Shesh Belay | শেষবেলায় | মনসুর আলি | Top Best 2023

Sharing Is Caring:
BENGALI STORY

মনসুর আলি – সূচিপত্র [Bengali Story]

শেষবেলায় [Shesh Belay]

আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কথা। শুভায়নবাবু সেদিন গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় অফিস থেকে ঘরে ফিরছিলেন। পঞ্চান্ন বছর বয়সী এই প্রৌঢ়ের তখন সুখের সময়। রেলে চাকরি করতেন। মোটা মাইনে। বাড়িতে সুন্দরী স্ত্রী পারমিতা, আঠেরো বছর বয়সের মেয়ে রেখা আর বারো বছরের ছেলে শুভ এই ক’জনকে নিয়ে চাঁদের হাট। সংসারে অভাব কী জিনিস শুভায়নবাবুর স্ত্রী-ছেলে-মেয়েরা না জানলেও এককালে শুভায়নবাবু জেনেছিলেন। সে তাঁর শৈশবের কথা। বাবা-মায়ের দারিদ্র-জর্জরিত পরিবারে জন্মে সেখান থেকে আজকের এই প্রাচুর্যময় অবস্থায় আসতে শুভায়নবাবুকে যে কী ভয়ানক সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল তা নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। শুভায়নবাবু তো ছেলেমেয়েদেরকে কোনো কিছুর অভাব কখনওই অনুভব করতে দেন না। উনি মনে করেন, এককালে নিজে যে কষ্ট পেয়েছেন সেরকম কষ্ট তাঁর অতি আদরের পুত্র-কন্যার জীবনকে যাতে আদৌ স্পর্শ করতে না পারে উনি সেই ব্যবস্থাই করে যাবেন। ছেলেমেয়ে যে বড় আদরের ধন।

সেবার রেখা তার সর্বমতে সম্মত প্রিয় পিতৃদেবের কাছে ইলিশ খাবার সখ করতেই শুভায়নবাবু সকাল সকাল বাজারে চলে গেলেন। নিয়ে এলেন দু’হাজার টাকা কিলো দরের দু’কিলো ওজনের দু’খানা ইয়া বড় ইলিশ। স্ত্রী-ছেলে-মেয়ের সাথে শুভায়নবাবুও খেলেন বেশ তৃপ্তি করে। এমন মানুষ শুভায়নবাবু। আর এমনই আয়েসী প্রণালীতে চলে ওনার সুখের সংসার।

এই শুভায়নবাবু সেদিন সন্ধ্যায় যখন অফিস থেকে ফিরছিলেন মেয়ে রেখা ফোন করল, ‘বাবা, আমার জন্য ছ’টা কমলাভোগ আনবে।‘ শুভায়নবাবু একমাত্র কন্যার প্রত্যাশিত মিষ্টান্ন কিনতে ট্রেন থেকে নেমে হাটখোলা বাজারের অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দিকে যাচ্ছিলেন। দোকানটা বেশ নাম-করা। ভালো মিষ্টি পাওয়া যায় ন্যায্য দামে। সবেমাত্র রেললাইনে পা দিয়েছেন লাইন টপকাবার জন্যে শুভায়নবাবু, এমন সময় ওনার ডান পা-টা গেল পিছলে। ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেল। যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলেন উনি। আশপাশের লোকেরা ‘কী হলো, কী হলো’ বলে তাকাতে লাগল। সবাই যখন দেখল ওনার পা ভেঙে গেছে তারা ওনাকে তাড়াতাড়ি একটা রিক্সায় চাপিয়ে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গেল। ওনার থেকে ওনার স্ত্রী পারমিতার মোবাইল নম্বর নিয়ে একজন পারমিতাকে ফোন করে সব জানাল। পারমিতা আর রেখা পড়িমরি করে ছুটতে ছুটতে হাসপাতালে এল।

ইতিমধ্যে শুভায়নবাবুর ছেলে শুভর পড়তে গিয়ে বাড়ি ফেরার ভাগ্য আর হলো না। অদৃষ্ট অন্যদিকে মোড় নিল। কোনও এক দুষ্কৃতীর দল ওকে রাস্তা থেকে একটা চারচাকা গাড়িতে তুলে নিয়ে চম্পট দিল। আঠেরো বছরের ছেলে শুভ তখন শিশুদের মতো কান্নায় ভেঙে পড়া ছাড়া আর কোনও গতি দেখল না। বাবা যে হাসপাতালে ভর্তি বেচারার কাছে এই খবরটাও পৌঁছল না। সেই দুষ্কৃতীর দল ওকে কোথায় যেন নিয়ে চলেছে গাড়িতে করে। শুভর দৃষ্টি ব্যাহত হলো চোখে কালো কাপড়ের শক্ত বাঁধনে। ওর আর বুঝতে বাকি রইল না যে ও কিডন্যাপ্‌ড হতে চলেছে। কিন্তু আত্মরক্ষার কোনও উপায়ই ওর নাগালের মধ্যে এল না। সেই চারজন গুন্ডার কবলে পড়ে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার জোগাড় তখন ওর। গাড়ি জোরে চলেছে। শুভর মনে হচ্ছে ওকে কোনও হাইওয়ের ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পকেটের মোবাইল ফোনটা কেবল বেজে যেতে লাগল। ওর দুটো হাত দু’দিক থেকে দুজন ধরে আছে। মোবাইল ছুঁতেও পারল না ও।

কার মুখ দেখে যে আজ সকালটা হয়েছিল ওর কে জানে। আজ প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না সন্দেহ জাগতে আরম্ভ করেছে শুভর মনে। শুভ স্বভাবতই প্রচণ্ড সাহসী ছেলে। তাই মাথা ঠান্ডা রাখতে চেষ্টা করল। শুভকে ওই চার দুষ্কৃতী নিয়ে এল অন্ধকারাচ্ছন্ন এক গুহার মধ্যে। ওর চোখে বাঁধা কালো কাপড় খুলে দিল ওরা। শুভ দেখল, চারদিক কেমন অন্ধকারাচ্ছন্ন। তবে একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন নয়, আবছা আলো আছে। ওদের মধ্যে একজন ওর থেকে ওর মোবাইল ফোনটা কেড়ে নিল। তারপর ওর থেকে নম্বর নিয়ে ওর বাবার কাছে ফোন করল। ওর বাবা তখন হাসপাতালের বেডে। ওনার মোবাইলে রিং হতেই উনি কল রিসিভ করলেন। ওপার থেকে ভেসে এল এক গম্ভীর ভয়ংকর গলা, ‘কী রে বউ বাচ্চা নিয়ে খুব সুখে থাকা, তাই না? আমরা গেলে একটা কানাকড়িও ঠেকাস না তো। আমরা ছ’মাস আগে তোর বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়েছিলাম। দশ হাজার টাকার বেশি তো দিলি না। তোর ছেলেকে এমন জায়গায় পাঠিয়ে দেবো যে সে আর বাড়ি ফিরতে পারবে না। দেখিস কেমন মজা। আমাদের সাথে অমন করা?‘ শুভায়নবাবু উচ্চ স্বরে কাঁদতে লাগলেন। তারপর গোয়েন্দা বাহিনী, পুলিশ কোনো কিছুই করতে বাকি রাখেননি শুভায়নবাবু। কিন্তু শুভর আর কোনও খোঁজ পাননি।

এটা ছিল পাঁচ বছর আগের ঘটনা। তখন শুভায়নবাবুর বয়স ছিল পঞ্চান্ন। আজ শুভায়নবাবু ষাট পূর্ণ করবেন। অফিসে ওনাকে ফেয়ারওয়েল দেওয়া হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের মোটা টাকা পাবেন। আর একমাস আগে ওনার পায়ে সেই পাঁচ বছর আগে লাগানো ধাতুর পাতটা খোলা হয়েছে। আজ থেকে উনি পাত ছাড়াই চলতে পারবেন। একদম আগের মতো। সুস্থ মানুষের মতো। আজ বড় আনন্দের দিন শুভায়নবাবুর। সত্যিই কি আনন্দের দিন? তাহলে বলতে হয়, না। আজ দিনটা ওনার কাছে কোনও আনন্দ-অনুভূতি বয়ে আনতে পারবে না। কারণ ওনার প্রাণের টুকরো ছেলে আজ ওনার কাছ-ছাড়া এই পাঁচ বছর। সে কি বেঁচে আছে আদৌ? আর যদি বেঁচে থাকে তাহলে কোথায় আছে, কেমন আছে? এ বড় পীড়াদায়ী প্রশ্ন শুভায়নবাবুর কাছে। এই প্রশ্ন আজ এই পাঁচ বছর ওনাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

রেলের এ গ্রেডের অফিসার। চাকরির শেষ ক’বছরে মাস গেলে বেতন পেতেন নব্বই হাজার টাকা। স্ত্রী পারমিতা বা কন্যা রেখার আবদারে কখনও কখনও দারুণ বাজার করে আনতেন উনি। যেমন তিন কিলো খাসির মাংস বা কুড়ি পিস একহাত সাইজের গলদা চিংড়ি, আবার কখনও বা মাছবাজারের সেরা দুটো শোল, যেগুলোর এক-একটার ওজন হয়ে যেত প্রায় দেড় কিলো। কিন্তু সেগুলো রান্না করার পর শুভায়নবাবু, ওনার স্ত্রী, মেয়ে যখন মুখে তুলতে যেতেন, কখনও কখনও হারিয়ে যাওয়া ছেলের স্মৃতি মনে ভেসে উঠত। তখন বুকটা ফেটে যেত ওঁদের। অনেক চেষ্টা করে যখন শুভকে পাওয়া গেল না তখন ওনারা ওটাকে ওদের দুর্ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুভায়নবাবু মাঝেসাঝেই বলতেন, ‘এই পারমিতা, এই রেখা, তোমরা শুনে রাখো, আমি যদি এই পৃথিবীতে কোনও দিনও কারোর কোনও উপকার অরে থাকি, কারোর কোনও কাজে এক বিন্দু পরিমাণ লেগে থাকি, তাহলে তোমরা দেখো আমার ছেলে একদিন না একদিন ঠিক ফিরে আসবে। আমি তাকে ফিরে পাব। হ্যাঁ, তোমরা মিলিয়ে নিও আমার কথা।‘ তারপর শুভায়নবাবু কেঁদে ফেলতেন। প্রতিটি সন্তানই তার বাবা-মার কাছে হীরের টুকরো, তা সেই সন্তান যেমনই হোক না কেন। তাই শুভর বাবা-মা আর তাদের সাথে তার ভালোবাসার দিদি রেখা এরা আজও কাঁদে। কত রাত নিদ্রাহীন কেটে গেছে তার হিসেব নেই এঁদের।

আজ থেকে পাঁচ বছর আগে শুভ যেদিন কিডন্যাপ্‌ড হয়েছিল তার ছ’মাস মতো আগে একদল ডাকাত এসেছিল শুভায়নবাবুর বাড়িতে ডাকাতি করতে। শুভায়নবাবু তাদেরকে দশ হাজার টাকা দিয়ে বিদেয় করেছিলেন। ওরা ওদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল। শুভায়নবাবু ডরাননি। উনি বলেছিলেন, ‘আমি এই দশ হাজারের বেশি দিতে পারব না। এতে তোদের যা করার করে নিবিখন যা।‘ শুভ পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। পাশে পড়ে থাকা শাবলটা তুলে নিয়ে এক ডাকাতের ঘাড়ে মেরে দিল। ডাকাতেরা পালিয়ে গেল। এরাই যে শুভকে কিডন্যাপ করেছে তাতে আর কারোর সন্দেহ নেই।

একটা কোকিল আজ এই বসন্ত সকালে শুভায়নবাবুর বাড়ির সামনের নারকেল গাছটাতে কেবল কু-উ-উ কু-উ-উ করে ডেকে চলেছে। ওনার সেই যৌবনবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। পারমিতার সাথে শুভায়নবাবুর তখন প্রেম চলছিল। সাথে রেলের চাকরিটা তখন হব হব হচ্ছিল। অর্থাৎ উনি চাকরিটা পেতে চলেছেন। সেসময় শুভায়নবাবু পারমিতাকে নিয়ে পার্কে বসে কত সময়ই না কাটাতেন। পারমিতাকে বলতেন, ওনাদের একটা ছেলে হবে। সেও শুভায়নবাবুর মতো পড়াশোনা, খেলাধুলা সবকিছুতে পারদর্শী হবে। ওনাদের ঘর আলো করে সে ছেলে ছুটবে, খেলবে, কথা বলবে। কত আশা ছিল মনে! তারপর রেলের চাকরিটা হয়ে গেল শুভায়নবাবুর। পারমিতার বাবা ওনার সাথে পারমিতার বিয়ের ব্যাপারে এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। মহা ধুমধামে ওনার আর পারমিতার বিয়ে হলো। তারপর হানিমুন হলো। ওনারা হানিমুন করতে পুরী গিয়েছিলেন। সেখানে একটি পুত্রসন্তান লাভের আশায় জগন্নাথ মন্দিরে দুজনে পুজোও দিয়ে এসেছিলেন। যদিও ওনাদের আশা পরবর্তীকালে পূরণ হয়েছিল, তবে একটি মেয়ে, মানে এই রেখা জন্মাবার পর।

পারমিতা শুভায়নবাবুকে বলেছিলেন, ‘তোমার নাম শুভায়ন। আমাদের এই ছেলের নাম তোমার নামের সাথে মিলিয়ে আমি রাখলাম শুভ। এই নামটা বেশিরভাগ ছেলেদের ক্ষেত্রে ডাকনাম হয়ে থাকে। তবে আমাদের ছেলের এটাই হবে ওর ডাকনাম, আর এটাই হবে ওর স্কুলের নাম।‘
শুভায়নবাবু বলেছিলেন, ‘তাহলে তোমার কথাই থাক। আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই।‘

দুজনে খুব খুশি হয়েছিলেন। তবে আজ কেন এমন হলো! ঈশ্বর কেন তাঁদেরকে সেই রত্ন দান করে আবার তাকে হারিয়ে দিলেন কোন অজানায়, কোন অচেনায়। এর উত্তর এই দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে শুভর পরিবার সন্ধান করে চলেছে। কিন্তু উত্তর মেলেনি। তাই আজ এই বসন্তের কোকিল যেন বয়ে আনছে শুধু কালো শোকের মর্মর ধ্বনি। তার মিষ্টি ডাক শুভায়নবাবুর চিরসবুজ মনে কোনও রঙেরই রেখাপাত করতে পারল না। এমনটা হয়ে চলেছে এই পাঁচ বছর ধরে। আজ উনি রিটায়ার করবেন চাকরি থেকে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের মোটা টাকা, তা প্রায় সত্তর লক্ষ টাকা ওনার একাউন্টে ঢুকবে। একদম আজকেই। হয়ত আর কয়েক ঘন্টা পর। কিন্তু তার কোনও আনন্দই নেই শুভায়নবাবু বা তার স্ত্রী-কন্যার মনে। কী হবে টাকা দিয়ে। যে ভোগ করবে এ অর্থ, যার জন্যে এই টাকা, সে তো নেই। কোথায় যে ছেলেটা হারিয়ে গেল কে জানে! সে কি জীবিত আছে, নাকি এ-জগতের মায়া কাটিয়ে চলে যেতে হয়েছে তাকে, এনারা কেউ জানেন না।

উফ! শুভায়নবাবুর হৃদয়টা ভারি হয়ে ওঠে। ব্যথায় চিনচিন করে ওঠে। উনি রেখাকে ডাকেন। বলেন, ‘রেখা, তোর মাকে বলে দে, আমি অফিস যাব না ফেয়ারওয়েল নিতে। আমার ভালো লাগছে না। কিচ্ছু ভালো লাগছে না।‘ বাচ্চাদের মতো ককিয়ে কেঁদে ওঠেন শুভায়নবাবু। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওনাকে অফিস পাঠালেন স্ত্রী পারমিতা আর মেয়ে রেখা। আজ থেকে উনি পায়ে পাত ছাড়াই হাঁটবেন, ডাক্তার এমনটাই বলে দিয়েছেন। নিজে পায়ে হেঁটে রেলস্টেশনে গিয়ে একবুক কান্না নিয়ে ট্রেনে উঠলেন শুভায়নবাবু। একটু পরেই একটা ফোন এল শুভায়নবাবুর মোবাইলে। স্ত্রী পারমিতার ফোন। উনি ফোন রিসিভ করতেই ওপার থেকে পারমিতার গলা ভেসে এল, ‘এই যে শুনছ, আজ আমাদের বড় আনন্দের দিন গো! বড়ই আনন্দের আনন্দের দিন!’ এইটুকু বলে পারমিতা কাঁদতে লাগলেন।

‘কেন, আনন্দের কী হয়েছে?’, বলেন শুভায়নবাবু।

‘আমাদের শুভ বাড়ি ফিরে এসেছে।‘, ফোনের ওপার থেকে বললেন পারমিতা।

‘কীভাবে? তাই নাকি? উফ ভগবান! তুমি আছ। তুমি আছ। তুমি আছ।‘, শুভায়নবাবু খুশিতে পাগল হয়ে যেতে লাগলেন।

পারমিতা বললেন, ‘তুমি ভিডিও কল করো। ওর সাথে কথা বলো। ও বলছে, দুষ্কৃতীরা ওকে অনেক দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছিল। ও সেখানে অনেক কষ্টে এই পাঁচ বছর কাটিয়েছে। ওর সব কথা শোনা হয়নি এখনও। তুমি সাবধানে বাড়ি ফিরো। এসে সব শুনব আমরা ওর থেকে।‘

আজ শুভায়নবাবু সুস্থ হলেন। পায়ে লাগানো পাত খুলে পাত ছাড়াই হাঁটতে পারছেন। ওনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সত্তর লাখ টাকা ঢুকল। আর পাঁচ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলেও এইমাত্র ফিরে এল। আজ ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে সুন্দর করে একটা স্পীচ দেবো।–এই কথা ভাবতে ভাবতে শুভায়নবাবু ট্রেন থেকে নেমে অফিস যাবার জন্যে অটো ধরতে অটো স্ট্যান্ডের দিকে পা বাড়ালেন…

মনসুর আলি | Mansur Ali Gazi

New Bengali Poetry 2023 | সামসুন্নাহার ফারুক | কবিতাগুচ্ছ

New Bengali Poetry 2023 | মোঃ ওয়াসিউর রহমান | কবিতাগুচ্ছ

New Bengali Poetry 2023 | তৌহিদুল ইসলাম | কবিতাগুচ্ছ

New Bengali Poetry 2023 | প্রতিম ঘোষ | কবিতাগুচ্ছ

Shesh Belay Lyrics | Shesh Belay | Shesh Belay Hardcover | Shesh Belay mp3 song | Shesh Belay chord | Shesh Belay movie | Shesh Belay bengali story | Shesh Belay film | Shesh Belay bengali pdf | Shesh Belay bengali movie | Shesh Belay bengali film | Shesh Belay song download | Shesh Belay short story | Shesh Belay script | Shesh Belay script download | Shesh Belay serial | Shesh Belay drama | Shesh Belay long story | Shesh Belay pdf download | Shesh Belay video download | Shesh Belay memory | Shesh Belay new version | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment