Bengali Story of Tapan Maity
Ebook Bangla Golpo | Best Online Story Collection
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
আজ স্বপ্নময়ের স্বপ্ন পূরণের সার্থক দিন।চোদ্দ বছর আগে যে স্বপ্নটি ক্লাসে বসে দেখেছিল সে। আজ তা বাস্তবতার পথে।নীরেনবাবুর অংক ক্লাসে মনে মনে আঁকা সেই স্বপ্নছবি। যে স্বপ্ন ছিল পেন্সিলে আঁকা সাদাকালো ছবি।যে স্বপ্ন নীরেবাবুর একটা অংক ক্লাসে জেগে জেগে দেখা।নীরেনবাবুর ক্লাস মানে মায়াময় মন্ত্রমুগ্ধকর সহজিয়া সমস্যার সমাধান। সম্ভাব্য নীরব স্বপ্নের উঁকিবুঁকি। আজ তা বাস্তবে পা দিতে চলেছে।
ভোর ভোর স্নান সারল।ফিটফাট হয়ে,গোচগাছ করে বেরিয়ে পড়ল।মায়ের চওড়া হাসি।বাবার তৃপ্তি ভরা হালকা বুকের শ্বাস! পাড়া-প্রতিবেশীর মুখে এক পশলা সুখের হাওয়া ধুয়ে দিচ্ছে ছোট্টবেলার সব কষ্টদাগ।পথে যেতে যেতে চেনা পরিচিত মানুষজনের সাথে দেখা হচ্ছে। কেউ বলছে ‘কি ব্যাপার? লাট সাহেব? সাহেব সাহেব ভাব!এত সেজে গুঁজে কোথায় যাচ্ছেন?কেউ বলছে কোথায় চললেন ওদিকে?কেউ বলছেন একটা বড়সড়ো পাত দিবি কবে সপু? হাত পেট ধুয়ে রেখেছি… কতদিন ভালো করে খাওয়া দাওয়া হয়নি।কেউ বলছে শহরে যাচ্ছিস তো যা সপু!ভালো করে চোখ কান খোলা রাখিস!শহরের হাওয়া ভালো না! শহরের হাওয়া একবার গায়ে লাগলে বুঝতে পারবি।যার একবার হাওয়া গায়ে লেগেছে সেই একমাত্র বুঝেছে।সেই একমাত্র জানে শহরটা আসলে কি জিনিস!হাওয়া লাগলে কি হয়।গায়ে হাওয়া না লাগে ব্যাপারটা দেখিস কিন্তু…সবাইকে মিঠেল ভাষায় বাক্যালাপ করল এবং সুষ্ঠভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এগিয়ে গেল। হাসি মুখে পথ হাঁটছে সপু। হরফে স্বপ্নময়। চারদিক যেন খুশির জোয়ার।সোনালী আলোর ছটা। সপুর বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্বটা বেশ অনেকটাই।যে স্কুলে সে ছোট্টবেলায় পড়ত।প্রায় ৪৫ মিনিট হাঁটা পথ।তারপর নদীপথ।তারপর মোটর ভ্যান থেকে নেমে বাস গাড়ি। তারপর অনেকটা।তারপর এসময় ট্রেন ধরতে হবে। সে ইন্টারনেট ঘেঁটে সব বৃত্তান্ত ইতিবৃত্ত জেনে আগেভাগেই জেনে নিল।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এক গাঁয়ের ছেলে স্বপ্নময়।স্বপ্ন দেখার বাতিক আছে ছেলেবেলা থেকেই।কবে যেন পড়েছিলাম ‘যতদিন এই পৃথিবীতে গান থাকে,গানের মানুষ থাকে,স্বপ্ন থাকে ততদিন মানুষ…’ এখন বিজ্ঞাপন ও মিডিয়ার কলকাকলি যুগে ক্যামেরার সামনে আসার সৌভাগ্য গড়ে তুলতে পারেনি সপু। তার লজ্জা লাগে।তার জীবনে অনেক নেগেটিভিটি আছে।যেমন কন্ঠস্বর বসে যাওয়া কর্কশ প্রকৃতির।কালো বেঁটে খাটো।লিকলিকে রোগা পটকা।বাড়ির অবস্থা মধ্যবিত্ত।জীবনে এত নেগেটিভ থাকা সত্ত্বেও সে কি স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে লড়ে গেছে।নিজেকে ভেঙে চুরে গড়ে তুলেছে।সে এখন ভাবে একজীবনে এত নেগেটিভিটি ছিল বলে সে আজ স্বপ্নপূরণের সফলতার খুব কাছাকাছি মুহূর্তের সম্মুখীন।
সে ভার্চুয়াল যেমন whatsapp, facebook, twitter, instagram এসবের ব্যবহার করত না।তাহলে ভাইরাল তো দূরের কথা। একটি বোতাম সেট তাই ভাইরালের কোন প্রশ্নই ওঠে না।ভার্চুয়ালে ভাইরাল হওয়ার মতো সুদর্শন পুরুষও সে নয় অথচ আয়লা থেকে বিধ্বংসী আমফান দুর্যোগে নদীতে জমিতে একসাথে জোয়ার ভাঁটা খেলেছে। সে প্রত্যক্ষদর্শী। মেঘে ঢাকা চাঁদ তখন আড়ালে।নীরব করুণ কবিতায় মুখ বুজে। একটা ছেঁড়া ফাটা তালি তাপ্তি নিয়ে কোনরকম দিন কাটতো তখন।দিন কাটানো দিনের স্বপ্ন ভাঙ্গা ব্যাকুলতা।আকুলি বিকুলি মানসিক অস্থিরতা।ঘরে ভাঙা বেহালায় ভাঙা আকাশের তলায় ছেঁড়া-খোঁড়া কথাকলি দিয়ে সৃজন গান বুনেছে আগামীর জন্য।কখনও ভেঙে পড়েনি। জীবনে যত বেশি দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে তত বেশি জেদি ও একগুঁয়ে হয়েছে।আরও বেশি আগ্রাসন বাড়িয়েছে নিজের পরিশ্রমের প্রতি। এর জন্য কলেজে ভূগোল অনার্সের নম্বর একটু কমে গিয়েছিল।বাবার কোন বিষয় সম্পত্তি ছিল না।সংসারে দেনার পাহাড়। বাবা মায়ের নিত্য দিনের হাড় ভাঙ্গা খাটুনি।বাবার সুগারের ধাত!থাইরয়েড! এসিডিটি!পরিবারে ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই দ্বন্দ্ব। দু’দুটো সাজানো কোর্ট কাচারি ঝুলছে।মা তার ছেলেদের মানুষ করতে গিয়ে সব খুইয়ে ভিটেমাটি চাটি। সম্বলহীন অসহায়ার মতো পড়ে থাকে এক কোনে।এক কুনো ঘর সংসার! তবে সে মানুষ হয়েছে কিনা তা দেখবার দায়িত্ব আপনাদের।জীবনের প্রকট আঁধারে যখন নিঃসঙ্গতা একাকীত্ব ব্যস্ততা নির্জনতা নীরবতা অক্টোপাসের জাপটে ধরে ছিল এতদিন।তখন জীবনের কত মেধা সামর্থ্য,সম্ভাবনা,অধিকার,প্রতিষ্ঠা, সম্পর্ক,জীবনের কত হ্যাঁ কত সহজে না হয়ে গেছে।কখনও সখনও কেন্নোর মত গুটিয়ে নিতে ইচ্ছে হয় করেছে নিজেকে।আর তখনই নদীর জল বিভাজিকা সৃষ্টি হয়েছে জীবনের জল বিভাজিকা।প্রচুর বাঁক থেকে সোজা পথে আসতে হয়েছে। জটিল হয়ে পড়েছে জীবন। এমনও দিন গেছে বন্ধুত্বের আড্ডায় বসা হয়নি। সিনেমা হলে বান্ধবীকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। শপিংমল কিংবা মাল্টিপ্লেক্সে কারোর হাত ধরে পছন্দের জিনিস মনজিনিস কেনা হয়নি! বন্ধুদের সাথে কোন বসন্ত বিকেলে দাঁড়িয়ে ভালো করে হাসি ঠাট্টা হয়নি। একসাথে ফুচকা খাওয়া কিংবা কোন সুন্দরীর চোখে চোখ রেখে কথা দেওয়া হয়ে ওঠেনি সপুর। ক্যাংলেস সোসাইটির চেয়ারম্যান বলে বিদ্রূপ শুনতে হয়েছে। সীমাহীন ঘৃণা অবজ্ঞা অবহেলা করেছে।সুখের সময় বা শুভ কাজে তাকে ডাকতে ভুলে যায়।নিমন্ত্রণ করতে ভুলে যায়।তার পৃথিবীটা একপাশে হয়ে পড়ে থাকে।যেখানে সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে সেখান থেকে পথ খুঁজতে হয়েছে সপুকে। যেখানে সবকিছু থেমে গেছে সেখানে গিয়ে নতুন করে আবার শুরু করেছে। কোথায়ও পড়ে গেছে।পিছলে গিয়ে সড়াৎ করে কোথায় ঢুকে গেছে ভুলে।জীবনে অনেক জায়গায় ঠকেছে কিন্তু কাউকে ঠকায়নি।কেউ হাতটা ধরে বলেনি ‘ওঠ আমি তোর পাশে আছি।তোর এত ভয় কিসের?আরও ঘুরে বিনা কারণে অনেক কথা শুনেছে তবু সে ধৈর্য হারায়নি। সে স্বপ্ন দেখা ছাড়েনি।স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে স্বপ্নপূরণের জন্য তালিম দিয়েছে।নিজের মনের জোর ছিল খুব ধারালো অস্ত্র। বন্ধুরা তাকে বলতো তুই তো ভালোই কামাস এখন থেকেই। এই বয়সে প্রাইভেট টিউশন করিস।পার্ট টাইম প্রাইভেট জব করিস।দিন চলে যায় ভালোভাবে।তোর তো আগুপিছু কেউ নেই।খরচ খরচা করবার লোক ও নেই।আগেকার মত এখন মানুষের এত অভাব নেই।কেউ কেউ ঈর্ষায় বলে দিত ‘এত নাটক করিস কেন?এমন দেখাস যেন পৃথিবীতে তোর একার অভাব আছে?মনে রাখবি তোর থেকে অনেকেই অনেক গরীব আছে।আরে তুই তো দুবেলা খেতে পাস কিন্তু তারা তো তাও পায় না।সে দিক থেকে তুই অনেক ভাগ্যবান।তারা কিন্তু তোর মত একটা জামা সবসময় পরে থাকে না।তারা তাদের বন্ধুদের খাওয়ায়।তোর মত হাতে জল গলে না এমন নয়।এগুলো দেখিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছিস? তুই এই ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে অ্যাডভানটেজ নিতে চাইছিস?আমরা কিছু বুঝিস ভাবছিস?সব বুঝি।আমরা ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না বুঝেছিস?আর আমরা এত বোকা নই যে তুই যা বলব বিশ্বাস করে নেব।যা নাটক দেখাবি তা সত্য বলে ভরসা করে মেনে নেব!তোর তো আবার নেশাভাঙ নেই ঘোরাঘুরি নেই। কোন বান্ধবী নেই।বাজে সময় অযথা বা বাজে অর্থ ব্যয় করিস না কোনোমতে। এত টাকা নিয়ে কি করবি শুনি?সাথে তো এক কোনাও নিয়ে যেতে পারবি না।আমাদের মত খাস না।সাজিস না।ঘুরিস না।কি করিস তবে?জলপথে আছিস না।কোন গোপন ব্যবসায়ে নেমে পড়েছিস নাকি?লজ্জায় আমাদের বলছিস না?আমাদের বল্ কাউকে বলব না।কেউ একটু ব্যঞ্জনার সাথে বলতো হাড় কিপটে কঞ্জুস কোথাকার!মিড়মিড়ে শয়তান! টুকলিখোর। চুপো শয়তান?কেউ মানে নীতিনদা কখনও সখনও বলতেন আরে আমরা একটু তোর পেছনে লাগি বলে কিছু মনে করিস না।আরে বন্ধু বান্ধবরা পেছনে লাগবে না তো কে লাগবে শুনি?পাড়ার লোক পেছনে লাগবে?আমাদের খাওয়ালে কি তোর সব চলে যাবে?আমাদের সাথে ঘুরলে তোর খুব ক্ষতি হয়ে যাবে?এত হিসেবী কেন?আমাদের একটু দেখ ভাই! নয়তো মাঠে মারা যাবো।আমরা তোর সব বুঝি।সকলকে নিয়ে চলতে হবে তাই না ভাই?কিছু মনে করিস না এসব।দুদিন পরে কে কোথায় চলে যাবে ঠিক আছে?
সপু মনে মনে ভাবছে।ওরা জানেনা বাবার হোটেলে থেকে অনেক কিছু ভাবা যায়। জল্পনা কল্পনা করা যায়।অনেক বড় বড় কথা বলা যায়।অনেক বাতেলা মারা যায়।অবান্তর অনেক কিছু দেখা যায়।প্রতিদিন নিত্য নতুন মেয়ে বন্ধুদের মেসে বা রুমে আনা যায়।ডেটিং করা যায়। ফুর্তি করা যায়। গল্পগুজব করা যায়।হাতে অঢেল সময় পাওয়া যায়।আরও অনেক কিছু করা যায়।ক্লাস কেটে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে বেড়ানো যায়।গঙ্গারঘাট দেখানো যায়।পার্কে বসে বসে বান্ধবীদের ছোট্ট ছোট্ট শখ মেটানো যায়।এটা ওটা কেনাকাটা করা যায়।চার চাকায় ঘোরা যায়।খোস মেজাজে জীবনটাকে উড়িয়ে দেয়া যায়। বিকেলের হঠাৎ খামখেয়ালে ঘুড়ি ওড়ানো যায়।বাইকে বান্ধবীকে ঘোরানো যায়।কাছের মানুষদের সময় দেওয়া যায়।ভালোবাসা যায়।স্বপ্নের কথা বলা যায়। আকাশ কুসুম ভাবা যায়।সুখ শান্তিতে কাটানো যায়।টেনশনহীন জীবন কাটানো যায়।নিজেকে সুখের পায়রাও ভাবা যায় কিন্তু বর্তমান সকালে বসে আগামীদিনের একটা দিন কিভাবে চলবে তার হিসাব নিয়ে বসতে গেলে অনেক কিছু থাকতে হয় বস্ …যদি এভাবে বসা হয় তবে বোঝা যেত।জীবনের নাম বাবাজীবন!বোঝা যেত এসব কথার অর্থ হয়তো মানে বুঝবে যদি উপলব্ধির একটা মন থাকে।অনুভবটা যদি গভীর হয়।কতিপয় এসব বুঝবে।কেউ কেউ বুঝবে না।কারোর কারোর মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে।এই কথার অর্থ কিভাবে মানুষকে পোড়ায় আবার কেমন পোহায়ও।ভাবতে বসলে আস্ত একটি রামায়ণ মহাভারত যোগ করলে বহরে হয়তো কুলোবে না।আবার ইচ্ছে করলে হয়েও যেতে পারে!মনে হয় ওরা তো ভুল কিছু বলেনি!ওদের কথাও ভাবা দরকার।পৃথিবীতে সব কিছু দরকার আছে। মানুষের প্রয়োজনের চাহিদা আছে।আশা ভরসা আছে।আর চলেও যায় কিন্তু আমি উজার হলেও ওদের কোন প্রয়োজনে লাগবো না।শেষমেষ অফুরন্ত তিরস্কার পাব।আমার ভাড়ে মা ভবানি।ঘটি ডোবানোর পুকুর নেই। তার এসব ভেবে কিছুই হবে না।জগতে যার যত প্রয়োজন তার তত বেশি কদর।যে মাঝি যত দুরন্ত উত্তাল ভয়ংকর দুর্যোগ নদী পার করেছে সেই মাঝি তত সুদক্ষ সুনিপুণ। সুখের সময় তার বন্ধুরা তাকে বরাবরই এভোয়েড করেছে।তখন তার কথা কারোর মনে পড়েনি।এসব মাথায় করেও সে আসছে।আর সে শুধু দুঃখের অ্যালবামে ছবির মতো একা দাঁড়িয়েই থাকতে হয়েছে এযাবৎ।এই জ্ঞান দেওয়ার জন্য তার বন্ধুদের কাছে জুটত অপমান অবজ্ঞা রাগ আর অপ্রকাশিত আকাঙ্ক্ষা খাওয়ানোর খেসারত।অপ্রকাশিত অনেক গল্প ‘তুই এই জীবনে কি করিস দেখব? বেঁচে তো আছি আমরা মরে তো এখন যায়নি দেখেই যাব তুই কিটা ছিড়িস। কেউ তো সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড দেখিয়ে বলে দেখ্ দেখ্ আর তুই নদী কেটে শাখানদী হয়ে যা।তোর জন্য এই ল্যাঙড়া ঝোলা আম যথেষ্ট।ওটাও তোর জুটবে কিনা সন্দেহ আছে!কেউ খাল কেটে যাবে আর তুই তাতে সাঁতার কাটবি!বজ্জাত কোথাকার!
কেউ বলতো কিরে এই নীল জামা আর জিন্স কতদিন চাবাবি? সেই তো অন্নপ্রাশন থেকে দেখে আসছি। তামাশা হা হা হা…. আবার মেসের সবাই মিলে পুজোর শার্ট জিন্স প্যান্ট কিনে দিয়েছিল নয়নদা, নিমাইদা, ঋত্বিকদা, সেন্টুদা। দেখো বাইরে থেকে দেখলে এমন নিরস কাঠখট্টা ডালপালাহীন গাছটার মতো দেখায় কিন্তু ওর ভেতরটা উপলব্ধি করে দেখ বেচারা ভেতর থেকে কতটা বসন্ত লুকিয়ে রেখেছে।ও ভালোবাসা পেলে হয়তো সঞ্জীবনী সুধা ঢালবে মানুষের হৃদয়ে।বেচারার কত লোক!কেউ কথা রাখেনির মত। সে তার হ্যান্ডসাম বন্ধুদের মত বান্ধবীদের নিয়ে বাদাম খোসা ছাড়াই নি।ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে ছুঁয়ে দেখেনি।পার্কে বসে বান্ধবীর সাথে প্রেম রসায়ন লেখেনি।মেসের ডিনারে ভেসে যাওয়া গল্পের নায়ক সে কোনদিন হতে পারেনি। বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন তামাশা চলে বলেছিল।এই তোর আছে তো?
কত রাত কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজেছে। নীরবে কেউ তা জানে না।সে মনে মনে শক্ত করে আরো বেশি প্রস্তুত হত। নিজেকে গড়বার আরও সুযোগ করে নিত।নিজেকে কাটাছেঁড়া করত।আর যত বেশি ক্ষতবিক্ষত হত তত বেশি জেদ চেপে বসত।বাইরে থেকে যতটা সে ভেঙেচুরে যেত।ভেতর থেকে তত বেশি অনুপ্রেরণা জাগাত ভেতর থেকে। আমাকে কিছু একটা করতেই হবে…করে দেখাতেই হবে আমাকে।হেরে গেলে চলবে না।গো হারা হারলে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।এক্কেবারে তলিয়ে যাব।এমন অবস্থায় থাকলে কি করতেন অমুক বিখ্যাত লোক?যে মানুষটা আদপে কোনদিন গান গায়নি।যে কোন গল্প বা কবিতা বা উপন্যাস লেখেনি।সে আজ রয়ে গেছে কোন না কোন না খোলা কোন গোপন খামে। চিঠির ভাষায় কোন ভয়ংকর ভয়াবহ স্বপ্নের রাতে বা হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়া কোন গল্পের মোড়ে বা কলেজে গোপন কোন ডাইরির পাতায় থেকে যেতে হয় কত ব্যর্থ প্রেমিকদের। বাদামের খোসা ছাড়াতে বুকে আজ শ্রাবণে ভেজা দুপুর।অপ্রকাশিত বিরহে বা অন্ধকার রুমের কোন গোপন পুকুর থেকে বিচলিত মনে একটু আকাশ দেখা বা ঝরা দিনের সাথে সাথে পুরনো ইতিহাসে পটে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির স্বার্থসিদ্ধির সেলফি তোলা নয়।শুধু প্রচেষ্টার সেনা নায়কের প্রবেশ।যাইহোক জীবনে সে তথ্য দেখেছে টক-ঝোল,ভাত-ছাতু,বাঙাল-ঘটি,টুম্পা,টাক টিকি দাড়ি,ধনী-গরিবের কত অপ্রকাশিত বাস্তবতা।গল্পের সীমারেখায় চেনা মানবজমিনে অচেনা পথ।সীমারেখা কাঁটাতারকে উপেক্ষা করে আসছে সূর্য আজীবনকাল।কাঁটাতার খবরদারি চালাকিপনা ঠান্ডা মাথার কৌশল এসবের মাঝে কত প্রকাশিত ডায়েরির পাতা ভরাট করেছে সপু।কত রাত জাগা মন খারাপ জীবনে কত কিছু দরকার ছিল তা সামর্থ্য কুলায়নি।মাঝেমধ্যে যখন সে বাড়ি আসতো সে হাতে হাতে সবার সাথে সবকিছু করে দিত।বাবা-মায়ের কাজ।সংসারের কাজ।একদিন তার মা রান্না করতে করতে ছ্যাঁকা হাতে বলে উঠলো। ধুত তোর নিকুচি করেছে।আর কত হাত-পা পুড়ে খেতে হবে বলতো সপু? একদিন কাজ থেকে বাপের সাথে ফেরার পর বলে উঠলো। ঘামে ভিজা শরীর নিয়ে ভেজা গামছা উঠানে মেলে চিৎ হয়ে উঠোনে শুয়ে পড়ল এবং বলল’এত কষ্ট করতে এখন আর পারি না রে বাবা! এক গ্লাস জল দে না বাবা? দেখনা বাবা কোথাও একটা ভালো কাজ পাস কিনা? দেখছিস না আমাদের তো এই অবস্থা!আর পারছি না রে বাবা!খুব কষ্ট হয়।জানটা যায় যায় রয় রয় অবস্থা।চারদিক কত সব কি হচ্ছে অথচ কত কথা কানে আসে।আর আমার বাড়ির দিকে তাকালেই তাকানো যায় না। আবার আমরা যা কিছু চাষের দরকারি দ্রব্য কিনছি। তার দাম আকাশ ছোঁয়া আর আমরা যা ফসল ফলাচ্ছি তা অঢেল।অবিক্রি!দাম খুব কম।নদীতে ফেলে দিতে বাধ্য হতে হয়। কি হবে কে জানে?এরপর কি দিন আসছে!আসতে চলেছে? পাড়ার সুনীল অহল্যা অরূপ সুরজিৎ পুলক উত্তমদের দেখ্?দেখে শেখ্?দেখতে পারছিস না ওরা কি করছে?কবে থেকে ওরা স্কুলের গণ্ডি থেকে বেরিয়েছে সপু?ওরা কোনরকম নামমাত্র টেনেটুনে এইট পাশ করেছে কি ঠিক নেই বা করেনি।ফেল হয়ে কাউকে না জানিয়ে যুক্তি করে যারা একসঙ্গে সেই যা পালিয়ে গিয়েছিল।লোকেরা কত না হেসেছিল?ওদের দ্বারা কিছুটি হবে না।এখন তাদের দিকে চেয়ে দ্যাখ?ছেলেগুলোর এখন বহরম চহরম দেখেছিস? কি নেই ওদের? কি করেনি ওরা? ওদের সামনে দাঁড়ানো যায় না এখন!কথায় আছে না যারে কর হীন তার হয় একদিন।ওদের থেকে তুই কত পড়াশোনায় ভালো!কতদূর পড়াশোনা!আরে তুই দ্যাখ তোর কি আছে?আরে তোর বন্ধু কেশবকে দ্যাখ!স্কুলের সময় থেকে সবসময় কাছে পাশে থাকত?সে একটা কোত্থেকে একটা পাকা সোনা গায়ের রঙের মেয়ে বাড়ি বয়ে চলে এসেছে?দেখেছিস?যেন ডানা কাটা পরি!এদের কথা নাইবা বললাম! তোর হাঁটুর বয়সী ছেলে মেয়েদের দেখ? কেমন করে সংসার গুছিয়ে গাছিয়ে নিয়েছে?মনে আছে চা দোকানের সেবারে রাস্তায় কেলেকাকু কি বলল?সপুকে তার বাবা বলল ‘তোর ছেলেপুলেদের জান্ মেরে এত পড়াচ্ছিস?ওরা বড় হলে দেখবে তো?এখন যা দিনকাল পড়েছে! কেউ কারোর নয়! সবার নিজস্ব একটি পাখির চোখ চাই। তার মনে পড়ে গেল তার জীবনের প্রথম প্রেমের সলতে মানে পুঁটির কথা।’তোর ঘটি ডোবানোর জায়গা আছে? যে আমার সাথে ঘর বাঁধবার স্বপ্ন বুনিস?’
এখন সময় পাল্টেছে।এভাবেই পাল্টে যায় সব।যার বাবাকে একদিন কেউ পুঁছত না।এখন তার বাবাকে সামনেই দাঁড়াতে দেখলে একটা বরাদ্দ জায়গা ছেড়ে দিয়ে দেবে।চারদিকে একটা গুঞ্জন উঠেছে।সপু চাকরি পেয়েছে।এবার ওদের দুঃখের দিন শেষ।ছেলের একটু বয়স হয়েছে। বেঁটে রোগা কালো বলে কি মানুষ নয়? চাকরি তো করে ছেলেটা।যাক বাবা চাকরিটা পেয়েছে! না পেলে কী যে হত কেজানে! সপু তার স্কুলেথ রুটম্যাপ হাঁটাপথ বাসে ট্রেনে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাব সাগরের স্মৃতি পটে হাঁটছে আর ভেতরে ভেতরে খেলে যাচ্ছে একটা অজানা ভালো লাগার স্রোত। চোখের পাতায় পদ্ম পাতায় ভোরের শিশিরের মত টলটল করছে।
আজ স্বপ্নময় এর কর্মজীবনের প্রথম দিনমাত্র।আর ঘন্টাখানেক বাকি।সেই মধুর শুভক্ষণ আসছে।এত তাড়াতাড়ি পৌঁছবে ভাবতেই পারেনি। আজ সময়টা তার সাথে বরাবরই ভাল সাথ দিয়েছে।কথায় বলে না যার যখন সময় ভাল আসে তার সব দিক দিয়ে ভাল হয়।যদিও বা এ শহর তার আগে থেকেই চেনে।যাকে থাকতে হয়েছে মেসজীবনে এর পাশাপাশি এক জায়গায়।কান্না চেপে পথ হেঁটেছে। এই অফিস থেকে অফিস ছুটেছে।কলেজে গেছে। ট্রেনে চেপেছে।টিউশন করেছে।মিছিলে মিছিলে পায়ে পা মিলিয়েছে।কলেজ করে টিউশন করে মেসজীবন চালিয়েছে।আবার বাড়িতে বাবার হাত খরচ জগিয়েছে।তবুও তার কাছে শহরটা যেন একেবারে অন্যরকম ভালো লাগার মোড় নিয়েছে আজ। আগে যে শহর শিক্ষাক্ষেত্র।আশ্রয়স্থল ছিল আজ তা কর্মস্থলে পরিণত হয়েছে।আজ থেকে সে বাস্তবায়িত স্বপ্নে রঙ দেবে।সমাজ গড়বে নিজের হাতে।আজ থেকে মানুষ গড়বে নিজের মনের মতো করে।ছাতিমতলার বেঞ্চে বসে মায়ের হাতে তৈরি রুটি আলু ভাজা ডিম কষা খেতে খেতে চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে। আকাশের শরতের রূপকথা। স্বপ্নে তার শিক্ষকতা।মনে তার মানবতা বিরাজ করছে।206 নম্বর বাস স্ট্যান্ড।চওড়া ঝকঝকে পরিষ্কার দুটি পাশাপাশি উন্মুক্ত রাজপথ। দুদিকে দুভাবে চলে গেছে।সারি সারি দোকানপাট পাড়া-প্রতিবেশীর মত গায়ে গায়ে লেগে আছে।উপহার মাল্টিপ্লেক্স অহমিকার মাথা উঁচু করা করে আছে। একটু দূরে নিউ গড়িয়া রেলস্টেশন ও কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন।নিউ গড়িয়া আবাসন।স্কুল এরিয়ার মধ্যে রাস্তাঘাট ভিড়ভাট্টা ব্যস্ততা তুখোর।বাসট্যান্ড মেট্রোর মানুষজনেরা ব্যস্ত।জনকলরবময়। মানুষের চাল চলন সাজ পোশাক বেশভূষা আব-ভাব সব আধুনিক। কেউ বলছে ইংলিশ।কেউ হিন্দি। কেউ বাংলা ছাড়া আরোও কত কিছু ভাষায় কথা বলে বলছে অনবরত। যদিও বা স্কুলটা বাংলা মিডিয়াম।তবু তার আশেপাশের আদব-কায়দা হাবভাব যেন বিদেশী বিদেশী ঢাঁচের। তুলনা করে মেলাতে পারছে না কোনমতেই। বেকার জীবনের শহর আর চাকরি জীবনের শহর।যেন রাত দিনের তফাৎ।এক জোয়ার ভাটার সম্পর্ক।ফুল ঝরা ফোটার মত আনন্দদায়ক।স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ব্যাগ খুলে দেখে নিল সব ঠিকঠাক আছে।কেউ কেউ দল বেঁধে হেঁটে এল। কেউ কেউ স্কুল গাড়িতে এল। কেউ কেউ প্রাইভেট কারে এলো।কেউ কেউ ট্রেনে মেট্রোয়।কেউ কেউ বাসে।স্কুল ইউনিফর্ম পরে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে প্রবেশ করছে দল বেঁধে। তাদের সাথে বেশিরভাগ এবং সব কথা খুলে বললেন হাসিমুখে।একজন ফোন করে ডাকলেন।তিনি এসে হেড স্যারের রুমে নিয়ে গেলেন।স্কুলের এইচ এম স্যার হরফে হিমাংশু মন্ডল মহাশয়েরর রুমে দেয়ালে নেমপ্লেট পড়ে নিলেন। অফিশিয়াল সমস্ত কাজকর্ম চুকিয়ে।স্টাফেদের সাথে পরিচিত ও পরিচয় করল।করমর্দন বা হ্যান্ডসেট করল।সবাইকে হাসিমুখে সুস্বাগতম জানল।এবার এইচ.এম স্যার বললেন আজ থেকে আমাদের নতুন সদস্য যুক্ত হলেন স্বপ্নময় মুন্ডা।কাস্ট এস টি।মেধাবী ও কোটায় অঙ্কে পেয়েছে।আজ অভীক স্যার আসতে পারবেন না। উনার বদলে আমাদের নতুন স্যার স্বপ্নময়বাবু হরফে এস.এম স্যার মানে স্বপ্নময় মুন্ডা মহাশয় ক্লাস টেনের ম্যাথ ক্লাস নেবেন। জয়িতাদি প্রার্থনার ঘন্টা দিল।জাতীয় সংগীত গাওয়া হল। স্কুলের মধ্যে একটা অসম্ভব সম্ভাবনা বিরাজ করছে।একসাথে সকলে জাতীয় সঙ্গীত গাইছে।এইরকম গিয়েছিল সে তার স্কুল জীবনে। তৃতীয় তলে নির্দেশিত নম্বর অনুযায়ী নির্দেশিকা চিত্র দেখিয়ে চলে গেলেন ম্যাম। তিনি এক পা দু পা করে এগোচ্ছেন।জীবনের প্রথম চাকরিজীবনের প্রথম ক্লাস করবেন। কিভাবে শুরু করবেন। কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন।ভেতর ভেতর একটু ভয় জড়তা হলে যেহেতু আগে টিউশন করত তাই বেশিক্ষণ প্রশ্রয় পায়নি।এইসব স্বপ্নময় বাবুর প্রেজেন্টের খাতা হাতে নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেন।সবাই উঠে দাঁড়ালো।সম্ভাবনা নিয়ে প্রেজেন্ট করলেন এবং পরিচয় দিলেন এবং নিলেন। ক্লাস করলেন।পৃথিবীর জীবনের সাথে মানুষের জীবনে সম্পর্ক মিলিয়ে দিয়েছিলেন গণিতের ভাষায়।কত সহজে।সকলে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অংক কষছিল পুরো ক্লাসঘর।নীরেনবাবুর মত ক্লাসরুম হয়ে গেল।যে যার মত করে স্বপ্নের ফেরিওয়ালার মত ফেরি করতে লেগে পড়লেন সমাজ গড়বার কারিগর।
তপন মাইতি | Tapan Maity
Nagarjuna besha or Parashurama besha | নাগার্জুন বেশ | অভিজিৎ পাল
Best Bangla Kabita Words | Shabdodweep Poetry
Countdown 99 | বিধি রে | কুহেলী দাশগুপ্ত | New Story 2023
Poila Baisakh 1430 | স্মরণে-বরণে ১লা বৈশাখ
Ebook Bangla Golpo | Shabdodweep Web Magazine | Tapan Maity
In the digital age, reading has taken a new shape. Today, many Bengali readers are turning to Ebook Bangla Golpo to enjoy their favourite stories in a more convenient format. Whether you love traditional bangla golpo (বাংলা গল্প) or modern bangla choto golpo (বাংলা ছোট গল্প), eBooks have made it easier to access and enjoy them anytime, anywhere.
At Shabdodweep Web Magazine, we are proud to present a rich collection of bangla golper boi (বাংলা গল্পের বই), carefully curated to reflect the soul of Bengali literature. We believe that every story carries the essence of our culture and tradition. Our goal is to provide high-quality, well-written, and emotionally powerful ebook Bangla golpo to our readers.
Why Ebook Bangla Golpo is Gaining Popularity
With mobile phones and tablets in hand, readers now prefer the flexibility that eBooks offer. Here are some key reasons why Ebook Bangla Golpo is becoming more popular day by day:
Accessibility: Easily download and read on mobile, tablet or computer.
Variety: Explore a wide range of bangla books and genres.
Portability: Carry hundreds of story books without extra weight.
Affordability: Many eBooks are free or available at low cost.
At Shabdodweep Web Magazine, we make sure that our readers get access to quality stories with just one click. Our digital platform is designed for smooth reading and easy navigation.
Our Experience and Expertise in Bangla Literature
Our web magazine is not just a collection of random stories. We are deeply committed to quality content and uphold the principles of E-E-A-T (Experience, Expertise, Authoritativeness, and Trustworthiness).
We have years of experience in promoting Bengali literature. Our team includes passionate writers, editors, and readers who understand the soul of a good bangla golpo. Among our most popular contributors is Tapan Maity, a respected story writer whose work has been loved by thousands of readers. Tapan Maity has written numerous emotional, thoughtful, and culturally rich stories that reflect real Bengali life.
Explore Different Types of Ebook Bangla Golpo on Shabdodweep
At Shabdodweep, we regularly publish:
Bangla choto golpo (বাংলা ছোট গল্প): Short stories for quick reading
Bangla golper boi (বাংলা গল্পের বই): Story books for serious readers
Poetry: Touching poems on love, life, and human emotions
Themed story series: Based on festivals, traditions, or social themes
Every Ebook Bangla Golpo published on our site is selected and edited with care. We ensure that each story connects with the reader emotionally and intellectually.
Why Choose Shabdodweep for Ebook Bangla Golpo
There are many platforms to read Bengali stories. But what makes Shabdodweep unique?
Trustworthy Content: All stories are original and plagiarism-free.
Experienced Story Writers: Including well-known names like Tapan Maity.
Cultural Depth: We highlight the richness of Bengali literature.
Regular Updates: New stories and bangla books are added frequently.
User-Friendly Design: Optimised for mobile and easy to read.
We are here not just to publish stories, but to build a community of Bengali readers who love literature and value creativity.
Join the Digital Bengali Reading Movement
If you haven’t explored Ebook Bangla Golpo yet, now is the time. From timeless classics to modern tales, Shabdodweep Web Magazine is your one-stop destination for all things bangla golpo. Let the words take you on a journey through emotions, culture, and imagination.
We invite you to become a part of our growing reading family. Explore our collection, read a story by Tapan Maity, or enjoy a newly published bangla choto golpo. The stories are waiting for you.
FAQ – Ebook Bangla Golpo (FAQ Schema)
What is Ebook Bangla Golpo?
Ebook Bangla Golpo means Bengali storybooks available in digital format. These are easy to read on phones, tablets, or computers.
Why should I read Bangla Golpo on Shabdodweep Web Magazine?
We offer high-quality stories by known writers like Tapan Maity. Our magazine focuses on cultural richness and emotional storytelling.
Are the stories on Shabdodweep original?
Yes, every ebook Bangla golpo published on Shabdodweep is original, curated, and edited by our experienced team.
Is it free to read stories on Shabdodweep?
Many of our bangla golper boi and bangla choto golpo are free. Some special editions may be offered at a low cost.
How often do you publish new Bangla Golpo?
We update our collection regularly. You’ll find new ebook Bangla golpo and poetry every week.
Can I submit my story to Shabdodweep?
Yes, we welcome new story writers. Visit our website to know how you can contribute to the growing world of Bengali literature.
Conclusion
Reading ebook Bangla golpo is not just entertainment; it is a journey through language, culture, and human emotions. Shabdodweep Web Magazine is proud to be your companion in this journey. Join us today and rediscover the joy of Bengali storytelling.
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio