New Bengali Article 2023 | মূল্যহীন, তবুও : পুস্তক প্রসঙ্গে

Sharing Is Caring:
BENGALI ARTICLE
Bengali Article

মূল্যহীন, তবুও : পুস্তক প্রসঙ্গে [Bengali Article]

সংলাপ ২০১৮। বার্ষিক পত্রিকাটি হাতে পেয়েছি। সম্পাদক ভূতনাথ পাণিগ্রাহী। একই সঙ্গে সম্পাদকের একক গ্রন্থ ‘মূল্যহীন, তবুও ‘। হাতে পেয়েছি কেন বলছি। তাঁর আমন্ত্রিত সাহিত্য বাসরে গেলে,না পাওয়ায় ফাঁক ফোঁকর ছিল না। সাহিত্যিক সংগঠকের চোখ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

বিশেষ কারণে অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। তার কয়েক দিন আগে, পশ্চিম মেদিনীপুর, ডেবরা থানার অন্তর্গত ‘কঙ্খল’ পত্রিকার বড়ো মাপের সাহিত্যানুষ্ঠান ছিল। সংবর্ধিত হই। ওখান থেকে ফিরে অল্প দিনের ব্যবধানে বাঁশখানায় যেতে পারিনি। না যাওটা গর্বের ছিলনা। মন খারাপের।

একটা ব্যাপারে আমার বদ অভ্যাস আছে। আমি নিজে মনে করিনা। তার জন্য সচেতন কবি সাহিত্যিকরা আমাকে বোকা বলে। আমি মনে করি আমাদের মতো বোকারা আছে বলে, অন্য কবিবন্ধুদের সুযোগ মেলে। দূরের সন্ধান পায়। দূর দূরান্তে নিজেদের সাহিত্য সৃষ্টি প্রকাশের জায়গা করে নিতে পারে।

সংলাপের খোঁজ যেমন পেয়েছিলাম কবি প্রবীর কুমার সামন্ত মহাশয়ের থেকে। আমিও জানিয়েছি অনেকের। কবি শ্রীমন্ত কুমার মণ্ডলকে যেমন ঠিকানা দিয়েছি। কবি অর্দ্ধেন্দু মৌলেকেও সঙ্গে করে সাহিত্য বাসরে নিয়ে গিয়েছি। ওঁদের যেমন লাভ হয়েছে, আমার ক্ষেত্রে ‘লাভ’ মজবুত হয়েছে। ‘সংলাপ’ পত্রিকা এবং “মূল্যহীন, তবুও” বইটি ভূতনাথ পাণিগ্রাহীর লেখা, অনুষ্ঠানে না যেতে পারলেও হাতে পেয়েছি। যে বইটি হাতে না পেলে এই প্রবন্ধটি লিখতে পারতাম না। প্রাসঙ্গিক খবরাখবর পেতাম না।

এবার ভূতনাথ পাণিগ্রাহী সাহিত্যিকের কথায় আসা যাক। ‘মূল্যহীন, তবুও’ বলার কারণ কী? তবে কি বলতে চেয়েছেন, এ লেখা তেমন কিছু নয়। সত্যি কি তাই? মূল্যহীন না অমূল্য। বইটির মধ্যে গ্রন্থকীটের মতো ঢুকে পড়লাম। কিছু একটা স্বাদ তো পাওয়া যাবে। সাহিত্যের না হোক, বই পোকায় কাটার গন্ধ। আমি সাহিত্যের গন্ধ, স্বাদ, সৌন্দর্য সবটাই পেয়েছি।

আমরা যারা অলিখিত চিঠির নীরব টানে, সংলাপ ভবনে বাঁশখানায় উপস্থিত হই। বক-বকম করি গাছগাছালির মধ্যে, পেট পুরে খাওয়ার লোভে কিন্তু নয়। মনের খোরাকের জন্যে। ভাব বিনিময়ের জন্যে নয় কেউ তা বলবে না। বার্ষিকী হিসাবে পাই আমাদের প্রিয় কথাকার ভূতনাথ পাণিগ্রাহী মহাশয়ের সম্পাদিত পত্রিকা ‘সংলাপ’। তাঁর লিখিত গ্রন্থ যখন যে নামে, যে বিষয়ের ওপর হয় – সেটি হাতে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তো থাকেই। সুন্দর ছাপাই, বাঁধাই ঝকঝকে একটি বই। অমূল্য গ্রন্থটি- অ-মূল্যে পেয়ে থাকি।

ঘোষকের মুখে শুনতে হয় না, ছাপার খরচ সবাই জানেন আকাশ ছোঁয়া। এই ছাড় দিয়ে, এই মূল্য ধার্য করা হয়েছে।সবার হাতে তুলে দেওয়া হলো, সহৃদয় যাঁরা একটু ভাববেন। সংলাপ ভবন থেকে তেমন নির্দেশিকা কানে বাজে না। আসলে ভূতনাথ পাণিগ্রাহীবাবুর মাইক সেও অতি অমায়িক। সেই ভূমিকা পালন করে আসছে বছর কে বছর। পরিবেশক যারা বইটি হাতে তুলে দেন, যাঁরাও কম অমায়িক নন।

প্রথমে অনেক মূল্যহীন কথা বলে ফেললাম। তবুও ভালো ‘মূল্যহীন, তবুও’-র মধ্যে সারবস্তু কিছু হলেও আছে বলে। দুই মলাটের মধ্যে অণুগল্প ধর্মী গদ্য রচনার সংখ্যা দুইশ-ষাটটি। জীবনের নানা চাক্ষুষ বিষয় নিয়ে লেখা।

উক্ত লেখাগুলো আণবিক বোমার মতো। পড়লে বিস্ফোরিত হয় মনের মধ্যে। তবে পাট করে রাখলে হয় না- পাঠ করতে হয়। নাগাসাকি- হিরোশিমার মতো প্রাণের সবুজ ভূমি ধ্বংস করে না। সজীব সবুজ করে তোলে মন।

আমি চাইব ‘মূল্যহীন, তবুও’ সকল সাহিত্যপ্রেমী,পাঠক বন্ধু পড়ুক। প্রবাদের মতো করে নিজেদের মধ্যে প্রাসঙ্গিক ভাবে প্রয়োগ করুক। মনে হয় অনেক বেশি কথা, একটি বাক্যের মধ্যে প্রকাশ করতে পারব। যেমন শ্রীরামকৃষ্ণদেব বলে গেছেন “রামকৃষ্ণ কথামৃত” গ্রন্থে। যদিও তাঁর রচিত নয়, “শ্রীম” সংকলিত। তবে কেউ ভুল ভাবেন না। আমি ভূতনাথবাবুকে সংলাপ পত্রিকার সভাপতি “রামকৃষ্ণদেবে”র সঙ্গে তুলনা করছি। কারণ ভূতনাথ পাণিগ্রাহী মহাশয় নিজেও কল্পনাতে যা আনতেন না।

এবার ‘মূল্যহীন, তবুও ‘ গ্রন্থ ভূতনাথ পাণিগ্রাহী লেখা থেকে কিছু মূল্যবান বাক্য বা শব্দবন্ধ তুলে ধরছি। জানি সবাই পড়বেন। একটু আভাস দেওয়ার লোভ ছাড়তে পারলাম না, তার বেশি নয়।

“যে জীবন” গল্পটিতে ধরে নিলাম লেখক নিজের কথা বলছে না। লেখকের সঙ্গে অনেকের মিল হতেই পারে। আমার নয়, পেশাগত কারণে মিল থাকলেও সেভাবেই মেলেনা। ভূতনাথ মহাশয় বলছেন ‘একেই বলে পেটের টান’ আদি রসের টানে পদস্খলন ঘটে বুঝি। তার ধাক্কা পেটের টানের থেকে দুর্বল?

ভূতনাথ মহাশয়ের মতো মানুষ। কর্তব্য নিষ্ঠ গৃহশিক্ষক।তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছে বিষ হজম করা। যদিও অমৃতের অমোঘ সুখ বলতে পারতাম, কিন্তু কার্য-কারণের প্রেক্ষিতে তা বিষময়। যুবতী ছাত্রীর কামনা উপেক্ষা করার জন্য শুনতে হয়েছে ‘সত্যি স্কাওয়ার্ড়। মরা মানুষ’। জানি না আমরা হলে হয়তো ওই অপবাদ দেওয়ার সুযোগ দিতাম না। (অন্য কিছুই ভাববেন না) কর্তব্য চুলোয় দিয়ে পলিয়ে বাঁচতাম। তার বেশি নয়। লেখকের কথা শেষ হয়নি। বলছেন ‘দারিদ্রতা আমাকে চাবকে রাখতো সোজা’। অনেকাংশে ঠিক, তবে পুরোটা বিশ্বাস করি না। এই সময় কতটা সোজা থাকে সময় তা বলতে পারে। যে ভাবে সংবাদ মাধ্যমে শিক্ষক ছাত্রীর অশালীন আচরণের কথা উঠে আসে। ভাবিয়ে তোলে। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি। আমার দেখা প্রিয় সাহিত্যিক ভূতনাথ পাণিগ্রাহী সম্পর্কে। আত্মসম্মান সচেতক। দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠাবান। আদর্শ এক মানুষ।

এবার “শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার” নিয়ে কিছু বলার আগে, মনে পড়ল আমার নিজের একটি রম্যরচনার অংশবিশেষ। লেখাটির শিরোনাম ‘রম্য রচনার কাঁচা মাল’। প্রতিনিধি স্থানীয় চার রকম ব্যক্তির নানা দিক তুলে ধরা। সার্বিক ভাবে সমাজের, বিশেষ করে সভা সমিতিতে চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ ‘হোম ওয়ার্ক’ করে আসেনা মনে হয়। বোঝা যায় পদের কাঙালি। তাদের একটাই অহংকার কোনো বিষয়ে পিছিয়ে থাকার মতো অজ্ঞতা তাদের নেই। পুব দিক বর্ণনা করতে বলবেন। পশ্চিম ঘুরে নিজের সম্পর্কে বলতে শুরু করবে। যাঁর সম্পর্কে বলতে বলা হলো, পশ্চিমে সূর্য অস্তে দিয়ে বুড়ি ছুঁয়ে বাধ্য হয়ে নেমে আসেন।

তেমন, ভূতনাথ মহাশয় বলতে চেয়েছেন, শ্রেষ্ঠ পুরস্কার গল্পে। সভার প্রধান অতিথিকে- ‘অখ্যাত কবির সম্পর্কে বলতে বলা হয়। অথচ তাঁর লেখা দুটো লাইন কখনই যে পড়েনি কিংবা দেখেনি খুলে, সেই সভার প্রধান অতিথি। তিনি বলেন – বন্ধুগণ, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতা হচ্ছে, হায়! হায়! আমরা আজ কাকে হারালাম। কী তার ধারালো মর্মস্পর্শী লেখা। তাঁর সাথে থেকেছি, তাঁর প্রতিটি লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি। উঃ! অগাধ জ্ঞান। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কবির একটি লাইন বলতে পারি। কিন্তু পড়ছি না। কারণ তাঁর চলে যাওয়াটা আমাকে এতখানি শোকাহত করেছে ‘। এই হলো মেকি আংশিক সমাজ।সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত বলে, লেখকের জানার সাথে আমাদের জানাটা তুলে ধরলাম। লোভ সামলাতে পারলাম না।

প্রসঙ্গে এলাম। ‘সংলাপ পত্রিকা ‘। সংলাপ নামক রচনার দ্বারা লেখক কী বলতে চাইছেন? পত্রিকা ব্যক্তি অধীনে রেখেও যে অভিজ্ঞতা হয়েছে। ক্ষুদ্র পত্র-পত্রিকা যারা চালান তারাও একই অভিজ্ঞতার শিকার। এ কথা একবাক্যে পোড়খেকো সম্পাদকেরা স্বীকার করবে।

আমরা হলেম মুখচোরা, লাজুক প্রকৃতির। অথচ প্রকৃতির কাছে পৌরুষ প্রদর্শন করি। কিন্তু একটি পত্রিকা দিয়ে দু’টাকা বিনিময় বাবদ চাওয়ার মুরোদ নেই। কীসের অপরাধ বোধে যেন চাইতে পারিনা। কবি সাহিত্যিকরা নরম মনের হয়। এ ক্ষেত্রে প্রকৃতির মতই। ফলত যা হয়, ক্ষুদ্র পত্র পত্রিকার অকাল মৃত্যু ঘটে।

সম্পাদক অবশ্যই সাহিত্যিক- ভূতনাথ পাণিগ্রাহী মহাশয় যখন দেখলেন। যাকে-তাকে পত্রিকা দিলে বিনিময় হবেনা। তাই প্রথম সংখ্যাটি তাঁর ‘স্যার’কে দিলেন। তিনি কী বললেন ‘ বাঃ! দারুণ ! দারুণ !, খুব সুন্দর। জেনো, সাহিত্য ছাড়া মনুষ্য জীবন কখনই সার্থক হয় না। চুটিয়ে লিখে যাও। পাশে আছি, থাকবো।

– স্যার, মূল্য মাত্র দুই টাকা।
আকাশ থেকে পড়লেন স্যার, মূল্য ! মূল্য দুই টাকা। মানে ইতিপূর্বে অনেক তো পত্রিকা দিয়ে যায়, কিন্তু মূল্য তো মানে – – – আচ্ছা নাও ধরো, রেখে দাও।

– স্যার, আপনি – – -।

– আরে বাবা পকেটে খুচরো টাকা এখন নেই তো! চিন্তা নেই , টাকা দিয়ে তখন নিয়ে যাবো কেমন?’

আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর জন্য ভূতনাথ মহাশয় বলছেন ‘ দীর্ঘ প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর পার হলো। তবুও হে প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় পাঠক, সম্পাদক আজও আপনার প্রতীক্ষায়। আপনার প্রত্যাশায় দেখুন এখনো ঠায় সেই দাঁড়িয়ে আছি। স্যার এখন মূল্য সেই দুই টাকায় নেই! ভুলত্রুটি মাফ করে দিন। দেখুন মূল্য এখন শূন্যই বসিয়ে যাচ্ছি। কেন? শুধু আপনাকে পড়াবো বলে।’

সবাই কে বলছি। অন্তর দিয়ে ভেবে বলুন তো। নিজেকেই বাদ দিইনি। লেখক ভূতনাথ মহাশয়ের শেষ উক্তির মর্মার্থ কী ভীষণ উদ্বেগজনক মর্মস্পর্শী। এমন কি বেদনাদায়ক নয় কি?
কেবল মাত্র প্রিয় স্যারকে (দু’টাকার পত্রিকা, পরে অনেক মূল্য বেড়েছে ) পড়াতে এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন একই জায়গায়। তবে সেই স্যারের সঙ্গে আজ বহু গুণী মানুষ যুক্ত হয়েছে। সে ভাবে কাউকে পড়াতে পেরেছেন কি? না কি ‘সাহিত্য ছাড়া জীবন কখনই সুন্দর হয় না’ এই আপ্তবাক্য শুনিয়েই মুখ ফিরিয়ে এখনো চলছে,মেকি উৎসাহ দাতারা। এঁদেরকে প্রকৃত জ্ঞানী বলে থাকি।

আমি সকল পাঠককে বলব, “মূল্যহীন, তবুও ” গ্রন্থের প্রতিটি অণুগল্পের মতো সাজিয়ে দেওয়া কথামালা। সাহিত্যিক ভূতনাথ পাণিগ্রাহী মহাশয়ের চলমান জীবনের অভিজ্ঞতার ফসল।প্রতিটি খুঁটিয়ে পড়তে হয়।নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পথ চলতে চেষ্টা করলে আখেরে লাভ হবে। সবার সাথে আমিও আশা করব এই ভাবে সাহিত্য ভাণ্ডার ভরিয়ে যান। দীর্ঘ জীবন লাভ করুন সাহিত্যিক ভূতনাথ পাণিগ্রাহী মহাশয়।

পুনশ্চ : আর একটু না বললে মনের মধ্যে খচখচানি দূর হবেনা। প্রিয় পাঠকের কথা যখন লেখকের লেখনীতে এলো তবে বলি। মূল ভীতি দূর করে পত্রিকা “সংলাপ” সহ ” মূল্যহীন, তবুও” বইটি উপস্থিত সকলের হাতে ধরাতে পেরেছেন। কৌতূহলীরা সংখ্যাটি না পাওয়ার দুঃখ, বেদনা অকপটে প্রকাশ করেছেন বুঝতে পারি। সবাইকে পড়াতে পেরেছেন কি? অ-মূল্যে নিয়ে, অমূল্য ভাবেননি তো? আপনি নিজেই তো মূল্যহীন করে বসে আছেন। যে যেমন ভাবে নিক, স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে ভাবার সবার অধিকারের মধ্যে পড়ে। যেমন ভাবে শারীরিক ভঙ্গি প্রকাশ করুক। হাত পেতে নেওয়াটা একই রকম দেখেছি। মন্দের হলেও সেই ভালো।

যতটা হাত পাততে দেখেছি, কটা হাতে লেখনী উঠে এসেছে। মতামত বিনিময় করতেও এতটা কৃপণ, না কুঁড়েমি। তবে সবাই নয় তাও জানি। তাঁদের জন্যই তো সাহিত্য সমাজ খুঁড়িয়ে হলেও এখনো চলছে। সাহিত্যিক ভূতনাথ পাণিগ্রাহীর কথায় শেষ করব ‘ পৃথিবীর সবকিছুকে ভালোবেসে এই জীবন সার্থক করো’। কবি সাহিত্যিকেরা সৃষ্টির মাধ্যমে সার্থকতা খুঁজে পায় এ কথাও সবার জানা।

শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ | Shibaprasad Purakayastha

New Bengali Article 2023 | হুগলী জেল ও কাজী নজরুল ইসলাম | প্রবন্ধ ২০২৩

New Bengali Article 2023 | অঘোষিত প্রতিযোগিতার ফল

Bengali Article 2023 | দুর্গা পূজার কথকতা | প্রবন্ধ ২০২৩

Bengali Article 2023 | আশা নিরাশার দোলাচলে বাঁকুড়া জেলার কাঁসা শিল্প

writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bangla article rewriter | bengali article writing format | bengali article writing ai | bengali article writing app | article writing book | bengali article writing bot | bengali article writing description | article writing example | bengali article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali article writing format | article writing gcse | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | bengali article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | article writing on child labour | article writing on global warming | bengali article writing pdf | bengali article writing practice | Bengali article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Bengali Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Founder

Leave a Comment