Best Whatsapp Bengali Story 2023 | অবসর | তাপসী দত্ত

Sharing Is Caring:

তাপসী দত্ত – সূচিপত্র [Whatsapp Bengali Story]

অবসর – তাপসী দত্ত [Whatsapp Bengali Story]

বাথরুমের ওপরের মাচাটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। সব আবর্জনাই ফেলে দেওয়া হয়েছে শুধু একটা জিনিস ছাড়া। বাবার ছড়িটা বহুবছর ধরে অযত্নে পড়েছিল ওপরে । ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে এখন বেশ ঝকঝকে। ভুবন বাবু বারকয়েক ছড়িটা হাতে নিয়ে ঘরের এ প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত হেঁটেও দেখে নিয়েছেন। এত মনখারাপের মধ্যেও একটুকরো সুখ এই ছড়িটা । এতদিন অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকলেও এখন আবার দামি হয়ে গেছে ছড়িটা । আগে বাবা ব্যবহার করতেন এখন ভুবন বাবুর নিজেরই দরকার হয়ে পড়েছে। বয়সের সাথে সাথে হাঁটুর ব্যথাটাও বেড়েছে। হাঁটতে চলতে খুবই অসুবিধা হয়। এখানে আবার চারতলার সিঁড়ি ভাঙ্গতে হয়।

সেই ন’বছর বয়সে বাবা মায়ের হাত ধরে এসেছিলেন এই ‘অবসরে’। বাবা কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। চাকরিসূত্রে এই সরকারী কোয়ার্টারখানা পেয়েছিলেন। তখন সবে নতুন হয়েছে ‘অবসর’। ছাব্বিশটা ব্লক নিয়ে এই পুলিশ কোয়ার্টার। মাঝে বিশাল মাঠ। প্রতিটা ব্লকের কাছে সুন্দর করে দুখানা কাঠের বেঞ্চ পাতা। দুটো ব্লকের মাঝখানে একটা করে বাঁধাই করা জলের কল। কর্পোরেশনের জল কল দিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা ফোয়ারার মত পড়েই চলেছে। ভুবন বাবুরাই ‘অবসর’ এর প্রথম সদস্য। এক দুপুরবেলায় ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বাবা মায়ের হাত ধরে এসেছিলেন।‘ অবসর’ চত্বর তখন যেন এক শ্মশানপুরী । এত বড় কম্পাউন্ডে মাত্র তিনজন মানুষ। ভুবন বাবুর মনে আছে মা সেদিন বাবার সাথে খুব ঝগড়া করেছিলেন। তখন অপরিণত বয়সে ভুবন বাবু ঝগড়ার কারণ বোঝেননি। এখন বুঝতে পারেন এত বড় চত্বরে তিনজন মানুষের একা থাকাটা বেশ ভয়ের ব্যাপারই। সেদিনই সন্ধেবেলা পরিমলরা এসেছিল। ওরা থাকত মাঠের ওপারের ব্লকে। সমবয়সী হওয়ায় বন্ধুত্বও হয়ে গেল খুব তাড়াতাড়ি। তারপর তো রাত দিন লোক আসতে লাগল। এক সপ্তাহের মধ্যে ‘অবসর’ চত্বর জমজমাট হয়ে গেল।

একটা বেডরুম, একটা বড় মাপের রান্নাঘর, সামনে একফালি জায়গায় বসার ঘর আর একটা বাথরুম এই নিয়েই ‘অবসর’ এর একেকটা ফ্ল্যাট। মুখোমুখি দুটো ফ্ল্যাটের সংযোগস্থলে একফালি ঝুল বারান্দা। ভুবন বাবুদের ফ্ল্যাটটা ছিল মাঠের পাশেই। প্রথম বছর বাবারা ঠিক করলেন দুর্গা পুজো করবেন। সেই থেকে ‘অবসর’ এ দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। বিশ্বকর্মা পুজোর পর পরই মাঠে পড়ে যেত প্যান্ডেলের বাঁশ । তখন আনন্দের সীমা থাকত না ছোট ভুবনদের। বাঁশে পড়ত ত্রিপল, রং বেরঙের কাপড়ে সেজে উঠত প্যান্ডেল ।পঞ্চমীর দিন হৈ হৈ করে ঠাকুর আসত লড়ি চেপে। সে এক দিন ছিল বটে ! আগের বছর ‘অবসর’ এর পুজো সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালন করল। একান্নটা বছর হয়ে গেল, পুজোয় কখনো ‘অবসর’ এর বাইরে যাননি। মিনু, ছেলেমেয়েরা পর্যন্ত পুজোর সময় ‘অবসর’ এর বাইরে পা রাখতে চাইত না। ‘অবসর’ এর বাসিন্দারা সকলে যেন একটা পরিবার।

মিনুর সাথে প্রেম, কত স্মৃতিই আজ ঘুরে ফিরে আসছে বারবার। ভুবন বাবু তখন ক্লাস টেন এ আর মিনু তখন সিক্স এ। দুটো বিনুনি ঝোলানো, পায়ে হাওয়াই চটি, টকটকে গায়ের রং, বেঁটে খাটো মিনুকে বেশ লাগত ভুবনের। স্কুল ফেরতা দেখা হয়ে যেত দুজনের। প্রথমে চোখাচোখি তারপর একটু হাসি দিয়ে শুরু হয়ে সম্পর্কটা একদম গাঁটছড়া বাঁধায় গিয়ে শেষ হয়েছিল। মিনুরা থাকত একদম শেষের মাথার ব্লকে। এখনো সেইসব রঙ্গিন দিনের কথা মনে করতে ভালো লাগে ভুবন বাবুর। যদিও দুবছর আগেই মিনু তাকে ছেড়ে অজানার দেশে চলে গেছে।

ছেলে নতুন ফ্ল্যাট কিনে বৌ বাচ্চা নিয়ে সেখানে চলে গেছে। একমাত্র মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সাথে এখন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। ওরা বছরে একবার আসে নিয়ম করে। মিনু চলে যাবার তাই একা হয়ে গেছেন ভুবন বাবু। একাকীত্বটা আরো পেয়ে বসত যদি না বন্ধুদের সাথে দুপুরে তাসের আড্ডা , বিকেলে চায়ের দোকানে আড্ডাটা না থাকত।

–“ বাবা এই ভাঙ্গাচোরা ছবিগুলো রেখেছো কি করতে? এগুলো কি ওখানে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছো নাকি? ওখানে এত জায়গা নেই কিন্তু বাবা। তোমার বৌমা দেখলে ভীষণ রাগ করবে।“

ছেলের ডাকে আবার অতীত থেকে বর্তমানে ফিরে আসেন ভুবন বাবু।

–“ ওগুলো আমাদের বিয়ের ছবি, তোদের দু ভাই বোনের ছোটবেলার ছবি । ওগুলোও কি ফেলে দিবি নাকি? “

–“ দেখো বাবা , ফ্ল্যাটে এইসব বস্তাপচা আবর্জনা দেওয়ালে টাঙ্গানো যাবে না। ওগুলো পুড়িয়ে ফেলো বা ফেলে দাও।“

আবর্জনা!! এই অমূল্য স্মৃতি এখন শুভর কাছে আবর্জনা হয়ে গেছে? ভুবন বাবু তো বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। কোনোদিন তিনি বাবা মায়ের মূল্যবোধে আঘাত দিয়েছেন বলে তো মনে পড়ে না। আজকালকার ছেলেমেয়েরাই বোধহয় এমন! নয়তো তাদের শিক্ষায় কিছু কমতি ছিল।

মিনুর খুব নেশা ছিল স্টুডিয়োয় গিয়ে ছবি তোলা। প্রায় দিনই বিকেলবেলায় ছেলেমেয়েকে সাজিয়ে নিয়ে স্টুডিয়োয় গিয়ে ছবি তুলে আসত। ঘরের চার দেওয়ালই প্রায় ভর্তি ছিল বাঁধানো ছবিতে। ছেলেমেয়ের ছোটবেলার বিভিন্ন সময় ধরা আছে তাতে। কোনো ফ্রেমে আবার তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন ধরা দিচ্ছে। এত সুমধুর স্মৃতি কিনা আজ ছেলের কাছে আবর্জনা?

দু বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। বাবার হাত ধরেই তার কলকাতা পুলিশে প্রবেশ। বাবার পর ‘অবসর’ এর ফ্ল্যাটের মালিকানা চলে আসে ভুবন বাবুর কাছে।কাজেই ‘ অবসর’ ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার প্রয়োজনই পড়েনি কখনো। রিটায়ার করার পর মিনু চলে গেল। ‘অবসর’ ছেড়ে যাবার তাগিদ তাই অনুভব করেননি ভুবন বাবু। কিন্তু সরকারি আবাসন তো এইভাবে দখল করে রাখা যায় না। তাই ইচ্ছে না থাকলেও ‘অবসর’ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাকে।

জীবনে কোনোদিন কারো মুখাপেক্ষী হয়ে বাঁচেননি ভুবন বাবু। কিন্তু এখন নিজেকে একটা বোঝা মনে হচ্ছে। তিনি বেশ বুঝতে পারছেন ছেলে অনিচ্ছা স্বত্তেই তাকে নিজের কাছে নিয়ে যাচ্ছে । তিনি ভাড়া বাড়িতেই থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু মেয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। মেয়ের কথাতেই হয়তো শুভ বাবাকে নিজের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। মোটা টাকা পেনশন পান তিনি। তাকে খাওয়াতে পরাতে হবে না, শুধু একটু থাকার জায়গা , তা দিতেও এত অনীহা! অথচ এই ছেলেকেই সেরা স্কুলটাতে পড়িয়েছেন , মেয়ের চেয়ে ভালো জামাটা , নতুন বইটা ছেলেকেই কিনে দিয়েছেন।

‘পরিমলটা যে কি করে না? সবেতেই ও লেট ! খবরটা নেওয়ার কথা ছিল , নিল কিনা কে জানে? ‘ মুঠোফোনের বোতাম টিপে একবার পরিমলকে ধরার চেষ্টা করেন। রিং হয়ে কেটে যায় । ছোটবেলার বন্ধুদের মধ্যে এখন একমাত্র পরিমলই আছে। বাকিরা কেউ বাড়ি করে অন্যত্র চলে গেছে, আবার কেউ সব মায়া ত্যাগ করে বরাবরের মত চলে গেছে।

“বাবা চলো গাড়িতে ওঠো । আর দেরি করলে হবে না। আমারও তো কাজ আছে নাকি?”

— “ হ্যাঁ , চল।“ একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেললেন তিনি। জানলার কাঠের ফ্রেম , দরজায় একবার হাত বোলালেন । এই ফ্ল্যাটের প্রতিটা ইট, কাঠ যেন ভুবন বাবুর পাঁজরের একেকটা হাড়। বাবা ,মা, মিনুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এখানে। এতদিনের গোছানো সংসার সব এখন আবর্জনার স্তূপে । তাদের বিয়ের খাট, আলমারি সঅঅঅব। এগুলোর কোনো মূল্যই নেই ছেলের কাছে। পরনের কয়েকটা জামা আর দরকারি ফাইলপত্র ছাড়া কিছুই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।

–“ কি হল বাবা? চলোওওও ! “

ভুবন বাবু ছেলের পেছন পেছন সম্মোহিতের মতো সিঁড়ি দিয়ে নামছেন।তিনি আর নিজের মধ্যে নেই। কয়েক পা এগিয়েছেন এমন সময় তিনি মুখোমুখি পরিমলের। হন্তদন্ত হয়ে উঠে আসছে পরিমল।

–“ এলি তাহলে পরিমল? আমি তো ভাবলাম তুই আসবিই না। “

–“ সব ঠিক করে এলাম বুঝলি। খুব সুন্দর জায়গা, একেবারে গঙ্গার পাড়ে । তোর মতো আরও অনেকে আছেন ওখানে । কষ্টটা একটু বেশীই পড়বে তবে আমি হলফ করে বলতে পারি তোর ওখানে কোনো অসুবিধা হবে না। “

–“ তুই যখন বলছিস তখন আমি হান্ড্রেডের জায়গায় টু হান্ড্রেড পারসেন্ট নিশ্চিত যে আমি ভালো থাকবো ।“

–“ কি হল বাবা? যাবে না ? নাকি এখানে দাঁড়িয়েই গল্প করবে?”

–“ না শুভ , তোমার বাবা তোমার সাথে যাবেন না। উনি আমার সাথে জাবেন। “

–“ মানে? “

–“ মানে , আমি যা বললাম তাই। তুমি বাড়ি যাও ।“

ভুবনবাবু এতক্ষণে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়েছেন । বাবার লাঠিটা নিয়ে সদর্পে ওপরে উঠে গেলেন। মেঝেতে পড়ে থাকা পুরনো ছবির ফ্রেমগুলো সযত্নে তুলে নিয়ে বুকে আগলে ধরেন। বাবার চলে যাওয়ার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে শুভ।

এখানে বেশ কয়েকমাস কেটে গেছে ভুবনবাবুর। এক ‘অবসর’এর পাট চুকিয়ে তিনি এখন আরেক ‘অবসর’ এর বাসিন্দা। ব্যারাকপুরে গঙ্গার ধারে বেশ কয়েক বিঘা জমির ওপর নতুন গড়ে উঠেছে ‘ অবসর’ বৃদ্ধাবাস। সুন্দর মনোরম পরিবেশ, পুরুষ, মহিলা উভয়েরই থাকার ব্যবস্থা রয়েছে । গঙ্গার ধারে সিমেন্টের বাঁধাই করা বেঞ্চ সার দিয়ে সাজানো । সামনে কেয়ারি করা ফুলের বাগান। সকাল সন্ধ্যেয় এখানে কয়েক পাক হাঁটলে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়। মুখোমুখি দুটো দোতলা বাড়ি । একটায় থাকেন পুরুষেরা আরেকটায় মহিলারা। ভুবনবাবুর মত বহু বৃদ্ধ বৃদ্ধা এখানে রয়েছেন। তাদের কেউ ডাক্তার , কেউ বা বড় সরকারি চাকুরে। এখানে কেউ একা নন, সবাই সবার বন্ধু,এক পরিবার। সবাই এখানে অতীত ভুলে আনন্দ করে বাঁচেন। মর্নিং ওয়াক বা ইভিনিং ওয়াকের সময় সবার সাথে জমিয়ে গল্প হয়। সপ্তাহান্তে পরিমল আসে দেখা করতে। শুভ বারকয়েক এসেছিল তবে সপ্তাহে একটা ফোন করে নিয়ম করে। সবার সাথে ভালো বন্ধুত্ব হলেও শুক্লার সাথে একটু বেশীই বন্ধুত্ব হয়েছে ভুবন বাবুর। বিয়ের একবছরের মাথায় শুক্লার স্বামী মারা যান ।শুক্লা তখন তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা । সেই থেকে সাতাশ বছর সংগ্রাম করে ছেলেকে মানুষ করার পর ছেলেকে থিতু করে বিয়ে দেন। চোখের সামনে একটু একটু বদলে যেতে থাকে তার আদরের ধন। তারপর একদিন মা হয়ে যায় সংসারের বোঝা । তার ঠাঁই হয় এই বৃদ্ধাবাসে। শুক্লাকে বড় দুখী মনে হয় ভুবন বাবুর। এত কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করার ফল এই ! স্বল্পভাষী , লাজুক স্বভাবের শুক্লাকে বেশ লাগে ভুবনবাবুর। শুক্লাও যেন ভুবনবাবুর মধ্যে একজন ভালো বন্ধুকে খুঁজে পান। ধীরে ধীরে ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব নিবিড় হতে থাকে। একটা সময় এমন হয় যে একবেলা কেউ কাউকে না দেখে থাকতেই পারেন না। জীবনের সুখ দুঃখের গল্পগুলো অনায়াসে ভাগ করে নেওয়া যায় একে অপরের সাথে।

আলোর মালায় সেজে উঠেছে ‘অবসর’। বাসিন্দারা সবাই ব্যস্ত। সবার মনে আনন্দের জোয়ার। ভুবনবাবু আর শুক্লা বাকি জীবনটা একে অপরের হাতে হাত রেখে বাঁচার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমস্ত আবাসিকরা তাই ওনাদের চারহাত এক করে দিতে ছোটোখাটো আয়োজন করেছেন।পুরুষ আবাসনের একতলার একটা ঘর নবদম্পতিকে থাকার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্লার ছেলে আসেনি। শুভ এসেছে ঠিকই তবে একা। শ্বশুরের দ্বিতীয় বিয়ে বৌমা মানতে পারেনি। মেয়ে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে বাবাকে।

এক ’অবসর’ এ মিনুর সাথে জীবনের প্রথম অধ্যায় শুরু করেছিলেন। আর এক ‘অবসর’ এ শুক্লার সাথে জীবনের শেষ অধ্যায় শুরু করলেন ভুবনবাবু। শুক্লার সাথে নতুন জীবন অবশ্যই তার মধুর হোক। চাকরি জীবন থেকে অবসর নিলেও জীবন থেকে অবসর নিতে তার ঢের দেরি।বাড়লোই না শরীরের বয়স, মনে তো এখনো বসন্ত।।

তাপসী দত্ত | Tapasi Dutta

Mahagai | মহাগাই – শওকত নূর | 2023

Living next to tiger | বাঘের পাশে বাস করা | 2023

Salt Water | নোনা জল – জয়নাল আবেদিন | 2023

Bharatpur Patachitra | ভরতপুরের পটচিত্র | 2023

Whatsapp Bengali Story | New Best Story Blogs | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | World’s Best Story Blogs | Best Story Blogs in Online | Online Whatsapp Bengali Story | Full Whatsapp Bengali Story | Whatsapp Bengali Story Download | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Bengali Famous Story – audio | Top Whatsapp Bengali Story | Whatsapp Bengali Story Link | Best Whatsapp Bengali Story | Live Whatsapp Bengali Story | short story competition | Adult Whatsapp Bengali Story | Best Selling Whatsapp Bengali Story | Google Whatsapp Bengali Story | Golpo Dot Com 2023 | Top Golpo Dot Com | Whatsapp Bengali Story 2023 | Whatsapp Bengali Story pdf | Whatsapp Bengali Story Boi

Leave a Comment