Writing Bangla Kobita | Best Bangla Kobita-Shayari

Sharing Is Caring:

আলো কার্নিভ্যাল – দেবারতি গুহ সামন্ত

বর্জ্য পদার্থ দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে আসতেই,
দাউদাউ করে জ্বলে উঠল আগুন,
এক অগ্নিবলয়ের সৃষ্টি?
যার অন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে অগুনতি জোনাকি।

চক্ষু স্ক‍্যানিংয়ের মাধ‍্যমে দূরদৃষ্টির আবির্ভাব,
অসংখ্য চাল তারায় রূপান্তরিত।
ধবধবে সাদা পালিশ করা দেহে,
অপূর্ব চন্দনের আঘ্রাণ।

আগুন জ্বলতে জ্বলতে ছুঁয়েছে রাতের আকাশ,
উষ্ণতা বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রাও।
হিমবাহের শীতলতায় কমছে না তাপমাত্রা,
কমবে শুধুমাত্র প‍্যারাসিটামলে।

সময় কমছে, জোনাকির আলো বাড়ছে।।

নিঃশব্দ অর্থভাঙ্গন – দেবারতি গুহ সামন্ত

ঘুম ভাঙ্গে, ভাঙ্গে অর্থ, হোক না সে শব্দের অর্থ অথবা টাকার,
ভাঙ্গে নদীর একূল ওকূল, সঙ্গে ভাঙ্গে কাম, ক্রোধ, লোভ।
ভাঙনের শব্দ শুনে ছুটে আসে একদল পরী,
ডানায় ওদের স্বপ্ন মাখানো পরাগরেনু, হাতে জাদুছড়ি।

ওই মেয়েটা তখন জানালায় বসে একমনে পড়ে যায়,
ম‍্যাকবেথ, হ্যামলেট, রোমিও জুলিয়েট, শেষের কবিতা।
ঘুঙুর পড়ে নেচে উঠতে চায় ওর দুটো পা,
কিন্তু হায়, ওর পায়ের পাতায় যে সার নেই, হুইলচেয়ারে বন্দী।

তবু স্বপ্ন দেখে সেই মেয়ে, রোজ সকালে যখন ভাঙ্গে ঘুম,
শিশির ভেজা ঘাসের ওপর দিয়ে দৌড়োয় সেই মেয়ে।
বিনামূল্যের স্বপ্নেরা ফিরিয়ে দেয় মেয়েটার মুখের মূল্যবান হাসি,
ঝর্নার মতো হেসে ফেলে পরীরাও, জ‍্যোৎস্নার রঙ মাখে গায়ে, বলে……

অর্থ,হোক না সে শব্দের কিংবা টাকার,
না ভাঙ্গলে জেগে উঠবে না কালকের সকাল।।

কাল সকাল – দেবারতি গুহ সামন্ত

আনাগোনা তো
লেগেই থাকবে;

তাই বলে কি
চৌকাঠে
আলপনা দেব না?

সময় আসতে
এখনো অনেক দেরী,

ক্ষণিকের অতিথি;
তাই উপভোগ করছি
প্রত‍্যেকটা লহমা।

ঘড়ির কাঁটার টিকটিক,
আবার একটা রাত..
বাটিতে শুকনো চালগুঁড়ো।

কাল সকালে এসো সক্কলে,
আমি ততক্ষণে বাসি হয়ে গেছি।

ছুঁয়ো না আমায়,
স্নান করতে হবে ফের
কুয়োর ঠাণ্ডা জলে!

শ্মশানছায়ায় – দেবারতি গুহ সামন্ত

মগজে গজিয়ে চলেছে শিকড়….

ছড়াচ্ছে ডালপালা,
ছড়াচ্ছে প্রতিহিংসা,
ছড়াচ্ছে প্রবল সন্দেহ,
ছড়াচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা,

সবশেষে ছড়াচ্ছে মায়া মায়া আবেগ।

আর থাকতে না পেরে,
কেটে ফেললাম হাতের আঙ্গুল।

যে আঙ্গুলের ডগায় জড়ানো,
পুতুল নাচের সুতো।

দিক দিক, ধোকা দিক,
আমিও বলি ধিক্ ধিক্।

এখন ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছে বুকে,
আমি চলেছি অন্তিম যাত্রায়,শ্মশানের ছায়ায়,
যেখানে আগুন নিভবে না কক্ষনো!

দরজা বন্ধ – দেবারতি গুহ সামন্ত

যেখানে যা কিছু
যেমনটি ছিল,
তেমনটা রেখে গেলাম,
শুধু নিয়ে গেলাম স্মৃতি।

দরজায় তালা লাগাতে গেলাম,
মনে পড়ল, এ তোমার দরজা,
তালাটাও তোমার,
দুহাত দিয়ে আবার খুলে দিলাম দরজা।

চুরির ভয় নেই,
নেই কিছু হারানোর ভয়,
তপ্ত দুপুরে খোলা জানালায়,
আজো দাঁড়িয়ে তোমার প্রতীক্ষায়!

জানি, মানি, আসবে না কোনদিন,
সেই যে খুলে রেখে এসেছিলাম দরজা,
তা নিজে হাতে বন্ধ করে দিয়েছ তুমি।।

নবোদ‍্যম – দেবারতি গুহ সামন্ত

মৃত‍্যুর পরে…..
চন্দ্রবিন্দু নাকি লেট, কোনটা?
মেগাপিক্সেল ক‍্যামেরায় বন্দী স্মৃতিরা,
সাদা ফলকে নাম খোদাই, চিরস্থায়ী।

কি সব উল্টাপাল্টা চিন্তা!
আজ তো পয়লা বৈশাখ,
পুরনো গ্লানি মুছে নতুন শুরু,
চকচকে সানগ্লাসের ট‍্যাগ।

মিষ্টির প‍্যাকেটে হালখাতা সারা,
ফুলের মালায় সাজছে আগামী ভবিষ্যৎ,
গরম লুকে কুছ পরোয়া নেহি,
আজ পয়লা বৈশাখ, শুভ নববর্ষ।

মৃত‍্যুর পরের চিন্তা আপাতত তোলা থাক,
এখন জমিয়ে হোক আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংকস্।।

মোমপাক্ষিক – দেবারতি গুহ সামন্ত

মোম জ্বলে, মোম গলে,
সময় পেরিয়ে যায়,
হারিয়ে যায় স্মৃতি মগজের বাঁকে,
ফুরোয় প্রাণশক্তি।

জন্ম নেয় ফোবিয়া,
ঘরের আয়তন সংকুচিত,
মাঝরাতে ভাঙা ঘুমে কার দীর্ঘনিশ্বাস,
অপেক্ষা ক্লান্ত চোখের।

লাল পেন্সিল মেঝেতে গড়াগড়ি,
ওর কাজ ফুরিয়েছে,
ক‍্যালেন্ডারে আর দিতে হবে না দাগ,
সে আসছে, গলানো মোম জমাট বাঁধছে…

নতুন ভাবে জ্বলবে, পুরোটাই আপেক্ষিক।।

টরেটক্কা – দেবারতি গুহ সামন্ত

জেরক্স মেশিনে ছাপার চেষ্টায় ছিলাম,
আমার মগজ,ধোলাই এর পর আরো খোলতাই।
শারীরিক ক্লান্তিকে দূরে ঠেলে,
একটু একটু করে ফ্ল‍্যাসব‍্যকে দেখছিলাম ছায়াছবি।

শৈশব থেকে কৈশোর থেকে যৌবন,
চলন্ত গতি,
এখন মধ‍্যগগন, চাহিদার ওঠা-নামা।
স্ট্রেসের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বে, বুকে জমছে স্নেহ,
আটকাচ্ছে রক্তনালীর স্বাভাবিক গতি, মনটা শালিখ পাখি।

কোথাও আমার ক্লোন অপেক্ষারত,আমারই জন‍্যে,
কবে হবে সাক্ষাৎকার, জানেন ওই ক্রুশবিদ্ধ ভদ্রলোক।
সাহেব এখন ইস্কাবনের বিবির সাথে খেলা করছে,পাহারায় গোলাম,
তাসের ঘর তৈরীতে ব‍্যস্ত আমার ক্লোন, আমার আশ্রয় মায়ের কোল।

কবিতানন্দম – দেবারতি গুহ সামন্ত

মৃত‍্যুর পরও বয়ে চলে কবিতা,
থাকে না কবির ফিজিক্যাল এ‍্যপিয়ারেন্স,
শুধু থেকে যায় তার রচনা করা কবিতা,
আর থেকে যায় কবিতার সৌরভ,
থেকে যায় একরাশ সৃষ্টির মাতাল করা সুবাস।

মৃত‍্যুর পরও বয়ে চলে কবিতা,
নেশার মতো, প্রতিটি শিরায়, প্রত‍্যেকটা ধমনীতে,
ধীরগতিতে, যেখানে নেই কোন রেষারেষি,
আছে শুধু অনুভব, পার্সোনাল ফিলিংস,
একান্তই ব‍্যক্তিগত, রস ছেঁকে নেওয়ার অনুভূতি।

মৃত‍্যুর পরও বয়ে চলে কবিতা,
সারা শরীরে কবিতার রেসিডুয়াল,
ঠিক শিবের গায়ের ভষ্মের মতো,
নদীর জলে যখন অস্থি বিসর্জন হয়,
মন্দিরে ঘন্টা বেজে ওঠে, ঢং ঢং, কবিতার আগমনে।।

কুড়াবো কাব‍্য – দেবারতি গুহ সামন্ত

হোয়াইট সাদা কাগজে ব্ল‍্যাক কালো আঁচড়,
গেমিং অন কাচের গ্লাসে, খেজুর রসে খেজুরে আলাপ।
টেম্পারেচার বাড়ছে, বাড়ছে ঘিলুর ছটফটানি,
তবু কাব‍্য আসছে না, যেটা আসছে সেটা বিউটিফুল নয়, ডাউটফুল।

এই কিছুদিন আগেই গেল,
এপ্রিল ফুল, পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া।
মুখমিষ্টি, রক্তে মিষ্টি, সুগার লেভেল আপডাউন,
হয়েই যাক না সেই উপলক্ষ্যে একটা রসকাব‍্য।

গরমে আমপান্না, আমপোড়া শরবত, রঙবাহারী ককটেল,
প্রাণ ঠান্ডা, মন ঠান্ডা, এবার কাব‍্য আসতে বাধ‍্য।
না আসলে টেনে হিঁচড়ে নামাব, উঠবে কালবৈশাখী ঝড়,
আমি তখন গাছের তলায় কুড়াব আম, কোঁচড়ভর্তি, সঙ্গে কাব‍্য।

ভাঙা আয়নার ইতিকথা – দেবারতি গুহ সামন্ত

টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে গেল বিশাল আয়নার কাঁচটা,
অমনি সিলিংটা মুচকি হেসে দেওয়ালকে বলল,
“অত বড়ো চেহারার কাচটা কেমন টুক করে ভেঙ্গে গেল,
যা হয়েছে,বেশ হয়েছে, খুব দম্ভ দেখিয়ে বেড়াত না!”

ভেঙ্গে যাওয়া আয়নার টুকরো শুনতে পাচ্ছিল সবটা,
ছল ছল নয়নে সে বলল, “এতে আমার কি দোষ বলো!
আমি তো শুধুমাত্র একটা আয়না, প্রতিফলন ঘটাই,
মেকি কিংবা মিথ্যা নয়, তুলে ধরি নির্ভেজাল, নির্মম সত‍্যি।

বোকা নির্বোধরা বোঝে না, আসলে প্রতিফলন ঘটে তাদের বিবেকের,
তাদের অন্তর আত্মার, খুলে যায় তাদের ভালোমানুষির মিথ‍্যে দিয়ে ঢাকা,
টানটান মুখোশ, বেড়িয়ে পড়ে কুৎসিত কদর্য, নোংরা চেহারাটা।

আমি শুধু তাদের সামনে আসল সত‍্যিটা তুলে ধরি মাত্র,
এতেই রাগে অন্ধ হয়ে আমাকে করে আক্রমণ।
পাল্টা আঘাত হেনে মেটায় অদম্য ক্রোধ,
তবুও কি জুড়োয় তাদের জ্বালা?”

এতটা শুনে দেওয়াল আর সিলিং-এ চোখাচোখি হয়,
ওই তো ভাঙা আয়নায় দেখা যাচ্ছে,
দেওয়াল ও সিলিং-এর কিছু অংশ,
আয়নার যে আর ক্ষমতা নেই এই ভগ্নাংশ মেলানোর।

না জানাই ভালো – দেবারতি গুহ সামন্ত

কখনো জানতে চেও না,
মজা নদীটায় জলের গন্ধ কেন?
ছাপা শাড়িটায় হলুদের মেহেন্দী কেন?
শুকনো ফুলদানিতে আসন্ন মৃত‍্যুর সুবাস কেন?

কখনো জানতে চেও না,
অসমাপ্ত প্রেমে ভাঙনের শব্দ কেন?
পুরনো ডায়েরির পাতায় রক্তাভ শিরা কেন?
শূন্য সিঁথিতে বেরঙিনের হাহাকার কেন?

কখনো জানতে চেও না,
ঘরের কোনায় লুকানো ইতিহাসের কান্না ঝরে কেন?
বিস্বাদ মুখ প্রিয়জনের কথা মনে পড়িয়ে দেয় কেন?
মারণ রোগাক্রান্তের নতুন সকাল দেখবার সাধ হয় কেন?

পানের প্রাণ – দেবারতি গুহ সামন্ত

পান সুপুরির যুগ্ম মিলনে
বাধ সাধল চুন,
মুখে পুরতেই শুরু হয়ে গেল
মশলার গুনগুন।

নিমন্ত্রণ বাড়িতে খাওয়ার পরে
ডাক পরে মিঠা পানের,
জর্দা দেওয়া পানের খুশবুতে
আনন্দের বান ডাকে মনপ‍্রাণের।

টুটি ফ্রুটিতে থাকে সাজানো
সতেজ সবুজ পানপাতা,
এমনিতে কিন্তু খেতে লাগে ঝাঁজ
মৌরি এলাচের অপূর্ব মিশ্রণ
তৈরী করেন পান দাতা।

বিয়েবাড়ি তে নতুন কণের
পানপাতায় ঢাকা মুখ,
শুভ দৃষ্টি হয় পানপাতা সরিয়ে
বরের চোখে হাজারো সুখ।

অদ্ভুত এই পানপাতার
আছে অনেক গুনাগুণ,
ওষ্ঠরসে রঞ্জিত দুটো ঠোঁটে
পানপাতার স্বাদের মনফাগুন।

চট করে এই স্বাদের ভাগ
যায় না দেওয়া অন্যকে,
মিষ্টি চাটনি ডোবানো পানের
আমন্ত্রণ জানাই সব্বাইকে।

হৃদমাঝারে রবীন্দ্রনাথ – দেবারতি গুহ সামন্ত

রবীন্দ্রনাথ নামেই বন্ধ আঁখির পাতায় ভেসে ওঠে তোমার ব‍্যক্তিত্ত্বশালী চিত্র,
লম্বা দাড়ির আড়ালে গম্ভীর হাসির স্মরণে লিখি তোমায় খোলা পত্র।

রবির কিরণের ন্যায় উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত তুমি,
হে আমাদের প্রাণের ঠাকুর,তোমার লেখনী অত্যন্ত দামী।

তোমায় নিয়ে লেখার ধৃষ্টতা করে দিও তুমি মার্জনা,
এবারে তবে শুরু করে ফেলি পঁচিশে বৈশাখের শুভ সূচনা।

প্রিন্স দ্বারকানাথ দ্বারা স্থাপিত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তোমার জন্মগ্রহণ,
ব্রিটিশ শাসনকালে পরাধীন ভারতে পঁচিশে বৈশাখ এই ধরাধামে তোমার পদার্পণ।

পিতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতা সারদাসুন্দরী দেবী,
কনিষ্ঠ সন্তান ছিলে তুমি, সহধর্মিণী ছিল মৃণালিনী দেবী।

প্রথাগত শিক্ষা ছিল ঘোর অপছন্দের, তাই তুমি করনি গ্রহণ,
বরঞ্চ শিক্ষাকে ভালোবেসে তুমি গ্রন্থরচনা করেছিলে বরণ।

আট বছর বয়সে প্রথম কাব‍্য রচনা, সতেরোতে ইংল্যান্ড করেছিলে যাত্রা,
চল্লিশে পা রেখেছিলে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে, মন কেড়েছিল রাঙা মাটির রাস্তা।

স্থাপন করেছিল আশ্রম,যেখানে ছাতিম গাছের তলায় করতে শিক্ষা দান,
প্রতিষ্ঠাতা ছিলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ‍্যালয়ের, যা কিনা সমগ্র বিশ্বের কলাবিভাগের প‍্রাণ।

কবিগুরু,গুরুদেব অথবা বিশ্বকবি, এরকম বহু নামে ছিলে পরিচিত,
তোমার রচিত কাব‍্যগ্রন্থ, নাটক, উপন্যাস ও অন্যান্য গদ‍্যসংকলন তোমার মৃত‍্যুর পর হয়েছিল প্রকাশিত।

উনিশশো পনেরটি গান এর গুচ্ছ নিয়ে রচনা করেছিলে রবীন্দ্র সংগীত,
বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত‍্যিক তুমি, দুর্দান্ত লেখনীতে তৈরী করেছিলে
সাহিত‍্যের আগামী ভবিষ্যৎ।

গল্পগুচ্ছ, গীতবিতান ও বত্রিশ খন্ডের রবীন্দ্র রচনাবলীতে রন্ধ্রে রন্ধ্রে হয়ে আছ উজ্জ্বল,অমর,
নাট‍্যকার, প‍্রাবন্ধিক, অভিনেতা ছাড়াও দুহাজার ছবি এঁকেছিলে তুমি হে বিখ‍্যাত চিত্রকার।

নাইট উপাধিতে ভূষিত হয়েও জালিয়ানওয়ালাবাগ হত‍্যাকান্ডের প্রতিবাদে তা করেছিলে ত‍্যাগ,
গীতাঞ্জলীর অনুবাদে নোবেল পুরস্কারে হয়েছিলে ভূষিত, এমনই ছিল তোমার সাহিত‍্যের প্রতি অনুরাগ।

জাতীয় সঙ্গীত জনগনমন ও সোনার বাংলার রচয়িতা তুমি,
আর কত না বিষয়ে ছিলে পারদর্শী,
অল্প কথায় কি আর বলা যায় তোমার জীবনের ইতিহাস, দর্শন শাস্ত্রেও ছিলে দূরদর্শী।

শিউলি মাখা ভোর থেকে চুঁইয়ে পড়া জ‍্যোৎস্নার রাত,
সবজায়গায়, সবখানে আছ তুমি, দেখিয়েছ নতুন দিগন্তের প্রভাত।

কিশোর বয়স থেকে জীবনের অন্তিমলগ্ন অব্দি গ্রহণ করেছ প্রত‍্যেকের হৃদয়ের আসন,
সবার প্রাণের ঠাকুর তুমি, শুভ জন্মদিনে করো আমার শতকোটি প্রণাম গ্রহণ।

দেবারতি গুহ সামন্ত | Debarati Guha Samanta

Bengali Story 2022 | জয়ন্ত কুমার সরকার | গল্পগুচ্ছ ২০২২

Travel Story 2022 | আমার বেড়ানো | পণ্ডিচেরী | মহাবলীপূরম | তিরুপতিধাম | কন্যাকুমারী

Best Tattoo Machine 2023 | ট্যাটু মেশিনের ক্রমবিকাশ | প্রবন্ধ ২০২৩

Emblem of Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতীকের অর্থ | নক্‌শা ও তাৎপর্য | 2023

Shabdodweep Web Magazine | Writing Bangla Kobita | Debarati Guha Samanta

Writing Bangla Kobita, or Bengali poetry, is an art that has a long and rich tradition in the cultural heritage of Bengal. Whether you’re a seasoned poet or a beginner looking to express your thoughts through words, understanding the nuances of bangla kobita writing is essential. Bengali poetry has a unique rhythm, style, and depth that appeals to readers worldwide, making it one of the most cherished forms of literature.

Here, we’ll guide you through the process of writing Bangla kobita, provide valuable tips on the kobita lekhar niyom (rules of writing poetry), and highlight the significance of this literary tradition in modern times. Also, we’ll explore the poetry contributions of writers like Debarati Guha Samanta, who has shared many of her beautiful poems on Shabdodweep Web Magazine.

Let’s dive in!

The Essence of Writing Bangla Kobita

Writing Bangla kobita is not just about creating verses; it’s about expressing emotions, capturing fleeting moments, and weaving stories with words. The beauty of Bengali poetry lies in its ability to convey profound meaning through simple yet powerful language. Some of the most celebrated Bengali poets, such as Rabindranath Tagore, Kazi Nazrul Islam, and Jibanananda Das, have set the standards for generations of poets.

The Key Elements of Bangla Kobita Writing

To master bangla kobita writing, you need to understand several fundamental elements. Here’s a breakdown of key aspects:

Rhythm (Chhanda)

The rhythm, or chhanda, is central to Bengali poetry. Traditional Bengali poems follow specific meters, where syllables are arranged in a rhythmic pattern. However, contemporary poets often experiment with free verse, which doesn’t strictly adhere to these rules but still carries a musical quality.

Rhyme (Tala)

The rhyme scheme, or tala, enhances the aesthetic value of a poem. Whether you choose an end rhyme or a more complex internal rhyme, the key is consistency. Beginners often start with simple ABAB patterns, but seasoned poets tend to play with variations.

Imagery and Metaphors

One of the most defining features of bangla kobita is its use of imagery. Creating vivid images in the reader’s mind through metaphors and similes is crucial for evocative writing. The power of metaphorical language often lies in its simplicity and ability to express complex emotions succinctly.

Emotion and Theme

Like all forms of poetry, writing Bangla kobita is deeply connected to emotions. Bengali poets often explore themes of love, nature, spirituality, and human experience. Whether the subject is joy, sorrow, or introspection, the poet’s emotional connection to the theme is vital.

How to Write a Bangla Kobita: Kobita Lekhar Niyom (Rules of Writing Poetry)

Writing Bangla kobita requires a balance of creativity, structure, and emotion. Here are the kobita lekhar niyom (rules) to help you craft your own Bengali poetry:

Start with Inspiration

Inspiration is the heart of all great poetry. Inspiration can come from nature, personal experiences, or even a specific emotion. Once you have a theme in mind, begin with a few lines that capture the essence of your thought.

Use Traditional or Modern Structure

Decide whether you want to follow a traditional poetic form with specific meters and rhyme schemes or experiment with free verse. Both styles have their own charm, and your choice will depend on your creative intent.

Play with Language and Sound

The sound of words in Bengali has a melody of its own. Experiment with alliteration, assonance, and consonance to make your poem more musical. In bangla kobita writing, the flow of words is often as important as the meaning they carry.

Focus on Imagery

Use vivid imagery to bring your poem to life. Describing the sunset in terms of colors, sounds, or sensations can transport the reader into the scene. Don’t shy away from metaphors and similes—they’re tools that make your poetry more impactful.

Refine Your Poem

Once you’ve written your first draft, revise it. Poetry is about precision and economy of language. Every word should have a purpose, and sometimes fewer words can express more. Read your poem aloud to ensure the rhythm flows naturally.

The Importance of Bengali Poetry in Today’s World

Writing Bangla kobita is not only a form of artistic expression but also a means of preserving the cultural heritage of Bengal. Despite the modern era’s rapid changes, Bengali poetry continues to hold a special place in the hearts of people. Writers like Debarati Guha Samanta, who regularly contributes her poetry to Shabdodweep Web Magazine, exemplify how contemporary poets are keeping the flame of Bengali poetry alive.

Debarati’s poems, with their nuanced emotional depth and insightful observations, are a testament to the evolving nature of bangla kobita writing. Her work has inspired many readers and budding poets to engage more deeply with Bengali literature.

Writing Bangla Kobita: A Creative Journey for All

Whether you’re a beginner or an experienced poet, the joy of writing Bangla kobita comes from a personal connection to your words. The more you practice and experiment, the more you’ll discover your own voice in Bengali poetry. Platforms like Shabdodweep Web Magazine provide a great avenue for poets to share their work with a wide audience. If you’re passionate about bangla kobita writing, consider contributing your poems to such platforms.

FAQs on Writing Bangla Kobita

  1. What are the basic rules for writing Bangla Kobita?
    To start with writing Bangla kobita, focus on choosing a theme, experimenting with rhythm and rhyme, and using vivid imagery. Follow the kobita lekhar niyom to structure your poem. Don’t forget to revise and refine your work for clarity and impact.
  2. Can I write Bangla Kobita in free verse?
    Yes! While traditional bangla kobita writing often follows specific meters and rhyme schemes, contemporary poets often write in free verse. This allows for more creative freedom and expression.
  3. How do I submit my Bangla Kobita for publication?
    Platforms like Shabdodweep Web Magazine encourage budding poets to share their work. Visit their website, explore the submission guidelines, and submit your poetry for review. You might get the opportunity to share your talent with a broader audience.
  4. How can I improve my Bangla Kobita writing skills?
    To improve your bangla kobita writing, read works by both classical and contemporary poets. Practice regularly, explore different forms, and experiment with language and rhythm. Engaging with platforms like Shabdodweep Web Magazine can also help you grow as a poet.
  5. What role does emotion play in Bangla Kobita?
    Emotion is the core of Bengali poetry. Whether you’re writing about love, loss, nature, or philosophy, expressing genuine emotion resonates deeply with readers. The best bangla kobita writing captures the emotional essence of the theme.

Conclusion: Embrace the Art of Writing Bangla Kobita

Writing Bangla kobita is an enriching and rewarding endeavor that connects you with the timeless tradition of Bengali literature. Whether you’re just starting or are already a seasoned poet, there’s always something new to explore in the world of Bengali poetry. Platforms like Shabdodweep Web Magazine offer a wonderful space for poets to share their creations, including contributors like Debarati Guha Samanta, whose work continues to inspire many.

So, take up the pen, immerse yourself in the beauty of Bengali language, and begin your own poetic journey today!


Sabuj Basinda | High Challenger | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment