার্ত্তিক থাকুক ভালো।
লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে
রেখো মা সামলে।
দিনকাল তো ভালো নয় মা চিন্তা বড়ই হয়
নিজের প্রতি যত্ন নেবে বাবাকেও দেখো।
আর সময় সময় খবর পাঠাবে খবর আমাদের রাখবে।
তুমি তো মা জগৎজননী তুমি যদি মা থাকো ভালো
জগত থাকবে আনন্দময় জগতে জ্বলবে আলো।

তোর চরণের হই জবা

তারামা মা তারা
যদি তোর চরণের হই জবা
তোর চরণে বাঁচা মরা
কান্না হাসিতে করবো সেবা।

তোর চরণে কি সুখ আছে
যে পায় চরণ সেই তো জানে
যার উপরে তোর পড়ে কৃপা
তাকেই সবাই গণ‍্য মানে।

আমি তো এক সাধারণই
সাধন ভজন পূজা না জানি
কোনটা আসল নকল ভুলে
ধরাকেই সরা জ্ঞান মানি।

আমি তবুও তোর সন্তান
কোলে তুলে রাখিস সর্বদা
ভুলিয়ে রাখিস সারাক্ষণ
তোর আশিস পাই যেন মোক্ষদা।

ওই যেন আসছে দেবদূত

ওই যেন আসছে দেবদূত
শুধু একটা দূরভাষের মাধ‍্যমে আহ্বান।
দূত গতিতে চালিয়ে তার যান (বাহন)
যা কিছুর সময়ে প্রয়োজন
একঘন্টায় হাজির সুমহান।
শুকনো জিনিস চাল ডাল আটা
প্রস্তুত খাদ্য করতে কেনাকাটা
শুধু একটা আহ্বান দিয়ে জানান
প্রাণদায়ী ওষুধপত্র দিয়ে যায় দ্রুত।
চিকিৎসক সেবিকা চিকিৎসা করে করেন ভালো
চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে দেন ওষুধ।
কিন্তু এরা স্বল্প মূল্য পাই তার বিনিময়ে খাদ্যের যোগান দেয়
খাদ্য না খেয়ে কোন ওষুধ লাগবে না কাজে
আবার কখনো হয়তো ওষুধ খেয়েই খাদ্য লাগে কাজে।
খাদ্যের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় না
দিলেই হলো খাবারের বায়না।
কথায় কথায় উঠে আসে
আজকালকার ছেলেরা করে না কোন কাজ?
এরাই তো স্বামী বিবেকানন্দের যুবসমাজ।
যারাই ধরেছে আজ অসুস্থ সমাজের হাল
এরাই কাজী নজরুলের নওজোওয়ান দল
দেশের মানুষের জন্য করছে কাজ
ভাবে না এরা নিজেদের কথা আজ।
শুধু টাকাটাই শেষ কথা নয়
উদার মানবিকতা চাই।
রোদ জল ঝড় বৃষ্টি বা হোক শীত
তোমাদের হাতে জীবনে বাঁচবার সঙ্গীত।
তোমারা নিজের ছেলের সমান প্রিয়
তোমাদের জানাই আশীর্বাদ ভালোবাসা ও স্নেহ।
সুস্থ শরীরে সুস্থভাবে ভালো থাকো
এমন উদার মানবিকতার উদাহরণ রাখো।

সূর্যের মতো উজ্জ্বল তুমি

সূর্যের মতো উজ্জ্বল তুমি
তুমি যেন চন্দ্রের মত স্নিগ্ধ যামী।
বাতাসের মতো অতীব তীব্র গতি
অন্তরে জাগাও আলোর জ‍্যোতি।
নির্মল আকাশ, স্বচ্ছ জল
করুণার ধারা তোমার মনোবল।
স্নেহ ভালোবাসায় প্লাবিত মন তরঙ্গ
সাবলীল নদীর ধারার মতো অন্তরঙ্গ।
যতো জ্ঞান করছো আরোহণ
দু হাতে তা করো বিতরণ।
বিষয় শিক্ষা অথবা হোক যোগের বিষয়
সম পরিমাণ বিতরণ হয়।
মনে জ্বেলে দাও আশার আলো
করো সুস্থ, করো ভালো।
খুঁজে পাই বাঁচার ঠিকানা
শিক্ষা পেয়েছি বহু অজানা।
ব্যথার প্রদাহ নিবারণ করো
পরকে করেছো নিকটতর।
যন্ত্রণা যত দাও ভুলিয়ে
যোগ শিক্ষার ব্রত সবার মাঝে দাও বিলিয়ে।
সবার মাঝে তুমি অনন্য
যোগমাতা তুমি আমাদের আদর্শ,
তোমাকে পেয়ে সকলেই ধন্য।।

সরস্বতী বন্দনা

সরস্বতী বাগ্ দেবী বীণাপাণি সুশোভিতা
পুষ্পাঞ্জলি দদাতি মন্ত্রোচ্চারণে
অর্ন্তনিহিতা।
দেবী ভগবতী আরাধনা করতুঃ
আশীর্বাদ দেহি মে দেবী ভবতুঃ।
বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, বিবেক, নিষ্ঠা যাচতুঃ ত্বম সকাসে
ফলপ্রসূ করে দেবী সর্ব কামনা অভিলাষে।
তুষ্ট তুষ্ট তুষ্ট দেবী কদাপি ন রুষ্টতঃ
মৃদুভাষিণী করদ্যোতকরে লেখনী
মম জ্ঞান এবং বিদ্যাপোরী তব আশীর্বাদ দেহু বীণাপাণি।

অসূর্যস্পশ্যা পর্ব – ৩

রাখালবেশী রাজন সুনয়ন ধীর পদে করিলেন গমন প্রাসাদে।
আজ হরষিত নয় মন, মন ভরে আছে বিষাদে।
বাঁশীও যেন আজ তাই বাজে করুন সুরে।
সে বাঁশী শুধু আজ বাজে সুনয়নার বিরহে।

একদিন দুইদিন সপ্তাহ কেটে যায়
রাজকন্যা আসে না আর, সময় কাটে নীরবে হায়।
প্রত্যহ সকালে আসে রাজন অরণ্যে
সাঁঝে ফিরে যায় প্রাসাদে।
বাঁশী যেন আর আগের মত বাজে না মিষ্ট সুরে।

নাওয়া খাওয়া ত্যাজে রাজন, মন নাই রাজকার্যে।
মন্ত্রী শুধালো কি হয়েছে রাজন অন্তরে?
রাজন কহে হৃদয় ব্যথিত বড়ই রাজকন্যার কারণে।

উদ্বিগ্ন রাজন আসিবেন কখন
রাজকন্যা অরণ্যে মিলনে।
মন্ত্রী কহে আদেশ করুন রাজন
রাজকন্যারে নিয়ে আসি সাক্ষাতে আপনার।

কহিলেন রাজন খবরদার! করো না এমন অনাচার।
রাজকন্যা প্রেয়সী আমার, নহে সে ছলনাময়ী।
তাঁর প্রেম আমারই তরে। জয়ী হবে এই প্রেম চিরকালের তরে।

প্রহর গুনে সুনয়ন বাতায়ন পানে চেয়ে
সারা নিশি চেয়ে থাকে বিরহী নক্ষত্রের সাথী হয়ে।
প্রেমের আকিঞ্চন জাগায়ে রাখে অনুক্ষণ
কবে হবে পুনর্মিলন এই শুধু চিন্তন।
রজনীর পর রজনী পোহায়, চিন্তনের যে শেষ নাই।
একদা প্রভাতে কপোত এক উড়ে আসে
রাজন চকিতে চেয়ে দেখেন অলিন্দ পানে।
কপোতের কন্ঠে সুবাস মাখানো ছোট এক চিরকুট।
প্রেমিক রাজন ত্বরা করে যায় কপোতেরে ধরেন জড়ায়ে।
কপোতের কাছে লয়ে কন্ঠ হতে পত্র নিয়ে।
দেখেন লেখা আছে তাহাতে
ভালো আছি প্রিয়, ভালো থেকো রাজন
দেখা হবে সুনিশ্চিত, এই প্রেম বৃথা নাহি যাবে
করোনা চিন্তন হে রাজন।
তোমার প্রেয়সী সুনয়না।

সেই পত্র পাইয়া রাজন খুশিতে আত্মহারা প্রায়
যেন প্রাণে প্রাণ পায়।
সকলেরে ডাকে সহাস্যে, মন দেন রাজকার্যে
যত ব্যথা ছিল মনে দূরীভূত হল নিমেষে।

ঝরাপাতা

মাটির উপর যেন শুকনো পাতার গালিচাপাতা
ওগো অগণিত ঝরাপাতা।
ঝরাপাতা! ঝরাপাতা!

মর্মর ঝরঝর পেতেছো আসন
পদস্পর্শে যেন ভাঙল স্বপন।
প্রকৃতির বুক যেন বাসর শয়ন।

নিদ্রা ভাঙা যেন অলস নয়ন
জীবনের দোলাচলে মনের স্ফুরণ
কত কি যে শেষ কথার ব্যর্থ মরণ।

পান্থশালা

এই পৃথিবী যেন এক বিশাল পান্থশালা
মানব যেন তার অতিথি
ক্ষণিকের তরে বিশ্রাম নিয়ে জুড়ায় জীবন জ্বালা।
মানব জীবনে আসা আর যাওয়া
ক্ষণিকের তরে বিশ্রাম লওয়া তার অভিলাষ।
দুদিনের তরে আসে আর যায়
যেমন অতিথি পাখি উড়ে বেড়াই জীবদ্দশাই।

পাখির জীবন মুক্ত জীবন
একবার খাঁচায় দিলে ধরা নিস্তার আর নাই।
বন্দী থাকা জীবদ্দশাই।
যেমন পরিযায়ীর এক অতিথির জীবন
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে করে বিচরণ
এটাই ওদের জীবন যাত্রা এটাই সত্য চিরন্তন।
অতিথি পাখি দেশদেশান্তরে করে গমন।

পাখির মতই জীবন মোদের পাখির মতই বাঁচা।
পাখি যেমন সময় হলে গমন করে স্থানান্তরে।
তেমনি মানব দেহ খাঁচা ছেড়ে পরপারে যায়
মানব যেন অতিথি জীবন খাঁচায় ক্ষণিকের তরে হায়।
এলে যে যেতেই হবে নিয়ে এই অভিপ্রায়
অন্যথা সেথা নায় এই পান্থ শালায়।
অতিথির মত হাসি মুখে এসে, হাসি মুখে নিতে হবে বিদায়।।

স্বপ্ন দেখতে শেখো

তোমরাও স্বপ্ন দেখতে শেখো
তোমরাও ঈশ্বরের অংশ মনে রেখো।
তোমাদের ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অধিকার আছে
পিতামাতার আশীর্বাদ, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া- মমতা সর্বদা রয়েছে।
তবে কিসের ভয়!
বিশ্বকে করো হাতের মুঠোয়
বিশ্বকে করো জয়।
না হয় হলেই নির্ভরশীল
আশাকে করো হাতিয়ার
সকল কর্ম হোক সাবলীল।
যা কিছু করবে কর্ম ভেবে
সফল হও সে কাজেই
তোমাদের ভালোবাসা পাই তোমাদের অনুভবে
তোমার সুরে তরঙ্গ উঠুক সাগরের বুকে
তোমার কণ্ঠ ঢেলে দিক সুর পাখিদের মুখে মুখে।
সুনীল গগনে পৌঁছে দাও আগামী জয়ের বার্তা
তোমারা কিছুইতে পিছিয়ে নেই তোমরাও আগামীর অধিকর্তা।

আমি

আমি কে কোথা থেকে এসেছি
এই ধরায় নানা প্রশ্ন।
অহরহ জিজ্ঞাসা করে আমাকে
আমি নশ্বর না অবিনশ্বর?
আমি এক এবং অদ্বিতীয়?
আমি আদি ও অনাদি কাল থেকে আছি।
না কি এই জন্মের জন্যই আমার সৃষ্টি?
কে আমাকে সৃষ্টি করেছে?
আমার মা আমাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন
এটাই বাস্তব, এটাই সত্য।
না কি এর পেছনে কিছু রহস্য আছে।
যা বাস্তব যা চোখে দেখি তাই সত্যি
নাকি এক চির সত্য আছে
যাকে চোখে দেখা যায় না।
শুধুমাত্র উপলব্ধি করা যায়।
সত্য সুন্দর এই উপলব্ধিই চরম সত্য।
সত্য যেমন আছে আমার অস্তিত্বও আছে।
আমি জ্ঞানী অজ্ঞানী যাই হয় না কেন?
আমার অস্তিত্ব থাকবেই এই চিরন্তন সত্য।

সীমানার অসীমতায়

নীল নীলিমায়
আকাশের সীমানার অসীমতায়।
প্রাণের অব‍্যক্ত ব‍্যাকুলতায় মিশে যায়
কখনো অন্ধকার, কখনো বা জ‍্যোৎস্না রাতে তারাদের মিছিলের
অপেক্ষায়।
আমি নয় অসীম আকাশ নয় তারাদের একজন
মনের কল্পনায় আমি অতিক্রম করি আকাশপথের লক্ষ যোজন।
তারাদের আমি চিনি হয়তোবা তারাও আমায় চেনে কাব‍্য ও কবিতায়,
লক্ষ-যোজন দূরের পথ এখন থাকি শুধু অপেক্ষায়।
এই বাস্তব পৃথিবী আর ঝলমলে নক্ষত্র খচিত আকাশ
মিল খুঁজে চলি যখন পাই অবকাশ।
হিসাব মিলাতে মিলাতেও মেলে না বহুবার
মনে মনে বলি এসবের নেই দরকার।
এই অজানা রহস্য ভেদ করা কি সহজ?
যদিও একই আকাশ একই পৃথিবীকে দেখি রোজ।

মা আমি কথা রাখবো

আজ শুভ জন্মদিন।
কিন্তু বাবার হাতে আনা জামা নেই,
মায়ের হাতে বানানো অমৃত পরমান্ন নেই।
মা যে নেই।
আছে হয়তো অদৃশ্যে আমাকে দেখছে আর আশিস জানাচ্ছে।
আমি মায়ের কনিষ্ঠা কন্যা।
মা তাই আমাকে খুব ভালোবাসতো।
আমি মায়ের অন্ধের যষ্ঠি ছিলাম।
মা বলতো আমি তোদের কাউকেই ভালোবাসি না
তোরা শুধু সুস্থ থাক বেঁচে থাক।

হয়তো মায়ের বেশী আদর করতে ভয় লাগতো।
কারণ যদি হারিয়ে ফেলে মা আমাদের।
সন্তান হারানো ব্যথা মায়ের বুকে শেল হেনেছিল।
তাই মা বড্ড কঠিন হয়ে থাকতো।

মা আজ হয়তো পায়েস পাবো না
একটু আশীর্বাদ করে যাও
যাতে জীবনে হেরে যেতে না হয়।
আমাকে তো তুমি জিততে শিখিয়েছো।
আমি তোমার কথা রাখবো;
“মা”।

প্রতিভাহীন নীরব ছবি

একটা কবিতা স্বপ্ন দেখায় বারবার
একটা কবিতা ভাবতে শেখায় প্রতিবার।
কতগুলো শব্দ বাক‍্য রচে কবিতার
কবিতা স্নিগ্ধ ছায়া মায়ের মমতার।
কিন্তু রাগলে ভারি ভীষণ কড়াকড়ি
জেনো খুবই রাশভারী সামলে চলা দরকারি।
কখনো বা স্বচ্ছল প্রাণবন্ত উচ্ছল
প্রেমের জোয়ারে ভাসে হোক যত প্রতিকূল।
প‍্যান প‍্যান; ঘ‍্যান ঘ‍্যান একঘেয়ে প্রতিবার একই বিষয়
বিষয় উপপাদ্য নয় বয়ে চলে ভাষা আবহাওয়ায়।
যদি হত অতই সোজা হয়ে যেতাম সবাই কবি
প্রাণহীন প্রতিভাহীন কবিতার নীরব ছবি।

জীবন উপত‍্যকায়

আমি কি একাকী ছুটে চলেছি
জীবনের সোজা আলপথ ধরে।
জন্ম জন্মান্তর ধরে যারা হেঁটে গেছে
তারাও কি সোজা পথ ধরে হেঁটেছে।
আলপথ তো আঁকাবাঁকা পথ
কখনো তন্বী কখনো চওড়া কখনো মায়াবী নকশাকাটা।
পথের দুপাশে কখনো সুন্দর কখনো রহস্যে ভরা সব গাছপালা ঝোপঝাড়।
কত ফড়িং কত ছোট পাখী ছোট পোকাদের ঝাঁক।
তারি মাঝে করে বাস ছোট ছোট কত গোপন চোরকাঁটা
তারও সাধ জাগে বসনে লেগে বসে যাই তাই
যার কাছে যাবে তারই হয়ে যাবে ক্ষণিকের তরে হাই।
অসীম আকাশ পথ শেষে আলপথে মিশে যায়
কি ভরসায় আকাশ মিশে মাটির বুকে তাই।
অনন্ত জানে অনন্তের ভাষা মিলন বিরহ কোনটা আবেগ
আকাশে মাটিতে অহরহ কানাকানি শোনা যায়।
এক একাকী আমি আকাশের মাঝে আর আছে মাটি
হেঁটে যাবো চলে সোজা আল ধরে জীবন উপত‍্যকায়।

আরতি সেন | Arati Sen

Vivekananda and Kabiguru | বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ | Best Article 2023

Why do newborn baby cry after birth? | Probodh Kumar Mridha

Goddess Dakshina Chandi 2023 | Barid Baran Gupta | Best Article

Galpo Holeo Sotyi | কোনো এক গ্রাম্য বধূ | Debraj Krishnananda Bhattacharya | Best 2023

Shabdodweep Web Magazine | All Poetry in Bengali | Arati Sen

Bengali poetry has been an integral part of Bengali literature, reflecting emotions, culture, and heritage. All poetry in Bengali is known for its depth, beauty, and artistic expressions. From classic poets like Rabindranath Tagore to contemporary writers like Arati Sen, Bengali poetry continues to mesmerize readers worldwide. In this article, we will explore the richness of all poetry in Bengali and how Shabdodweep Web Magazine serves as a hub for poetry lovers.

The Essence of Bengali Poetry

Bengali poetry, or বাংলা কবিতা (Bangla Kobita), has evolved over centuries, covering themes like love, nature, spirituality, and revolution. From the lyrical verses of Bengali classic poetry to modern free verse, poetry in Bengali has left an indelible mark on literature.

Historical Influence of Bengali Poetry

Ancient and Medieval Poetry – Charyapada, the earliest known Bengali poetry, reflects the spiritual depth of Buddhist mystics. The Bhakti and Sufi movements further enriched Bengali literature with devotional and philosophical poems.

Renaissance & Tagore’s Influence – The 19th and 20th centuries saw a poetic revolution led by Rabindranath Tagore, Kazi Nazrul Islam, and Jibanananda Das. Tagore’s Gitanjali won the Nobel Prize, elevating Bengali literature globally.

Modern & Contemporary Poetry – In today’s era, poets like Arati Sen, whose works are published in Shabdodweep Web Magazine, continue to innovate, keeping Bengali poetry alive and relevant.

Shabdodweep Web Magazine – A Home for All Poetry in Bengali

If you are looking for an extensive all poetry collection, Shabdodweep Web Magazine is the ultimate destination. It offers a vast collection of Bengali poems, including works of classic and emerging Bengali poets. Some key highlights include:

Exclusive Poetry Collections – Featuring a mix of traditional and modern Bengali poetry.

New Age Bengali Poets – Poets like Arati Sen, who have contributed significantly to Bengali literature, publish their works on this platform.

Reader-Friendly Interface – A well-organized platform that allows readers to explore poetry with ease.

Why Bengali Poetry Stands Out?

Deep Emotional & Cultural Connect

All poetry in Bengali is deeply rooted in cultural traditions and emotions. Whether it’s Rabindra Sangeet or contemporary verses, Bengali poems capture life’s essence in a unique way.

Diverse Themes in Bengali Literature

Love & Romance – Expressed beautifully in lyrical forms.

Patriotism & Revolution – Inspired by movements led by Kazi Nazrul Islam.

Nature & Spirituality – A common theme in works of Jibanananda Das and Rabindranath Tagore.

Modern Expressions – Contemporary poets bring fresh perspectives to everyday life.

Notable Bengali Poets & Their Contributions

Rabindranath Tagore (1861-1941)

  • Nobel Laureate and creator of the national anthems of India & Bangladesh.
  • Best known for Gitanjali, Sonar Tori, Balaka.

Kazim Nazrul Islam (1899-1976)

  • The “Rebel Poet” of Bengal.
  • Famous for Bidrohi, Agnibina, Dolonchapa.

Jibanananda Das (1899-1954)

  • Introduced modernism in Bengali poetry.
  • Known for Banalata Sen, Ruposhi Bangla.

Shabdodweep Web Magazine – Why You Should Visit?

If you are passionate about Bengali literature and poetry, Shabdodweep Web Magazine is the perfect place for you. Here’s why:

  • A vast collection of Bengali classic poetry and modern poems.
  • Exclusive works of renowned Bengali poets.
  • Regular updates with fresh and engaging poetry content.

FAQs on All Poetry in Bengali – Shabdodweep Web Magazine

What is the best source for all poetry in Bengali?

Shabdodweep Web Magazine is one of the finest sources to read Bengali poems by legendary and contemporary poets, including Arati Sen.

Who are the most famous Bengali poets?

Some of the most famous Bengali poets include Rabindranath Tagore, Kazi Nazrul Islam, Jibanananda Das, and modern poets like Arati Sen, whose works are available on Shabdodweep Web Magazine.

Can I find Bengali classic poetry on Shabdodweep Web Magazine?

Yes! The platform has an extensive all poetry collection, including Bengali classic poetry from renowned poets.

How often does Shabdodweep Web Magazine publish new poetry?

New Bengali poetry is published monthly, ensuring that readers always have fresh content to explore.

Why is Bengali poetry so popular?

Bengali poetry resonates deeply with readers due to its rich cultural heritage, lyrical beauty, and deep emotional expressions.

Can I contribute my own poetry to Shabdodweep Web Magazine?

Yes! Shabdodweep Web Magazine encourages aspiring poets to submit their work and become a part of the rich world of Bengali literature.

Conclusion

All poetry in Bengali carries the richness of Bengali literature, expressing emotions and traditions through powerful words. Whether it’s the legendary works of Rabindranath Tagore or the modern verses of Arati Sen, Bengali poetry continues to inspire generations. Shabdodweep Web Magazine provides a platform for poetry lovers to explore and celebrate this literary art form. Visit today and immerse yourself in the beauty of Bengali poetry!


Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment