Bengali Story Online Reading | Best 2023

Sharing Is Caring:

[Bengali Story Online Reading]

তিতিরের খুশি – শম্পা ঘোষ [অণুগল্প]

সামনেই পুজো অথচ এখনো পর্যন্ত একদিন ও তিতির পুজো শপিং এ বের হতে পারেনি । রোজ ই ভাবে আজ বের হবে কিন্তু সেই আজটা এখনো আসতে পারলো না ওর বর্তমানে । তিতিরের মা ও খুবই রেগে আছে ওর উপর । মা বাবার একমাত্র সন্তান ও। কোনো মা কি পারে সন্তানকে ফেলে শুধুমাত্র নিজের জন্য পছন্দসই পুজোর জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে! তো তিতিরের মা ও পারে নি একলা গিয়ে জামাকাপড় কিনে আনতে। রোজই একবার করে অনুযোগের পাহাড় তৈরি করছেন কিন্তু তিতির মাকে কথা দিয়েও কথা রাখতে পারছে না । ফলে পুজো এসে গেলেও আক্ষরিক অর্থে ওদের এখনো পর্যন্ত এবারের পুজোর বাজার তেমনভাবে করা হয়ে ওঠেনি। ওই অনলাইনে তিতির ওর আর ওর মায়ের জন্য যা দু-এক পিস জামাকাপড় নিয়ে রেখেছে ওই পর্যন্তই। আসলে তিতিরেরই সময় হচ্ছে না মোটেও । সেই সকালে উঠেই দৌড়াচ্ছে কোনোমতে দুটো গরম ভাত খেয়ে কারণ ওকে যেনতেন প্রকারেণ ওর কলেজে দশটার মধ্যে ঢুকতেই হচ্ছে। আর কলেজ থেকে বেরিয়ে ওর বাড়ি ফিরতে ফিরতেও রাত হয়ে যাচ্ছে। কলেজে এটাই ওর এম এস সির শেষ সেমিস্টার । প্রতিদিনই এক্সট্রা ক্লাস থাকছে বিশেষ করে ওদের বিষয়ের কারণ পরীক্ষা চলে এসেছে কিন্তু প্রফেসররা এখনো মোটামুটি সিলেবাস শেষ করে উঠতে পারেনি । এই কারণেই এখন জোরদার পড়াশুনা চলছে। তিতির চিরদিনই পড়ুয়া মেয়ে তাই সবাই যখন এখনো ফাঁকি দেওয়ার তালে থাকে তখন ও আর কয়েকজন ই মাত্র খুব সিরিয়াসলি পড়াশুনায় ব্যস্ত । চিরদিনই ও রেজাল্টে স্কলার । তাই সেটাই যাতে ও বজায় রাখতে পারে সেই চেষ্টাই তিতির অনবরত করে চলেছে। ওর এই রেজাল্টের উপর নির্ভর করছে ওর বিদেশ যাওয়া । সেই ছোট্ট থেকেই যে ও মনে মনে একটা স্বপ্নকে লালন করে এসেছে যে ও বিদেশে যাবে আরো উচ্চ শিক্ষার জন্য । এই শিক্ষাকেই কাজে লাগিয়ে ও দেশের আর দশের উপকার করতে চায়।

আজ দিন কয়েক ধরে যাতায়াতের পথে তিতিরের চোখে পড়েছে স্টেশনের উপরে সিঁড়ির একপাশে একটা বছর সাত আটকের ছেলে একটা প্লাস্টিক পাতিয়ে তার উপর কিছু আশপাশের থেকে কুড়ানো শাক পাতা নিয়ে বসে। পাশে আরো একটি বাচ্চা মেয়ে যার বয়স খুব বেশি হলে হয়ত বছর দেড়েক হবে। রোজ সকালেই ওদেরকে এক নজরে দেখে তিতির। ওদের ওই মায়ায় ভরা মুখ চোখ দেখলে তিতিরের খুব কষ্ট হয় বুকের মধ্যে। ওর খুব জানতে ইচ্ছা করে কেন বাচ্চা দুটোকেই শুধু ও দেখতে পায়, ওদের সাথে তো ওদের বাবা কিংবা মাকে কখনো দেখে না । কিন্তু কলেজ যাবার তাড়াহুড়ো তে ওর আর সময় হয়ে ওঠে না। তবে কোনো কোনোদিন তিতির ওর সাথে থাকা টিফিনের থেকে কখনো বিস্কুটের প্যাকেট, আবার কখনো কেকের প্যাকেট টা যখন ওই বাচ্চা ছেলেটির হাতে দিয়ে চলে যায় তখন ওর ওই চাহনি নীরবে তিতিরকে যেন অনেক কিছুই বলে যায়। তিতিরের নরম মনটা ভিতরে ভিতরে মুষড়ে পড়ে যে ও কিছুই করতে পারছে না। এই অসহায় বোধটাই ওকে খুব ম্রিয়মাণ করে রেখেছে।

আজ হঠাৎ ই তিতিরদের কলেজ খুব তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যাওয়ায় তিতির মনে মনে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো কারণ আজ ও বাড়ি ফেরার পথে ওই বাচ্চাটার সাথে দেখা করে ওর সাথে কথা বলেই ফিরবে। স্টেশনে নেমেই ও দ্রুত সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেল । কিন্তু বাচ্চা দুটো ওর চোখে পড়লো না । কি করবে তিতির বুঝে উঠতে পারলো না। খুব হতোদ্যম হয়ে পড়লো। হঠাৎই ওর মাথায় আসলো নিশ্চয়ই এই স্টেশনের কেউ না কেউ জেনে থাকবে বাচ্চা দুটো আশেপাশের কোথায় থাকে। এটা মনে আসতেই ও খোঁজ নিতে শুরু করলো বাচ্চাটার ঠিকানাটা কী? অনেক খোঁজাখুঁজির পরে অবশেষে ও জানতে পারলো স্টেশনের পাশেই খাল পারের ধারের একটা বস্তিতে ছেলেটা একাই নাকি বর্তমানে থাকে ওর ওই ছোট্ট বোনটাকে নিয়ে। অনেক খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত তিতির বের করে নিল ওই বাচ্চা দুটোকে। ওদের ওখানে যাবার আগে অবশ্য তিতির একটা কাজ করেছে কিছু খাবার কিনে নিয়েছে ওদের কে দেওয়ার জন্য । খুঁজে খুঁজে যেখানে গিয়ে ও দাঁড়ালো সেটা দেখেই ওর মন ভারী হয়ে গেল। মাটির মেঝে আর চারপাশটা একটা শতচ্ছিন্ন প্লাস্টিকে ঘেরা। ওই মাটির উপর একটা প্লাস্টিক পেতে তার উপর কিছু খড় বিছানো কিন্তু তা বহুল ব্যবহারে প্রায় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে বোঝাই যাচ্ছে। ওর উপর কয়েকটা ছেঁড়া বস্তা দেওয়া । ছোট্ট মেয়েটা ওই বিছানাতেই ঘুমিয়ে আছে। একপাশে তিনচারটে ইট পেতে কয়েকটা কাঠি জ্বালিয়ে একটা কালো হাঁড়িতে করে কি যেন করছে ছোটো ছেলেটা। তিতিরকে দেখেই কেমন যেন থতমত খেয়ে গেছে ছেলেটি । ভাব বুঝে তিতির ওকে হাত দেখিয়ে আশ্বস্ত করলো । ধীরে ধীরে ছেলেটা ওর সামনে এসে দাঁড়ালো। ওর হাতে তুলে দিল সেই খাবারের প্যাকেটটা। খুব মৃদু স্বরে ও কিছু একটা বলে উঠলো যেটা তিতিরের কানে পৌঁছালো না। ছেলেটিকে পাশে বসিয়ে ও এবার জানতে চাইলো ওর বাবা মায়ের কথা। এবার একটু উঁচু গলায় ছেলেটি জানালো অনেকদিন আগেই ওকে জন্ম দিয়ে ওর বাবা ওকে আর ওর মাকে ফেলে রেখে চলে গেছে। এরপর কিছুদিন আগে ওর মা আর ও এই মেয়েটাকে কুড়িয়ে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে কিন্তু মাটাও একদিন ওদের একা করে দিয়ে কয়েকদিনের জ্বরে চিরতরে চলে গেল। সেই থেকেই এই ছেলেটাই ওই মেয়েটাকে যাকে ও বোন বলেই ডাকে, দেখাশোনা করে। আশেপাশের লোকেরা কিছু কিছু সাহায্য করে আর তাছাড়া ও ওর করার মতো যে কাজ পায় তাইই করে। এইসব শুনে তিতিরের মনে হলো এই বাচ্চা দুটোর কথাতো ও সোশ্যাল মিডিয়াতে জানাতে পারে। যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ওদেরকে নিজেদের ছেলে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে এদের জীবনটা বেঁচে যাবে।

Natun Bangla Galpo 2023

তিতির যতটা আশা করেছিল তার থেকেও অনেক বেশি সাড়া পেল। অনেক ব্যক্তিই খুব আগ্রহ দেখালো এই বিষয়ে। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ও শেষ পর্যন্ত সমস্ত রকম খোঁজখবর নিয়েই কেরালায় বসবাসকারী এক প্রবাসী বাঙালি পরিবারের হাতে বাচ্চা দুটিকে তুলে দিল। ওই পরিবারে তাদের নিজস্ব কোনো ছেলেমেয়ে নেই। ওরা সাদরে বাচ্চা দুটোকে নিজের করে গ্রহণ করলো। বাচ্চা দুটোই খুব খুশি হলো। এই এতদিনে তিতিরের মনটা একটু খুশির ছোঁয়া পেল। কিন্তু এই এতদিন ধরে বাচ্চা দুটোর পাশে থেকে ওদের উপর বেশ মায়া পড়ে গেছে কিন্তু এটাও তো তিতিরকে ভেবে দেখতে হবে যে এইবার বাচ্চা দুটো তার নিজের পরিবার পেল । ওদের জীবনটা যে এবার সঠিক পথে চলবে। আজ তিতির মনটা খুব হালকা লাগছে। না আর তো মাত্র দুদিন ই বাকি পুজোর কালকেই মাকে নিয়ে বের হবে একটু মন খুলে শপিং করতে হবে। আপাতত আনন্দে কাটুক পুজোটা তারপরেই আবার পড়াশুনা শুরু করবে আরো জোরদার। মার সাথে কথা বলতে তিতির ঘরের ভিতরে ঢুকলো।।

শম্পা ঘোষ | Shampa Ghosh

Love and nature | প্রেম ও প্রকৃতি | Bengali Article 2023

Aged chicken meat | বুড়ো মোরগের মাংস | 2023 New Story

Anabasarakalina besha of Jagannath | অনবসরকালীন বেশ | অভিজিৎ পাল

19 types of Mashan Thakur | মাসান ঠাকুর | Ranabir Chanda

Bengali Story Online Reading 2023 | Top Bangla Golpo Online Reading | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | Bengali Story Online Reading | Pdf Bengali Story Online Reading | Natun Bangla Golpo Online Reading | Full Bangla Golpo Online Reading | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Bengali Story Online Reading | Live Bengali Story in English |Bangla Golpo Online Reading Ebook | Full Bengali Story Online Reading | New Live Bengali Story | New Bengali Web Story – Episode | Golpo Dot Com Series | Horror Bengali Story Online Reading Video | Horror Live Bengali Story Online Reading | New Bengali Web Story Audio | New Bengali Web Story Video | Bengali Story Online Reading Netflix | Audio Bangla Golpo Online Reading | Video Bengali Story Online Reading | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trending Bengali Story Online Reading | Recent Bangla Golpo Online Reading | Top Live Bengali Story | Popular New Bengali Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | New Bengali Story Online Reading | Bengali Famous Story in pdf | Golpo Dot Com Download | Bangla Golpo Online Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Bangla Golpo Online Reading mp4 | Bangla Golpo Online Reading Library | New Bengali Web Story Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Bengali Story – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Collection Bangla Golpo Online Reading

Leave a Comment