Kabita Sankalan Archive | Best Bengali Poetry Online

Sharing Is Caring:

Kabita Sankalan Archive – Pratim Ghosh

নববর্ষের প্রতি – প্রতিম ঘোষ

বিদায় চৈতালী, বৈশাখী করি মিতালি,
এসো, নববর্ষ বিদায় পুরাতন বর্ষ।
বর্ষ তোমাতে কি চমক আছে!
রেখেছো তারিখ দিনের মাঝে লুকায়ে,
আঁধার হতে দিগন্তে আলো ফোটে,
রই তাকায়ে দিনে আছে কি বৈচিত্র‍্যতা!
হে,নববর্ষ জানিনে তোমার মাঝে,
ভালো -মন্দ কি সজ্জিত আছে লুকিয়ে!
করি বরণ,করি আহ্বান,বর্ষ তোমারে,
দাও নব দিশা,দাও ক্ষমতা সর্বজনরে,
দাও নব উন্মাদনা প্রতি প্রভাতে।
তোমার দিনে আসুক নব শক্তি কর্মক্ষমতাতে।
হে নববর্ষ এমন কিছু রেখো না লুকায়ে,
যাহাতে মানব জীবন দূষিত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে,
নির্বাক রূপে বছরে ধারণ করে।

কামনা – প্রতিম ঘোষ

ওরা কে মানুষ, দেবতা না অসুর।
ওরা মানুষের একটি জাত প্রতিবন্ধাসুর।
ওরা মানে না নিজ প্রতিবন্ধকতার বেরসিকণ সুর।
ওরা জীবনের বাজি রেখে জীবনে আনে ছন্দাসুর।
ওরা নীরব রাতের অতিথি, ওরা মানবাসুর,
ওরা পারে করতে এমন কর্ম যা দেখে হবে তোমাদের চক্ষুস্থির।
ওরা না দেখে কথা না বলে পারে জীবনে মহাসুর।
ওরা ভালো ভাবে না চলেও জীবন যুদ্ধে জয় করে।
ওদের জীবনের লড়াই তোমায় আশ্চর্য দেবে করে,
ওরা জানে না হারতে, ওরা যারা পুরো অক্ষম তারা
জীবনে বিষাদ নিয়ে বেঁচে আছে।
মানব বলতে পারো এই জাত কেন পৃথিবীতে আসে!
দয়া, মায়া, ক্ষমা চাইনে। যুক্ত হস্তে মুক্ত কন্ঠে নিবেদন করি,
এ জাত কে দাও পৃথিবী করে অবলুপ্তি।
হে স্বাভাবিক জাত প্রতিবন্ধী জাতের থেকো পাশে কামনা করি।।

সংসার কাম – প্রতিম ঘোষ

জীবন আমার বৃথা হল তোমার কথায় মজে
কাটল বেলা উদাস সুরে মুগ্ধ তোমার সাজে,
চমক ভাঙা মুখটি বন্দী আমার মনের খাঁজে
আকুল ভরা ব‍্যাকুল নয়ন তোমায় শুধু খোঁজে,

ভালোবাসা ভালোলাগার মাঝে শূন্যতা বিরাজমান
টাকার অঙ্কের কাছে হল আমার জীবন খান খান।
বিধির বিধান নিল কেড়ে আমার প্রেমের প্রাণ
হৃদয় ভরা ক্লান্তি নিয়ে হারিয়ে গাছে মান।

টঙ্কা যদি না থাকে ভালোবাসার নাই দাম,
সুরের তরি ভাষার বাণীতে হয় নাকো নাম
প্রেম দুনিয়ার শীর্ষে আছে অর্থের মান;
অর্থ বিনা হয় নাকো কোনো সংসারের কাম।

বাণী-বানি – প্রতিম ঘোষ

জগতে বাণীর মর্যাদা গেছে হারিয়ে
বাণীর জন্য আছে জগত দাঁড়িয়ে
বাণী বিনা পারে কি বাঁচতে লিখিয়ে!
চলার পথে বাণী সর্বদা মুখিয়ে,

বাণীর মূল্য কজনা পারে বুঝিতে,
বানি দিয়ে যেও না বাণী কিনিতে,
সত্য বচনে আসে সফলতা।
অসত্য বাণী আনবে অসফলতা।

ঈশ্বরের অমর দান বাণী
বাণী জগতে সদা মানী
বাণী বিনা আসে না বানি
বাণী বিনা হয় না কেহ মানি

তুমি কি আসবে! – প্রতিম ঘোষ

নদী তটে উঠিতেছে ঝড়
কলিযুগে হবে সত‍্যযুগের গড়।

সততা ধর্মকর্ম ছিল যবে
লালিত বর্জিত মুদ্রিত জীবে

শঠতা ধর্মহীন ক্রমবর্ধমান এবে
দয়াহীন সমাজে দেব আসবে!

মথুরা অযোধ্যা বৃন্দাবন ধাম
ভগবান করেছেন সর্বত্র কাম

কলিকালে ভগবান আসিলেন ভবে
নিমাই রামকৃষ্ণ মানুষ তবে।

যিনি কৃষ্ণ তিনি রাম
হরে কৃষ্ণ হরে রাম।

সত্য ধর্মময় হোক সর্বত্র
মিথ্যা ভণ্ডামির হোক বিদায়

ঈশ্বর হও তুমি জাগ্রত
বিশ্ব মানবজাতিরে কর আশ্রিত

হরি নামে হবে জাগরণ দেশে
মানুষেরে করো ক্ষমা দেশ-বিদেশে।

বিদায় – প্রতিম ঘোষ

বিদায় মায়ার সংসার হতে
দেখাও দৃশা মা ভুবন হতে
কি রূপে মত্ত হই তোমার কর্মে
কর্তব্যকর্ম পালন করি ধর্মে।

ইচ্ছে নেই তোমাকে যেতে দেওয়ার
তথাপি এসেছে আজ তিথি মানার
বিজয়া দশমীতে মা প্রণতি তোমায়
তোমার আশীষ দিয় আমায়।

জীবন পালতে দাও স্বাধীনতা
জীবনের চলার পথে পরাধীনতা
এ সংসারে আছে বাহার
তুমি বিনা সব আঁধার।

এ সংসারে ছড়িয়ে নানা সম্পদ
চাহি না কোনো সম্পদ
কামনা করি তোমার চরণ যুগল
তোমার করুনা বিনা সব নিষ্পল।

ফিরে আসে – প্রতিম ঘোষ

মায়াময় পৃথিবীতে সব তুমি
অজানা শক্তি হৃদয়ে আসে,
যখন হাসো বাঁকা দৃষ্টি ফেল তুমি
বিচ্ছিন্ন জীবনে মুগ্ধতা আসে।

ভিন্নমতে ভিন্নরূপে ভিন্ন সময়ে
তোমাকে পায় জনে জনে
উৎসব খুশী যাও দিয়ে
সকলে ডাকে তোমাকে মনে।

দৃশাহীন সমাজে দৃশাহারা জীবন
সহ অবস্থান যেথা ঠিক ভূল
দৃশাময় কর সঠিক ক্ষণ
তুমি বিনা কে দেখাবে কূল।

শিক্ষা দীক্ষা চেতনা ঐকান্তিক
চঞ্চলতা দায়বদ্ধতার যেথা মিশ্রণ
সকলের প্রতি হও আন্তরিক
তোমার হাতেই জনম মরণ

তুমি করাও সঠিক কর্ম
জুগিয়ে সাহস দাও হদিস
করতে কার্য পালতে ধর্ম
করো নিজেরে বহিঃপ্রকাশ।

দায়িনে – প্রতিম ঘোষ

শান্তি নেই আর
বুকে ওঠে ঝড়,
চোখে নামে বৃষ্টি
ঝাপসা হয় দৃষ্টি।
আসে প্রাণে সৃষ্টি
কথায় আসে মিষ্টতা,
কেটে যায় জড়তা,
শব্দের মধ্যে ভিন্নতা
বাক‍্যে আসে প্রফুল্লতা।
প্রাণে আসে নবীনতা
নতুনের হয় শুরু,
বুক করে দুরু,
নি ভার নব!
জানিনা কি পাব!
হয়ে গেলেম সাহসী
না হই ধরাশয়ী।
মা তুমি মিন্ময়ী
হও তুমি চিন্ময়ী
আসছে দেওয়ালি তিথি-
করি তোমাকে প্রণতি;
দাও আমায় জ্ঞান
মানব কর্মে প্রাণ
আছে শুধু নেশা
তোমার কাজে পেশা
দাও মনে দৃশা
দুর কর তামাশা।

দায় – প্রতিম ঘোষ

শরতের শেষে শারদীয় পূজার ঘন্টা বাজে
পূজার আনন্দে চারিধার রকমারী সাজে,
নিত‍্য নতুন পোশাক কেনা হাটে বাজারে চলে
হরেক নর-নারীর ভিড় দোকানে মলে।

সেজেছে শহর ভিন্নধর্মী রকমফেরে
থিমের পান্ডেল ঠাকুর হয়ছে সুদুরে,
ফুটপাত জুড়ে নেমেছে মানুষের ঢল
ফুটপাত বাসীর জীবন কাটানো কাল।

ধনীদের ঠাকুরের জন‍্য গরীবের নেই স্থান
খোলা আকাশে ফুটপাতে যাদের অবস্থান
পূজার সময় পুলিশের নির্দেশ হবে মানতে
আঁধার ঘেরা নর্দমার ধারে হবে তাদের থাকতে।

শহরে ডেঙ্গু রোগে কতজন ভোগে নিত্য হিসাব হয়
ভিখারি না খেতে পাওয়া মানুষের পানে কেউ তাকায়!
খুশীর সময় কাটাতে গরীব কে ফুটপাত ছাড়তে হয়
তাদের যদি মরণ রোগ হয় তবে আমাদের পাপ দায়।

স্ব-ইচ্ছা – প্রতিম ঘোষ

স্বাধীনতা হারিয়ে পরের ছাওয়ায় বাঁচতে কে চায়!
শত সহস্র বাঁধা যন্ত্রণা সহ‍্য করতে কে চায়!
মর্যাদা হারিয়ে পরের শৃংখলাতা অর্জন কে চায়!
সব হারিয়ে কাপুরুষের মতো থাকতে কে চায়!
কৌলিন‍্যতা অসহ‍্য ইচ্ছা অনিচ্ছার ফারাক গ্রহণ কে চায়!
মেলামেশা বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের বন্ধন কে মুক্ত হতে চায়!
অপরের মঙ্গল কামনা নিজ সুখ
মন ইহা চায়!
কোন পাপে দোষী হয়ে পরাধীনতা আসে হৃদয় জানতে চায়।
সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে অন্তর অন‍্য পথ চায়।
ব‍্যাথাতুর মানুষের পাশে থেকে অগ্রগতি হতে চায়।
ভাবনার আঁধারিতে সব ছেড়ে নতুন পথের হদিস চায়
জীবনে আলোর দেখা পেতে মর্মস্পর্শি হয়ে সহ‍্য করে প্রাণ থাকতে চায়।

শরৎ এসেছে – প্রতিম ঘোষ

সোনালী রোদে চারধার ভাসিয়া,
গগনে স্তূপ মেঘ জমিয়া,
বাতাসে কাশের সৌগন্ধ ছড়াইয়া,
পড়েছে শরৎ আসবে শারদীয়া-
নতুনের পরশ দেবে চমকিয়া।
উঠবে সেজে মা প্রকৃতি,
দেবী আসবেন দেখতে ধরিত্রী;
সম বৎসর উঠবে মাতি,
জলে স্থলে অন্তরিক্ষ হবে জাগৃতি
ফালো চরণ ভুবনে করি আরতি।
পায় না যারা অন্ন বস্ত্র বাসস্থান,
দেবীর কৃপায় পায় যেন আসন
শরতকালে দুর হোক দুঃখীর দুঃখ মোচন।
শরতের উন্মাদনা গ্রহণ করুন।

স্বাধীনতা – প্রতিম ঘোষ

ঝাণ্ডা তুলে করলে পালন
স্বাধীনতা কি যায় লালন!

পরাধীনতা আজ প্রতি পদে
স্বাধীনতা ডুবে অতল খাদে,

গণতন্ত্রের মোড়ক খোলেন স্বাধীন
গণতান্ত্রিক ঘৃণ্য বলেন প্রবীণ।

ক’জনা পায় বাঁচার ঘরে স্বাধীনতা
সমাজের বুকে জাগরিত পরাধীনতা।

স্বাধীনতা ছাড়া ক’জনা বাঁচতে পারে
পরাধীন হয়ে নিজেকে শেষ করে,

বিপ্লবীর রক্তমাখা দেশের স্বাধীনতা
চলার পথে কেবল পরাধীনতা।

সত্যি কারের স্বাধীনতা ধুলায় মেশায়
দিনের পালন করে কেবল নেশায়।

ভাল্লেগে – প্রতিম ঘোষ

ভাল্লাগে ভাল্লাগে
সব কিছুতেই লাগে,
পরমান্ন খেতে বেশ লাগে
গানের ভুবনে সুর লাগে!

কবিতায় কথা লাগে
ভাষায় ছন্দ জাগে
ভাল্লাগে ভাল্লাগে
কবি হতে ভাল্লাগে!

ভাল্লাগে ভাল্লাগে
তটিনীতে ভাসতে ভাল্লাগে,
নদী বক্ষে ভাসতে ভাল্লাগে
গগন পানে চাইতে বেশ লাগে।

ভাল্লাগে ভাল্লাগে
যুত সই খেতে ভাল্লাগে
তবলায় বেড়ে লাগে
বাঁচতে প্রাণ লাগে।।

আকাঙ্ক্ষা – প্রতিম ঘোষ

হতেম যদি ছোট্ট পাখী
থাকতো ডানা দুটি
দুর আকাশে যেতেম উড়ি
যখন তখন যেথায় খুশী

যাওয়া আসায় থাকত না মানা
সময় মাফিক আসার থাকত না তাড়া
দিতেম পাড়ি অচেনা দেশে
এটাই আমার হতো নেশা।

দিনের শেষে স্থির হতেম
সেথায় রাত কাটাতাম
নাম না জানা কোনো গাছে
অচেনা বন্ধুদের কাছে।

বরেণ্য কবি – প্রতিম ঘোষ

দিনটা ছিল বাইশে শ্রাবণ
ঊনিশ শতকের একচল্লিশ সন
নিঝুম হল বাংলার সাহিত‍্য গগন
নেভাল কিরণ রবীন্দ্র ভবন
আকুল শোকে ব‍্যাকুল শান্তিনিকেতন
নোবেল জয়ীর দৃঢ়চেতা প্রাণ
মুদিল বিশ্বকবি তাঁর নয়ন
হাহাকার করে উঠল সোনার বাংলা
জনগনমন অধিনায়ক প্রিয় বাঙলা
চির তরুণ কবিরে শ্রদ্ধা জানাই
তাঁর অভাব আজও পাই
প্রাণপ্রিয় বরেণ‍্য কবিরে সেলাম জানাই।

কৃষ্ণ প্রেম – প্রতিম ঘোষ

কৃষ্ণ দয়ায় নিত‍্য জন্মাচ্ছে মানুষ
কালের প্রভাবে যারা হয়েছে বেহুঁশ
ফেরাও তাদের তুমি হুঁশ।

মানব জীবনে তারা নিত‍্য কর্ম করে
তাই নিজের কর্মফল ভোগ করে
দাও সকলের কর্মফল ক্ষমা করে।

শিশু কিশোর যৌবনে কর্ম ভুল
পায় না মানুষ জীবনে সফল
সংসার সমুদ্র যাত্রায় নিষ্পল

বাসুদের কর কৃপা সন্তানদের
তরী হয়ে বাঁচাও জীব শ্রেষ্ঠদের
মমতা দিয়ে করুণা কর।

সংসারে এসে কর্তব্যকর্ম কর
শিশু হতে ঈশ্বর সেবা কর
সময় পেলে হরিনাম কর।

যে ভালোবাসে সর্ব জীবকে
সে সেবা করে ঈশ্বরকে
কৃষ্ণ নামে জাগাও নিজেকে।

রক্ষাকারী – প্রতিম ঘোষ

যেদিন আমি রইবো না
ধরণীতে শ্বাসবায়ু লইব না
শরীরে উষ্ণতা থাকবে না
হৃদয়ে চেতনা থাকবে না।

মনের কপাট রুদ্ধ হবে
শরীর যন্ত্র নিস্তেজ রবে
অঙ্গ অকেজো হয়ে যাবে
শরীর শায়িত শুধু রবে।

হৃদ যন্ত্র হবে স্তব্ধ
প্রাণ হবে আমার নিঃশব্দ
মৃত্যু করবে আমায় জব্দ
অগ্নিতে নিমজ্জন হারিয়ে ছন্দ।

দয়া মায়া ত‍্যাগ করে
দুনিয়ার বন্ধন মুক্ত করে
যাব চলে পর পারে
জানিনা ওপরে কি আছে!

যাবার কালে হরিনাম স্মরণে
শূন্য অন্তর তোমার চরণ
তোমার সংসারে বিদায় মরণে
তুমি রক্ষাকারী এ জীবনে।

ফাল্গুনে – প্রতিম ঘোষ

ফাল্গুনে অঙ্কুরিত আমের মুকুল
ফুলের বনে হরেকরকম ফুল,
সজ্জিত নব পত্রিকার দল
মধু সংগ্রহে মধুকরী চঞ্চল।

পবন দেব দক্ষিণে ধায়
শীতের ঝরাপাতা উড়িয়া যায়
নির্জন দুপুরে পান্থ যায়
রৌদ্র তেজে ঘর্ম ঝরায়।

স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় উৎফুল্ল মন
রূপে রসে পুঞ্জিত ফাগুন,
পূর্ণিমা রাতে জ্যোৎস্না বাহার
ফাল্গুন মাসে ভিন্ন আহার।

আসিলে ফাল্গুন মত্ততা জাগে
মৌসুমী দিন অপেক্ষা মাগে,
উৎসবের দিন রঙের দিন
রাধা-কৃষ্ণের দোলযাত্রা দিন।

মহৎদান – প্রতিম ঘোষ

মরণ আসিলে ছেড়ে যেতে হবে
শরীর আত্মাকে বাহির করে দেবে
শ্রেণি হারা হয়ে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে রবে
জ্ঞান শূন্যতায় অস্তিত্ব লোপ পাবে।

ভালোবাসে যারা তারা দুরে ঠেলে দেবে
হৃদয় স্পন্দন লোপ হয়ে বন্ধ হবে,
নরম গরম শরীর শক্ত শীতল হবে,
বাক রুদ্ধ আঁখি বন্ধ হয়ে স্থির রবে।

কানাকানি ফিসফাস কান্না সাময়িক
চলবে অসাড় শরীর ঘিরে নিয়ম মাফিক
শরীরের পতন নাহি যবে চেতন
শ্মশানের অনলে শরীর হবে মিশ্রণ।

মরণ হলে শরীর দান অঙ্গীকার কর-
প্রয়োজনীয় অঙ্গ নিক অন্য শরীর
বৃথা অনলে দ্রবীভূত করে নষ্ট করা
তুষ্ট হোক মৃত জনের অঙ্গে বাঁচে যারা।

এ পৃথিবী হতে বিদায় নেবে যারা
মরণ আসব যেন একদিন তোমরা
মরার আগে মানবিক কর্ম করে যারা
মরার পর করব মহৎ দান আমরা।।

মনোহর বসন্ত – প্রতিম ঘোষ

বসন্তের স্নিগ্ধ বাতাস
দিয়েছে ছড়িয়ে উচ্ছ্বাস
প্রকৃতিতে তার বহিঃপ্রকাশ

পলাশ কৃষ্ণচূড়া রঙ্গিন
ঋতুরাজ হয়েছে নবীন
দিগন্ত লালে রঙিন

ফাগুন মাসে আগুন
ফাগুনে চঞ্চল মন
উন্মাদনা হয়েছে জাগরণ।

কাঁদে হিয়া প্রিয়া
হৃদে প্রেম উবঝিয়া
তোমারে বেড়াই খুঁজিয়া।

কোকিলের ডাক মুখরিত
কৃষ্ণ প্রেমে মন আবৃত
দোল পূর্ণিমা আগত।

বসন্তে নব পত্রিকা
পূর্ণ নব মল্লিকা
বিরহিণী বসে একা।

সাজাই রঙে তোমায়
রাধা-কৃষ্ণের দোলযাত্রায়
এস মাতি ভালোবাসায়।

শিশুবেলা – প্রতিম ঘোষ

ছোটবেলা শিশুবেলা সর্বদা খেলাধুলা
বোঝার আগেই কেটেছিল ছেলেবেলা
প্রতি জীবনের স্বর্ণযুগ বাচ্চাবেলা।
চরমভাবে ধসিয় না এ-বেলা,

সময় ঘড়ি বেজায় পাজি
নাই তার কোনো কারসাজ্জি
সময় ঠিক গেছে চলে
শিশুবেলাও হারিয়ে গেলে,

নাই চিন্তা নাই ভাবনা
সময় মতো কর পড়াশুনা
সময় করে স্কুল যাওয়া – আসা
সময় হয় বেশ খাসা।

শিশু দিবস দিনটা আসলে
মনে পরে কেন গেলে
আজীবন যদি থাকত শিশুবেলা
মন পর তুই শৈশব – মালা।

ছেলে -মেয়ে কেবল কি দস্যি!
দিতে জানে নির্ভেজাল হাসি
ছেলেবেলা করেনা মাথা হেঁট
ছেলেবেলা আছে আঁখি পটে।

জগত সেরা – প্রতিম ঘোষ

শূন্য জীবন পূর্ণ করণ
শূন্যতা নিয়ে জীবন ধারণ
শূন্য হলে পুণ্য অর্জন
শূন্যতা বিনা নব চেতন
নব সৃষ্টিতে শূন্যতা মূলধন।

এ জগতে সেরা একজন
চাই ধরিতে তাঁর যুগলচরণ
তিনি করেছেন জগত গঠন
তাঁর হয়না পূর্ণ যতন
তাঁরে সেবিতে শূন্যতা প্রয়োজন।

মুক্তি কোথাও পাইনে খুঁজে
শক্তি নাই শরীর মাঝে
ভক্তি আনো হৃদয় মাঝে
শূন্যতা তোমায় দেবে খুঁজে
একা ডাকে তারে যে।

দৃষ্টি কোণ চাই যবে শুদ্ধ করতে
জ্ঞান ও কর্ম দেখি সম রূপেতে,
নিজেরে সমর্পণকরি ঈশ্বরের চরণেতে,
দুঃখ ভয় চিন্তা বন্ধন মুক্ত হতে।
অমর আত্মাতে থাকি আত্মভাবে মুক্তি পেতে।

প্রেমের অলিন্দ – প্রতিম ঘোষ

প্রেমের আলিঙ্গন শুভ্র হোক।
প্রেমের চুম্বন মিষ্ট হোক।
প্রেমের চৌকাঠ মজবুত হোক।
প্রেম জীবন তিক্ত করিস না,
অযাচিত ভাবে হারিয়ে যাস না
ভালোবাসা মহান রবে সর্বক্ষণ।
পবিত্র বন্ধন হোস না ছিন্ন
যদি হোস তোরা ভিন্ন
রুষ্ট আত্মা কষ্ট পাবে সর্বক্ষণ
প্রেমের অলিন্দ সুভাষ ভরন।

প্রেমের সুরেলা চলে গেলে
একা এভাবে দিলে ফেলে
অতল জলে দিলে ঠেলে
নিঝুম রাত শূন্যতায় রেখে,
দেখলো না মনের চোখে,
প্রেম রেখে গেলে দুখে
সজাগ প্রেম নীরব হয়ে
নিবিয়ে দিল এক ফুঁয়ে
অমর প্রেম সত‍্য হয়ে
থাকবে শুধু দিগন্তে চেয়ে।

উজ্জ্বল রবে – প্রতিম ঘোষ

সোলার টুপি লোহার হবে
সময় যত পার হবে,

বিয়ের পরে আসবে হেঁপা
চলার পথে আছে মাপা।

বাবা হওয়ায় অনেক খুশী
ছেলে হয়েছে মুখে হাসি,

ছেলের বাবার অনেক জ্বালা
সন্তান নিয়ে নয় হেলাফেলা,

স্কন্ধ দেব দেবেন ভরসা
তাঁর সেবা করুন মহাশয়া।

পুত্র হয়ে এলেম দুয়ারে
মাতা-পিতা তোল ঘরে,

দেব সেনাপতির ন্যায় হবে
উজ্জ্বল পুত্র সদা রইবে।

মরমী – প্রতিম ঘোষ

জীবন গাঁথা মরম ব্যথা
হারিয়ে গেল মনের কথা
হৃদয় মাঝে বইছে ঝড়
বন্ধ হবে মনের দুয়ার
আমায় এবার রক্ষা কর।

খেদের জীবন তৈরি করে
মত্ত হয়ে রিক্ত স্বরে
ভজন করে নিজেই ডরি
স্বর্গ নরক মাঝে হরি
চালান নৌ মাঝি হরি
নম‍্য তারে সদাই করি।

দিয়ে বিসর্জন মোর রক্ষাকবচ
ভুগতে হচ্ছে জীবন মরচে
নাও তুলে তোমার নায়ে
থাকি তোমার পানে চেয়ে
হরি পরেছি তব পায়ে।

নব পথ – প্রতিম ঘোষ

মরণের দ্বার উন্মুক্ত হলে
আমি যাব ছেড়ে চলে,

আমার হেতা যাহা রবে
তাহা সলিল সমাধি হবে।

জীবন্ত শরীর যাহা পারে
মরণে তাহা ভেসে যাবে,

বেঁচে শুধু যাই নিয়ে
মরণে ঋণ দেবো চুকিয়ে,

চিন্তা শোষণ করে সর্বদা
চিতা দগ্ধতায় পাবো মর্যাদা

ক্ষণিক জীবনে শুধুই বঞ্চনা
পেলাম না সঠিক দক্ষিণা।

মরু মেরু হয়না তুলনা
জীবনে পেলেম সেই নমুনা;

যতেক কর্মে পেলেম মুগ্ধতা
হরেক বিষয়ে হলেম দগ্ধতা

মুক্তির পথ চাই পেতে
ভগ্ন হৃদয় বঞ্চনার পথে।

সহায় – প্রতিম ঘোষ

ভারাক্রান্ত মনে আবেগর পরশ
মনের দরবার হয় হরষ
নীরব প্রাণে ওঠে ঢেউ
সুখী জীবনে আছে কেউ
ক্রমিক ভাবনায় ছন্দ পতন
এ দুনিয়ায় মনের মতন
লুকিয়ে আছে নিজ রতন
পেতে তারে কর চিন্তন
শূন্যতার মাঝে যদি চাও
তারে খুঁজে সত্ত্বর নাও!
তিনি হলেন প্রাণের প্রভু
হলে সহায় জীবন মধু
বল হরি বল কৃষ্ণ
হও সহায় রাধা কৃষ্ণ।

মন্ত্রণা – প্রতিম ঘোষ

করিও না অবহেলা,
মানব সন্তান মোরা,
প্রতিবন্ধী বলো তোমরা।
প্রতিবন্ধকতা জয় করি আমরা-
কোরো না মোদের অবহেলা।
কোরো না মোদের বঞ্চনা,
সব কাজে পটু আমরা,
মোদের দাও সাহারা
অঙ্গ হারা বলে চাই না করুণা
আপন কর্ম করি আমরা
দুঃখের সাগর পার করি আমরা।
সুখের সাগর চাই না!
জীবন যুদ্ধ জয় করব মোরা।
আমার নেই খাটার যোগ্যতা
ভাগ‍্যের কবলে অঙ্গে নীরবতা
পেয়েছি কায়েকী শ্রমে অপরের তাচ্ছিল্যতা
ভাগ‍্যের আশীষে স্বরে সাবলীলতা
তাকে সম্বল করে পেয়েছি গভীরতা
কলমের সুন্দর বাণীতে দি মাধুর্যতা,
সুন্দর লেখাকে হয় সম্মান দেওয়া
কবি ফেসবুকে পায় সম্মাননা
আমার নিজের নেই কোন আকুলতা
আমি নগণ্য বাচিক করেছি জয় প্রতিবন্ধকতা
পেয়েছি জীবনের বাঁচার মন্ত্রণা।
তোমরা সবল জাননা আমাদের যন্ত্রণা।

ফুলে-ফলে – প্রতিম ঘোষ

সঠিক দিশা দিলে না ঠিক সময়ে
ফলে কর্ম গেছে জলে তলিয়ে,
লেগেছে ব্যথা দিলে,
কি হবে শেষকালে!
জীবনের ছন্দ গেছে সব হারিয়ে।

জন্ম হতে বিষম ব্যথা মনের মাঝে
সব সহ্য করে আছি বেঁচে ভুবন মাঝে,
মনে ছিল স্বাদ
হতাশায় হয়েছে বাদ
তবুও নতুন করে পাবার আশা জাগে মাঝে মাঝে।

উচ্চ পর্বত হতে শুভ্র জল নেমেছিল ভূমিতে
ছিল উচ্চাশা কত কিছু করবে গ্রাম-নগরেতে,
ঘুরে ঘুরে অবশেষে
তার জলে অনেকে মেশে
দীন নদীতে পলি জমে শেষে আসে মোহনাতে।

পৃথিবীর আলোতে এসে আনন্দ অশ্রু ফেলে
যবে জানান দিয়েছিলাম ধরণী নাও তুলে,
ভাগ‍্যের পরিহাসে
জীবনে গেল ধ্বংসে,
ইচ্ছা জাগে জীবন কে সাজাই ফুলে-ফলে।

প্রেরণা – প্রতিম ঘোষ

কবিতা এসেছিল তোমার প্রেরণায়,
রচি কবিতা তোমার কল্পনায় :
আসে ভাব তোমার চিন্তায়,
গড়ে ছন্দ তোমার মগ্নতায়।
তথাপি মনে লাগে ভয়!
ভুগি সদা তীব্র হতাশায়
পাব না জীবন দশায়,
ছুঁতে বা দেখতে তোমায়।
রেখেছিলে আমারে আশা ভরসায়,
দিয়েছিলে সুখ এই দুনিয়ায়,
ভরেছিল প্রাণ স্নিগ্ধ মুগ্ধতায়,
এসেছিল প্রেম অনন্য কথামালায়
বাকরুদ্ধ হয়েছি তোমার ছলনায়
থাকি আমি ছিন্ন দুরাশায়।
মন কাঁদে তোমার যন্ত্রণায়
আছি বেঁচে শুধু কবিতায়
সখী দি আল্পনা আমার কল্পনায়।
খুঁজি তোমায় কবিতার পাতায়।

প্রতিম ঘোষ | Pratim Ghosh

ট্যাটুর ইতিহাস ও আমরা | History of Tattoo | Reasons for using tattoos | 2023

Advantages & Disadvantages of Tattoo | ট্যাটুর উপকারিতা এবং অপকারিতা | Bengali Article 2023

Is it possible to remove tattoo | ট্যাটু রিমুভ কি সম্ভব? | 2023

Emblem of Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতীকের অর্থ | নক্‌শা ও তাৎপর্য | 2023

Bangla Kobita Abritti Songs | Mixed Kobita Bengali Kobita | Sound of bangla kobita lyrics | Sound of bangla kobita in english | Sound of bangla kobita mp3 download | bluetooth bandopadhyay kobita | bratati bandyopadhyay kobita lyrics | bratati bandopadhyay kobita mp3 download | Bangla Kobita Abritti | Best Bangla kobita MP3 Songs | Kobor Bangla Kobita.mp3 | Hits of Bratati Bandopadhyay | Bangla kobita music | Bangla Audio Book | Esho Abritti Kori | Bengali Recitation | Kobita Lyrics Poetry In Bengali | Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Kabita Sankalan Archive 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books

Kabita Sankalan Archive pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Kabita Sankalan Archive Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2023 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023

story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending Kabita Sankalan Archive | Kabita Sankalan Archive – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield

spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | Kabita Sankalan Archive examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | Kabita Sankalan Archive Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life

Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New Kabita Sankalan Archive | Writer – Kabita Sankalan Archive | Top Writer – Natun Bangla Kabita 2023 | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – Kabita Sankalan Archive | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Kabita Sankalan Archive | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf

Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live Kabita Sankalan Archive | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | Best Bangla Kobitar Live Video

Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Kabita Sankalan Archive | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online High Trend Bangla Kobita Selection | High Trend Bangla Kobita translation in english | High Trend Bangla Kobita | High Trend Bangla Kobita for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics

Leave a Comment