Best Online Bangladesh Driving Story 2023 | Ep 3 – End | Atonu Das Gupta

Sharing Is Caring:

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (বাংলাদেশ পর্ব – ৩) – অতনু দাশ গুপ্ত [Online Bangladesh Driving Story]

তার এমন অদ্ভুতুড়ে আবদারে বেশ ভ্যাবাচেকা খেলাম। নিরুপায় হয়ে গাড়িতে ইগনিশন দিলাম। আগেই জানতাম গিয়ারিং করতে গিয়ে ভালোই তালগোল পাকিয়ে যাবে। হলোও তাই! গাড়ি ঠিকঠাক চালানোর সময় যে গতির প্রয়োজন হয় তার চেয়ে অনেক কম গতিতে চলতে লাগলো। প্রথমে গাড়ি চালিয়ে কিছুটা গিয়ে বামে মোড় নেওয়ার পর উনি গিয়ার পরিবর্তন করতে বললেন। পরিবর্তন করতে সমস্যা হতো যদি এর আগের রাতে সুমন ভাইয়ার এঁকে দেওয়া ছবিটা মাথায় না থাকতো। তবে দ্বিতীয় গিয়ারে দেওয়ার পর গতি বাড়লেও আমি কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়লে ট্রেইনার মাস্টার আবার আগের জায়গায় এসে চালাতে বললেন আর মুখে নিজে নিজে ফিসফিস করে কি সব অখাদ্য বকে যাচ্ছেন সেদিকে মন দিতে পারিনি। ওই জায়গায় সকালের দিকে তেমন কোন ভিড়-ভাট্টা হয় না বললেই চলে। প্রশ্ন হচ্ছে যখন রাস্তায় ট্রাফিক ভর্তি অবস্থায় চালানোর পালা আসবে তখন কি হাল হবে?

বারবার পাশ থেকে তাগাদা দিচ্ছেন আমাদের গুরুজী –
“স্পিড বাড়ান, হ্যাঁ, আরেকটু.. বাড়ান। “
“আরে? এই স্পিড দিয়ে তো কিছুই করতে পারবেন না আপনি। রাস্তায় এভাবে গাড়ি চালাইলে কোন দিকে না কোন দিকে ঠিকই লাগাই দিবেন!”
“কালকে যে কি শিখাইলাম কি জানি?”

অনেকক্ষণ কথা হজম করার পর বলতেই হল – “ভাই, আমি তো এর আগে কখনো চালাই নাই। কয়েকদিন চালাতে দেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। “

“হ ভাই, ঠিক হইলেই হয়! না হইলে তো আপনারে আবার অন্য ব্যাচে ভর্তি করন লাগবো!”

তখন মনে মনে ভাবছি, ট্রেইনার পরিবর্তন করা যায় কি না? কারণ এ ব্যাক্তিকে নিয়ে দূর দূর পর্যন্ত আশার কোন রকম আলো দেখতে পাচ্ছি না! ও এটাই চায় এখানে সবাই সবকিছু শিখে আসবে। আর উনি এখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন নেতার মতো নিজের প্রশংসাসূচক বাক্যবাণী প্রচার করবেন। চা-নাস্তা খাওয়ার পাশাপাশি বাকি সময়টা স্রেফ খোশগল্পে কাটাবেন। গত তিনদিনে এসবই দেখলাম। আমি বাদে অন্য যে-ই ড্রাইভিং সিটে বসেছে চালানোর জন্য আগের অভিজ্ঞতার সুবাদে কারই শেখার ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহ না থাকায় গালগপ্প বেশ জমে উঠছে। আমাকে নিয়েই গুরুজীর যত জ্বালা! না করতে পারছি গিয়ার নিয়ন্ত্রণ, না আছে স্পিডে কোন বাড়ন্তি। বেশ উশখুশ করতে করতেই কিভাবে যেন মিনিট পনের চালানোর পরে ট্রেইনার মহাশয়ের হুঁশ হলো বাকিদেরও চালাতে দিতে হবে। হোক সেটা নিছক লোক দেখানোর জন্য হলেও! ঝটপট করে আমার জায়গায় আসতে বললেন নাজমুলকে। ওই চালু ছেলে আমার জায়গায় এসে ড্রাইভিং সিটে বসেই হনহনিয়ে চালাতে লাগলো পুরোনো মডেলের টয়োটা গাড়ি। মনে হচ্ছে এতক্ষণ লড়খড়িয়ে চলতে থাকা গাড়িটায় হঠাৎই প্রাণের সঞ্চার হয়েছে! শুরুটা হত বি-আর-টি-সি’র পেছনের দিকে ট্রেনিংয়ের জন্য রাখা গাড়ির জায়গা থেকে। এরপর মূল ভবনের সামনে দিয়ে ঘুরে পেছনের দিকে একটা গলি বেয়ে গিয়ে আবার শুরুর জায়গায় ফেরত আসা। ব্যস! এতটুকু দূরত্ব পার হতে আমার নাকের আর চোখের পানি এক হয়ে গিয়েছিল। পরের জন রানা। আমাদের সম্মানিত গুরু মহাশয় বুঝে গিয়েছিলেন আনিসুর ভাইয়ের গাড়ি না চালালেও চলে। তাই ওনার জন্য বরাদ্দ সময়ের হিসেব সবচেয়ে কম রেখে বাকিদের চালাতে দিয়েছেন। এটা অবশ্য তার বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। এতদিনের লব্ধ অভিজ্ঞতায় কে কতদূর এগুবে সেটা বেশ তাড়াতাড়িই বুঝতে পারে সে। রানার কিছুটা জড়তা গাড়ি চালানোর শুরুতে সবসময়ই থাকে। পরে কেটে যেতেও বেশিক্ষণ সময় লাগে না। রানার ছোটবেলা থেকেই ও গাড়ি চালিয়েছে বিভিন্ন সময়। ওদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওখানে চালিয়ে বেশ মজা পেত। ভর দুপুরে গাড়ি চালানোর ফাঁকে অন্য বাড়িতে আম চুরির গল্পও বলে গেলো! সত্যিই, বেশ মজার এসব স্মৃতি। আনিসুর ভাইয়ের সময় লাগলো সবচেয়ে কম। উনি বসেই গাড়ির এক চক্কর দিতেই ট্রেইনারজী “ওকে” করে দিয়ে ওইদিনের পাঠ ওখানেই চুকিয়ে ফেললেন।

গাড়ি চালানো শেষ করে আনিসুর ভাইয়ের সাথে কিছুটা আলাপ হলো। ওনার ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকায় বেশ অসুবিধে হচ্ছে। অবশেষে তিনিও ব্যক্তিগত গাড়ির দিকে ঝুঁকলেন। ঢাকা শহরের অসহ্য যানজটের অন্যতম কারণ এই ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকা। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তরতর বেগে বেড়ে চলেছে গাড়ির সংখ্যা।

রানা আর নাজমুলের সাথেও কিছুক্ষণ কথা হলো এর পরদিন। ওরা আমাকে বেশ কিছু টিপস দিয়ে সাহায্য করলো। যদিও আমার যত অভিযোগ ছিল গুরু মহাশয়ের বিরুদ্ধে। ওদের ওদিকে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ নেই। আমার জন্য যখন গুরুজী মহাবিরক্তের কারণ তখন ওদের কাছে নানান গল্পের কথা শুনিয়ে আসর জমিয়ে ফেলা কোন বন্ধু! কত গল্প। কোনদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গল্প, তো কোনদিন মন্ত্রী মশাইকে আনতে গিয়ে ঝামেলা পোহানোর গল্প। তবে প্রায় প্রতি গল্পের উপসংহারেই দেখা যায় নায়ক আমাদের মহান ট্রেইনার। রীতিমত শুনে মনে হয় কেন ওনাকে দেশের “বিশিষ্ট ড্রাইভার” উপাধিতে ভূষিত করা হয়নি সেটাই বিবেচনা করে দেখা উচিত কর্তৃপক্ষের।

এরপরের সপ্তাহেও আমার কোন রকম উন্নতি তো দূরের কথা, বিরক্তি আরও চরম সীমায় পৌঁছল। এর আগে কোন জায়গায় ভুল করলে মহাশয় ধরিয়ে দিতেন। এখন তিনি স্রেফ চুপ করে পাশে বসে থেকে মজা দেখেন। আর ওদিকে পেছন থেকে রানা, নাজমুল বা কোন কোন সময় আনিসুর ভাই ভুল শুধরে দিতে থাকেন! খুব খারাপ লাগতো। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আর যা-ই হোক এখানে আর সময় নষ্ট করে কাজ নেই। অন্য কোথাও ব্যবস্থা করতে হবে। কোন প্রাইভেট কোম্পানি বা পরিচিত কাউকে যদি পাওয়া যায়! “দুর্জন বিদ্বান হলেও ত্যাজ্য” মাথায় রেখে আমার বাসা উত্তরার সেক্টরের আশপাশের জায়গায় টুকটাক খোঁজ নিলাম।

Bangladesh Driving Story

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (বাংলাদেশ – শেষ পর্ব) – অতনু দাশ গুপ্ত [Online Bangladesh Driving Story]

উত্তরায় যেখানে ড্রাইভিং শেখার খোঁজ নিলাম সেখানে খরচা সরকারি খরচের ঠিক দ্বিগুণ! এখন বুঝলাম কেন বি আর টি সি-তে ড্রাইভিং শিখতে এত ভিড়। স্বচ্ছল পরিবারের কর্তা,গিন্নি থেকে শুরু করে পেশাদার ড্রাইভার। সকলেই ভর্তি হচ্ছেন।

বাইরে ড্রাইভিং ক্লাস করলে সেটাও অবশ্য শেষমেশ এখানকার কোন হর্তাকর্তাদের ধরে লাইসেন্স কার্ড জোগাড় করতে হয়। তখন আবার উচ্চহারের উৎকোচ দেওয়ার ব্যাপার থাকে। কাজেই বলা যায় উভয় পিঠেই বেশ বড় অংকের খরচ লুকিয়ে আছে! শুরুতে যখন ভর্তি হচ্ছেন তখন দ্বিগুণ খরচ দেওয়ার পাশাপাশি অন্তে আবার কার্ডের জন্য পেছনের দরজায় টোকা লাগানো! এত ঝামেলায় না গিয়ে সবাই সোজা পথে হাঁটছেন। তখন দোটানায় পড়ে গেলাম। একদিকে প্রতিদিন প্রশিক্ষক মহাশয়ের তুচ্ছতাচ্ছিল্য হজম করা আর অন্যদিকে এত খরচের ধাক্কা!

মানসিক বিষণ্নতা নিয়ে নতুন কিছু শিখে ফেলার মতো মানুষ তো নই। ভাবলাম ড্রাইভার পরিবর্তন করা যায় কি-না সে খোঁজ নিয়ে দেখি। ওরা কারণ জানতে চাইলে বললাম, ওই সময়ে আমার আর সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আবার নতুন করে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তা-ও পরের মাসে ক্লাস শুরু হবে। বলা হয়, যখন কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন সমাধানের পথও খুলে যায়। আপাতত এর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। এদিকে আবার ঘুরেফিরে ক্লাসের সময় হয়ে গেল। ভাবছিলাম এর আগেই হয়তো একটা উপায় হয়ে যাবে। অগত্যা আবারও সেই দম বন্ধ করা জায়গায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে।

আজকের ক্লাসেও আমাকে দিয়েই শুরু হলো যাত্রা। এর আগের দিনের ভুলগুলো মোটামুটি কাটিয়ে উঠছি দেখে আজকে আরও কিছুটা গতি বাড়াতে বললেন গুরুজী। তখন আবার কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়ছিলাম। গাড়ি চালাতে গতির প্রতিক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েই যদি সমস্যা থাকে তাহলে বুঝতে হবে অবশ্যই শেখায় গলদ রয়েছে। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো গাড়ির বাকিরা এর আগের দিনের মতো আমাকে বিভিন্নভাবে বলে কয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করলেও ওইদিন গুরু মহাশয়ের নির্দেশ থাকায় ওরাও কিছু করতে পারলো না। টুকটাক ভুল করলেও ওইদিন বেশি সময় না থাকায় আনিসুর ভাইকে ড্রাইভিং সিটে ডেকে পাঠালেন। হয়তো উনি চালিয়ে দেখালে আমারও শেখা হয় তাই। ওনার চালানো দেখে সবকিছুই বেশ সহজ ঠেকলো। উনি একেবারে পাক্কা ড্রাইভার হওয়ায় ওনাকে ট্রেইনার মহাশয়ের কিছুই বলতে হলো না। শুরু থেকে আমাকে যা করে দেখাতে বলা হয়েছিল সবকিছুই নিখুঁতভাবে করে দেখালেন ভাইয়া। এরপর রানা আর নাজমুলকে নিয়ে চললো একটু অন্য ধরনের প্রশিক্ষণ। রিভার্স ড্রাইভিং করতে বললেন। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও চললো। তারপর পার্কিং-এর কিছু সাধারণ ধারণা দিলেন। যেমন – পরীক্ষার সময় কোথায় চিহ্নগুলো দেওয়া হবে। কোথায় স্পর্শ করলে পরীক্ষা বাতিল। কয় ধরণের পার্কিং করতে বলা হয়। তখন মনে মনে ভাবছি, এরা তো সবাই লম্বা রেসের ঘোড়া। কিন্তু আমার মতো যারা টাট্টু ঘোড়া, তাদের কি হবে? এসব করতে করতেই ওইদিনের মতো ক্লাসের ইতি। আমরা যে যার যার মতো বাসায় ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় আমার কাছে অপরিচিত ফোন নাম্বার থেকে কল আসলো।

— হ্যালো, আমি কমিউনিটি মেডিকেল থেকে বলছি। আপনি
কি অতনু বলছেন??

— হ্যাঁ, বলছি।

— আপনি এখানে চাকরির আবেদন করেছেন। আমরা আপনার সাক্ষাৎকার নিতে ইচ্ছুক।

— আচ্ছা, ধন্যবাদ। কবে নাগাদ হবে?

— আগামীকাল সকাল দশটার দিকে। আমাদের অফিসের দোতালায় এসে যোগাযোগ করবেন।

— হ্যাঁ, অবশ্যই। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

— আচ্ছা, আপনিও।

মনের মধ্যে অনেক কিছুই খেলে যেতে লাগলো। কি করবো? এখন তো গুরু মহাশয়ের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা বলা নিরর্থক। এজন্যই যে আমার সাক্ষাৎকার বা চাকরি এটা নিজের মাথাব্যথা। ওই লোক যেখানে ড্রাইভিংয়ের ব্যাপারেই কোন সাহায্য সহযোগিতা করছেন না সেখানে আমার চাকরি হলো বা না হলো তাতে ওর কিচ্ছু যায় আসে না। সিদ্ধান্ত নিলাম আগামীকাল সকালেই ওকে ফোনে জানিয়ে দেবো ব্যাপারটা। আর এরপরে তো কয়েকদিন তো ছুটি আছে। এর মধ্যে দেখতে হবে ইন্টারভিউয়ের ফলাফল কি আসে। বাকি ব্যবস্থা তখন নিতে হবে। তবে যে কোন মূল্যেই ওই মহা ধুরন্ধর বিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে শত যোজন দূরত্ব বজায় কিভাবে রাখা যায় সেভাবে এগুতে হবে।

পরেরদিন সকালের জলখাবার খেয়ে ছাদে গিয়ে কল দিলাম ভদ্রলোককে। বাসায় বসে ওর সাথে কথা বলাটা স্বস্তির কাজ বলে মনে হলো না।

— হ্যাঁ, ভাই, আমি অতনু বলছিলাম।

— হ্যাঁ, বলেন।

— আমার আজকে একটা ইন্টারভিউ আছে। সকাল দশটায়। আজকে আর আসা হবে না।

— আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনার ইন্টারভিউ কই?

— বড় মগবাজার এলাকায়।

— ঠিক আছে।

— আচ্ছা, রাখলাম।

তখনও জানতাম না যে এর পরের সপ্তাহেই জীবনের প্রাত্যহিক জীবনের ঘটনাপঞ্জিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। করুণাময়ের আর্শীবাদে চাকরি হয়ে গেল। আমিও এক প্রকার হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। অনেক কিছুই মাথায় ঘুরছে। যদি চাকরি না হতো তখন হয়তো একদিকে এই ব্যক্তিকে নিষেধ করে দিলাম। কিন্তু যদি এর পরের ব্যাচেও ও-ই আবার আমার ট্রেইনার হয়। বা অন্য কোথাও ট্রেনিং করে দেখা গেল যার কাছে পরীক্ষা দিতে বি আর টি সি তে গেলাম সে ই আমার পরম পূজনীয় গুরু মহাশয়! বা কার্ডের জন্য এই ব্যক্তিকেই যোগাযোগ করা হলো। এমন আরও অনেক আজগুবি চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো।

তবে সব কথার শেষ কথা ওই মহাজ্ঞানীর কাছে আর যাচ্ছি না। এমনিতেই ড্রাইভিং শেখার সমস্ত সাধ, আহ্লাদ সব মিটে গেছে ইতিমধ্যেই। এখন শুধু ওকে ফোন করে শেষবারের মতো আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলা বাকি। ফোন করলাম সোমবার সকালেই ঠিক ক্লাসের ঘন্টা খানেক আগে। মোটামুটি বেশ কিছুটা গুরুগম্ভীর কন্ঠে ওকে চাকরি হওয়ার কথা জানিয়ে ক্লাসের ইস্তফা দিলাম। এতদিন পর্যন্ত কথায় কথায় বাজে ব্যবহার করলেও ওইদিন আমতাআমতা করেই বললো যে সে আমাকে অন্য কোন ব্যাচে ভর্তি করতে পারে। সটান না করে দিলাম। মনে মনে বলি, এই অসহ্য মানসিক বিষণ্নতা থেকে মুক্তি নিয়ে দরকার হলে বাসায় বসে মাছি তাড়াবো। তাও ঢের ভালো! এরই সাথে সাঙ্গ হলো বাংলাদেশের ড্রাইভিং শেখা।

পরে কানাডায় আসার পর যখন দ্বিতীয়বারের মতো ড্রাইভারের সিটে বসি তখন পাক্কা আট বছরের ব্যবধানে সব কায়দা বেমালুম ভুলে গেছি! বাংলাদেশ আর কানাডার ট্রাফিক নিয়মের ব্যবধান এত যে এর তুলনা না করাই উত্তম! একদিকে যেখানে ঢাকা শহরের অসহ্য যানজটে চিঁড়েচ্যাপটা হয়ে নাভিশ্বাস উঠে নাগরিকদের জীবনে। চট্টগ্রামের অবস্থা এতোটা খারাপ না হলেও বর্ষাকালে শহরতলি ছোটোখাটো খালে পরিণত হয়। কাজেই যানবাহনের পাশাপাশি এখানে অবকাঠামোগত সমস্যাও ভয়াবহ। অন্যদিকে এখানে যানজটের কোন অবস্থা আমি সিডনি শহরে দেখিনি (সত্যিই দেখিনি!) আর হ্যালিফ্যাক্সে আসার পর গত দুই বছরে যানজটের কবলে পড়েছি হাতে গুনে তিন থেকে চারবার। আমি এখানকার বাসে নিয়মিত যাতায়াত করি। বলতে গেলে সিডনি থেকে এখানে চলে আসার পর তো একপ্রকার বাসের উপরই নির্ভরশীল। দু-দেশে লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে বলবো যে ড্রাইভিং শেখার স্বপ্ন আজও ধাঁধার মতো। মনে হচ্ছে এখানকার সবকিছু এত নিয়ম মেনে চলে। তারপরও যেহেতু লক্ষ থেকে দূরে আছি। অর্থাৎ গলদ লুকিয়ে আছে আপন কর্মের মাঝে! এখানে চাকরির ফাঁদে পড়ে গিয়ে হোক বা দেশে অতি পন্ডিত প্রশিক্ষকের খপ্পরে পড়ে হোক। শেষ দম পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারলে সফলতা আসতে বাধ্য! তবে প্রশ্ন হচ্ছে সে ইচ্ছে অনিচ্ছার নাগরদোলায় আমার আর চাপতে সখ হয় কি না!!

অতনু দাশ গুপ্ত | Atonu Das Gupta

Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান

Masi maa | মাসিমা | প্রদীপ মণ্ডল

2023 New Bengali Story | স্থিতিস্থাপক | মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

May Day History Review | ঐতিহাসিক মে দিবস

বাংলাদেশ ড্রাইভিং | ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা | ড্রাইভিংয়ের যত গল্প | পথ ও প্রবাসের গল্প | ড্রাইভিংয়ে পেট্রোল খরচ কমানোর উপায় | ড্রাইভিং সিটে নারী | নতুন ড্রাইভারদের জন্য সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া | বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স | বাংলাদেশ ড্রাইভিং লাইসেন্স | ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড | ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক | অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স | বিআরটিএ প্রজ্ঞাপন | ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ | বাংলাদেশ ড্রাইভিং | ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল | ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা | আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স | পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন | | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২৩ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২৩ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Online Bangladesh Driving Story Video | Online Bangladesh Driving Story in mp3 | Driving licence in Bangladesh | Bangladesh Tour Packages | bangladesh trip cost from india | Sabuj Basinda | High Challenger | bangladesh trip cost | travel guide bangladesh | Online Bangladesh Driving Story guide | bangladesh tour packages | bangladesh tour package from dhaka | bangladesh trip from kolkata | Online Bangladesh Driving Story Book | Online Bangladesh Driving Story in Bengali | bangladesh tour packages from india | Full Online Bangladesh Driving Story | bangladesh travel restrictions | Online Bangladesh Driving Story Record | Bangladesh travel guide | Bangladesh Tourist Visa | bangladesh driving side | Best Selling Online Bangladesh Driving Story | driving license bangladesh | bangladesh driving licence check | driving license check | types of driving license in bangladesh | driving licence online copy | Online Bangladesh Driving Story | driving license cost in bangladesh | driving rules in bangladesh | Online Bangladesh Driving Story 2023 | New Online Bangladesh Driving Story | Online Bangladesh Driving Story in pdf | Shabdodweep Bengali Story | Shabdodweep Writer | Last episode -Online Bangladesh Driving Story | Episode 3 – Online Bangladesh Driving Story | Writer and Poet | Best selling books | Pdf book | New book online | Online Bangladesh Driving Story demand | Online Bangladesh Driving Story in Bangla | Shabdodweep Online Bangladesh Driving Story

Leave a Comment