Natun Bangla Kobita Lekha | Read Best Bengali Poetry

মোহনা – বন্দনা পাত্র

অস্তিত্ব ছুঁয়েছে জীবন অরণ্য মত নির্জনতা স্মৃতি
অহর্নিশ গেঁথেছে বন্দী যাপনে ফল্গু-মালা,
এক টান অনুভব মাধ্যাকর্ষণ যেন, তবুও ছায়াবীথি
চলে গেছে নদীর মতোই ঐ পাহাড়ি ঢালে…
দুঃখ অনুসর্গ হয়ে জীবন যাপন ধীর তালে
কথা বলে চুপি চুপি গভীর গভীর হয়ে নদীর মতো।

জীবন চলে,চলতেই থাকে,কখনও নটরাজ ভঙ্গি
নৃত্য ছড়ায় জীবন রঙ্গমঞ্চে সে যে এক যাপন-নৃত্য।
মন বলে,ওগো জীবন তোমার মোহনায় যেদিন মিশব
ডেকে নিও আমাকে সিঁদুর রঙা বিকেলে নাচব…
ঠিক যেন নদী আর সাগরের মোহনা জীবন যাপনে,
উপসর্গ জীবন আর অনুসর্গ যাপন দুদিনের ঋণে।।

জল-জোছনা – বন্দনা পাত্র

রাত এল এই উঠানে
জাল শুকনো অঙ্গনে,
সন্ধ্যা সময় প্রদীপ জ্বলে
সেইখানে, সেইখানে…।

জোছনা আজ খেলছে জলে
আলো হীনা জলের ধারে…
মাছেরা সব ঘুমিয়ে আছে কোন্ তলে?
জল-জোছনা ঘুরছে মরে পুকুর জলে।

রাত-উঠানে জাল ফেলেছে কোন্ জেলে?
আকাশ দেখি তাকিয়ে আছে মাটির কোলে,
সেই খানেতেই প্রদীপ জ্বলে প্রদীপ জ্বলে
মাটির দেওয়াল স্মৃতির পথে ইট তোলে।

এমনি করেই জেলে মাঝি স্বপ্ন দেখে
প্রতি রাতে জোছনা এল ছাদ ফুঁড়ে….
আমরা সবাই কত না দিন কত শখে
মাছ ধরেছি ছিপে করে জাল ছিঁড়ে।

জল-জোছনা পালিয়ে গেছে ভোর রাতে।।

পাখি যা – বন্দনা পাত্র

যেদিন চলে যাব তোমার আর তোমাদের কাছ থেকে
সেদিন বুঝবে পাখির খাঁচা আজ শূন্য হয়েছে,
সেদিনও কি এইভাবেই আমাকে ভালোবাসবে?
জানি, আমার খোঁজ নিতে গিয়ে অমৃতলোকে
দেখতে পেলেই বলবে, এই পাখি তোর শূন্য খাঁচা
পড়েই আছে, আমার কল্পলোকের গল্পতে কে
পাখি পোষে?
যেদিন চলে যাব সব ছেড়ে তোমার কারসাজি থেকে
বলবে না তো জানি, ‘এই পাখি যা!’
তখন শুধুই নিজেদের আখের গোছাতে
আমাকে অস্ত্র করে বেশ দিব্যি এগিয়ে যাবে তোমরা।
আমার ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে নিজেই বলব,
নিজেকে…’এই পাখি যা…!’

পৌষ এসেছে – বন্দনা পাত্র

আজ রোদ ঝলমল ছাদের উপর চুল মেলেছি
ও সখি, পৌষ রোদে একটু নেচেছি…
ঐ যে ঐ গানে, ‘তুম্ তো বঢ় ধোকেবাজ হো’!

সুন্দরি এক সবুজ পাখি গাছের ডালে বসে
দৃশ্য দেখে কেমন যেন মরল হেসে….
আমার তো বেশ ভালোই হল পৌষ এসে।

পৌষালি এক বাতাস এসে শীতের ছোঁয়া দিল শেষে,
আমি আবার একটা কথাই ভাবব বসে দিনের শেষে
ছেলেবেলার দিনগুলোতে মায়ের হাতে পিঠে খেতে,
বেশ লাগত….বেশ লাগত…. অবশেষে
গানের রেসে একফালি রোদ আকাশ কোণে
মায়ের কথা মনে করায় পৌষের ক্ষণে ক্ষণে…।

নমস্কার আমার – বন্দনা পাত্র

সকালের কথাগুলো মনে মনে রাস্তা হাঁটে
দুপুর হলেই ভীমপলশ্রী রাগের ঠাটে
চলতে থাকে কথাগুলো কাফীর তানে,
কথার কথা সবই শুধু মন জানে মন জানে।

আর কতদিন এভাবে তুমি কাঁদাবে বলো ?
একটু না হয় লোভ কমিয়ে ধীরেই চলো…
ঈর্ষা ওদের কতখানি কে জানে…বলতে পারো?
আর কিভাবে বাঁচবো বলো, জীবন আরও।

জানুয়ারি এল যখন শীতের হাওয়া নিয়ে
আলো জ্বেলে বসল সে বিয়ের গল্প নিয়ে
মোমো খেয়ে ভুল ধরল আমার গানের
আমি তখন গল্প ভুলে বলি ওদের নমস্কার!
নমস্কার!

নিষ্কৃতি – বন্দনা পাত্র

একবার যদি সংসার সাগরে ডুবে যাওয়া যায়
মুক্ত হতে সময় লাগে হাজার হাজার বার….
ঝিনুকের মুক্তোর মত বন্দীদশা যার
সে কি বলে আমি মুক্ত…?
তবু তো নাম তার বন্দীর বন্দনা
ঝিনুকের মুক্ত যেমন।
এই ভব সাগর ঐ আকাশের নীচে
যেথা মানুষ রচে যায় সংসার
নিষ্কৃতি নেই তার, সে যে এক সমাজ
মাছের মত জলে লেজ দোলায়
এক গোষ্ঠী,যেন তা ডাঙার জলকেলি
অনন্ত শয্যা ভুবন শয়নে বন্ধ এক অমৃত হৃদয়
সেও তো বিদায়ের সময় এলে চন্দন কাঠে
পুড়ে যায় বন্দী এক অমৃত হৃদয়
পড়ে থাকে কর্মফল,জল চোখে স্পর্শ
তার সমস্ত রচনার উপর…..।।

সময় যদি কথা বলে – বন্দনা পাত্র

তোমার ঐ নির্যাতনের গল্পগুলো পড়তে বসি
মাঝে মাঝেই মনে হয় সহ্য করার ক্ষমতা ভীষণ তোমার…
প্রতিবাদ করো না কেন…?
জানি,তুমি ভয় পাও না…
তবুও তো বলতে পারো কথা,
বোবার শত্রু হয় না বলে তুমি কি উচিৎ কথা বলবে না…
ভয় নেই তোমার, তুমি তো অদম্য সাহসী
তবে কেন চুপ থাকো?
তোমার জন্য নির্যাতন অমর হয়ে ওঠে
ওরা মরে না,শুধুমাত্র অত্যাচার নাম নিয়ে
আবার জন্ম নেয়…
তোমার সাহস দেখেছি সেদিন অসম্ভব
শত্রুর হাত থেকে পরিবার রক্ষা করেছিলে
তখন কোথায় পেয়েছিলে অতো শক্তি..?
তুমি নিজে কেন চোখ মোছো…?
সময়কে বেঁধে রাখার সাধ্য কার?
সময় যদি কথা বলে….।
সময় আসুক সময়ের হাত ধরে এই কথা
ভাবতে ভাবতেই কতো সময় পার হল
বুঝতে পারছো না?

যখন তোর যেতে ইচ্ছে – বন্দনা পাত্র

তোর যদি চলে যেতে ইচ্ছে হয় চলে যা
শুধু শুধু অন্যের সাথে জড়াতে যাস না,
যেতে ইচ্ছে হলে যা… !
অন্যকে মৃত্যুর মুখে ঝোলানোর মত কাজ করিস না,
অসুর হলেও যুদ্ধ করতে জানে…
তুই নরাধম, নারীর লজ্জা না ঢেকে
স্নানঘরে উঁকি দিয়ে চলেছিস…!
বুধের শক্তি নিয়ে আপনজনেদের খুন করছিস?
আর দুর্বলতার অভিনয় করে জনসমক্ষে
ভগবান সাজে…! ধিক্..!

ও নারীবাউল, তুই আর বাউল থাকবি কেন বল্?
অসুর বিনাশ কররে এবার অসুর বিনাশ কর
যে তোর স্নানের ঘরে দিল উঁকি তার বিনাশ কর।
বুধটাকে তার নষ্ট করে বল…
‘তোর যদি ভূমন্ডল ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হয় চলে যা
কলঙ্কপুরুষ ! ‘
নারী কেন পতিতা হয়…?
পতিত পুরুষ যেথা, সেথায় পতিতাপল্লীর জন্ম হয়।

হিংসার ঘরে – বন্দনা পাত্র

জন্ম নিয়ে মাতৃগর্ভে হিংসা কোথায় পেলি?
পরিবেশ কি বিষাক্ত ছিল কারাগারে গেলি,
তোর মনের ঐ হিংসা ঘরে হিংসা পুষে মরলি
যে তোর লাগাম টেনে তোকেই লাগায় নিজ কাজে
বুঝলি কবে গিঁট দেওয়া ঐ বুদ্ধির কাছে?
শিক্ষিত আর অশিক্ষিত শব্দ দুটি ভীষণ দামি
অল্প শিক্ষা ভয়ংকরী…!
তোর ঐ চোখ রাঙানি গর্জে ওঠা দুটোই খুনী ।
খুন করিস আর ভালোবাসার নাটক করিস
রাত হলে তুই ঠোঁট রাঙিয়ে হিসেব করিস…
হিংসা ঘরের লালবাতি যে দাউদাউ
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
আর কাঁদিস না, করিস না রে হাঁউমাঁউ।

বর্ষা এলো – বন্দনা পাত্র

ঐ আকাশ দেখি রোদ্দুরেতে ভাসায় মেঘ
মেঘের ভেলা এমনি করেই চলছে বেশ
বর্ষা আসার সময় হল তবু কেন রোদের বেগ?
পূব হাওয়া আর মাতাল আকাশ বাতাস
বর্ষা ডাকে আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাস।
এই আষাঢ়ে বর্ষা এল রিমঝিম্ নূপুর পরা পা
বৃষ্টির দেখা নেই যে এখন আকাশ করে মেঘা।
একটু দূরে মেঘ দেখা যায় এই টুকু রোদ
গর্জে ওঠে এই আকাশের এমন ক্রোধ..!
বিকেল বেলার মুষলধারী বৃষ্টি আসে
বেলফুলেরা জলের ঘায়ে মাথা নাড়ে,
ছাদটবেরা ভিজছে ভীষণ অনেক দিনের পরে
বর্ষা এলো এই অবেলার আষাঢ় মাসে
ভাসায় না সে,ডোবায় না সে,বর্ষা শুধু নাম নিয়েছে।।

প্রতারণা – বন্দনা পাত্র

যেদিন বললে তুমি, তোমাকে আর ভালো লাগে না
আর ভালো বাসতে ইচ্ছে করে না,
সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম শত্রুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাকে তুমি কত বড় প্রতারণা করেছিলে…!!
আর আজও সেই একই রকম….
ঠৌঁটের হাসির আড়ালে কত যে যুদ্ধ তোমার
সবই আমাকে নিয়ে,
গর্ব হয়!
আমাকে ঠকিয়ে যদি খুব খুউব ভালো থাকো
তাহলে এই প্রতারণা করা সার্থক…
সার্থক হোক, তোমার, তোমাদের প্রতারণা
ভালো থেকো, ভীষণ ভালো থেকো…
প্রতারক তুমি….শুধু এইটুকু জেনে রেখো।।

ঘৃণা – বন্দনা পাত্র

ভালোবাসার অভিনয়ে আর হিংসার থিয়েটারে
থাকতে থাকতেই সারা জীবন কেটে গেল,
অভিনয়ের ঘরে এসে অভিনয় পারিনি
হিংসার সংসার শুধুই হিংসা করে
আর আমি কেবল অশ্রু মুছে অভিনয়ের
দর্শক হয়ে বেঁচে থাকি।
ওরা বলে,ন্যাকামি দেখলে বাঁচিনে…!
আমি যে অভিনয় জানিনে….।

লড়াই করতে ঘৃণা হয়,
পশুর সাথে মানুষের লড়াই
কম কথা নয়…!
কতখানি বল ক্ষমতা থাকলে দেহে মনে
তবেই লড়াই করা যায়।
দুর্বল মানুষ পেয়ে সবলেরা করে অত্যাচার
তাদের জানা নেই তারা কতটা দুর্বল…।

যদি ভালোবাসো – বন্দনা পাত্র

তুমি কি আমাকে ভালোবাসো…?
যদি ভালোবাসো,তবে কেন অনাচার?

যদি ভালোবাসো ককটেল পাখির মত
এক খাঁচাতে বন্দী থাকো…

দূর দূরান্তের সাগর পারে
কোনও এক দ্বীপে তোমার ঐ
ভালোবাসার ঘর এঁকে ডাকো
যতদূর যাই কেন, যদি ভালোবাসো।

তিন দিন তিন রাত মশারির ভিতর যেন
এক প্রেম এসেছিল আসামীর মত…
তখন কি ভালোবাসা মেখেছিলে জোছনার?
যদি ভালোবাসো,সে ও ছিল আঁধার…।

মন-মোহনার বালিয়াড়ি স্রোতে মনে হল
সব যেন নাটুকে ভালোবাসার ঘর
ঢেউ আসে আর যায় জীবন-সায়াহ্নে,
যদি ভালোবাসো, অবশেষে একবার
বলে যেও,’তোমাকে বেসেছিনু ভালো।’

সুন্দরের বেঁচে থাকা – বন্দনা পাত্র

যাওয়া আসার মাঝে শুধুই স্রোত,
জীবন-তরী বাইতে গিয়ে ধূধূ সময়
গ্রাস করে নেয় মন….
সে মনের ঘরে সুন্দর এক মানুষ থাকে
বাঁচতে চাওয়ায় অসুন্দরের পুজো
সেরে কেমন বেঁচে থাকা…?
হার জিৎ এক বেঁচে থাকার নাম
সুন্দরকে জানায় কেবল প্রণাম…।

সুন্দরের বেঁচে থাকা আকাশ রোদের মত
শিশির পড়ে ঘাসের ডগায় সহস্র শত…
সে বেঁচে থাকার হৃদয় রঙে দৈববাণী
এল উপর হ’তে,এমন করেই বাঁচতে হবে
ঢং করে সং সেজে শুধুই ছল করে মন তবে।

সুন্দর তো এমনি করেই বেঁচে থাকে যে যার ঘরে,
ভ্রমণ নিয়ে সুন্দরেরা ভ্রমর হয় না জেনো,
সে কেমন যেন গুমরে মরে এই তো
বেঁচে থাকা…..।।

ঘড়ির কাঁটা – বন্দনা পাত্র

দিন নেই রাত নেই কেবলই তোমার চলা,
থামলেই শূন্য সময় শূন্য কথা বলা…

টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ চলছে তো চলছে
সময় যে কত কথা বলছে….

ঘড়ির সময় দেখে আকাশের সূর্য
ওঠে না কখনও, সূর্য দেখে ঘড়ি ন্যায্য

কাঁটা স্থির হলে ঘড়ি সময়কে ধরে রাখে
কালের গতিটা শুধু ধরা যায় না সময়ের শাখে।

কাঁটা কথা বলছে, এখনও চলছে…
মিষ্টি মধুর ভাষা বলছে।

সঠিক শূন্য সময় এলে,লাল রঙে
এঁকে দেবে সব শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস।

তার আসার সময় হল না – বন্দনা পাত্র

আমার লেখা হল না,হল না
প্রেমকাব্য লেখা হল না…।
বর্ষারানী মুকুট পরে অনেক দূরে
ঝমঝমিয়ে নূপুর পরে আকাশ পারে
তার আসার সময় হল না…
কেমন করে প্রেমশাখেতে ফুল ফোটালে
কাব্যমালা গাঁথা হবে…
জানি না, জানি না…।

একখানা মেঘ উড়ে এসে রোদ ঢাকে
বর্ষা কেমন লুকোচুরি খেলতে থাকে..
আকাশের মেঘলা রঙে আলোর ছ’টা
মর্ত্যলোকে মেঘলা প্রেমের ঘনঘটা
তবুও… প্রেমকাব্য লেখা হল না।
কবে যে আসবে তুমি রানীর মত
আকাশ থেকে পড়বে ঝরে বৃষ্টি যত
খেচর জলে স্নান করে পাখি হবে জড়ো
আমার প্রেমকাব্য জলে ফুল কেমন তর
শাখাহীনা গাছের উপর ফুল দোলে
কাব্যে ভ্রমর প্রেম ফুলে ঢেউ তোলে
তার আসার সময় হল না,
একখানা মেঘ আমায় কাছে ডাকল না।

এক পাহাড়ি আকাশ – বন্দনা পাত্র

ওই আকাশ সব কবিতায় তোর প্রসঙ্গ
তুই এসে শুধু বিরহ সঙ্গ,
কেন তুই জড়িয়ে থাকিস সূক্ষ্ম টানে
কেন যে নিত্য তাকাই আকাশ পানে?
একলা সময় ভাবতে বসি তুই এসে যাস্
মেঘ বৃষ্টি রোদ সবই তো ভাসাস্…
পাহাড় নদীর গল্প লিখি
মেঘ ডাকলেই আকাশ সে কি!
খামখেয়ালি কথার মাঝে চাঁদ আসে
আকাশ কুসুম ভাবনা নিয়ে আকাশ হাসে ।
কল্পনা জালের আকাশ মেঘে বিরহ-জল
সেই সঙ্গ নিয়ে ঐ আকাশ তোর নয়ন জল,
বর্ষা এলেই বিরহ তোর মেঘের সাথে
তাই বুঝি কি আকাশ নামেই আষাঢ় রথে?
কোনখানেতে তোর প্রসঙ্গ ও আকাশ
নেই বল তো কোন্ আষাঢ়ে…?

উন্মুক্ত পদ্ম – বন্দনা পাত্র

সদ্য ফুটে ওঠা ফুলে পাপড়ির ছন্দ
ফিসফিস কথা বলে ভ্রমরের চুম্বনে
হাজার ভ্রমরের গুঞ্জনে সে উন্মুক্ত পদ্ম,
সাদা মেঘে আল্পনা আঁকা আকাশে
এক পাহাড়ি পথ যেখানে মেঘ ভাসে
মেঘ-পদ্ম পাপড়ি খুলে দেয় তার
বাদল হাওয়ায় নিজের খেয়ালে বারবার ,
সেই পথের ছন্দ বলে বৃষ্টি কথা…
পৃথিবীর সড়কে মেঘ-অপরাজিতা
শুধু এক উন্মুক্ত পদ্ম
কবিতা লিখে চলে অশ্রু-পদ্য
পৃথিবী ফুটেছে যেথা দেবতার নাভিপদ্ম।

ঝরাপাতা – বন্দনা পাত্র

ও নতুন পাতা কোথায় উড়ে যাস্
ধুলোর পথে উড়বি জানি
এই খেলা তো তোর বারোমাস…
নিপুণ হলে শুকনো হবি,
ইচ্ছে হলেই ঝরে পড়বি
ফুল ফোটাবি ফল ধরাবি
তোর সবুজেই ফুলের দারুণ সুবাস…
শুকনো পাতা ঝরার বেলা
জীবনের জোয়ার ভাটা খেলা
ঠিক যেন ঐ এলোমেলো হাওয়ায়
নতুন নিপুণ ঢেউ খেলানো দোলনায়
ঝরবি জানি, উড়বি জানি
এই খেলা তো তোর বারোমাস…
ইচ্ছে হলেও থাকবি কি আর তেমনি?

শীতল বাতাস – বন্দনা পাত্র

জুন মাসের এই আবহাওয়া বড্ড কষ্ট দেয়
মৌসুমী বায়ুর অপেক্ষাতেই এখনও…
আজ পাঁচই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস
এসো আমরা গাছ লাগাই
বৃষ্টির গান গাই।
একটু শীতল বাতাস এলে শান্তি পাবে সবাই
তোমরা কি শুনতে পাচ্ছ না এখনও..
গরম বাতাস কেমন করে বয়..?
এসো আমরা প্রতিদিন একটা বৃক্ষের
বীজ রোপণ করে দিই,
ছায়া, ফুল, ফল, শীতল বাতাস দিয়ে যাবে প্রতিদিন
সূর্যের তেজ প্রখর হচ্ছে দিন দিন
ধ্বংস আসে, আমরা কৃত্রিম কৃতজ্ঞতার
স্বীকার হয়ে বসে থাকি।
এসো আমরা আজ, রোজ, প্রতিদিন
বৃক্ষ রোপণ করে আসি।
আজ পাঁচই জুন, শীতল বাতাস ডাকি,
রোদের চাদর সরিয়ে ছায়ায় থাকি।

মনে থাকবে তো? – বন্দনা পাত্র

এখনও ছবি আঁকছো?
কতো বিকেল পার হয়ে গেল,বিকেলের পর বিকেল
আমি বসে আছি তোমার সম্মুখে
শাড়ির আঁচল ছড়িয়ে —
এই যে যখন যেদিকে বলছো যেভাবে বলছো
আমি এঁকেবেঁকে বসছি-
এসব মনে থাকবে তো?
যখন বললে,আকাশের দিকে তাকাও-
অমন গম্ভীর গলার শব্দ
আমি এড়িয়ে যেতে পারিনি।
তারপর বললে,পাখির মতো হাত দুটি দিয়ে
ডানা মেলো,
আমি উড়লাম-
তুমি মৃদু হেসেই চিত্র তৈরি করলে
আমি লক্ষ্য করেছিলাম ঐ হাসির আড়ালে
শিল্পীর অন্তঃস্থল আর ভঙ্গিমা
তোমার মনে থাকবে?
আমাকে নিয়ে তোমার যত সৃষ্টি
অথচ,তুমি মহাসাগর আর আমার উন্মুক্ত দেহ
কতো গোধূলি—,কতো রজনী
তোমার তুলির কৌতূহলী।
মনে রেখো,আমার এই ভাঙা বিকেল ভাঙা গোধূলি
শুনছো রমণীমোহন-,
আমাকে তোমার মনে থাকবে তো?

শপথ – বন্দনা পাত্র

তুমি দ্যাখো ঐ নীল আকাশ আর পৃথিবী
বেচা কেনা শেষ হলে জীবনের হাটে
শপথ করো নবশিশুদের জন্য-

খিদে থাকবে না,কান্না থাকবে না,
থাকবে না কোনও লাঞ্ছনা
পুরাতন দিনরাত ঘুণধরা সমাজ
এতো অন্ধকারময় জীবন

পৃথিবী হয়তো স্বর্গ হবে না,
তবে নাভিচ্যুত শূন্য সময়
লুপ্ত হবে
পঁয়ত্রিশ প্রদীপ নিভবে না
দীপাবলির মতো জ্বলন্ত শিখাগুলো
রোদ্দুর হবে সূর্যের মতো-

কালো দিন কালো সময়, মরা-মুহূর্তের বিসর্জন
করে দাও
শপথ করো,
যে মাটিতে গাছ ফুল হয়ে ফোটে-
সেই মাটির বুকে একটা নতুন ফুল ফুটুক
এই পৃথিবীর মহানীরে নতুন পূর্ণিমা
আর একটা চাঁদ চাঁদের আলোকে
ছাপিয়ে আর একটা সূর্য হবে।

বেলা শেষে – বন্দনা পাত্র

জীবন খুব অল্প,
আবার মনে হবে দীর্ঘ জীবন
আয়ুরেখা আমাদের যতদূর নিয়ে যায়
একবেলা গৈরিক সময়ের দুয়ারে দাঁড়াও
শহীদদের স্মরণ করো,
জীবনের মানে যেন এক খেয়ালি আকাশ।

প্রভাতী রোদ শিশিরে শিশিরে হেমন্তের
গান গেয়ে পথে যেন মায়াবতী বালিকা-

কখনও আঘাত,কখনও মত্ত অভিসার
দুঃখের দুপুরে বেদনা আসে বারবার
প্রৌঢ়া সময় বুঝতে পারে জীবনের মানে
প্রস্ফুটিত হয় অবেলার গোলাপ বঞ্চিত প্রাণে।

বেলাশেষে,ফিরে ফিরে আসে শিশুমন
মনে পড়ে সেই বেলার বাঁশি বাজানো যৌবন।

স্বাধীনতা – বন্দনা পাত্র

ছেলেটাকে একটু স্বাধীনতা দিলে কেমন হয়?
খুব খারাপ হবে কি?

তীব্র শব্দ দিয়ে আর্তনাদ করলেই বলবে
পুরুষ তুমি খুব খারাপ !

নারী স্বাধীনতা নিয়ে কতো–ও লড়াই
পুরুষের দুচোখের জল দেখেছ কি?

পুরুষ তো স্বাধীন নয়
তাই,নারী স্বাধীন নয়,
এলোমেলো পরিবারের পুরো ভার
বহন করা ছেলেটাকে এক টুকরো স্বাধীনতা দিলেই
কি নারী স্বাধীন হয় না?

একদিকে মা, আর এক দিকে স্ত্রী
নারী মনে হিংসা সর্বত্র
খুব কম শোনা যায় ওদের ভালোবাসার কথা,
একজন পুরুষ কি বৃক্ষের মত
আগলায়নি সমস্ত সমস্ত কিছু–

নারীদের স্বর্ণ,ধান্য,সম্পদ দিয়ে ভরিয়েছে তো,
ক্রুদ্ধ মেঘের মতো বা দুর্বাসার মতো হয়েছে তো
তবুও নারীকে স্বাধীনতা দিয়েছে, ভালোবেসেছে
নারী কি সত্যিই এক পুরুষের প্রতি মন বেঁধেছে?
সর্বদা ওদের দোষ দিও না,তুমি নারী মমতাময়ী
একবার তো ভালোবেসে দ্যাখো,তুমি কতো স্বাধীন!

হেমন্তের বাতাস – বন্দনা পাত্র

ঝিকিমিকি শিশির শিশির ভোরে
ঊষায় ভেজা তোমার কালো চোখে
প্রেম দেখা যায় রাতদুপুরের পরে
বাতাস শুধুই তোমার ছায়া দ্যাখে।

হেমন্তের ঐ রোদের বেলা পিঞ্জরেতে
অকারণে দ্বার খুলে দ্যায় অমনিতে
আমলকি গাছ শিরশিরিয়ে পাতা নাড়ে
হৈমন্তিকার সে কোন্ অঙ্গীকারে।

সন্ধ্যা নামে হেমন্ত রাগে যখন
হেমন্ত বাতাস শিশির ভেজে তখন
নৃত্য চপল ছদ্মবেশী রাগের তান
মালকোষেতে দিচ্ছে এখন বেসুরো টান।

এই বাতাসে তোমায় দেখি আঁধার
ঊষা ছিল কানায় কানায় শিশির,
রাত শেষেতে নীল হয়েছ তুমি
তোমার রূপে প্রেম যে বহুরূপী।

আদিম শরৎ – বন্দনা পাত্র

ভাদুরে এক হাওয়া এল ঘরে
রাতের জানলা দিয়ে,
দীপখানি তার জ্বলছিল আঁধারে
নিভিয়ে দিলে শরৎ বাতাস বয়ে।
নারী পুরুষ চলছিল অমৃত অভিসারে
আদম ইভের মত–
বৃষ্টি এল বাইরে যত আদিম ভাদরে।
কৌশলেতে পক্ষ দুইয়ের রাজপুরীতে-
কৌতুকী-রাত আলো জ্বেলে ভাদর হাওয়ায়
সাঁতার কাটে বিবর্তনের দৈবপাতে
আসমানি সেই ঢেউয়ের দোলায়
আদিম শরৎ এখন শুধুই শিউলি ছড়ায়।

দৃষ্টি – বন্দনা পাত্র

যতদূর দৃষ্টি যায় –
দেখি শিশির সবুজ ঘাস
সিক্ত হয় মন শিশির সমারোহে
আমি শিশির দেখি পূর্ণ আগ্রহে,
ভোরের শারদীয়া বাতাস ছুঁয়ে
মুহূর্তে প্লাবন আনে হৃদয়ে
ঐ দূরে আকাশ শিশির স্নানে
শিশিরের প্লাবনে ডুব দিয়ে
দৃষ্টি যায় না আর,শুধু ধোঁয়াশা,
উদাসী মন পদ্ম দীঘির জলে
মন ভরে যায় প্রাতের শিউলি ফুলে
সে ও এক শরৎ দৃশ্য,শুধুই ভালোবাসা।

জীবন যেমন – বন্দনা পাত্র

তোমার মত সন্ধানী চোখ
অতল ডুবে ডুব দেয়
তোমার শুধু লেখার ঝোঁক
খাতার পাতায় ঝাঁপ দেয়।

দিন যাপনের উজান বেয়ে
শোকগুলো সব গান হয়
কষ্টগুলো সাহস হয়ে
সময় মত ঝড় বয়।

জীবন কেন ভুলের মাশুল?
পোড়ায় এ মন ইচ্ছে ভুলে
ঠকায় শুধু শাসন আঙুল
জীবন এমন শিকড় ফুলে।

জীবন যখন পিরিত ঘরে
পূর্বরাগের প্রথম সময়
চাতুরী যখন মেঘ-সিঁদুরে
প্রেম তো তখন এমনি পালায়।

পদ্মাবতী – বন্দনা পাত্র

কোনখানেতে ফুটল ফুল
কোনখানেতে কনকচাঁপা
কার সাথে কার মালাবদল
এলিয়ে দিয়ে চুলের খোঁপা।
রাতে গাঁথা বিসর্জনের
সেঁউতিমালা খসল যে,
পূরবী আর বিভাস নিয়ে
সূর্য কেমন আকাশ সাজে।

পদ্মাবতী কনের চোখে জল
আনন্দেতে পায়ে পরে মল
কঙ্কণেতে উঠল বেজে সুর
সঙ্গী সাথে হৃদয় টলমল।
সাত বছর পরে সাতকাহনের
গল্প বলে খোঁপা বাঁধে।

ব্রহ্মা গড়েন ঘোড়া – বন্দনা পাত্র

ভাণ্ডারী তো জোগাড় করে পঞ্চভূতের উপাদান
ব্রহ্মা গড়েন হাতি, অজগর, সিংহ, ব্যাঘ্র
হিসেব নেই তো মোটে,
বড় জাতের ভূতগুলোদের হল অবসান
ক্ষিতি, অপ, তেজ শেষ, মরুৎ-ব্যোম অফুরান।
চতুর্মুখে ব্রহ্মা দিলেন গোঁফে তা-
তেজ ভাণ্ড ক্ষয় করে সে গড়েন ঘোড়া,
ডিম পাড়ে না,গুজব রটে ডিম নিয়ে
ব্রহ্মা দিলেন খোলা মাঠ সময় করে দৌড়িয়ে
ঠেকল এসে আস্তাবলে।
সইসগুলো ডাণ্ডা চালায় মন পেতে
তারিফ করে এক্কেবারে জলের মত ঠাণ্ডা
অসহ্য তার লাথিগুলো-
ব্রহ্মলোকে মাঠ নেই তো,
নিজ কীর্তিতে ব্রহ্মা পেলেন লজ্জা।

বন্দনা পাত্র | Bandana Patra

Param Gyan O Sadhan Tathya | পরমজ্ঞান ও সাধন তত্ত্ব | New Article 2023

City and nature | শহর ও প্রকৃতি | New Bengali Article 2023

Ektu Chuye Deya | একটু ছুঁয়ে দেয়া | New Bengali Story 2023

Ananta Bikeler Rupkathara | অনন্ত বিকেলের রূপকথারা | New Bengali Story 2023

Shabdodweep Web Magazine | Natun Bangla Kobita Lekha | Bandana Patra

Natun Bangla Kobita Lekha (New Bengali Poetry) marks a dynamic shift in the world of Bengali poetry. Over the years, Bengali literature has seen tremendous evolution, with each new wave of poets contributing their unique voice and perspective to the literary tradition. Natun Bangla Kobita Lekha reflects the innovative approach taken by contemporary poets, blending traditional themes with modern sensibilities, and exploring diverse issues of society, culture, and individual expression.

In this article, we will explore what Natun Bangla Kobita Lekha is, its significance in contemporary Bengali literature, and how it is shaping the future of Bangla Kobita. We will also highlight the contributions of notable poets, including Bandana Patra, whose works have been featured in the renowned Shabdodweep Web Magazine.

What is Natun Bangla Kobita Lekha?

Natun Bangla Kobita Lekha refers to the new wave of Bengali poetry that emerged in the 20th and 21st centuries. This form of Bengali poetry embraces contemporary themes, styles, and language while staying true to the cultural roots of Bengali literature. Unlike traditional poetry, Natun Bangla Kobita Lekha often experiments with free verse, fragmented structures, and modern imagery, reflecting the complexities of modern life.

Key Features of Natun Bangla Kobita Lekha:

Modern Themes: Natun Bangla Kobita Lekha explores contemporary issues such as urbanization, alienation, technology, love, politics, social justice, and environmental concerns.

Innovative Form: Poets in this genre often break away from traditional meter and rhyme schemes. They use free verse, unconventional structures, and even visual poetry to express their thoughts and emotions.

Personal Expression: The poems are highly individualistic, offering a deep dive into personal experiences, existential reflections, and inner conflicts.

Cultural Relevance: While the themes may be modern, the underlying cultural influences and linguistic elements of Bangla Kobita remain intact, providing a bridge between the past and the present.

The Evolution of Bengali Poetry: From Tradition to Natun Bangla Kobita Lekha

Historically, Bengali poetry has been dominated by classic forms such as Chhanda (metered verse) and Rabindra Sangeet (songs written by Rabindranath Tagore). However, as the 20th century unfolded, poets began to experiment with new forms and ideas, reflecting the rapid changes in society and the evolving nature of art.

The emergence of Natun Bangla Kobita Lekha was influenced by several factors:

The Freedom Struggle: The political turbulence of Bengal and India during the British colonial period prompted poets to express resistance and protest through poetry.

The Rise of Modernism: Inspired by global literary movements, Bengali poets started experimenting with free verse, surrealism, and other modernist techniques.

Post-Independence Reflection: Following independence, poets began to grapple with themes like identity, nationalism, and the disillusionment that came with it.

Urbanization and Globalization: In recent decades, Natun Bangla Kobita Lekha has also explored the effects of urbanization, technology, and globalization on individuals and society.

As Bengali literature continues to evolve, Natun Bangla Kobita Lekha stands as a testament to the adaptability and resilience of Bengali poetry.

Bandana Patra and Her Contribution to Natun Bangla Kobita Lekha

Bandana Patra is the poet whose work exemplifies the essence of Natun Bangla Kobita Lekha. Her poetry captures the delicate balance between modern themes and the rich cultural heritage of Bengali literature. Through her vivid imagery and emotional depth, she brings to life the complexities of contemporary life while staying rooted in the tradition of Bangla Kobita.

As a regular contributor to Shabdodweep Web Magazine, Bandana Patra has written numerous poems that showcase the innovative nature of Natun Bangla Kobita Lekha. Her works tackle a wide array of themes, from the challenges of urban living to the profound impact of personal relationships and societal expectations. Her ability to fuse personal reflection with universal themes makes her poetry resonate with a broad audience.

The poems published in Shabdodweep Web Magazine serve as an excellent example of how Natun Bangla Kobita Lekha can convey powerful messages through both traditional and modern forms of expression. Patra’s unique voice has contributed to the growing body of contemporary Bengali poetry, making her an important figure in the current literary landscape.

The Influence of Natun Bangla Kobita Lekha on Modern Bengali Literature

Natun Bangla Kobita Lekha has had a profound influence on the course of Bengali literature in the 21st century. It has encouraged a new generation of poets to challenge conventional norms and experiment with form, content, and language. The impact of Natun Bangla Kobita Lekha is seen in several key ways:

1. Expanding the Boundaries of Expression
   Modern poets are no longer confined to traditional themes or structures. With Natun Bangla Kobita Lekha, poets are free to explore personal, political, social, and environmental issues in innovative ways, expanding the boundaries of poetic expression.
   
2. Revitalizing Bengali Poetry
   The new wave of Bengali poetry has breathed new life into the tradition of Bangla Kobita. By embracing both contemporary language and traditional cultural elements, Natun Bangla Kobita Lekha ensures that Bengali poetry remains relevant and engaging for today’s readers.
   
3. International Recognition
   Through digital platforms like Shabdodweep Web Magazine, contemporary Bengali poets, including Bandana Patra, are reaching a global audience. The internet has played a significant role in introducing Natun Bangla Kobita Lekha to readers worldwide, helping to elevate Bengali poetry on the international stage.

Why Read Natun Bangla Kobita Lekha?

There are many reasons why you should explore Natun Bangla Kobita Lekha, especially on platforms like Shabdodweep Web Magazine:

Fresh Perspectives: Natun Bangla Kobita Lekha offers new and exciting perspectives on the world, making it an enriching read for both long-time poetry enthusiasts and newcomers.

Cultural Relevance: These poems delve deep into contemporary issues, yet remain deeply connected to the cultural essence of Bengal, offering readers a sense of continuity.

Innovative and Engaging: The experimentation with form and content makes Natun Bangla Kobita Lekha both intellectually stimulating and emotionally impactful.

Shabdodweep Web Magazine is an excellent platform for exploring these dynamic poems. The magazine not only features Bengali poetry from poets like Bandana Patra but also introduces new voices that are shaping the future of Bengali literature.

FAQ: Natun Bangla Kobita Lekha

Q1: What is Natun Bangla Kobita Lekha?
Natun Bangla Kobita Lekha refers to the new wave of Bengali poetry that combines modern themes, free verse, and innovative expressions while staying connected to the cultural roots of Bengali literature.

Q2: Who are the poets in Natun Bangla Kobita Lekha?
Poets like Bandana Patra contribute to Natun Bangla Kobita Lekha. Their works are featured in platforms like Shabdodweep Web Magazine, bringing fresh perspectives to Bengali poetry.

Q3: How does Natun Bangla Kobita Lekha differ from traditional Bengali poetry?
Unlike traditional Bengali poetry, which often follows specific forms and meters, Natun Bangla Kobita Lekha embraces free verse, contemporary themes, and modern experimentation with language and structure.

Q4: Where can I read Natun Bangla Kobita Lekha?
You can read Natun Bangla Kobita Lekha on Shabdodweep Web Magazine, which publishes the latest contributions in contemporary Bengali poetry, including works by poets like Bandana Patra.

Q5: Why is Natun Bangla Kobita Lekha important in Bengali literature?
Natun Bangla Kobita Lekha revitalizes Bengali literature by introducing modern themes and experimental styles, ensuring that Bengali poetry remains relevant and influential in the 21st century.

Conclusion

Natun Bangla Kobita Lekha represents a vibrant and dynamic phase in the world of Bengali poetry. With its innovative approach, it continues to challenge traditional boundaries and offer new ways of expressing the complexities of contemporary life. Poets like Bandana Patra, whose works are featured in Shabdodweep Web Magazine, are helping to shape the future of Bengali literature. Their contributions ensure that Bangla Kobita remains as relevant and captivating today as it has always been.

By reading Natun Bangla Kobita Lekha, you are not only exploring the future of Bengali poetry but also immersing yourself in the cultural richness of Bengal, past and present.

---

Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio