প্রবোধ কুমার মৃধা – সূচিপত্র [Bengali Story]
অপরাহ্ন বেলায় (১ম পর্ব) – প্রবোধ কুমার মৃধা [Bengali Social Story]
চন্ডীবাবুকে নিয়ে একটা সমস্যার সৃষ্টি হলো। সমস্যাটা দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না। চন্ডীবাবুর বয়স পঁয়ষট্টি আপ। বয়সজনিত রোগ-ব্যাধি আর পাঁচজনের মতো সংখ্যায় ততগুলো না থাকলেও দু’একটা তো থাকবেই। কিন্তু চন্ডীবাবুর ধারণা তাঁর শরীরে অসংখ্য রোগ-ব্যাধি বাসা বেঁধে আছে। বিভিন্ন জনের মুখে বিভিন্ন রোগের গল্প শুনে শুনে মনে মনে ভাবেন ‘ঐ রোগটা যেন আমার আছে।’ ভাবনার এই প্রবণতাটা এক প্রকার বাতিকে দাঁড়িয়ে গেছে। তবে কোন উপসর্গ নিয়ে হুটহাট ডাক্তার-বদ্যির নিকট ছোটাছুটির ঘোর বিরোধী তিনি ।নিজের চিকিৎসা যথাসম্ভব নিজেই করেন প্রতিদিন।তার অধিকাংশই ঘরোয়া মুষ্টিযোগ জাতীয়। যেমন, সকালে নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা আর হরলিক্স খাওয়া ছাড়া, মধু-তুলসী সেবন, বিকেলে বেলের পানা ইত্যাদি একটা না একটা কিছু থাকে প্রতিদিনের রুটিনে।
অপরাহ্নে তাঁর মতো সমবয়সি অবসরপ্রাপ্ত বন্ধু ক’জন মিলে রোজ টালিগঞ্জ প্লাটফর্মের একপ্রান্তে বসে নিজেদের মধ্যে গল্প গুজব করে সময় কাটান। সেখানে এক এক জনের মুখে নিত্য নতুন এক এক রকম শরীর সুস্থ রাখার দাওয়াই শুনে এসে বাড়িতে তা’ অনুশীলন করার চেষ্টা চালান চন্ডীবাবু। একান্ত না পারলে বৌমা এবং ছেলে অনিন্দ্যর সাহায্য নেন। ছেলেকে দু’একটা উপাদান সংগ্ৰহ করে আনতে বলেন এবং সময়ে সময়ে বৌমাকে মুষ্টিযোগ তৈরিতে সহায়তা করতে বলেন।বৌমা দীপা শ্বশুরের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল। শ্বশুরকে সাহায্য করায় তার কার্পণ্য নেই ।এ নিয়ে চন্ডীবাবু যথেষ্ট গর্বিত এবং আপ্লুত। প্রতিদিনের বৈকালিক বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে বৌমার কথা উল্লেখ করতে ভোলেন না তিনি। আসলে চন্ডীবাবুর ভাগ্যটা সেদিক দিয়ে ব্যতিক্রমী বলা চলে।ছেলে -বৌমা দুজনেই তাঁর সুস্থ থাকার প্রতি বিশেষ নজর রাখে। রাখলে কি হবে, চন্ডীবাবুর রোগ তো মনে, আর তা অকারণে।
এটা খাব না,ওটা খেতে মানা, এই করে করে খাদ্য তালিকার সাড়ে চোদ্দো আনাতেই পড়ে গেছে লাল কালির দাগ। বাকি যে-ক’টি তালিকাতে এখনও অবশিষ্ট পড়ে আছে সেগুলো হঠাৎ হঠাৎ কবে যে বন্ধ হয়ে যায় তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে দীপা সেদিন স্বামীকে বলছিল, – বাবাকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে কিন্তু বলে দিলাম।খাওয়া-দাওয়া এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছেন।
-– কেন ?
–- কেন কী করে বলব! প্রতিদিন একটা না একটা আইটেম বন্ধ করে দিচ্ছেন।
–- কারণ কি ?
–- দুধ খেলে গ্যাস হয়, ডিম-মাংস খেলে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়,আরো কি সব খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
–- নিজের ডাক্তারি নিজেই করছে তাহলে ?
–- বাইরে থেকে যা যা শুনে আসছেন, কারও কিছু না বলে তা-ই ফলো করার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন।
–- বাধা দিলে জেদ আরো বৃদ্ধি পাবে। বেশি কিছু বলার দরকার নেই, তবে সমস্ত কিছুর উপর একটু নজর রেখো।
নজর অবশ্য দীপা যথেষ্টই রাখে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। চন্ডীবাবু রিটায়ার করেছেন বছর ছ’য়েক আগে। স্ত্রী মারা গেছেন তিন বছর হলো। তাঁর নিঃসঙ্গতা কাটাতে বৌমা এবং নাতনি তমা প্রায় সময় সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করে।যেদিন স্কুল ছুটি থাকে তমা দাদুর সাথে খেলা করে,গল্প করে; তবে তার সময় কম, স্কুলে পড়ার চাপ, এছাড়া আছে নাচ-গান, আঁকা-জোকা ইত্যাদি। বেচারি এক এক দিন দম ফেলার ফুরসত পায় না।তার অবস্থা অনুভব করে খুব কষ্ট পান চন্ডীবাবু। শ্রীতমা কলকাতার এক নামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। পুলকারে যাতায়াত করে। ভীষণ বুদ্ধিমতী।এই বয়সে ওরা যে কত বিষয় জেনে ফেলেছে, মাঝে মাঝে চন্ডীবাবুর খুব অবাক লাগে। তাঁদের ছোটবেলা কেটেছে একভাবে, আর এখনকার ছেলেমেয়েদের শৈশব কাটছে ছকে বাঁধা যান্ত্রিক নিয়মে। তাদের বিনোদন বলতে কো-কারিকুলার এ্যাক্টিভিটিজ, খেলার মাঠ পরীক্ষার হল।এভাবেই তাদের শৈশব কেরিয়ার গঠনের ঘেরাটোপে আবদ্ধ।
বিকেলের আড্ডা আজ তেমন জমল না। গুপ্তবাবু, বোস বাবু করে দু’তিন জন অনুপস্থিত। চন্ডীবাবু পৌঁছেই সংবাদটা পেয়ে গিয়েছিলেন। গত রাতে মন্ডলবাবু অর্থাৎ বেণীমাধব মন্ডল ঘুমের মধ্যে মারা গিয়েছেন। বিকেলের আড্ডার সব থেকে জলিমাইন্ড, মজাদার, মিশুকে মানুষটি এভাবে কোন রকম পূর্বাভাস ছাড়া যে বিদায় নিতে পারেন, ভেবে সবাই হতবাক। সবার মনে আত্মীয় বিয়োগের মতো আঘাত লাগল। মানুষ উড়ন্ত পাখির মতো, এই আছে তো এই নেই! খুবই ভারাক্রান্ত মনমেজাজ নিয়ে সবাই ঘরে ফিরে গেলেন।
আজ হঠাৎ অনেকটা আগে ভাগে খুবই বিষণ্ণ মনে বাসায় ফিরতে দেখে দীপা শ্বশুর মশাইকে জিজ্ঞেস করল, – এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন বাবা, কী হয়েছে, শরীর খারাপ লাগছে?
–- না মা, শরীর ঠিক আছে।
তারপর সমস্ত ঘটনাটাই আনুপূর্বিক বিবৃত করে বৌমাকে শোনালেন চন্ডীবাবু। আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে শ্বশুরকে নানা কথায় সান্ত্বনাচ্ছলে অনেকটা সময় গল্প করে কাটালো দীপা। এমন সময় ড্রয়িং-এর ক্লাস সেরে ফিরে এসেছে তমা। দাদুর কাছে এসে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল সে।
–- দেখ দাদু, বলে একটা খাতার নির্দিষ্ট পেজটি খুলে দাদুর সামনে এগিয়ে ধরে খুব খুশির সঙ্গে বলল,
–- ছবিটা আমি এঁকেছি। স্যার গুড দিয়েছে ।
চন্ডীবাবু বেশ কিছুক্ষণ নিরীক্ষণ করে বললেন,
–- শুধু গুড নয় দিদিভাই, ভেরি গুড, খুব ভালো হয়েছে সোনাদিদি।
অপরাহ্ন বেলায় (শেষ পর্ব) – প্রবোধ কুমার মৃধা [Bengali Social Story]
দুদিন পর প্লাটফর্মের বৈকালিক আড্ডায় হাজির হলেন চন্ডীবাবু। এ-দুদিন আসতে মন চায়নি, আজও চাইছিল না, তবে আনমনাভাবে এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা যেন অভ্যাসবশতঃ কখন চলে এসেছেন। এসে আজও একটা দুঃখজনক খবর শুনলেন। ভাওয়ালবাবু বৃদ্ধাশ্রমে চলে গেছেন; চলে গেছেন বলতে নিজের ইচ্ছেয় নয়, যেতে বাধ্য হয়েছেন।ছেলে বৌমা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে একাজ করেছে।আভাস মিলছিল অনেক আগে থেকেই, ইদানিং প্রায়ই আড্ডায় এসে নিরুৎসাহ ও মনমরা হয়ে থাকতেন, কাউকে কিছু বলেননি কোন দিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটাই যে ভবিতব্য হয়ে উঠবে ভাওয়ালবাবু নিজে বোধকরি আন্দাজ করতে পারেননি।
চন্ডীবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ধীরে ধীরে বলতে শুরু করলেন, –দেখো গুপ্ত, আমরা যত শিক্ষিত ও সভ্য হয়ে উঠছি,ততই আমাদের মধ্যে মানবিকতা ও মূল্যবোধ উবে গিয়ে যান্ত্রিক ও অমানবিক কালচার মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণের মতো ।এই পাশ্চাত্য কৃষ্টি যে আমাদের ঐতিহ্যগত নয় তা আমাদের নবীন প্রজন্ম বোধহয় স্মরণে রাখতে চাইছে না।আমাদের জল-হাওয়া,আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং প্রকৃতিগত আবেগ অনুভূতি সমস্তই পাশ্চাত্যের বিপরীত। শুধু দু’পাতা ইংরেজি পড়ে আমরা আমাদের বংশ পরম্পরায় চলে আসা হৃদয় বৃত্তিকে ইচ্ছা করলে বদলে ফেলতে পারি না।উত্তরে গুপ্তবাবু বললেন, –একটা কথা কি জানো মুকুজ্যে,প্রাচীন আর নবীনের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, সভ্য,কেতাদুরস্ত নবীন প্রজন্ম প্রাচীন ভাবধারায় অভ্যস্ত বয়স্ক গুরুস্থানীয়দের যথাযোগ্য প্রাপ্য সম্মান প্রদান করার নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয় অধিকাংশই।আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে সনাতন ঐতিহ্য পরম্পরায় যে পারিবারিক তথা সামাজিক রীতিনীতি আবহমানকাল চলে আসছে,আধুনিক প্রজন্ম তা রাতারাতি বিলোপ করে দিতে চায়। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল ‘এই জাতীয় ক্রেতা-বিক্রেতার প্রয়োজন ভিত্তিক তাৎক্ষণিক সম্পর্কটুকু বজায় রাখতে চাইছে আমাদের ছেলে মেয়েরা। অবশ্য যুগের দাবি মেনে নিয়ে মানিয়ে চলার মূখ্য দায়বদ্ধতা আমাদের যে আছে তা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উত্তর সময়ে দ্রুতহারে বিশ্বায়নের ঢেউ সব থেকে বেশি আঘাত হেনেছে আমাদের পুরুষানুক্রমে চলে আসা পারিবারিক কাঠামোতে। যৌথ পরিবার ভেঙে তছনছ। যদিও তা অনেকটা পরিবর্তিত লাইফ-স্টাইলের কারণে এবং কিছুটা যৌথ মানসিকতার ক্রমহ্রাস জনিত কারণে।
এতক্ষণ চুপচাপ শুনে যাচ্ছিলেন বোসবাবু, অর্থাৎ কিংশুক বোস। সত্তরের কাছাকাছি বয়স। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের আন্ডারে সার্ভিস করতেন। খুবই কম কথার মানুষ, ভুলে ও ঘরের কথা বাইরে প্রকাশ করেন না। তাঁর অভিমত,–সন্তান-সন্ততিকে মানুষ করে তুলেছি কর্তব্যের দায়বদ্ধতায়,তাই বলে তারা আজ্ঞাবহ ভৃত্যের ন্যায় বশ্যতা দেখাবে, তা ঠিক নয় ।তাদের নিজস্ব একটা উচিত – অনুচিতের বোধ গড়ে উঠেছে; যার কারণে সব কিছুকে অযৌক্তিকভাবে মেনে নিতে পারে না। সেখানেই দৃষ্টিভঙ্গির সংঘাত তৈরি হয়।সমাজে বা সংসারে আমাদের যেটুকু প্রাপ্য তা কেন পাব না, কেন দেবে না, এই রকম একটা দুর্যোধনী জেদ নিয়ে বসে থাকলে চলে না, অথচ জীবনের এমন একটা স্তরে আমরা পৌঁছে গেছি, যেখানে ধৈর্য ধারণের একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক এই সময়টাতে ধৈর্যের বড়ো অভাব দেখা দেয়।
–- এক হাতে তালি বাজে না ভায়া। যে কোন ঘটনার পেছনে একাধিক কারণ যেমন থাকে, তেমন থাকে উভয় পক্ষের ভূমিকা ।সেখানে কোন পক্ষই আপন আপন দাবি সহজে ছাড়তে রাজি নয়।ছোট-বড়ো বিরোধের মধ্যে সেই জিনিসটাই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় ।বলে চন্ডীবাবুদের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন হালদারবাবু। প্রশান্ত হালদার। বৈকালিক আসরের একজন নিয়মিত সদস্য।
আজ অনেকটা সন্ধ্যে হয়ে গেল। আঙুলে আঙুল জড়িয়ে দু’হাত উপরের দিকে তুলে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে দত্তবাবু বললেন, – আর কেন! চলো এবার ফেরা যাক!
বলতে বলতে একে একে প্রায় সবাই উঠে পড়লেন। এরই মাঝে কিছুটা আক্ষেপের সুরে হালদারবাবু বলতে লাগলেন, – আমাদের অপরাহ্নিক আড্ডা-পরিবারটির একটা মজবুত বাঁধন ছিল, তাতে ভাঙন ধরেছে। সব কেমন যেন ধীরে ধীরে আলগা হয়ে যাচ্ছে। জীবনের পথ যেমন দীর্ঘ তেমন পরিবর্তনশীল। এক সময় অনেক কিছুই করায়ত্ত থাকে বটে, সময়ে সব কিছু আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।
গত দু-তিন দিন ধরে শ্বশুরমশাইয়ের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছে দীপা।মাঝে মাঝে ভীষণ অন্যমনস্ক এবং চিন্তাশীলভাবে চুপচাপ থাকছেন।বৈকালিক আড্ডায় সবদিন আর যান না। হঠাৎ করে চলাফেরার স্বাভাবিক ছন্দটা যেন কেটে গিয়েছে। সামনের মাসেই শ্রীতমার বার্থ-ডে ।দীপার সঙ্গে পরামর্শ করে অনিন্দ্য এক ছুটির দিনে বাবার সাথে বসে কথায় কথায় বাবাকে বলে, – বাবা, এবার তমার জন্মদিনে তোমার বন্ধু যাঁরা একসাথে বিকেলে অবসর কাটাও তাঁদেরকে বিশেষ করে বলে দিও সবাই যেন ওদিন মধ্যাহ্নে এখানে এসে খাওয়া-দাওয়া করেন।
প্রস্তাবটা শুনে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন চন্ডীবাবু। অনিন্দ্য লক্ষ্য করল বাবার চোখের কোণায় জল টলটল করছে। দুঃখে বা আনন্দে তা বুঝতে পারল না অনিন্দ্য।দীপার মুখে শুনেছে বাবার সঙ্গীদের একজন হঠাৎ মারা গিয়েছেন, একজনকে তাঁর ছেলে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এসেছে। অসমর্থ, অক্ষম, অন্য নির্ভর বয়স্ক মানুষগুলোর আনন্দ-বেদনার সমব্যথী সঙ্গীর বড়ো অভাব।সবার সংসারের অবস্থা সমান নয়,অধিকাংশ জনই আপন জনদের কাছে অবহেলিত; সেদিক থেকে চন্ডীবাবু অনেকটাই সুখী, চোখে জল কি সে কারণেই ?
বাবাকে নিরুত্তর দেখে অনিন্দ্য বলে, – কি বাবা, তুমি বললে তাঁরা আসবেন না ?
–- আমাদের পারস্পরিক পরিচয়টা অনেক দিনের হলে ও এমন প্রস্তাব আমরা কেউ কোনদিন রাখিনি।আমি অবশ্যই আমন্ত্রণ জানাব, বিশেষভাবে আসতে বলব। চন্ডীবাবু উত্তর দিলেন।
নির্দিষ্ট দিনে শ্বশুরমশাইয়ের ঘরে তাঁর নিমন্ত্রিত বন্ধুদের পৃথক আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখল দীপা। এমন কি বয়স্ক মানুষদের শারীরিক সমস্যার কথা মাথায় রেখে আলাদা কিছু আইটেমের বন্দোবস্ত দীপা নিজের হাতেই সারল। ওনারা পাঁচজনেই এসেছিলেন।অনিন্দ্য আর দীপা দুজনেই সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকল বাবার অতিথিদের তত্ত্বাবধানে। তমার বার্থ-ডে উপলক্ষে নিমন্ত্রিত ছিলেন অনেকেই। অনুষ্ঠান শেষে বাইরের সবাই একে একে ফিরে গেলেও চন্ডীবাবুর বন্ধুদের পড়ন্ত বিকেলের পূর্বে ঘরে ফিরতে দিল না দীপা। চন্ডীবাবুর ছেলে-বৌমার ব্যবহারে বিস্মিত সবাই। হালদার বাবু বলে ফেললেন, – মুকুজ্যেবাবুর মুখে তোমার কথা প্রায়ই শুনি বৌমা। আজ আমরা সবাই চাক্ষুষ করলাম, তোমার মন-মানসিকতা এবং শিক্ষা-দীক্ষা খুবই উচ্চস্তরের, খুবই উচ্চ বংশের মেয়ে বলে মনে হয়।আজকালকার দিনে সচরাচর এমনটা নজরে পড়ে না। অনেক দিন পর এমন আন্তরিক আর দরদভরা ব্যবহার পেয়ে খুবই ভালো লাগল।
বোসবাবু তমাকে কাছে নিয়ে আদর করে বললেন, – মায়ের মতোই হয়ে উঠো, দিদিভাই। দাদুকে ভালো রেখো।
দাদুর বন্ধুদেরকে খুব পছন্দ হয়েছে তমার। সে সবাইকে খুব আগ্ৰহ সহকারে বলল, –তোমরা সবাই আবার আসবে তো ?
–- হ্যাঁ দিদিভাই, বেঁচে থাকলে সামনের বছর তোমার বার্থ-ডে তে আবার আসব, আবার আনন্দ করব।ঠাকুর তোমাকে সুস্থ-সুন্দর রাখুন।
অপরাহ্ন গড়িয়ে গেলে বোসবাবুরা সবাই একসাথে বেরিয়ে পড়লেন। সারা বেলাটা বড়ো আনন্দে-আহ্লাদে কাটল, তবে বিদায় বেলার বিচ্ছেদ-বেদনা আসন্ন সূর্যাস্তের ম্লান আলোর মতো একটা বিষাদের ছায়া যেন সবকিছুকে আচ্ছন্ন করে দিল। অল্প সমঢয়ের জন্য হলেও অপরিচিত, উপেক্ষিত মানুষ ক’জন সৌহার্দে-সৌজন্যে একান্ত আপনজনের মতো অন্তরের কাছাকাছি এসে মিলেছিল। দীপা-অনিন্দ্যরা সবাই মিলে বেশ কিছুটা পথ পর্যন্ত গিয়ে তাঁদেরকে বিদায় জানিয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ক্লান্ত চন্ডীবাবুকে নিয়ে বাসায় ফিরে এল।
প্রবোধ কুমার মৃধা | Probodh Kumar Mridha
From the Myanmar Diaries | অ-শরীরী | মায়ানমারের ডায়েরীর পাতা থেকে | 2023
Pancha Byanjan Galpo | পঞ্চব্যঞ্জন পর্ব ২ | জয়ন্ত কুমার সরকার | Top New 2023
Bengali Language Interesting Facts | A Mori Bangla Bhasha
Doob De Re Mon Kali Bole | ডুব দে রে মন কালী বলে | অভিজিৎ পাল | New 2023
New Best Story Blogs | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Bengali Social Story Blogs 2023 | Shabdodweep Best Story Blogs | Shabdodweep Writer | Best Story Blogs in India | World’s Best Story Blogs | Bengali Social Story in Online | Online Best Story Blogs | Free Best Story Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Best Story Blogs in English | Full Bangla Galpo 2023 pdf | Full Bangla Galpo online | New Full Bangla Galpo | Bengali Social Story – Episode 1 | Bengali Social Story Series | Horror Adult Story Video | Horror Adult Story Audio | Full Bangla Galpo Audio | Full Bangla Galpo Video | Full Bangla Galpo Netflix | Full Bangla Galpo Read | Full Bangla Galpo Download | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trend Full Bangla Galpo | Recent Full Bangla Galpo | Top Full Bangla Galpo | Popular Full Bangla Galpo | Best Full Bangla Galpo | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Bengali Social Story Download | Bengali Famous Story – audio | Horror Adult Story | Horror Adult Story Collection | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Bengali Famous Story – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Famous Story – Tanushri Giri | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Bengali Social Story Writer | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Poetry | Natun Bangla Galpo 2023 | Natun Bangla Galpo 2023 book | Horror Adult Story Ebook | Horror Bengali Social Story in Bengali | Natun Bangla Galpo 2023 pdf book | Writer – Natun Bangla Galpo 2023 | Bengali Social Story in pdf | Top Writer – Natun Bangla Galpo 2023 | Natun Bangla Galpo 2023 video series | Natun Bangla Galpo 2023 – web series | Natun Bangla Galpo 2023 – Latest version | Bengali Social Story Full Download | Natun Bangla Galpo 2023 pdf book | web video – Natun Bangla Galpo 2023 | web reader – Natun Bangla Galpo 2023 | pdf reader – Natun Bangla Galpo 2023 | pdf publisher – Natun Bangla Galpo 2023 | Bengali Social Story Translation | Shabdodweep Publisher | Shabdodweep Bengali Social Story | Shabdodweep Publisher 2023 | Shabdodweep Video Publisher | Shabdodweep Audio Book | Bengali Horror Adult Story | Best Selling Horror Adult Story | Shabdodweep Video Book | bengali story | bengali story books for child pdf | Bengali Social Story for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali story books pdf | bengali story for kids | Bengali Social Story reading | short story | short story analysis | Bengali Social Story characteristics | short story competition | short bengali story definition | short story english | short story for kids | Best Selling Bengali Social Story | Bengali Social Story generator | New Horror Adult Story | bengali story 2023 | short story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | Top Horror Adult Story | Horror Adult Story Episode | Shabdodweep Horror Adult Story | 2023 Top Horror Adult Story | Top ranking Horror Adult Story | Bengali Social Story 2023 | Top Bengali Social Story