New Bengali Story 2023 | গল্পগুচ্ছ | সুচন্দ্রা বসু

Sharing Is Caring:
New Bengali Story 2023

গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে – সুচন্দ্রা বসু [New Bengali Story 2023]

১৮৫০ সালের এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে গ্রীসে। বছর বারো বয়সী একটি মেয়ে ইলোনা তার মা ইরাবতীর সাথে বিভিন্ন গ্রহ সম্বন্ধে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করত।ইরাবতী মেয়ের কথায় বিস্মিত হতেন। ইলোনার মা জানান কখনো কখনো হঠাৎ ইলোনা পদ্মাসনে বসে মেডিটেশন করতে শুরু করে। আবার কখনো কখনো সে প্লানেচারি সিস্টেম, বিভিন্ন গ্রহের নানান খুঁটিনাটি তথ্য ও বিভিন্ন গ্রহে খুঁজে পাওয়া সভ্যতা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করতো। স্বাভাবিকভাবেই মা ইরাবতী মেয়ের এইসব কথা শুনে খুবই অবাক হতেন কারণ এত ছোট বাচ্চারা গ্রহের বিভিন্ন তথ্য ও অন্যান্য বিভিন্ন গ্রহের সভ্যতা সম্পর্কে এতো কিছু জানতে পারে না। শুক্র গ্রহে নিজের পূর্বজন্ম সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্যও মাকে সে জানায়।

ইরাবতী একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জানেন নবজাতক জন্মেই কোন কিছুর দিকে একদৃষ্টিতে তাকাতে পারে না। পৃথিবীতে তার মেয়ের জন্মগ্রহণের সময় তিনি কোন প্রসব বেদনা বুঝতে পারেননি। অথচ খানিকক্ষণ পর যখন নার্সরা কন্যা শিশুটিকে তার কাছে স্তন্যপানের জন্য এনেছিলো, সে তখন তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। তিনি তাকে বলেন মুখের দিকে তাকিয়ে কাকে খুঁজছিস? আমিই তো তোর গর্ভবতী মা। শিশুটি মায়াভরা মুখে কেবল তার দিকে তাকিয়ে কাকে যেন খোঁজে। ইরাবতী বলে তুই কাকে খুঁজিস রে? হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে ইরাবতী তার মেয়ের আরও কিছু অস্বাভাবিক কার্যকলাপ খেয়াল করেছিলেন। মাত্র ১০দিন বয়স তখনই ইলোনা তার মায়ের হাত এমন শক্ত করে চেপে ধরেছিল যে ইরাবতী বিস্মিত হয়েছিল। সে খুব একটা কাঁদত না, অসুখ-বিসুখও হয়নি তার। মাত্র ১০মাস বয়স হতেই মা বলে ডাকতে থাকে। তার কিছুদিন পরেই কথা বলতে থাকে স্পষ্টভাবে। এক বছর বয়সেই সে বই-পত্র পড়তে পারতো।পৃথিবীর মানুষের কাছে যা বিস্ময়কর। দু বছর বয়সে তাকে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়।তার চেয়ে বেশি বয়সের শিশুদের সাথে সে পড়ত। সুন্দর আঁকতেও পারত। নীল ও বেগুনি রং মিশিয়ে এমন সব অদ্ভুত ছবি আঁকতে শুরু করে যা বিমূর্ত মনে হতো।

একদিন সে তার মায়ের কাছে বায়না করে তাকে একটি মেকানো কিনে দেওয়ার জন্য। মেকানো পেয়ে সে বিভিন্ন পার্ট দিয়ে নানান জ্যামিতিক আকারের জিনিস বানাতে থাকে। ইরাবতী লক্ষ্য করেছিল ইলোনা যেন কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলেই সে বলত তার নিজের বাবা-মা শুক্র গ্রহে আছে। ইলোনাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়লো ইরাবতী। তাদের সন্তান বেশ অস্বাভাবিক আচরণ করায় তাকে চার্চে পাঠানো হয়। চার্চের ফাদার ইলোনার সাথে কথা বলে ইরাবতীকে জানান, আপনার মেয়ে ভীষণ প্রতিভাশালী। ইলোনা কথায় কথায় ফাদারকে জানিয়েছে শুক্র গ্রহে পৃথিবীর মত জীবনের অস্তিত্ব ছিলো এবং এই গ্রহে মানুষরা আলাদা আলাদা কলোনিতে থাকত। তাদের মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধ হওয়ায় সেখানকার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায়,খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।অধিকাংশ মানুষ মারা যায়। স্বল্প সংখ্যক যারা বেঁচে আছে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড শহর বানিয়ে বসবাস করছে। এসব কথা যখন ফাদারকে বলেছিল তখন তার বয়স ১৩ বছর।

ফাদার ইরাবতীকে বলেছিল ইলোনা মনে করতে পারে শুক্র গ্রহের তার বন্ধুদের কথা। তাদের সাথে সে অনেকবার স্পেসশিপে করে মহাবিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিল। এমনকি সে পৃথিবীর আশ-পাশ দিয়েও ঘুরে গেছে। পৃথিবীর মানুষ শুক্রের মাটির সঠিক রং জানতে পারেনি। সেখানে কোন গাছপালা আজও নেই। সে ফাদারকে জানায় শুক্রের অধিবাসীরা বেঁচে থাকার জন্য শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করত। আমরা যেমন অক্সিজেন গ্রহণ করি। সে বলে এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অনেক গ্রহেই জীবনের অস্তিত্ব আছে এবং সেইসব গ্রহের জীবেরা অন্য গ্রহে যেতেও পারে । অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য তারা প্লাজমা পাওয়ার বা আয়রন পাওয়ারের মাধ্যমে চলা যন্ত্রের ব্যবহার করত। এই যন্ত্রগুলি খুব কম জ্বালানীর সাহায্যে খুব কম সময়ে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে।

ইলোনা জানায় তবে সকল গ্রহের অধিবাসীদের একটি,নিজস্ব সিগনাল থাকে যা অনবরত কোনো অজানা রেডিয়েশনকে খুঁজতে থাকে। তাই অন্য গ্রহ থেকে প্রেরিত স্পেস ক্রাফট থেকে রেডিয়েশন বেরোলেই সেই স্পেস ক্রাফটিকে ধ্বংস করে দেয় তারা। এরপর ফাদার জানতে চাইলেন তবে পৃথিবীতে কিভাবে সে জন্মালো? তখন ইলোনা জানায় যে, শুক্র গ্রহের মানুষেরা যখন মারা যায় তখন তারা যে গ্রহে জন্মাতে চায় পরবর্তী জন্মে তারা সেই গ্রহেই জন্মায়। ইলোনা পৃথিবীতে জন্মাতে চেয়েছিল। তাই সে এ জন্মে এখানে জন্মেছে।

ফাদার ইরাবতীকে বলেছিলেন, জ্যোতিষবিদ্যার উপর লেখা বই পড়লে জানতে পারবে ইলোনার গ্রহ সম্পর্কিত নানান কথা ভুল ছিল না।

পাথুরে পাড়ে দাঁড়িয়ে – সুচন্দ্রা বসু [New Bengali Story 2023]

অখিলেশ নিখিলেশ দুজনেই আর্মি থেকে অবসর নিয়ে শ্রীরামপুর চলে আসে।এখানে এসে ব্যাঙ্কে আবার কাজ পেয়ে যায়। তারপর এখানে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে পাশাপাশি। দুজনের মধ্যে খুবই হৃদ্যতা রয়েছে। দুই পরিবারের ইচ্ছেগুলো প্রায় একরকম। বাড়ি দুটি ওরা একই রকম বানিয়েছে।সম্পর্ক দু-পরিবারে এতো ভালো যে বাড়ির রঙটা একই করেছ।কোথাও বেড়াতে গেলে এক সাথেই বেড়িয়ে পড়ে। একবার অখিল নিখিলকে বলে নিজেদের গাড়ি থাকলে আর তা চালাতে জানলে যখন তখন যেখানে খুশি বেড়িয়ে পড়া যায়। নিখিল বলল সে কথা আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছি। শুধু সাহস পাচ্ছিলাম না। একটা গাড়ি কেনা মানে তো হাতি পোষা। খরচের হিসাব কষে দুজনেই একদিন গাড়ি কিনে ফেলে। তারপর থেকেই ইচ্ছা হলে যেখানে সেখানে ঘুরতে যায়।টানা লক ডাউনে তারা অনেকদিন কোথাও বেড়াতে যেতে পারেনি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাড়ির ছেলেমেয়েরা বায়না ধরে কাছাকাছি দীঘায় ঘুরে এলে মন্দ হয় না। আবহাওয়া ভালোই ছিল। তখনও তেমন বর্ষা শুরু হয়নি। দুই পরিবার নিজেদের ব্যাগ গোছগাছ করতে লেগে পড়ে।হঠাৎই যেন আকাশের বুকে কালো মেঘ জমতে দেখা গেল। তবুও গাড়িতে সব ব্যাগ পত্তর তুলে ফেলা হল। দুই পরিবার দীঘার পথে রওনা হল গাড়িতে।

খানিক বাদেই ঝড় শুরু হল।বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। তার মধ্যে গাড়ি দুটি ছুটে চলেছে। আর মাঝেমধ্যেই বাজ পড়ছিল। তার কড়কড় আওয়াজ কানে আসছিল। অখিলের গাড়ির পিছনেই ছিল নিখিলের গাড়ি। বৃষ্টির ভিতরে গাড়ির গতি বাড়িয়ে নিখিল অখিলকে অতিক্রম করে মজা পাচ্ছিল, দুয়ো দিচ্ছিল। এরপর অখিল তার গাড়ির গতি বাড়িয়ে এগোতেই প্রচন্ড শব্দে বিদ্যুৎ ঝলকানি। দুই পরিবার মোবাইলে প্রকৃতির সে দৃশ্য তুলছিল।

বৃষ্টির মধ্যে ওদের গাড়ি থেকে সামনে কয়েক ফুট তফাতে এক মহিলাকে গতি বাড়িয়ে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখেছিল। ঠিক তখনই জোরে মেঘের গর্জন শুনেছিল ওরা। তারপরই একটা জোরালো আলোর ঝলকানি দেখে গোটা দৃশ্যটি পুনরায় ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে ওরা দেখল মহিলার গাড়িতে আগুন জ্বলছে। এই ঘটনায় ওই গাড়ির মহিলা বেঁচে গেছিলেন কিনা জানা যায়নি।তিনি বাঁচলেও গাড়ির পিছনের অংশ বাজের আগুনে পুড়ে যায়।মহিলা গাড়িতে পিছনের সিটে লোক ছিল বলে মনে হয় না। এখান থেকেই যেন অখিল নিখিলের বৃষ্টিমুখর দিনের গল্প শুরু। এইটাই কি ছিল তাদের জীবনের নতুন গল্পের সংকেত?

দুই পরিবার তাদের ছেলেমেয়েকে নিয়ে দীঘার সমুদ্রের পাথুরে পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন উত্তাল দিগন্তব্যাপী সমুদ্র।এক এক করে ঢেউ আছড়ে পড়ছিল তটে,আর সেই ঢেউয়ের সাথে নিজেদের ভিজিয়ে মজা পাচ্ছিলেন সকলে। বৃষ্টি পড়ছিল বলে সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়েছিল বহু পর্যটক। কেউ কেউ ঢেউয়ের জলে ভেসে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করছিলেন আবার কেউ কেউ। বৃষ্টিতে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় আচমকাই ঘটে গেল ভয়ানক দুর্ঘটনা। বিশাল একটা ঢেউ আছড়ে পড়ল পাড়ে। আর সেই ঢেউয়ে ছিটকে পড়লেন পাড়ের পর্যটক অনেকে। ছেলেমেয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ভেসে গেল নিমিষে । অখিল তাদের আটকাতে না পেরে স্রোতের টানে নিজেও সমুদ্রে ভেসে যায়। কেউ কেউ এগিয়ে গেছিল বাঁচাতে। কিন্তু তিনজনই নাগালের বাইরে চলে গেছে তখন। চোখের সামনে স্বামী, সন্তানদের অসহায়ের মতো ডুবতে দেখেছিল অখিলের স্ত্রী রীনা।

সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে রীনা শোকগ্রস্ত মনে ভাবছিল বাজটা ওই মহিলার গাড়িতে না পড়ে তাদের গাড়িতে পড়লে ভালো হত। সকলে একসঙ্গে শেষ হয়ে যেত। রীনাকে আর জীবনের আর নতুন অধ্যায় শুরু করতে হত না।

নেড়ির কান্না – সুচন্দ্রা বসু [New Bengali Story 2023]

চরণদাস পঞ্চাশটা বছর ধরে একই রকম জীবন কাটাচ্ছে। চরণদাস দেখতে কালো, লোমশ শরীর বড় বড় দুই চোখ ভুরু জোরা পুরু। তাকালে ভয় করে। চরণদাস সবাইকে সন্দেহ করে।সে মনে করে এই দুনিয়ায় কাউকে বিশ্বাস করা যায় না । এমনকি সে নিজের বউকেও বিশ্বাস করে না। সে এক কারখানায় কাজ করে, সেরা মিস্ত্রি। বসতিতে তার নাম ডাক ছিল ।গায়ে জোর ছিল খুব। বসতির কেউ তার সঙ্গে পারত না। স্বভাব ছিল রূঢ়। সে রোজগার করত কিন্তু জমাতে পারত না। কারণ তার মদের নেশা ছিল। ছুটির দিনে মদ গিলে বট তলায় পড়ে থাকত আর গালাগালি দিত, সামনে কাউকে দেখলেই সে ঠ্যাঙানি দিত।হাতের সামনে লাঠি, জুতো, পাথর, ইঁট যা পেত তা ছুঁড়ে মারত।তাই তাকে কেউ দেখতে পারত না।অনেকে তাকে এড়িয়ে চলত।পালটা ঠ্যাঙানি দেবার কেউ কেউ চেষ্টা যদিও করেছে কিন্তু ওর সাথে কেউ পেরে ওঠে না। ওর ওই চেহারায় অন্ধকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার ভঙ্গি দেখেই লোকে ভয়ে পালিয়ে যেত।

দাঁড়িয়ে উঠে চাপা গলায় গর্জে বলত, আয় না শালা শুয়োরের দল দেখি একবার। পালা বলছি কুত্তির ছাঁ। একমুখ দাড়ির ফাঁক দিয়ে হলদেটে দাঁতগুলো বের করে হো হো করে যখন হাসত,সে দাঁতের ঝিলিক দেখে কারো সাহস হত না অন্ধকার রাস্তায় এগিয়ে যায়। গালমন্দ শুনে ওর বউ ছুটে আসত। তাকে ঘরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত।কিন্তু সবই বৃথা হত তার।

কেন যে চরণদাস বুনো জানোয়ারের মতো ব্যবহার করত বোঝা দায়।নেশা কাটলে একবার তাকে পাড়ার মোড়ল ধরে জিজ্ঞেস করে সে কেন এই ছাইপাঁশ গুলো গিলে গালমন্দ করে। চরণদাস বলে ছোট থেকে কত স্বপ্ন ছিল আমার । তার সবটাই বিফলে গেছে। তাইবলে বৌকে ধরে ঠ্যাঙাবি। সে তোর কি দোষ করেছে। নিজের ছেলের বয়সটা দেখেছিস।উত্তরে সে বলে ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি।তারপর থেকে কারখানায় কাজ করতে শুরু করেছি। সেই কারখানার হাড়ভাঙা খাটুনি মালিকের মারধোর খেয়ে গা গতরে ব্যথার একমাত্র ওষুধ ছিল এই মদ।কেউকেউ যেত শুঁড়িখানায়। তাদের সাথে আমিও যেতাম।

প্রথম যেদিন এক চুমুক খেয়েছি। গা গোলাতে লাগলো। খানিকটা বমি হয়ে গেল। তারপর সেখানে শুয়ে পড়েছিলাম। মাথাটা ঘোরাচ্ছিল। চোখের পাতাটা ভারি হয়ে গেছিল। গা হাত কেমন ঝিমঝিম করে উঠেছিল । মুখ বিস্বাদ লেগেছিল। অন্ধকারে রাস্তায় পড়ে ছিলাম সারারাত। তারপর থেকে ওই মদ না খেলে আমি ঠিক থাকতে পারি না। তারপর এই ছুকড়িটার সাথে বন্ধুরা বিয়ে দিয়ে দিল।ছুকড়িটার বাবা ওই কারখানায় কাজ করত। হঠাৎই ওর বাবা মারা যেতে ওকে ঘরের বউ করে তুলে আনলাম। জন্মের সময় মা মারা যায় ওর ।এক বুড়ি পিসি তাকে মানুষ করে। তারপর সে পিসিও মারা যায়। ওই মেয়েকে নিয়েই বেঁচেছিল বাবা।

মোড়ল বলল তবে ওই নিরীহ মেয়েটার গায়ে হাত তুলিস কেন? দেখেছিস তাকিয়ে হাত পা গুলোয় কেমন দাগড়া দাগড়া হয়ে ফুলে উঠেছে।
কেন মারব না। আমার নেশার জিনিস লুকিয়ে রাখে কেন? আমি কি ওকে টাকা পয়সা কম দিই।
তোর শরীর যাতে ভালো থাকে তাই তো ও লুকিয়ে রাখে। তুই তো বুঝতেই চাস না ওর ভালোবাসা। হুম ভালোবাসার ক্যাথায় আগুন।

একবার হয়েছে কি রাতের খাওয়ার পরে বাসন গোছ করে শুতে আসতে বউটার দেরি হয়েছে।রান্নাঘরে গিয়ে টান মেরে সব বাসন ফেলে চুলের ঝুঁটি ধরে দিল গুঁতো।গুঁতো খেয়ে চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। আর মাকে বাঁচাতে ছুটে এলো ছেলে হাতে লাঠি নিয়ে। ছেলেকে লাঠি হাতে দেখে চুলের ঝুঁটি ছেড়ে সে মদের বোতল হাতে বাইরে বেরিয়ে যায় অন্ধকারে রাস্তায় বটতলায় বসে গান জুড়ে দেয়। রাগ হলে সে এরকমই করত। যতক্ষণ না বোতল খালি হয় ওর গান চলতে থাকে ।সে সময় ওর পাশে এসে ঘুমায় ওর আদরের এক নেড়ি।ওই নেড়ি ছিল তার খুব ভক্ত। তবে তাকে খুব যে আদর করত তা নয়। তবে তারা এক পাতে খেত।ভুলেও তাকে কখনও গালমন্দ করে মারধোর করত না। বোতলের মদ শেষ হলে সেখানেই কুকুরের পাশে শুয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ত। ভোরে কারখানার বাঁশির আওয়াজে ঘুম ভাঙত। কিন্তু সেদিন আর তার ঘুম ভাঙছিল না। ডাক্তার এসে দেখে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তার প্রিয় নেড়ি কুকুরটা অনেকক্ষণ তার দেহটা আগলে রেখেছিল। তারপর তার দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে সঙ্গে গেছিল। ফিরে অন্ধকার রাস্তায় বটতলায় চরণদাসের জন্য কাঁদছিল নেড়ি, ভৌউউউউ ভৌউউউউ।

সুচন্দ্রা বসু | Suchandra Basu

Bengali Article 2023 | কবিগুরুর মানবতার ভাবরূপ

Bengali Article 2023 | ভৃগুর শক্তিপীঠ ও বড়োমা :: বিল্লপত্তন থেকে বড়বেলুন

New Bengali Poetry 2023 | শ্রাবনী দত্ত | কবিতাগুচ্ছ

New Bengali Poetry 2023 | বন্দনা পাত্র | কবিতাগুচ্ছ

new bengali story 2023 | new bengali story 2023 books for child pdf | new bengali story 2023 books for adults | new bengali story 2023 books | bengali story books for child | new bengali story 2023 books pdf | new bengali story 2023 for kids | new bengali story 2023 reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short bengali story definition | short story english | short story for kids | short new bengali story 2023 generator | bengali story 2023 | short story ideas | short new bengali story 2023 length | long story short | long story short meaning | long new bengali story 2023 | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Bengali Writer | Shabdodweep Bengali Story | Updated Bengali Story 2023 | New Bengali Story 2023 book | New Bengali Story 2023 video series | New Bengali Story 2023 web series | Top New Bengali Story 2023 | New Bengali Story 2023 collection

Leave a Comment