Bengali Poetry in West Bengal | Best Bangla Kobita

Sharing Is Caring:

Bengali Poetry in West Bengal – Gobinda Modak

বিনিদ্র রাত্রির গানগুলো – গোবিন্দ মোদক

কথাগুলোর সঙ্গে
কবিতার কোনও মিল ছিল না।
ছিল না বলেই আমি বিনিদ্র হতাম
শুধু তোমাকে দেখবো বলে,
ঘুমপাখি কতো রাত
আমাকে ডেকে ডেকে
ফিরে গেছে আলোর কাছে
আর আমি তোমার বিরহে
কাতর হবো বলে
দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছি
একটা মৃত্যুনীল ক্যানভাস,
ইজেলে ভরেছি অবসাদ রঙ;
দু’হাতে বাতাস সরিয়ে সরিয়ে
খুঁজে গেছি লুকানো সেই ‘স্থান’টুকু
যেখানে গাঢ় স্বরে
নিঃশ্বাস নিতে নিতে
দেখে নেওয়া যায়
ছোট ছোট দুঃখ ভরা ছন্দ
অথবা ছন্দোবদ্ধ কোন শস্যক্ষেত।

চুম্বন – গোবিন্দ মোদক

প্রথম চুম্বনে বিষ আছে
এ তথ্যে তুমি যদি
বিশ্বাস করো
তবে চুম্বনের আগে
সরিয়ে নিও
তোমার উপোসী দু’টি ঠোঁট
শুধু জেনে রেখো —
যতো তথ্য
আজ পর্যন্ত জমেছে
প্রণয়ের ইতিহাসে
তাতে জানা গেছে
এক আশ্চর্য সত্য এই যে —
প্রেমের প্রথম পাঠ ছিল চুম্বন।

পদচিহ্ন – গোবিন্দ মোদক

বালিতে পা ফেলে ফেলে
কতজনই তো চলে যায়
রেখে যায় পদচিহ্ন,
সে জানে না।
কেউ ভাবে না
একদিন তার পদচিহ্ন ধরে ধরে
এগিয়ে যাবে আরও কিছু
দামাল বালক-বালিকা
অথবা কতিপয় সাহসী জান
আর বুক ভরা উদ্যম।
তখন বাতাসে বাজবে সেই গান —
চরণ ধরিতে দিও গো …

অভিভাবক – গোবিন্দ মোদক

‘রাস্তায় হোঁচট খেতে পারি’
এই ভেবে তুমি আমাকে
হাত ধরে চলতে শিখিয়েছিলে।
‘মেলায় ভিড়ে হারিয়ে যাই যদি’
সেজন্য তুমি আঙুল ধরে
হাঁটতে শিখিয়েছিলে।
তোমার হাতের মুঠোর মধ্যে
আমার আঙুলগুলো ঘেমে উঠতো
আর আমি একটু একটু করে
পা ফেলে এগিয়ে যেতাম সামনের দিকে।
যে আঙুলটাকে বিশ্বাস করে পথ চলতাম
সে আঙ্গুলটাকে কবেই হারিয়েছি,
তবু জানি একটি অদৃশ্য আঙুল
আজও আমাকে আঁকড়ে ধরে
‘রাস্তায় হোঁচট খেতে পারি’ এই ভেবে।

শূন্যতা – গোবিন্দ মোদক

রেললাইনের ধার থেকে
অনেক দূরে
আমার নিজস্ব কুটির
সন্ধ্যা উতরে গেলে
প্রেতের আত্মার মতো জানু পেতে
বসে থাকি কুটিরের ভাঙা বারান্দায়
ঝমঝম শব্দে চলে যায় রাত-ট্রেন
আলোকিত জানালাগুলো
চকিতে মিলিয়ে যায়।
মুহূর্তে টের পাই —
বড়ো বেশি খাঁ-খাঁ করছে
আমার কুটিরের ভিতরটা।

যখন অন্ধকার – গোবিন্দ মোদক

ভেবেছিলাম —
একদিন রাত্রে জেগে উঠে
আকাশ দেখবো
তখন চরাচর জুড়ে পাহারা দেবে
গহন অন্ধকার
রাত-কুয়াশা ঝরে পড়বে
কোনও ভিনগ্রহ থেকে
সপ্ত-ঋষি ক্রমশঃ তারার খোলস ছেড়ে
নেমে আসবে আমার চুলের কোমলতায়
আর অন্ধকারের বাগানে বেজে উঠবে
আলোর দুন্দুভি
আমি চেয়ে থাকতে থাকতে টের পাবো –
কালো রাত্রির হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে
বের হয়ে আসছে একটা সকাল-পাখি!

প্রস্তর স্বপ্ন – গোবিন্দ মোদক

শব্দেরা যখন বেঁকেচুরে যায়
তখন আমার মন খারাপের পালা আসে
চাঁদ যখন নিভে যেতে চায়
তখন তরল থেকে কঠিন হয়ে ওঠে অন্ধকার
ফুলেরা ফুটে উঠবার অনেক আগেই
বাতাস বয়ে নিয়ে আসে সে ভীষণ সংবাদ!

ভালোবাসা ভেঙে গেলে জোড়া লাগে না
ভাঙা ভালোবাসা কাঁধে নিয়ে
দু’পায়ে দাঁড়িয়ে থেকেও টের পাই —
আমার পা দু’টো ক্রমশঃ প্রস্তর হয়ে উঠছে
আর বাতাসে ভেসে আসছে
একটানা একটা তীক্ষ্ণ শিষের শব্দ

এসময় আমি অপ্রতিহত গতিতে
আমার কলমকে ছুটিয়ে দিই
তখন খাদের কিনারে
পতনোন্মুখ অপেক্ষা করে
একটি আটপৌরে নুড়ির অচেনা অবয়ব
আর আমি পাষাণ পায়ে এগিয়ে যাওয়ার
স্বপ্ন দেখতে থাকি অবিরত!

দিনান্তের গান – গোবিন্দ মোদক

সহস্র কোটি দিনান্তের গান শুনেও
তুমি একই সুর সেধে চলো —
কুলু কুলু কুলু কুলু …
বয়ে চলো পেয় বা অপেয় তৃষ্ণার জল নিয়ে
অভিমানে স্পর্শ করো তটরেখার কোমল স্তন
অথবা সুগন্ধি নাভি।
তুমি স্রোত-স্তোত্রে সাঙ্গ করো সূর্যপূজা
ভেঙে পড়ো নিজের খেয়ালে।

তুমি সকালের সুর মেখে নিতে নিতে
পা ছড়িয়ে বসে থাকো দ্বীপে-উপদ্বীপে
সাদা জলে সাদা হয়ে ছুটে যাও
শ্রাবণের মেঘ তোমার শরীরে ছায়া দেখে
ঝাঁপাতে চায় আবেগে … ভালোলাগায় …
তবুও ভারাক্রান্ত তুমি!
জানি না কবে তুমি রয়ে যাবে শুধু
শিশুর আঁকার খাতায় পেন্সিলের আঁচড়ে।

ওগো নদী —
ক্ষমা করো এ অসহায় কবির স্পর্ধাকে!

আলোর সন্তান – গোবিন্দ মোদক

বোধিবৃক্ষের নিচে বসে আছি
অনন্তকাল পার হয়ে যায় তুলাদণ্ডে
নেমে আসে হিমায়িত জ্যোৎস্না
কিংবা অন্ধকার জড়ানো
কালো রাত্রির ঘুম
শরীরের মধ্যে দিয়ে জন্ম নেয়
আর এক শরীর …
চেতনার গুহাতে বোধ রচনা করে
আর এক স্বর্গোদ্যান
টের পাই —
ধীরে ধীরে জন্ম নিচ্ছে মানুষ,
অন্য এক আলোর সন্তান!

প্রেমে ও প্রতিশব্দে – গোবিন্দ মোদক

শব্দ নিয়ে সময় নষ্ট করা
কোনওকালেই আমার স্বভাব ছিল না
তবুও দেখতাম —
বারান্দাকে প্রেম করতে চাইলে
ঘর এসে দাঁড়াতো ঘরের মাঝখানে
তারপর ঘরময় দরজা … জানালা …
আসবাবপত্র … সবকিছু।
আর একটু একটু করে
অসহায় হয়ে যেতে যেতে
আমি টের পেতাম —
প্রকাশ করবার মতো কোনও শব্দ
আমার মনে পড়ছে না।
অতএব আমি কোনওদিন প্রেম করেছি
একথাও যেমন সঠিক নয়
তেমনই আমি প্রেম করিনি কোনওদিন
এ কথাও অনেকটাই ভুল!
কেন না,
কখনও কখনও আমার মনে হয়েছে —
“ভুল” শব্দটাই ছিল
আমার প্রেমের সঠিক প্রতিশব্দ!

অকালপক্ক ভালোবাসা – গোবিন্দ মোদক

কোনও ফুলওয়ালীকে
একদা ভালবেসেছিলাম
এ কথা মনে পড়লে
আজও রাঙ্গা হয় কর্ণমূল;
কেন না –
কিশোরবেলার ঢের আগেই
আমি পড়ে ফেলেছিলাম
ফুলওয়ালীর চোখের ভাষা
আর দেখে ফেলেছিলাম
তার পেলব বুকের খাঁজের
তিল-বিন্দুর চমৎকারিত্ব!
অতএব …

যখন গ্রহান্তরে – গোবিন্দ মোদক

শিস দিয়ে যেমন
পাখি উড়ে যায়
দূরে … দূরান্তরে …
তেমনিই উড়ে যাবো
কোনও গ্রহান্তরে —
চন্দ্র সূর্য তারাদল পেরিয়ে
গেয়ে যাবো
অন্য কোনও মানবতার গান;
তারপর —
বিস্ময়াবেশের রেশ কাটলে
সবুজ হৃদয় ভাবতেও পারে
ফেরবার কোনও কথা!

বাসি খবর! – গোবিন্দ মোদক

সে-রকম কোনও খবর
আজকের কাগজে
চোখে পড়লো না।
পড়বে কি করে!
খুন, ধর্ষণ, মানবতার পরাজয়
— এসব খবর পড়তে পড়তে
আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি!
তাই রোববারের সকালে
বাজারে একটাই খবর —
খাসির মাংস সাতশো টাকা কেজি
অথবা খেলা দেখা শেষে
নিটোল একটা ভাতঘুম!

রান্নাবান্না! – গোবিন্দ মোদক

কর্তা বলে- বাজার থেকে
এনেছি দামে ঘি,
বৌমা তুমি ভালো ভালো
রান্না করবে কি!

বৌমা বলে রান্নাঘরটা
দেখিয়ে আমায় দিন,
তবে আপনি বাজার থেকে
খাবার কিনে নিন!

কর্তা বলে তার চেয়ে যাই
চলো সুন্দরবন,
ঘাস আর পাতা খেয়ে
ভরিয়ে তুলি মন!

হুতুমীর বিয়ে! – গোবিন্দ মোদক

গুবরে পোকা হেঁকে বলে
আজ হুতুমীর বিয়ে,
সব পোকারই নিমন্ত্রণ তাই
ভোজটা খাবে গিয়ে!

তাই গন্ধ পোকা স্টেজে উঠে
শোনায় মজার গান
উচ্চিংড়ি নাচতে থাকে
মুখে দিয়ে পান!

এমন সময় হুতুম আসে
বাদ্দি-বাজনা নিয়ে,
শোনো শোনো শোনো সবাই
আজ হুতুমীর বিয়ে!!

লিমেরিক : সুখেনের হবি – গোবিন্দ মোদক

সুখেনের হবি ছিলো — গুবরে পোকা শোঁকা,
তাইতো নাকি জমাতো সে নানারকম পোকা;
একটি পোকা কামড়ে নিলো,
একটি পোকা ভেংচি দিলো,
তবুও পোকা ফেলে না সে এমনই সে বোকা!

ঝড় আসতে পারে জেনেও

ঝড় আসতে পারে জেনেও
পথিক পথে বের হয় –
সমুদ্র পেতেছে যে শয্যা
শিশিরে তার নেই ভয়।

ঝড় আসতে পারে জেনেও
পাখি কুটো দিয়ে বাঁধে বাসা –
মৃত্যুতে সব শেষ জেনেও
শেষ হয় না কারোরই আশা।

ঝড় আসতে পারে জেনেও
গাছ ফোটায় তাদের ফুল –
ভালোবাসাতে ব্যথা জেনেও
মানুষ ভালোবেসে করে ভুল।

ঝড় আসতে পারে জেনেও
দরজা খুলে রাখি আমি –
প্রেম চলে যায় পিছন দিয়ে
মুচকি হাসেন অন্তর্যামী!!

বিরহের অন্তরালে – গোবিন্দ মোদক

সব শুকনো পাতা-ই ঝড়ে ওড়ে না
কিছু উড়ে যায় … কিছু পড়ে থাকে।
এই পড়ে থাকা বিরহ নিয়েই
আমার কাজ কারবার।
তাই নিরন্তর নকশী কাঁথা বুনি
বিরহের জালে …
ঝড় আসে … চলে যায় …
ঢেউ ওঠে … ভেঙে যায় …
আলো আসে … নিভে যায় …
পদাবলী কীর্তন গায় বোষ্টম ঠাকুর
খঞ্জনি বাজানোর লোকের অভাব।
তবু কিছু বিরহকে উড়িয়ে দিয়ে
কিছু বিরহকে বুকে রাখে গীতিকার
কেন না সব শুকনো পাতাই
ঝড়ে উড়ে যায় না!

সরীসৃপ! – গোবিন্দ মোদক

আজকাল সরীসৃপে বড্ড ভয় হয়েছে আমার।
নিদ্রায়, জাগরণে তাড়া করে ফিরছে
একটা ক্লেদাক্ত শরীরের শীতলতা –
যেন দরজার বাইরে পা রাখলেই
পায়ে জড়িয়ে ধরবে কোনও শীতল বেষ্টনী
এমনই এক অলীক ভয়ে আমার হাত-পা হিম
দড়িকেও সাপ ভাবছি!
টিকটিকি গিরগিটি দেখলেও গা ঘিনঘিন!
সাপের চোয়াল আমাকে মুখব্যাদান করছে
ঘুমের স্তরে স্তরে।
খেতে বসলে শীতল রক্তের সাপের
কর্কশ আঁশের কথা মনে পড়লেই
গা গুলিয়ে উঠছে আমার,
অথচ আমার চারপাশে কোনো সরীসৃপ নেই!

গতকাল রাত্রে চমকে উঠে ঘুম ভাঙলো আমার।
দেখলাম বুকে ভর দিয়ে এসে
বিছানার ও-প্রান্তের নগ্নিকাটি
লকলকে জিভ দিয়ে
চেটে খাচ্ছে আমার ঠোঁট দু’টো!
আমি চিৎকারও করতে পারলাম না –
ধীরে ধীরে আমিও সরীসৃপে পরিণত হলাম!

গমনাগমন – গোবিন্দ মোদক

নারী গমনের আগে ও পরে কি হয়
বা কি হতে পারে
তার রূপক বর্ণনা বহুবার বহুভাবে
তোমাদেরকে জানিয়েছি
হে আমার প্রিয় বন্ধুসকল!
তবু শুনে রাখো –
প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত হলে
দু’হাতে যত্ন করে নাঙ্গা করি কামিনীকে
নীলাভ আলোর স্বল্পতায় –
আয়নাও চমকে ওঠে বিবসনাকে দেখে
তখন অধর-ওষ্ঠ ও যুগলশঙ্খ পেরিয়ে
ক্রমাগত পার হই নাভিকুণ্ড …
অস্থির রোমকূপ ও রোমে ভরা প্রান্তর …
কৃষ্ণ গহ্বরের সীমাহীনতা …
তারপর বিপুল উৎসাহ
দ্রুত ধাবমান অশ্বের হ্রেষাধ্বনি
ও ক্ষুরের শব্দ …
ক্রমাগত তাপগ্রহণ ও বর্জন
সাপ-লুডো খেলা …
সহজে জয় আসে না
কায়িক ও মানসিক শ্রমের চূড়ান্ত!
অবশেষে পালাবদল
আর একাকী হওয়ার চিরন্তন ইতিহাস!

যখন বিরহ – গোবিন্দ মোদক

বুকের কাছে টেনে
সান্ত্বনা দেওয়ার মতো
কোনও ভাষা
জানা নেই আমার।
জানি –
সান্ত্বনা দিলেই
তোমার দু’চোখে ঝরবে
সাত সমুদ্রের স্বাদ।
এভাবেই একদিন –
পৃথিবীতে একা হয়ে যাবো আমি
আর অনায়াসেই হয়ে যাবে
জীবনটা বরবাদ!

শেষ চিঠি – গোবিন্দ মোদক

তোমাকে লেখা শেষ চিঠিখানি ডাকে দেবার আগে
আমি দ্রুতচোখে দেখে নিই সমূহ ব্যাকরণ,
বানানের রকমফের আর সম্বোধনের খামতিটুকু ;
তারপর চিঠি ডাকে দিয়ে ঘরে ফিরি
তোমার কথাই ভাবতে ভাবতে …।

এরপর একদিন এসে যায় অপ্রত্যাশিত উত্তর,
লেফাফা খুলে টের পাই —
মুক্তো অক্ষরগুলো ধুয়ে গেছে ভাবনাজলে,
কাঁপা-কাঁপা হাতে যত্নে তুলে রাখি ভেজা অক্ষর
বীজ থেকে মহীরুহ হওয়ার আশায় আশায়।

মানচিত্র – গোবিন্দ মোদক

মানব-মানচিত্রখানি খুলে বসেছি।
পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখছি প্রতিটি অংশ।
পাহাড় পর্বত মালভূমি উপত্যকা নদ-নদীর বদলে
এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে
স্নেহ-ভালোবাসা দয়া করুণা স্বার্থপরতা,
ক্রূরতা হিংসা শঠতা কৃপণতা আর উদারতা,
রয়েছে মানবিকতা, প্রেম, স্বার্থত্যাগ ;
সহাবস্থানে নীচতা, দ্বেষ, কূপমণ্ডুকতা আর দ্বন্দ্ব !
অজস্র ধান্দাবাজি রেখা কিলবিল করছে
মস্তিষ্কের কোনও কোনও অংশে,
অজস্র নীলচে রেখা নির্দেশ করছে
ব্যথাতুর হৃদয়ের সমূহ ক্ষতমুখকে,
অজস্র আলোকিত রেখা শুভবুদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে,
সবুজ বিন্দুগুলি দিচ্ছে ভালোবাসার সংকেত ;
শুধু লাল নির্দেশিকাগুলোকে বুঝতে পারছি না !
তবু বসে আছি মানব-মানচিত্রখানির সামনে,
মনে মনে ভাবছি — পরীক্ষাগারে গিয়ে
বুকের অসুখের চিকিৎসা করানো ঠিক হবে কিনা !

পাত্রী দেখার ঝকমারি!! – গোবিন্দ মোদক

ভাইয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গেলাম পাত্রীর বাড়ি!
এই পাত্র-পাত্রী দেখা-দেখি ভীষণই ঝকমারি !!
সাজ-গোজ করে পাত্রী এসে বসলো আমার কাছে!
হঠাৎ আমার চোখের পাতা তিড়িং-বিড়িং নাচে !!
আমি পাত্রীকে দেখবো কি পাত্রী-ই আমায় দ্যাখে!
ট্যারা চোখে আমার দিকে স্থির তাকিয়ে থাকে!!
আমি বলি- “আমি নই, পাত্র আমার ভাই”!
পাত্রী বলে- “তুমিই ভালো, তোমায় আমি চাই”!!
বাবাকে ডেকে পাত্রী বলে “পাত্র আমার পছন্দ!
এইখানেতেই তুমি বাবা করো বিয়ের সম্বন্ধ” !!
এই না শুনে লজ্জায় আমি পালিয়ে গেলাম দূরে!
এক ছুট্টেই পৌঁছে গেলাম বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে!!
বাসে উঠে টিকিট কাটবো হঠাৎ তাকিয়ে দেখি!
পাত্রী আমার পাশে বসে মুচকি হাসছে! সেকি !!
মধুর হেসে পাত্রী বলে — চিন্তা কিছুই নাই!
তোমার বাড়িই যাচ্ছি এখন দু’টো টিকিট চাই!!

চাচা! আপন প্রাণ বাঁচা!! – গোবিন্দ মোদক

শোনরে যদু! শোনরে ভোলা!
খেলা নিয়ে নাকি জলঘোলা
হচ্ছে খেলার মাঠে!
সবুজ সংঘ গোল দিয়েছে
তরুণ সংঘ শোধ নিয়েছে
খেলা উঠেছে লাটে!!

ওদিকে তোরা যাসনা রে ভাই!
অনুরোধ করে বলছি যে তাই
হতে পারে মারামারি!
লাভ কি ভাই ওই সবে থেকে!
শুধু শুধু গায়ে ঝামেলা মেখে!
সোজা চলে যা বাড়ি!!

যেমন খুশি তেমন সাজে ভূত – গোবিন্দ মোদক

ভূত পাড়াতে জবর খবর স্পেশাল আইটেম,
‘গো অ্যাজ ইউ লাইক’ হবে দারুণ মজার গেম!
‘যেমন খুশি সাজো’-তে তাই নামটি দেবে বলে,
ভূত-পেত্নী-দত্যি-দানো সবাই এলো চলে!
পৈতে পরে মামদোভূতে সাজলো গনৎকার,
স্কন্ধকাটা ভূত সাজলো মুদির দোকানদার!
চশমা এঁটে মেছোভূতে মাস্টার মশাই সাজে,
পেত্নী সাজে মহারানী অলংকারে, তাজে!
শাঁকচুন্নি দারুণ সেজে বিমান সেবিকা হয়,
ডাকাত সেজে জোলা ভূতে দেখায় ভীষণ ভয়!
ঢুলি সেজে গোদান ভূতে বাজায় বসে ঢোল,
মস্তান সেজে ধোঁয়া ভূতে বাধায় গন্ডগোল!
ময়রা সেজে মিষ্টি বানায় দু’জন সাহেব ভূত,
হর-পার্বতী সেজে আসে জীনের দুই পুত!
খড়ম পায়ে ব্রহ্মদত্যি সাজে মহেশ্বর,
টোনা আর টুনি ভূতে সাজে বউ আর বর!
মাঠ জুড়ে ভূতের কেত্তন ভীষণই অদ্ভুত,
এমন সময় লগুড় হাতে আসে যমদূত!
যমদূত-ই ফার্স্ট হলো বিচারকের রায়,
যমদূতটা সেজেছিল ক্যাবলা ভূতের ভাই!!

গাছ আমাদের বন্ধু – গোবিন্দ মোদক

গাছ আমাদের মিতা ও ভাই
গাছই মাতা পিতা,
গাছকে সম্মান করতে শেখো
যেমন করো গীতা ।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে
গাছ আমাদের সাথী,
অক্সিজেন যোগাচ্ছে সে
সারা দিবস রাতি।
মুখের খাবার যোগাচ্ছে গাছ
ফল ফুলও দিচ্ছে ,
একই সাথে দূষিত বায়ু
সবই শুষে নিচ্ছে।
প্রকৃতির ভারসাম্য রেখে
গাছ যে দেয় সেবা,
মানুষের এমন শ্রেষ্ঠ বন্ধু
আছে আর কে বা!!

গাছ বাঁচলে তুমিও বাঁচবে – গোবিন্দ মোদক

প্রকৃতি মানুষকে যতো দেয় উপহার
সবুজ বনভূমি হলো সব সেরা তার।
গাছ দেয় খাদ্য বস্ত্র, দেয় বাসস্থান
জীবন বাঁচাতে দেয় গ্যাস অম্লজান।
সুশীতল ছায়া দেয়, দেয় ফুল ফল
মেঘ আকর্ষণ করে আনে বৃষ্টির জল।
ভূমিক্ষয় রোধ করে এই বনভূমি
মাটিকে শীতল রেখে রোখে মরুভূমি।
পরিবেশের দূষণটা গাছ করে রোধ
তবু মানুষ গাছ কাটে এমনই নির্বোধ!
তাই নয় বন ধ্বংস বনসৃজন করো
পৃথিবী হোক বাসযোগ্য সেই ভাবে গড়ো।
সময় হয়েছে এবার বাঁচাও বনভূমি
তবে বাঁচবে বসুন্ধরা তবে বাঁচবে তুমি!

বাঙালি! তোর খুরে খুরে নমস্কার! – গোবিন্দ মোদক

ভালোবেসে সবকিছু আত্মীকরণ করে
অন্যের সংস্কৃতিকে আপন করে নিতে
অন্যের ধর্মকে আপন করে নিতে
সে এতোটুকুও ভাবে না …
অথচ নিজের কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্য
সব চুলোয় যাক!
কুছ পরোয়া নেহি, লেকিন …
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন! বাঙালির কথাই বলছি,
বিশেষতঃ পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীদের কথা!
সেই কবে কবি বলে গেছেন —
বিদেশের কুকুর ধরি স্বদেশের ঠাকুর ফেলিয়া!
আর আজ তা বর্ণে বর্ণে ফলে যাচ্ছে!
অহো! কী দুঃসহ পরদেশপ্রীতি!
আহা! কী অত্যাশ্চর্য পরজাতিপ্রীতি!
বাঙালি! তোর খুরে খুরে নমস্কার!

যখন বসন্ত – গোবিন্দ মোদক

কার সঙ্গে প্রেম করবে বলে বসন্ত আসে
তা তেমনভাবে আমার জানা নেই
ভেবেও দেখিনি এমন গূঢ় তত্ত্বকথা
তবুও বসন্ত এলেই
এলোমেলো বাতাসের মতো মন
সাজিভরা ফুলের মত ভাবনা
আর শিকড়-ছেঁড়া বসন্ত-বিলাপ
আমাকে করে তোলে বিরহের প্রতিমূর্তি!

প্রেম নেই জানি —
তবু অকারণ এই কাছাকাছি থাকা
আমাকে সাহস যোগায়
কাল্পনিক প্রেমিকপ্রবর হতে।
তাই নৌকার গুন টানি, পাল খাটাই
আর দু’পাড়ে দু’চোখ রাখি
যদি নজরে পড়ে —
ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া ফুলের
থোকা-থোকা লাল-লাল যন্ত্রণার দাগ।

স্বার্থপরতার কাছাকাছি – গোবিন্দ মোদক

ইচ্ছে হলে পাখি হয়ে উড়ে যেতে পারো
কিন্তু পড়ে থাকবে আকর্ষিত জমি
না বোনা বীজ আর ফসলের স্বপ্ন …
পড়ে থাকবে ঘাম-নিঃশ্বাসের ব্যর্থতা
আর অস্তিত্বের শিকড় …
পড়ে থাকবে কবিতা লেখার সরঞ্জাম
না লেখা কবিতা
আর ভাবনার মেঘ-মল্লার।

তবু তুমি উড়ে যেতে পারো
যেতে পারো নিজস্ব সংগ্রহশালা ছেড়ে
অন্য কোনও উদাসীর দেশে
উজ্জ্বল কোনও স্বপ্নের খেয়ালে …
শুধু অনুরোধ –
যেতে যেতে লিখে রেখো
যাত্রাপথের আনন্দ গান
আর চাওয়া-পাওয়ার নীতিহীন দিনলিপি।

ইচ্ছে হলে উড়ে যেতে পারো পাখি হয়ে …

প্রতিশ্রুতির নাগপাশে – গোবিন্দ মোদক

শ্রাবণের বৃষ্টি না আসলে
তোমার দেওয়া চিঠি খুলে দেখবো না
— এমন একটা আষাঢ়ে প্রতিশ্রুতি
তোমাকে দিয়েছিলাম
নিতান্ত কিছু না ভেবে দুর্বলতাবশতঃ।
অথচ দগ্ধদিনের যাত্রাপথ শেষে
আজও না এলো কোমল বৃষ্টি …
না সঞ্চারিত হলো মেঘের কাজল,
শুধু বুকপকেট জুড়ে হাঁসফাঁস করে উঠলো
রঙিন চিঠির খাম
ঘামে ভিজে ছিঁড়ে গেলেও
তাকে খোলা যাবে না,
কেন না নিতান্ত অজ্ঞ আমি
যে ভীষণভাবেই তোমার কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
সাধ্যমতো সত্যধর্ম পালনের জন্য!

সব শেষের আলোটুকু – গোবিন্দ মোদক

তারপর কি হলো?

তারপর আবার কি হবে! যা হবার তাই হলো!
আকাশ জুড়ে দিব্য চাঁদ উঠলো।
চাঁদের আলোর এক তৃতীয়াংশ
খোলা জানলাপথে তোমার ঘরে প্রবেশ করলো
তোমাকে আলোকিত করতে।
এক তৃতীয়াংশ গেলো তোমার শত্রুপক্ষের বাড়ি
তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিতে
আর বাকি এক তৃতীয়াংশ গেলো মিত্রপক্ষের কাছে
তাদেরকে সাধুবাদ জানাতে!

ব্যাস! গল্প শেষ! তাহলে তুমি কি করলে?

আমি? আমি দাঁড়িয়ে রইলাম
সর্বাঙ্গে যুগের অন্ধকার মেখে
আর আমার বুক পকেটে ভাঁজ হয়ে পড়ে রইলো
জ্যোৎস্নার নামে লেখা চিঠির কাগজখানা।

সুন্দরের কাছাকাছি – গোবিন্দ মোদক

সুন্দরের কাছে এলে
কেউ ভাবে —
ইস! আমি এতো কুৎসিত!
কেউ ভাবে —
আমিও কম সুন্দর নই!
দেখবার চোখে একই হলেও
অনুভূতি আলাদা।
তাই বুঝি পৃথিবীটা এত সুন্দর!
তাই বুঝি এতো পাখির কূজন!
তাই বুঝি বায়ু বয়, ফুল ফোটে;
আর নদী শোনায় —
বয়ে চলার জীবনদায়ী সুন্দর গান!

ফুল ফোটার অপেক্ষায় – গোবিন্দ মোদক

কাঁটা আছে জেনেও
নিজের হাতে একটা গোলাপ গাছ পুঁতেছিলাম
কোনও এক আষাঢ় অপরাহ্ণে
বৃষ্টির অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও।

এখন শুধু লোভনীয় ক্লান্তিকর অপেক্ষা —
কবে ধরে উঠবে কুঁড়ি
আর ক্ষতবিক্ষত হবো জেনেও
তাকে ফোটাবার দুরন্ত আহ্বান!

গোলাপের কাঁটাময় হলেও
জানি —
পাঁপড়ির কোমলতার তুলনা পাওয়া ভার!

নয়ের ঘরের নামতা – গোবিন্দ মোদক

ছোটবেলায় নয়ের ঘরের নামতা মুখস্থ করা
আমার কাছে ছিল
পৃথিবীর অন্যতম সুকঠিন কাজ।
বড়ো হয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি খোলার
রহস্যময় কৌশল আবিষ্কারের মতোই
তা জলভাত হয়ে গেল।
কিন্তু বড় বয়সে কোথায় নামতা
আর কোথায় সেই গুরুমহাশয়ের বেতের ভয়!
আজ ঊনিশ ঘরের নামতাও
না থেমে বলে দিতে পারি অনায়াস দক্ষতায়।

অথচ পঁচিশ বছর পেরিয়ে এসেও
মুখস্থ হলো না
তোমার শরীরের গলিঘুঁজির নামতা সমূহ!
তাই পদে পদে হোঁচট খাওয়ার ভয়!
আর তা যে মোটেও অমূলক নয়
তা তোমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না।

বনমানুষ – গোবিন্দ মোদক

আমার দেহের সর্বত্র বেড়ে উঠেছে লোম
প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে।
বেড়ে উঠেছে গোঁফ ও দাড়ি।
ভীষণদর্শন করেছে আমায়।
মাথাভর্তি জটা-চুল তাকে শাণিত করেছে।
জানি —
এ অবস্থায় ভদ্রসমাজে যাওয়া চলে না।
নিদেনপক্ষে প্রয়োজন একজন নরসুন্দরের।
কিন্তু —
আমার থাবার নিচে লুকানো যে রোম,
তাকে সুন্দর করবে কোন নরসুন্দর?
হে প্রার্থিত দেবতা!
আমাকে বনমানুষ করে দাও!

নুন প্রসঙ্গ – গোবিন্দ মোদক

কিছু না ভেবেই
কথা দিয়েছিলাম —
পৃথিবীতে রেখে যাবো
তিন ভাগ জল।
কিন্তু এখন —
নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
ফুরায় পান্তা ভাতের জল।
পড়ে থাকে শুধু নুন আর নুন।
তিন ভাগ জলের বেশিটাই
তাই লবণাক্ত হলো ….
হলো অমোঘ নিয়ম মেনেই।
অথচ কিছু না ভেবেই কথা দিয়েছিলাম।

গোবিন্দ মোদক | Gobinda Modak

Bengali Poetry 2023 | সুভাষ নারায়ণ বসু | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | বৃন্দাবন ঘোষ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | শিশির দাশগুপ্ত | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

অকালপক্ক ভালোবাসা | যখন গ্রহান্তরে | বাসি খবর | রান্নাবান্না | হুতুমীর বিয়ে | সুখেনের হবি | ঝড় আসতে পারে জেনেও | বিরহের অন্তরালে | সরীসৃপ | গমনাগমন | যখন বিরহ | শেষ চিঠি | মানচিত্র | অশনি ঝড় | আম্ফান ঝড় | ঘূর্ণিঝড়ের খবর | ঘূর্ণিঝড় এখন কোথায় আছে | ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা | আম্ফান ঝড় কবে হয়েছিল | অশনি ঝড় কবে হবে | ঘূর্ণিঝড় কবে হবে | তোমার আমার এই বিরহের অন্তরালে | নিশা অবসানে কে দিল | ভালোবাসা রবীন্দ্র সংগীত | বিরহের গানের তালিকা | রবীন্দ্রনাথের সেরা গান | বিরহ মধুর হলো আজি স্বরলিপি | রবীন্দ্রনাথের গানের সংখ্যা | সরীসৃপ প্রাণী | কুমির কি সরীসৃপ | সরীসৃপ সিনেমা | সাপকে সরীসৃপ বলা হয় কেন | সরীসৃপ প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ | সরীসৃপ প্রাণী কাদের বলে | সরীসৃপ নাটক | সরীসৃপ প্রাণীর তালিকা | সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী | সরীসৃপ প্রাণী কাকে বলে | সরীসৃপ পশু এনসাইক্লোপিডিয়া | সরীসৃপ অঞ্চল দ্বারা | বিভিন্ন সরীসৃপ প্রাণী | সরীসৃপ বাংলা বই | মা দুর্গার গমনাগমন | বিরহ যখন কবিতায় | ভালবাসার শেষ চিঠি | শেষ চিঠি ছবি | নাটক শেষ চিঠি | শেষ চিঠি দিঘি | শেষ চিঠি নাটক লিংক | শেষ চিঠি কবিতা | শেষ চিঠি বাংলা মুভি | বিশ্ব মানচিত্র | মানচিত্র কাকে বলে | মানচিত্র পৃথিবীর | ভূসংস্থানিক মানচিত্র | মানচিত্র সম্পর্কে তথ্য | জেলা মানচিত্র | মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ | প্রশাসনিক মানচিত্র | ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র | অকালপক্ক বাচ্চা | অস্তিত্ব রক্ষায় গ্রহান্তরে | গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে | গ্রহান্তরের আগন্তুক | বাঙালির রান্নাবান্না | রান্নাবান্না রেসিপি | রান্না করা | আধুনিক রান্নাবান্না | রান্নাবান্না টিপস | রুমানার রান্নাবান্না | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | সেরা বাংলা কবিতা | কবিতাসমগ্র | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Bengali Poetry in West Bengal 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books | Bengali Poetry in West Bengal pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Bengali Poetry in West Bengal Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2023 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023 | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending Bengali Poetry in West Bengal | Bengali Poetry in West Bengal – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | Bengali Poetry in West Bengal examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | Bengali Poetry in West Bengal Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life | Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New Bengali Poetry in West Bengal | Writer – Bengali Poetry in West Bengal | Top Writer – Natun Bangla Kabita 2023 | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – Bengali Poetry in West Bengal | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Bengali Poetry in West Bengal | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf | Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live collection Bengali Poetry | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | Best Bangla Kobitar Live Video | Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Live Bangla Kobita | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online High Trend Bangla Kobita Selection | High Trend Bangla Kobita translation in english | High Trend Bangla Kobita | High Trend Bangla Kobita for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics

Leave a Comment