Best Live Bengali Story 2023 | Sanjit Kumar Mandal

Sharing Is Caring:

যামিনীর শুভ রজনী – সঞ্জিত মণ্ডল [Live Bengali Story]

ওর নাম যামিনী, নামের মানে রাত্রি হলে কি হবে গায়ের রং অমা রজনীর মতো মিশ কালো নয় ,বরং বিপরীত, সবসময় রোদে জলে কাদায় বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ায় বলে ওর গায়ের আসল রঙটা বোঝা যায় না। তবে ওর মুখশ্রী দেখে ওকে সুন্দরী বলবে না এমন লোক পাওয়া যাবে না। নিতান্ত কিশোর বয়সে ওর ধূলিমলিন গাত্র বরণ, অবিন্যস্ত কেশরাশি, আর কড়া মেজাজের জন্যে সমবয়সী মেয়েরা তো বটেই ছেলেরাও ওকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করতো। কিন্তু চেষ্টা করেও ওকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভবপর ছিলো না, কেন না ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওর গাছে চড়া, হাডুডু, শিরোগজি খেলা, জলে ঝাঁপানো, ডুব সাঁতারে পুকুর এপার ওপার করা, খেপলা জাল ফেলে মাছ ধরা, ঢিল লাঙ্গল করে গাছের সরু ডাল থেকে ঘুড়ি পেড়ে আনা ইত্যাদি সব বিষয়েই মেয়েরা তো বটেই ছেলেরাও ওর কাছে গো হারান হেরে যেত।

সেই যামিনী বড়ো হয়েছে, অভাব অনটনের সংসারে তার লেখাপড়া বেশী দূরে এগোতে পারেনি, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর বেশ কুসুমিত হয়েছে কিন্তু সাথে সাথে তার ধিঙ্গিপনা ও উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় বাড়ির লোকেরা তার বিয়ে দিয়ে দেওয়াটাই স্থির করে ফেললো। তখনকার দেশ গাঁয়ে এটা ছিলো একটা সহজ সমাধান, বিয়ে দিয়ে পরের ঘরে পাঠাতে পারলে আর যাই হোক একদিকে যেমন দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলা যাবে অন্যদিকে লোক লজ্জার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। এই সহজ সমাধান হিসেবে যখন যামিনীর বিয়ে দিয়ে দেওয়া টাই স্থির হলো, তখন ওর জটাধরা অবিন্যস্ত চুল পরিপাটি করে ওকে ঘসে মেজে নতুন করে গড়ে তোলার পরে দেখা গেলো যামিনী অসাধারণ লাবণ্য বতী হয়ে উঠেছে, আর এমন লাবণ্য বতীর জন্য মানানসই তেমন পাত্র যে যোগাড় করা মুশকিল হবে তা ভেবে তার গুরুজন আত্মীয় স্বজন সবাই ক্রমশই হতাশ হতে লাগলো। যামিনীর বাবা মায়ের অবস্থা অতি সাধারণের থেকেও সাধারণ হওয়া সত্বেও কোনো অর্বাচীন বানরের গলায় যে এমন মুক্তোর মালা ঝুলিয়ে দেওয়া যাবে না সেটা তারা বিলক্ষণ বুঝতে পারলো। কাজে কাজেই একটু ভালো অবস্থাপন্ন পাত্রের জন্য তারা ঘটকের দ্বারস্থ হলো।

ঘটকের ঘটকালির খবর আদান প্রদান চলতে থাকুক ততক্ষণে আমরা ওদের গ্রামের একটু খোঁজ খবর করি। ওরা যে গ্রামে থাকে তার নাম রাঙাবেলিয়া। কীর্তন খোলা, শাসন, ধবধবির পরে কৃষ্ণ মোহন। এই কৃষ্ণ মোহনের বুক চিরে যে মেঠো পথ ওই দূরে যেখানে সবুজে মোড়া মাটি আর আকাশকে একাকার করে দিয়েছে, ওইখানে রাঙা বেলিয়া গ্রাম। গ্রাম মানে দু-দশ ঘর চাষি পরিবার, আর কয়েক ঘর কামার কুমোর জেলে নাপিতদের হেলে পড়া ছিটে বেড়ার ঘর, কোনোটায় খড়ের ছাউনি, কোনোটার মাথায় টালির চাল, কোনোটার মাথায় টিনের ছাউনি। কার বাড়ির মাথায় কিসের ছাউনি সেটা দেখেই গ্রামের লোকের অবস্থা মোটামুটি আন্দাজ করা যায়। কেউ মাঝারি মাপের গেরস্ত তার মাটির বাড়ির মাথায় টিনের ছাউনি, কেউ বা আধা মাঝারি, তার মাটির বাড়ির মাথায় টালির চাল, কেউবা দিন আনি দিন খাই গোছের তার ছিটে বেড়ার ঘরের মাথায় খড়ের ছাউনি।

যামিনীরা আধো মাঝারি, মাটির দেওয়াল টালির চাল। খানিক চাষ, খানিক মজুরি, এই নিয়ে সংসার। মেয়ে ধিঙ্গি পনা করে বেড়ায় সেটা বেমানান হলে কি হবে এই গ্রামে ওই একমাত্র সকলের যোগসূত্র। সব বাড়িতে ওর অবাধ যাতায়াত, ওই একমাত্র সকলের সুখে হাসে দুঃখে কাঁদে, সকলের হাসি কান্নার মর্মবেদনার সমান ভাগীদার ওই যামিনী। সবার সাথেই তার প্রাণের আলাপন। এই প্রাণের আলাপনে ছেদ পড়তে চলেছে, যামিনীর বিয়ের কথায় অনেকেই উৎফুল্ল অনেকে আবার বিমর্ষও। এই প্রাণের বন্ধু আর কাজের মেয়ের সাথে বিয়ের পরে বিচ্ছেদ হবে এটা অনেকেই হজম করতে পারে না।

হজম করতে না পারলে কি হবে, ঘটক তার ঘটকালি বেশ নৈপুণ্যের সাথে করেছে। শাসন থেকে লোক এসেছে পাত্রী দেখতে, পাত্র স্বয়ং আসেনি বটে, তবে তার বাবা মা কাকিমা জেঠিমা মিলিয়ে প্রায় দশ বারো জন এসেছে যামিনী কে দেখতে। যামিনীর বাবা আয়োজনের ত্রুটি রাখেনি, শহর থেকে মিষ্টি আনিয়েছে, জাল ফেলে পুকুরের মাছ ধরেছে, তার মেয়েকে পছন্দ হোক না হোক, দুপুর বেলায় অতিথিদের দুমুঠো না খাইয়ে ছাড়বে না। মনে অবশ্য নিরুচ্চার একটা আশা রয়েছে যে তার অমন লাবণ্যবতী সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ না হয়ে যায় না। দুপুরের খাওয়া দাওয়ার আগেই মিষ্টি সহযোগে পাত্রী দেখা সারা হলো, এই অজ গ্রামে এই রকম বাড়িতে এমন লাবণ্যবতী রূপসী মেয়েকে তারা কল্পনাই করেনি। এক কথায় পাত্রী পছন্দ হলো এবং ঘটকের দৌত্যকর্মের চাতুরালির অপেক্ষা না করেই শুভস্য শীঘ্রম প্রবাদ বাক্য মেনে বিয়ের দিন ক্ষণ পাকা করে ফেললো। যামিনীর বাবা যোগেন্দ্রনাথ একবার বলার চেষ্টা করেছিলো যে, পাত্র নিজে দেখল না, আমরাও তাকে দেখলাম না, তার মতামত নেওয়া হলো না। তাকে কথা শেষ করতে না দিয়ে ঘটক বললো, আরে, পাত্রের সম্মতি ছাড়া কি আর তার বাড়ির গুষ্টিশুদ্ধু লোক তোমার বাড়িতে চাট্টিখানি খেতে এসেছে? তোমরা ছেলেকে কি দেখবে, বিয়ের দিনে দেখো ছেলে একেবারে রাজ পুত্তুর।

Natun Bangla Kobita Lekha

এরপরে আর কথা চলে না, শুভ দিনে শুভক্ষণে সেই রাজ পুত্তুরের সঙ্গে যামিনীর বিয়ে হয়ে গেলো। গাঁয়ের লোক বরের দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারে না, বরের নাম অনন্ত বিজয়, তার যেমন নাক চোখ, তেমনই তার গায়ের রং, তেমনই সুন্দর তার স্বাস্থ্য। রাজ পুত্তুর বললে তো কমই বলা হলো, কি সুন্দর ঢুলুঢুলু চোখ। কে বেশী সুন্দর যামিনী না তার স্বামী অনন্ত বিজয় তা নিয়ে ঘরে ঘরে আলোচনা চলতে লাগলো। যামিনী শ্বশুর বাড়ি আলো করে আছে, শ্বশুর শাশুড়ি অত্যন্ত স্নেহ প্রবণ, স্বামী একটু বেশী ঘুমালেও তার ভালো বাসা সে পেয়েছে, তাকে প্রথমে একটি কন্যা ও পরে একটি পুত্র সন্তান উপহার দিয়েছে, তারাও ধীরে ধীরে বড়ো হচ্ছে, এর মধ্যেও ইদানীং যামিনীর মধ্যে এক ভয়ংকর দুশ্চিন্তা বাসা বেঁধেছে, বিয়ের পর থেকেই সে লক্ষ্য করছে, তার স্বামী কেবলই শুয়ে থাকে, কি সব ওষুধ খায় আর ঘুমায়, সেই জন্যে ই তার চোখ সব সময় ঢুলুঢুলু। বাড়ির ব্যবসা পত্তর আছে বলে খুব একটা কাজকর্ম না করলে ও চলে যায়, কিন্তু অমন সুন্দর স্বাস্থ্যবান একটা পুরুষ মানুষ শুধু ই পড়ে পড়ে ঘুমাবে এটাই বা কি রকম! যামিনী অনন্তকে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, শ্বশুর শাশুড়িকে জিজ্ঞাসা করেও কোনো সদুত্তর পায়নি সে।

সবাই চিরকাল বাঁচে না, জাগতিক নিয়মেই যামিনীর শ্বশুর শাশুড়ি কয়েক মাসের ব্যবধানে পরপারে পাড়ি জমালে যামিনী ভাবলো, এবার নিশ্চয়ই অনন্তর চৈতন্য উদয় হবে, সংসারের কাজে কর্মে এবার নিশ্চয়ই মন দেবে, কিন্তু কোথায় কি তার ঘুমের মাত্রা যেন আরও বেড়ে গেলো, তার পিতৃ মাতৃ বিয়োগের পরে বছর ঘুরে গেলো, সংসারের দৈনিক আয়ের উৎস গুলো একে একে বন্ধ হতে লাগলো, অভাব অনটনের ছায়া সংসারে প্রলম্বিত হতে লাগলো, দুবেলা দুমুঠো অন্ন সংস্থান করা সাধ্যাতীত হয়ে দাঁড়ালো, যখন ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানো দুঃস্বপ্নের মতো মনে হলো তখন যামিনী তার স্বামীকে ঘুম ভাঙিয়ে বললো, সংসার একেবারেই অচল অবস্থায় পৌঁছে গেছে, কিছু উপার্জন না করলেই নয়, অনেক তো ঘুমালে, এবার জাগো সংসারের হাল ধরো।

অতি সাধারণ ভাবে কথা গুলো বললেও, এই কথার পরিণাম যে এমন মারাত্মক হবে তা সে কল্পনা ও করতে পারেনি। যামিনীর কথাগুলো শোনা মাত্রই অনন্ত সজোরে চীৎকার করে উঠে দাঁড়ালো, ভয়ংকর সে মূর্তির দিকে তাকানো যায় না, মনে হয় এক্ষুনি বুঝি প্রলয় কাণ্ড ঘটিয়ে ছাড়বে, কিন্তু পরক্ষণেই সশব্দে আছাড় খেয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে গোঁ গোঁ করতে লাগলো, মুখ থেকে গাঁজলা উঠছে, চোখ দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে। স্বামীর এই অবস্থা দেখে যামিনী ডুকরে কেঁদে উঠলো। আশ পাশের বাড়ি থেকে সকলে ছুটে এসে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে দিলো, ওনার সম্পূর্ণ বিশ্রাম দরকার, কোনো উত্তেজক জিনিস ওনাকে খাওয়ানো চলবে না,এমনকি কোনো উত্তেজক কথা বার্তাও ওনার সামনে বলা যাবে না। বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে বলে দিলেন উনি একটু সুস্থ হয়ে উঠলে কলকাতার নিউরো হাসপাতালে দেখান, ওনার নার্ভের সমস্যা আছে। তিনি ওষুধ বলতে কয়েকটি ঘুমের বড়ি, কিছু ভিটামিন আর হজমের বড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দিলেন। এরপর স্বামীকে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া টা যামিনীর প্রধানতম দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ালো।

বিপদ কখনো একলা আসে না, বিপদ গুলো লাইন দিয়ে ওৎ পেতে দাঁড়িয়ে থাকে, কোনোক্রমে একটা বিপদ ঘাড়ে থাবা বসাতে পারলে বাকী বিপদ গুলো হুড়মুড়িয়ে ঘাড়ের উপর নেমে আসে। এবারে বিপদ টা আসলো তার ছেলের দিক থেকে, তার বয়স মাত্র পাঁচ বছর হলে কি হবে সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের থেকেও বেশী পরিমাণ ভোজন করে, কিন্তু তার পা দুটো ক্রমশই শীর্ণ ও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, সে নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারে না। একদিকে অন্নচিন্তা চমৎকারা, অন্যদিকে স্বামী ও পুত্রের ওষুধের খরচা যামিনীকে দিশেহারা করে দিলো। তার সামনে দুটো পথ খোলা ছিলো, এক নিজের রূপ যৌবন ভাঙিয়ে অতি স্বচ্ছন্দে সব কিছু সামাল দেওয়া, দুই, গায়ে গতরে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে সংসার খরচ সামাল দেওয়া। সে সতীসাধ্বী পতিব্রতা ও ধর্মভীরু, তাই সে দ্বিতীয় পথ টাই বেছে নিলো। গ্রামের হাট থেকে অল্প দামে সবজি কিনে ট্রেনে চড়ে শহরে এনে বিক্রি করতে পারলে দিনে পাঁচশো টাকার মতো থাকে, সংসারের কিছু সুরাহা হয়।

যামিনীর এই কাহিনী অকথিতই থেকে যেত যদি না সল্টলেকের হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালের সামনে ওর অতো বড়ো ছেলেকে কোলে নিয়ে হাপুসনয়নে কাঁদতে দেখতাম। কৌতূহলী হয়েই জিজ্ঞেস করেছিলাম কি হয়েছে, অতো বড়ো ছেলেকে কোলে নিয়ে কাঁদছেন কেন?
যামিনী বলেছিলো, দাদা, ও তো হাঁটতে পারে না, সেই রাঙা বেলিয়া গ্রাম থেকে ওকে এখানে চিকিৎসার জন্যে আনি, ওর ওষুধের দামই হাজার টাকা, তারপরে যাতায়াতের ভাড়া খাইখরচা তো আছেই। গরীব মানুষ আমরা, না খেয়ে ওর আর ওর বাপের চিকিৎসা করাচ্ছি। তার উপরে ডাক্তার বাবু আজ বলে দিলেন যে, নিজের পায়ে ভর দিয়ে আর কোনো দিনও উঠে দাঁড়াতে পারবে না, মনটা বড়ো দমে গেলো, তাই চোখের জল সামলাতে পারিনি।

যামিনীর হার না মানা জীবন যুদ্ধের কাহিনী শুনতে শুনতে ব্যথিত বিস্ময়ে ওর নিত্যকর্ম পদ্ধতি জেনেছিলাম। প্রতিদিন ও ভোর চারটেয় ওঠে, ভাত বসিয়ে দিয়ে চান সেরে নেয়, সাড়ে চারটের মধ্যে স্বামী ছেলে মেয়ের ঘুম ভাঙিয়ে এক তরকারি ফেনা ভাত খাইয়ে দিয়ে ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়িয়ে পাঁচটার মধ্যে ভ্যানে সবজি চাপিয়ে স্টেশনে চলে আসে, সাড়ে পাঁচটার ট্রেন ধরে সাতটার সময় বাঘা যতীন স্টেশনে নেমে ভ্যান ধরে অজয় নগরের বাজারে চলে আসে, সারাদিনের বিক্রি বাটা শেষ করে বাড়ি ফিরতে সেই তিনটে সাড়ে তিনটে। কোনো রকমে মুখে কিছু গুঁজে দিয়ে হাটে গিয়ে বা কারোর বাগান থেকে সবজি সংগ্রহ করে পরের দিনের জন্য সবজি রেডি করে রাখা। আবার সন্ধ্যে সন্ধ্যে ঘরে ফিরে স্বামী পুত্রের সেবা যত্ন করা, খাইয়ে দাইয়ে ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া। যামিনীর জীবনে একমাত্র আশার আলো তার মেয়ে রজনী, পড়াশোনায় দারুণ ভালো, প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে জিওগ্রাফি তে অনার্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে, অসাধারণ আঁকার হাত, আন্ত বিদ্যালয় কম্পিটিশনে সে প্রাকৃতিক চিত্র বিভাগে প্রথম হয়েছে। যামিনীর নয়নমণি রজনী ই এখন তার আশায় আলো।

যামিনীর বাঁচার লড়াই চলতে থাকুক, ওর স্বামী পুত্রের মঙ্গল কামনা করে এ কাহিনীর পরিসমাপ্তি টানলেও মনে প্রশ্ন জাগে আমাদের দেশে এমন কতো যামিনীরা আছে, তাদের মধ্যে কতজন হারিয়ে গেছে অন্ধকার জগতে সামান্য ক্ষুন্নিবৃত্তির কারণে আর কতজন অন্ধকার জগতের প্রলোভন উপেক্ষা করে মাথা উঁচু করে লড়াই করে সংসারের হাল ধরে আছে নিপুণ হাতে, স্বাধীন দেশে তার কোনো পরিসংখ্যান করা হয়েছে বলে জানিনা। ভোরের ট্রেনে এমন শয়ে শয়ে যামিনীরা নামে গড়িয়া, বাঘা যতীন, যাদবপুর, বালীগঞ্জে। হয় তারা বাবুর বাড়িতে কাজ করে নয়তো সবজি নিয়ে বসে রাস্তার ধারে, সারাদিনের বিক্রি বাটা কাজ কর্ম সেরে ক্লান্ত দেহে বিকেলের ট্রেনে বাড়ি ফেরে, ওদের সুখ দুঃখ, হাসি আনন্দ, দয়া মায়া, আনন্দ বিষাদ আবর্তিত হয় কঠোর জীবন সংগ্রামে। ওদেরও কেউ কেউ শুভ রজনীর প্রত্যাশায় স্বপ্ন দেখে, বাঁচতে চায়। আবারও ভোর হয়, জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। ওরা ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাত্যহিক জীবন যাত্রায়। যামিনীদের জীবন আবর্তিত হয় আশা নিরাশার জটিল সংগ্রামে।।

সঞ্জিত মণ্ডল | Sanjit Kumar Mandal

Bengali Famous Story | গল্পগুচ্ছ | মনিকা চক্রবর্তী | Top New 2023

Paribartan Bengali Story | পরিবর্তন | অঙ্গনদীপ চ্যাটার্জী | Top New 2023

Banglar Natun Kabita | কবিতাগুচ্ছ | সুব্রত চক্রবর্ত্তী | Top New 2023

Bangla Kobita Ghar | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর কুমার চৌধুরী | Top New 2023

Read Online Bangla Golpo | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Best Live Bengali Story Blogs 2023 | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Best Story Blogs in India | World’s Best Live Bengali Story Blogs | Best Live Bengali Story in Online | Online Interesting Bangla Golpo | Full Read Online Bangla Golpo | Online Best Story Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Bengali Story in English | Live Bengali Story pdf | Full Bangla Galpo online | New Live Bengali Story | Live Bengali Story – Episode | Golpo Dot Com Series | Horror Adult Story Video | Horror Live Bengali Story | Full Bangla Galpo Audio | Read Online Bengali Story Video | Live Bengali Story Netflix | Full Bangla Galpo Read | Read Online Bengali Story Download | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trend Live Bengali Story | Recent Live Bengali Story | Top Live Bengali Story | Popular Full Bangla Galpo | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Golpo Dot Com Download | Bengali Famous Story – audio | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Live Bengali Story – video | Live Bengali Story APK | Read Live Bengali Story Download | Live Bengali Story mp3 | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Bengali Story – audio | Top Read Online Bangla Golpo | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer

1 thought on “Best Live Bengali Story 2023 | Sanjit Kumar Mandal”

Leave a Comment