Natun Bangla Galpo 2023 | গল্পগুচ্ছ | দেবযানি দত্ত প্রামাণিক | New Bengali Story

Sharing Is Caring:

টাটা – দেবযানি দত্ত প্রামাণিক

ছোট বেলা থেকেই ওরা চিনত দুজনকে। আলাপ ছিল না। স্কুল বাস এ করে যেতে যেতে প্রায়ই দেখা হত ওদের। একজন সেন্ট জেমস আর একজন প্র্যাট- মেমোরিয়াল। একজন আরেকজনকে টাটা করত। ব্যাস ওইটুকু পর্যন্তই। মাঝে মাঝে কিছু কিছু প্রোগ্রামেও দেখা হতো ওদের। একজন, আরেকজনের নামও জানত না ওরা। তবে বোধ একই ক্লাস এ অথবা এক বছর এদিকে – ওদিকে পড়ত ওরা। আস্তে আস্তে একটু বড় হলে একটু মিষ্টি করে হাসত দুজনেই। ছেলেটি একটু শান্ত ছিল, কিন্তু মেয়েটি ছিল খুবই চঞ্চল, তবে হাসি-খুশি। খুব ইচ্ছে ছিল ওদের বন্ধুত্ব করার, কিন্তু সাহস ও সুযোগ, কোনটাই ছিলনা ওদের।

একবার যখন ঋশভ ক্লাস টেনে আর তুহিনা নাইনে, ওদের একটা সুযোগ এল। একটা এনজিওর তরফ থেকে ওদের লেকে নিয়ে যাওয়া হল, পরিষ্কার করতে। সুযোগ পেতেই ওরা নিজেদের নাম আর ক্লাস জানল। তারপর বাকি সব জানতে ওখানেই একটি গাছের তলায় বসল। নিজেদের সম্বন্ধে বলতে আর অপরের সম্বন্ধে জানতে গিয়ে একটু সময় লাগছিল, দুই স্কুল-এর টিচার রাই ইতি মধ্যে টের পেয়ে গেল। ব্যাস, আর যায় কোথায়। টিচার দের আসতে দেখেই ওরা হাত ধরে দূরে লুকোতে চাইছিল, ওদের যে অনেক কথা বাকি ছিল। সেই দেখে টিচাররা আরও রেগে গিয়েছিলেন। বকা-ঝকা, অপমান, বাবা-মাকে কমপ্লেইন, বদনামি, বিচ্ছিরি ব্যাপার ঘটে গেল। ওই ওদের শেষ দেখা।

তার কিছুদিন পরই ঋশভ বোর্ড দিয়ে, খুব ভাল রেজাল্ট করল। ওর বাবা-মা ওকে ওর জেঠুর কাছে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিলেন। জেঠু আর্মির বড় অফিসার, ঋশভকেও সেই ভাবে মানুষ করতে লাগলেন। কড়া শাসন আর নিয়মের মধ্য বড় হতে লাগল ও। এদিকে তুহিনাও এত বকা- ঝকা আর অপমান সহ্য করে কেমন যেন মুষড়ে পরেছিল। ওই প্রাণোচ্ছল মেয়েটি হটাত করেই চুপ হয়ে গিয়েছিল। ওর বাবা-মা খুব খুশি। ভাবলেন মেয়ের সুমতি হয়েছে। তারপর ঘটনাচক্রে,বোর্ড পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে দিল্লিরই লেডি শ্রীরাম কলেজ-এ ভর্তি হল। ওরা কেউই জানত না যে আরেকজন দিল্লিতেই।

বেশ কয়েক বছর কেটে গেল, ঋশভ মেডিকেল পড়ে আর্মি তে ঢুকল, তুহিনাও ইংরেজি নিয়ে পিএচডি করে বম্বের একটি কলেজ-এ চাকরি নিল। দুজনের জীবনেই নতুন বন্ধু – বান্ধব এল। ঋশভতো শান্ত ছিলই, তুহিনাও এখন শান্ত, বেছে বেছে বন্ধুত্ব করে। আরও কয়েক বছর পর এল সেই বিভীষিকার মত তাজ হোটেলে টেররিস্ট অ্যাটাক। ঘটনাচক্রে, তুহিনা সেই সন্ধেতে লিওপোল্ড কাফেতেই গিয়েছিল। ওর এক বান্ধবীর কথায় একজনের সাথে দেখা করতে, একটি ব্লাইন্ড ডেট-এ। হটাৎ ক্যাফেতে গুলিবর্ষণ হয়ে। তুহিনা তখন ওয়াশরুমে। গুলির আওয়াজ শুনে ওখানেই বসে থাকে সে। ভয়ে বেরোতে পারছিলো না। আস্তে, আস্তে অজ্ঞান হয়ে যায় ও। এভাবে অনেকক্ষণ কাটে, বাইরে তখন রক্ত গঙ্গা বইছে, দশ জন মৃত আর অনেকে আহত। চার দিকে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স। সব কিছু একটু মিটলে, খোঁজাখুঁজি শুরু হয় আর কেউ আহত আছে নাকি। ওয়াশরুম এও খোঁজ পরে। দরজা ভেঙে ওকে বার করা হয়। আতঙ্কে ওর অবস্থা খুব খারাপ, অজ্ঞান, পাল্স রেট খুব কম, সেমি স্ট্রোক এর মতো। গুলিবিদ্ধ লোকেদের আর গুরুতর আহত লোকেদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। ওকে নিয়ে যাওয়া হলো একটি টেম্পোরারি আর্মি মেডিকেল ক্যাম্পে। ঋষভ সেখানকার ইনচার্জ। ওর মনে হয় এই মেয়েটি ওর ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া বন্ধু – তুহিনাই। আস্তে আস্তে সঠিক চিকিৎসার পর তুহিনার জ্ঞান ফেরে। আবছা, আবছা শুনতে পায় কেউ ওকে ডাকছে নাম ধরে। ও চোখ খুলতে পারেনা। স্যালাইন চালানো হয় বেশ কিছুক্ষণ পর। এবার চোখ মেলে তাকায় ও। ওর জ্ঞান ফিরতেই নার্স দৌড়ে গিয়ে ডাক্তারসাহেবকে ডেকে আনে। তুহিনাও চিনতে পারে, চশমা পরা, শান্ত, গভীর চোখের ঋষভকে। খুশির চোটে জড়িয়ে ধরে ওকে। ফিরে যায় স্কুলের দিনে, আগের রাতে। হ্যালুসিনেশন হয়। আবার অজ্ঞান হয়ে যায় তুহিনা। ক্যাফের ওয়াশরুম থেকে ওর ফোন উদ্ধার করে আনলে, ঋষভ ওর বাড়িতে ফোন করে। এতক্ষণে ওর বাবা-মায়ের পাগল পাগল অবস্থা। ওদিকে টিভি নিউস আর এদিকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়া। ঋষভ নিজেকে মেডিক্যাল ক্যাম্পের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ফোন করে। সব কিছু জানায়। ও সুস্থ হলেই কথা বলিয়ে দেবে প্রতিশ্রুতি দেয় ।

শুধুই বন্ধুত্ব – দেবযানি দত্ত প্রামাণিক

বেশ কিছুক্ষণ পর তুহিনা ধাতস্থ হয়। চোখ মেলে চায়। ঋশভকে ছাড়তেই চায় না আর। মনে খুব ভয়। ওকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে, নিকট বন্ধু পরিচয় দিয়ে নিজের হোটেলে নিয়ে আসে ওকে। ধীরে ধীরে সেবা – শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলে ওকে। ওর কলেজ এও খবর দেয়। ধীরে ধীরে বম্বে ও স্বাভাবিক। এবার তুহিনাকে ফিরতে হবে ওর কলেজ হোস্টেলে, আর ঋশভকে পুনেতে। এবার আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবেনা ওরা, কথা দেয় একজন আরেকজনকে। তুহিনার বাবা – মা আসতে চান, সবকিছু ঠিক হলেই। ঋশভও কথা দেয় ওর বাবা-মাকে জানানোর। এবার ওরা টাটা বলে, চিরদিনের জন্য এক হওয়ার প্ল্যানের সাথে। ঋশভ আর তুহিনা খুশি খুশি মুখে টাটা বলে। ঋশভ গাড়িতে উঠে রওনা দেয় পুনের উদ্দেশ্যে।

ছোট থেকেই ওরা কাছাকাছি থাকে, এক ক্লাসে, এক স্কুলে পরে এবং একই স্কুল বাসে যাতায়াত করে। ওরা খুব ভালো বন্ধু। স্বাভাবিক ভাবেই ওদের বাবা মায়েরাও ভালোই পরিচিত। সুমিতা খুব চঞ্চল, ডানপিটে আর শর্মিষ্ঠা, ধীর স্থির, শান্ত। তবে দুজনেরই একে অন্যকে ছাড়া চলে না।

ছোট পাড়ার স্কুল ছেড়ে দুজনেই ভর্তি হল সাউথ পয়েন্টে, ক্লাস ওয়ানে। পাশাপাশি বসা, একসাথে খেলা, একসাথে টিফিন, একসাথে পড়াশোনা করতে করতে একটু বড় হয়ে গেল দুজনে। একটু বড় হতেই, সুমিতার কেমন যেন বেমানান মনে হতে লাগলো নিজেকে। ও নিজেকে ছেলে ভাবতে ভালোবাসত, যে আজীবন ওর শর্মিষ্ঠার খেয়াল রাখবে, ভালো বাসবে ওকে, বড় হয়ে বিয়েও করবে ওকে। প্রচন্ড পসেসিভ ছিলো ও শর্মিষ্ঠার ব্যাপারে। প্রথম প্রথম ওর এই খেয়ালগুলোকে ছেলে মানুষী ভেবে দুজনেরই বাবা-মায়েরা হাসি ঠাট্টা করতেন। কিন্তু ক্লাস সেভেনে একদিন শর্মিষ্ঠার ছবি নিয়ে ওকে ঘুমোতে দেখে খুব রেগে গেলেন ওর বাবা। খুব বকা খেয়ে কাঁদতে লাগলো সুমিতা। বার বার বলতে লাগলো যে ও শর্মিষ্ঠাকে ভালোবাসে আর ওকেই বিয়ে করতে চায়। ওর বাবা ওকে খুব মারলেন সেদিন। তার পরের দিন থেকেই সাউথ পয়েন্ট থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন ওকে। শর্মিষ্ঠার বাবা মাকে ও ফোন করে যা তা বললেন উনি। ওনার ধারনা হলো যে ছোট থেকে গড়ে ওঠা ওদের দুজনের তীব্র বন্ধুত্বই এই মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণ। তাই ওনারা দুরে নিয়ে চলে গেলেন সুমিতাকে। বাড়িও পাল্টে নিলেন ওনারা।

শর্মিষ্ঠাও খুব ভেঙে পড়ল, অসুস্থ হয়ে পড়ল। হাসপাতালে ভর্তি করতে হলো। অনেক চিকিৎসার পর একটু সুস্থ হয়ে উঠলো ও। ওর ও স্কুল ছাড়িয়ে দেওয়া হলো। অন্য স্কুলে ওকে ভর্তি করা হলো। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল দুই বন্ধু। দুজন দুজনের থেকে আলাদা হতেই ওদের শিশু মন বিদ্রোহ করে উঠলো। শান্ত শিষ্ট শর্মিষ্ঠা হয়ে উঠলো অবাধ্য, দুষ্টু ও জেদী। বাবা মা ওর কাউন্সেলিং শুরু করলেন। আর ওদিকে সুমিতা হয়ে উঠল ধীর, স্থির। শুধু সময়ের অপেক্ষা করতে লাগল যে কবে ও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে আর শর্মিষ্ঠা কে বিয়ে করতে পারবে। গ্র্যাজুয়েশন অব্ধি খুব ভালো রেজাল্ট করে ও পাশ করলো। তারপর জেদ করে জেএনইউ-তে ভর্তি হলো। সেখানে পড়াশুনা করে দিল্লিতেই চাকরী করবে ঠিক করল। ওখানে পড়তে পড়তেই ও একুশে পড়লো। তারপরই বাঁচানো পয়সা ও টিউশন এর টাকা দিয়ে ও অপারেশন করে সুমিত দত্ত হয়ে গেল। ওর বাবা মা খুব দুঃখ পেলেন, রাগ করলেন কিন্তু ও কারো কোনো কথা শুনলো না। বাড়ির সাথে ওর দূরত্ব বেড়ে গেলো। চাকরির সাথে সাথে এবার ও হন্যে হয়ে খুঁজতে লাগল শর্মিষ্ঠাকে, ওর ছোটবেলার ভালোবাসাকে।

এদিকে শর্মিষ্ঠা ল নিয়ে পড়ছিল, ও এখন কেমন যেন জেদী, একরোখা,হয়ে উঠছিল। সারা পৃথিবীর প্রতিই যেন ওর অভিযোগ। ওও এখন হন্যে হয়ে খুঁজছিল ওর ছোটবেলার ভালোবাসা, ওর সুমিতা কে। ও যে সত্যিই এখন সুপুরুষ একটি যুবক, সুমিত, তাত ও জানে না। এরই মধ্যে শর্মিষ্ঠার পিসতুতো বোনের দিল্লিতে বিয়ে ঠিক হলো। ওর স্বামী গুরগাঁওতে চাকরী করে। বিয়ের পর জোর করে দিল্লি দেখবে বলে ও বোনের সাথে দিল্লি চলে গেল। কয়েকটা ইন্টারভিউ ও ছিলো। বাবা মায়ের কোনো কথাই আজকাল শোনে না শর্মিষ্ঠা। ও দিল্লিতেই চাকরী খুঁজবে ঠিক করল। আর চাকরী পেলে ওখানেই থাকবে ভাবল। ওদের দুজনের স্বপ্নের তাজ মহল দেখবে, ওদের ভালোবাসার ও স্মারক বানাবে, এই সব ভাবত ও। বিধির বিধানে দুজনেই আজ দিল্লিতে, কিন্তু ওদের কোনো যোগাযোগ নেই। পিসতুতো বোনের রিসেপশন মিটে গেলে ওর বোনের স্বামী তার অফিসের স্টাফদের একটি পার্টি দিল হোটেলে। ওর দিল্লি অফিসের ওর ডিপার্টমেন্টের লোকজন ও গেলো। এলো সদ্য চাকরী তে ঢোকা সুমিত দত্ত ও। এদিকে শর্মিষ্ঠার বোন ও সবাই অপরিচিত বলে, সাথে নিয়ে গেলো শর্মিষ্ঠাকে। ওর ততদিনে একটি চাকরী প্রায় পাকা, দিল্লিতেই পোস্টিং।

দেখা হলো দুজনের। সুমিত একবারেই চিনতে পেরে গেলো ওর প্রাণাধিক প্রিয় শর্মিষ্ঠাকে। শর্মিষ্ঠা প্রথমেই না চিনতে পারলেও, কথা শুনে ঠিক চিনতে পারল ওর প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধু সুমিতা, মানে, সুমিতকে। চুপ চাপ কেটে পড়লো দুজনে। সারা দিল্লি ঘুরে বেড়াতে লাগল। ফোন করে বোন কে জানিয়ে দিল যে ছোটবেলার বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে, তাই ও কয়েকদিন বাড়ী ফিরবে না। কটা দিন একসঙ্গে কাটিয়ে,সব কথা শুনে, ওরা একসঙ্গেই থাকবে ঠিক করল। সমাজের চোখে ওরা স্বামী স্ত্রী হিসেবেই থাকবে। আর সন্তান? ওদের বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির প্রয়োজন নেই, এমন কি সন্তানের ও না। আর ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ওরা দত্তক নিয়ে নেবে ঠিক করল।

কর্তব্যের খাতিরে কলকাতার দুই বাড়িতে ফোন করে সব জানালো ওরা। তারপর শর্মিষ্ঠার বোন আর তার স্বামীর তত্বাবধানে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করল। আজও যে ওরা প্রাণের প্রিয় বন্ধু, আলাদা থাকতে আর পারবেনা ওরা। তবে একটা উপলব্ধি হলো ওদের। ওদের প্রেমটা সম্পূর্ণ সত্য, কিন্তু সত্যি কি সুমিতা যদি সুমিত না হতো, তাহলে কি ওরা একজন আরেকজনকে এত ভালো বাসত না? বাসত, কিন্তু এই তথাকথিত সমাজ ওদের একসাথে থাকা মেনে নিতে পারত না। তার থেকে এই ভালো, সুমিত শর্মিষ্ঠা কে নিয়ে সমাজ খুশি। কেউ ওদের আলাদা করতে পারবে না।
খুশি মনে সুমিত এর ফ্ল্যাটে পা বাড়ালো শর্মিষ্ঠা। দরজা বন্ধ করে,ওকে জড়িয়ে ধরে বলল সুমিত, ” চল শর্মী, আগে এত বছরের সব গল্প শেয়ার করি, তারপর রাতে হোম ডেলিভারি। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি, কয়েকদিন প্রাণ খুলে আড্ডা মারি, আগ্রার তাজমহল দেখি, ঘুরিফিরি, তুই তারপর অফিস জয়েন কর প্লিজ। এটাই হবে আমাদের মধুর মিলন।”।

এত বছরের সব দুঃখ ভুলে, হি হি হি হি করতে করতে সেই স্কুলের দিনের মত দুই বন্ধু গল্প করতে লাগলো। সেখানে ছেলে, মেয়ে, স্বামী, স্ত্রী কিছু নয়। শুধুই নিখাদ ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব।

দেবযানি দত্ত প্রামাণিক | Devjani Dutta Pramanik

Bengali Poetry 2023 | শিশির দাশগুপ্ত | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | বারিদ বরন গুপ্ত | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Novel 2023 | স্টেশন কান্তার (২য় পর্ব) | উপন্যাস ২০২৩

Bengali Story 2023 | পরিচারিকা পাপিয়া | প্রবোধ কুমার মৃধা

Shabdoweep Founder | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Poetry | Natun Bangla Galpo 2023 | Natun Bangla Galpo 2023 book | Natun Bangla Galpo 2023 pdf book | Writer – Natun Bangla Galpo 2023 | Top Writer – Natun Bangla Galpo 2023 | Top poet – Natun Bangla Galpo 2023 | Poet list – Natun Bangla Galpo 2023 | Top poetry – Natun Bangla Galpo 2023 | Best seller – Natun Bangla Galpo 2023 | Full pdf book – Natun Bangla Galpo 2023 | Free download pdf – Natun Bangla Galpo 2023 | Audio book – Natun Bangla Galpo 2023 | Video book – Bangla Kabita 2023 | Video poetry – Bangla Kabita 2023 | Audio poetry – Natun Bangla Galpo | New Poetry book | Shabdodweep poetry book | Shabdodweep International Web Magazine | International Bengali poetry | Bengali Poetry publisher | Shabdodweep Publisher | Shabdodweep Publisher 2023 | Shabdodweep Video Publisher | Shabdodweep Audio Book | Shabdodweep Video Book | Shabdodweep Mp3 poetry | Audio Poetry mp3 | Audio Poetry wmv | Video poetry mp4 | Natun Bangla Galpo 2023 video series | Natun Bangla Galpo 2023 – web series | Natun Bangla Galpo 2023 – Latest version | Natun Bangla Galpo 2023 pdf book | web video – Natun Bangla Galpo 2023 | web reader – Natun Bangla Galpo 2023 | pdf reader – Natun Bangla Galpo 2023 | pdf publisher – Natun Bangla Galpo 2023 | Best web series – Natun Bangla Galpo 2023 | new pdf book – Natun Bangla Galpo 2023 | New story book – Natun Bangla Galpo 2023

Leave a Comment