New Bangla Kobita Sankalan | Shabdodweep Bengali Poetry

Sharing Is Caring:

New Bangla Kobita Sankalan – Sumita Choudhury

আগত আগামী – সুমিতা চৌধুরী

গতানুগতিকতায় আবারও এক বর্ষ বিদায়ক্ষণ সদ্য উত্তীর্ণ,
সময়ের স্রোতে তেইশ নিয়েছে বিদায় চব্বিশকে স্বাগত জানিয়ে।
কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, পূর্ণতা-অপূর্ণতায় সাক্ষর রেখে গেল বিদায়ীবর্ষ।
সময়ের দলিল স্মৃতিরূপে রেখে দিল তা আপন হিসেবের খাতায়।

জীবন আপন পরিসরে রচল কতোই গল্প ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে,
সময়ের অভিধানে জুড়ল কতোই নতুন ঘটনা-দুর্ঘটনা,
চলতি ক্যালেন্ডার পট পরিবর্তনের চক্রপথে অতীতের যাত্রায় লেখাল নাম,
দিন-তারিখ-মাসের চৌহুদ্দিতে উজ্জ্বল অক্ষরে স্থান নিল নতুন ক্যালেন্ডার, নতুন অবয়বে।

কত সুখ-দুখের আখ্যান লেখা হলো যোগ-বিয়োগের স্মৃতির পাতায়,
কত শূন্যতা, বুক উজাড়ের কান্নার দাগ রেখে গেল মনের ঘরে,
তবু সব জীর্ণ যাপন ভুলে, সব মলিনতা মুছে, বরণ ডালা সাজলো আগামীর আহ্বানের,
এক নতুন ভোরের অম্লান আলোর আশায়, মনের কাঙ্ক্ষিত প্রতীক্ষায়।।

শেষের শুরু – সুমিতা চৌধুরী

শেষের দিকে তাকিয়ে থাকা মন আসলে নতুনকেই খুঁজে চলে সারাক্ষণ,
শেষ মানে তো সবকিছুরই শেষ নয়।
এক অধ্যায়ের পর আবার এক নতুন সূত্রপাত,
আগামীর পথে পা বাড়ানো।

কিছু গল্প শেষে আবার নতুন গল্পের মালা গাঁথা,
চোখের তারায় প্রতিফলিত হয় এক নতুন ভোরের আলো।
স্বপ্নেরা হাতছানি দেয় ভাটা পেরিয়ে উজান পথে,
মনবিহঙ্গ পাখা মেলে সুনীল আকাশে আবার উড়ান ভরার তাগিদে।

শেষের পাতেও যে থাকে কিছু অবশেষ,
যার জমিতেই ভিত স্থাপন করে ভাবীকাল।
বাড়তে থাকে ক্রমেই আড়ে-বহরে,
পরিচিত হয় স্বনামের নিজস্বতায়।

তাই তো অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এক মালায় গাঁথা,
আজ যা ভবিতব্য, কাল তাই বর্তমান,
আবার আগামীতে তাই অতীতের পাতায় দৃশ্যমান।
কালচক্রের প্রবাহে প্রতিটি শেষেরই শূন্যস্থান ভরে নতুন আগামী, নতুন আশার সঞ্চারে।।

নতুনের আশায় – সুমিতা চৌধুরী

কিছু গল্প শেষে,
শুরু হয় আবার পথচলা।
নতুন আশা নিয়ে,
নতুন বছরের যাত্রাপথে।
যা কিছু জীর্ণ যাপন,
পিছে পড়ে রয় স্মৃতির পাতায়।
নতুন অরুণোদয়ের উষ্ণ স্পর্শে,
মন বাড়ায় ছুঁতে আগামীকে।
চোখের কোলের জলের রেখা মুছে,
স্বপ্ন বোনা ফের হয় শুরু।
হিসাব-নিকাশের অঙ্ক মুলতুবি রেখে,
জীবন খাতা ভরে ফের নতুন গল্পের আখরে।
জীবন তো চায় বাঁচতে প্রতিক্ষণে,
প্রতি পলেই নিজস্ব উৎযাপনের চাহিদায়।
তবু সুখ- দুখ যে দোসর, সবার ভাগেই,
কারো বা সেই পাল্লাটা যায়, কোনো দিকে একটু বেশি হেলে।
মীরজাফরি রাত কারো বা বড়ো,
কারো বা দিনের পাল্লাটা বেশি ভারী।
চন্দ্রিমা রাতকে সবাই দেয় প্রশ্রয়,
মরুভূমি দিনের রুক্ষতাকে ছেড়ে।
দিনের গভীরে যে তারারা থাকে অলক্ষ্যে,
তারাও পল গোনে আপন রাত সফরের।
সবাই চায় আপন যাপনের প্রতিফলন,
জীবন দরিয়ার কাকচক্ষুতে দেখতে।
একটুকু আশা মুঠোভরা কিছু সুখ,
কিছু জেনা মুহূর্তের গাঁথা মালা,
আপন পদচিহ্নের সাক্ষরে,
রেখে যাওয়া মরণের পরেও এই “আমি”টারে।।

ফিরে দেখা সময়ের বাঁকে – সুমিতা চৌধুরী

ফিরে দেখা সময়ের বাঁকে ফেরারি স্মৃতিরই ডাক,
কত কি পূর্ণতা-অপূর্ণতায় রয়ে গেল ভাঁড়ার জুড়ে।
একদিকে জমেছে কিছু অমূল্য পাওয়া জীবনের পরিসরে,
তেমনই হারানো কিছু দুর্লভ সম্পদ, রেখে গেল আজীবনের রিক্ততায় ভরে।

সময়ের বালি ঘড়িকে রোখা যায়নি এতোটুকু,
মুঠো গলে ঝরে পড়েছে অবিরাম, অবিচ্ছেদ্য।
সাথে নিয়ে কিছু সুখ-দুখের পসরা,
মনের খাতায় সাক্ষর রেখে গেছে নিজ দলিলের অনবদ্য।

মনের ক্যানভাসে কোথাও আশমানী রঙের ছাপ,
স্বপ্ন ডানায় উড়াল দেওয়ার আহ্বানে।
কোথাও বা ধূসর প্রলেপ, কুয়াশাচ্ছন্ন দৃশ্যহীনতা,
আগামী পথের অন্তরায় হয়ে এক অলিখিত ফরমানে।

তারই মাঝে কিছু মন জমিতে সেঁচা চারার অঙ্কুরোদ্গম,
যত্নে বাড়ছে পরম মমতার লালনে,
কিছু অযাচিত আগাছা-পরগাছার ঝাড়
নাশ হয়েছে, আজন্মের মূল উৎপাটনে।

যাকিছু সময়ের গচ্ছিত ধনরাশি,
স্মৃতির ভাঁড়ারে সবই আজন্মের সঞ্চয়।
কিছু তার সুখযাপন, অম্লান অক্ষয়,
কিছু দুঃসময়, বুকে বয়ে নিয়ে আপন শিক্ষার পরিচয়।।

আরো একটি নতুন বছর – সুমিতা চৌধুরী

নতুন বছর এক নতুন প্রত্যাশা,
আলোয় উদ্ভাসিত এক আগামীর।
জীর্ণ যাপনের খোলস ছেড়ে,
ভাবীকালের উজানে এক নতুন পদক্ষেপ।

নতুন বছর এক স্বপ্ন আঁকার জমি,
আনকোরা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হরেক রঙের কোলাজ,
খুশির মিঠে রোদকে মুঠোয় ভরতে চাওয়া,
নবীন-বরণের ডালা আরেকবার সাজানোর পালা।

নতুন বছর, এক নতুন গল্প বলা,
জীবনের খোলা খাতায় কিছু প্রত্যয়ী আখরের আহ্বান।
যাকিছু দুখের পসরা তুলে রাখা চিলেকোঠার আলসেতে,
দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলা এক স্থিতিস্থাপক মঞ্জিলের হদিশে।

নতুন বছর এক প্রত্যয়ী সকালের আশ্বাস,
নীলের অসীমে আরো একবার মনের উড়ান ভরা।
বিদায়ের সাথেই আগমনী সুরের মিলন/ঐকতান,
অতীত স্মৃতিকে পাথেয় করে সাজানো আগামী উৎসবের মজলিশ।।

স্মৃতির ভেলা – সুমিতা চৌধুরী

ছেঁড়া সাদা মেঘ দিচ্ছে পাড়ি,
স্মৃতির ভেলায় ভেসে।
শরৎ যেন দিচ্ছে উঁকি,
মন-গগনে এসে।

রঙিন ফ্রকের গন্ধ আজো,
আছে সৌরভে ভরা।
খুশীতে উজ্জ্বল দিনগুলো তেমনই,
ভরা আছে হৃদয় জোড়া।

স্মৃতিতে উজ্জ্বল, রাঙা নূপুর পায়ে,
নববধূ সাজে অঞ্জলি।
রেখেছি যত্নে মনের আলসেতে,
সেই মধুময় দিনগুলি।

কতো দিন- মাস- বছর কেটেছে,
হয়নি হিসেব করা।
শৈশব, তারুণ্য, যৌবন শেষে,
বুঝি দিয়েছি আজ প্রৌঢ়ত্বে ধরা।

তাই তো স্মৃতির সরণি বেয়ে,
দিচ্ছে উঁকি বিগত শরৎ।
মনের ঘরে বসেছে যেন আজ,
অতীতের আগমনীর নহবত।

শিশির ভেজা শিউলিগুলো কেন,
মনে জাগাচ্ছে আজ কান্নাভেজা পরশ!
একি, অতীতকে হারাবার বেদনা?
নাকি, এক সুখানুভূতির হরষ??

উমা এলো ঘরে – সুমিতা চৌধুরী

শরৎ মানেই সাজ সাজ রব, উমা আসবে ঘরে।
কাশের বনে দোলা লাগে ঐ, শিউলিরা ঝরে পড়ে।
পদ্মদিঘির টলটলে জলে, কমলেরা ফোটে ওই।
খড়ের কাঠামোয় মাটির প্রলেপ, শিশুদের হইচই।

“আশ্বিনের শারদ প্রাতে”, মহালয়ার সুর বাজে,
আকাশ বাতাস মাতল যে আজ, আনন্দ সুর মাঝে।
শত অপেক্ষার দিন গোণা শেষে ষষ্ঠীতে হয় বোধন,
ঢাকের কাঠি, কাঁসর ঘণ্টা, ভুলে যাই যেন দিনক্ষণ।

পাট ভাঙা শাড়ি, নব কিশোরীর হাতে অঞ্জলির ডালা,
হাতে দেওয়া ফুল, চোরা চাহনি, মনেতে প্রেমের দোলা।
নবমীর সেই সন্ধিপূজায়, ভালোবাসারও হয় সন্ধি।
বাঁধন ছেঁড়া মন যেন তাই, মানে না বারণ-গণ্ডি।

ধুনুচি নাচ আর সিঁদুর খেলা, আলতা রাঙা পা,
লাল পেড়ে শাড়ি, কত-শত উমা, ঘরের পাণে চা।
ঢাকের তালে ভাসান নাচ, তরুণদলের মাতন।
“আসছে বছর আবার হবে”, এভাবেই আসে মায়ের বিসর্জন।

ফাঁকা প্যাণ্ডেল, বাঁশের মাচা, করুণ সুরের বীণা,
ধান দূর্বা, মিষ্টি মুখে, শুরু ফের দিন গোণা।।

শারদীয়ার সেকাল একাল – সুমিতা চৌধুরী

সেকালের সেই সাবেকিয়ানা, একান্নবর্তী পরিবারের পুজো নেই তেমন আর,
আজ পুজো শুধুই বারোয়ারি, মোড়ে মোড়ে মণ্ডপের সারি, হৃদয়ে নেই সার।
নেই সেই একচালা বা ডাকের সাজের প্রাধান্য,
এসেছে আজ থিমের পুজো, বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনই সেথা অগ্রগণ্য।
নেই সেই ঠাকুরদালান বা আটচালার মাহাত্ম্য,
আজ শুধুই অর্থের দাপট, জৌলুসের চমক, দেমাকের দৌরাত্ম্য।
খড়ের কাঠামোয় মাটির প্রলেপে ক্ষণে ক্ষণে গড়ে ওঠা মায়ের সেই রূপ,
শিশুমনের কৌতূহল, আনন্দ উৎসবে সামিল হওয়া সকল বয়সী মুখ,
সকলই হারিয়েছে আজ কালের নিয়মে, ব্যস্তময় জীবনযাপনে।
শিউলি ফোটা ভোরে মহিষাসুরমর্দিনীর বেতার সম্প্রচারের হৃদয়গ্রাহী একাত্মতাও নেই আজ তাই চেতনে।
আজ শুধু পুজোকে ঘিরে বিলাস-ব্যসন, সাজ-সজ্জার হিড়িক,
শুধু ছড়িয়ে আছে আমিময় পূতিগন্ধ আজ চতুর্দিক।
উঠে গেছে একান্নবর্তী পরিবারের বাস, সেই গল্প, হাসি-ঠাট্টা, আড্ডা, আবেগ, উচ্ছ্বাস,
আজ খামখেয়ালি জীবনযাপনে, হাল ফ্যাশনের নৈশ আসরে লাগামহীন উদ্দামতার নেই কোনো রাশ।
তবু আজও বাঙালি মননে শারদীয়া সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব রূপে করে বাস,
উৎসব ঘিরে থাকে কারো ঘরে ফেরার টান, প্রাণের ছোঁয়ায় মেটে কোথাও মিলনমেলার আশ।
আজও উৎসবকে ঘিরে বসে বহুমুখী প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতির আসর,
শিল্পীর মুন্সিয়ানায় উমা আজ দেয় বিদেশে পাড়ি বছর বছর।
আজো বয় এই শারদীয়াকে ঘিরে কিছু হৃদ্যতা, মিলনোৎসবের চোরা স্রোত বাঙালি মনে,
তাই সেই সাবেকি ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা, মিষ্টি মুখের প্রীতি উৎসবে মেতে ওঠে স্বজনে।
যদিও আজ ব্রাত্য বাড়ি বাড়ি দলবেঁধে বিজয়ার প্রণাম, আলিঙ্গন, চিঠিতে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধুর রেশ,
আজ মুঠোফোনের বার্তাতেই শুভেচ্ছা বিনিময়, আন্তরিকতার পরিণতি সর্বশেষ।
তবু বাঙালি আজও দিন গোনে এই শারদীয়ার মিলনোৎসবের দিনগুলি বছরভর,
ব্যস্ততম আধুনিকতায় মোড়া রোজনামচার শিকল ভেঙ্গে খোঁজে এক প্রাণঢালা উৎসবের উষ্ণ আন্তরিকতার নির্মল ভোর।।

দুই মা – সুমিতা চৌধুরী

এক মা জগৎ জননী,
জগতের পূজা পায়।
আরেক মা অকূল পাথারে,
খড়কুটো হাতড়ায়।
এক মায়ের সোনার সাজ,
ভক্ত অগুনতি ।
আরেক মায়ের জোটে না ভাতের ঘ্রাণও,
নিরাশ্রয় সন্ততি।
এক মাকে সবে বরণ করে,
করেন অভ্যর্থনা।
আরেক মায়ের স্থান পথের ধূলায়,
মানুষের মানও জোটে না।
মাটির প্রতিমায় প্রাণ স্থাপন,
হয় জাঁকজমকে।
রক্ত মাংসের প্রাণ প্রতিমাকে,
পৌঁছে না কেউ এ জগতে।
মানুষ খোঁজে কেবলই উৎসব ,
কয়েকদিনের তরে।
তাই তো ভূলুণ্ঠিত হন জগৎ মাতাও,
বিসর্জনের পরে।
মাটির প্রতিমায় ঈশ্বর খুঁজি,
খুঁজি উৎসবের রোশনাইয়ে।
মন-মন্দিরে যে ঈশ্বরের চিরন্তন বাস,
এ সরল সত্য যায় গুলিয়ে।
প্রতিমাতেই যে মায়ের স্থান,
এ তো মোরা বুঝি।
প্রতি মাতেই যে প্রতিমার অবস্থান,
তা,অন্তরের চোখে কভু না খুঁজি!!

উমা ও উমারা – সুমিতা চৌধুরী

এক উমা আসার অপেক্ষায়,
কত-শত উমা প্রহর গোনে।
একচালার সপরিবারের উমার জন্য,
একঘেয়েমি যাপন ছেড়ে উৎসবেরই স্বপ্ন বোনে।

এক উমার ঘরে ফেরার বার্তায়,
কত উমা সন্তানের পথ চেয়ে থাকে।
কতো না ভালো-মন্দের পসরা সাজিয়ে,
ক্ষণিকের সুখ যাপনের ছবি আঁকে।

এক উমার বাপের বাড়ি আসার তোড়জোড়ে,
কত উমা ফেলে আসা আঙিনার স্মৃতিতে ভাসে।
ছেলেবেলা দেয় যেন মনেতে ফেরারি ডাক,
কাঙ্ক্ষিত ছুটির অবসরে পরিবারের সান্নিধ্যে এসে।

এক উমা যখন যত্নে-আতিথেয়তায় ভাসে,
চারিদিকে খুশির রোশনাই জ্বেলে।
তখন শত উমার মেনকা মাও,
আপন উমার সুখের লাগি দেয় নিজ প্রাণটি ঢেলে।

এক উমার বিদায়কালে যখন,
ফাঁকা মণ্ডপ অশ্রু বিসর্জন করে।
তখন এমনই শত উমার বিদায় লগণে,
বিরহের ক্রন্দন রোল ওঠে প্রতি ঘরে ঘরে।

যাপনের চৌহুদ্দিতে আবার শুরু হয়
আগামীর পথ চাওয়া,
এক উমার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়
শত উমার অপেক্ষায় তরী বাওয়া।।

মন বাসর – সুমিতা চৌধুরী

সানাইটা আজও আলাপ সারছে মনঘরের নিভৃতে,
রজনীগন্ধা গোলাপের বাসে মজে সেখানে মন।
কখন যেন হারিয়ে গেছি আমি, বর্তমানকে ছেড়ে!
ভাস্বর হয়েছে, তোমার আমার অভিসারের সে ক্ষণ।

সাদা কালো ফ্রেমে ফের উঠেছে জেগে রঙিন ছবিগুলো,
সাদা ক্যানভাসে কে যেন ঢেলেছে মনের আবীর যতো,
প্রেমালাপী আজ হয়েছে মরসুম, আবারও তোমায় ঘিরে।
দূর থেকে দূরে মন ধেয়ে চলেছে, বেখেয়ালী নাওয়ের মতো।

ছিঁড়ে ফেলেছি জীবনের সব করুণ বীণার তার,
তুমিও মেতেছো মুছতে সকল ধূসরতার প্রলেপ,
রামধনু থেকে রং নিয়ে ফের দিচ্ছো আমায় রেঙে,
বলছো, “এই তো আছি আমি সবখানে, তবে কিসের আক্ষেপ?”

সহসা দেখি ডায়রীর ভাঁজের গোলাপটা হয়েছে তাজা,
কত শত পাপড়ি ছড়িয়ে দিচ্ছে তার ভালোবাসার আবেশে,
রুক্ষ শীত, মখমলি বসন্তের সাজে সেজে যেন অনুরাগে লজ্জা রাঙা,
সুখশষ্যা রচেছে কেউ বুঝি রূপালী জোছনার সন্নিবেশে।

হ্যাঁ, আজও তোমার ভালোবাসায় রঙিন আমার মনঘর,
তাই তো সেখানে সাজে বাসর, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে।
স্মৃতি নয় তুমি, আমার যাপন, জানে আমার অন্তর,
মনজমিতে তোমার ভালোবাসার আবীরেই রেঙেছি, তাই আজও যতনে।।

মন খোঁজে ভালো-বাসা – সুমিতা চৌধুরী

যুগে যুগে প্রেমের সংজ্ঞা হাজারো,
কখনো সে বড়োই সংকীর্ণ,
আমি তুমিতেই সীমাবদ্ধ।
কখনো তার দহন-জ্বালায় কেউ পোড়ে,
কেউ বা পোড়ায়।
প্রেম কখনো বা মিথ্যাকে দেয় সঙ্গত,
শপথ আর অজুহাতের মাঝে, নিত্য খেলে লুকোচুরি,
তাই বুঝি প্রেমিক সেখানে আপন সত্তাকেই হারায়।
কখনো বা প্রেম সেকেলে,
হাজারো শৃঙ্খলে ওঠে তার নাভিশ্বাস।
এতো প্রেমের মাঝে মন চায় এক সত্যি সম্পর্ক,
যার উদার আকাশের আহ্বানে মন হয় মুক্ত বিহঙ্গ।
সকল সংকীর্ণতার আগল ভেঙে,
যেখানে বিশ্বাস ভরসা দিয়ে গড়ে ওঠে একটা সুখের ঘর।
যেখানে মিথ্যার নেই কোনো স্থান,
না আছে শপথের আয়োজন,
না আছে অজুহাতের প্রয়োজন।
না তা উগ্র আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেলাগাম, স্বেচ্ছাচারী,
না তা মান্ধাতার শৃঙ্খলে জর্জরিত কুপমণ্ডুক।
মন চায় শুধুই ভালোবাসায় আগলে রাখার দুটো হাত,
ক্লান্ত মাথা অবলীলায় এলিয়ে দেওয়ার এক উষ্ণ বুকের আশ্রয়।
যেখানে ভালোবাসার বিনিসুতোয় বাঁধা দুটি মন,
বাঁধে ভালো-বাসা,
মনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে,
মনের প্রদীপ জ্বেলে।।

বিচ্ছেদের বিষে – সুমিতা চৌধুরী

গাঁথা মালা ছিঁড়ে গিয়ে বাসি ফুল ছড়িয়ে আছে পড়ে,
আতরের গন্ধ সবটুকু গেছে উবে,
কিছু ইট কাঠের ইমারত রয়েছে তবু তেমনই,
দুটি পথ চলেছে সমান্তরাল, ভাবের আলিঙ্গন ছেড়ে।

পোশাকি খোলসটুকু একই আছে তায়,
এখনো পড়েনি বুঝি কালির আঁচড় তাতে,
মনের ঘরে তবু উঠেছে আগল,
বুকে জমা কথার ভিড়ে বোবা কান্নারা গুমড়ায়।

জালনারা হাট খোলা, তবু গুমোট ভীষণ ঘর,
দিন আসে রাত যায় নিয়মমাফিক,
চোখেতে চশমা আর ঠোঁটে ঝোলানো হাসির মুখোশে,
জানান দেয়নি আজো, মনসীমায় কে হয়েছে কবে পর।

এভাবেই সমাজ ছেয়েছে আজ বিচ্ছেদের বিষে,
মন পোড়ে দহনে, তবু কাঠামো থাকে অকৃত্রিম,
যন্ত্র শরীর কিছু বয়ে চলে জীবনের ভার,
যতক্ষণ না শ্মশান চুল্লিতে শরীরটা যাচ্ছে পঞ্চভূতে মিশে।।

জীবনের নীতি – সুমিতা চৌধুরী

কিছু বুকের ভাঁজে
পরতের পর পরতে জমা হয় নীল ব্যথা,
ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় জমাট পাথরে,
সেখানে সুখেরা কখনো আসে না পথ ভুলেও।
সুখ তো ক্ষণিকের অতিথি,
যেন রঙবেরঙের পালক,
আপনমনে ভেসে বেড়ায় হাওয়ায়।
মুঠোয় ভরতে গেলেই দোমড়ায় মোচড়ায়,
ঝরে পড়ে অচিরেই।
সেই পালকরা কি কঠিন পাথরের বুকে মানায় কখনো?
জীবন নাকি সুখ দুখের সমাহার,
তবু দুটি আলাদা সরলরেখায় চলে,
কখনো এসে মেলে না একই পথে!
ঠিক তেমনই,
জীবন পথে হাঁটে কতো না মুখের মিছিল,
চেনা অচেনার মিশেলে।
কতোই না তাদের বৈচিত্র্য,
কতো না রঙের বাহার,
তবু সব রঙ মনের জমিতে দাগ কাটে না,
ফিকে হতে হতে মিলিয়ে যায় চিরতরে।
শুধু কিছু মুখ রয়ে যায় চেতনার গভীরে,
যেন তাদের রঙ মিশে যায় মন- মননে,
তারাই হয় ভাস্বর,
অবিস্মরণীয়, হাজার মুখের ভিড়েও।।

নতুন আলোর আশীষ মাগি – সুমিতা চৌধুরী

নতুন ভোরের আলোর সাথে,
যাক মুছে সব দুখের স্বপন।
মেঘলা মনের মনখারাপি,
ঝরুক যা কিছু জীর্ণ যাপন।
ঐ যে দূরে মেঘের পরে,
রোদ যেখানে খিলখিলিয়ে হাসে,
আগামী আসুক এমনি করেই,
শিশির ধোয়া দূর্বাঘাসে।
পাহাড় চূড়ায় সোনার পরশ,
হাতছানি দিক জয়ের পথে।
বুকের মাঝের অভয়বাণী,
সারথি হোক জীবন রথের।
ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্নগুলো,
মেলুক পাখা আকাশ নীলে।
সব কুঁড়ি পাক প্রকাশ আপন,
অপ্রাপ্তিরা সমাধিস্থ হোক সলিলে।
মন জুড়ে হোক একখানি ঘর,
বিভেদের সব দেওয়াল ভেঙে।
কাঁটাতারে ফুটুক হাসনুহানা,
সীমারেখার আগল ডেঙে।
এমনই কিছু মনের সাধ,
নৈবেদ্যের ডালিতে সাজিয়ে করি পেশ।
হে সৃষ্টিকর্তা, তোমারই আশীষের আলোয়,
থাকে না যেন কোনো আঁধারের রেশ।।

মনঘরে নেই প্রাক্তন – সুমিতা চৌধুরী

মনের ঘরে হাজার লোকের বাস,
সময় কালের বহমানতায়।
কেউ অতীত, কেউ বর্তমান,
কেউ বা ভবিষ্যতের খেয়াঘাটে নৌকা ভেড়ায়।
তবু কি কেউ প্রাক্তন হয় কোনোদিনও?
অগুণাণ স্মৃতি মোড়া ক্যানভাস,
সাদা, কালো, রঙিন প্রলেপের আঁচড়,
সবই তো মনের চৌহুদ্দিতেই করে বাস।
মোছা যায় না কোনো রঙই,
হয়তো ধূসরতার প্রলেপ পরে কখনো তাতে।
ছেঁড়া যায় না স্মৃতির পাতা একটিও,
হয়তো ঝাপসা হয় প্রতিবিম্ব আয়নাতে।
ছোটো বড় কোলাজের সারি,
সুখ- দুঃখ, ভালো- মন্দের মিশেলে,
কিছু অধ্যায় ঘুণে ধরা ব্রাত্য,
কিছু বা থেকে যায় একান্ন হেঁশেলে।
কিছু নাম ঝরে যায় কালের নিয়মে,
কিছু নাম জোড়ে সময়ের খেয়ালে,
তারই মাঝে ভাস্বর হয় কতিপয়,
মনমন্দিরের স্বর্ণখচিত দেওয়ালে।
তাদেরও মাঝে ঝাড়াই বাছাই পর্বে,
সময় করে কারোকে নির্বাচন।
বাতিলরা যায় কালের নিয়মে ভেসে,
তবু হয় না অতীত, হয় না কখনো প্রাক্তন।
বারে বারে ডাক দেয় ফেরারী মন,
আবেগ বাণের বন্যায় যায় ভেসে,
সময় ফিরে যায় এক লহমায় সেইদিনে,
অতীত যেখানে বর্তমানে যায় মিশে।
মনঘরে নেই কাল সময়ের ফের,
শুধু আছে সম্পর্কের গাঁথা মালা।
বাসি ফুল অচিরেই ঝরে যায়,
বাকী সবই থাকে জীবনের পূর্ণ ডালায়।।

ইচ্ছেডানা – সুমিতা চৌধুরী

হয়তো কোথাও দূর আকাশে হারিয়ে যেতে চাই,
সাতরঙা রামধনুর রঙে রাঙিয়ে নিতে চাই।
পায়ের বেড়ি মনের শিকল একটানেতে খুলে,
বয়স কালের সীমার বাঁধন এক্কেবারে ভুলে।
মনের মাঝের স্বপ্নগুলো রং তুলিতে এঁকে,
পথ হারাবার রাস্তা খুঁজি বেখেয়ালের ঝোঁকে।
হয়তো এই মন বেদুইন, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা,
মনের মাঝের সব কুঠুরির খুলতে চায় তালা।
পেরিয়ে যেতে চায় সে ঐ তেপান্তরের মাঠ,
সপ্তসাগরে ডিঙি ভেরায় পেরিয়ে চৌকাঠ।
হয়তো মন পাড়ি জমায় সপ্তসুরের দেশে,
মনের জমা কথাগুলো গান হয়ে যায় ভেসে।
হয়তো মন খুঁজে ফেরে সেই অচীনপুর,
ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীর গল্প ভরা দুপুর।
রাজপুত্তুর-রাজকন্যার গল্প ভরা গাঁয়ে,
পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে যেতে চায় সে ধায়ে।
লাগাম ছেঁড়া ঘোড়ার গতি বাঁধতে চায় পায়ে,
হাজার তারার সোনালী রঙ মাখতে চায় গায়ে।
মনের হাজার ইচ্ছেগুলো মেলতে চায় ডানা,
মনকেমনের বায়নারা সব মানে না বারণ-মানা।
হয়তো মন আজও খোঁজে মনের ঠিকানা,
ভালোবাসা দিয়ে গড়া ভালো বাসা খানা।।

আমার আমি – সুমিতা চৌধুরী

আমি এমন কোনো আলোর পথের পথিক হতে চাই না,
যে আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
আমি এতোটা ও মহাশূন্য ছুঁতে চাই না,
যেখানে আমার আমিকে খোঁজা বড় দায়।
আমি চাই না এমন কোনো আলোকবৃত্ত,
যেখানে থাকে অলিখিত নজরদারি।
আমি চাই না এমন কোনো অট্টালিকায় বাস,
যেখানে কেবলই বাহ্যিক জৌলুসের জারিজুরি।
আমি চাই না এমন কোনো হৃদয়ে স্থান,
যেখানে ভালোবাসা গুমড়ে কেঁদে মরে।
আমি চাই না এমন মেহফিল / মজলিশ,
যেখানে পদলেহনের আবশ্যকতা ঘিরে ধরে।
আমি এমন মানুষ চাই না খুঁজে পেতে,
যার মুখোশটা মুখের চেয়ে দামী।
আমি চাই না এমন রাজ দরবারে যেতে,
যেখানে আত্মা করে অর্থের গোলামী।
আমি পেতে চাই সোঁদা মাটির ঘ্রাণ,
শিকড়ের টান, মুক্ত আকাশ, স্বাধীনতার স্বাদ।
আমি হতে চাই সেই মনের জানলা,
যার আঙিনায় ভালোবাসা গড়ে রাজপ্রাসাদ।
আমি পেতে চাই শক্ত মাটির ভিত,
যেখানে আছে মনুষ্যত্বের স্থায়ী আবাস।
আমি হতে চাই আমার আমিতে দামী,
যেখানে মানবিকতার জলসা বসে বারোমাস।।

হৃদয়ের পূর্ণতাই ভালোবাসা – সুমিতা চৌধুরী

ভালোবাসি নাই বা হলো বলা,
চোখের ভাষাই বলে সকল কথা।
মুখের কথায় কিই বা আসে যায়,
যদি মনের মাঝে থাকে অনুভূতির গভীরতা।
প্রকাশ সেখানেই চড়া তারে বাজে,
যেখানে থাকে না স্বীকৃতি/সম্পূর্ণতা।
বাহ্যিক আড়ম্বরই সেখানে শোনায়,
অস্তিত্বহীন ভালোবাসার গল্পকথা।
নাই বা রাখা হলো হাতে হাত,
নাই বা এক হলো অধরযুগল,
পাশাপাশি পথ চলাতেও জেনো,
আছে ভালোবাসার পরশ সকল।
নাই বা গোঁজা হলো গোলাপ খোঁপায়,
নাই বা পাওয়া হলো কোনো উপহার,
হৃদয়ভরা উষ্ণতাই জোগায়,
ভালোবাসার অমূল্য সম্ভার।
একান্তে কাটানো কিছু সময়,
নীরবে চেয়ে থাকা দুটি আঁখি,
অব্যক্ত কথার স্বরলিপি,
ভালোবাসার মূর্ত প্রতিচ্ছবি।।

মোহনবাঁশি – সুমিতা চৌধুরী

আজও কোথাও কোন সুদূরে
মোহনবাঁশি বাজে,
মন হারানো, ব্যথার সুরে
ফাগুন সাজে লাজে।
আলসে রাখা তানপুরাটা
হঠাৎ ধুলো ঝেড়ে,
বাজছে মনের সংগোপনে
ছেঁড়া তারের বাঁধন জুড়ে।
উদাসী মনের জানলাগুলো
আজকে যে হাটখোলা,
বেখেয়ালি মন হতে চায়
আজ কেন পথভোলা!
নীল আকাশে ধূসর মেঘের
নিত্য আনাগোনা,
বাউল বাতাস আজো জানে
অপেক্ষায় দিন গোনা।
মেঘদূত তুই বার্তা বয়বি
সুদূর পিয়ার কাছে,
আজো যেথা নয়ন জলে
নিত্য হৃদয় ভেজে।।

সুমিতা চৌধুরী | Sumita Choudhury

তিন্নির ফড়িং আর মানুর কারসাজি | গল্পগুচ্ছ ২০২৩ | Bengali Story 2023

মহা রফিক শেখ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩ | Bengali Poetry 2023

মোঃ ওয়াসিউর রহমান | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩ | Bengali Poetry 2023

বিকাশ চন্দ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩ | Bengali Poetry 2023

Praktan (2016) | Prakton Poem Lyrics | Amar Ami Lyrics in Bengali | Ami Amar Modhye Lyrics | Icche Dana | Ichhedana Lyrics | Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | New Bangla Kobita Sankalan 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books | New Bangla Kobita Sankalan pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | New Bangla Kobita Sankalan Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2024 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023 | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending New Bangla Kobita Sankalan | New Bangla Kobita Sankalan – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | New Bangla Kobita Sankalan examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | New Bangla Kobita Sankalan Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life | Natun Bangla Kabita 2024 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New New Bangla Kobita Sankalan | Writer – New Bangla Kobita Sankalan | Top Writer – Natun Bangla Kabita 2023 | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – New Bangla Kobita Sankalan | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian New Bangla Kobita Sankalan | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf | Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live collection Bengali Poetry | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2024 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | New Bangla Kobita Sankalan Live Video | Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Live Bangla Kobita | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online New Bangla Kobita Sankalan Selection | New Bangla Kobita Sankalan in english | Theme in Bengali Poetry funny | New Bangla Kobita Sankalan for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics | New Bangla Kobita Sankalan for fb dp

Leave a Comment