New Bengali Novel 2023 | খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১১) | উপন্যাস

Sharing Is Caring:
New Bengali Novel 2023

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১১) [New Bengali Novel 2023]

আজাদ কলোনির আগন্তুক বাসিন্দা হিসাবে স্বাতীর নয় নয় করে ছয় সাত মাস কেটে গেল। আরশাদের অবস্থা এখন সাপে ছুঁচো গেলার মত। গিলতেও পারছে না আবার ওগরানো সম্ভব হচ্ছে না। কি যে করণীয় ভেবেই পায় না। আরশাদ ভেবেছিল, যতই হোক ওনার পরিবার থেকে খোঁজখবর নিয়ে লোকজন আসবে নিয়ে যাবার জন্য।‌ কিন্তু তার কোন চিহ্নই নেই ।এতগুলো দিন পার হয়ে গেল কেউই যখন খোঁজ নিচ্ছে না। তখন মনে একটু সংশয় দেখা দিচ্ছে তার, কেউ যদি না আসে দিদিমণিও যাবার জন্য তৈরি হচ্ছে না। আশেপাশের দু একজনের ট্যারা নজর লক্ষ্যে পড়েছে আরশাদের। চায়ের দোকানে কিছুটা চর্চা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা-সকাল এই ফিসফিসানি বাতাসে ভাসছে। আরশাদকে সেদিন স্ট্যাণ্ডে একজন বলেছিল, –

— কি সব শুনছি গো, আরশাদ ভাই ?
অবাক চোখে আরশাদ বলে, – কি শুনেছো- দাদা ?
লোকটা বলল – সেই দিদিমণি নাকি তোমার কাছেই আছে এখনো ? আরশাদ বললে, – এমন কথা ঠিক নয়, আমাদের ঘরেই আছে। আসলে আমাকে ছাড়াতে ও নিজের ঘর ছেড়ে চলে এসেছেন ।সেখান থেকে কেউ না এলে, একা একা যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। যদি না ঘরে উঠতে দেয়। তখন যাবে কোথায় ?

পাশের জন বলল – উনার জন্য তোমার কি দায় ভাই! অন্যায় করেছিল, তার শাস্তি তো পেতে হবে ।
আরশাদ বলল – আসলে কি দিদিমণি তো অন্যায়টা করেনি। তাই প্রতিবাদ করতে এসেছিলেন ওনার স্বামীর কাজের।
লোকটা বলল – সব বুঝলাম। কিন্তু এখন কি উনি তোমার এখানেই থাকবে ঠিক করেছে ?
আরশাদ বলল – না- না । তা কেন থাকবে।
লোকটা বলল – আরে বাবা! যাবে টা কবে। ছ-সাত মাস হয়ে গেল, যাবার সময় হচ্ছে না। দেখো ভাই আরশাদ, কথা কিন্তু হাওয়ায় ভাসছে।
আরশাদ বলল – সব বুঝলাম ! কিন্তু কি করে মানুষটাকে তাড়াতে পারি বলো। কুকুর- বিড়াল তো নয়, যে তাড়া করে ভাগিয়ে দেবো।
লোকটা বলল – তাড়াতে না পারলে নিজের ঘরেই রাখো।
আরশাদ বলল – আমার ঘরেই তো আছে। ‌আমার কাছেই খাচ্ছে।
লোকটা বলল – পরের মেয়ে মানুষ তোমার ঘরে, তোমার কাছে আছে-কথাটা কেমন কেমন ঠেকছে না।
আরশাদ বলল – তওবা- তওবা, খারাপ ভাবে মানে করো না দাদা। উপরে খোদাতায়লা রয়েছে। আমার মনে কোন পাপ নেই দাদা।

লোকটা বলল – তুমি সৎ – ভালো মানুষ আমরা জানি। সকলেই কিন্তু এ কথা মানবে না। তোমার কলোনীতে সকলে মানতে নারাজ। তারা চাইছে না, দিনের পর দিন একটা বেজাতির বিবাহিতা মহিলা তোমার ঘরে রাত কাটায়। তোমার কি স্বার্থ আছে, তাকে দিনের পর দিন খাওয়াচ্ছো – পরাচ্ছো। সে তো তোমার কেউ নয়। কোন সম্পর্কই নেই, আত্মীয়তা নেই তার সঙ্গে।
আরশাদ বলল – আত্মীয়তা যে কিসে রয় বা কিসে হয়, আমি মুখ্যু-সুখ্যু মানুষ তেমনটা বুঝি না বাবু। তবে আমার বাড়ীতে তো , আমার পরিবার-ছেলেমেয়ে আছে।অন্য মেয়ে মানুষ ঘরে রাখলে, নিজের বউ- ছেলে মেয়ে মেনে নেবে।এ ক্ষেত্রে আমরা অসুবিধেয় থাকলেও জোর করে তাড়িয়ে দিতে পারছি কোথায়। আমরা স্বামী- স্ত্রী কথা বলেছি। ওনার ব্যবহার
আমাদের বিরক্তিকর হবার বদলে কেমন অসহায় করে দিয়েছে। তবু ও তোমার কথা মাথায় রেখেই বলছি, মত তাড়াতাড়ি সম্ভব পারা যায়, ওনার বাড়ী ফেরার ব্যবস্থা করতেই হবে আমাকে।

রোদ ঝলমলে সকালে ট্রেন থামলে যাত্রী আনাগোনায় ব্যস্ততা বাড়ে আরশাদদের। যাত্রী বোঝাই রিকশা তখন শারীরিক কসরতে গন্তব্যে পৌঁছায়। ঘাম ঝরানো কষ্টের রোজগারে গাড়ির চাকার মত সংসারে থাকা সচল থাকে। সচল রাখে আরশাদ অন্য সহকর্মীদের মতো রোজগারের টাকা মত জুয়াতে নষ্ট করে না ।অলস সময় কাটায় না। জীবনটা তার রেসের মাঠের ঘোড়ার মত। ছুটে চলাই তার প্রধান কাজ। আরশাদ বলে ছোটার বয়সে যদি না দৌড়াই, ক্ষমতা কাজে না লাগাই – পড়ন্ত বয়সে তো সেই ক্ষমতা থাকবে না। তখন কি হবে ? শরীরকে খাটালে শরীর ভালো থাকে। বসে থেকে গতর ভারী হয়ে যায়। তখন খাটতে ইচ্ছে করে না। আলসেমি শরীরে বাসা বাঁধলে জোয়ান গতর ও শেষ হয়ে যায়। পুরুষ মানুষ গতর খাটাতে না পারলে তার কোন দাম নেই। মেয়ে মানুষের অধম সে।

ভরদুপুরের তপ্ত রোদে রাস্তা ফাঁকা ফাঁকা থাকে। হাঁটা মানুষজন দেখা যায় না। এ তল্লাটে বাহন বলতে রিকশাই বোঝায়। রিকশা চেপে বাস রাস্তায় পৌঁছালে পর গন্তব্যের কিনারা হয়। তাই স্টেশন থেকে নেমে মানুষগুলো তাড়াতাড়ি বাস ধরার তাগিদেই রিকশায় চাপে। খান কুড়ি- পঁচিশ রিকশা চলে স্টেশন চত্বরে। দুপুরে কমে অর্ধেক হয়ে যায়। যারা আরশাদের মত রোজগারের তাগিদে থাকে। বিশ্রাম নেয়ার ফুরসত থাকে না। কোন রকমে বাড়ির থেকে আনা টিফিনের রুটি, আলু -ভাজা খেয়ে পেটটা ভরিয়ে নেয়। আবার চলা শুরু হয়ে যায়। কষ্টকর- ক্লান্তিময় রিক্সার প্যাডেল কষার ফাঁকে ফাঁকেই আরশাদের মনের কোণে কথাগুলোর ভিড় জমতে থাকে। ছোট্ট ছোট্ট প্রশ্নগুলো বারবার থমকে দিতে চায়। তাহলে সে কি নতুন কোন বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে ? বুকটা কিছুটা বা দুরুদুরু বেজে ওঠে। জীবনে যেটা কোন কালে ভাবনার মধ্যেই ছিল না। সেটাও ফলে গেছে তার জীবনে। আস্ত থানার গেট পর্যন্ত মানুষ বয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া, থানার ভেতরে ঢোকা হয়নি কখনো। অথচ তাকেই কিনা থানার লকআপে বন্দি থাকতে হয়েছিল, একটা রাত- একটা দিন। কারণটা পাল্টে কেমন অকারণ হয়ে গেল কেন, আরশাদের বোঝার ক্ষমতা ছিল না। একটা নিরাশ্রয় মানুষকে- একজন ভদ্র মানুষের কথায় আশ্রয় দিয়ে, এমন একটা বিপদ আসবে কেউ কি জেনেছিল। যে ভদ্রজনের কথায় বিপদ ঘটেছিল সেও জানতে পারেনি অঘটনের ঘটনা।

আরশাদ মনে করে, এটা তার জীবনে অদৃষ্টের লিখন ছাড়া আর কিছু নয়। কপালে বিপদ থাকলে খণ্ডন করা যাবে না। বিপদে পড়েছি বিপদ থেকে মুক্তি পেতে হয়। স্বাতী বলে, আমি ততদিন আছি- নতুন কোন বিপদ ছুঁতে দেবো না। আমার জীবন থাকতে দ্বিতীয় বার সেটা হবে না। রিজিয়া আস্থত্ব হতো স্বাতীর কথায়। তুমি শিক্ষিত মানুষ গো দিদি। তোমার বুকের পাটা আছে, বুকে বল আছে। আমরা লেখাপড়া জানি না, মুখ্যু-সুখ্যু মানুষ। কথার মারপ্যাঁচ বুঝি না।যেটা মানুষ বলে মেনে নিতে হয় গো।

বড় রাস্তার মোড়ে প্যাসেজ্ঞার নামিয়ে গামছায় ঘাম মোছে আরশাদ। আজ‌ কেমন যেন দুর্বল লাগছে শরীরটা।অন্য দিনের থেকে আজ ক্লান্তি লাগছে বেশি। শারীরিক না মানসিক দুর্বলতা সেটা তার বোধগম্য নয়। বট গাছের তলায় রিক্সাটা রাখে। সামনের ফুটপাতের কল থেকে হাতে মুখে জল দিয়ে ধুয়ে নেয়। রিক্সার শিটের তলা থেকে বাড়ি থেকে রিজিয়ার দেওয়া টিফিনের বক্সটা বার করে। রুটি- আলুভাজায় ক্ষুধার্ত শরীরটা তৃপ্ত হলে, ঢকঢক করে বোতলের জলটুকু শেষ করে আরশাদ। একটু সময় জিরিয়ে নেওয়া। আসলে, সওয়ারি আসার ফাঁক সময়টায় হাতে একটু অবসর পাওয়া যায়। আর সেটাই একটু বিশ্রাম বলা চলে। কিন্তু আরশাদ বলে, – বিশ্রাম কিসের বাবু! রাস্তায় চোখ রেখে বসে থাকা, লোক এলেই দৌড় শুরু। আমাদের বিশ্রাম কিসের।

সারাদিনের ক্লান্তিকর পরিশ্রমের শেষে, রাত্রি মুখো বাসায় ফেরা আরশাদ। ঘামে ভেজা জামাকাপড় নিয়ে বস্তির কলতলায় যায় বালতি হাতে। বালতি বোঝাই জল নিয়ে গায়ে মাথায় ঢালে, ক্লান্তির শরীরটাকে ঠান্ডা জলে ধুয়ে তরতাজা করে। জামা কাপড় ধুয়ে ঘরে ফিরে- শুকনো জামাকাপড়ে পরিপাটি হয়। পাশের ঘরে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পড়াশোনায় রোজের মতই ব্যস্ত স্বাতী। এই ক’মাসে ছেলে- মেয়ে আন্টিকে পেয়ে বেশ খুশি। লেখাপড়ায় তাদের বলার মত কেউ ছিল না এতদিন। নতুন আন্টিকে তারা স্বভাবতই ভালোবেসে ফেলেছে। বাবা-মার কাছে যে সাহায্য তারা পায়নি কোনদিন। পড়ার কথা বললেও মা কোনদিন পড়া বলে দিতে পারতো না।

রিজিয়ার দেওয়া বাটিতে মুড়ি নিয়ে চিবোয় আরশাদ। লিকার চায়ে চুমুক দিয়ে গলা ভেজায়। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনায় মনে মনে কেমন একটা স্বস্তি পায়। দিদি মণিটার জন্য ওরা তবুও একটু লেখাপড়া শিখতে পারছে। চলে গেলে আর হবে না। আবার থাকাটাও বেশিদিন চলবে না। যেভাবে জনে জনে কানে কথাটা দিচ্ছে। একটা সময় হিতে- বিপরীত কিছু হতেই পারে। মানুষ ভালো কিছুর জন্য মাথা ঘামায় না। ভালো কিছু কে খারাপ করার জন্য, ঘাটতে থাকে। সেটাকে একসময় খারাপ তকমা লাগিয়ে খারাপ এ পরিণত করে তবে শান্ত হবে। শত প্রতিবাদ- প্রতিরোধ গড়ে উঠছে বুঝেও স্বাতীকে কিছু বলতে পারছে না আরশাদ। বলাটা কতটা সমীচীন ভেবে পায় না সে, দূরে থেকে যতটা পরিকল্পনা করা যায়। যতটুকু ভাবনা ভেবে প্রতিবাদী মন তৈরি হয়। বাড়ি ফিরে সামনা-সামনি দেখলে প্রতিবাদী মনটা কেমন থিতিয়ে যায়। প্রতিবাদের ভাষা মুহূর্তে মিইয়ে যায়। যে মানুষটা আজ আশ্রিতা। তার জীবনটা কিন্তু ফেলনা ছিলনা। বিশেষ কারণে সে আজ অসহায়। এ জীবন সে নাও নিতে পারতো। এমনটা সে নাও করতে পারতো। সে ফিরে না তাকালেও তার কিছু এসে যেত না। ন্যায়- অন্যায়, বাদ- প্রতিবাদ তার জীবনে যদি না আসতো- না করতো তাতে কিবা আসতো যেত ? নিজের সংসারে সে নারী হিসেবে সুখী না হলেও খুশিতে থাকতেই পারতো।

জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা – ঘৃণা তাকে আচ্ছন্ন করে রাখলেও সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হবার কথা ভাবতে হয়নি কখনো। সংসার এক মায়ার বন্ধন। চারাগাছ ক্রমশ মাটিতে শিকড় ছড়িয়ে কান্ড থেকে শাখা প্রশাখায় ভরিয়ে আস্তে আস্তে মহীরুহ হয়ে ওঠে। সংসার সীমান্তে নারী সন্তান- সন্ততিতে ভরা সংসারে মহীরুহে পরিণত হতে থাকে। বিশালাকার কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া এর কোন ক্ষতি সাধন হয় না। রাতের খাওয়ার প্রস্তুতি যখন রিজিয়ার হাতের থালা-বাসন শব্দ তুলছে। বস্তির বাইরেটা কোলাহল- চিৎকার- চেঁচামেচিতে সরগরম। রাত্রি দশটা সাড়ে দশটা যেন সন্ধ্যার শুরু। ভেপার লাইটগুলো খুটির উপর দাঁড়িয়ে সদম্ভে আলো ছড়িয়ে দিন করে রেখেছে। গুমটির দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ে। ঘরে ফেরা মানুষগুলো কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়। মাতাল গুলোর হাঁকডাকে কুকুরগুলো সচকিত হয়। তারাও ডাকতে থাকে ঘেউ ঘেউ শব্দে। সময় অবস্থানে কুকুর গুলো কেমন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। মাতাল মানুষজন টাল- মাটালে পথ চলে। জড়তা কথার আওয়াজে, হয়তো বা বেসুরো লাগে সারমেয় কূলের। তারাও কম কিসে, প্রতিবাদ অথবা কটূক্তি নিয়ে ঘেউ ঘেউ শব্দে তাড়া করে। খাওয়া শেষ হলো রিজিয়ার সংসারে। ছেলে-মেয়ে আন্টির কাছে বড় ন্যাওটা হয়েছে। সবই এখন তারই কাছে। স্বাতী বড় আপন করে নিয়েছে বাচ্চা দুটোকে। এদের অবলম্বন করে নিজের একটু ঠাঁই যদি হয়, তার পথ প্রস্তুত করে চলেছে।

জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin

Andaman Cellular Jail | আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেল | 2023

মানব কল্যাণে রামকৃষ্ণ মিশন | Ramakrishna Mission | 2023

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | বিপাশা চক্রবর্তী

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | দেবমঞ্জরী ঘোষ

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

new bengali novel 2023 | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | new bengali novel 2023 for adults | bengali story books | bengali story books for child | new bengali novel 2023 pdf | bengali story for kids | new bengali novel 2023 reading | short story | new bengali novel 2023 analysis | new bengali novel 2023 characteristics | new bengali novel 2023 competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | new bengali novel 2023 length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing cmpetitions 2022 | writing competitions uk | new bengali novel 2023 writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | new bengali novel 2023 ai | new bengali novel 2023 app | article writing book | new bengali novel 2023 bot | new bengali novel 2023 description | new bengali novel 2023 example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | new bengali novel 2023 format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | new bengali novel 2023 trends | new bengali novel 2023 topics | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment