আরতি সেন – সূচিপত্র [Natun Bangla Kobita Lekha]
জীবন যাত্রা এবং দ্রব্যমূল্য – আরতি সেন
দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া বাজার দরে লেগেছে আগুন
তবুও দৈনন্দিন জীবনে ঘটেনি ছন্দপতন
এগিয়ে চলেছে জীবন যাত্রা এগিয়ে চলেছে জীবন দর্শন।
কোন কিছু ব্যতিরেকে কোন কিছু অকল্পনীয় সংগঠন।
জীবন নৈবেদ্যের ডালি সাজিয়ে পূজা অর্চন
মাগো দুর্গা হও বা মা মনসা করি সমর্পণ।
মাতৃচক্ষুর অবিদিত নয় কোন কিছু
সর্বদা মাথা করি নত করি নিচু।
অর্থের টানাটানি তদুপরি দ্রব্যমূল্য আনাকানি
জীবন যাত্রা বড়ই দুর্বিষহ
যত্র আয় তত্র ব্যয় এইভাবেই জীবন নির্বাহ।
পালতুরা করে নীরব হাহাকার
ঈশ্বর দিনে দিনে হচ্ছে নিরাকার।
সকলেই যেন জগন্নাথ ঠুঁটো
খুলে না কিছুইতে হাতের মুঠো।
স্বল্প টাকায় কিছুই মেলে না
দিনে দিনে বাড়ছে মানসিক যন্ত্রণা।
ভবিষ্যতের জন্য বাড়ে দুর্ভাবনা
অর্থই অনর্থের মূল সত্য কল্পনা।
যাঁরা কিংবদন্তি – আরতি সেন
এখনো কিংবদন্তি তাঁরা
জয়গাঁথা রেখে গেছেন যাঁরা।
ভুললে হবে না তাঁদের আদর্শ
কালিকলমেই শেষ নয় ইতিহাস।
ইতিহাস কথা বলে জীবনের জয়গাঁথা দেকেই
ঘৃণ্য জীবন নয় কাম্য
কঠিন ব্রত নাও দৃঢ় সংকল্প নাও
আদর্শ জীবন রচ
যে জীবনের কোন মূল্য নায়
পাবে শুধু সকলের পদাঘাত।
নিজের প্রতি চরম ধিক্কার হানো
নিজের জীবনে নতুন প্রভাত আনো
বাঁচতে দাও সকলকে ভালোভাবে
মৃত্যুর দেবার তুমি কোন বিধাতা?
জানি তুমি নও সুস্থ মানসিকতার
বিকৃত ভাব তোমায় লালসা বাড়ায়
তোমার লালসা জীবনকে করে গ্রাস
বোঝ না তুমি তোমার সর্বনাশ
যে মায়ের তুমি কোল করলে খালি
মা যে তোমার একই চিন্তার বলি।
খুনির শাস্তি অবধারিত
আজ নতুবা কাল বিচার হবে।
যদিও আইনে ফাঁকি থেকে যায়
তোমার চিন্তা বলে তুমি নির্দোষ।
তবুও তো দোষ থাকে না চাপা
তোমার জীবন মৃতের রক্ত দিয়ে থাকবে লেখা।
তোমার চিন্তার কাছে তুমি চির পরাধীন
তোমায় সে প্রতি পলে বানা খুনি
তোমার শিরায় খুনের রক্ত যাবে মিশে
তোমায় কেউ বলবে না ভালোবেসে।
তুমি কখনোই নও বীর
তুমি শুধুই স্থবির।
তুমি এক মীরজাফর
যে-থালায় খাও সে-থালায় করো ছেদ।
যে শিক্ষা-নিকেতন করল তোমায় শিক্ষিত
তাকেই আজ তোমার জন্য হচ্ছে হতে কলঙ্কিত।
তুমি থুথু ফেলে মুখ ঢাকো
সেটাই হবে তোমার প্রায়শ্চিত্ত।
সমন্বয়ের কর্মভূমি – কলমে আরতি সেন
জন্মভূমি! জন্মভূমি! জন্মভূমি!
‘স্বর্গাদপি চ গরীয়সী’ মাতৃভূমি।
তুমিই কর্ম, তুমিই ধর্ম, সর্বজাতি সমন্বয়ের কর্মভূমি
তোমার সুজলং সুফলং শস্য শ্যামলম চরণ চুমি।
এই পৃথিবীতে আমাদের ধরিত্রী সর্বশ্রেষ্ঠ
মানব হয়ে জন্ম নিয়ে হয়েছি মা অতি তুষ্ট।
করুণা তোমার আকাশ বিস্তীর্ণ
স্নেহসুধা তোমার সাগর বিদীর্ণ।
উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম প্রকৃতির সুরক্ষা কবচ,
সর্বত্র ছড়িয়ে রেখেছো তোমার দানের উৎকোচ।
তোমার দানে প্রাণিত আমারা সবার প্রিয় স্বদেশভূমি,
প্রণাম জানাই তোমার চরণে ওগো আমার জন্মভূমি।
জয়ের তিলক ললাটে সবার মুখে মুখে গাই জয়গান
তোমার আশিসে ধন্য জীবন, ধন্য সবার প্রাণ।
হবো স্বনির্ভর – আরতি সেন
এবার করব একলা পথচলা শুরু
যতই হোক না মেঘের গর্জন গুরু গুরু।
যদি সময় না থাকে হাতে কারো
জানি হাত বাড়াবে না আরো।
এবার চলবো একা
যতই হোক পথ বাঁকা।
নিজ সংকল্পে করে নেবো পথ সোজা
জীবন যতই হোক শক্ত বোঝা।
দুর্বলতাকে দেবো না মনে ঠাঁই
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবো সবলতাই।
একদিন নিশ্চয়ই খুঁজে পাবো মঞ্জিল
জীবন যুদ্ধক্ষেত্র যতই হোক না কার্গিল।
এবার বাঁচবো স্বাধীনতায়
বাঁচবো না আর পর নির্ভরতায়।
কে তুমি কন্যা – আরতি সেন
কালো এলো চুল
কাজল কালো আঁখি যুগল।
কৃষ্ণচূড়া রং পরনের শাড়ি,
রাধাচূড়া বরণ রং গো তোমার কন্যা,
না জানি জানো কত ছলনা।
কি নাম তোমার? কোথায় তোমার বাড়ি?
পলাশ ফুলে সাজিয়ে মাথা
যাও বলে যাও দুটো কথা
যেও নাকো ফেলে একা।
আমার চিত্ত তোমার তরে
সদাই উদাস থাকে।
কন্যা কয় মৃদু ভাষণে
নামটি আমার শ্রীরাধা
শ্রী কৃষ্ণ প্রেমে পড়েছি যে বাঁধা।
কৃষ্ণ প্রেমে পাগল, পাগলিনী সবাই
তাই তো সকলে করে পারাপার প্রেম যমুনায়।
কৃষ্ণ প্রেমে এতই পাগল
কৃষ্ণকে মন জানো অবোধ?
কৃষ্ণের লাগি সকলে পাগল,
কৃষ্ণও তাই তারই লাগি
খুলে রাখে মনের আগল।
কৃষ্ণ আমি, তুমি রাইকিশোরী
রূপের বলিহারি।
তোমার প্রেমে আমি পাগল,
জানে বাঁশি আর জানে শ্রীরাধা।
তাই মন সদাই উদাস
শ্রীরাধার প্রেমে পড়েছে যে বাধা।
এসেছে দোল খেলবো হোলী
পরাণের সঙ্গে পরাণ বাঁধি
আবিরে আবিরে রাঙাবো তোমায়
রং দিয়ে খেলবো হোলী।
মাতবো সবাই দোল উৎসবে।
বিষণ্ণতা যার জীবনে
সে আজ দোল খেলবে কেমনে?
আজ কেউ আর উদাস থেকো না
আবির মাখাও শ্রীরাধাকৃষ্ণের শ্রী চরণে।
বুদ্ধির পরিচয় – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
করছে কাজ লুটছে কেউ
নেপোই মারে দই।
গোবিন্দায় নম বলে পুণ্য কুঁড়াই
হাত থেকে পড়ে খই।
গর্জে যত বর্ষে কম
সবার জ্ঞাত প্রবাদ
শূন্য কলস শব্দ বেশি
যখন বাঁধে বিবাদ।
ভিক্ষা চাইছে হাত পেতে ওই
আমরা ভিক্ষা দিচ্ছি
ভাবছি কি আর ভিক্ষাকণা দিয়ে
আমরাই মদত যোগাচ্ছি।
বুদ্ধি যস্য বলম তস্য
সবাই আমরা মানি
আমরা যদি বুদ্ধি খাটাই
জীবনে হবে না হয়রানি।।
আসল সত্য – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
লাগছে একা
জীবন বোকা।
একার সমান নাই
বন্ধু স্বজন সবাই আপন
সুযোগ নিতে ভাই।
ভুলেই থাকি ভালো থাকি
পড়লে মনে বিপদ।
মনে মনে ভাবে
এলো আবার আপদ।
ভাবছো আপন করছে গোপন
ছড়াই গোপন সবখানে।
থমকে দাঁড়াও হাতটা বাঁড়াও
বন্ধু হোক বা শত্রু
বিপদকালে বিপদ ভুলে
করো বিপদ মুক্ত।
বুদ্ধি তোমার বুদ্ধি আমার
নয়তো কেউই বোকা
তাইতো বলি সুযোগ বুঝে
দেবেনা কাউকে ধোকা।
বৈধ সবই মানলে বিধি
অবৈধ দু চারদিনের।
কেউ না বুঝুক মন তো বোঝে
আসল নকল মানে জীবনের।
আজ যে রাজা কালকে সাজা
পেতেই পারে জীবনে।
আজ যে শত্রু করবে তোমায়
অজাতশত্রু মরণে।
প্রশ্ন করছে লেখারা – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
লেখারা এখন প্রশ্ন করছে
কি লিখছো কেন লিখছো;
কার উদ্দেশ্যে কি কারণে?
প্রতি টা বর্ণ প্রতিটা শব্দ
বিদ্রোহ করছে পদে পদে।
লেখার মতো লেখা লেখো
সাত পাঁচ ভাবনা গুলো
লিখছো যত শব্দ দিয়ে
হচ্ছে মনে নদী যেন বইছে মরাস্রোতে।
আবেগ হানো জাগাও বিবেক
সুনামীর মতো ঝড় তোলো।
হোক রুষ্ট হোক অখুশি
কলমই হোক মোক্ষম অসি।
জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে দায়িত্বতো
অবশ্যই একটা আছে।
কলমের জোরে নাও শপথ
কেউ যাবো না আর বিপথ।
প্রথম আষাঢ় – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
মাস জ্যৈষ্ঠ অন্তিম ক্ষণ
এল নাকি নাকি বরষণ।
দুকুল ঝাঁপিয়া
ও গো মোর মরমিয়া
দূরে পিউকাঁহা ডাকে পিয়া পিয়া।
ঝরঝর বারিধারা থর থর কম্পন
বৃক্ষলতা একে অপরে করে আলিঙ্গন।
কবি নয় তবুও করি কবিতা রচন
ওগো প্রেমময়ী প্রকৃতি
এবার শান্ত করো মানবের মতি।
গাছ নত হয়ে প্রণতি জানাই প্রকৃতিকে
প্রকৃতি যেন শুনেছে জীবকুলের আকুতি।
ঝর ঝর অঝোরে ঝরলো বারি
এলো এবার গ্রীষ্মের অরি।
তড়িঘড়ি তুই গুটিয়ে নে পাততাড়ি
আসছে রে এবার বর্ষা সুন্দরী।
নিভে যাবে ওই গ্রীষ্ম অনল
চারিদিকে শুধু থই থই জল।
তারা স্তুতি – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
তারা তারা তারা তারা
বল মা কোথায়…. গেলি বল?….
জানি মা তোর নেই কোন ছল
অহরহ শুনি কানে বাজে তোর পায়ের মল
বল মা তারা বল। বল মা তারা বল। বল মা তারা বল।
হৃদয় আসনে করিস বিরাজ
করতে দিস না মা কোন গৃহকাজ
সারাদিন শুধু তারা তারা (২)
ত্যাজিছে সংসার সাজ।
বল মা তারা বল? (২)
তোর নামেতে তোর গানেতে
ত্রিভুবন মত্ত হয়ে রই
কোন কথায় হয় না শ্রবণ (২)
তবুও তোর শ্রীচরণ পাই কই?
ঘুরে বেড়ায় তীর্থে তীর্থে
শতলোক সমাগমে
আঁখি মুজে দেখি তোকে
তুই আছিস মনের কোণে
তাইতো ভাবি কি হবে আর নামে।
বল তারা বল!!
বালুচরে স্বপ্ন সাজাই – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
বালুচরে স্বপ্ন সাজাই
জানি ঢেউ এসে ধুয়ে দেবে।
বারবার প্রতিবার ভাঙে আর গড়ি
ভালোবাসার স্বপ্নসৌধ, ভালোবাসার বাড়ি
দেবদবীর মূর্তি আর কত শিল্প ভাস্কর্য
কালের স্রোতে হবে সাগরে নিমজ্য।
ভালোবেসে অনেকেই লিখে রাখে নাম
ভালোবাসা বেঁচে থাকে ধুয়ে যায় নাম।
বালুচরে ঢেউদের নিত্য আনাগোনা
তবুও রেখে যায় না সাগরের ঠিকানা।
সাগরের সাথে প্রেম সাগর বোঝে না
তাই বালুচরে দেয় বার বার হানা।
ব্যতিক্রম হলে কিছু ফুঁসে ঢেউ
আমি একাকী সাগর, আমার নয়তো আপন কেউ।
সাগর বোঝে না প্রেম ভালোবাসা
সাগরের বালুচরে তবুও ফিরে ফিরে আসা।
সঠিক অধ্যয়ন – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
তোমাদের ইস্কুল দুই তিন তলা
আমাদের পাঠশালা শুধু আটচালা।
তোমাদের পরনে পাট করা ড্রেস
আমাদের পরনে দারিদ্রের লেশ।
টিফিনেতে খাও তোমরা সকলে এগ চাউমিন কেক
আমাদের টিফিনে মিড ডে মিলের আবেগ।
ব্যাগ বই খাতা পেনসিল সব দামি দামী
আমাদের ব্যাগ বই জুটে না, না হলেও দামী
ইস্কুলে বই দিলে পড়ি মন দিয়ে
বিদ্যায় নেই ফাঁকি বুদ্ধি থাকলে।
তফাৎ হোক না যত বিদ্যা পরিবেশনে
বিদ্যা সফল হয় বিদ্যা গ্রহণে।
হতে পারে ভেদাভেদ ইস্কুল ও পাঠশালাতে
বিদ্যায় প্রভেদ নেই কোন কালে।
বিদ্যা হল আসলে জ্ঞান অর্জন
মনোযোগ ও অধ্যবসায়ে হয় অধ্যয়ন।
সবেতেই ব্যতিক্রম থাকে সকলে তা জানে
অবশ্যই বুঝবে এই কথার মানে।।
মানবতা ঝরে পড়ুক – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
এমন ছুরি মারলে পিঠে
ঝরলো শোণিত যেন জলপ্রপাত
তেমনি করে হানবো আমি
তোমার বুকে সজোরে আঘাত।
ঝরবে না কোন লোহিত কণা
ঝরবে ঝরুক অকাতরে
ঝরে পড়ুক মানবতা
হৃদয় থেকে অঝোর ধারে।
ভাবলে আমার হৃদয় থেকে
পড়ছে ঝরে অনুকম্পা
উঠলো কেঁপে থরথরিয়ে
মাটির উপর তোমার দু’পা।
ক্ষণিক পরে বিস্ময় কেটে
বুঝলে যখন কি ঘটেছে
লজ্জাবনত আননে তোমার
মানবতার ফুল ফুটেছে।
হৃদয় থেকে মানবতা
পড়ছে ঝোরে অনুভবে।
হিমালয় থেকে গঙ্গা যেমন
প্রবাহিত সগৌরবে।
স্মৃতির ইতিকথা – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
স্মৃতি কেন ভুলতে দেয়নি আজো
মনের গোপন বেদনা যত,
নিঃশব্দে জেগে রই প্রহরের পর প্রহর
অসহ্য ভাবে সহ্য করে যন্ত্রণা কত শত।
শিহরে উঠি বারংবার মূর্ছিত স্মৃতির কথা ভেবে
স্মৃতিতো আশ্বাস দেয় না
ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
তবে কেন আঁকড়ে ধরে বাঁচার নিছক বাহানা?
পুরানো স্মৃতির ভারে নতুন স্মৃতির ঘটে বিস্মৃতি
কান্নাভরা স্মৃতি ধুয়ে দেয় ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি
স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী আজ ইতিহাস কত শত
কালের নিয়মে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ শুধুই
ক্ষণিকের অতিথি।
মায়ের মর্যাদা – আরতি সেন [Natun Bangla Kobita Lekha]
আগলে রেখেছিলে বুকে করে
সকল বিপদ মুক্ত করে
দুঃখ নিয়েছো মাথা পেতে
অশ্রু ঝরেছে অঝোর ধারে।
ভুলিনি সেকথা শিখেয়েছো যাহা
মনের গভীরে রয়েছে গাঁথা
তাইতো তোমায় তুলেছি মাথায়
রেখেছি মনে সব কথা।
মা সবার বড় শিখেছি জগৎ থেকে
মায়ের অবদান ভোলা কি যায়?
মা বিনা জগৎ মিথ্যা
মাকে রেখেছি তুলে মাথায়।
আগামীর ভোর – আরতি সেন
আগামীর ভোরে এক নতুন কবিতা
জন্ম নেবে কলমের ছোঁয়ায় খাতার পাতার কোলে।
লেখ তাতে লেখো ভালোবেসে লেখো
যেয়ো নাকো কোন কথা ভুলে।
ভেবেছো সঠিক দিক্বিদিক জ্ঞানের প্রসার ঘটাও
আগামী প্রজন্ম সাক্ষী থাকুক
তুলে নেক হাতিয়ার, অস্ত্র নয়তো কলম হোক
যোদ্ধার উপহার।
লড়াই চলুক সুশিক্ষার জন্য লড়াই
সব মানুষ হোক একজোট, হোক এক মহাকাশ
রক্তারক্তি হবে নাকো আর বইবে না শোণিত
নব প্রজন্ম ভরিয়ে দেবে কলম কালির উচ্ছ্বাস।
কলমের ভাষা শিখবে সবাই পড়বে সবাই
কলমের ভাষায় প্রতিবাদ হোক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই।
হাতের মুঠোয় সুখ – আরতি সেন
কান্নাভেজা দুটি আঁখি সুখ খুঁজতে চায়
সুখ যে আছে হাতের মুঠোয় ধরা না যায়।
সুখ থাকে যে সংগোপনে মনের মাঝে
গৃহকোণে সুখ থাকে যে সকাল সাঁঝে।
দুঃখ যতো চোখের সামনে করে নাচানাচি
মানুষ যেন কাঠের পুতুল দুঃখের সাথে আছি।
দুঃখকে চাই বন্দী করতে সুখের অন্তরালে
দুঃখ তবু নাস্তানাবুদ করে মন্দভালে।
দুঃখ ভাবে দুঃখ মহান সবার মাঝে বাস
সুখ তুমি জেনে রেখো তোমার আমি ত্রাস।
সুখ ভাবে দুঃখ থেকে নাই পরিত্রাণ
সকলেই করে একটুকু সুখেরই সন্ধান।
দুঃখকে জয় করে তাই অনেক কষ্ট সয়ে
সুখের জয় হবে জানি দুঃখের পরাজয়ে।
পার্থক্য – আরতি সেন
বাবামায়ের আদরের কন্যা
আজ তুমি বৃদ্ধাশ্রম করেছো ধন্যা।
তুমিই তো ছিলে একদিন অনন্যা
সর্বগুণ সম্পন্না গৃহকর্ত্রী কর্তব্য পরায়ণা।
আজ সময়ের পরিবর্তনে কালের নিয়মে
মাতৃত্বের স্বাদ অনুভবের বিনিময়ে
জন্ম দিয়েছিলে সুযোগ্য পুত্র ও কন্যা
তারা কতটা সুযোগ্য হল জানিনা।
টাকা ও সম্পত্তির হলো ভাগ বাটোয়ারা
বাটোয়ারা হলো মা এরও
টাকা গহনা সব তুলে রাখা হলো ব্যাঙ্কের লকারে
মায়ের ঠাঁই হলো বৃদ্ধাশ্রমের এক কুঠুরি ঘরে।
পুত্র কন্যার মুখে হাসির ফোয়ারা
মায়ের চোখে ঝরে অশ্রুধারা।
বুক ফেটে যায় তবু মুখ থেকে কু শব্দ না বের হয়
মুখ মুক হয়ে রই
অন্তর শুধু চুপ নাহি রয়
অন্তর বলে আসবে তোমারও একদিন বার্ধক্য
সেদিন আমার আর তোমার থাকবে না কোন পার্থক্য।
বোধন ও বিসর্জন – আরতি সেন
আশ্বিনীতে দুর্গা মায়ের হয় যে বোধন
মায়ের সাথে শুভশক্তির ঘটে আগমন।
চারিদিকে লোকাচারে শুভশক্তি হয় সুস্পষ্ট
অন্তরেতে অশুভ শক্তি রয়ে যায় অস্পষ্ট।
দশমীতে বিদায় বেলায় মায়ের বিসর্জন
তবুও ষড়রিপু মনে রয় সংগোপন।
বিসর্জন দিতে হয় মনের যত রিপুর ভাবনা
বিসর্জনে পবিত্র হোক মনের বাসনা।
মাটির প্রতিমা বিসর্জনে মায়ায় মন কাঁদে
জীবনের সকল মায়া বিসর্জনে পড়ি দ্বিধা দ্বন্দ্বে।
বিসর্জিত হোক মনের সকল কলুষ ও কালিমা
মনে যেন বৃদ্ধি পায় আনন্দের পরিসীমা।
বিশ্বাস ভক্তি আর বিবেককে দিও না বিসর্জন
মনে মনে কর মনকে শুদ্ধিকরণ।
স্মৃতির ইতিকথা – আরতি সেন
স্মৃতি কেন ভুলতে দেই নি আজো
মনের গোপন বেদনা যত,
নিঃশব্দে জেগে রই প্রহরের পর প্রহর
অসহ্য ভাবে সহ্য করে যন্ত্রণা কত শত।
শিহরে উঠি বারংবার মূর্ছিত স্মৃতির কথা ভেবে
স্মৃতি তো আশ্বাস দেয় না
ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
তবে কেন আঁকড়ে ধরে বাঁচার নিছক বাহানা?
পুরানো স্মৃতির ভারে নতুন স্মৃতির ঘটে বিস্মৃতি
কান্নাভরা স্মৃতি ধুয়ে দেয় ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি
স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী আজ ইতিহাস কত শত
কালের নিয়মে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ শুধুই
ক্ষণিকের অতিথি।
একাকী জীবন – আরতি সেন
একাকী একক ভাবনায় একাকীত্ব এককালীন একাহার
বৈষ্ণবের একাদশী, বিধবার প্রতি একাদশীতে কত অবিচার;
একে একাকী এক কঠিন জীবন
বাউলের একতারার সুরে বিষাদ বাজে অনুক্ষণ।
অতঃপর একলা চলার পথে একায় বোকায় সমান
বিন্দু বিন্দু জলে সাগর একাকী একের অহেতুক মরণ।
একবিন্দু অশ্রু প্রতিনিয়ত ঝরে হয় অশ্রুসাগর
একাকী জীবন যেন ব্যথার পারাবার।
মরুভূমি শুষ্ক জলহীন, জীবন মরু ধূ ধূ বালুচর অশ্রুসিক্ত
মরুভূমির বালুচর সীমাহীন রিক্ত, জীবন মরুও অনভিসিক্ত।
কন্টকময় জলের সঞ্চারী রিক্ত জীবন জলেই অভিসারী
জলবিনা মীনের যেমন বাঁচবার হাহাকারি।
একাকী পথিকের দিগভ্রান্ত দিশাহীন পথচলা
অনন্ত যাত্রাপথ বিরামহীন দগ্ধ প্রখর রৌদ্রোজ্জ্বলা।
পুড়ে দেহ পুড়ে মন নিঃশ্চুপে ধীরে ধীরে
একদা বিদায় নেবার সদিচ্ছা একাকী অধীরে।
আরতি সেন | Arati Sen
Pancha Byanjan | পঞ্চব্যঞ্জন | জয়ন্ত কুমার সরকার | রম্যরচনা | 2023
Sunglass and our friendship | সানগ্লাসেই সৃষ্টি আমাদের বন্ধুত্ব | Bangla Galpo 2023
Love and nature | প্রেম ও প্রকৃতি | Bengali Article 2023
Aged chicken meat | বুড়ো মোরগের মাংস | 2023 New Story
বালুচরে স্বপ্ন সাজাই | সঠিক অধ্যয়ন | মানবতা ঝরে পড়ুক | স্মৃতির ইতিকথা | মায়ের মর্যাদা | যথাযথ অধ্যয়ন | মানবতার জয় হোক | মানবতা মানুষকে একত্র করুক | বোধ ও বিবেকের কলম | মানবতার প্রতীকি | জীবন স্মৃতি | অতীত স্মৃতি | স্মৃতি ও ইতিহাস | স্মৃতির আড়ালে | স্মৃতির সরণি | স্মৃতির শহর | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | সেরা বাংলা কবিতা ২০২৩ | কবিতাসমগ্র ২০২৩ | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন | আগামীর ভোর | হাতের মুঠোয় সুখ | পার্থক্য | বোধন ও বিসর্জন | স্মৃতির ইতিকথা | একাকী জীবন | সোনালী দিনের সকাল | আগামীর ছন্দ | আরেকটা ভোরের আশায় | হাতের মুঠোয় জীবন | হাতের মুঠোয় দুরন্ত স্বপ্ন | কবিতার কত ফুল | তৃষ্ণা জীবন মরূপথে | সুখ বনাম শান্তি | পার্থক্য কী? | পার্থক্য দেখাও | মধ্যে পার্থক্য | মন অর্থ পার্থক্য | পার্থক্য প্রতিশব্দ | তারা অর্থ পার্থক্য | অর্থ পার্থক্য কোণে | পার্থক্য লেখো | দুটি পার্থক্য লেখো | পার্থক্য খুঁজে রাজা | বোধন থেকে বিসর্জন | বিসর্জনের থেকে বোধন | বোধনের দিনেই বিসর্জন | বিসর্জনের বিষাদে বোধনের আনন্দ | স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝ | স্মৃতির ইতিকথা | স্মৃতি ও ইতিহাস | স্মৃতির ডাইরীতে | স্মৃতিকথা হলো | আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব কী | স্মৃতিকথার বৈশিষ্ট্য | স্মৃতিকথার উদাহরণ | একাকী জীবনেও সুখী হওয়া যায় | একাকী জীবন কেমন হয় | একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা সম্পর্কে | একাকী জীবন উক্তি | জীবনে একা থাকা অনেক ভালো | একাকী জীবন নিয়ে কবিতা | একাকীত্ব জীবন | নিঃসঙ্গ জীবন | নিঃসঙ্গতা উক্তি | একাকীত্ব ছবি
Bengali Poetry | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Poetry Collection | Book Fair 2022 | bengali poetry | bengali poetry books | bengali poetry books pdf | bengali poetry on love | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | poetry collection submissions | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2022 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | new poems rilke | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | Sabuj Basinda | High Challenger | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites