শেখ আব্বাস উদ্দিন – সূচিপত্র [Bengali Poetry]
ভেতর ঘরের কথা – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
তোমার স্তব্ধ-মূর্তির দিকে তাকালে আমার বোধ
আলোড়ন তোলে তুমুল,
ফেব্রুয়ারি মাস এলে পলাশ ফোটে প্রচুর,
মনের মধ্যে হইচই বেড়ে যায়;
স্তূপীকৃত অপ আবর্জনা সরিয়ে বর্ণমালার
সবগুলো বর্ণ উঠে দাঁড়ায়!
বরকতের গ্রাম থেকে দুটো কবুতর উড়ে এসে বসে
শহীদ মিনারের শিয়রে দমকা বাতাসের মতো,
পুরনো দুঃখগুলো আলোময় হতে চায়
বর্ণ পরিচয় ছুঁয়ে।
আমাদের সম্পর্ক গুলোর মত অপস্রিয়মাণ
প্রিয় হরফগুলো কাঙ্গালিনী চোখে তাকিয়ে আছে;
আগল ছুঁতে চায় অনুকূলবর্তী হতে চেয়ে।
তবুও আমরা মনে করতে পারছি না
দুগ্ধবৎ মাতৃভাষার দুঃখ…
ফিরিয়ে দিচ্ছি দুয়ারে দাঁড়ানো ভিখারিনীর মতো,
ব্যস্ততার অজুহাতে।
বসন্ত বিকেল এবং তারপর – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
এ বসন্ত আরোগ্যহীন কঠিন রোগের মত পাংশু
এ বসন্ত আমার বর্ণমালার জন্মদানের ঋতু।
এ বসন্তে পলাশ ফোটেনি শোকের তীব্রতায়।
এ বসন্তে গৌরিচৌরা মগ্ন মৌনতায়।
এ বসন্ত বিষন্ন, প্রেমের বসন্ত নয়।
এ বসন্তে স্তব্ধ কোকিল, বুকেতে গভীর ক্ষয়।
এ বসন্তে জ্যোৎস্নায় নাচে না অভিমানী মাতলার ঢেউ।
এ বসন্তে বুকের চুলে বিলি কেটে আদর চাইবে না কেউ।
এ বসন্তে গাছেরা পাতা ঝরিয়েছে তীক্ষ্ণ অভিমানে।
এ বসন্তে নক্ষত্র ফোটেনি বাসন্তী আসমানে।
এ বসন্ত আমার মায়ের অশ্রু চোখে নিশান ওড়ার দিন।
এ বসন্ত আমার মাতৃভাষার রক্তস্নানের দিন।
এ বসন্ত আমার ভাইয়ের মথিত কান্নার মহোল্লাস।
এ বসন্ত মায়ের ভাষার দারুণ বিজয় উৎফুল্ল আকাশ
এ বসন্ত গৌরবে রাঙা ব্যথিত উল্লাস উজ্জ্বল পথ।
এ বসন্ত ভাইয়ের রক্ত ছোঁয়া দুরন্ত শপথ।
এ বসন্ত আমার রত্নগর্ভা জননীর বুকে তীব্র হাহাকার।
এ বসন্ত বিজয়ের দিন আমার প্রত্যয়ী বাংলার
মানুষ হওয়ার জপমালা – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
আমাকে একটা মন্ত্র শেখাও
একটা জপ মালা দাও হাতে
যার জপ কাঠিতে টিপ দিলে দুঃখ উধাও।
নির্বিকার ঈশ্বরের দিব্যি
আমাকে আর আচারে বেঁধ না,
ফুলমালা জপ তপ, তসবি তেলাওয়াত
আমাকে আর প্রলোভন দেখিও না স্বর্গের
আমার আর অবাধ যৌনতার দরকার নেই
আলু সেদ্ধ ভাত আমার অমৃত ভক্ষণ
শুধু এই মাটির পৃথিবীর দুঃখ নিরসন হলেই হলো।
ওই দেখো সূর্য পাটে পড়েছে
দেখো না পাখিরা পাখা ঠেলছে বাসার টানে
দেখ বাঁশিতে সুর তুলছে গো রাখাল;
দেখ না ঘর মুখ গোধূলিতে আকাশ হয়েছে লাল
দেখো ধুলোর পাহাড় উড়ে যাচ্ছে দিগন্ত ঘেঁষে
প্রভু এবার আমাকে আর একটু মানুষ হবার
সুযোগ দাও
দ্বি-পদী অবয়ব তোমার দেওয়া,
তাকে ধারণ করতে দাও
তুমি যে অবয়বই দিয়েছিলে
একটু বিচরণ করতে দাও সেই অবয়বে।
এবার একটু মানুষ হবার সুযোগ দাও আমাকে।
আমাদের ভাবনার দৈনতা – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
রাত নিবিড় হলে নিস্তব্ধতাকে বেঁধে ফেলি
বুকের সাথে সাধ্যের দৃঢ়তায়।
রাত হাঁটতে থাকে মধ্য রাতের দিকে
ঘুমের পরশ ঢেকে দেয় মন এবং মুখরতাকে
জীবন ভাবনার চপলতাকে…..
নিহত রাতের বুকে বেজে ওঠে ভাবনার ব্যঞ্জন
প্রখর ভ্রান্তি গ্রাস করে অভিভাবকের মতো
শূন্যতার ভাবনায় জেগে থাকে প্রবল দৈনতা
আসলে আমরা নিঃস্ব;
রিক্ততার প্রবল দিনে দুর্বিষহ এ যাপন
যখন তাড়া করে নিয়ে তোলে সমাপ্তির নৌকায়
অনন্তের বুকের কাছে,
ফিরে যাই ফিরে যেতে চাই তোমার সমীপে
শুধু তোমার সান্ত্বনা বাণী আমাকে সঙ্গ দেয়
প্রতীক্ষার ভোর এগিয়ে আসছে!
এই ভেবে আমি আশ্বস্ত হই।
হেরার আলো – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
অস্তগামী অমাবস্যা উত্তীর্ণ হতেই
কিশোরী চোখের মতো নতুন চাঁদ উঁকি দেয়
কিছু কথা ছিল এবং কিছু পূর্বাভাষ আঁকা ছিল
মলিন পৃথিবীর সংযমী যত মানুষের মনে মনে,
অতীব তৎপরতায় ভাঁজ করে তুলে রাখি
কামনার অবৈধতাকে;
লালসার ললাটে জ্বেলে দিই সংযমের আগুন।
হেরা থেকে উদ্ভূত আলোর উত্তরণে যেভাবে
মুছে গেছে জাহেলিয়াত;
একইভাবে মুছে যাক মুমিনের চোখের সবটুকু অন্ধকার
মখলুকের হৃদয় ভরে যাক রমজানী আলোয়,
সূর্মা চোখের পাতায় জাগে ইফতারের অবিনাশী মুহূর্ত,
অপেক্ষমাণ প্রতিটি খাবারের চোখে মুখে লেগে
থাকে তীব্র বিশ্বস্ততা;
অদৃশ্য চোখের আলো যতক্ষণ না ঠিকরে পড়ে
আমাদের গুনাহগার চোখে।
আমরা হাজার বছর অপেক্ষারত
আমরা লক্ষ্য বছর মরে যাই আবার বেঁচে উঠি
প্রতিটি রমজানী ভোরে সেহরীর প্রার্থনায়।
প্রত্যহ রমজানী সাঁঝে ইফতারের মোনাজাতে
অর্জন করি বেসুমার অর্জন;
আমাদের উপার্জনের পসরায় সেজে ওঠে ঈদের সকাল।
বৈপরীত্য – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
জনারণ্যে আমি একা, সঙ্গী বলতে কেউ নেই,
মৃত্যু কাতর হৃদয়,
আর ক্ষুধার্ত অবসন্ন একটি কলম শুধু;
দুর্বিপাকের দিনে যখন কেউ থাকে না
কলমকে চিবিয়ে খাই
যোনিতে নামাই সাঁতার শেখাই কিছুটা সময়,
যতক্ষণ মন জ্বালায়।
সেই ই তো আমার মেধা মননের প্রহরী
চারপাশটা দেখে রাখে
প্রহেলিকার বুকে আগুন জ্বালায়
আমি আগুন খাই, আগুন পোহাই, দগদগে আগুন নিভে গেলে ম্লান আগুনের আঁচে
আধপোড়া সিগারেটটা এখনও এ্যাস্ট্রেতে শুয়ে আছে
নিঃশব্দ ধোঁয়া ওর বড় প্রিয় ছিল
যে ছেড়ে গেছে কিছুক্ষণ হলো।
এখনো ক্ষীণ ধোঁয়া ঘুলঘুলিতে বসে আছে পা ঝুলিয়ে
শেষ পরিণতি সে ছাড়া আর সকলেই জানে
আজ স্কুল বন্ধ;
প্রেমিকটার কথা এত মনে পড়ছে কেন?
মায়ের রান্নাঘরে আজ চাল বাড়ন্ত মনে হয়
রূঢ় বাস্তব তোমাকে ঘেন্না করতে ইচ্ছে করে প্রবল
মন বলে বারবার প্রেমে পড়ি কল্পনার
ভালবাসাকে ভালবাসতে বাসতে পাগল হতে ইচ্ছে হয়।
তোমার আলোয় ভিজবো বলে – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
আমার বোধ গিলে খেয়েছে অন্ধকার,
অন্ধকারের ব্যাপ্তি রাত্রির পরিসীমা ছাড়িয়ে, দিনের সূর্যালোকের দখল নিয়েছে।
আমি একবিন্দু আলো খুঁজে ফিরছি অনন্ত জীবন
এক টুকরো আলো দিগন্তের ঝুপড়িতে জ্বলে টিমটিম করে;
সে আলো আমার দৃষ্টি বিভ্রম ঘটায়
আমি বিভ্রান্ত হই
যেমনভাবে বিভ্রান্তিতে ডুবে ছিল আমার প্রজন্ম।
তুমি শক্তি
তুমি তো প্রত্যয়
তুমি জননী
তুমিতো সৃষ্টির আকর
তোমার চোখের দীপ্ত সুষমায় আলোকিত হোক আমার হৃদয়ের অন্ধকার বিবর।
অন্ধকার মনের গুহায় প্রজ্বলিত কর
শুভবোধের দীপ্ত মশাল
অন্ধকার রাত্রির সীমানা পার হয়ে, তোমার
আলোর সমুদ্র স্নানে আমি পবিত্র হতে চাই।
তোমার বাঙ্ময় আলোর স্পর্শে কেটে যাক অমানিশা
মননের নির্জনতা হোক দূরীভূত।
মুখরিত উৎসব, উদ্ভাসিত হোক সংকীর্ণতার
শীর্ণ পথ; ঐশ্বরিক আলোর বানে ভেসে যায় আমার জলাভূমি হৃদয়,
যতদূর চোখ যায় সকলে আমার পড়শি।
ফড়িং জীবন – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
রাতের নির্ঘুম হোল্ডারে ঝুলে আছে বিরহিণী চাঁদ
আকাশের গায়ে বলি রেখার জঙ্গলে এক অবিস্মরণীয় শিল্প সত্তার শিল্পকৃতি গ্রহাণুপুঞ্জের বিন্যাস
মাকড়সার জালে দেখ দীর্ঘ প্রণয়।
উপন্যাসের প্রচ্ছদের সবটুকু হাসি উপসংহারে এসে হারিয়ে যায় অলক্ষ্যে আলগোছে
ফেলে আসা জীবনের আলপথ খোঁজে নির্মল আনন্দের বৃষ্টি ফোঁটা। ফড়িংয়ের জীবন লম্ফ ঝম্ফই সার
মরণাপন্ন সময়ের প্রতিটি বাঁকে রক্তাক্ত জীবনের ইতিকথা লেখা থাকে গাছে গাছে সাঁটানো পোস্টারে।
প্রতিশ্রুতি গুলি ব্যস্ততার চাপে পদপিষ্ট হয়ে গেছে
বহুকাল আগে
এখন আর শত চেষ্টাতেও মনে পড়ে না
কে কাকে দিয়েছিল কোন কোন প্রতিশ্রুতি
শিলালিপির জীবন শুয়ে আছে কবরের ঘরে ফসিল হয়ে
তরুণ সূর্য কণার জ্বালানো তেজ থাকে না পড়ন্ত বিকেলের নিরীহ সূর্যালোকে।
জীবন ও অনুরূপ,
অসহায় পৃথিবী তো একাই পড়শি আমার।
আমার জীবনের ওঠা পড়ার দ্বন্দ্ব ইতিহাস দর্শন সবটুকু সেই শুধু জানে
আর তার কথা লেখা আছে ঝরা পাতার মর্ম বেদনায়।
একটা অমানুষের গল্প – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
অনেক কিছু ঘটে গেছে এখানে ওখানে
অনেকগুলো ছোট গাছ বড় হল চোখের সামনে দিয়ে
কত পাতা ঝরে গেল ওদের শরীর থেকে
ফুল ধরেছিল ফল ধরেছিল
সেই নদীটার এক দিকের ভাঙ্গন আরো প্রবল হয়েছে, আরো প্রসারিত হয়েছে
অন্যদিকে বালুকার ক্রমাগত সঞ্চয়ে গড়ে উঠছে
নতুন নতুন বসত;
তোমার সাথে দেখা হয়নি সুদীর্ঘ জনম
তারপর, এক দিন দেখলাম ক্রুশ থেকে টপ টপ করে ঝরে পড়ছে প্রেম, প্রার্থনা, নিবেদন আর প্রশান্তি
একদিন বিরহের কাছে চেয়েছিলাম ভাব
সে মুঠো ভরে দিয়েছিল কুয়াশা ভেজা সকাল
ঢলে পড়া দুপুরের নরম রোদ গায়ে মেখে
রেডিওতে যাত্রাপালার বিজ্ঞাপন শোনার সেইসব দিন
সংসার সামলাতে বিরক্ত বড় বউয়ের স্বগতোক্তির মত
সন্ধ্যার আজান নেমে আসে আলো-আঁধারির বাতায়ন জুড়ে
ফুলগুলো সব ভালবাসাহীন হয়ে গেছে,
মানুষ গুলো মানুষের মত দেখতে শুধু
গোটাটাই অমানুষ।
মোক্ষের রঙ – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
কোনদিন উদাস বিকালে অনন্ত আকাশের গলার কাছে যদি ঘুড়ি হয়ে উড়তে পেতাম,
পৃথিবীর দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা পথে, নদী তীরের কেতকী বনের ভেতর দিয়ে যে পথ চলা,
যে পথ মিশেছে সমুদ্রে, যে পথ হারিয়েছে বালুকা বেলায়, পথিমধ্যে সৃষ্ট যত সম্পর্ক,
যত কাঁটার আঁচড়, পথের বুকে যত পদচিহ্ন
সবগুলো এক একটা দুর্ঘটনা
কোন সম্পর্কের বেড়ে ওঠা কিংবা ভেঙে পড়া ইমারত তাও একটা দুর্ঘটনা মাত্র
মুদির দোকানে সাজানো তৈজস পত্রের
আশ্রয় হয়ে থাকা মৃত বোয়ামগুলো,
কিছু বলে চলে সারাক্ষণ? কি বলে?
কেউ শুনেছে কি কোনদিন?
উড়ন্ত পাখির ডানা থেকে খসে পড়া পালক
উত্তুরে বাতাসের গায়ে লেখে কোন বিষণ্ণতার কাব্য।
কোন ভাষায় কবিতা লেখে সে?
কোন বেদনার ছবি আঁকে কে জানে??
সে কি জানে মোক্ষ কাকে বলে?
মোক্ষের রঙ কেমন?
ক্ষুধার্ত পাথর আর উদ্বিগ্ন নদীর প্রেমালাপ – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
নিভৃতির অন্ধকার জঠর ছিঁড়ে
শিশু সূর্যটা আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠল
যেদিন প্রথম সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হলো চরাচর
প্রবল ঝঞ্ঝায় আবৃত ছিল সকল দৃশ্যমানতা
অনুভূত হল এক অব্যক্ত অনুভব
এখন মধ্য রাত,
গাছেরা আত্ম বিশ্লেষণে ব্যস্ত
পাতা গুলো আর বাতাসে দুলছে না
বিষন্নতায়
কাঁদছে গাছ পাখি ফুল, জোয়ারের জল,
মানুষের অন্তঃকরণ
মাছের ডানার ঝাপটে প্রলয় অপেক্ষমাণ
মানুষের পাকস্থলী উড়ছে এদিক সেদিক
ভিন্ন আকৃতির তারা
আমি যেন গোলক ধাঁধাঁয় ডুবে
অন্ধকারে
বিভ্রান্ত অথবা সব কিছুর ঊর্ধ্বে
নৈঃশব্দ্য একপ্রকার প্রহেলিকা
পাথরগুলো ক্ষুধার্ত প্রবল
সবটুকু জল নিঃশেষ হলে উদ্বিগ্ন নদী
নৌকার পাটাতনে বসে জন্মান্তর কাটিয়ে দেয়,
সূর্যটা দ্রুত পা চালিয়ে চলে গেল পশ্চিমাকাশে,
পরিচিত কোন মহল্লার কথা মনে পড়ছে না আজ
মাথাটা কোনখানে রাখব জানি না!
স্বাধীন তবুও হাত-পা নাড়ার স্বাধীনতা নেই – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
বিশুদ্ধতা হীন পৃথিবী যেন ঠুনকো কাচের ঘর
আমরা স্বাধীন অথচ ইচ্ছেমত হাত পা নাড়তে পারি না কেন জানি, কিন্তু প্রকাশ করতে আড়ষ্ট হই
প্রবল সংকোচ আমার কণ্ঠ রোধ করে।
একটা ভয় সারাক্ষণ দৌড়ে বেড়ায় মনের জমিতে
হৃদয়ের সৈকতে লাল কাঁকড়া তাড়িয়ে বেড়ায়
যুক্তিহীন সে ভয় প্রবল ভীত, অথচ
বারংবার পরাজিত হই আমরা!
পৃথিবী ভেঙে পড়বে না তাতে
কিছুটা মাত্র নরম মাটির বুক
সবুজ ঘাসের মাঠ রক্তে
ভিজে যাবে।
জলকামানের স্রোত
ভেঙে দিতে পারে মিছিলের টান
তোষামুদে লাঠি মইদুলের মা’কে সন্তান হারানোর যাতনা উপহার দিতে পারে
স্তবক লাঠি তরুণ হৃদপিণ্ডটাকে থেঁতলে দিতে পারে
দাবীর মানে বোঝে না।।
একটা মায়া নদীর ইচ্ছে পূরণের গল্প – শেখ আব্বাস উদ্দিন [Bengali Poetry]
তৈমুর সাতটা জন্ম চেয়েছিল বিধাতার কাছে
তিনটে জন্ম তার মঞ্জুর হয়েছিল,
একজন জন্মে সে মানুষ হয়েছিল
এক জনমে পাখি আর অন্য এক জনমে তৈমুর ঘাস হয়েছিল।
যখন সে পাখি হয়েছিল
তখন তার আকাশ দেখবার ইচ্ছে হয়নি;
যখন সে ঘাস হয়ে ছিল
তখন প্রবলভাবে আক্রান্ত হয়েছিল তৃণভোজীদের দ্বারা
অস্তিত্বের সংগ্রামে দিন কেটেছে উদয় অস্ত।
মানুষ জন্মটাই ছিল তার সবচেয়ে বিড়ম্বিত জন্ম,
ব্যক্তিত্বহীন, বোধহীন, তারকাটা জীবন।
তুলনামূলকভাবে ঘাসেদের সংগ্রামী জীবনই ছিল
তার পছন্দের ও প্রিয়।
তবু তার আক্ষেপ ছিল চূড়ান্ত, কেননা
সাত সংখ্যাটা তার বড় পছন্দের ছিল আজীবন।
এক জনমে সে দুর্বার ঘোড়া হতে চাইতো,
এক জনমে তেজী শেরপা;
এক জনমে নীল নদী হওয়ার বাসনা ছিল তার মনে
আর অবশিষ্ট এক জীবনে সে পোড়ো ঘরের ঝুল হতে চাইত,
যা তার হওয়া হয়ে ওঠেনি কোনদিন।
শেখ আব্বাস উদ্দিন | Sk Abbas Uddin
Bengali Novel 2023 | স্টেশন কান্তার (১ম পর্ব) | উপন্যাস ২০২৩
Bengali Novel 2023 | স্টেশন কান্তার (২য় পর্ব) | উপন্যাস ২০২৩
Bengali Story 2023 | সন্ধ্যে নামার আগে | গল্প ২০২৩
Top Bengali Story 2022 | আমাদের একাল-সেকাল | গল্প ২০২২
bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdoweep Founder