Best Bengali Poetry SS30 | New Collection

Sharing Is Caring:

Best Bengali Poetry SS30 – সুশান্ত সেন – সূচিপত্র

হাসি – সুশান্ত সেন

গুলগুলি দিয়ে ভেসে আসা আলো
চিবিয়ে নিয়ে
একটু দেত হাসি হেসে এগিয়ে গেলাম।

দরজা ত খুলে দিয়েছি
একটু বসুন চা বিস্কুট খেয়ে যান
অনেক দিন ত আসেন নি এ পাড়ায়।
লেখা চাইছেন? হাসির গল্প!

হাসির গল্প যে লেখা সহজ নয়, জানেন নিশ্চয়,
জেনেও কেন অপ্রস্তুত করেন।
দু একটা কবিতা লিখে দিতে পারি
ভালো না লাগলে
ওই পাতা গুলো ঠোঙা করে নিতে পারেন
অবশ্যই, ঝাল মুড়ি চিবাতে চিবাতে।

সৃষ্টি – সুশান্ত সেন

এই অপূর্ব সৃষ্টির মাঝে
মানুষ কেবলই
প্রকৃতিকে হয়েছে বিস্মৃত।

দম্ভ ভরে করে তাকে
করিয়াছে পদানত
নিজ ভোগবাদী প্রয়োজনে।

নীরবে সময় লক্ষ্য করে এই
অর্বাচীন পদক্ষেপ।
হিমালয় কাঁপে জোশিমঠে।

কখন ধ্বংসের মাঝে
লুপ্ত হবে এ সভ্যতা
থাকে তার প্রতীক্ষায়।

মন – সুশান্ত সেন

মন কোথায় যায়
কখন যায়
সে কি বাতাসে চেপে মেঘদূত
কোনো বারতা নিয়ে উধাও হঠাৎ।
জানিনা
জানতেও চাই না।
অনেক কালের মিত্র
যখন হারিয়ে গেল
তখন কি শুধু আফশোস
আফশোস করে সময় কাটান
দূর হিমবাহ
কি বহতা গঙ্গা মনে রাখে ?
কে জানে!

কবিতা – সুশান্ত সেন

কবিতা তোমাকে নিয়ে সারাদিন
তোমার সঙ্গে সারাদিন
দিন কাটাতে কাটাতে সারাদিন
ভাবতে ভাবতে ডাকতে ডাকতে সারাদিন
লিখতে লিখতে সারাদিন
কাটাতে কাটাতে দেখলাম
লেখা গুলো নতুন কিছু
ভাবতেও পারেনি লিখতেও পারেনি
কেবল বারবার বলা কথা
পুরনো হয়ে যাওয়া কথা
অনেক বার করে বলা কথাগুলো
বেবাক উগরেছে।
তাই আর কিছু লিখব না ঠিক করেছি।
মুঠোফোনে ই-মেইল করা বন্ধ।

মহাশয় – সুশান্ত সেন

আপনি আসুন মহাশয়
এই শীতের সকালে
হাত ধরুন, ফুরিয়ে যাবার আগে।
কে কে সম্পত্তি গুছিয়ে নিচ্ছে
তা দেখার কি দরকার!
সম্পত্তি ত থাকবে না দুটো সকাল
পেরোবার পর।

তখন ট্রেন ধরে যেতে হবে
ঠিকানায়, ভিড়ে চাপাচাপি করতে করতে।

ওরা কারো কথা শোনেনি
করো কথা শুনবে না।
চলুন আমরা হাত ধরাধরি করে
বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির মূর্তি গুলো
দেখে আসি।
গাড়ি দরজায় দাড়িয়ে আছে।

বিদূষক – সুশান্ত সেন

ও আমার আপন ভোলা বিদূষক
ও আমার নতুন মনের খেয়ালী
এখনো চলতে হবে অনেক দূর
এখনো অনেক দূরে কৈখালী।

জীবনটা ছ্যাতলা পড়া বারো উঠান
জীবনটা সার্কাসে খুব বাঘ খেলায়
জীবনটা কাটা ঘুড়ির ডিল সুতো
নিত্য কেমন হারিয়ে যায় অবহেলায়।

তোমায় ত বন্দী করে রাখতে চাই
ময়দানেতে খোলা হাওয়ায় অনেকক্ষণ
তোমার কাছে শুনবো ত সুর নানা রাগের
তুমি হবে মনের মাঝে আপনজন।

চিন্তা – সুশান্ত সেন

সন্ধ্যা এসেছে উৎসব ভরা রাত্রে
হিমেল হাওয়ায় ভেসে ভেসে যায় চিত্ত
চলেছে জনতা ছিঁড়ছে খুঁড়ছে জীবন
নতুন ধারার বোধন হচ্ছে নিত্য।

সারা জীবনের অনেক পাওয়ার মধ্যে
চুপিসারে জরা নীরবেই এসে পড়ে
তখন প্রাপ্তি ইতিহাস হয়ে যায়
লিখিত না হলে লুপ্ত হয় সে ঝড়ে।

আজ যারা মন দু হাতে নাড়িয়ে দিল
কাল তাহাদের চাই যে ভবিষ্যতে
শিক্ষা তাঁদের নিয়েছি জীবনে মেখে
প্রাপ্তি সকল চলে বিজয়ের রথে ।

তোমাকে – সুশান্ত সেন

তোমাকে দেখেই তো কথায় লাগালাম সুর
তোমাকে দেখেই হলাম বেদনা বিধুর,
বুক কেঁপে উঠলো দুরু দুরু
সেই থেকেই প্রেমের পাঠ শুরু।

তোমাকে দেখেই কেঁপে উঠেছিল মেঘ
মনে জন্ম নিয়েছিল আবেগ,
তোমাকে দেখেই হেসেছিল রজনীগন্ধা
অপরূপ হয়ে উঠেছিল সন্ধ্যা।

তোমাকে দেখেই কেঁপে ওঠে শিশিরের কণা
তুমি তো সে কথা জানো না
তুমি হাসলে সুধা বিন্দু ঝরে পড়ে
আশ্বিনের সন্ধ্যায়, বৈশাখের ঝড়ে।

তোমাকে দেখেই প্রথম পথ হারাই
অন্য পথে চলে যাই
তোমাকে দেখেই বুক কেঁপে উঠলো দুরু দুরু
প্রথম প্রেমের পাঠ নেওয়া হলো শুরু।

মেঘ – সুশান্ত সেন

মেঘ ও মেঘ সংক্রান্ত ধারণাগুলি এখন
বেশ ভাবায়।
মেঘ গুলি এক মুহূর্তের জন্যে স্থির হয়ে থাকতে পার না – কেন বলতে পারেন !
পাল্টে পাল্টে ভাসতে ভাসতে চলতে থাকলে, কোনো কথাই তো তাকে বলা যাবে না,
কারণ মুহূর্ত পরেই তো তাকে আর দেখি না দেখি অন্য লোক।

তাই প্রেমিকা কে সন্দেশ কি এখন মুঠোফোনে পাঠাবো ?

এই রকম উল্টো পাল্টা ভাবনা যখন মনটা গ্রাস করে রেখেছে,
তখন খেয়াল করিনি, মেঘটা কখন ঝর ঝর বৃষ্টি হয়ে মাথার ওপর ভেঙ্গে পড়লো,
স্নাত আমি বেভুল হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছি।
মেঘ দল হাসতে হাসতে লাফাতে লাফাতে এ ওর গায়ে,
তাজা তরুণীর মত, ঢলে পড়তে থাকলো।

সম্পর্ক – সুশান্ত সেন

সম্পর্ক হারিয়ে শূন্যতা নিয়ে বসে থাকছো
জানো না কখন আসে আলোর রশ্মি
কখন আসে বন্যা।

এদেশ ওদেশ ঘুরেও জানতে পারছো না
কখন কোন গাছে কোন সার দিতে হবে
কখন কোন গাছ ফুল ফোটাবে।

হাত ধরার জন্য বসে আছি
বসে থাকি।

কখন টলোমলো পা ফেলে কাছে আসবে ভবিষ্যৎ
তার অপেক্ষায়।

মন – সুশান্ত সেন

মনটা চায় তো অনেক কিছু
কিছু পায় কিছু পায় না।
প্রাপ্তি তে তৃপ্তি। আর না পেলে বেদনা থাকেই।
বেদনায় দগ্ধ হলে প্রভাত সূর্যের কাছে যাওয়া,
আত্মনিবেদন ।
একটু একটু করে আলো আসে
একটু একটু করে পাপড়ি মেলতে থেকে
পুস্পদল
চড়ুই আর কাঠ – ঠোকরা সামনের বাগানে খেলা করে,
দেখি, দেখতেই থাকি
একটু একটু করে মনটা
ভালো হয়ে যায়।
তখন তোমার কাছে ফিরে আসি
তোমাকে ভালোবেসে ফেলি
হে দুরন্ত আকাশ , তোমাকেই ।

চুপ – সুশান্ত সেন

চুপটি করে থাকো শব্দ করো না
অনেক দিনের কথা সঙ্গী পাবে না
প্রতিটি পদক্ষেপে ত্রুটি
প্রতিটি পদক্ষেপে অশ্রুজল
সর্বদাই মনের মধ্যে
বাজছে দলমাদল
তাই বাদানুবাদ আর নয়
এখন নিস্তব্ধতা
নিস্তব্ধতা ই সঙ্গী হয়ে থাক
বাকিটা জীবন

সকাল – সুশান্ত সেন

সকাল হলো দেখি সরব হলো আলো
জীবন জাগে ধীরে সরায় সব কালো,
শালিক এসে বসে ছাদের কিনারায়
উড়তে চাওয়া ফড়িং ঘুঘু’র ঠোঁটে যায়।
মেঘরা আকাশ থেকে নিয়েছে আজ ছুটি
কাক রা আস্তাকুড়ে খাদ্য খায় খুঁটি।
বহুতলের নিচে চা এর দোকান খোলা
কলের জলের ভাগে দ্বন্দ্ব চাঁচাছোলা,
রাস্তা দিয়ে চলে একটা দুটো গাড়ি
অফিস যেতেই হবে , করছি তাড়াতাড়ি।
সকালটাকে ভাই করো না অবহেলা
সকাল কেটে গেলে বাড়তে থাকে বেলা।

জন্ম – সুশান্ত সেন

আমার এ জন্ম ও নেই, গত জন্ম ও নেই,
আমার আঙ্গুল ও নেই, কলাগাছ ও নেই,
তাই বেশ নিশ্চিন্তে বনে বাদাড়ে ঘোরা,
সেখানে আমসত্ত্ব ও নেই, আসন পিড়ি পেতে বসাও নেই,
কেবল সন্ধান করা ইতিহাস, নাড়ীর যোগ, জাতে জাতে স্বাতন্ত্র্য।
দেশ ও বিদেশের সীমানা মুছে
দেখিয়ে দেওয়া মুন্সিয়ানা
অথবা এক জীবন নিয়ে
আমৃত্যু টানাবহানা ।
এভাবেই শহরে শহরে, পাহাড়ে পাহাড়ে,
বিদেশে বিচরণ।
যার থাকাও নেই, না থাকাও নেই,
বাবা ও নেই, মা ও নেই,
কেবল অস্থির অস্থির সন্ধান।

বাক্স – সুশান্ত সেন

দো’তলার পুরনো ট্রাঙ্ক পরিষ্কার করতে বসে
পেলাম পুরানো চিঠি।
চিঠিতে বড় ঠাকুমা, যাকে আমি দেখিনি,
ঠাকুরদাদা কে লিখছেন
তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসতে
কারণ তার ভয় করছে তার খোকার জ্বর
সাত দিন হলো ছাড়ছে না,
বারবার ফিরে ফিরে আসছে।
হিসেব করে দেখলে চিঠি টা প্রায়
দেড়শ বছর আগে লেখা আর বোঝা গেল
বড় ঠাকুমা সেই কলেও বেশ লেখাপড়া জানতেন,
তাঁর হাতের লেখা বেশ গোটা গোটা পরিষ্কার,
যিনি সহজে বিচলিত হন না,
খোকার শরীর খারাপ হলেও
সাত দিন নিজের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
বড় ঠাকুমা আর ঠাকুরদাদা কে কোথায় ছিলেন বা চিঠিটা কিভাবে পাঠিয়ে ছিলেন, কে জানে !!
তখন ত যাতায়াতের সময় লাগতো বিস্তর।
ভাবছি এখন একটু জ্বর হলেই অস্থির হয়ে ডাক্তার এর কাছে ছুটে যাই কেন !!
সময় টা পাল্টে গেছে।

চাইছ – সুশান্ত সেন

তুমি চাইছ আমরা ঘৃণা করি
তুমি চাইছ আমরা হিংসায় মত্ত হই
তুমি চাইছ আমাদের আস্তানার বাতাস ছিনিয়ে নিতে,
ধুঁকতে ধুঁকতে খাবি খেতে খেতে যেন সারাজীবন মনে রাখি
তুমি চাইছ বশ্যতা ।
সব সময় আমরা যেন তোমার বন্দনা গাই।
তুমি চাইছ চাবুক হাতে সংগ্রাম
তুমি চাইছ উচ্ছেদ করা জন্মভূমি,
তুমি চাইছ সারা পাহাড় নেমে আসুক সমতলে
যেন দিগন্ত দেখা যায় সমভূমিতে।
তুমি চাইছ আমরা যেন খাবি খেতে থাকি সারাটা জীবন।

লেখা – সুশান্ত সেন

লিখে দেখি শেষের পাতায় এসে
অর্থ কোনো নেই যে লেখার শেষে ।
মনকে বলি শোন
বিত্তহীনের শক্তি যে নেই
মনের মাঝে জানিস সর্বক্ষণ।
দূরপাল্লার যাত্রী হলেন যারা
অনেক কঠোর সাধনা সে
দু চার পাতার আঁকি ঝুঁকি
কেমন করে হৃদয় দেবে নাড়া ।
অনেক দিনের অপেক্ষাতে কখন বীণাপাণি
হারিয়ে গেলেন অচিন পথে উড়িয়ে দিয়ে ছিন্ন
আঁচল খানি।
তাই করেছি পণ
খাতা কলম সাধনাতে
কাটাব দিন কাটাব রাত
কাটাব সর্বক্ষণ ।
একটি দুটি লেখা মনের মত
হলেই হবে সাঙ্গ সর্ব ব্রত ।

এখন – সুশান্ত সেন

সুখী নয় এখন মানুষ
সুখী নয় সর্বদা বিলাপ
জীবনটা আশ্চর্য ম্যাজিক
নেই তার কোন পরিমাপ ।

তবুও শপথ নিই রোজ
প্রকৃত মানুষ হতে চাই
পরমায়ু যেন সুস্থতায়
জীবনের জয়গান গায় ।

প্রভাতের জেগে ওঠা আলো
নানা রঙে মাতে আকাশেতে
নিয়ত বদলে যায় ছবি
চোখ ভরে নব আনন্দেতে ।

মাঝে মাঝে চকিত বিদ্যুৎ
আলো দিল মহাপুরুষেরা
নড়ে বসে মানব সভ্যতা
বিচার চলেছে চুলচেরা ।

কিছু বললে – সুশান্ত সেন

কিছু বললেই
লোকে শুনবে কি!
শীতের পাতা ঝরা বাতাসে
যখন হিমের স্পর্শ আসে,
যখন উদাসী বাতাস শিউলি ফুলের বুকে
কাঁপন ধরায়,
যখন শুকিয়ে আসে পূর্ণ প্রাণের রস,
তখন অবিশ্বাস ও আতঙ্ক ছেয়ে আসে বনে ।
‘ রণে বনে যেখানে থাকিও
আমাকে স্মরণ করিও ‘ —
এই আপ্ত বাক্য হারিয়ে যায় বহতা নদী স্রোতে ।
তখন কিছু বললেও
বসে শোনার মানুষ থাকে না।
তারা স্রোতের টানে ভাসতে ভাসতে
শীত আর শীত – বাতাসের কথা বলে যায়,
বিকেলের বাতাসে প্রকাশিত হয় বিবমিষা ।

অনুভব – সুশান্ত সেন

একটু আগেই সে শুয়েছিল
এখানে এই ফুটপাত এর ধারে
চোখ বন্ধ, নোংরা শতচ্ছিন্ন পোশাকে,
গা ভর্তি ধুলো, মাতাল কিনা কে জানে!
দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম কাজে
মনে একটু দুঃখ।
( সাজানো দুঃখ নয় তো ? )
ফিরবার পথে এসে দেখি আর সে নেই
নীল আকাশ, ছেড়া ছেড়া মেঘ,
ছুটে চলা গাড়ির চাকায় চাকায়
সে হারিয়ে গেছে।
দুঃখ বা সাজানো দুঃখ অনুভবে আর নেই।

ভাবনা – সুশান্ত সেন

চোখ ছলছল
মাথা টলটল
জ্বর এলো বুঝি
কি করবি বল !

ঠাণ্ডা যে লাগে
গায়ে ব্যথা জাগে
ডাক্তার দাদা
কি করি যে আগে ?

পেটে বড় ব্যথা
হাত ন্যাতা ন্যাতা
সকালেই কেন
ঘুরল রে মাথা !

বড়ি দুই তিন
তাড়াতাড়ি দিন
নাহলে তো ভাই
কাটবে না দিন ।

কথা – সুশান্ত সেন

এত কথা কেন
শুধু কথা আর কথার বেসাতি করে
কত কাল কত যুগ কেটে গেল ।
যেতে যেতে কত পথ কত মতামত,
কত না আনাজ ভরা শস্যক্ষেত্র গুলি
হয়ে এলো বীজ শূন্য
সৌধ গুলি হয়েছে বিধ্বস্ত।
অনেক যুগের পর আত্মানুসন্ধানের
খোঁজে রণক্ষেত্রে দাঁড়ালো অর্জুন ।
সারাদিন কথা বলে কথা শুনে
লাভ কি বা হবে !
কথা গুলি বলো নাকো আর
ক্ষান্ত দাও জ্ঞানীরা সকল ।

ভালোবাসা – সুশান্ত সেন

কোথায় খুঁজব ভালোবাসা
হৃদয় ত শুকিয়ে কাঠ
কোথায় পাবো ভালোবাসা
ঠিকানা লেখা দরজা টা কোথায় !
বৃষ্টির কাছে গিয়েছিলাম
ঝর্নার কাছে গিয়েছিলাম
বন্যার জলে ভেসেছিলাম
নদী স্রোতে সাঁতার ও কেটেছিলাম
বৃথাই বৃথাই
শুকিয়ে যাওয়া ফুল ঝরে পড়লো
হাতে গায়ে
শঙ্কিত হয়ে চাইলাম আসে পাশে ।
কেউ কোথাও নেই
চারপাশ অন্ধকার
সেই অন্ধকারে হারিয়েছে
আমার ভালবাসা ।

মহামারী – সুশান্ত সেন

কথা ছিল তোর সাথে বেরিয়ে পড়বো
দেখবো না দেখা ঘাট, নদীর বুক
পাশে পড়ে থাকা মাঠ
সবুজ ঘাসে ঢাকা।
কথা ছিল যাব, যাবই
হাতে হাত রেখে দিকদিগন্ত পেরিয়ে
দূর দেশে।
অজানা গুহা ও শিশমহল দেখবো দু’জনে ।
এখন সামনে সমুদ্র
এক অনন্ত বিরামহীন সমুদ্র
সমুদ্র আর সমুদ্রের ঢেউ ছাড়া
আর কিছু নেই।

মহামারী কেড়ে নিয়েছে তোকে।

মল্লিকা – সুশান্ত সেন

স্বপ্ন ভেসে যায় মাঝ গঙ্গায়
সাফল্যও,
সাঁতরাতে না জানলে
খাবি খেতে খেতে ডুবে যাওয়া
অতলে।
কোনোদিন ও আর দেখা হবে না
তাই
খামচা খামচি করে রস শুষে নিতে থাকি,
বিসর্জন দিই মাঝ গঙ্গায়
আশা ভরসা ।
তুমি আর আমার কাছে এসো না, মল্লিকা।

নতুন দিন – সুশান্ত সেন

নতুন দিনে উথলে ওঠে খুশির পাতা
অভ্র কালির ছোঁয়ায় জাগায় সজীবতা,
নতুন বছর নতুন দিনের অঙ্গীকারে
শপথ সে নেয় দিনশেষের শেষ বিচারে,
বুনতে থাকে নতুন করে নকশিকাঁথা
আনবে সে আজ এই সমাজের পরিত্রাতা।
ধুইয়ে দেবে সকল পাপের কালিমাকে
বিজন ঘরে দিল সে আশা আজ আমাকে।
নতুন জীবন নতুন দিনের খোঁজার টানে
ভাসিয়ে দিল সপ্ত – ডিঙ্গা স্রোত উজানে।

অপরূপা – সুশান্ত সেন

তোমাকে দেখেছি কাল জোছনার ধারে,
অবোধ শিশুর ন্যায় খেলা কর তুমি অবিরাম,
চারপাশে চেয়েও দেখ না।
সুর তোলো গান কারো কত কথা বলে যাও তুমি,
কাকে বলে যাও, ভেবে ভেবে আমি তো অস্থির।
সেইখানে, সেই ছায়া তরু তলে,
রজনীগন্ধার ঘ্রাণ নিয়ে আমি জেগে বসে আছি,
একবার যদি কাছে আসো এই ভেবে ভেবে স্থবির হয়েছি আমি।
সেই ভালো মনে করো আমি এক প্রস্তর মুরতি
যার অঙ্গে জোছনা মাখানো।
সেই স্থানে তুমি এসো, পাশে বসো, গান গাও,
ফিরে ফিরে যাও পুনরায় এসো,
দেহেতে দেহের স্বাদ নিয়ে হয়ে যাই আমি উন্মাদ পাগল।
তুমি থাকো পাশে অপরূপা ।

কবি – সুশান্ত সেন

সে জানে সে কবি নয় তবু সে লেখে
খুঁজে যায় ছন্দ ও মিল
মনে আশা একদিন খুলে যাবে খিল
উন্মুক্ত হবে দরজাটা, দেখা যাবে খোলা প্রান্তর
সেখানে সে গড়ে নেবে তার ছোট ঘর।
তাই সে সর্বদাই মনে মনে বলে যায় কথা
স্বপ্নের ভেতর খেলা করে
ফুলগুলি সাজাইয়া রাখে থরে থরে,
নিয়ে তার ঘ্রাণ
উদীপ্ত হয়ে সে পথে নামে
সুন্দরের আরাধনা করে চলে সলজ্জ প্রণামে ।

সুশান্ত সেন | Susanta Sen

Bengali Story 2023 | তিন্নির ফড়িং আর মানুর কারসাজি | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Story 2023 | মন্টুর মা | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Article 2023 | “স্তন কর” বিরোধী নারী আন্দোলন ও নাঙ্গেলির (Nangeli) আত্মত্যাগ

Bengali Article 2023 | শ্রমিক আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু | প্রবন্ধ ২০২৩

story poem | poetry angel | narrative poetry examples | Best Bengali Poetry SS30 reading near me | prose Best Bengali Poetry SS30 examples | bengali poetry reading | bengali poetry websites | protest poetry | emotional bengali poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and bengali poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | inspirational bengali poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdodweep Founder | Famous Best Bengali Poetry SS30 | Best Bengali Poetry SS30 live audio | live Bengali Poetry | Bengali Poetry Archive | Trending Best Bengali Poetry SS30 | Best Bengali Poetry SS30 MP3 | Best Bengali Poetry SS30 MP4 | Full Best Bengali Poetry SS30 Ebook | Best Bengali Poetry SS30 Collection | Long Best Bengali Poetry SS30 | Best Bengali Poetry SS30 | New Best Bengali Poetry SS30 | Trending Best Bengali Poetry SS30 | Full Best Bengali Poetry SS30

Leave a Comment