বিনায়ক ঘোষ – সূচিপত্র [Bengali Story]
শেষ পরিণতি – বিনায়ক ঘোষ [Sesh Parinati]
রোজ এক একঘেয়েমি জীবনযাপন করে কলেজ জীবনের ছাত্রনেতা আশুতোষ বেরা। বাড়ি থেকে অফিস, অফিস থেকে বাড়ি, সকাল ৯:০০টায় বের হয় আর ঢোকে রাত ৯:০০টায়। জীবনের সবটুকু দিয়ে দিয়েছে তার কাজে বলে রাখা ভালো আশুতোষ খুব লড়াকু আর কাজপাগল ছেলে কোনো কাজ একবার শুরু করলে যতই বাঁধা আসুক সেই কাজটা সে শেষ করবেই। আজ হয়তো ও বিধানসভার সদস্য হতে পারত। একদমই বাড়িয়ে বললাম না, কলেজে রাজনৈতিক পালাবদলের প্রধান নেতৃত্ব ও নিজেই দিয়েছিল। একবার কাউন্সিলার হওয়ার সুযোগও এসেছিল, কিন্তু তাঁর বাড়িতে রাজনীতি জিনিসটাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিলো। তাই সবকিছু ছেড়ে এখন এই শহরের কোলাহলে শুধু কাজ আর জীবন অতিবাহিত করার জন্য তার ক্ষীণ প্রাণকে সে বাঁচিয়ে রেখেছে। অফিসে লিফটে ওঠার সময় মাঝে মধ্যে এইসব কথাগুলো সে মনে করে। তবে জীবনে কর্মক্ষেত্রে বেশ উন্নতি করেছে আশুতোষ। ইদানীং তার কাজের বড্ড চাপ চলছিলো। অফিসে প্রচুর নতুন লোক নেওয়া হবে তার জন্যই ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নপত্র বানাচ্ছে সে। সেদিন ছিলো ইন্টারভিউ ও প্রশ্নপত্র নিয়ে লিফটে উঠছিলো, ঠিক সেই সময় একটা মেয়ে হঠাৎ প্রায় ঝড়ের বেগে আবির্ভূত হলো। লিফটের দরজা প্রায় খুলিয়ে ভেতরে ঢুকলো। আশুতোষ এতে খানিক বিরক্ত হলো মেয়েটি কিছু করা কোথাও শুনিয়ে দিলো। মেয়েটির তাকে চেনা চেনা লাগছিল। তাই আর অপেক্ষা না করে বলেই ফেললো “আমি কি আপনাকে চিনি?” আশুতোষ অচেনা কারুর সাথে কথা বলতে পছন্দ করি না। কিন্তু মেয়েটির গলার স্বর তার চেনা লাগে, সে গম্ভীরভাবে কৌতূহলের সুরে বলে “হতে পারে”মেয়েটি আর কথা বাড়ালো না। মেয়েটি তাদের অফিসেই ইন্টারভিউ দিতে এসেছিল। আশুতোষ তার কেবিনে চলে গেলো আর মেয়েটি ওয়েটিং রুমে বসে রইলো।
হঠাৎ আশুতোষের সেদিন পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ছিলো মানে কলেজের বন্ধুদের কথা সে বুঝতে পারলো মেয়েটি আর কেউ নয় তার বন্ধুদেরই একজন। নামটা কিছুতেই তার মনে পড়ছিলো না তাই সে উঠে গিয়ে ইন্টারভিউ লিস্টটা চেক করে আর বুঝতে পারে ও অন্নিশ্রি ব্যানার্জী। নামটা দেখতেই আশুতোষ আনমনা হয়ে পড়ে তার পুরোনো দিনের অনেক কথা মনে পড়ছিলো…। লিফটেই তাদের প্রথম আলাপ হয়েছিলো কলেজের প্রথম দিনে একবারে বন্ধ লিফট কে প্রায় খুলিয়ে ভেতরে ঢোকে সে। অন্নিশ্রিকে প্রথম দেখেই আশুতোষের মনের মধ্যে একটা আন্দোলন শুরু গিয়েছিল। বন্ধুত্বটা বেশ ভালোই ছিলো তাদের মধ্যে কিন্তু সেটা ওই লিফটের ওঠা নামাতেই সীমাবদ্ধ ছিল।সে কখনও তার মনের কথা তাকে বলে উঠতে পারেনি। তাদের আজ প্রায় ৭বছর পর দেখা, অন্নিশ্রির মুখেতেও অনেক বদল ঘটেছে তাই আশুতোষ আজ তাকে চিনতে পারেনি। আমি গিয়ে ওর কাঁধে হাত রাখতে ও চমকে উঠলো। আমি বললাম “কি হয়েছে তোর” ও “কিছু না” বলে কেবিনে চলে গেল। তার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো। হঠাৎই তার মনে হলো “এতদিনের বন্ধু ও, ওকে সকালের ব্যবহারের জন্য একটা সরি অন্তত বলা উচিত”। তাই তাড়াহুড়ো করে ওয়েটিং রুমে চলে গেলো ও কিন্তু অন্নিশ্রিকে সে আর দেখতে পেলো না তাই হতাশ মুখে কেবিনে ফিরে গেলো। কিছুতেই তার কাজে মন বসছিল না এতদিন পর দেখা তাও একটা কথাও ও বলতে পারে নি বলে বড্ড কষ্ট পাচ্ছিল। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে বেরিয়ে গেলো সে আর যাকে চাইছিলো সে তার সামনেই ছিলো। বলা যেতে পারে অন্নিশ্রি একটি কর্নারের সিটে আর অপর কর্নারের সিটে আশুতোষ। বাস থেকে নামার সময়তেও কোনো কথা বলতে পারলো না ও। বিষণ্ণ মুখে বাড়ি ফেরে ও। ১০বছরের চাকরি জীবনে প্রথম বার এতো তাড়াতাড়ি ও বাড়িতে ফেরে তাই ওর মা একটু চিন্তাতেই পরে যায়। পড়ের দিন সকাল বেলা ওর মা আরো চমকে যায় ছেলের সাজপোশাক দেখে। জিজ্ঞেস করে “তোর কি কিছু হয়েছে,কাল তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলি, আজ আবার এই জামাপ্যান্ট “আশুতোষ মৃদু হেসে বলে”এমনি “। আশুতোষের এই বদলে তার মা খুশিই হয় কারণ কলেজের পর থেকে ও কেমন আলাদা হয়ে গিয়েছিল। সেদিন তার প্রফুল্লতার কারণ ছিল সেদিন অন্নিশ্রি আবার অফিসে আসবে সেটা সে জানতো।
সে ভেবেই রেখেছিল “আজ ওকে কিছু বলতেই হবে,কিছু না হোক অন্তত একটা সরি “।যথারীতি সে লিফটে ওঠে আর লিফটে ছিলো অন্নিশ্রিও। লিফট চলতে শুরু করতেই হঠাৎ অন্ধকার হয়ে গেলো এইরকম কখনও হয় নি। লিফট বন্ধ হয়ে গেলো। আশুতোষ ভাবলো এটা তার জন্যে ভালোই হয়েছে কারণ অন্নিশ্রির চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা তার ছিলো না। আর এই সুযোগে সে বলেই দিল “সরি” অন্নিশ্রি তার মোবাইলের টর্চটা জালালো আর তার মুখটা দেখলো আর বললো “ও আপনি আমি লক্ষ্যই করিনি। এই আপনি শব্দটা আশুতোষকে যেন অনেকটা দুরে সরিয়ে দিয়েছিল।সে বলে “আপনি কেন সেই কলেজের মত তুই বলতে পারলি না” অন্নিশ্রি বলে” আসলে আমার মনে হলো অনেকদিন পর দেখা তারওপর আপনি, থুড়ি তুই আমাকে চিনতে পেরেছিস কিনা বুঝতে না পেরে আপনি বলেছিলাম “এখানে যে ভুল আশুতোষেরই সেটা সে বুঝতে পারে। আবার অন্নিশ্রি বলে “কিন্তু সরি কেন?”। ও বলে”আসলে কাল তোকে একটু বেশিই বলে ফেলেছিলাম”। অন্নিশ্রি জোড়ে জোড়ে হাসে বলে”ও ঠিক আছে,তোর মনে নেই কলেজের ফার্স্ট দিনে তুই ঠিক এইভাবেই বকেছিলিস” আশুতোষ বলে”তোর এখনও মনে আছে”। অন্নিশ্রি মৃদু হেসে বলে”আরও অনেক স্মৃতিই আমার মনের মধ্যে রয়ে গেছে ” তারা দুজনে মোবাইলের আলোয় আনমনা হয়ে নিজেদের দিকে তাকিয়ে থাকে। লিফট এর লাল আলো জলার সাথে তাদের হুশ ফেরে, তারা দুজনের দিকে তাকিয়ে এক রূপকথার দেশে পারি দিয়ে ফেলেছিল খুব কম সময়ের মধ্যেই। লিফটের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া তাদের দুজনের স্বাভাবিক বলে মনে হয় নি। তবে এর জন্য কোনো প্রতিবাদ তাদের মনে জন্মায় নি সেদিন। কারণ, সব আলোর মধ্যে অন্নিশ্রি যেমন আশুতোষকে চিনে উঠতে পারেনি, তেমনি ঘটনা ঘটে বিপরীতেও। তারা এই বন্ধ হওয়া লিফটেই যেন তাদের হারানো দিনগুলোকে খুঁজে পাচ্ছিল। আশুতোষ ভাবে “এবার যদি কথা না শুরু করতে পারি তাহলে কখনও আর সম্ভব হবে না “। তাই সেই শুরু করলো “অন্নিশ্রি কতদিন পর সময় আবার আমাদের এক জায়গায় নিয়ে চলে এলো বল!” অন্নিশ্রি বলে “তুই নিজেই বলেছিলি, আর আমাদের কখনও দেখা হবে। কিন্তু অবশেষে হয়েই গেলো। তবে সেই শেষ দিনে বইপাড়ায় আড্ডাটা এখনও মিস করি…”
আশুতোষ খানিক বিরহের সুরে বলে” সত্যিই কারোর সাথে আর কথা নেই, সেই বন্ধুত্ব নেই, শুধু জীবন অতিবাহিত করার জন্য এই কাজ এখন সঙ্গী, তবে আমার ওই শেষ দিনের কথাটা প্রায় সত্যি কিন্তু!” অন্নিশ্রি কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটু মৃদু হাসি হেসে বলে” তা..প্রায় নয়, এটা অদম্য সত্যি হয়ে পড়েছে জীবনে। তোর সাথেও তো প্ল্যান করে দেখা করা নয়, শুধু ইন্টারভিউ দিতে এসে দেখা হয়ে গেলো! ” একটু থেমে ও আবার বলে”তা এখন আর পলিটিকস আর কবিতা হয় নাকি ” আশুতোষ বলে ” না রে, সব কিছুর থেকে আমি অনেক দূরে চলে এসেছি আমি। আমার কাছে ওটা এখন অন্ধকার যুগ.. আমি শুধু জীবন চালাতে হবে তাই চালাচ্ছি, শুধু চাপ নিয়েই রোজ হেঁটে যাচ্ছি।” অন্নিশ্রি আশুতোষের দিকে ভুত দেখার মত তাকিয়ে থাকে, তার কাছে এসব কিছু মজা মনে হয় কারণ কবিতা পাগল, রাজনীতি পাগল একটা ছেলে যে এইভাবে বদলে যেতে পারে এটা সে তাকে না দেখলে জানতে পারত না। সে বলে “তোর মুখে এই ধরনের কথা শুনে আমার অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।একটা মানুষ এত বদলে যেতে পারে সেটা তোকে না দেখলে বোঝা যেতো না” আশুতোষ বলে ” কি করবো বল… সময় আমাকে বদলে দিয়েছে। জীবনে অনেকের অভাব আর সবার কথাকে মেনে চলার জন্য আমি আজ এই জায়গায়” আশুতোষের চোখের কোনায় হালকা জলের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। অন্নিশ্রি তাকে আর দুঃখ দিতে চায় না তাই অন্য টপিক এ চলে যেতে চাইলো।সে বলে “তা এত বছরে জীবনে নতুন কেউ আর এলো না!” আশুতোষ একটা কটাক্ষের হাসি হেসে উত্তর দেয় “না। যাদের আসার কথা ছিল তারাই যখন এলো ন তখন আর অন্য কেউ আসবে কি করে।” অন্নিশ্রির মনে হলো কথাগুলো যেন সে তাকেই বলছিলো। তারা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো।
হঠাৎই আশুতোষ রিসেপশনে ফোন কর, এই লিফট বন্ধের কারণ জানার চেষ্টা করেছিল । কারণ অনেক সময় পার হয়ে গিয়েছিল তাও লিফট স্টার্ট হয়নি, আর এই দিকে দুজনেরই অক্সিজেনের অভাব বোধ হচ্ছিলো। কিন্তু রিসেপশন থেকে কেউ ফোন তোলেনি। আস্তে আস্তে সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল লিফট চলার কোনো আভাসই পাওয়া যাচ্ছিল না। আশুতোষ একরকম বিরক্ত হয়ে পড়েছিল এবার, তবে এতক্ষণ যে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে লিফট বন্ধ থাকতে পারে সেটা আশুতোষের একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। তাই সে মোবাইলটা বের করে কিছু বোঝার চেষ্টা করে এবং তারপর যা দেখে তাতে আশুতোষের হার্টবিট ১০০ পার করে দিয়েছিল। লিফটের দমবন্ধতায় এবং চিন্তায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো। অন্নিশ্রি তার হাত থেকে মোবাইলটা কেরে নিয়ে সবকিছু বোঝার চেষ্টা করে। আসলে সেদিন কলকাতায় যা হয়েছিলো তা শিহরণ জাগানোর মতই ঘটনা। সেদিন তাদের বিল্ডিংয়ে টেরোরিস্ট অ্যাটাক হয়েছিলো। তারা বিল্ডিং এ অ্যাটাক করার সাথে সাথেই পুরো বিল্ডিং এর বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিলো। তাই তাদের লিফট বন্ধ। কোনো উপায় না খুঁজে পেয়ে কলকাতা পুলিশে ফোন করে নিজেদের আটকে থাকার কথাটা জানায় কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়” আমরা ফোর্স পাঠিয়েছি সরকারের সাথে ওদের দাবি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে , তবে পুরোপুরি অন্ধকার হওয়ার আগে আমরা কিছু করতে পারব না” অন্নিশ্রি ও আশুতোষ আর সহ্য করতে পারছিল না। লিফটের মধ্যে অক্সিজেনের অভাব তারা অনুভব করছিলো। লিফটের মধ্যে যে লাল আলো জ্বলছিল তাও নিভে গিয়েছিল। এবার তারা মোবাইলের লাইটটা জ্বালায়। তবে সেটাও ছিলো ক্ষীণ। এই অন্ধকার, অক্সিজেনের অভাবে তাদের গ্রাস করছিলো। এইভাবে যে আর বেশিক্ষণ বেঁচে থাকা সম্ভব নয় সেটা তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। অন্নিশ্রির শরীরও খারাপ হতে করে দিয়েছিলো। দুজনে আসতে আসতে কথা বলার শক্তি টুকুও হারিয়ে ফেলছিলো এবার আশুতোষ ভেবে নিয়েছিল আর জীবনে যে কটা মিনিট সময় আছে তার মধ্যেই তাকে সব বলে ফেলতে হবে। আশুতোষের কথা বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু সে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি, সে বলে” অন্নিশ্রি আমাদের হাতে আর বেশি সময় নেই। তাই যে কথাটাকে আমি চিরদিন মনের মধ্যে বন্দী করে রেখে দিয়েছি আমি সেটা তোকে বলে দিতে চাই।” অন্নিশ্রি তখন আর কোনো কথা শোনার অবস্থায় নেই সে খালি বলে”আমি আর পারছি না। মৃত্যু আমাদের গ্রাস করতে চলেছে। যদি কিছু বলতে ইচ্ছা করে বলে দাও। নাহলে এই কথাটা চিতাকাঠে জ্বলে যাবে কেউ কখনও জানতে পারবে না।” আশুতোষ একটু কাশে, তার প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো সে অন্নিশ্রির হাতটা চেপে ধরে আর বলার চেষ্টা”অন্নিশ্রি কলেজে সেই প্রথম দিন তোকে লিফটে দেখার পর থেকেই আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম, আজ পর্যন্ত এই কথাটা মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম ” বলার শক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলে আশুতোষ তার চোখ অন্ধকার হয় আসে শুধু সে শুনতে পায়” ভালোবাসি আমিও তোমাকে ভালোবাসি।” তবে অন্নিশ্রি তার কথাটা না শুনেই হয়তো এই কথাটা বলে কারণ তারা দুজনই তখন প্রায় সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। তারপর আর ক্ষীণ প্রাণশক্তি টুকুও তাদের মধ্যে জীবিত থাকে না। তাদের একটা বিষয় কোনো আক্ষেপ থাকে না কারণ তারা জীবনের শেষ মুহূর্তটুকু একে অপরের হাতে হাত রেখে কাটাতে পেরেছে। মোবাইলের টর্চের আলোটা তাদের নিশ্বাসের মতই বন্ধ হয়ে যায় আর হয়তো অনেক না পাওয়া নিয়েই তাদের চলে যেতে হয়েছিল। বিকেল ৫:৩০টা বাজতেই পুলিশ এবং আর্মি বিল্ডিংয়ে ঢুকে পরে ততক্ষণে টেরোরিস্টদের হাতে মৃত্যু হয় চার জনের। প্রায় আধঘন্টার গুলির লড়াইয়ে টেরোরিস্টদের পরাস্ত করে আর্মি ও পুলিশ। শহরে ১৪৪ ধারা জারি হয় খুব তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ উদ্ধারকার্য চালায় এবং সবাইকে উদ্ধার করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর যখন লিফট আবার চলতে শুরু করল তারপর 15 ফ্লোরে এসে লিফটের দরজাটা খোলে আর লিফটের ভেতরে তখন নিরপরাধ, নীরব শান্ত ঘুমে স্বপ্নের দেশে পারি দিয়েছে তারা। তাদের এই বাস্তব জগৎ আর আটকে রাখতে পারবে না। যে মতপার্থক্য, বিবাদ তাদের দূরে রেখেছিল, সেই সবকিছুই আজ অতীত। আর হয়তো কোনোদিন কোনো একটা দামাল ছেলে কলেজ ক্যাম্পাসে ঝাণ্ডা হাতে দাপিয়ে বেড়াবে না। কোনো প্রেমিক হয়তো আর তার না বলা কথাটা লুকিয়ে রাখতে পারবে না। শুধু তাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে একটা নীরব ভালোবাসা যার তাৎপর্য শুধু না বলতে পারা। সেদিন টেরোরিস্ট অ্যাটাকে কলকাতায় মৃত্যু হয় মোট ৬ জনের প্রত্যেকেরই হয়তো জীবনে অনেককিছু না বলতে পারার আক্ষেপ থাকবে কিন্তু আশুতোষের সেটা থাকবে না কারণ তার মনে জমে থাকা সব কথা সে তার আগন্তুককে বলে দিতে পেরেছে। আর দুজনেই আজীবনের মতো এক হয়ে যেতে পেরেছে। এই পৃথিবী, প্রকৃতি, লোক সবার ঊর্ধ্বে তখন চলে গেছে তারা।” হয়তো এ জনমে নহে, হয়তো পর জনমেও নহে, আমরা হয়তো এক হইতে পারিব নাহি, তবুও অমর আমি – তুমি আর আমাদের ভালোবাসা” শেষবার হয়তো এই ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিল তাদের মুখ থেকে। এভাবেই হয়তো তাদের ভালোবাসার বেঁচে থাকা আর এই হয়তো তাদের ভালোবাসার শেষ পরিণতি……..
“বিরহেরও অন্তরালে …”।।
বিনায়ক ঘোষ | Binayak Ghosh
New Bengali Story 2023 | গল্পগুচ্ছ | মলয় দাস (পরিযায়ী)
Poila Baisakh 1430 | স্মরণে-বরণে ১লা বৈশাখ
New Bengali Story 2023 | গল্পগুচ্ছ | দেবাশিস পোদ্দার
New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা
শেষ পরিণতি | ভালবাসার শেষ পরিণতি | শেষ পরিণতি মানে কি ইংরেজি | শেষ পরিণতি কিশোর সিরিজ | যে প্রেমের শেষ পরিণতি বিয়ে | পৃথিবীর শেষ পরিণতি ব্ল্যাক হোলে | শেষ পরিণতি হিসেবে আসা | সর্বময় ক্ষমতা ও শেষ পরিণতি | পরিণতি শব্দের অর্থ | ভালোবাসার শেষ পরিণতি খুন | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
Sesh Parinati 2023 | New Story – Sesh Parinati | Bengali Story Sesh Parinati | Sesh Parinati – Bengali Story | Best Story – Sesh Parinati | Trending Story – Sesh Parinati | 2023 new story – Sesh Parinati | Sesh Parinati in pdf | Sesh Parinati video download | Sesh Parinati video 2023 | Sesh Parinati bengali book | Sesh Parinati story book pdf | Sesh Parinati Netflix | Sesh Parinati pdf download | Sesh Parinati – Bengali Story pdf | New flim – Sesh Parinati | 2023 film – Sesh Parinati | Web Series – Sesh Parinati | Shabdodweep Story – Sesh Parinati | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep | Shabdodweep Writer | Shabdoweep Founder
অল্প ভেবে এই গল্পটা লিখেছিলাম, সকলকে অনুরোধ করছি পড়ার জন্য। ভালো লাগবে কিনা সেটা বলতে পারবো না, কিন্তু একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে এটুকু বলতে পারি। সকল পাঠকদের গল্পটি পড়ার অনুরোধ জানাই এবং নিজের মতামত জানান, খারাপ লাগলেও সেটাই জানান আমাদের লেখকদের শুধু এই support টুকুই দরকার
– বিনায়ক ঘোষ ( সুভাষ)