Life in Bengali Poetry | Best Bangla Kobita

Sharing Is Caring:

Life in Bengali Poetry – Talal Uddin

অনুকাব্য (১ম কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

বহুরূপী আশা
সে তো মরীচিকা
আশার পানে ছুটে
কতজন হারায়েছে দিশা,
জীবনের মোহনায়
ভুলভাবে করে ফেলে
বন্ধু নির্বাচন
নষ্ট করে ফেলে
তার সাধের সময়।।
— (বন্ধু নির্বাচন)

.

রাতটা আজ বড় কোলাহলপূর্ণ
চরকা কাটা সুতোর মত
দেখতে চাই চাঁদের সাদা বুড়ি
আমি চাঁদ ভীষণ ভালোবাসি।।
— (চাঁদের সাদা বুড়ি)

৩.

ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত
মানুষের চাহনি অভিন্ন
কিন্তু, নিবারণের পন্থা ভিন্ন ভিন্ন
আর তা হল জল এবং অন্ন।।
— (ক্ষুৎ পিপাসা নিবারণ)

৪.

তোমার চোখে পিঁচুটি
তাই
তোমার চোখ অপরিষ্কার
আমার চোখে জল
তাই আমার চোখ পরিষ্কার।।
— (পার্থক্য)

৫.

পাপ কাজ
করে এক জনে
আর তার ফল
ভোগ করে দশজনে।।
— (কর্মফল)

৬.

বিরহের যন্ত্রণা ভুলে
চারদিকে খুঁজে চলি
সত্যের পথ
কোথায় সত্য পথ
নেই তার কোন আলামত।।
— (আলামত)

৭.

ক’জনই বা হতে পারে
দান্তে জুলভার্ন
অথবা শেক্সপিয়ার
সকালের সূর্যটা
ওঠছে হেসে
খুলবে সকল
আলোর দুয়ার।।
— (আলোর দুয়ার)

৮.

পৃথিবী আজ রসাতলে যাবে
বেশ্যাধনির গান শুনে
মোর স্বপ্নে দেখি পদ্মফুল
জরা-মৃত্যু বাস্তবে।।
— (বাস্তব ও স্বপ্ন)

৯.

রাত বাড়ছে
গভীর সে রাত
বহুদূরে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো
করছে চিৎকার;
আমি পড়ে আছি একা জাহ্নবী তটে
কোন এক স্বপ্নসৌধ নির্মাণের প্রত্যাশায়।
— (প্রত্যাশা)

১০.

পলিটিক্যাল সুচিন্তা, ওরে পলিটিক্যাল সুচিন্তা
তুই হলি রাবণের চিতা
তোরে কোনদিন
দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না
আর ছুঁলে নেমে আসবে রাজ্যের অনিশ্চয়তা।।
— (পলিটিক্যাল সুচিন্তা)

যুবতী – তালাল উদ্দিন

১.

কোনমতে দিন কাটে
নিথর ভাবনায়
কোন দিন ও কি
যুবতীর ফালি ফালি চাঁদ
কিরণ বিলাবে না
ভরা পূর্ণিমায়।
আর তার গজগমন
ঠিক যেন উল্কার মতন
আমাকে করে তোলে
স্মৃতিকাতর
তাইতো দেবদাস হয়ে
পথে পথে ঘুরি গো আমি
তবে সে কী হবে না পার্বতী?

২.

এবং তার দুটি সোনালি নক্ষত্র হতে
সোনালি তারাগুলো
ধীরে ধীরে খসে পড়ে
আমার চারপাশে
আমিই কী শুধু পেয়েছি সে সব আলো
যে আলোয় আলোকিত হয়ে
হয়ে যাব জগতের মহান সূর্য।
তাই এ আমাঙ্গের ঘোরে
যা তা বলে যাই গো আমি
হে যুবতী, তুমি হবে কী আমার সাথী?

সমাচার – তালাল উদ্দিন

চারদিকে
নিরাবেগ যাত্রার
ধ্বনি শুনে শুনে
আমি আজ
ক্লান্ত হয়ে গেছি,
দেখেছি
হাইভজের ডানায় চেপে
প্রতিদিনই আসছে
পশ্চিমা সংস্কৃতি ও সভ্যতা
যেখানে
তথাকথিত স্মার্ট
হওয়ার দৌড়ে
মানুষের সে কী ব্যাপক
আগ্রহ ও আকুলতা।
বলি,
সে অকৃত্রিম, সৎ
বন্ধু বৎসল মানুষ
খুঁজে পাইনা গো আর
চারদিকে
নটির নূপুর ধ্বনি
আর ধ্বংসের সমাচার।।

তোয়দ – তালাল উদ্দিন

মরুর দেশে
চলছে তোয়দ
দেখরে তরুণ সোল্লাসে,
দুঃখের তরী
আসবে যখন
বাইবি তখন উল্লাসে।
তুই, নতুন বনে
জাগাবে সাড়া
ওঠবে তখন আধ-মরারা,
ঘুচবে আঁধার চতুর্দিকে
ভুবন হবে আলারে।
তুই, সোনার বাঁশি
বাজিয়ে তখন
গাইবি রি গান প্রাণ খুলে।
তোর, মনের গাঙ্গে রং ধরেছে
উজান-ভাটি সবই আছে
তুই, ময়ূরপঙ্খী নাও ছেড়ে দে,
ত্বরা করে চল
আলোর দেশে
নাঙ্গা-ভুখা, তৃষ্ণার্তেরা
সবাই আছে তোর সাথে,
কুলীন পূজায়
মন্ত্রী পূজায়
জোরসে চলুক লাথিরে।।

রঙধনু বন্ধু – তালাল উদ্দিন

১.

জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে
মোর জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে
কে বা দিল গলে মালা
চুপিসারে
কে বা দিল আশা
আর ভালোবাসা
ভাবি আমি বসে তীরে
একা মনে
মোর জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে
মোর জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে।।

২.

সহজের যত যত ভাষা আছে
বন্ধুটা সবই যেন বলতে পারে
যেন নির্মল মন
স্নিগ্ধ পবন
সদা ঘিরে রাখে গো বন্ধুটারে
মোর জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে
মোর জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে।।

৩.

ধীরে ধীরে আরো ধীরে
যেতেছে সে আরো
প্রকৃতির কাছে
যেন পাখির কুজন
সবুজ মাঠ
সদা ঘিরে রাখে এ বন্ধুটারে
মোর জড়সড় রঙধনু বন্ধুটারে।।

নিশীথ কথন (১ম কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

পৃথিবীর পতন হবে একদিন
ছোট এক গ্রহাণুর আঘাতে
মহানদের ও একদিন থেমে যেতে হয়
এ হল জগতের নিষ্ঠুর নিয়ম।
আমি ঘর বেঁধেছি কোন এক
পাহাড়ের পাদদেশে
গোধূলি লগনে মিশে যাই প্রতিদিন
নিশীথের রূপ- রস- গন্ধ করি আস্বাদন।।

২.

বলতে চাই না আর বার বার
ফেলে দিয়ে এসেছি
সব রাগ- ক্ষোভ -দুঃখ
যত অভিমান আর সব দৃঢ় বন্ধন
আঁধারের বেপারী আমি
আঁধারই আমার আশ্রয়।
ছাইমুখো পেঁচার সাথে কথা হয়
গাছের খোড়লে
ভেকঠোঁটি রাতচরা আমায় করে নিমন্ত্রণ
তার ছোট কুটিরে।
অশরীরী আত্মার সাথে কথা হয় যখন তখন
গায়ত্রী* মন্ত্র জপি
যেন রাত হয় আমার আলয়।।

৩.

যেন পার করছি ত্রিশঙ্কুর* কাল
জানি না মানুষ কিসে হয় সুখী কিংবা দুঃখী
মানুষ তো পড়ে আছে কালাকানুন
ক্ষয়িষ্ণু মানবতা আর গৃধ্নুতার বেড়াজালে
এতে কেউ হয় সুখী কিংবা দুঃখী।।
আর রাতের গভীরতা নেমে এলে
বসে থাকি কোন এক নদীর ধারে
শুনতে পাই হাজার মাইল দূরে চলা
কোন এক মাঝির বৈঠার শব্দ
শুঁকি মাটির সোঁদা গন্ধ
ঐ দূরে জেলেদের লন্ঠন হাতে মাছ ধরা
লেমুরের* বিষ খেয়ে নাচন কুর্দন
কিংবা রাত দুটা বাজলে জমিদার বাড়ির
বড় ঘড়ির ঘন্টার শব্দ
যেন কিছুই বাদ যায় না আর
আমিই রাত আর রাত হল আমার আকার।।

টীকা

ত্রিশঙ্কু – ভারতীয় পুরাণের রাজা ত্রিশঙ্কু স্বর্গে যেতে গিয়ে আকাশ আর পৃথিবীর মাঝখানে আটকে থেকে যান। রাজা ত্রিশঙ্কুর এই হাল থেকেই তৈরি হয়েছে বাংলা প্রবচন ‘ত্রিশঙ্কু অবস্থা’। এ অবস্থা হলো অনিশ্চিত অবস্থা।

গায়ত্রী মন্ত্র – বৈদিক হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, বেদের অন্যান্য মন্ত্রের মতো গায়ত্রী মন্ত্রও “অপৌরষেয়” (অর্থাৎ, কোনো মানুষের দ্বারা রচিত নয়) এবং এক ব্রহ্মর্ষির কাছে (গায়ত্রী মন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্র) প্রকাশিত বলে বৈদিক হিন্দুদের বিশ্বাস। এই মন্ত্রটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এটি ঋগ্বেদের (মণ্ডল ৩।৬২।১০) একটি সূক্ত। গায়ত্রী মন্ত্র গায়ত্রী ছন্দে রচিত।

লেমুর – মাদাগাস্কারের প্রাইমেট গোত্রভুক্ত কিছু প্রাণীর সমষ্টিগত নাম। ল্যাটিন শব্দ lemurs থেকে লেমুর শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ ভূতের মত। রাতের আধারে লেমুরের মুখে আলো ফেললে অনেকটা ভূতের মত দেখায় তাই এর নামকরণ এভাবে করা হয়েছে।

বৃত্তে বন্দী জীবন ও এক মুঠো রোদ্দুরের আশা (২য় কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

টানেলের শেষ প্রান্তে দেখা যায় আলোর রেখা
নির্ঘুম মানুষ খুঁজে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ
অন্ধকার পরিয়ে দ্যায়
রোগ, শোক আর দুঃখের কাফন।
পৃথিবীর শেষ প্রান্তে যেতে চাই
যেন মনে হবে দৃশ্য বড় মনোমুগ্ধকর
তবু, আটকে যাই অজানা এক গেরোয়
সুষুপ্তি ঘিরে ফেলে আমার জীবন।

ও যন্ত্রণা, তুমি কি বৃন্ত চ্যুত কোন ফল?
নাকি কোন এক চৈত্র্যের দুপুর
আঁধারের বেসাতি ছড়াও প্রান্তর থেকে প্রান্তর
আমার জীবন তাই বড় বিষাদময়।।
আমি আর আঁধারের বেপারী হতে চাই না
লকলকে জিহ্বা আর হতাশার কাহন
যেন না হয় সম্বল
বৃত্তে বন্দী জীবন আর ভালো লাগেনা।।

২.

স্পার্টাকাসের* মতো বিদ্রোহ করতে চাই
সকল বৃত্তের বিরুদ্ধে
সকল প্রথা নিয়ম আর সংস্কারের বিরুদ্ধে
ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস* হয়ে
চলে যেতে চাই মেরু অভিযানে
ক্যাপ্টেন নিমো আমার বড় পূজনীয়
তাঁর কথা এখানে কেন বাদ যাবে?
একদিন বৃষ্টি ঝরবে এ জীবনে
সকল অভিশাপ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে
এক মুঠো রোদ্দুরের দেখা মিলবে
সে আশায় বেঁচে আছি যুগ যুগ ধরে।

জীবনের সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে
যখন সব পাখি নীড়ে ফিরে যায়
আমিও বাসা বাঁধতে চাই
কোন এক পাহাড়ের পাদদেশে
যেখানে থাকবে ছোট এক বাগান
হরেক রকমের পাখপাখালি
আর চিন্তা জাগানিয়া সব বই
মোৎসার্ট, বিটোবেন হবেন নিত্য সখা
আমার এ স্বপ্নকে আমি কখনো ছেড়ে যাব না।।

টীকা

১. স্পার্টাকাস – ইতিহাসবিদগণের মতে, স্পার্টাকাসের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ১১১ অব্দে; রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত থ্রেস অঞ্চলের এক গ্রামে। ধারণা করা হয়, তরুণ স্পার্টাকাস তার শক্তিশালী গড়নের কারণে রোমান সেনাবাহিনীতে চাকরি লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে তাকে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়।

২. ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস – দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অফ ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস (ফরাসি: Voyages et aventures du capitaine Hatteras) জুলস ভার্নের একটি দুঃসাহসিক উপন্যাস।।

মরিলে চিনিবায় তাহারে – তালাল উদ্দিন

“মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায়, কিন্তু হারানো যায় না।”

– আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

১.

হাজার বাতি নিভে গেলে
আগুন থাকলে জ্বলবে
মানুষ নামের সোনার বাতি
কেমনে ফিরে পাবে রে মন
কেমনে ফিরে পাবে
মরিলে চিনিবায় তাহারে
ও মন
মরিলে চিনিবায় তাহারে।।

২.

অনন্ত জীবনের তরে
জপ করেছে কতজনে
কতজন সঁপেছে দেহ
কতজন সঁপেছে মন
আসলে মানুষ অমর
আত্মা তাঁর অবিনশ্বর
মানুষের মূল্য হল
মহাবিশ্ব সম রে
মরিলে চিনিবায় তাহারে
ও মন
মরিলে চিনিবায় তাহারে।।

৩.

বাঁচা আর মরার খেলায়
কেউ হেরে যায়
কেউ জিতে যায়
কেউ বা ডুগডুগি বাজায়
কেউ বা করুণ গান শোনায়,
আসলে মানুষ অজেয়
হবেনা তার পরাজয়
মানুষের আত্মা হল
আরশের সমান রে
মরিলে চিনিবায় তাহারে
ও মন
মরিলে চিনিবায় তাহারে।।

মন যদি পুড়ে যায় – তালাল উদ্দিন

“যদি তুমি চলে যেতে চাও যাও আমি পথ হবো তোমার পায়ের নিচে, না ছুঁইও তোমায় ছুঁয়ে থাকবো।”

– হেলাল হাফিজ

১.

মন যদি পুড়ে যায়
দেহ পুড়ে লাভ নেই
মন পোড়ার ব্যথা
কেহ বুঝে না
সে আসে শুধু স্বপনে
লম্বা ঘোমটা তুলে
বাহির রূপ তার
দেখা যায় না
মন তবু পুড়ে যাক
যাক্ যাক্
পাক শত বেদনা।।

২.

অন্তহীন পথে
চলবগো আমি
সে সাথে যাবে
সে বাসনা
মন পরাণের ঘাটে
থামব একদিন
কন্টক বিঁধার ব্যথা
তারে দেব না
মন তবু পুড়ে যাক
যাক্ যাক্
পাক শত বেদনা।।

৩.

অরফিউসের* বাঁশি
সাথে আছে দিবানিশি
মৃত্যু ভয় কী?
তা তো জানি না,
বসে আছি বিরসমুখে
শ্যারন মাঝির ঘাটে
ছিনিয়ে আনব তারে
কেহ মানব না।
মন তবু পুড়ে যাক
যাক্ যাক্
পাক শত বেদনা।।

টীকা

অরফিউস – সুরের নয়জন দেবীর অন্যতম একজন ক্যালিওপি। তার পুত্র অরফিউস। অরফিউস ছোট থাকতেই তার চাচা তাকে উপহার দিয়েছিলেন সুরবাহার। মা সংগীতের দেবী, জন্মসূত্রে অরফিউস তাই গান ভালোবেসেছিল। তাকে সুরবাহার বাজাতে শিখিয়েছিল এপোলো স্বয়ং।

বন্ধু এ জীবনে – তালাল উদ্দিন

“Sightless, unless
The eyes reappear
As the perpetual star
Multifoliate rose
Of death’s twilight kingdom
The hope only
Of empty men. ( Lines 61-67)”

– The hollow men, T.S Eliot.

১.

বন্ধু এ জীবনে
তোমায় করি আহ্বান
তুমি বিনে জীবন
যেন মরণ সমান
দু’ জাহান সে জাহান
মোরা দু’জন একটি প্রাণ
তুমি চিরসাথী
সে তো প্রকৃতির পয়গাম।।

২.

প্রথম স্মৃতি
তোমার সাথে
মঞ্চের সত্য গান
হাসিমুখে গেয়েছিলে
পিরীতি মহান।।
বন্ধু এ জীবনে
তোমায় করি আহবান
তুমি বিনে জীবন
যেন মরণ ও সমান।।

৩.

সব রাত
ঝড়ের রাত
তুমি আনবে রাঙা প্রভাত
হরদম সে স্বপন
আমি দেখি অবিরাম।
বন্ধু এ জীবনে
তোমায় করি আহবান
তুমি বিনে জীবন
যেন মরণ ও সমান।।

নিরুপমা ও সাদা শার্ট – তালাল উদ্দিন

সাদা শার্টের ওপর
কালো ফিতেটা বাঁধতে না বাঁধতেই
নিরুপমা চিৎকার করে বলে উঠল,
থাম! থাম!
ওটা করিসনে সুবল
মানসপটে কোন কালো ছবি
আঁকিস নে।
মুচকি হেসে বললাম আমি
ছি! নিরুপমা
তুমি এতই ভীতু
এতই দুর্বল
তোমার মনটা
কেন হয়না সাদা শার্টের মতন?
কিংবা ঐ সব সাদা বকদের মতন
যারা সাদা শার্টের ওপর
ভর দিয়ে উড়ে যায়
এক প্রান্তর থেকে আরেক প্রান্তর
নিরুপমা অথবা নিরুপমারা
তবু থেকে যাবে
অতল গহব্বরের ভেতর
কত বৈচিত্র্যহীন তার জীবন।
নিরুপমা প্রতিদিন অসংবৃত
গান শুনে
শুনে শুনে হয়ে গেছে পাথর
যদি কদাচিৎ রেগে যায়
তবে বলে উঠবে কর্কশ কন্ঠে
এসব কি হচ্ছে ব্যাটা, পাঁজি- নচ্চর?
আমি শুধু সাদা শার্টের ভেতর দিয়ে
দেখছি আর হাসছি
সকালের সূর্যটার মতন
এবং সাদা শার্টের ওপর
লিখে যাচ্ছি অনবরত
এসব ভালোবাসার খবর।।
নিরুপমা অথবা নিরুপমারা
বেঁচে থাকবে, বেঁচে যাবে
বেঁচে থাকুক চিরকাল
তেলাপোকার মতন
আর আমি শুধু সাদা শার্ট হয়ে
কোন কলঙ্ক না মাখিয়ে
ছিঁড়ে যাব কিছু কাল পর।।

শব্দ প্রেমিক – তালাল উদ্দিন

১.

শব্দ প্রেমিক
খুঁজে ফেরে
শিহরণ তোলা
অমর শব্দগুলো
ইতিহাসের পাতা ওল্টে
আর আগমনী সুর তুলে
পরাণের গহিন ভেতরে
কখনোবা চোখের
পিঁচুটি সরিয়ে
দৃষ্টি মেলে দ্যায়
প্রকৃতির নোনা জলে
মন্থন করে নিয়ে আসে
ঝংকার তোলা
একেকটি শব্দ
ও কল্পিত দৃশ্যকাব্য
একটু একটু করে।
শব্দ প্রেমিক
সে তো মহান
অপার সম্ভাবনার
কথা বলাটাই যে
তার মহত্ত্ব
আর কোন তন্বী
তরুণীর এলোচুল
শব্দ প্রেমিকের
উদার ক্যানভাস।।

২.

শব্দ প্রেমিক
কনকর্ড বিমানের মতো
কখনো থেমে থাকে না
জরার দেশে বলে ওঠে
নূরল দীনের মতো
কোন এক ভরা পূর্ণিমায়
জাগো, বাহে, কোনঠে সবাই?”
জাগো,বাহে, কোনঠে সবাই?
আর নিয়ে আসে
হাসিখুশির ফোয়ারা
শান্তি ও সমৃদ্ধির ছায়া,
শব্দ প্রেমিক সার্টিফিকেট
অর্জন করেনা
বরং সে পায় পৃথিবীর
তাবৎ মানুষদের থেকে
আর তাতে লেখা থাকে
“শব্দ প্রেমিক মহান
শব্দ প্রেমিক অমর।।”

এক মুঠো আশা ও প্রত্যাশা – তালাল উদ্দিন

ভাবছি বহুকাল ধরে…
চাঁদ নেই
তবু চাঁদের প্রত্যাশায়
স্বপ্ন নেই
তবু, স্বপ্নের জাল বুনতে চাই
কামনা নেই
তবু, দগ্ধ হতে চাই
যদি একটি মুহূর্তও বেঁচে থাকি
রাত নির্বাসনে
ভোরের দৃশ্য
শুধু একবার দেখতে চাই
শুধু একবার দেখতে চাই
সে প্রত্যাশায়
ভাবছি বহুকাল ধরে……..
সে প্রত্যাশায়
বেঁচে আছি যুগ যুগ ধরে………।

হালের কবিতা – তালাল উদ্দিন

১.

মাঝে মাঝে মনে হয়
একটু একটু করে
ক্ষয়ে যাচ্ছে শরীর
মনের হচ্ছে লয়
শকুন ঠুকরে ঠুকরে
ফেলে দ্যায়
পোকা খাওয়া মূল্যবোধ
যান্ত্রিক চাপে
আজ মানুষ হচ্ছে হয়
যেন
এক কানাগলির ভেতর দিয়ে
চলছি আমরা সকলে
বিবেকের দরজা যেথায় অন্ধকারময়।

২.

মাঝে মাঝে মনে হয়
বেঁচে থাকা অর্থহীন
অন্তত চারপাশটা দেখে
যেন পার করছি
জরাসন্ধের কাল
আমার জগৎ তাই বড় বিষাদময়।

৩.

মাঝে মাঝে মনে হয়
হাইভজ করেছে বিস্তার
কাকতাড়ুয়া দিয়ে
পাখি খ্যাদানো যায় না আর
কেউটেরা আজ
ছড়িয়েছে চারদিকে
সময় ও সুযোগ পেলে
তুলছে ফণা
শয়তান অন্ধকারে
চুপ মেরে বসে থেকে
মেলে দিচ্ছে তার খবিস ডানা

এভাবে সবকিছু নষ্ট, দুরাত্মা,
শয়তান আর বেহায়াদের
অধিকারে যাবে
আর যাচ্ছে ও নিশ্চয়
বিবেকের কবন্ধ আমি
আমার নেই তো সময়।।

দৌলা বাড়ি – তালাল উদ্দিন

১.

আনুমানিক ৫০ বছর পরে
আদিম গুহা থেকে বের হয়ে
যেদিন পৃথিবীর আলো ফের দেখলাম
সেদিনই তাজ্জব বনে গেলাম
গ্রাম বা বাড়ির কোন রাস্তাই
জোতমতো চিনতাম না আমি
এ-কে ও-কে জিজ্ঞেস করে
যখন গ্রামে পৌঁছলাম
তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম
কোন এক অপয়া অথবা ভিন গ্রহের সন্তান
আমাকে কেন্দ্র করে
জটলা বেঁধে গেল এবার
কোন বাড়ি যাবেন?
কি করেন?
নাম কি আপনার?
আমি তবু নিরুত্তর থেকেছি বারবার
এরা তো পুঁচকে ছেলে
হতে চাই না কোন হাসির খোরাক।।
তবু ভাগ্যটা ছিল বেশ ভালো
একজন এগিয়ে এসে বললেন
কিভাবে সাহায্য করতে পারি স্যার?
আমি বললাম মৃদু কণ্ঠে
দৌলা বাড়ি কোন দিকে যায়?
তিনিও মুচকি হাসলেন
বললেন, আমি তো দৌলা বাড়ির সন্তান।।

২.

পথ চলতে চলতে
আমরা চলে আসলাম
একটা বাড়ির সামনে
উনি বললেন, এটা দৌলা বাড়ি
চলে আসেন ভেতরে
আমি তবু আশ্চর্যান্বিত হলাম
এটা কি দৌলা বাড়ি
বা নিদেনপক্ষে কোন মুসলিম বাড়ি
যেখানে পর্দা দিয়ে
বেপর্দা ঢেকে রাখার প্রয়াসের অভাব
আমি তাই সটান দাঁড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ
উনিও তাড়া দিলেন
বললেন, চলে আসেন মহাশয়।
দ্রুত পায়ে চলে গেলাম
বাড়িটার ভেতর
দেখলাম এ যেন বাড়ি নয়
কোন এক নরকের আলয়।
শুনলাম চারিদিক থেকে ভেসে আসছে
বেসুরো সব ইংলিশ ও হিন্দি গান
মুন্নি বদনাম হোয়ে থেকে
হালের বিলবোর্ডের টপওয়ান
“ব্লাইন্ডিং লাইটস”** সং
আমি তাই ক্ষেপে গিয়ে
বললাম যা তা
বাড়িটা কী তবে হবে
ইংলিশ ও হিন্দি গানের জলসা
তারা জানাল
এসবই স্মার্টনেস ও আধুনিকতা।।

৩.

হঠাৎ দেখলাম আকাশে উড়ছে
কিছু রঙিন ফানুস
বললাম কিসের এসব ফানুস?
তারা জানালো আজ জন্মদিন
ব্ল্যাক বয় ও নেটিভ সানের
আমি ভাবলাম হতে পারে
আমার কোন ভবানীর
কিছুক্ষণ পরে দেখলাম
দুটি প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে
দুটি ছাগল ছানার গায়ে
তাতে লেখা
Happy birthday to Black boy and Native Sun
তখন মনে মনে ভাবলাম
মানুষই যেখানে জন্মদিন পালন করতে পারে না
সেখানে জন্মদিন পালন হচ্ছে দুটি ছাগল ছানার
সত্যি এক তাজ্জব ব্যাপার।।

৪.

আর আমি দিতে চাই না মহিলাদের
পোশাকের বিবরণ
শুধু বিকিনিটা পরার রয়েছে বাকি
ক্লিটোরিস পর্যন্ত আর আমি নিচে যেতে চাই না,
বাড়িটা ও আর পূর্বের অবস্থায় নেই
এখন হয়েছে ৩০-৩৫ টা ঘর
বাড়িটার শ্রী বৃদ্ধি হয়েছে
সত্যি এক গৌরবের খবর।।
আবারো আমাকে নিয়ে বেঁধে গেল এক জটলা
আপনি কে? কিসের জন্য এসেছেন?
কাকে চান মুসালা?**
আমি তবু নিরুত্তর থেকেছি বারবার
হঠাৎ দেখি সমবয়সী এক মহিলা
ভিড় টেলে আসছেন এ ধায়
উনি আমায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে বললেন
এ যে সিরাজ-উদ্-দৌলা
এতদিন কোথায় ছিলেন ভাইজান?
ঠিক তখনই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে
শুরু হল ক্রন্দন থেকে গভীরতর ক্রন্দন
আমি ও চিনলাম, এ যে আমার ছোট বোন
নাম তার মাঈশা খানম।
কিন্তু আমার স্বজনেরা দেখায়নি কোন প্রতিক্রিয়া
তারা তো জানেনা আমায়,
দেখেনি কোন গৌরবের নমুনা
দেখলাম কিছুটা ভয় ঢুকেছে তাদের মনে
আমি বা হতে পারি কোন এক প্রেতাত্মা
বোনকে প্রশ্ন করলাম
মা কোথায় রে খানম?
প্রশ্নটা তার কাছে ছিল বজ্রপাতের মতন
কিছুক্ষণ নিরুত্তর থেকে বললে আমায়
মা তো পরপারে গেছেন ৪০ বছর আগে
আর মৃত্যুকালে জানতে চেয়েছেন
আমার সিরাজ-উদ্-দৌলা কেমন আছে?

৫.

ছোকরার দল আমাকে নিয়ে গেল
আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে
কিন্তু এটাকে ঠাহর হচ্ছে যেন কোন
ডিজাইনের স্থান বা কোন ফ্যাশন শো
যেখানে চলে কারুকার্যের প্রতিযোগিতা
কিন্তু মনে নেই কোন তাকওয়া।

আমি তবু দু’হাত তুলে
জপ করলাম মহান আল্লাহ ‘তায়ালার নাম
পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ করলাম
সূরা ইখলাস, আয়াতুল কুরসি
আরো কিছু দোয়া দরুদ যতদূর জানি
যেন কিছু সওয়াব পৌঁছে দিতে পারি মায়ের রুহের ওপর।
আমার কাণ্ডকারখানা দেখে ছোকরার দল
বনে গেল তাজ্জব
আমি শুধু চুপিসারে বললাম
এভাবে করতে হয় মুসলিম শরিয়াহ মতে
কবর জিয়ারত সমাপন।।
আছরের আযানের মঞ্জুল ধ্বনি শোনা গেলে
ছুটে চললাম মসজিদ পানে
দেখি, ইমামের কক্ষ থেকে বের হচ্ছেন এক মহিলা
যাকে ৫০ বছরের আগেকার স্ট্যান্ডার্ডে
খুব খারাপ বলা যাবে
গুহাবাসী মানব আমি
আজকের স্ট্যান্ডার্ড, মূল্যবোধের গোলকধাঁধা
কখনো বুঝতে পারি না।

৬.

রাতের খাবার সাঙ্গ হলে
আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো
অন্ধকারাচ্ছন্ন এক ঘরে,
এখন মহাশূন্যের যুগ
বাড়ির পাশে ছোট এক টারবাইন বসিয়ে
কোড ISS 950 লিখে দিলেই
যেকোনও জায়গা থেকে
পাওয়ার ট্রান্সফার করা যায় খুব সহজেই
কিন্তু এখানে এসবের কোন বালাই নেই
আমি তো গুহাবাসী মানুষ
আমার সাথে এমন আচরণই চলে।।
কিন্তু সকালে ওঠে শুনি না তো পাখিদের গুঞ্জন
বউ কথা কও, শালিক, ময়না টিয়া
এসব কি হারিয়ে গেছে এখন?
কেননা চারদিকে আজ শোনা যাচ্ছে
মহাশূন্যের ইটিদের** খসখসে রবোটিক শব্দ;

যতদূর মনে পড়ে বাড়িটা ছিলো হরেক রকমের
গাছগাছালিতে ভরপুর
যেমন দেবদারু, তুলসীগাছ, আম গাছ, জাম গাছ
নারকেল গাছ, রেইনট্রি এবং আরো কত লতাগুল্ম ;
কিন্তু এখন এসবের কিছু নেই আর
যেন সবকিছু হয়ে গেছে রফাদফা
জমিন থেকে আসমান হবে ফকফকে সাদা;

৭.

এসব দূষণ, মূল্যবোধের অবক্ষয়
ভণ্ডামি আর কৃত্রিম জীবন দেখে
একদিনেই হাঁপিয়ে গেছি আমি
‘কা তব কান্তা কস্তে পুত্র’ ** জপে
ফের হতে চাই গুহাবাসী।।

ফুট নোট

**মুসালা: মুসালা নামের আরবি অর্থ “অনুকরণীয়”, “মডেল”, “আদর্শ”। কিন্তু এটাকে এখানে ব্যঙ্গাত্মক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

**কা তব কান্তা কস্তে পুত্রঃ সংসারোহয়মতীববিচিত্রঃ।
কস্য ত্বং বা কুতঃ আয়াতঃ তত্ত্বং চিন্তয় তদিদং ভাতঃ॥২॥
অর্থ- কে তোমার স্ত্রী? কেই বা তোমার সন্তান? এই সংসার হল অতীব বিচিত্র। তুমি কার? তুমি কোথা থেকে এসেছ? তত্ত্ব সহকারে এই বিষয়ে চিন্তা করে দেখ।

শেষ বাংলা ক্লাস – তালাল উদ্দিন

মাতৃগর্ভ থেকে শিখেছি বাংলা ভাষা
তাই, এ ভাষার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই
হৃদয়ে ঘটে যায় রক্তক্ষরণ
আমার ও রক্তক্ষরণ হয়েছিল সেদিন
যেদিন জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন
“উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা “
সবার মতো আমিও প্রতিবাদ করেছিলাম
বলেছিলাম, মানব না মানব না।।

মনে পড়ে
পড়ুয়া ছিলাম আমি ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরের
গুঞ্জন শুনেছিলাম শিক্ষা দেওয়া হবে উর্দুতে
সে গুঞ্জন সত্যি হলো রফিক স্যারের ক্লাসে যেয়ে
স্যার বলেছিলেন, আজ তোমার শেষ বাংলা ক্লাস
কেন দেরি করলে ফরহাদ?
কথাটা শুনে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম
আর দু’য়ে দু’য়ে মেলাচ্ছিলাম চার
এজন্যই বুঝি রাস্তায় পাকসেনাদের টহল
আর সুনসান স্কুলের চারপাশ।
আমি আরও অবাক হয়েছিলাম
ক্লাসের পেছনের বেঞ্চগুলো দেখে
বসে আছেন হারুর বাপ, মেম্বার, চেয়ারম্যান
ও এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
তারা স্যারের ৪০ বছরের শিক্ষকতা ও
বাংলা ভাষার সম্মান জানাতে এসেছেন।

যথারীতি পাঠদান শুরু হলো আমাদের
কিন্তু আমি পড়া শিখে আসিনি
স্যার তবু রাগ করলেন না। বললেন,
কিভাবে তুমি নিজেকে বাঙালি পরিচয় দিবে, ফরহাদ?
আজ হতে ২০ বছর পরে
যখন তুমি বাংলার ব’ ও জানো না।
আমি অনুতপ্ত হলাম
আজ আমার শেষ বাংলা ক্লাস
অথচ আমি শিখি নি বাংলা ভাষা
যে বইগুলোকে মনে হত স্রেফ জঞ্জাল
এখন মনে হচ্ছে হীরের টুকরো।
আমি বুঝি না, কেন চাপিয়ে দেওয়া হবে উর্দু ভাষা?
মায়ের ভাষায় কেন পড়তে পারব না?
দোহাই :
মনে পড়ে
পাক শাসকেরা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল
তুমুল গণআন্দোলনের মুখে
তাই বাংলার শেষ ক্লাস করতে হয়নি আমাদের
তবু, রফিক স্যারকে আর দেখা যায়নি
হয়তোবা অবসর নিয়েছিলেন
অথবা বদলি হয়েছিলেন
ঝাপসা স্মৃতিতে এর বেশি মনে পড়ে না।।

একুশ – তালাল উদ্দিন

একুশ আমার রক্তে মিশে
বাংলা ভাষার ঘ্রাণে
একুশ আমার বিশ্বায়নের
অর্থনৈতিক উন্নয়নে
একুশ আমার নাচন জাগায়
আত্মভোলা মনে
মনের ভুলে দেই ছুটিয়ে
রঙ্গের ঘোড়াটাকে
অবাক হয়ে বিশ্ব দেখে
একুশ রত্ন আমার
আধমরারা উঠবে জেগে
সাফ হবে জঞ্জাল।।

যেভাবে পেলাম ক, খ, অ, আ – তালাল উদ্দিন

সবুজ পৃথিবীর বুকে
এক ফোঁটা
রক্তের দাগকে
বড় অপবিত্র লাগে
তখন ভেঙ্গে যায়
হাজার বছর ধরে
লালন করা
সহনশীলতার ঐতিহ্য।
আমরাও অসহনশীল
হয়েছিলাম
২১শে ফেব্রুয়ারির দিনে
বুক চিতিয়ে
বলেছিলাম
বাংলা হোক রাষ্ট্র ভাষা
বাংলা আমার মায়ের ভাষা।
তক্ষকেরা দাবি না মেনে
বরং করল গুলিবর্ষণ
তখন ঝরে পড়েছিল
সালাম, রফিক, বরকত
আর জব্বারের মতো তাজা প্রাণ
বিনিময়ে পেলাম
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা
উদার জমিন
মুক্ত আকাশ
আর পেলব বর্ণমালা ক,খ, অ, আা।।

তালাল উদ্দিন | Talal Uddin

Bengali Story 2023 | শুভদীপ দত্ত প্রামানিক | অণুগল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | শুভদীপ দত্ত প্রামানিক | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | তন্ময় দাস | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | তালাল উদ্দিন | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

দৌলা বাড়ি | সিরাজউদ্দৌলা | নবাব সিরাজ উদ্দৌলার পুত্র কে | সিরাজ-উদ-দৌলার সমাধি | নবাব সিরাজউদ্দৌলার জন্ম কত সালে | নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোথায় বন্দি হন | সিরাজ উদ দৌলার স্ত্রী | সিরাজউদ্দৌলার পরিবার | নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইতিহাস | নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | সেরা বাংলা কবিতা | কবিতাসমগ্র | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Life in Bengali Poetry 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books | Life in Bengali Poetry pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Life in Bengali Poetry Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2023 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023 | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending Life in Bengali Poetry | Life in Bengali Poetry – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | Life in Bengali Poetry examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | Life in Bengali Poetry Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life | Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New Life in Bengali Poetry | Writer – Life in Bengali Poetry | Top Writer – Life in Bengali Poetry | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – Life in Bengali Poetry | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Life in Bengali Poetry | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf | Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live collection Bengali Poetry | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | Best Bangla Kobitar Live Video | Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Live Bangla Kobita | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online High Trend Bangla Kobita Selection | High Trend Bangla Kobita translation in english | High Trend Bangla Kobita | High Trend Bangla Kobita for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics

Leave a Comment