বিকাশ চন্দ – সূচিপত্র [Bengali Poetry]
রিক্ত রোষে ব্রহ্মাণ্ড যখন [Bengali Poetry]
বহুত্বের সিঁড়ি ভাঙ্গে সমানে মায়াহীন শরীর দাস বৃত্তে
আকাশ মাটি জড়িয়ে আছি তবুও আত্ম বলি দানে
লাল নীল গেরুয়া সবুজ হিসেব হীন জানে জনভূমি
ছিঁড়ে খায় প্রেমারতি মিশে যায় সাপ সহবত নীল বিষ শ্বাসে
ফুলে ফুলে চুম্বন ছেঁড়ে ধ্বংসের দৈত্য বাগানে লতাগুল্ম
দিব্য সময় কালে চাঁদ শরীরে রক্ত ফসল ফলায় নিভৃতে
সর্বাঙ্গে সত্তার ভেতরে একাকী জেগে থাকে মায়া রূপ
জীবন্ত সকল প্রাণী জীব জগত দাঁড়িয়ে অসম সন্ধিক্ষণে
জঙ্ঘার রূপ বদল এর ঝিলিকে জাগে সরীসৃপ একা
মদ মাংস নারী খোঁজে পাক খোলে কুণ্ডলীটা নীল নির্মাণে
রক্ত ঘামের ঘ্রাণে জাগে বোধ অসামাজিক লোভ
ভুলে যায় জন্ম ঋতুচক্রের বিন্দু বিন্দু প্রাণ সঞ্চরণ
ব্যাধ ও জানে জীবন বোধের ধারাপাত জীবিকা বিষাদ
শোকাহত জননী জানে পশুদের দুঃস্বপ্নের থাবার আঁচড়
শিরা উপশিরা ছেড়ে অরণ্যের আদিম গ্রাসে স্বর্গ মর্ত্য
আত্মার মৃত্যুর যন্ত্রণা ভিজে যায় জন্ম লালায় অখন্ড মূর্তি
পৃথিবীময় পাথর পুরুষ জেগে ঘোরে মানুষের উঠোনে
ছিঁড়ে ফেলে হত্যা করে শাণিত রিক্ত রোষে ব্রহ্মাণ্ড যখন
নীলকন্ঠ শিরা ও শরীরে [Bengali Poetry]
মহাকাশের নীলে এক ঢাল জীবন্ত ভালোবাসা ম্লান
ফিরেও দেখেনি কেউ স্বপ্ন ভুখ-একা পাঁজরে খিলানে
সাত জন্ম পাক খাচ্ছে জাতক জন্ম পিঠ শিরা উপশিরায়
প্রতিটি পুরুষ নাকি আর্য সত্য খোঁজে মায়া চাঁদ আলোয়
অগণিত মানুষের সারি অফুরন্ত জীবন সূর্যের তাপে
চলন কালের ক্রোধ জানে ঝরে পড়ে মানুষের জল ছবি
অঝোরে ধুয়ে যায় বৃষ্টি পাতে চলন কালের ত্রিযামা
তবু এত সংহার সময় ভেসে যায় অনন্তের মুগ্ধ প্রশ্বাস
রাতের অন্ধকারে প্রজনন বৃষ্টিপাতে ডাকে না ব্যাঙ
নীরব অরণ্য জানে শেকড়ে বাকড়ে আত্মার অংকুর ভেজে
কেবল প্রশান্তি গলায় সুর তোলে অজ্ঞাত মুখ ছায়া একান্তে
আকাশের ছায়াপথ চিনেছে বিভূঁই এদেশের অনাগত রাতে
শ্বাসকষ্ট বোঝে তবু প্রসন্ন শরীর ভাঙ্গে ভালোবাসা ঘর
মায়া মুদ্রায় আভূমি প্রণত আমার উৎসর্গকাল কাঁপে
মুখ ফেরানো মৌন মানুষ যাবে ঊর্ধ্বশ্বাসে অপার বিস্ময়ে
অভিলাষ ছিল না জেনে দাঁড়াবে ভয়ংকর পরকাল একদিন
দহনে দহনে সারাটা জীবন নীলকন্ঠ শিরা ও শরীরে
রূপান্তরে ভাসে [Bengali Poetry]
হাত ভর্তি হলুদ বোঁটা শিশির ছোঁয়া ভালোবাসার পাঁপড়ি
অটল নীলের জল ছবি অন্তঃপুরে গোপন সখ্যতা
কোঁচড়ে কোমল ফুলে এক আঁচল স্নিগ্ধ প্রার্থনা মাখে
দু’চোখের তারায় আরশি ছায়া চূর্ণ ফোটা প্রতিশ্রুতির
মুখের উপর পুতল মায়া দুঃখ রেখা ভিজিয়ে বিষন্নতা
স্নিগ্ধ শ্রীমুখে অনিকেত ঈশ্বরী মায়া ছায়ায় মায়ায়
সহন সীমায় দাঁড়িয়ে জ্বলন বেপথু আত্মবিভ্রমে পরস্পর
ঘূর্ণি সময় টেনেছিল অন্তরে তার রক্ত কুসুমে জন্ম সেতু
শাখায় শেকড়ে রোদ বৃষ্টি শরীরে আশ্চর্য আত্মার কৌতুক
জেগে ওঠে জগন্ময় মূর্তি প্রতি সকালে আগুন স্পর্শে
নন্দন আলোয় ধানের সার সার আঁটি ডগায় সোনা শস্য
সামনে আধ ঘোমটা মুখ সকাল সিঁদুর লাল সূর্য টিপ
কোঁচড়ে অক্ষয় নাভিকমল জন্ম শরীরে আশ্চর্য লোহিত পরশ
জীবনের কথকতা জানে কি পদ্মনাভির অনন্ত নীলমণি
নামহীন দয়াময়ী জানে ভূমিষ্ঠ কালের অপেক্ষায় শিশু ঈশ্বর
শিকড়ে জন্ম নাড়ি টান আদি সত্য আলোর দুয়ারে
সাদা কালো সময়ের নীল বাতি কত রঙের গভীর কপটতা
ছায়ায় মায়ায় হৃদপিন্ডের আকুতি বোঝে সন্ন্যাসী সংসারী
তবুও নিবিড় ক্ষরণ কালে রূপান্তরে ভাসে আত্মার প্রতিমা
এসো আত্মার আলো মুখ [Bengali Poetry]
যযাতি যৌবন জড়িয়ে আছে বহু বর্ণ অক্ষর ভাষায়
বিবর্ণ অক্ষর বুকে শব্দময় শরীরী গন্ধ মেখেছে কাঁচুলি
মেঘ রঙে তখন বিজলি চমক ছুঁয়ে যায় শঙ্খচিল
হিংসা ঘৃণা বোঝেনি অলক্ত সে সূর্য ঘরনি
তুমি সেই জল রঙে জল ছবি দেহবাসে সনাতন মায়া
বিমনস্ক যুবক শরীর চোখে মায়া সুর বাউলের গান
আটপৌরে ঘরের বিষাদে ধরা দেয় লোহিত প্রমাদ
তবুও হৃদয়ে থাকে ছলাৎ ছল রুক্ষ বয়ঃসন্ধি
পশুর পরাবশতা শরীরে মেতেছে পাপের পৌরুষ
বেল জুঁই বকুলের আত্মা ভিজেছে জলে স্নানের যুবতি
নীল নেশায় মিতেছে ধমনী রক্তে পায়েলের সুর
অবাক সকালের রোদ শরীর ডাকে বিষন্ন মৃত্যুর বৃত্তে
প্রীতি কথা স্তুতিময় ঘিরে আছে স্পন্দিত বুকে আবরণ
এসো আত্মার আলো মুখ শেষ বেলা আগুন প্রহরে
রঙের ভেতরে মনস্কামনায় ডাকে গেরুয়া গোধূলি
ডানা ঝাপটে পাখিদের শ্লোক আকাশের গায়
প্রতিদিনই বেঁচে বর্তে জীবন জানে নষ্ট শরীর আমরণ
খেলাঘর জানে উন্মত্ত বাতাসেও রাতে জ্যোৎস্না নামে
হস্তাক্ষর [Bengali Poetry]
অবাক মুখোশ আড়ালে অবয়ব চলেছে অমোঘ নিধনে
জন্ম শেকড় খোঁজে মায়া রক্ত টানে এক স্বধর্ম বিলাপে
নৈঃশব্দ্যে প্রস্থান মগ্ন সময়ে নির্বিকার মহাকাল বিক্ষত কি
দেখেছি নীল পাড় শাড়ি লাল ধুলো উড়াউড়ি গোধূলি গৈরিকে
অদম্য আর্তনাদ ঝিম মেরে বসে আছে মাঠে-ঘাটে অশ্লীল প্রচ্ছদে
ছিন্নভিন্ন সময় জানতো আবারও লালসায় হাত মুঠো হবে
কালো পাথরের মতই সাজাবে যূপকাষ্ঠ যত দুর্দান্ত ভয়
অজাত শত্রু সাদা পায়রা পালকে রক্ত মাখালো যখন
সুভদ্র সময়ের নির্জীব কথাবৃত্ত গেছে দিব্যি মহানির্বাণে
মুখের গড়নের হিংস্র ইতিহাস জানেনা সংসারী নর নারী
কেবলই ঘুরপাক ভুবন ডাঙ্গার মাঠ ঢিবি পাহাড় চড়াই উৎরাই
নির্মল জগৎ জাগে একা খসে পড়ে পোড়া দেহভার
কেবলই সৎকার বোঝে মসজিদ মন্দির গির্জা উপাচার
স্বপ্ন ছোঁয়া মুখগুলো কি বারোমাসই অসহ্য অস্তিত্ব বুকে
সকলেই অনাথ সময়ে কেবলই কি মৃত্যুর নান্দীমুখ
জীবন মৃত্যু বোধি কল্প আগুন পোড়া চিত্রকল্প ভবিষ্যতের
অনশ্বর আলো আঁধার দাঁড়িয়ে নির্বিকার পথের সীমায়
আরদ্ধ সময় অদল বদল টুকরো টুকরো পিশাচ ও প্রকৃতি
পেছনে পেছনে বিরুদ্ধ সময় বোধন কালের হস্তাক্ষর
অনার্য ব্রত যাপন [Bengali Poetry]
অনুশোচনার রাত জানে হিম বুকে শুয়ে আছে স্বচ্ছ ভাবনা
দ্বিধা হীন সময়ে গাছের শাখায় পাতায় মেঘ মায়া
হিরণ্য ছোঁয়ায় সবুজ হলুদে শপথ কথার দ্যুতি
বিরুদ্ধ কথায় এমন ও পাতার আড়ালে কেউ
অদৃশ্য সকল কথা আঁচল আবেগে স্বপ্ন তিথির ফুল
একাকী বসে জন্ম জননী অনর্গল ভেঙেছে পাঁজর
প্রাচীন বটের ঝুরি বেদনা বাঁধনে খোঁজে দয়ালু হাত
আলোর গাছে গাছে আরণ্যক উৎসবে জীবনের সংঘাত
কাদা মাটি হাতে সবুজ বোনা মাঠে মাপে পৃথিবীর পরিধি
আদিম কাদায় নতুন বীজের অক্ষর যন্ত্রণা বাঁচে প্রত্যাশায়
রাজার দাপট জানে অনর্গল কথা স্রোতে বেপথু জীবন
কাঁসার থালায় পান্তা মাখে সর্বস্বান্ত রোদ সকাল
ছায়ার মায়ায় ছড়াবে শান্তি জল তবুও ভয়ার্ত চোখ জেগে
শহর গ্রাম সান্ধ্য আড্ডা চোলাই মহুয়া মদ্যপ শ্রীময়ী পাঁচন
পৃথিবীর জন্ম জ্বালা জানে অনিবার্য বিনষ্ট ব্রত কাল
আদিম উষ্ণতা বন ঘরে বেঁধেছে মায়া প্রাণ নিরামিষ ছুরি
আদি কালের হাতে গণ্ডূষ ভরে ওঠে নিরন্তর রক্তক্ষরণ
গুহাচিত্রে ঋতুকাল আঁধার বাতাসে অনার্য ব্রত যাপন
ব্যবচ্ছেদ [Bengali Poetry]
অসামাজিক কথকতা জানে ফুল বাসর শপথ
অশেষ সময় কাল জানে পূজা পূজা খেলায় ঈশ্বরী
আলপথে পায়ে পায়ে বাজে নূপুর নিরন্তর ডাকে
জীবন বেঁধেছে দু’বাহুতে একান্ত প্রাণে জীবন্ত হরিণী
মগ্ন ঘাসের আঁচলে ঘুম ঘুম চোখে শ্বাস
ঘিরে আছে দুধ ধানি শরীর ঘরে ফেরা জানে পরবাস
ঈশ্বরই জানে কোথায় ছিল বাগান দিঘি জল পদ্ম সরস্বতী
আকাশ বাতাস জুড়ে বহুস্বর জানে পাখিদের শূন্য সাঁতার
বসন্ত বাঁধন শরীরে সংসারে জোয়ার জলের সীমানায়
সাত জন্ম আত্মার ভালোবাসা দৃশ্যান্তরে ডাকে
নোনা চাতরে ঝুপড়ি ঢেকেছে গাছের মমতায় জাতিকা জীবন
স্বপ্ন বুনেছে গান অক্ষর বীজ দিয়ে গেল প্রিয় আলো বার বেলা
এখন সকাল কুয়াশায় খসে পড়ে বিষণ্ণ ফুলের পাঁপড়ি
আত্মার ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে জীবনে জীবন জুড়ে সন্তাপে
চেনাপথে ডেকে ছিল শস্যবতি দুধের শরীর ও ঈশ্বর
হৃদয়ে রেখেছি হাতের চেটো সকল দুঃখ ঢেকেছে আয়ুরেখা
উদাসীন সময় পুড়লে বৃষ্টি মানুষে খোঁজে ফসলের মাঠ
মাটিও অপেক্ষায় হৃদয়ে জীবিত রক্তকণা অযুত ব্যবচ্ছেদ
তর্পণ [Bengali Poetry]
উন্নয়নের পথে ঊর্ধগতি আবাহন অদৃশ্য শাসন দণ্ড
কচি কাঁচা বাচ্চাদের উল্লাস কৃষ্ণচূড়া বসন্ত খোঁজে
আলুথালু সকাল সন্ধ্যা সমস্ত কথায় মায়াবৃত শ্লোক
অশোক সময়ে ভিটে মাটি চাটি হীন ঘিরে দ্রোহ কাল
পরিজন সরে গেছে ডেকেছে সুরম্য প্রাসাদ বেদি তলে
মজা নদী দেখেছে ঘূর্ণিপাকে হাওয়া বদলের উচ্ছন্ন বিলাস
জমিন আসমান ঘেরা বিরহী বাতায়ন খোঁজে অঞ্জলি
পক্ষপাতী ঘোষণা পত্র ছুঁয়ে আছে নিষ্কর বাস্তু ভিটে দালান
নীল সাদার ভেতর খসে পড়ছিল বিশ্বাস দুর্বৃত্তের রাতে
আকাশ প্রদীপ দেখেছিল কুঁড়ে ঘরে জন্ম আলো তর্পণ
জননী জানেনা তার অঙ্গ জাতক স্পর্শিত মাটিতে
অচেনা ঘরের উঠোনে সকল চেনা গ্রামের একই চালচিত্র
কোথাও বিন্দু বিন্দু কোথাও গমকে গমকে স্রোত ঘেন্নার
জমাট রক্তে জন্ম নিচ্ছে মরে যাচ্ছে আলো আবর্তিত ক্রোধে
তখন পুবের আকাশে সর্বভুক সোপান গড়ে সূর্য আগুন
ঈশানী ইঙ্গিত জানে মেঘনাদ এর হৃদয়ে ধারালো অগ্নিরেখা
দূরাগত আগন্তুককে চেনে না তেমন কেউ আকুল অন্তরে
রাঙামাটির দেশে এখনো ঊষরতায় রক্ত পলাশ ঢেউ
আত্ম ক্রোধ গিলে খায় রাজ্য পাট অপ্রাকৃত যত অনুযোগ
ভয়ে কাঁপে ঠোঁট হৃদয়ে অনেক মুখ করজোড়ে প্রজন্ম তর্পণ
শ্রুতি [Bengali Poetry]
দিক শূন্য সীমায় মানুষের ও দেখেছি ছায়া অপ্রবাসী
বুকের খিলানের ভাঁজের মতো বাঁচে জাতিস্মর
সকাল দেখে বুঝেছিল রক্তাভ বিকেল উপাসনা প্রহর
নীরব দর্শনে নীরস গাছেদের অঙ্কুরোদগম আশ্চর্য ফলের
হৃদয় জুড়ে আগলে আছি ফুল পাতা কুঁড়ি নিজের ছায়ায়
শূন্যস্থানে হাহাকার চিত্তশুদ্ধি বোঝে জীবনের নির্বাণ কাল
ধ্রুব জ্যোতি ভেবে ওই চোখে বিকল্প ঈশ্বর খোঁজা
নক্ষত্র নেমেছিল বারান্দায় জানে রমণীয় চন্দ্রকলা ছুঁয়ে
তৃতীয়া চাঁদের শরীর ছুঁয়ে হৃদয়ে ধ্বনিময় স্বরলিপি
সকল অস্তিত্বে বেঁচে ওঠে প্রাণ তৃষ্ণার মতো অমর্ত্য ক্ষুধা
কখন অন্ধকার ভাঙে শরীর জলজ বসুধা চেনে অঙ্কুর
দু’হাতে আশ্চর্য চকমকি ভিজে গেছে চোখের বিলাপে
গাঙচিল ও জানেনা তার বাসনা জলে স্থলে উছলে ওঠে
প্রাচীন চিত্রের মতো গাত্রদাহ নিয়ে শুয়ে মোহনা আগ্রাসী
বাঁয়ে ডায়ে শেকড় বাকড়ে নীরব জন্ম মরণ মাটি ও মূলে
অনাদৃত সময় জানে স্রোতবতি নারী পুরুষের বাসর বন্দনা
দোদুল বোলে নিবেদিত জল খেলা অনাহুত আয়ু ঘ্রাণ টানে
জল জোয়ারে ঋতু কালে ভাসে আত্মার অর্পিত শ্রুতি
হৃদয়ে জমিনের শ্বাস [Bengali Poetry]
বিনম্র সময়ে কেউ বলেছিল তুমি ভাষাকে শুদ্ধ করো
বিকল্পহীন বন্ধুত্বের বাঁধনে কে বলে সংখ্যা তত্ত্বের গল্প
ফুলেদের পাঁপড়ি ওড়াউড়ি সুখী সুখী নাট মন্দিরে
মানুষে মানুষে ছুঁয়ে থাকে পরম সত্য আঁকড়ে তথাগত
অপ্রিয় কিছু সত্ত্বা দিন রাত গিলে খায় স্বপ্ন শুদ্ধ হৃদয় আখর
রজনীগন্ধার গন্ধে কোন মৃত্যু দূত প্রত্ন স্থাপত্যে সমাসীন
মুখে রঙ স্বভাব দোষে অরূপ আংটি আঙুল কপাল ছুঁয়েছে
কখনো সখনো প্রতীক্ষায় নিশ্চিত নিষিদ্ধ সিদ্ধি লোভে
কৃষক জানে শাসন সময়ের মাটির নির্বাসনের কান্না
রাস্তার বাঁয়ে ডায়ে পাড়াপড়শিরা গোনে কাটে অসময় দিন
ফুলেরাও জানে শীতার্ত স্মিত মুখ কোটরগত চোখের ঝিলিক
রাজা বোঝে যুদ্ধের খেলা কোমরে বাঁধা নির্বাসন তাবিজ
চুক্তি হীন সময়ে ও দিন রাত যাবজ্জীবন ফেলে যেতে হবে
বনজ সংসারে মোটা ভাত রুটি উঠে আসে পথ মানুষের হাতে
দ্বিতীয়া চাঁদের কলায় পথের দু’পাশে অরণ্যে জ্বলে প্রদীপ
অদৃশ্য কৌশলে লুকিয়ে নরকের ভয় দুর্ভেদ্য প্রাচীর প্রাকারে
লোভ ঘৃণা হিংসা নেই অবসন্ন দেহ জানে জমির অধিকার
সত্য ফসলে জীবনের ডাক শোনে হৃদয়ে জমিনের শ্বাস
বার বেলা [Bengali Poetry]
সকল অভিজ্ঞান তোলা থাক গোপন জন্মান্তরে,
মানুষের দুটো হাতে আছে পরিযায়ী শ্রমের রিক্ত আঙুল
খিদের হিসেব নেবে প্রজন্ম সকাল পবিত্র মানুষের,
ক্ষুধা তৃষ্ণার হিসেব নেই জানে আত্মার ভাষা
সামনে পেছনে পড়ে থাকে নিরুপায় স্বপ্নহীন চোখ,
শূন্য পথে রুদ্ধ ঘরে গোপন কথা জানে অমর কানন।
কোন মেষ শাবক যায় না ঝর্ণার ধারে তৃষ্ণা কাতরতায়
ঠিকুজি কুলুজীর হিসেব বেড়ে ওঠে পোষা বাঘের ঘরে,
কোথায় জন্ম ছিল কোথাও নেই সে রক্ত জন্ম দাগ
কর্পোরেট হাউসের বেচা কেনা বোঝে না কোমল শব্দেরা,
এ সময়ের কথা জানে ভাঙা পাঁজরের ক্ষয় পরম্পরা
কৃষকের ঘরে জন্ম হলেও লেখেনি কৃষক কষ্ট কথা।
বিচ্ছেদ বাসনা পিঁড়ি পেতে বসে শুকনো থালা হাতে
ঘাসে পদ্মে জমিন রাস্তায় অন্য চোখ অন্য রাহাজানি,
সিংহাসনে বসলেই মহা মাতব্বর দূর্বাদল ও হাসে
প্রকৃতি কালের ডাকে হা পিত্যেশ লালন সময় একা,
চরাচর যতই স্নিগ্ধ হোক সুখী সুখী মুখে মহারানী
সহমর্মী মানুষের কথাগুলো ছুঁড়ে ফেলে প্রসন্ন বার বেলায়।
পালক [Bengali Poetry]
ফুল ফসলের অঙ্গাবরণ রূপে আহা শরীর নাকি নদী
দু’কুল প্লাবন জোয়ার ভাঁটা ক্ষেতের দোলন কী শরীরে,
কার শরীর আজ কার কফিনে কেবল ভাগ্যহত যদি
ঝলসানো মুখ দেখেছি সেও তোমার চোখের গভীরে।
ডাগর চোখে খোঁজার সময় যদি কাউকে খুঁজে পায়
অভ্র কুচি বৃষ্টি তখন মেঘ বরণী চুলে বিষণ্ণ বিদায়,
সবুজ মাঠে থোড় ভরেছে সোনা রঙ সুখতো দাপায়
কতক স্মরণ সুখে দুখে জন্ম কথা জমিনের কি দায়।
সে দিন ছিল হঠাৎ মেঘে ভেজা অরণ্য বীজ বপন
পাশাপাশি উষ্ণ শ্বাসে কেবলই আর্ত দুঃখ রোপণ,
কেউ জানেনা সন্তর্পণে ঘিরে আছে অকাল বোধন
বৃষ্টিগুলো বরফ হলে বৃক্ষ বুকে হিরণ্ময় রোদন।
ভাবনাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে তোমার কান্না নাকি গান
পাখির ডানায় উড়ান নরম পালক নিদ জাগরী প্রাণ।
আঁচল [Bengali Poetry]
সকল সত্তা বেঁচে আছে আত্মার মন্থনে
তোমার ছায়া জীবনের সাথে আমারও ছায়া ছিল,
গাছের মতো শেকড় বাকড়ে শরীর জুড়ে বাঁধন
বহুতর চিৎকার আমাদের চার পাশে বাতাসে ভেসেছে,
দিনের আগুন গোলকে ঠাঁই পেয়েছিলাম
রাতের খোলা আঁধারে একাকী জীবনে খোলা জাহান্নামে।
তবুও শূন্যতা ডাকে সবিনয়ে সপ্ত ঋষির ডাকে
দিনের আলোয় সবুজ ঈশ্বরের ঘরে পাখি গান,
উঠোনে বাবার লাগানো গাছে মায়ের অমৃত জল দান
ভেজা ঘাসে মায়ের পায়ে মুক্তো আলোর টুকরো ভাসে,
আঁচলে বাগানের ফুল পরাগের গন্ধে জাগে পুনর্জন্ম
প্রতিদিন সকল শাখায় আশ্চর্য পারিজাত ফুল ফোটে।
সংসারী নোনা জলে কতবার মিশেছে শরীরের শ্বাস
আমারও বিশ্বাস পরম্পরা খেলা করে দোর গোঁড়ায়,
তুমিও শরীর ঘিরে নিলে স্নান জলে মায়ের আঁচলের মতো
গাছেদেরও আনন্দ ফল ফুল শাখা বল্কলে হৃদয়ে,
একটা জীবন শুধু শ্বাসের মেলবন্ধন জল মাটি বাতাসে
জীবনের বীজ বেঁধে রাখে কোমল কোঁচড়ে আঁচলে।
নীরব সন্ধিক্ষণ [Bengali Poetry]
যৌবন জানে কি সাজানো গোছানো স্নিগ্ধ শরীর সন্তরণ
নাভি কুণ্ড জানে আজন্ম বাঁধনে বাঁধা
বাউল জানে আউলা জীবন রীতি গাথা
মন্দাকিনী শরীরে জড়ানো প্রসন্নতা পার্বণী স্নিগ্ধ আভরণ।
উদাসী সময় জানে বাঁচে সমূহ সংসার সাথে প্রকৃতি পুরুষ
প্রসন্ন কাল জানে অনন্য অপার মহিমা
পড়ে আছে ফুল ফল অর্ঘ্য জীবন গরিমা
আজীবন নতজানু জলের কাছে যেন সে পদ্মপরাগ জৌলুশ।
যা চেয়েছি সকাল বিকেল নিষিদ্ধ কালের কথায় চোখ টানে
এতো দীর্ঘ সময় বরাদ্দ জীবন কালে
দোয়েল শালিক ডাকে শুকনো ডালে
বাঁচার পরেও বাঁচা খিদের স্বাদ টানে শুকনো ভাতের ঘ্রাণে।
সকল মা তো জানে জননী যন্ত্রণা সুখ সেকি সন্তান সম্ভবা
অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে অচিন আলো
স্নিগ্ধ জলে একাকী নতুন জীবন ঢালো
ষোল কলা পূর্ণ চাঁদের সেই মায়াময় অন্বিষ্ট সুখের পুনর্ভবা।
রাতের হাতে মোমবাতি রেখে সমাদৃত সমব্যথী গুণীজন
শরীর পড়ে থাকে রাতের কৃষ্ণ পক্ষে
বন্ধুত্ব ছিলো তো তাই যা হোক রক্ষে
রাজা রানী জানে হাওয়া খোঁজার এই তো নীরব সন্ধিক্ষণ।
জন্ম সেতু [Bengali Poetry]
শূন্য পথে উড়ে যায় হা-হা হাসির কঠিন স্রোত
কতবার জোড়াতালি ভাঙ্গে জন্ম সেতুর বন্ধকী,
মুশকিল সব সভ্য নম্র সভা আড়ালে জন্মক্রোধ
আত্মজনের কাছে সযত্নে থাক বাঁচার অর্থ কি!
সমুদ্র গন্ধের লোলুপ বাসনা হার্মাদ রাহাজানি
তবুও অকাল সময় ডেকে গেছে মেঘের গর্জন,
রাম রহিমের ভয় ছিলো না রঙ রূপে নেই রানী
প্রতিদিন জানে মৃত্যুর আহ্নিক কালে নিষ্ক্রমণ।
অহরহ ঘিরে আছে জড়িয়ে জীবন কাঁটা তার
তেমাথানী বুদ্ধি জানে কোথায় লুকিয়ে ক্রন্দন,
রাত্রির পথে মুখ ঢাকা দানা কল হাতে হানাদার
যত উঁচু মাথা নিরুত্তর মুখ কপালে খচিত চন্দন।
বহুকাল ধরে আগলে রাখা রাজা সাজার বহর
একই সাথে ভাঙ্গে অঙ্গীকার গ্রাম কিংবা শহর।
বিকাশ চন্দ | Bikash Chanda
New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | মৌসম সামন্ত (অসুর)
New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
New Bengali Article 2023 | স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন
New Bengali Article 2023 | শ্রমের শোষণ
bee bengali poetry | bengali poetry about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | prayer bengali poetry | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdodweep Founder