New Bengali Poetry 2022 | সুশান্ত সেন | কবিতাগুচ্ছ

Sharing Is Caring:
BENGALI POETRY
Bengali Poetry

স্বপ্নভূমি [Bengali Poetry]

বিষণ্ণ এক স্বপ্নভূমি সব হারিয়ে চুপটি করে বসে আছে
কখনো কখনো সাঁকো নাড়ায়, জানান দেয় আমি আছি
তখন পাল তোলা জাহাজে সমুদ্র বাণিজ্যের কথা মনে পড়ে,
মনে পড়ে কড়ি নিয়ে বেচা কেনা,
সপ্তগ্রাম থেকে যাত্রার কথা দেশে বিদেশে।
ইতিহাস ঘেঁটে ঘেঁটে
ভাবি মনে গৌরবের দিন।
মনে মনে গড়ে চলি মহাস্থানগড়
ইত্যাদি অনেক স্বপ্নভুমি
পাল বংশ সেন বংশ পেরিয়ে
সমতট হরিকেল চন্দ্রদ্বীপ জুড়ে জুড়ে
বারিন্দ্রীতে পৌঁছে যাই।
তারপর দেখি কুয়াশায় ভরে গেছে সব দিক
সমস্ত আকাশ,
কাঁটা তারে ঘিরে রাখি আমার হৃদয়
স্বপ্নভূমি ধীরে ধীরে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

ব্রহ্মাণ্ড [Bengali Poetry]

ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে আলোকহীন বস্তুকণার ভেতর
নীহারিকা, নীহারিকাপুঞ্জ, নক্ষত্রমালা সব ঘূর্ণায়মান।
অবিরত চলমান মন ও
যেন এক ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ড।
নিয়ত ধাবমান চিন্তা
আশ্চর্য থেকে আশ্চর্যতর হয়ে
কোন দিকে যে নিয়ে চলে যায় বোঝা যায় না।
তাকিয়ে তাকিয়ে এই
আশ্চর্য সৃষ্টির কথা ভাবি,
বর্ষার রাত্রে এক তীব্র
আত্মধিক্কার জাগে
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মনুষ্য জন্ম
এক অলীক কল্পনা বলে মনে হয়।
গাছের পাতা থেকে বৃষ্টির জল ঝরে পড়ছে।

জল [Bengali Poetry]

কল খুললে জল পড়ছে কল খুললে জল
এমন সুযোগ তোর ভাগ্যে কদিন পাবি বল?
বিশ্ব জুড়ে জল কে নিয়ে মানুষ করে খেলা
নদ নদীকে সর্ব সময় করছে অবহেলা,
হঠাৎ করে বাঁধ দিয়েছে স্রোতের ধারা ক্ষীণ
বাঁকিয়ে দিচ্ছে নদী – মুখ এমন অর্বাচীন।
ভুলেই গেছে কাহার ভুলে সরস্বতীর ধারা
পঞ্চনদীর তীরে এসে মরুতে হয় হারা।
মাইল মাইল হেঁটে এসেই মা বোনদের দল
ভরা কলস মাথায় নিয়ে, আনে খাবার জল,
এদিকে হায় সভ্য মানুষ বাসস্থানের ছলে
পুকুর জলা বুজিয়ে চলে নানান কৌশলে।
জল কে নিয়ে যুদ্ধ হবে জানে মানুষ তবু
কোন কথাই শুনছে নারে, সুমতি দাও প্রভু।

শাশ্বত [Bengali Poetry]

শাশ্বত সত্ত্বার কাছে ঋণী থাকি
প্রতিদিন প্রতিরাত
ঋণী থাকি ঋতুদের কাছে,
ফল ফুল পাতা ভরা বৃক্ষ গুলি
সবুজ বাতাস দিয়ে প্রাণ শুদ্ধ করে
ঋণী থাকি তাহাদের কাছে,
বহতা বাতাস ও মেঘ – দল নিয়ে
প্রভূত বর্ষার কাছে
চিরদিন ঋণী থাকি
যারা দেয় শস্যক্ষেত্র ও ভরা নদী।
দানব সভ্যতা,
তোমার কাছেই, কোনো ঋণ নেই
কারণ তুমিই
আমাদের হাতে তুলে দাও
মারণাস্ত্রগুলি, যাহা দিয়ে
ধ্বংস ধ্বংস খেলা
খেলি অবিরত।

মুখ [Bengali Poetry]

এ মুখ আর চাই না দেখাতে
এ মুখে অনেক লোভ
অনেক কাম নিয়ে
ক্রুর হয়ে বসে আছি।

তোমাকে এ মুখ দিয়ে
কি করে জানাতে
পারি ভালোবাসা
এ মুখে বসেছে মৌমাছি।

মুখটাকে আয়না জানলেই
খন্ড খন্ড হিংসা ও
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ
করেও বেঁচে আছি।

মুখ থেকে অবিরত
পচনের গন্ধ পাই শ্বাসে
বারবার দাঁত মাজি
ও শ্বাস থেমে গেলে বাঁচি।

মুখ আর দেখতে চাই না
তাই করি আমড়াগাছি।

ডিম [Bengali Poetry]

সকাল হলেই অথ কিম
সেদ্ধ করে খাচ্ছি ডিম
ঝরছে ঘাম বাড়ছে শক্তি
বাড়ছে ডিমের প্রতি ভক্তি।

পেঁয়াজ দিয়ে ডিমটা ভাজা
অমলেট খেয়ে নাচছে রাজা
ডিম ভাত দুপুরে খাবো
মুরগি খামার ঘুরতে যাব।

ডিমের কুসুম জবরদস্ত
পোচের ওপর থাকেন ন্যস্ত
জোড়া ডিমের সূর্যি মামা
বকবকটা একটু থামা।

ডবল ডিমের অমলেট
খেয়ে খেয়ে ভরলো পেট
আর কত কি যে ভাববো
শেষ হলো ডিম কাব্য।

চলে গেলে [Bengali Poetry]

সময় চলে গেলে
কে এসে পাশে বসবে !
নব লব্ধ অভিজ্ঞতাগুলি
প্রয়োগ বা কি করেই হবে !
আপ্ত বাক্য সব দিনান্তের রুদ্রতেজে
আরো বেশি ভাস্কর হয়েছে।
তোমাকে ত জন্ম জন্ম ধরে
ধাবিত হতেই হবে
জ্ঞান থেকে নবতর জ্ঞানের ভেতর
নব এক সূর্যালোকে
ভাস্কর হয়ে ওঠে মানব সভ্যতা
নিয়ে আসে
নব নব দিগন্তের খোঁজ ।

চুপ [Bengali Poetry]

আজকাল চুপ করে থাকা হয় বেশ
অনেক সময় ধরে কোনো বাক্য নিঃসৃত হয়না
প্রতিরোধ করা ভুলে গেছি।
অনেক অনেক কাল সাবধানে থেকে
হাত পা অচল এখন , সাড় নেই ,
শক্তি ও এখন চলেছে কমতির দিকে।
বয়স বাড়লে মুখ গুলি সুখ খোঁজে
ফিরে আসে শান্ত গৃহ নীড়ে
সুখ পেয়ে পেয়ে
প্রতিরোধ করা ভুলে গেছে।
এখন সবাই চুপ করে থাকে
নির্বাক বধির।
আজ কাল চুপ করে থাকা যায় বেশ।

কবিতা [Bengali Poetry]

কবিতা তোমায় আজকে দিলাম পাখা
কবিতা আমার তোমার আজকে ছুটি
শূন্য পথেই বাজবে তোমার শাখা
দোহাই আজকে ধরো না কোনোই ত্রুটি।

বিষণ্ণ রাত কাটবে জানি যে একা
নাহয় কবিতা নিজের মতোই থাকলো
নতুন জীবন সে ত এক নব শেখা
হাতে হাত কেউ নাইবা আজকে রাখলো।

উজান স্রোতের টানের উল্টো দিকটা
অনুভব করে হবে কি নতুন শিক্ষা
স্বপ্ন ভাঙলে মন কি হবে কি রিক্তা
হারানো কবিতা দেবে না তোমাকে ভিক্ষা

উই পোকা [Bengali Poetry]

যত চেষ্টাই কর ধ্বংস করতে পারবে না সমূলে
উই পোকা
ঠিক যেন মানব প্রজাতি
যত চেষ্টাই কর মানুষ মানুষ কে খুন করবেই
মন কষাকষি, প্রেম, হিংসা, সম্পত্তি কিছু না কিছু
একটা বাহানা ঠিক খুঁজে নেবে।
যুগ যুগ ইহাই প্রচলিত।
প্রচলিত থাকবেই ভবিষ্যতে।
সব ধর্মই প্রেম ও মানবতার কথা বললেও
এক কান দিয়ে ঢুকে
অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে যায়
সুচিন্তা।
কুটিল মন্ত্রীর মত বলে উঠি
সত্য রক্ষার্থে তোমাকে বনে যেতে হবে
তারপর ত যুদ্ধক্ষেত্র আছেই।
কুড়িয়ে বাড়িয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে দিলেই
নিশ্চিন্তি।
কবর তো আছে অপেক্ষায়।

ভালোবাসা [Bengali Poetry]

তোমাকে আবেশ ভরে পেতে চাই
আঁকে পাঁকে জড়িয়ে মরিয়ে
জিরাফের মত গলা বাড়িয়ে
সুরের মাঝে গানের মতো
তালে তাল মিলিয়ে।
তোমাকে ঝর্না তলায় দেখেছিলাম
তোমাকে টালার মোড়ে দেখেছিলাম
এসপ্ল্যানেড বাস গুমটিতেও।
তখন তুমি নীল হাতা আকাশ নিয়ে
রোদ্দুর ধরতে ব্যস্ততায়,
আমার তখন গভীরতর অসুখ হলো
উত্তপ্ত হলো গাত্র,
এই অসুখে যন্ত্রণা শরীরময়
রাত্রি এসে দু হাতে আছড়ে আছড়ে
কাপড় কাচে।
মনের মধ্যে নড়ে উঠলো টুনটুনি পাখি
একটা অজানা নদী
খুলে পড়লো শহরের মরুভূমিতে।
তখন কি জন্ম নিল ভালোবাসা !

পাকেচক্রে [Bengali Poetry]

পাকেচক্রে ভগবান ভুত হয়ে ঘাড়ের ওপর
গ্যাঁট হয়ে বসলেন।
শুরু হলো দাপদাপানি খোঁচাখুঁচি
এদিক সেদিক হাতড়ে হাতড়ে
নানা রকম বাহানা।
বিস্তর বাঁধা নিষেধ জারি করা হল
ফরমান হল ডানদিকে তাকানো বারণ
কষ্টি পাথরে ঘষে ঘষে দেখা হতে থাকলো
কোনটা সোনা কোনটা রূপো
কোনটা আবার নিছক তামা দিয়ে তৈরি।
ভগবানের গুঁতো খেয়ে মানুষ ভাবতে বসলো
সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হওয়া যাবে না
একটু সমঝে চলতে হবে।
সেই থেকে সমঝে চলার চেষ্টা
কিন্তু কিছুতেই মনের ইচ্ছে
দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না ।
পথভ্রষ্ট কি হয়ে পড়ছে মানুষজন ?
না পথ খুঁজে নেবার ইচ্ছে জাগছে !

হামাগুড়ি [Bengali Poetry]

হামাগুড়ি দিতে না শিখলে
পাতা গুলো হওয়াতে দোলা দিতে না শিখলে
কি করে উঠে দাঁড়াবে
আর কি করেই বা দমকা হাওয়া সামাল দেবে।
সামাল সামাল বলে উঠলে মাল্লার দল নতুন করে উদ্দীপনা পায়
জড়িয়ে ধরে শিকল
বুক পেতে দেয় ঝড়ের বুকে।
বোঝাপড়া চলতে থাকে মানুষ আর প্রকৃতিতে।
হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে চলতে চলতে
এক সময় দাঁড়িয়ে উঠি হাঁটি
পরে দৌড়াতেও থাকি।
এক সময় আফ্রিকা ছেড়ে
এশিয়ার স্থানে স্থানে ও ইউরোপে
ছড়িয়ে পড়ি।
পা পা করে এগিয়ে যেতে থাকে সভ্যতা।

অংকন [Bengali Poetry]

বস্তা পচা কল্পনাতে করবো এখন কি
কেউ মানে না নিজের থেকে মোড়ল হয়েছি।
নিজেই আঁকি নিজেই দেখি নিজেই বলি ভালো
ক্যানভাস টা রঙের ঠেলায় বেজায় জমকালো।
মোনালিসার হাসি দেখি আমার তুলির টানে
ভরিয়ে দিল সারা আকাশ মাইকেল তা জানে।
পল বাবু এঁকেছিলেন হাইতি দ্বীপের আলো
ক্যানভাসে আমার আলো সূর্যকে হারালো
তাই ত দেখি আমার আঁকা শুধু সাদায় ভরা
ভিনসেন্ট এর তারার আকাশ করে যে মস্করা।
রবি ঠাকুর ভিমরি খাবেন আমার ‘সে’-কে দেখে
দিনের আলো নিভে এলো ছবি এঁকে এঁকে।

গঞ্জনা [Bengali Poetry]

সারাদিন ধরে গঞ্জনা
শুনে থাকি
অনেক কথাই
নিজের মনেই রাখি।
যন্ত্রনা বাড়ে
তাকে হৃদয়ের কোণে ঢাকি।
সময় সময়
বড়ো অশান্ত হই
ভেবে যাই মনে
সতত গঞ্জনা অকারণেই।
এ এক অদ্ভুত সমাজ
পরে থাকতে হয়
নানাবিধ নব নব সাজ।
তার মাঝে নব জন্ম
জন্ম নেয় শিশু ফুল ফোটা মনে
তাকে নিয়ত পক্ষ করি
দহনে দহনে ।

সুশান্ত সেন | Susanta Sen

Top Bengali Story 2022 | আমাদের একাল-সেকাল | গল্প ২০২২

Bengali Story | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | গল্পগুচ্ছ | 2022

Rabindranath Tagore’s love for art and literature

Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022

story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdodweep Founder

Leave a Comment