মহুয়া ব্যানার্জী – সূচিপত্র [Bengali Poetry and Story]
বৃষ্টি লেখা – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
শরীর ছুঁয়ে মুখর শ্রাবণ
হৃদয় আকুল করে।
ভাসলো দুকুল মন কেমনের
উথাল পাথাল ঝড়ে।
শীত -বিকেলের অকাল বর্ষণ-
শিরশিরানি হাওয়া,
রঙবেরঙের মরসুমী ফুলে
আমার গোপন চাওয়া।
বসন্ত দিন বৃষ্টি হলে
পলাশ পাগল হয়,
রঙিন ফাগের নেশায় এ মন
তোমায় ছুঁয়ে যায়।
বৃষ্টি হলেই তোমার কথা,
মনের পায়ে নূপুর।
বৃষ্টি আমার একলা ছাদে
ভিজে চুপচুপে দুপুর।
এই শ্রাবণ – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
শ্রাবণ বড় অবুঝ হয়ে মনখারাপে ভাসে,
মনের অসুখ মেঘ দেখলেই বিরহী যক্ষ
হয়ে গভীর থেকে গভীরতর সুখের খোঁজে
কবিতার খাতায় এলোমেলো আঁচড় কাটে।
বিদ্যাপতির নায়িকা সে সময় অভিসারের
প্রস্তুতি নেয় আধুনিক মুঠোফোনের
নৈশ উত্তেজনায় ভর করে বিনিদ্র বিছানায়।
আজকাল মত্ত দাদুরী নিছকই থপথপে
ব্যাঙ হয়ে আগ্ৰাসী সরু জিভে গিলে নেয়
সমস্ত শুভ বোধ , ভালোবাসা…
তবুও ঘুমের ঘোরে মাঝে মাঝে
ভেসে আসে ছলনার সে বাঁশির সুর।
হৃদপদ্মস্থিত রাধা তখনই জেগে ওঠে-
নিজেকে বিলিয়ে দেয় সম্পূর্ণ সমর্পণে।
এমন দিনে – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
মেঘলা আকাশ মুখভার করে
বলছে ঝড়ের পূর্বাভাস।
ঠিক তখনই একটা মনের
কোণে জমছে প্রেমের আশ।
মাতাল নদীর পাড় ভাঙছে
বর্ষা দিনের জলোচ্ছ্বাসে।
ঠিক তখনই বাঁশির সুরে
এক যমুনায় জীবন ভাসে।
রিমঝিম থেকে টাপুর টুপুর
ঝিরিঝিরি হয়ে ঝমঝম,
ঠিক তখনই শহর জুড়ে
ভালোবাসার ঘড়িতে দম।
রাস্তা জুড়ে জলস্রোতে
ভাসছে যখন সবকিছু
ঠিক তখনই ব্যস্ত মন এ
কলেজ স্মৃতির নেয় পিছু।
মেঘ ভিজিয়ে বৃষ্টি যখন
খোলা জানালা যায় ছুঁয়ে,
ঠিক তখনই কিশোর কবি
কবিতা লেখে তোমায় নিয়ে।
উদ্ধত আকাঙ্ক্ষা – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
একটা আকাশ বললো ডেকে
বন্ধু খেলবি চল।
বুকের ভেতর পাহাড়ি নদী
জল ছলাৎ ছল।
কুয়াশা মাখা পাইন বনে
হারায় এ মন,
বিপজ্জনক পথের বাঁকে
চলাচল আজীবন।
সবুজ ঘাসের মায়ায় ভরা
স্বপ্নের ঘরবাড়ি,
সফেন ঢেউয়ের চুড়ায় বসে
জীবন নাওয়ে পাড়ি।
এসব নিয়েই ছিলাম, আছি।
থাকবো চিরকাল।
সব অসুখ মুছে আবার
জিতবে মহাকাল।
ঠিকানা – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
তোমায় এত ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেন?
বহুদিন ধরে একা হাঁটছো তাই
বুঝি পথের ক্লান্তি তোমায় ঘিরেছে?
কি বললে? শহরের রাস্তায় জমা জল
ঠেলে আমার কাছে আসতে হয়,
শীত রাতে কাঁপতে কাঁপতে উষ্ণতার
খোঁজে এই ঠিকানায় এসেও সাড়া পাওনা!
তাই অভিমানে অনাদরে রাজ্যের
ধুলো জমেছে তোমার চারপাশে?
আহা গো! কি করি বলো,
আমারও যে কঠিন শৃঙ্খল।
এবার একটু শান্ত হয়ে বসো তো।
তোমার কপালে ঠাণ্ডা হাওয়া বুলিয়ে দিই।
আমার গায়ে তোমার চিহ্ন দাও।
ঝরা পাতা সরিয়ে প্রথম রাতের মত
তীব্র চুম্বন এঁকে দাও আমার বিবর্ণ শীতল ঠোঁটে।
দেখবে অসীম শান্তি তারপর।
সব পথের শেষে যে ঠিকানা তুমি খুঁজেছ,
তিনহাত মাটির গভীরে সেই ঘরে তুমি
পাবে অচঞ্চল নিস্তব্ধ শান্তির ঠিকানা।
আমিও তো কতকাল একা অপেক্ষায়-
এইবারে তুমি ঠিক ঠিকানায় এলে।
এইবারে সব পথের শেষ।
স্বাধীনতা ও বর্তমান – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে আজকাল।
রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে আমি
নিজেকে শৃঙ্খল বদ্ধ খুঁজে পাই।
অথচ আজ দীর্ঘদিন আমি ঘরের
বাইরে বেরোতে পারি না তবুও
রাস্তায় মানুষের মিছিলে নিজেকে খুঁজে পাই।
রাতের চরম শরীরী তৃপ্তির মুহূর্তে অক্সিজেন
কমে গিয়ে প্রাচীন বটের শিথিলতা নামে।
স্বয়ম্ অতৃপ্ত হলে পরকে কি
সুখী করা যায় ?
হাটে বাজারে থলিভর্তি করে ফেরার
পথে শুকনো মুখের শৈশব ছিন্ন পোষাকে
হাত বাড়ায়, আমি মুখোশ পরে নিই।
ক্লান্ত শ্রমিকেরা যখন মাইলের পর
মাইল হেঁটে চলে, আমি তখন
স্যানিটাইজ করে ফেলি সব প্রতারণা।
মুখোশের সংসার করি, ভালোবাসা খেলি।
এইভাবে অভ্যস্ত হতে হতে হঠাৎ
পরাধীনতার উপলব্ধি জাগে।
এই পরাধীন দিনযাপনের মাঝেই
ক্যালেন্ডারের পাতায় পনেরোই আগস্ট আসে।
আইশোলেসানে থাকা আমি মনঃশ্চক্ষে দেখি
স্বাধীনতার সৈনিকগন ডাক্তার নার্স
বৈজ্ঞানিক সহ জরুরী পরিষেবার
কর্মী হয়ে আমাদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে ব্যস্ত।
অনিশ্চয় – মহুয়া ব্যানার্জী
জানি দেখা হবে,হয়তো বা হবে না।
যদি দেখা হয় এ দুঃসময় কাটিয়ে,
তবে তোমার জন্য নিজেকে সাজাবো।
শিশিরে ধুয়ে নেবো চুল আর শরতের
নীল মেঘের শাড়িখানি জড়িয়ে নেবো যৌবনে।
কর্মব্যস্ত ঘামের বিন্দু মুছে নেবো
শিউলির পেলব পাপড়িতে।
তারপর তোমার পছন্দের কবিতাগুলো
গলায় কানে সারা অঙ্গে সাজিয়ে নেবো।
সেদিন আর রোজকার একঘেয়ে
সুর তুলবো না সংসারের তন্ত্রীতে।
জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া উঠোনে
সুখ-দুখের শীতলপাটি বিছিয়ে আমরা
সারারাত শুধু ভালোবাসা গড়বো পরম আবেশে।
যদি দেখা হয় তবে তোমাকে শোনাবো
আমার সে গোপন উচ্চারণ –
কিন্তু , যদি দেখা না হয়?
যদি না কাটে এ কালো অমানিশা?
তুমি কি থাকবে আমার অপেক্ষায়?
তুমি থাকবে আমার অপেক্ষায়।
অথবা আমরা থাকবো অপেক্ষায়।
হয়তো বা থাকবো না?
সুতো – মহুয়া ব্যানার্জী
কোজাগরী চাঁদ ডুবে যাবে
শিশির সিক্ত ভোরের শরীরে।
শ্রান্ত লক্ষীপেঁচাও একসময়
ফিরে যাবে নিশ্চিন্ত কুলায়।
মায়ের বুকে ঠোঁট ছুঁয়ে শিশুটি
দেয়ালা করবে অলক্ষ্যে।
গোয়ালের গায়ে ধানের মরাইয়ে
চুইয়ে পড়বে কৃষকের শ্রী।
আবেশী নববধূর ঠোঁটে ফুটে
উঠবে সোহাগের ক্ষত।
হৈমন্তী প্রকৃতি প্রসবের পরের ক্লান্ত হবে-
ফুরাতে ফুরাতে একসময় শেষ
হবে মোহনীয় এ মধুরাত।
তবুও তো থেকে যাবে
অচেনা মুহূর্তে ধরে বেঁচে
থাকা বন্ধুত্বের মায়াময় রেশ।
রেশম সুতোর মত পাকেপাকে
জড়িয়ে থাকবে নরম সম্পর্ক।
দূরত্বের সীমারেখা ছুঁয়ে শান্ত
পারাবারে গাঢ় হবে অতীত যাপন।
স্বগতোক্তি – মহুয়া ব্যানার্জী
অনেক দিন কথা হয়নি
হয়তোবা হয়েছে মনে মনে।
অনেক দিন মনে পড়েনি আমায়।
অথবা মনে করেছ কাজের ফাঁকে।
কে জানে ঠিক কি ভেবেছ
আমায় নিয়ে এতকাল!
দূরত্ব কি মনকেও দুরে ঠেলে দেয় ?
কে জানে হয়ত দেয় না।
ভরসা গভীর হলে নীরবতা
বিশ্বাসের শব্দ বয়ে আনে।
বহুদিন অদর্শনেও ঠিক বুঝে
নেওয়া যায় পরস্পরের অ-সুখ।
উত্তাল সমুদ্র-ঝড়েও দিকভ্রষ্ট
নাবিক খুঁজে পায় শান্ত বালুচর।
আমি তোমার দুঃখ ছুঁয়েছি বলেই
হারানোর ভয় আজ আর নেই।
একটি যুদ্ধের জন্য – মহুয়া ব্যানার্জী
প্রেমিক কৃষ্ণের পেলবতা নয়,
চক্রধারীর শাণিত কূটনীতি আর
রক্তাক্ত যুদ্ধে অবিচল কাঠিন্য নিয়ে
জেগে উঠুক সমস্ত প্রতিবাদ।
অন্নপূর্ণার ভাণ্ডার লুটে খায় যে
অসুরের দল, কালো মেয়ের খড়গে
বিনাশের শোণিত বয়ে যাক সেই
সব ছিন্ন মস্তক শবদেহের থেকে।
বাঁশির সুরে মিশে যাক প্রমত্ত হুলুধ্বনি।
যে শ্মশানে নারীমাংস খুবলে খায়
লোভী শৃগালের বুভুক্ষা-
যে পৃথিবীতে অসুরক্ষিত নিষ্পাপ শৈশব
কুরুক্ষেত্র না হয় হলো সে সমাজ পুনর্বার।
রণচণ্ডীর উন্মাদনায় পাঞ্চজন্যের নিনাদে
কেটে যাক সব অশুচি।
শিক্ষার মশাল জ্বালিয়ে দিক মনের কালো।
কলমটা শক্ত করে ধর মেয়ে-
কলমটাই তো খড়গ আর ত্রিশূল হবে।
কলমটাকে দর্প ভরে ধর মেয়ে,
ওটাই যে তোর মহাকালীর শক্তি হবে।
কলমটাকে আঁকড়ে ধরে চল মেয়ে,
ওই কলমই শ্যামের মত বন্ধু হবে।
কলমটাকে মশাল করে হাঁট মেয়ে,
এই কলমই অন্ধকারে পথ দেখাবে।
আজ ফাগুনে – মহুয়া ব্যানার্জী
বসন্ত দিন ডাক দিয়ে যায়,
সর্বনাশের অমোঘ টান।
দিগন্ত জুড়ে ফুলের জলসা,
পলাশ শিমুলের বসন্ত গান।
ফাগুন যেন আগুন মেখে
আকাশ গায়ে খেলছে হোলি।
সূর্য তার আবীর রঙে
সোনাঝুরি বনে ছড়ায় লালি।
ঝরা পাতার বাজলো নূপুর,
খেয়ালী বাতাসে মনখারাপ।
এলোমেলো যত ভাবনারা সব
এমন দিনে খুব চুপচাপ।
বিরহ অথবা প্রেমের আশা?
বসন্ত কি দীর্ঘশ্বাস?
মহুয়া নেশায় মাতাল দুপুরে
ফাগুন আনে শুধু ভালোবাসা।
ঝড় – মহুয়া ব্যানার্জী
হাঁটাপথ পাড়ি দিতেও ছুটতে হয়,
অথচ তেমন কোন কথা দেওয়া ছিল না।
বলা ছিল না যাওয়ার কথা,
পৌঁছনোর খবর তবুও পৌঁছে যায়।
শান্ত নদীর বুকে নিস্তরঙ্গ যাত্রা আপাতদৃষ্টিতে…
এদিকে লুকনো নিম্নচাপ বুকের পাঁজর
গুঁড়িয়ে সবকিছু তছনছ করে দেয়।
তুফানের এলোমেলো হাওয়ায়
মুছে যায় বসতঘর, জন্মদাগ সব-
ঝড়ের খেয়া বেয়েই তবু ক্ষণিকের পথ চলা।
অমর একুশ – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
ফেব্রুয়ারির একুশ একটা
নিছক সংখ্যা নয়।
একুশ একটা প্রতিবাদ আর
করতে শেখা ভয়কে জয়।
একুশ মানেই হিন্দু মুসলিম
একসাথে এক ঠাঁই,
মাতৃভাষার সম্মানে তারা
বুক চিতিয়ে করেছে লড়াই।
একুশ আমার তপ্ত কপালে
মায়ের নরম হাত,
একুশ হলো বাঙালী মননে
উজ্জ্বল সুপ্রভাত।
অমর তারা শহীদ যারা
আমাদেরই ভাইবোন।
তাদের জন্যই গাইছি আজ
মাতৃভাষায় জয়গান।
এই দিনটির জয়ধ্বজা
উড়ছে দেখো দিগ্বিদিক
সার্থক বলিদানে আজ
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক।
খেলা – মহুয়া ব্যানার্জী [Online Kobita ebong Golpo]
‘গোওওওওল,” বলটা এক শটে জালে জড়িয়ে যেতেই সারা স্টেডিয়াম ফেটে পড়ল চিৎকারে।স্বপ্নের মতো লাগছিল রঙ্গার। রঙ্গা ওরফে মরিসন মুর্মুর কাছে আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার করা গোলে আজ দল জিতল। অনূর্ধ্ব উনিশের ভারতীয় ফুটবল দলের সিলেকশন ম্যাচ চলছে। সারা মাঠ জুড়ে আজ দাপটের সাথে খেলেছে মরিসন। অবশেষে এই গোলে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিতেই খানিকটা স্বস্তি ঘিরে ধরে তাকে। এত দিনের কঠিন পরিশ্রমের ফল এবার সে নিশ্চয়ই পাবে। দিন আনা দিন খাওয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তাদের গ্ৰামের মিশনারির ফাদার ডিসুজা। পেটের খিদে ধর্ম বোঝে না। খাওয়া পরার বিনিময়ে যীশুকে পুজো করতে তাদের গ্ৰামের সকলেই সম্মত হয়েছিল একযোগে। মিশনারিদের কল্যাণে গ্ৰামের মানুষদের শ্রী ফিরছিল। ঝাড়খণ্ডের রুক্ষ জমি থেকে কোলকাতার কোচিং ক্যাম্পে এই তিন বছরের পরিশ্রম মরিসনকে অনেক পোক্ত করেছে। ফাদার ডিসুজা ক্রমাগত মানসিক শক্তি জুগিয়েছেন। আজ তার ফল পাচ্ছে সে। কয়েকদিন পর সিলেকশনের খবর পেয়েই সে ছুটল তার গ্ৰামে। ফাদার আর তার বাবা মাকে চমকে দেওয়ার জন্য সে কাউকে খবর না দিয়েই চলে এসেছে।জঙ্গলের মাঝ দিয়ে লাল মাটির পাথুরে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে হাসে মরিসন। তার সুখবরটা শুনে ফাদারের মুখটা কেমন আলো হয়ে উঠবে ভাবতেই একটা খুশির হাওয়া বয়ে যায় মরিসনের মনে। জঙ্গলটা আজ কেমন শুনশান লাগছে। কেমন যেন থমথমে। এদিক ওদিক তাকিয়ে হাঁটতে থাকে জঙ্গলের ভূমিপুত্র মরিসন মুর্মু।
গ্ৰামের কাছাকাছি জঙ্গলের শেষ প্রান্তে আসতেই একটা গোলমালের আওয়াজ কানে এল। একি! দুরে গ্ৰামের দিক থেকে লেলিহান আগুনের শিখা আর ধোঁয়া আকাশ কালো করে ঢেকেছে। কয়েকজন এদিকেই ছুটে আসছে। ভয়ে মরিসন একটা গাছের আড়ালে দাঁড়ায়। মাথায় মুখে গামছা ঢেকে কয়েকজন ছুটে তার সামনে দিয়ে গভীর জঙ্গলে মিলিয়ে গেল। “এই তো এই খানে লুকিয়ে আছে,” বলতে বলতে কয়েকজন পুলিশ মরিসনকে ধরে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে দিল। তারপর তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই একেবারে অপরাধী তকমা দিয়ে জেলে চালান করল। জেলের কুঠুরিতে বসে মরিসন জেনেছিল কারা যেন ফাদার ডিসুজা সহ কয়েকজন মিশনারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল সেই দিন। আর পুলিশ বিনা প্রমাণে নিজেদের চাকরি বাঁচাতে হাতের কাছে যাকে পেয়েছে তাকেই ধরেছে। গরীব আদিবাসীর আবার উকিল, বিচার!আদিবাসী হলেই যে মুখে গামছা ঢাকা বিশেষ মতাদর্শের রাষ্ট্রদ্রোহী অথবা কোন সন্ত্রাসবাদী হয় না সেকথা কাকে বোঝাবে? বিচারের প্রহসনে তাই কেটে যায় দিন, মাস, বছর … ফুটবল খেলায় জিতে যাওয়া কিশোর মরিসন জীবনের খেলায় হারতে হারতে বৃদ্ধ হয়। তবুও জেলের কুঠুরির স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে শুয়ে স্বপ্ন দেখে, এক কালো সুঠাম কিশোর সবুজ ঘাস মাড়িয়ে পায়ে ফুটবল নিয়ে ছুটে চলেছে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের দিকে।
মহুয়া ব্যানার্জী | Mahua Banerjee
Bishnupur Fair | ফিরে দেখা – বিষ্ণুপুর মেলা (১৯৮৮-২০২১)
New Bengali Story 2023 | খুনসুটি | প্রসেনজিৎ মজুমদার
New Bengali Story 2023 | দায়-দায়িত্ব | প্রদ্যোৎ পালুই
New Bengali Story 2023 | দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী (পর্ব ২) | শওকত নূর
Whatsapp Story in Bengali | New Best Story Blogs | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | World’s Best Story Blogs | Best Story Blogs in Online | Online Whatsapp Story in Bengali | Full Online Kobita ebong Golpo | Online Kobita ebong Golpo Download | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Bengali Famous Story – audio | Top Whatsapp Story in Bengali | Whatsapp Story in Bengali Link | Best Whatsapp Story in Bengali | Live Whatsapp Story in Bengali | short story competition | Adult Whatsapp Story in Bengali | Best Selling Whatsapp Story in Bengali | Google Whatsapp Story in Bengali | Golpo Dot Com 2023 | Top Golpo Dot Com | Whatsapp Story in Bengali 2023 | Whatsapp Story in Bengali pdf | Whatsapp Story in Bengali Boi