Adhunik Bangla Kobitaguccha | Best Bengali Poetry 2024

Sharing Is Caring:

Adhunik Bangla Kobitaguccha – Bipasha Chakraborty

আহ্বান – বিপাশা চক্রবর্তী

হে বন্ধু ফেলে রেখে চলে যেও না
একটিবার পিছন ফিরে চাও!
ফিরে দেখ,পড়ে আছে যা কিছু সব তোমার,
তোমারই দান, তুমি নিয়ে যাও।
জানি সময় হলে চলে যেতে হবে নিয়মের খেলায়
কিছু সময় ভালোবেসে কেন তবে বাড়িয়ে গেলে ঋণ?
বারোমাসের কতো কথা কতো মান অভিমান
যা কিছু সব তোমায় ঘিরে রবে চিরকাল।
বন্ধু ভুলের ক্ষমা নাই হবেও না কোনোদিন
গোলাপ পাপড়ি ছিঁড়ে হয় ফুলশয‍্যা
গোলাপের মূল্য নষ্ট হয়না তো দিন দিন।
ফিরে এসো বন্ধু কিছু সময় পর
নতুন নাম নিয়ে সেজে উঠুক
তোমার নববর্ষের নিত‍্য নতুন ঘর।

ইচ্ছে – বিপাশা চক্রবর্তী

হারিয়ে যেতে চাই যে আমি দূর দেশে
তোমার থেকে অনেক দূরে দ্বীপান্তরে
তুমি খুঁজতে চাইবে অন্তরে অন্তরে
হারাবো শঙ্খচিল বা কোকিলের বেশে
কুহুতানে কলরবে বলব যে হেসে
আমি তো হারিয়ে গেছি নদীর কিনারে
ভালোবাস যদি খোঁজ অম্বরে অম্বরে
আসব ফিরে বৃষ্টির স্রোতে ভেসে ভেসে।

অন্বয়ের বন্ধনেতে বাঁধবে আমায়?
ফিরে যেতে হবে নাতো কোনো অছিলায়?

নবীন হবো আবার আমি এই ভবে
তোমার জন্য হৃদয় বীণা ওঠে বেজে
এই বিশ্বে শুধু তুমি আমারই রবে
থাকবে আমার স্বপ্নে রাজপুত্র সেজে।

প্রহসন – বিপাশা চক্রবর্তী

ছুটছে আকাশ ছুটছে বাতাস
ছুটছে চারিধার
তারই পিছে ছুটছি আমি
জীবন যে ছারখার।
ছোট থেকে কষ্ট করে হলাম বড়ো বেশ
লেখাপড়া শেখার মাঝে আসেনি তো ক্লেশ।
পরীক্ষার্থী রূপে ভাগ্য আসে পরিচয়
ভাগ্যহীনা নর নারীর হয় না কখনও জয়।
তবু মোরা ছুটি চলি
আলেয়ারই ধায়
মরা গাঙে চিল যে কভু মৎস্য নাহি পায়।
এমনি করেই মোরা সবাই অন্ধকারে রই
আলোর পিছে ছুটতে গিয়ে
পরীক্ষারই কথা কই।
প্রশ্ন প্রশ্ন প্রশ্ন জীবনটাই যে এক প্রশ্নের মুখ
সেই প্রশ্নেরই উত্তরে তে নেই তো কোনো সুখ।
কঠিন কঠিন প্রশ্ন করে দিচ্ছে গলায় ফাঁস
পরীক্ষার্থী সকলেই তো নিল নিজে বাঁশ।
টাকা গেল সময় গেল গেল ভেঙে মন
সকাল সাঁঝে মাথা কেবল ঘুরছে যে বন বন।
চাকরির নামে প্রহসনের হবে না তো শেষ
এমনি করেই কাটুক দিন
বেকার জীবনের রেষ।

পাগলিনী মা – বিপাশা চক্রবর্তী

মাতৃক্রোড়ে শিশু দোলে প্রকৃতির খেলা
শিশুস্নেহে পাগল মা, কাটে তার বেলা।
মায়ের হাসি দেখে যে শিশু হাসি শেখে
সৃষ্টিকর্তা দূর থেকে শুধু মাকে দেখে।
পৃথিবীর সব সুখ সন্তানের কাছে
শত কষ্ট সয় শুধু শিশু কাঁদে পাছে।
শিল্পীর রং তুলিতেই সব কথা ফুটে
মা শিশুর প্রেম যায় না তো কভু টুটে।
তবু কেন মাতা কাঁদে অঝোর নয়নে?
হয়তো সন্তানের দাম্পত‍্য সুখ রক্ষার কারণে।
দুঃখ হরণকারী যে এসেছেন ধরায়
তার কাছে যেতে হবে নানা অছিলায়।
সেই সলিলে ঝাঁপ দিলে দুঃখ হয় দূর
তাঁর অনুসরণে বাজে পরিবর্তনের সুর।

আশীষ বাণী – বিপাশা চক্রবর্তী

দয়াল আমার প্রাণের ঠাকুর
আছেন জীবন ভর
তাঁকে ঘিরেই গড়েছি আজ
হৃদ ভবনে ঠাকুর ঘর।
জীবন পথে চলার সময়
আসে কতো দুখ
তোমার স্মরণ নিলে প্রভু
আসে ভীষণ সুখ।
তোমার নামে মজলে পরে
জীবন সুখের হয়
দুরন্ত মন শান্ত হয় থাকে না তো কোনো ভয়।
ইষ্টভৃতি মহামন্ত্র পালন করলে হয় মহা যজ্ঞ
যজন যাজন হোক দীক্ষা নেওয়ার প্রধান অঙ্গ।
হৃদয়ে বাজুক শুধু দয়াল পুরুষোত্তমের নাম
তাঁকেই ঘিরে গড়ে উঠুক উপযোজনা ধাম।
আচার্য‍্যদেবের আশিষ মাথায় নিয়ে মোরা সবাই চলব
তাঁর কথা মতোই মোরা সবাইকে দয়ালের কথা বলব।
নিষ্ঠা ভরে করব প্রার্থনা করব তাঁর জয়ধ্বনি
দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক দয়াল ঠাকুরের আশীষ বাণী।।

বসন্তের আগমন – বিপাশা চক্রবর্তী

বসন্তের প্রেম নীল মোহনায়
সুখ রোদ মাখে এলোচুলে
গোপন ব‍্যথা হাতড়ে বেড়ায়
অতীত রাঙা পলাশ ফুলে।

বসন্তে সব আবীর মাখে
কিশলয়ের আগমনে
জংলীবাদাম ভর্তি শাখে
কোকিল ডাকে কুহুতানে।

রুদ্র পলাশ নাগেশ্বর গাছ
লঙ্কায় করে যে বিচরণ
ফুলের গন্ধে মৌমাছির নাচ
ঋতুরাজের হয় আগমন।

অতীত স্মৃতি ফিরে আসে
প্রেমিক খোঁজে প্রেয়সীর মন
বসন্তকে ভালোবাসে
তাই অশ্রুতে ভরে নয়ন।

বর্ণে গন্ধে সুর ও ছন্দে
মিলেমিশে হয় একাকার।
ঠান্ডা গরম নানান দ্বন্দ্বে
সুস্থ শরীর হয় যে ছারখার।

বসন্তেরই আগমনে
চলে বর্ষ বিদায় পালা।
ফটিক জলের প্রয়োজনে
চাতক পাখির ভীষণ জ্বালা।।

স্বপ্নে দেখা – বিপাশা চক্রবর্তী

নিত‍্য নতুন সাজে যেতে চাই ফুলপরীদের দেশে
রঙিন ডানা মেলে উড়ে বেড়াব প্রজাপতির বেশে।
কাননে ফুটেছে ফুল সুগন্ধে ভরছে স্বপ্নের দেশ
কেমন দেখতে হয়? জানিনা ফুল পরীদের বেশ।

ফুলপরীদের সাথে যদি দেখা হয় গো কোনোদিন
স্বপ্ন সত‍্যি হবে দুঃখ রবে না চিরদিন।
রূপকথার গল্পে শুনি ফুলপরীদের কথা
মাঝরাতে তারা ঘুরে বেড়ায় যথাতথা।

সাদা ফুলের পোশাক পরে দেখতে লাগে মিষ্টি
লাল কমল নীল কমলের গল্প যেন অনাসৃষ্টি।
দত‍্যিদানব যক্ষিরাজ রাজপুত্তুর পক্ষীরাজ।
ভাসছে ডানায় ভর করে
আকাশ পথের পথ ধরে।
দেখতে তাদের লাগছে ভালো

আজগুবি সব স্বপ্নগুলো
স্বপ্নের মাঝে দেখা দিলো।
কল্পনা সাগরে দিলাম ডুব
ঘসর ঘসর নাক ডাকছে খুব।

এমন সময় রবির আলো
আলতো ছোঁয়া মাখিয়ে দিলো
শুনতে পেলাম মায়ের ডাক
দরজা খোল দিচ্ছে হাঁক।

তুলনা – বিপাশা চক্রবর্তী

একদিন চলার পথে দেখতে পেলেম শ্যামলকে
খেলার ছলে ব‍্যস্ত ছিল সে
দেখে নি তো আমাকে।
রাস্তার পারে দেখি, পড়ে আছে তার ব‍্যাগটি
অগোছালো ভাবে উঁকি মারছে তার
বইখাতা আর পেনখানি।
কাছে গিয়ে শুধালেম তারে
স্কুল যাসনি কেন তুই?
বইখাতা সব ছড়াছড়ি খেলার জন্য হুড়োহুড়ি
এ যে দেখি শ্মশান ভুঁই।
পড়ে আছে মরা কাঠের গুঁড়ি,
খেলাধুলা করলে তোর ভরবে তো ভুঁড়ি?
যা এক্ষুনি স্কুলে যা।
পড়াশুনা করবি
খাওয়া পাবি পরা পাবি পাবি বইখাতা।
লেখাপড়া শিখে মানুষ হবি।
অজ্ঞানতাকে করবি দূর।
অশিক্ষিতের হার কমাতে সরকার ব‍্যস্ত
বিদ্যালয়ে যা হোস না ত্রস্ত।
আমাদের কালে অর্থ ব‍্যয়ে ছিল লেখাপড়া
বাছাই পরব ছিল নিখুঁত।
পাশ ফেল ছিল বলে ছিল শিক্ষার মান।
এক থেকে দশের মধ‍্যে রোল করলে বাড়তো সম্মান।
এসবের বালাই এখন আর নাই।
ভালো ছাত্র ছাত্রীদের পাঠে আগ্রহ হচ্ছে ব‍্যাহত,
স্কুলে গেলেই হবে সবাই শিক্ষিত।
যা বাবু যা স্কুলে যা
ক অক্ষর পেটে না থাকলে কেউ ভালোবাসবে না।
বতর্মানে সাইকেল, মোবাইল, আরও কতো কি দেবে সরকার।
বর্তমানে পাঠ‍্যবইগুলি কথোপকথনেই ব‍্যস্ত,
পড়তে ও পড়াতে মোটেই লাগে না ভালো।
বেসরকারি স্কুলগুলো তাই পাচ্ছে নিজ স্থান
শিশুদের একটু একটু করে বাড়াচ্ছে জ্ঞান।
ছিল না অতীতে মিড ডে মিল
ছিল শুধু লেখাপড়া
কাটমানির গল্প ছিল না
ছিল শুধু ভালো শিক্ষক হওয়ার পরিকল্পনা। অন্ধকারের মাঝে যেমন আলোর প্রয়োজন
মন্দের মাঝে ভালোর হোক বাছাই ।
নিখুঁত বিচারে হোক পরীক্ষণ
শ্যামল স্কুলে যা। গড়ে তোল ভবিষ্যৎ জীবন।

শিক্ষার হাল – বিপাশা চক্রবর্তী

স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার আশায় ছিলাম পথ চেয়ে
শিক্ষা আলোর পথ লুটায় অর্থের পিছে ধেয়ে।
ধীবররা সব জাল পেতেছে ধরছে বোয়াল মাছ
নাড়িভুঁড়ি সব কেটে কসাই পাচ্ছে টাকার গাছ।

এতোকিছু দেখে আমার মাথায় পড়ে হাত
কেমনে স্বপ্ন হবে সত‍্যি ভেবেই কুপোকাত ।
ডিগ্রির পর ডিগ্রি করে লাভটা হলো কী?
সংসারের হাল ধরবো কীভাবে ভাবতে পারিনি।

সামনে দেখি চলার পথে বিশাল বড়ো খাদ
রাস্তা ঘিরে রয়েছে শুধু মাকড়সারই ফাঁদ।
ভাগ‍্যের ফেরে ঘুরি দ্বারে চাকরি আমার চাই
অংক শুধায় বারে বারে, টাকা আমার নাই।

এখন দেখি জোচ্চোরগুলো পড়ছে ধরা জালে
টাকার কাঁড়ি গাড়ি গাড়ি সহ সিবিআইয়ের চালে।
বিচারপতি রাশভারী করছেনা ক্ষমা কাউরে
জমিজমা বেচে চাকরি ক্ষুয়ে মরছে মধ‍্যবিত্তরে।

চাকরির লোভ দেখালো যারা
কোনো ক্ষমা যেন না পায় তারা।
এইভাবে পথ চললে পরে মানুষ যাবে মারা।
এটাই কি তোমার মানবতা? এটাই কি তোমার ধারা?

চোখের জলে ভাসছে দেখো
কতো মা পত্নীর বুক
করুণ দৃষ্টিতে পিতা দেখছে তার সন্তানের ঐ মুখ।
ভুলের সাজা দিতে গিয়ে ঝরছে কতো ফুল
উপড়ে ফেলো দেখি ঐ বিষাক্ত গাছেদের মুল।

অর্থের বিনিময়ে যার চাকরি এলো
করেছে লাখো লাখো টাকার লোন।
আজ তারা খাবে কী? খাওয়াবে কী?
শুনতে পাচ্ছে কী সেই দুর্জন?

একদিন যারা ছিল মাথার মনি
সম্মান ছিল তাদের অনেকখানি।
আজ তারা সমাজের বুকে কলঙ্কিত
উইপোকার ন্যায় তারাই হচ্ছে বর্জিত।

তীক্ষ্ম বুদ্ধি খাটিয়ে তোমরা হলে বুদ্ধিজীবী
চতুরতায় পাকা ছিলে নয়তো ক্ষণজীবী।
কালোবাজারির তকমা পরে কেমন লাগছে বলো?
তোমাদের জন্য যুব সমাজ অন্ধকারে ভাসলো।।

লয় – বিপাশা চক্রবর্তী

অস্থিরতা আর অস্থিরতা
চলছে কাদা ছোড়াছুঁড়ি।
একে অপরকে করছে আক্রমণ।
বিদেশি শত্রুদের চাপে বিভ্রান্তিতে ভুগছে দেশ,
তবুও আভ্যন্তরীণ লড়াই থামছে না।
রাশিয়া ইউক্রেন জার্মান দেশ
একে অপরকে ভাবছে শত্রু।
হচ্ছে দ্বন্দ্ব সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত।
পাকিস্তানিরা পাচ্ছে না খেতে
হিংসায় জর্জরিত। সৈন্যদের জুটছে না দু’মুঠো খাবার,অস্ত্র হাতে নিতে হচ্ছে তারা বাধ্য।
গদির গরমে বসে যারা বলছে করো লড়াই
তারা কি কখনও সম্মুখ সমরে উপনীত হয়েছে ?
অনুভব করেছে কী সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতা?
চোখের জলে ভেসেছে কী তার পরিবারের অন্তর?
টাকার বিনিময়ে কিনেছে মৃত্যু।
পেয়েছে গদির সম্মান।
হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে
কোটি কোটি টাকা করেছে আত্মসাৎ ।
আচ্ছা এটাই কি সব দেশের গণতন্ত্র?
নাকি রাজতন্ত্রের মুখোশ পড়ে চলছে রাজ‍্য জয়ের অভিষেক।
তীর ধনুক তরবারির পরিরর্তে
চলছে গোলাগুলি
তৈরি হচ্ছে নানান সামরিক অস্ত্র।
জল স্থল আকাশ বাতাস হচ্ছে কম্পিত
জন্ম নিচ্ছে বিষাক্ত রোগ জীবাণু।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বাড়ছে জলস্ফীতি, হচ্ছে ভয়ংকর বান,
ভাসছে দেশ ভাসছে শহর।
মাতা বসুন্ধরা হচ্ছে রুষ্ট,
মাঝে মধ‍্যে রুদ্রনাথের তাণ্ডব চলছে ডমরু হাতে নিয়ে
তাই ধসে পড়ছে পাহাড় পর্বত।
ধ্বংস হচ্ছে নানান স্থান,
সৃষ্টিকর্তা লজ্জায় মুখ লুকোচ্ছেন কৈলাস পর্বত হতে।
সন্তানরা যে তার দিনে দিনে হচ্ছে অমানুষ।
রক্তগঙ্গা দেখতে চান না মহাদেব,
অবাধ‍্য সন্তানরা লোভ লালসার বসে একে অপরকে করছে দায়ী করছে খুন।
এভাবেই হয়তো পৃথিবীর হবে লয়।

ভেণ্ডারে ওঠার সাজা – বিপাশা চক্রবর্তী

চলেছি ছেলের টানে ছেলের কাছে
কিছুদিন হলো গলাটা ভীষণ ধরে আছে।
ওষুধ খাচ্ছি আলোপ্যাথি হোমিওপ্যাথি কিছু লাভ হচ্ছে না।
ডাক্তার বলল আপনি গলাকে রেস্ট দিচ্ছেন না।
সকলের কথা শুনে করলাম কতো টোটকা
গলা থেকে শব্দ যেন ফাটাচ্ছে না ফটকা।
গেলাম ছুটে ডাক্তারের কাছে কি করব বলে দিন
রেস্টে থাকুন নইলে কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবে চিরদিন।
চিৎকারে গলার গেছে বারোটা বেজে
তিন চার মাস থাকতে হবে বোবার মতন সেজে।
স্কুল থেকে ছুটি নিলাম দিন কুড়ি
হলদিয়ায় এসে আমি নীরব হয়ে ঘুরি।
কয়দিন মূকাভিনয় করলাম আমি বেশ
এবার কর্মের টানে ফিরতে হবে বাড়ি, ছুটি হলো শেষ।
ট্রেনেও যে চরম ভিড় হয় তা জানতাম না কক্ষনো
ভীড়ের চাপে ভেণ্ডারে ওঠার সাজা পেলাম জঘন্য।
মালের বোঝা নিয়ে সবে উঠলো কতো লোক
ছানার ডেকচি সাজাচ্ছে থোকের পর থোক।
থাকের উপর থাক সাজিয়ে করছে রাস্তা বন্ধ
সাধারণ যাত্রীদের দেখে করছে তারা দ্বন্দ্ব।
ওঠো ওঠো এ জায়গা নয় তোমাদের জন‍্য
এক্ষুনি নেমে গিয়ে করো মোদের ধন‍্য।
ট্রেনের ভিড় দেখে সবে বলল উঠলাম এখানে
দাঁড়াবার মতো জায়গা ছিল না সেখানে।
উঠতে না উঠতেই দিল ট্রেন ছেড়ে
ভেণ্ডারেতেও ভীষণ ভাবে দিচ্ছে মাথা নেড়ে।
ট্রেন লেটের জন‍্য মোরা পাচ্ছি ভীষণ ধকল
সময়ের মূল্য যে কতো দামি সেটা নয় কারও কাছে নকল।
বাক-বিতণ্ডা চলতে চলতে শুরু হলো ধাক্কাধাক্কি
ট্রেন লাইনে পড়ে গেলেই ঘটবে মহা ঝক্কি।
খেসখেসে গলায় বললাম ঝকমারি করেছি
ভেণ্ডারে মূর্খদের সাথে; প্রাণ হাতে নিয়ে চলেছি।
শিক্ষিত মানুষ কিছু করছে কাঁচামালের ব‍্যবসা
তারাই মাঝে মাঝে কইছে নানান অশ্লীল ভাষা।
শিক্ষার মূল্য দিতে আজকাল চায় না কেউ
সুযোগ সন্ধানী সবাই বিড়ালের মতো করে ম‍িউ ম‍িউ।
কোনোক্রমে পাঁশকুড়ায় ট্রেন থেকে নামলাম
জীবন নিয়ে কোনোরকমে ছয়জন বাঁচলাম।।

মন উতলা – বিপাশা চক্রবর্তী

কুহু কুহু কোকিলের সুমিষ্ট সুর
জানায় বসন্ত আগমনের সুন্দর বার্তা
নানা রঙের আবীরে ছায় চারপাশ
প্রেমিক প্রেমিকার মনে রঙের দোলা
সকলের মন যেন হয় উতলা।।

হোলি খেলার সুখ – বিপাশা চক্রবর্তী

বসন্তের আগমনে
মনে লাগে দোলা।
সাত রঙে রাঙিয়ে দাদা
সাজা পাবো না তো কানমোলা?

অনুমতি যদি পাই
হুনুমান রং মাখাবো তাই।
আবীর নিয়ে করবো খেলা
সবাই মিলে জমাবো মেলা।

মিষ্টি পাবো রাশি রাশি
মাইকে শুনবো কৃষ্ণের বাঁশি।
লাল নীল হলুদে ভরবে মুখ
হোলির দিনেই আছে ভীষণ
সুখ।।

ঘুমের ঘোরে – বিপাশা চক্রবর্তী

দানব দানবী ঘুমের ঘোরে
দিচ্ছে মোরে হানা,
হাত নেড়ে বলছি আমি
না না যাবো না যাবো না।
জোর করে তারা যেই
ধরতে এলো মোরে,
মারলাম ঠেলা স্বপ্নের মাঝে
স্বামী বেচারা গেল বিছানা থেকে পড়ে।।

অব‍্যক্ত প্রেম – বিপাশা চক্রবর্তী

ভালো লাগার সময়গুলো গেল চলে,
অব‍্যক্ত প্রেম নিজে নিজেই কতো কথা বলে।
ইচ্ছে ডানায় ভর করে যাবো দূর দেশে,
পাড়ি দেবো আমি বাতাসেতে ভেসে ভেসে।
না বলা কথা বলব তোমার কাছে,
সত‍্যি করে বলছি হৃদয় আমার আছে।
তবুও যে কথা তোমায় আজও হয় নি বলা,
লুকিয়ে রাখাই হলো জীবনের পথ চলা।।

সান্ত্বনা – বিপাশা চক্রবর্তী

জীবনটা বহমান নদীর মতন
অনায়াসে বয়ে চলে সময়ের তালে
সুখ দুখ সাথে নিয়ে ভাবনার চালে।
নিজ মনে ডালি ভরে সাজায় অঙ্গন।
খুশির পরশে তাই নেচে ওঠে মন।
কিছু সময় কাটে যে অশান্তির জালে
শুকনো পাতা ঝরে ঐ সময়ের কালে।
অন্তরেও জেগে ওঠে নানান চিন্তন।

সুন্দরের পূজারী যে আমরা সবাই
কুমন অজান্তে করে মুক্তির জবাই।

জীবন নৌকা বাওয়া বড়ই কঠিন
আনন্দ পেতে গেলেই দুখ আগে আসে
নীরব হৃদয় চায় কাটাতে গহীন
সান্ত্বনার সুর যেন বাতাসেতে ভাসে।।

ভালোবাসা কারে কয় – বিপাশা চক্রবর্তী

কবি গুরু সুধায় ভালোবাসা কারে কয়?
মনের যৌবনে দুটি অন্তরের যদি মিলন হয়!
বয়স যার যেমনই হোক না কেন
প্রেমের বয়স কভু মরে না যেন।
বাঁচবার মূল মন্ত্র হলো ভালোবাসা
তা না থাকলে জীবনে আসবে মরুভূমির দশা।
জীবনের সাত রঙে নিজেকে সাজাও
প্রেমের পরশে মনকে মজাও।
এতেই হবে সব কষ্টের সমাপ্তি
বারে বারেই জীবনে আসবে নানান প্রাপ্তি।
জীবন তো আর খেলার পুতুল নয়
যুবক-যুবতি বা বৃদ্ধ- বৃদ্ধার মাঝে হোক প্রেমের জয়।

আকাঙ্ক্ষা – বিপাশা চক্রবর্তী

একবার ভিজতে চাই
অঝোর ধারায় বৃষ্টির
ছোঁয়ায়।
অঙ্গ ভেজাতে চাই
পাহাড়ের ঝর্না ধারায়।

আমি হারিয়ে যেতে চাই
পাহাড়ের এক কোনে।
সবুজের ছোঁয়া পেতে চাই
নয়নে নয়নে।
রুক্ষ পাহাড়ের বুকে পেতে চাই
প্রেমের আলিঙ্গন।
ঝর্নার বারিধারায় ভরে ওঠে
যেমন পাহাড়ের অঙ্গন।।

রত্ন – বিপাশা চক্রবর্তী

তুমি আমার সুখের দুখের বন্ধু
জীবনে তোমায় নিয়ে গড়েছি এক সিন্ধু।
মনের মাঝে রাখবো তোমায় ধরে
তোমায় ঘিরে কলমের লেখা ঝরে।
তোমার কর্মে জীবন করেছি দান
তোমার সঠিক নির্দেশে পেয়েছি মান।
প্রতি মুহূর্তে জানাই তোমায় সম্মান
কখনও তোমাকে করবোনা তো অসম্মান।
তোমাকে ঘিরেই দেখেছি অনেক স্বপ্ন
তুমিই আমার জীবনের একমাত্র রত্ন।।

শূন্য এ বুকে – বিপাশা চক্রবর্তী

নজরুল গায় শূন্য এ বুকে ফিরে আয়
বিদ্রোহী কবির সুর বাতাসে ভেসে যায়।
কবির চোখে নামে ভীষণ প্লাবন
গানের ভাষায় ফুটিয়ে তোলেন কপালের লিখন।
আকাশে বাতাসে বাজে বিরহের সুর
গানের মাধ্যমে কবি বেদনাকে করে দূর।
দুঃখের সুর আজও বাজে কতো পিতার মুখে
কতো মাতা কাঁদে আজও সন্তানের দুখে।
পিতা মাতার দুঃখভরা চোখের জল
ভগবান দেয়না তাদের দুঃখ দূর করার কোনো ফল।।

মিষ্টি সম্পর্ক – বিপাশা চক্রবর্তী

বেশি কি কিছু চেয়ে ফেলেছি তোমার কাছে?
নাকি অন্য কোনো গন্ধ আছে?
নতুন করে কেউ হলো নাকি তোমার সঙ্গী?
ব‍্যবহারে তোমার দেখতে পাচ্ছি নানান ভঙ্গি।
প্রতিমুহূর্তে তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে
যেখানে আমার হৃদয় অস্ফুটে ছবি আঁকছে।
এইটুকু চাওয়া কি ছিল ভুল?
কাঁটার আঘাতে ক্ষত হয়েও তুলতে চেয়েছিলাম ফুল।
লাল গোলাপি হলুদ সাদা নানা রঙের গোলাপ
যার সুবাস মন মাতিয়ে দেয়।
দূর থেকে তাকে দেখতে যতটা বেশি ভালো লাগে
তার থেকেও বেশি ভালো লাগে মাথায় গুঁজে রাখতে।
ভালো লাগে তার পাপড়িগুলো একটা একটা করে ছিঁড়ে ফেলতে।
ঠিক তেমনি ভালো লাগে তোমার সাথে ঝগড়া করতে।।

বিপাশা চক্রবর্তী | Bipasha Chakraborty

Bengali Story 2023 | নিষিদ্ধ আনন্দ | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Story 2023 | কর্ণফূলী | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Story 2023 | রূপান্তরের পথে | ডরাইয়া মরে

New Bengali Story | বুড়ো দাদুর মন্দির | শুভাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Adhunik Bangla Kobitaguccha 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books | Adhunik Bangla Kobitaguccha pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Adhunik Bangla Kobitaguccha Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2024 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023 | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending Adhunik Bangla Kobitaguccha | Adhunik Bangla Kobitaguccha – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | Adhunik Bangla Kobitaguccha examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | Adhunik Bangla Kobitaguccha Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life | Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New Adhunik Bangla Kobitaguccha | Writer – Adhunik Bangla Kobitaguccha | Top Writer – Natun Bangla Kabita 2023 | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – Adhunik Bangla Kobitaguccha | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Adhunik Bangla Kobitaguccha | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf | Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live collection Bengali Poetry | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | Best Bangla Kobitar Live Video | Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Live Bangla Kobita | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online Adhunik Bangla Kobitaguccha Selection | Bengali Writing Poetry in english | Adhunik Bangla Kobitaguccha funny | Adhunik Bangla Kobitaguccha for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics

Leave a Comment