New Bengali Story 2023 | গল্পগুচ্ছ | সুজিত চট্টোপাধ্যায়

Sharing Is Caring:
Bengali Story

প্রেম যুগে যুগে – সুজিত চট্টোপাধ্যায় [Bengali Story]

রাক্ষস টা তখনই এলো যখন ওরা দু’জন দু’জনকে খুব খুব ভালবাসছিল। সমস্ত জগৎকে ভুলে একেবারে নিবিড় আলিঙ্গন আর চুম্বনে ভরিয়ে তুলছিল নিজেদের দেহ আর মন কে। রাক্ষসটা এলো পাষণ্ড হিংস্র মন আর দন্ড নিয়ে। বললো, কী করছ তোমরা এখানে এসব! তার কর্কশ গলার আওয়াজে কেঁপে উঠল নানান রংবাহারি ফুলে ছাওয়া বিশাল সবুজ ঘাসের গালিচা বাগানটা। কামরাঙা গাছের মাথায় বসে থাকা বউ কথা কও পাখিটা একটু চমকে উঠে পুচ্ছ দুলিয়ে ঘুরে তাকালো একবার তারপর আপন খেয়ালে ডেকে উঠলো, বউ কথা কও… রাক্ষসের গায়ের উৎকট গন্ধে ফুলেদের সুমধুর সুবাস লজ্জায় মুখ ঢেকে রাখলো। সে এসব কিছুর তোয়াক্কা না ক`রে পুনরায় গর্জন করলো, কি হলো ? জানতে চাইছি তোমরা কী করছো এখানে ? ভালবাসার আলিঙ্গন আর চুম্বনের আবেশে ডুবে আছি দুজনায় দু’জনের মধ্যেই । অতি মোলায়েম স্বরে জবাব দিলো ওরা।
রাক্ষসের দৃষ্টিতে আগুন। কঠিন দন্ড মহা আক্রোশে মাটিতে ঠুকে তীব্র স্বরে চিৎকার করে বললো, থামো অর্বাচীন নির্লজ্জ। আলিঙ্গন ? চুম্বন ? বেয়াদব দুরাচারী যুবক যুবতী । নিয়ম লঙ্ঘনকারী পাপিষ্ঠ, তোরা কি জানিস না এই পবিত্র স্থানে ঐসব বেলেল্লাপনা চুম্বন টুম্বন একেবারেই নিষিদ্ধ ?

ভালবাসাও নিষিদ্ধ ? হা হা হা হা
ভালবাসা নিষিদ্ধ স্থান পবিত্র… হা… এ কেমন বিচিত্র কথা !!

এখনো কন্ঠে অবাক মিশ্রিত মোলায়েম সুর। রাক্ষসের আক্রোশ গেল বেড়ে। আগুন ঝরা চোখে তাকিয়ে বললো, ভালবাসা ? হা হা হা হা হা… সেসব বস্তাপচা প্রাচীন অকেজো আবেগ নিষিদ্ধ এবং বিতাড়িত হয়েছে অনেক আগেই। তোমরা নির্ঘাত ভিন গ্রহের বাসিন্দা তাই সংবাদ রাখার দায় নেই তোমাদের। এখানে ভালবাসা একটা পণ্যদ্রব্য। বিকিকিনির বাজারে দেদার বিকোচ্ছে অক্লেশে। বাজারজাত পণ্যের অনুমোদিত বাজারে রাজকর মিটিয়ে ভালবাসার অবাধ লেনদেন। কোনো বাধা নাই তাতে। রাজকর মেটালেই সব পাপ মাফ।

তাহলে প্রেম ? সে-ও কী নিষিদ্ধ ? সে-ও কী বিকিকিনির বাজারের পণ্যদ্রব্য ?

অবশ্যই । সে সবই এখন চুক্তি ভিত্তিক নিক্তি মাপা পণ।। এমনকি তোমাদের ওই আদুরে চুম্বনও হা হা হা হা হা… ঠিক তখনই নীল নির্মল আকাশ থেকে উড়ে এলো আট টা সাদা ঘোড়ায় টানা এক বিশাল পুষ্পরথ। তাতে দণ্ডায়মান এক সুবেশ সমর্থ রাজকুমার। তার দীপ্ত কিরণে ঝলমলিয়ে উঠছিল সমগ্র চরাচর। পাখিরা উঠলো গান গেয়ে, ফুলেরা দুলেদুলে করলো তাকে অভিবাদন। বাতাসে এলো বসন্তের কুহুতান। সেই সুকান্তি যুবক এক-লহমায় প্রেম যুগল কে তুলে নিলো তার রথে। আর তখনই চারিদিক ভরে গেল ঘন কালো অন্ধকারে। কেউ কিছু বোঝবার আগেই রাক্ষস টা তীব্র আর্তনাদ করে উড়ে গেল আকাশে, তার সারা শরীরে তখন আগুনের লেলিহান শিখা। মাত্র কিছুক্ষণ। তার পরেই সব শান্ত। ঘন অন্ধকার গেল ঘুচে। সাতরঙা আলোকে ভরে উঠলো ভুবন। সুরেলা পাখির গান আর রঙিন ফুলের সুবাসে মাতোয়ারা আমোদিত হলো চরাচর।
বাজলো আলোর বেণু । কে যেন চিৎকার করে বলে উঠলো, “জয় ভালবাসার জয়” ।।

তুমি আর আমি শুধু [রম্যরচনা] – সুজিত চট্টোপাধ্যায় [Bengali Story]

সেই গানটা মনে আছে, “তুমি আর আমি শুধু জীবনের খেলাঘর হাসি আর গানে ভ`রে তুলবো, যত ব্যথা দুজনেই ভুলবো”। গায়ক শ্যামল মিত্র, মনে আছে ?
আচ্ছা, বলুন দেখি এখানে তুমি আর আমি বলতে কোন দু’জন কে বোঝানো হয়েছে ? নিঃসন্দেহে বলা যায় , রোমান্টিক গান সুতরাং প্রেমিক প্রেমিকার ব্যাপার। এখানে বাবা মা ভাই বোন বা অন্য কেউ না শুধুই ভালবাসার কপোত-কপোতী দের মনোভাব ব্যক্ত করা হয়েছে।
“যত ব্যথা দুজনেই ভুলবো”

অর্থাৎ অন্য কারোর ব্যথায় ব্যথিত হবার কোনও দায় নেই। শুধুমাত্র দু’জন দু-জনের ব্যথায় ভোলিনি মলম বুলিয়ে ভুলিয়ে দেবো। দুনিয়া ভোগে যাক। এ-ই যে যুগলবন্দী ঘুপচি প্রেম, এর স্থায়িত্ব সম্বন্ধে কেমন যেন সন্দেহ জাগে, তাই না ? তুমি আমার আমি তোমার মার্কা এই একবগগা প্রেম, ভ্যানিশ হতে খুব বেশি সময় নেয় না। তুমি আমির ন্যাকামি তখন ঘোর কাটিয়ে রণংদেহী। লাগ লাগ ভেলকি লাগ। এবার একঘেয়েমির পালা। সেই একঘেয়েমির দমবন্ধ দশা কাটাতে তৃতীয় কারোর উপস্থিতি চাহিদা তুঙ্গে উঠতে লেগেছে। সেইসময় ও-ই শ্যামল মিত্রের গান , মেশিনগান হয়ে বুকে শেল হয়ে বিঁধছে।

বেশ, ধরা গেল ইচ্ছে হয়ে যে ছিল মনের মাঝারে সে সশরীরে এসে গেল এই ধরাতলে। এইবারে অনিবার্য ভাবেই যত প্রেম ভালবাসা ভালো লাগা, উউম আউম চুউম চাউম সব গিয়ে জড়ো হলো সেই নবাগতের চারপাশে। এখন তাকে ঘিরেই যাবতীয় সব। ব্যথাও সেখানে সুখও সেখানে।
তাহলে শ্যামল মিত্রের গানের সেই গদগদ বাণী “তুমি আর আমি শুধু জীবনের খেলাঘর”, তার কী হবে ? খেলাঘর এখন তৃতীয় প্রাণীর কব্জায়। জীবনের খেলাঘর এখন রাতজাগা আঁতুড়ঘর। মনের লুকোনো কুঠুরি তে চাপা অনভিজ্ঞতার আক্ষেপ মাঝেমাঝেই সংলাপ হয়ে বেরিয়ে আসছে, ” দু’একজন বয়স্ক কেউ থাকলে ভালো হতো। ওরা সব জানে বোঝে কিনা।” পুনরায় প্রমাণ হলো অভিজ্ঞতা বড়ই মহার্ঘ্য। জীবনে চলার পথে অপরিহার্য । ভালবাসায় না হোক স্বার্থের চাহিদায় তো বটেই।

“জীবনের খেলাঘর হাসি আর গানে ভ`রে তুলবো।” হায়রে, বাস্তব বড়ই কঠিন নিষ্ঠুর। কপোত-কপোতীর মোহ ভাঙা জটিল হিসেবি মনের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে দু-একটি অতি পরিচিত অবহেলিত ভাঙ্গাচোরা মুখের ছবি ।
“দেখা হয় নাই দুই পা ফেলিয়া “
হায় ভবিতব্য, যারা ছিল তারা নেই। যে ছিল না সে শুয়ে শুয়ে হাত-পা ছুঁড়ছে । অজানা ভবিষ্যৎ এর দূত কাঁদছে। এখন গাওয়া যেতেই পারে গানের অন্তরা, “শুধু বলো তুমি কি গো জানতে যেতে যেতে এই পথ শেষ হবে কোনও মরুপ্রান্তে?”

কেউকেটা [রম্যরচনা] – সুজিত চট্টোপাধ্যায় [Bengali Story]

— কী চাও বৎস ? শীঘ্র উচ্চারণ করে ফ্যালো, সময় বড় সল্প , তাড়া আছে ।
— ঠিক স্যার, অতি সত্য। সময় বড় মূল্যবান।
— এইতো সার বুঝেছ। তবে আর অকারণ কালক্ষেপ কেন বৎস ? মনে সাহস সঞ্চয় করে নির্দ্বিধায় ব্যক্ত করো ব্যক্তিগত মনোবাঞ্ছা।
— আপনি অন্তর্যামী, সবইতো বোঝেন প্রভূ।
— ধুস, আমি বুঝি না বুঝি তাতে তোর কী রে শালা ? তুই হারামজাদা যা চাস তাই বলনা মুখপোড়া। জেনে রাখ, না চেয়ে কিছু পাওয়া যায় না।
— বুঝেছি । এবারে চাইবার ধরনটা যদি একটু গুছিয়ে গাছিয়ে বলেন প্রভূ,
— ধরনটা? ধরনটা বুঝলি, গোড়ায় গোড়ায় মিনমিন করে চাইবি, পরে ধীরে ধীরে জোর বাড়াবি। তারপরে নাছোড়বান্দা এঁটেল চিমড়ে হয়ে কামড়ে ধরবি। বুঝলি কিছু ?
— আঙ্গে এ চাওয়া সে চাওয়া নয়।
— ওরে হতভাগা মুখচোরা বৎস , চাওয়ার রকমফের আছে জানি , সেই জন্যেই তো বলছি , যা চাইবার মুখফুটে চেয়ে নে। হিমালয় চাইলে নুড়ি পাথর পেলেও পেতে পারিস। নইলে লবডঙ্কা ।
— মরে যাবো স্যার , এক্কেবারে মরে ভূত হয়ে যাবো। এইভাবে ডোবাবেন না প্রভূ। মাইরি বলছি , এই চাওয়াই শেষ চাওয়া । আপনার দিব্যি বলছি প্রভূ ।
— ওরে আহাম্মক চাইবার কি শেষ আছে। মনের মধ্যে কতকি লটরপটর করে, ফিঙে পাখির মতো দোল খায়। সব কী বোঝা সম্ভব ? যেমন ধর, লটারিতে কোটি টাকা, টার্গেটে প্রতিবেশীর সুন্দরী বউ
— না না প্রভূ সেসব নয়। সে বাসনা আমার ভালো ভাবেই মিটিয়ে দিয়েছেন আপনি। একেবারে প্রাণ ভরিয়ে তৃষা ভরিয়ে, না না একই জিনিস বারবার সয় না। পানসে লাগে।
— এই সেরেছে, পরকীয়া কেস নাকি ? নতুনের আস্বাদ, ভারী আহ্লাদ ?
— না না প্রভূ তা নয়
— আরে বাবা এতো কুন্ঠা কেন ? বউ পুরনো হয়ে গেছে আর ভাল্লাগছে না। হতেই পারে। জামা জুতোর মতো প্রেমও পুরনো হয়ে যায়। পরকীয়া তে মন পালিশ হয়। ঐ এঁটো বাসন মেজে ঘস্টে আবারও চকচকে ঝকঝকে। মনে আবারও ফুরফুরে দখিনা বাতাস। মন বসন্তে কোকিলের সুর, কুহুতান কুহুরব, আহা, কি সুখ কি সুখ। চালিয়ে যা, কোনও ভয় নেই। কেন না, পরকীয়া সব পক্ষই করতে পারে। এ পক্ষও পারে, ও পক্ষও পারে। সব পক্ষের সমান অধিকার । তবে দেখো বাপু পরে যেন পস্তাতে না হয়। দেখছি তো অবস্থা। বড়ই করুণ। প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মামলায় আদালত জেরবার হচ্ছে। নতুন করে আর কেস সংখ্যা বাড়িও না।
— ওফঃ, কী মুশকিল, এসব নয় । আমার অন্য।
— সেই অন্যটা না বললে বুঝবো কী করে?
— বলতে তো চাইছি । চান্স পাচ্ছি কোথায়?
— আটকাচ্ছে কিসে ?
— বুদ্ধিতে
— ও তাই বল, বুদ্ধি চাই । বেশ বেশ।
এতক্ষণ বলবি তো, শুধু শুধু গুচ্ছের বকবক করালি। যাকগে , বল দেখি,,
কেমন বুদ্ধি, সু না-কি কু ?
— না, মানে স্যার, ইয়ে, মতলব, ইয়েস, মতলব ।
— খোলসা করো বাপধন । ঠিক ঠাওর করা যাচ্ছে না। কম্পিউটার প্রযুক্তি ফেল মেরে যাচ্ছে বাবা। ঝেড়ে কাশো।
— কেউকেটা, মানে নামজাদা, মানে কী বলবো, প্রচুর নামডাক ওয়ালা কেউ একজন হতে চাই, ইয়েস, মানে, সবাই খুব খাতির টাতির করবে। চেয়ার এগিয়ে দেবে, মালা পরাবে। মানে,, ডাকসাইটে হলে যেমন হয় আরকি, প্রচুর পুরস্কার টুরস্কার। বিভিন্ন সভায় মর্যাদার সভাপতি । মানে একটা হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার। যেন হাওয়ায় ভেসে চলেছি , মাটিতে পা পরছেনা গোছের ব্যাপার আরকি ।
— বিষয় নির্বাচন করেছিস?
— কোন বিষয় ?
— সেটাই তো জানতে চাইছি , কোন বিষয়ে জারিজুরি ফলাবি সেটা তো ঠিকঠাক জানা দরকার।
— এইরে সেরকম কিছু তো ভাবা হয়নি। আচ্ছা ঠিক আছে , বিষয় না হয় পরে বেছেবুছে ঠিক করা যাবে, আপনি প্রভূ আমাকে শুধু কায়দাটা শিখিয়ে দিন দেখি।
— তা বটে , কথাটা মন্দ বলিসনি। অযোগ্য লোকের যেকোনো বিষয়ে নামজাদা হবার একটাই ফর্মুলা।
— কী প্রভূ ?
— তেল। খালি তেল মেরে যাও। তোয়াজ করো তোয়াজ। খোসামোদ তোসামোদে দিল হো যায়ে বুলবুল ।
হ্যাঁ য়ে হ্যাঁ আর না য়ে না দিয়ে মন জুগিয়ে যাও। সুযোগ পেলেই তোল্লাই দাও । ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে বর্তে যাও ।

— কা – কে? মানে, কাদের দেবো ?
— কাদের আবার, যারা ইতিমধ্যেই ধান্দাবাজি করে আখের গুছিয়ে নিয়েছে তাদের ।
— বেশ, দিলুম তেল। তারপর ?
— নো ভুল ধরা, নো সমালোচনা । পোষা বেড়ালটির মতো ল্যাজ গুটিয়ে ম্যাঁও সামলে চলো। দিন কে রাত বলো। সুযোগ পেলেই নিজের ঢাক নিজেই পেটাও। বাতেল্লা ঝাড়ো। বলো হাম হ্যায় রাজা। মাখন সমাজের মানুষদের গায়ে গা ঘসো। উপঢৌকন হিসেবে রাত ফোয়ারা মানাও। চলো কুলু মানালি। জোর সে বলো, তুমিও যা আমিও তা। বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে সেলিব্রিটির সঙ্গে ঘেঁসাঘেঁসি হাসি মুখের সেলফি তুলে সোস্যাল মিডিয়া গরম করো। মনে মনে গুনগুন করে গাইবি, আঃহাঃ, এই দ্যাখো আমি বাড়ছি মামি। হোঃ হোঃ, এই দ্যাখো আমি উড়ছি মামি।

মামি জানে, পিপীলিকার পাখা গজালে কী হয়। একটা কিছু তো হবেই, হয় পতন, নয় মরণ ।।

সুজিত চট্টোপাধ্যায় | Sujit Chatterjee

New Bengali Poetry 2023 | সুমিতা চৌধুরী | কবিতাগুচ্ছ

New Bengali Story 2023| লোকের কথা | মনসুর আলি

New Bengali Poetry 2022 | কবিতাগুচ্ছ | বিকাশ চন্দ

Shabdodweep Editorial 2023 | সম্পাদকীয় কলম | প্রবোধ কুমার মৃধা

bengali story new | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali story books for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali story books pdf | bengali story for kids | bengali story reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short bengali story definition | short story english | short story for kids | short bengali story generator | bengali story 2023 | short story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment