New Bengali Story 2023 | সন্দেহের কাঁটা | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা

Sharing Is Caring:
BENGALI STORY

সন্দেহের কাঁটা – কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা [Bengali Story]

অনেক অনুসন্ধান ও কথা চালাচালি করে কাজের মেয়েটাকে পেয়েছিল নবকান্ত ।গৃহপরিচারিকা নিয়ে এখন খুব সমস্যা,বলতে গেলে সব পরিবারে, বিশেষত শহর ও শহরতলীতে। আবার পেলেও যে খুব স্বস্তি নিয়ে থাকবেন, সেটি কিন্তু হবে না । নবকান্ত মণ্ডলের এখন অবসরকালীন জীবন। গৃহিণী বলে খিটখিটে মিনসে, ছেলে বলে ব্যাক ডেটেড, বৌমা মুখ ফুটে কিছু না বললেও নবকান্ত বোঝে যে ,বৌমার চোখে সে একজন ‘বুড়ো ভাম’।

জীবনের শেষ কিস্তি চলছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে মন্ডলবাবুর। অবসরের দিনেই সে বুঝতে পেরেছিল, চলতি গাড়িটা হঠাৎ ব্রেক কষে বসে গেল। সকাল হলেই সেই ব্যস্ততা আর নেই। কিছু পুরোনো অভ্যেস প্রথম প্রথম কিঞ্চিৎ বজায় থাকে। সেই সকালে উঠে প্রথমেই দাড়ি শেভ করা। একটু গরম জল হলে ভালো নাকি শেভ করা যায়, নবকান্তর ধারণা। এই সব ধারণা হয়েছে অফিস কলিগ দের কাছ থেকে। আবার একটা ব্লেড ভেঙে নিয়ে দুটো করে, কম দামী রেজরে ভরে দাড়ি কাটা শিখিয়েছিল অফিসের অরূপদা। এবং সেই অভ্যেসটা আজও বর্তমান। মা বলত বৃহস্পতিবার দাড়ি কাটতে নেই। প্রথম প্রথম মার কথা শুনলেও সেই কথা রাখা সম্ভব হয়নি। তাই রোজ সকালে দাড়ি শেভ করার সময় মার মুখটা মনে পড়ে, আর মনে মনে বলে, – মা গো তোমার কথা রাখতে পারলাম না। আসলে সকালে এই কাজটি না করলে কেমন যেন রোগী রোগী লাগে তার।

বৌমা নতুন মানুষ এই সংসারে, তাই শ্বশুর বাড়ির যাপন চিত্র বুঝতে একটু সময় লাগবে, সেটাই স্বাভাবিক। ছেলে সকালে কাজে বেরিয়ে গেলে ঘরের ব্যস্ততা কমে, তখন নবকান্তের কোন রুটিন থাকে না। নতুন কাজের পরিচারিকা সনকা, সকালে বাসন পরিষ্কার করার পর দ্বিতীয় বারের জন্য আসে ঘরের মেঝে মুছতে।প্রথমে ঝাড়ু দেওয়া, তারপর মোছার পালা। গৃহিণী প্রথম প্রথম মেঝে মোছার কলা কৌশল শিখিয়ে দিলেও তার নিজস্ব স্টাইলে সে এই কাজ করার দিকে ঝোঁক দেয়। এভাবেই বেশ কিছুদিন পরে একটা ছকের মধ্যে কাজকর্ম ধারাবাহিক হয়ে যায়। গৃহিণী, বৌমা আর মামনি অর্থাৎ পরিচারিকা এই ত্রিভুজ একটা স্থিতি পায়, অন্তত নবকান্তের মনে হল।

প্রথম মাস শেষ হওয়ার পর সনকা বায়না ধরে, – কাকিমা, এই টাকায় এত কাজ সম্ভব নয় । কত বাসন, দু তলা মিলিয়ে ঘরও গোটা ছয় ।তাছাড়া সিঁড়ি, রান্নাঘর আছে। যুক্তি আছে, কিন্তু কাজের আগে তো দেখে নিয়েছ বাবা। নব কান্ত মনে মনে ভাবে, তবে এই ব্যাপারে সে নাক গলাতে চায় না, কারণ গিন্নি আর বৌমা মিলে মাসের পারিশ্রমিক নির্ধারণ হয়েছে। যে যার যুক্তি দেখালেও শেষমেশ ঠিক হল অন্তত তিন মাসের আগে পারিশ্রমিক বৃদ্ধি হবে না। মনমরা হলেও সনকা তা মেনে নিতে বাধ্য হল। এভাবেই চলছিল, যদিও নবকান্তের মনে হল সনকা মোটেই খুশি নয়। আসলে পেটের দায়ে, ছেলেমেয়েদের মুখ চেয়ে ওরা কাজ করতে বাধ্য। কাজ না পেলে সংসার তো চলে না। নবকান্ত ইতিমধ্যে সনকার সংসার চিত্র জেনে নিয়েছে। তিন ছেলেমেয়ে শাশুড়ি আর স্বামী নিয়ে তাদের গরীবের সংসার, সমস্তটাই গতর নির্ভর। বর্তমানের লক্ষ্মীর ভান্ডার তার কপালে জোটেনি, ওই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট বা অন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে না পারার জন্য।

কিছুদিন বাবুদের ধরে, দুয়ারে সরকার এ লাইন দিয়ে শেষমেশ গোল্লা। মাঝে পড়ে অনেকদিন কাজ কামাই। স্বামী তার চির রোগা, ট্রেনের বাদাম ভাজা ব্যাপারী। দুই মেয়ে এক ছেলের পড়াশুনো, টিউশন মাস্টার, রোগ নাড়া ইত্যাদি। এই বাজারে পাঁচ পাঁচটা পেট, চলে কী করে!
তবুতো গ্রাম থেকে যাতায়াত, ঘরভাড়া বেঁচে যায়। নবকান্ত ভাবে, আর ভাবে । সে মাসান্তে পেনশন পায়, ছেলের আয় নেহাত কম নয়।কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় , কোথাও যেন কিসের অভাব অভাব। অথচ সেই অর্থে ওই সব মানুষগুলোর তো অনন্ত অভাব ! দিব্যি চলছে তাদের অভাবী জীবন ! হয়তো ওদের আকাশ চুম্বী চাহিদা নেই, নেই চাকচিক্যময় জীবনের হাতছানি। এক শ্রেণি টাকার চাকায় মসৃণ জীবনে অভ্যস্ত। তাদের গরীব ,নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন নিয়ে ভাবনার অবকাশ কোথায়। এই সব সাত পাঁচ মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। অথচ ওই ভাবনা পর্যন্ত গড়িয়ে আর এগোচ্ছে না।

‘সকালের বাজারের থলেটা সেই আমার রয়ে গেল, হাতবদল হল না,’ – নবকান্তের আক্ষেপ! ছেলের কাছে কোন পয়সা সে চায় না, ছেলের যা মন চায় তাই কেনে মাঝে মাঝে। বাজার শেষে উদ্বৃত্ত টাকা সে নিজের কাছে রেখে দেয় তার পড়ার টেবিলে। টাকা যার দরকার হয়, তার কাছে চেয়ে নেয়। আবার গৃহিণীর কাছে বেশ কিছু টাকা রেখে দেয়, কারণ বেহিসেবী খরচ যাতে না হয়। গৃহিণীর মতে নব কান্ত হল একজন অসঞ্চয়ী মানুষ, খরচের কোন লাগাম থাকে না। তবে নবকান্ত জানে, সে কী। তার আয়ের টাকা কোনদিন মনে হয় নি তার ‘ নিজের ‘ টাকা। মনে পড়ে তাদের অভাবের সংসারের কথা, মনে পড়ে বাবা মা দাদারা কী পরিশ্রম না করতো দু বেলা খাবার যোগাড়ের জন্য। আজও তার একটা পয়সা খরচ করতে গায়ে লাগে।

এ হেন নবকান্ত একদিন বাজার থেকে ফিরে তিনটে পাঁচশো টাকার নোট রেখে দেয় তার নিত্য দিনলিপি লেখা ডায়েরির মধ্যে। ডায়েরির পাতার ভাঁজে রাখলেও তার কিন্তু মনে হল সে রেখেছে ডায়েরির তলায়। আজকাল এরকম হচ্ছে তার। সুগারের ওষুধ না খেলেও মনে হচ্ছে খেয়েছে, আবার উল্টোটা ও হচ্ছে। জানা নাম হঠাৎ ভুলে যাচ্ছে, তিনদিন পরে কোন এক প্রসঙ্গে আবার মনে পড়ে যাচ্ছে হঠাৎ। বন্ধুরা বলছে ,এরকম তাদেরও নাকি হচ্ছে। একটু স্বস্তি পায় সে কথা শুনে। বিশেষ করে পুরনো সহপাঠী আর অফিস সহকর্মীদের নাম ভুলে যাচ্ছে। তাই বলে টাকা কোথায় রেখে দিল, সেটা যে ভুলে যাবে নবকান্ত বিশ্বাস করতে পারছে না ।

আসলে সে মুশকিলে পড়েছে ,ডায়েরির তলায় রাখা টাকাটা আর খুঁজে পাচ্ছে না। এই ভুলভুলাইয়া নিয়ে সে বড় বেকায়দায় পরে গেল। সে যেন স্পষ্ট দেখা পাচ্ছে, ডায়েরির তলায় রাখার মুহূর্তটি। অথচ রেখেছিল পাতার ভাঁজে।এই মুহূর্তের ভুল থেকে জন্ম নিল এক সন্দেহের কাঁটা । জলজ্যান্ত তিনটে নোট পাঁচশো টাকার, ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে না। কে নিল তার সেই অমূল্য ধন ! গিন্নি যা নেয়, বলে নিয়ে থাকে। বৌমার নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না । সম্ভ্রান্ত বাড়ির মেয়ে, স্বামীর কাছে বললেই পেয়ে যায় সব কিছু। ওই সামান্য টাকা নিয়ে ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ সে করবে না। আবার ভাবে কত টাকা কোথায় গেল, কত জন হাজার হাজার টাকা নিয়ে দিল না, তাতে তো তার কিছুই হয়নি, মা বাবার আশীর্বাদে। তাহলে আজকে এই টাকার জন্য সে এত চিন্তা করে কেন !

পরিচারিকা সোনামনি তার টেবিলের নিচে ঝাড়ু দিয়ে ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে, টেবিল থেকে পড়ে গেলে তো সেই পাবে। হয়তো পেয়ে আর দিল না। গরীব লোক, দেড় হাজার টাকার অনেক মূল্য। আস্তে আস্তে নবকান্তের সন্দেহের তির যাচ্ছে মামনির দিকে। টাকাটা পড়ে গেল কী টেবিলের নিচে! না ডায়েরির তলা থেকে সে বের করে নিল, টেবিল পরিষ্কার করার সময়! তার চেতন আর অবচেতন মনে সন্দেহের পেন্ডুলাম ঝুলছে । মুখে কিছু না বললেও সে পরিচারিকা মামনি, তার কাজ কর্ম নিবিষ্ট মনে দেখে, কোথায় কী লুকিয়ে নিচ্ছে কী না খেয়াল করে। কিন্তু তার একদিনও মনে হল না ডায়েরির পাতাগুলো উল্টে দেখি।

সন্দেহের কাঁটা তার মনকে বারে বারে খোঁচা দেয়। মনটাকে হালকা করতে একদিন গিন্নিকে কথায় কথায় ঘটনার কথা বলে ফেলে। গিন্নি তো হতবাক, সব শুনে। ‘বাইরের লোক বলতে ওই মামনি, আর তো কেউ আসে না, এলেও তোমার টেবিলের ধারে কাছে কেউ ঘেঁষে না। শুধু ওই মামনি টেবিল মাঝে মাঝে পালকের ঝাড়ন দিয়ে পরিষ্কার করে, তলার মেঝে ঝাট দেয় আর মোছে।’ – গিন্নী বলে। তারও সন্দেহ মামনিকে ঘিরে। ঘটনাটা দু কান থেকে তিন কান হল, অর্থাৎ শাশুড়ি বৌমাকে শোনাল। এবং তা চার কান হতে বাকি রইল না। বাড়ির সব সদস্য এখন সন্দেহের চোখে দেখে মামনিকে। সপ্তাহ খানেক পরে মামনিরও মনে হল বাবুদের কী হোল। তেমন কথা বলে না তার সঙ্গে, কেমন যেন এড়িয়ে চলছে। ‘তা যাকগে বাপ, আমার কাজ নিয়ে কথা, কে কথা বললো আর কে বললো না, এসবের মধ্যে না থাকা ভাল।’ – মামনি মনে মনে ভাবে আর যন্ত্রবৎ হাত চলে।

সেদিন রাতে বৌমা বর কে বলে, – ‘দেখো আমাদের তো গয়না পাতি কিছু আছে, আর মামনির স্বভাবটা বুঝতে পারছো! কোনদিন কোন বিপদ না ঘটায়। খবরের কাগজে প্রায়ই তো দেখি কাজের মেয়েদের চুরি চামারি। ‘চন্দ্রকান্ত বলে, – ‘এখন একমাত্র উপায় মামনিকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া।’ এই প্রস্তাবটা উভয়ে মায়ের কাছে রাখবে, ঠিক হল সেই রাত্রে। পরের দিন মায়ের কাছে এই প্রস্তাব রাখা হল, পরিস্থিতি বিবেচনা করে। মা সব শুনলো এবং বলল, – ‘কিন্তু কাজের জন্য অন্য একজন না পেলে ছাড়ি কী করে, আর অন্য জন যে এই স্বভাবের হবে না তার তো কোন ঠিক নেই।’ এখন উভয় সংকটে পড়া গেল।

মামনি নিজের কাজ করে যায়, কে কী ভাবলো, কথা বললো কি না এসব চিন্তা করে না। এরই মধ্যে একদিন নব বাবুর টেবিল পরিষ্কার করতে গিয়ে টেবিলে রাখা মোবাইল হঠাৎ নিচে পড়ে সামনের গ্লাস চৌচির। অনেকদিনের পুরনো মোবাইল, ইতিমধ্যে একটা সূক্ষ্ম চিড় ধরেছিল। তা সে যাই হোক এভাবে নষ্ট হতে নবকান্তের মাথা গরম হয়ে গেল। স্ত্রীকে ডেকে বলে দিল, – মামনিকে আজই ছাড়িয়ে দাও, ওর কী পাওনা পয়সা কড়ি সব মিটিয়ে দাও। গিন্নী তক্কে তক্কে ছিল, তলে তলে অন্য কাজের মেয়ের সন্ধান করলেও সুবিধে হয়নি। তবে সুযোগটা এসে গেল, এই চোর মেয়েটাকে বিদেয় করার। মামনির একটা গুণ ছিল, সে মুখোমুখি কারুর সঙ্গে বিবাদ করতো না, সহ্য করে নিতে পারতো। পরের দিন থেকে সে আসবে না বলেই গেল। মনে মনে ভাবলো, সত্যি তো, সে কত বড় ক্ষতি করে দিল কাকুর!

মাসের শেষ হতে তখনও পাঁচদিন বাকি। নতুন মাসে নতুন পরিচারিকার খোঁজ খবর নিতে হবে। এই কদিন নিজেরা চালিয়ে নিতে পারলে ভালো। সেই রকম সিদ্ধান্ত হল। দিন দুই পর নিজের টেবিলটা কাপড়ের টুকরো দিয়ে পরিষ্কার করে ডায়েরি খুলে বসলো নব বাবু। দিনের শুরু কেমন হল, কী কাজ করতে হবে এই সব লিখে নিয়ে চা ও খবরের কাগজ নিয়ে বসে রোজ । আজকে ডায়েরির পাতা খুলে নির্দিষ্ট তারিখের পাতাতে যেতে গিয়ে নব বাবুর চোখ আটকে গেল। তিনটে পাঁচশো টাকার নোট ডায়েরির ঠিক মাঝখানে বসে হি হি করে যেন হাসছে। বলছে তারা, – মামনি আমাদের গায়ে হাত দেয়নি, আপনি এমন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছেন তার বাপের সাধ্যি নেই আমাদের খুঁজে পায়।

নবকান্তর আত্মগরিমা ভূলুণ্ঠিত। নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে সে ভাবলো, কী এক জঘন্য কাজ করলো। একটা নিরীহ কাজের মেয়েকে মিথ্যে সন্দেহ করা তার মোটেই উচিত হয়নি। এখন তার মনে পড়ে গেল, টাকাগুলো সে ডায়েরির মধ্যে রেখেছিল যাতে মামনি দেখতে না পায়। তার মনে যে এতো পাপ, কোনদিন আবিষ্কার করতে পারেনি। একটা সামান্য ঘটনায় কাজের মেয়ে বুঝিয়ে দিল, কত পঙ্কিল তার মানসিকতা ! মামনির চলে যাওয়ার সময় তার করুণ মুখটা যেন নবকান্তকে আজ বলছে, – আমরা গরীব হতে পারি, কিন্তু চোর নই কাকু! স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ আসল ঘটনা শুনে চুপ রইলো। সবার এখন একটাই ভাবনা, কিভাবে অন্য এক পরিচারিকা পাওয়া যায়।

এ যেন এক আকাল। কাজের মেয়ে খুঁজে পাওয়াই যায় না। রোজ দুপুরের পর নবকান্ত ঢাকুরিয়া স্টেশনে গিয়ে খোঁজ করে । এই সময় ওরা ফিরতি ট্রেনে করে বাড়ি ফেরে। যদি কোন নতুন একজনের নিযুক্ত করা যায়, এই আশায়। একদিন যায়, দু দিন যায়, তৃতীয় দিনে ট্রেন আসার আগে ভিড়ের মধ্যে প্ল্যাটফর্মে কে একজন মহিলা ডাকে, – ‘কাকু, কাকু, ও কাকু আপনাকে বলছি । ‘নবকান্ত বুঝতে পারলো, তাকেই ডাকছে। সে মুখ ফেরাতেই সামনে এসে যে দাঁড়ালো, তার নাম মামনি। বাবু নবকান্ত তার মুখের দিকে তাকিয়ে হতবাক। ‘আপনি কেমন আছেন কাকু, কাকিমা, দাদা বৌদি সব ভালো আছে তো ! এই রোদ্দুরের বেলা কোথায় যাচ্ছেন? সে কী উত্তর দেবে ! মাথা ঝাঁকিয়ে বললো, – ‘ভালো আছি। এই এদিকে একটু দরকার ছিল তাই এলাম। তুমি ভালো আছ? এখন ক বাড়ি কাজ কর?’

না কাকু আর কারোর বাড়িতে কাজ করিনা।একটা ব্যাগ কারখানাতে কাজ নিয়েছি, বাবুদের বাড়ি চোর বলে বড্ড সন্দেহ করে! কথাটা নব কান্তের বুকে যেন ধারালো তীরের ফলার মত বিঁধে গেল। হঠাৎ তার মনে হল, বিশিষ্ট (?) মানুষেরা চুরি করে রাজপ্রাসাদ বানাচ্ছে, তাদের ধরতে পারিনা। অথচ গরীব খেটে খাওয়া মানুষদের চোর বলে সন্দেহ করি । আমাদের লজ্জার পুকুরে ডুবে মরা উচিত। এমন সময় ডাউন ট্রেন এসে গেলে, মামনির দল হইচই করে ট্রেনের কামরায় ঢুকে পড়লো।

কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | Krishna Kishore Middya

New Bengali Story 2023 | ভালো লাগে | শওকত নূর

New Bengali Story 2023 | খোঁজ | কুহেলী দাশগুপ্ত

Bengali Story | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | গল্পগুচ্ছ | 2022

Bengali Story 2022 | জয়ন্ত কুমার সরকার | গল্পগুচ্ছ ২০২২

bengali story | short bengali story analysis | short bengali story characteristics | short bengali story competition | short bengali story definition | Best Bengali Story | Top Bengali Story | World Bengali Story | International Bengali Story | short bengali story english | writing competitions ireland | bengali story writing practice | bengali story writing topics | trending topics for article writing 2022 | bengali story trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Shabdodweep bengali story | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment