New Bengali Story 2023 | নুরো, জাতভাই হতেই পারে না

Sharing Is Caring:
New Bengali Story 2023

নুরো, জাতভাই হতেই পারে না – শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ [New Bengali Story 2023]

জায়গাটা অনেকের চেনা। চলার পথে পড়ে। জরাজীর্ণ দোলমঞ্চ ছাড়িয়ে, ঝকঝকে মসজিদ টপকে যেতে হয়। পাশে খাল, একসময়ে ডোঙা চলাচল করত। এখন মজে গেছে। এই সেদিন পর্যন্ত বাঁশের সাঁকো ছিলো, এখন ঢালায়ের। দুদিকে বসার জায়গা। জলপথ পেরিয়ে রাস্তার কোণে উঠতে হয়। ওপারের রাস্তার দুমাথা দুদিকে গেছে। একদিক ইনায়েৎ মুখী অন্যটা বৈদ্যপুর। পশ্চিম দিকে যে পথটি গেছে, তার পাশে অল্প দিনের গজিয়ে ওঠা সংগ্রামী সংঘ। যাহোক করে রাতারাতি দাঁড় করাতে হয়েছে। সরকারি অনুদান হাত ছাড়া না করার জন্য। প্রথম কিস্তি পেয়েছে। পরা পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সেটা বড়ো কথা নয়। বখাটে ছেলেগুলোকে সরকারি কাজে উদ্যোগী করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। আবার সর্ব-সাধারণের কাছে সেটাও তেমন বড়ো কথার মধ্যে পড়েনা। ভাবছ সে আবার কেমন কথা। সেটাই তো আসল কথা। তবে কথার কথা নয়। লাখ কথার এক কথা। এখন সেই কথাই বলতে চলেছি, তেমন দাবীও করছি না।

সংগ্রামী সংঘের নূরজাহান ছাড়া, কম বয়সী সদস্য বেশি। তাদের সঙ্গে তেমন প্রবীণদের মিস খায়না। নবীনরা যে বিষয়ে হাত দেয়, বয়স্করা ধারে কাছে ঘেঁষে না। সদস্যদের পোষাক আষাক। চুল কাটার অভিনব ছাঁট। পথ চলতি মানুষজনের সমঝে চলতে শেখায়। গ্রামের বিচার আচার নিয়ে তারা যা সিদ্ধান্ত করে মেনে নেয়, না বলে বলবো নিতে বাধ্য হয়। কারণ নবীন বিচারকদের কথার চেয়ে হাত বেশি চলে।

সংগ্রামী সংঘের জানালা দিয়ে খালের ওপরটা দেখা যায়। বটগাছের মোটা ডাল, খালের ঢালাই পথের অনেকটা ছায়া করে আছে। সেখানে সকাল বিকাল দুপারের লোক জটলা করে থাকে। বেশ কিছুদিন ইমনকে দেখা যাচ্ছে। পড়ন্ত বয়সী যুবক। ভাঙা শরীরের অবস্থা। আগে এমন অবস্থা ছিল না। এখন দেখলে যে কেউ মনে করবে।

সংগ্রামী সংঘের ছেলেরা, ইমনের অতীত জানবে কোথা থেকে। এই সময়ের সঙ্গে তেমন যোগ নেই। ইমনের পেটে সামান্য হলেও বিদ্যে আছে। সরকার মাথাপিছু এককালীন টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। যুবকরা যাতে কিছু একটা করেকম্মে খায়। ইমন সেই সুযোগে পঁচিশ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলেছিল। তার উদ্দেশ্য ব্যবসা ছিল, সে নিজেই সেই দাবী করতে পারবে না।

বকখালি থেকে শুটকি মাছ আনতে গিয়ে নৌকা মাঝ নদীতে ডুবে যায়। তেমন গল্পতো ঋণদাতাদর বিশ্বাস করাতে হয়। তাই বুদ্ধি করে হালকলমি পুঁতে আসে মাঝ নদীতে। পরিদর্শকের টিম দেখতে চেয়ে ছিল। ছোট নৌকা অস্বাভাবিক দোল খাওয়ার ফলে, কোথায়ও দুষ্টুমি খেলছে বুঝতে পারে। আর কেউ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এগোয়নি। ব্যাঙ্ক আবার ঋণ দেবে কোন যুক্তিতে।

ইমন আবার বেকার হয়ে পড়ে। টৌঁ-টৌঁ করে ঘোরে। নতুন সুযোগ হাতে আসে। ই-রিক্সা বাজারে চলছে। কিছু টাকা জমা দিয়ে টোটো গাড়ি নেয়। তেলের খরচ নেই। খোলা ইলেকট্রিক তারে, হুকিং করে চার্জ দেয়। একসময় খোলা তার আর নেই, কেবল তার হয়ে যায়। মিটার থেকে চার্জ দেওয়া মানে, হাতির খোরাক। গোপন গাড়ি বিক্রি। গাড়ি নেই, গাড়ির কিস্তির টাকা কে দেবে। যার গাড়ি সেই দিক।ততদিনে হাত ঝেড়ে সরে পড়েছে ইমন। কাজের ছেলে কতদিন আর বসে থাকবে। ষ্টেশন চত্বরে জুয়ার কারবার ফাঁদে। সাট্টায় হাত পাকায়। থানা পুলিশের ফাঁকি দিয়ে আর কতদিন চলবে। কোমরে দড়ি দিয়ে লকআপে ভরে। পুলিশেরও সততা আছে বৈকি।

ইমনের একটা লাভ হয়েছে। জেলের ভেতর থেকে শেখা, সিঁদকাটা হস্তশিল্পটি। চুরির কাজে সহযোগী এক ফেরি করা মহিলা। দিনের বেলা ফেরি করে। গলা চড়িয়ে সুর করে হাঁকে, ‘ভাঙা চোরা আচে’ বলে। গৃহস্থের কাছে সততার কথা বলে,’আমি ওগার পেনা, তিন কেজি মাল এক কেজিরও কম করিনা’। হাতেকলমে প্রমাণ দিতে হয়নি বলে মুখের জোরে টিকে আছে। কিন্তু সততা এইখানেই, হাঁকার মধ্যে “চোরা” কথাটা বলতে ছাড়েনি। দিনের বেলা পথঘাটে দেখে যায়। রাতে ইমনের সঙ্গী হয়ে সিঁদ কাটে দুজনে মিলে। এই বিদ্যেও এক সময় লাটে উঠলো। ইমনের কপাল এমন।

কারণ আর কিছুই নয়। সময় পালটাচ্ছে। বেড়া বা মাটির দেওয়াল আর নেই বললেই চলে। শহরে অনেক আগেই পাট চুকিয়েছে। যে বেড়া দিতে ইচ্ছুক, সে তিন ইঞ্চি ইট গাঁথবে। যে মাটির আঠারো ইঞ্চির দেওয়াল দিতে চায়, সে দশ ইঞ্চির ইটের গাঁথলে অনেক মজবুত বাড়ি বাঁধতে পারবে। এই তাথ্যিক কথা ইমনের পক্ষে গরিবের পেটে লাথি মারার সামিল। সুতরাং ইমনের কাছে ফালতু কথা।

কাজ নেই। ইমন অনেক দিন আর বাড়িতে যায় না। কোথায় খায়, কোথায় থাকে ঠিক নেই। ঘরের লোক বাড়িতে না এলে তো তাদের চিন্তা হবেই। প্রকৃত কাদের চিন্তা হয়? প্রশ্নের সাধারণ উত্তর, বাড়ির আপন জনের। ইমনের বাড়ি বলতে তিনটি। বলাটা স্বাভাবিক যে নিজের পেটের অন্ন আগামীকাল কোথায় থেকে আসবে জানেনা। যার অনিশ্চিত জীবন। তার ক্ষেত্রে তিনটি বাড়ি মানেই তো বাড়াবাড়ি। বাড়িতে বউ নামক তরর পদার্থ থাকবে না, সে কেমন কথা।

এই যে ইমনের তিন তিনটি বউ বা নিকা করেছ কিংবা করেনি। তার বৈধতা নিয়ে কৌতূহল নেই। সেই তিন বৌয়ের অবস্থান তিন জায়গায়। তারা কেউ কাউকে চেনে না। তারা কেউ ইমনের উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল নয়। একজন তো ফেরি করে। দ্বিতীয় জন মহিলা সমিতির মাধ্যমে স্কুলের রান্নার কাজ জুটিয়েছে। প্রথম জন এণ্ডি গেণ্ডি চার পাঁচটা বালবাচ্চা। বৌমার কাজে পাঠাবে কোথায়। শ্বশুর নাতি নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটায়। অযোগ্য সন্তানের পিতা হলে সমাজের কাছে তো মাথা হেঁট হবেই। দায়িত্ব নিতেই হবে।

বুড়ো বাবার কি হলো, বউ বাচ্চাদের কী না হলো, ইমনের চিন্তাভাবনার মধ্যে পড়েনা। সে ভোগী মানুষ, যোগী মানুষ তো নয়। সে বউ বাচ্চাদের ‘কেদারা’ মনে করে। আর একটু খোলসা করে বললে আরাম কেদারা বা আরামদায়ক চেয়ার। যেখানে যখন যাবে হাত পা ছড়িয়ে, গা এলিয়ে দিয়ে আরাম করবে। বউয়ের আদর খাবে। ক্ষণিকের জীবনে কে কার বউ! কে কার ‘দারা’। এককথায় কেদারা। এই সুক্ষ্মতত্ত্ব মাথায় থাকলে সংসার সম্পর্কে উদাসীন থাকা যায়।

ইমনের জীবনে কেদারা মিলেমিশে সংগীতময় হয়ে উঠেছে। বৈচিত্র্যময় বিবর্ণ জীবনে রাগ অনুরাগের অপূর্ব মিশ্রণ। তাও রাতের প্রথম প্রহরে যদি হয়। তখন ঘুমকাতুরে বেরসিক পাড়া প্রতিবেশীদের খারাপ লাগতেই পারে। কিন্তু ইমন সময় করে তিন জায়গায়, বেসুরো জীবনের রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছিল বটে, তবে অনিয়মিত হয়ে গেছে। ফলে সন্দেহের বাতাবরণ এভাবেই তৈরি হয়েছে তিন অবলার মনে। তাদের গলায় ধ্বনিত হলে হরবোলা মনে হয়। যে আতঙ্ক তাদের মনে পাষাণের মতো চেপে বসেছে।

তিন বউ খোঁজখবর রাখছিল। কোথায় যায়। কোথায় খায় থাকে। জেনেছে ভিখিরির দশা। একরকম গাছ তলায় কাটানোর মতো অবস্থায় দিন কাটছে। পুরুষ মানুষের হাতে টাকাপয়সা না থাকলে যা হয়। তবুও এতো ভেঙে পড়ার কি আছে। আজ নেই কাল হবে। ইমন ভাবে মেয়েলোকের বোঝার কথা নয় তাকে। তার জীবনে লালকালির দাগ পড়েছে। আর ঘুরে দাঁড়ানো এ জীবনে সম্ভব নয়। নিজের কপাল নিজেই ভেঙেছে। পায়ে কুড়ুল তো অনেক আগেই মেরে বসে আছে। তা না হলে এঁদো পুকুরে ডুব দেয়। একসময় যার ল্যাজের ছটায় কতো সুন্দরী ললনা ছিটকে গেছে। অতীত থাকা। ও সব মন খারাপের কথা।

ইমনের তিন বিবি, এক রোসুনের পুঁটকি। তাদের মধ্যে অনুভূতির মিল কাকতালীয় ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। তিন বউ ভালো রান্নাবান্না করে পোলের ওপর হাজির।

বড়ো বউ গামলি ভরে ভাত, তিনকাটা মাছের রসা গামছার চারমুড় বেঁধে এনেছে। মেজো এনেছে, টিফিন ক্যারিতে মুরগির মাংস। ছোট এনেছে, হটপটের মধ্যে গোস্ত। বেশি করে এনেছে, একসঙ্গে দুজনে খেয়ে নেবে। তিনজনের উদ্দেশ্য ইমনকে খাওয়ানো। ইমনের সঙ্গে তাদের কার কী সম্পর্ক আলাপচারিতায় বোঝা গেল। একঘাটের জল তারা খেয়েছে। তারা পরস্পরের সতীন। আলাদা সঙ্গসুখ সেভাবেই তারা কেউ পায়নি। তাদের মধ্যে আর ক্ষোভের সঞ্চার হলো না। তারা আগে থেকে অনুমান করত এ বর নয় বরবর। সুবিধের বস্তু নয়। পেটের কথা মুখে আনে না।

যাইহোক মানিয়ে নিতে হবে। দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার আগে, বুঝিয়ে সুজিয়ে খাওয়াতে হবে। কতদিন তাদের হাতে রাঁধা ভাত খায়নে। তিনজনে তিনজনের মতো সাধাসাধি করতে লাগল। আশপাশের কৌতূহলী লোকজন ভরে গেল। খাওয়ানোর জন্য কঠিন সাধনা। এতো পিড়াপিড়ি। যে দেশে দুটো ক্ষিধের ভাতের জন্য লোকের দোরে মুখ রগড়ায় ভিখিরি। দূরছ্যা করে তাড়িয়ে দেয়। তেমন হতভাগা দেশে এতো অতীব ভাগ্যবান বলে মনে হয়।

ইমন ভীষণ অস্বস্তির মধ্যে আছে। এভাবে তিনজনে স্বামীর সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষায়। কেউ তো আসামী ভাবছে না। তার মুখোশ তো খুলে গেছে। কই ওদের মধ্যে তো ঝগড়ার লক্ষণ দেখছে না। তবে কি ঝড়ের পূর্ব লক্ষণ। এই শান্ত আসলে প্রলয়ের ইঙ্গিত।

একটা প্রচলিত কথা গ্রামবাংলায় মুখে মুখে ফেরে। মেয়েরা সব কিছুর ভাগ দিতে পারে, স্বামীর নয়। এখানের রসায়ন কী? বিষয় জলের মতো সহজ। তিনজনে কেউ ইমনকে নিজের করে পায়নি। এখন তিনজনে মিলে যদি নিজেদের মতো ঘরছাড়া মানুষটাকে পায় কম কিসের। উভয়ের ভালো লাগার কথা।

এছাড়া অন্য উপায় আর নেই। ইমন কথায় কথায় ‘তালাক’ দেওয়ার কথা শুনিয়েছে। সেই ভয়ে বৌয়েরা কাঁটা হয়ে থাকত। মুখ বুজে মেনে নিত স্বামীর অন্যায় আবদার। এখন তো আরো বিপদের সম্মুখীন। একবার তিন তালাক বললে তিনজনের লাগবে। যেভাবে গায়ে গায়ে লেগে আছে। তালাক তো কম বেশি দোষ বিচার করবে না। তার তো বোধ বুদ্ধি বলে কিছু নেই। যতটা ইমনের আছে।

তিন বিবি পিড়াপিড়ি করছে। কৌতূহলী মানুষজন ঠেলাঠেলি শুরু করেছে। ইমন ভাবছে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা তার দিকে ধেয়ে আসত পারে। বিপদ এড়ানোর শেষ ভোঁতা অস্ত্র ‘তালাক’। হাতের কাছে আর বিকল্প কিছু নেই। স্বমূর্তি ধারণ করে আঙুল তুলে, সর্বাঙ্গ দুলিয়ে জানিয়ে দিল, তোরা এখেনতে না গেলে তিন তালাক দোব বলে দিচ্ছি। কোন শালা বাঁচতে পারবেনে।

আর কোথায় যায়। বউরা যে যার মতো ক্রোধ সম্বরণ করতে লেগে পড়ে। বড়ো বউ পা জড়িয়ে ধরে। মেজো হাত কজলাতে থাকে। ছোট বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাউমাউ করে কাঁদত থাকে। যেন স্বামী ছাড়া হলে কী করে খাবে। এই মুহূর্তে তারা ভুলে গেছে, তাদের পেটের ভাত তারাই সংগ্রহ করে। দুষ্টু এঁড়ে দেয়না।

এই যে মান অভিমানের পালা চলছে। সংগ্রামী সংঘের ভেতর চলে গেল। নুরজাহান ভাবল ব্যাপারটা নিজের গিয়ে থামাতে হবে। সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ভিড় ঠেলে ঢুকে পড়ল। মোটামুটি সারাংশ দূতের মুখে শুনেছে। তবুও জানতে চাইল, ‘হ্যাঁ, ভাবিরা।কি হয়েছে তোমাদের মধ্যে কেউ বলুন তো শুনি’।

তিনজনে কিছুই বলছেনা। যা বলবে তো স্বামীর বিরুদ্ধে যাবে। কোথায় মারধোর করবে কে জানে বাবা। মুখে কেউ কিছু বলে না।
— তা, খুড়ো আপনি বলুন ঘটনাটা কি?
— দ্যাখো আমাদের স্বামীস্তিরির বেপার। তোমার একেনে নাক গোলাতে হবেনে।
— তা ভালো কথা। তোমাদের ঘরের মধ্যে থাকলে ইস্তিরি কতটা গরম হয়েছে জানতে চাইতাম না। ঘরের কেচ্চা বাইরে এনে আভিজাত্য দেখানো। মেরে কান লাল করে দেবো। এই ধরতো যা মনে করেছে তাই। বলে কিনা নাক গলাতে হবেনে।

তিন বউ কাঁদো কাঁদো। নূরজাহানকে বুঝিয়ে বলল, ভাই আমরা তোমার কেউ ভাবি, কেউ দিদি, কেউবা বোনের মতো। ওদের বলে দাও যেন না মারে। দেখতে পাচ্চ ওই তো শরিলের ছিরি। না খেয়ে খেয়ে।
— দেখ ভাবি, আমার যা মনে হয় তোমরা ওকে ভয় পাও। তোমাদের প্রতি ওর তো দেখছি কোনো দায়িত্ব বোধ নেই। অথচ মদ্দের রাশ আছে। দেখছি ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। সত্যি কথাটা বলত কি?
— দেখ ভাই রাগ না চণ্ডাল। যদি মাথা গরম হলে তালাক দেই দেয়। আমরা তাই ভয়ে ভয়ে থাকি।
— সে কি ভাবি? তিন তালাকের ভয়। তালাক তো কবে এদেশ থেকে উঠে গেছে। বরং কেউ তালাকের কথা মুখে আনলে, আর তা যদি কোনোভাবে থানা জানতে পারে, আড়ং ধোলাই করবে।
— সে কি ভাই, তালাক নেই। সত্যিাতভ বলছ?
— মিথ্যে বলে কি হবে। তালাকবাবুর জিজ্ঞেস করনা।
— ভাই কি করে তালাক উঠল জানি না। যেই তুলুক আল্লাহর কাচে দোয়া মাঙি। তার ভালো হোক। তোমার আর আমাদের বিচার করতে হবেনে ভাই। একটা কাজ করো। যদি এই ভাবিদের রান্না খাও তবে আমরা খুব খুশী হবো। তিনজনের আনা ভাত, মাছ, গোস্ত তোমাদের কেলাবে নে যাও। আমরা ওর মাথা থেকে পা অব্দি তালাক নামিয়ে তবে ছাড়ব।

নূরজাহান কিছুই বুঝতে পারল না তিন ভাবি কী করতে চাইছে। বটগাছের ওধারে খালপাড় ঘেঁষে হালকলমির গাছ বাতাসে দুলছিল। তিন বউ হালকলমি ভেঙে এগিয়ে চলল ইমনের দিকে। ইমন বুঝেছে ভয় দেখিয়ে আর কোনো কাজ হবেনে। ইমন পালিয়ে যাওয়ার আগে, নূরজাহান সম্পর্কে মন্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করে গেল। তালাক উঠে যাওয়ার কথা বলে নারীদের যেভাবে ক্ষেপিয়ে তুলল, তা বেদীনের কাজ। ওই নুরো, জাতভাই হতেই পারে না।

শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ | Shibaprasad Purakayastha

Nagarjuna besha or Parashurama besha | নাগার্জুন বেশ | অভিজিৎ পাল

Apratyashita | New Bengali Story 2023 | অপ্রত্যাশিত

Countdown 99 | বিধি রে | কুহেলী দাশগুপ্ত | New Story 2023

Poila Baisakh 1430 | স্মরণে-বরণে ১লা বৈশাখ

new bengali story 2023 | new bengali story 2023 books for child pdf | new bengali story 2023 books for adults | new bengali story 2023 books | bengali story books for child | new bengali story 2023 books pdf | new bengali story 2023 for kids | new bengali story 2023 reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short bengali story definition | short story english | short story for kids | short new bengali story 2023 generator | bengali story 2023 | short story ideas | short new bengali story 2023 length | long story short | long story short meaning | long new bengali story 2023 | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Bengali Writer | Shabdodweep Bengali Story | Updated new Bengali Story 2023 | New Bengali Story 2023 pdf book | viral pdf – New Bengali Story 2023 | Released story book – New Bengali Story 2023 | Good book – New Bengali Story 2023 | Famous book – New Bengali Story 2023 | Shabdodweep book – New Bengali Story 2023 | Shabdodweep pdf – New Bengali Story 2023 | Shabdodweep video – New Bengali Story 2023

Leave a Comment