জয়নাল আবেদিন – সূচিপত্র [Bengali Novel]
খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৯) [Bengali Novel]
স্বাতী গৃহবন্দীর মতো বেশ কয়েকটা দিন হলো আরশাদের কলোনীর ঝুপড়ি বাড়িতেই রয়ে গেছে। মানসিক দ্বন্দ্বের কোন অবসান ঘটাতে সম্ভব পর হয়ে উঠতে পারছে না। কোথায় বা যেতে পারে সে এই সময়ে ? কলকাতায় কোনদিনই ফেরা সম্ভব নয়। ঠাঁই হবে না নিশ্চিত। মায়ের কাছে যাওয়ার মানসিকতাকেও সায় দেয় না মন। মাকে সে ভালো করেই বোঝে। এভাবে চলে আসা টা মা মেনে নেবে না, উল্টে স্বাতীকেই সহানুভূতির বদলে দোষারোপ করবে। কলকাতায় ফিরে যেতে বাধ্য করবে। যেটা স্বাতীর জীবনে আর হবার নয়। প্রয়োজনে সে জীবন বিসর্জন দিতে পারে, কিন্তু শঙ্খর কাছে ফিরে যাবে না।
আরশাদ সেদিন বলেছিল, – দিদিমণি, আপনি কলকাতায় ফিরে যান। ছেলেমেয়ে রয়েছে তারা তো কষ্ট পাচ্ছে গো।
— এই মুহূর্তে আমার কোথাও যাবার জায়গা নেই। সব শেষ করে এসেছি। উদাস ভঙ্গিতে স্বাতীর স্বীকারোক্তি। মরা ছাড়া আমার দ্বিতীয় কোন পথও নেই।
— বালাই ষাট! এ কি অলক্ষুনে কথা গো- দিদি। রিজিয়ার আতঙ্কের জবাব। তুমি এখন থাকো, মনটা ভালো হলে তাপ্পর যাবেন’খন।
— আসলে থাকাটায় আমার কোন অসুবিধা নেই। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় হবে, কিন্তু আপনার জীবনটা তো চলবে না। আবার যদি কোন ঝামেলা হয় ? আমরা তো গরিব মানুষ ভয় পাই গো। আরশাদের সরল প্রশ্ন।
— আমার জীবন থাকতে দ্বিতীয়বার আর কোনদিন তেমন আসবে না। সেদিনের ঘটনাটা মেনে নিতে পারেনি বলেই, সবকিছু ছেড়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ছুটে এসেছি। কান্নায় ভেঙে পড়ে মুহূর্তে স্বাতী। তাই এখন আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
— এমন কথা বলতে নেই গো দিদি। স্বামীর ঘর ছাড়া মেয়েদের জীবনের কোন দাম নেই গো। দিদি যা ভুল হবার তা তো হয়েই গেছে। সেটা আর ফিরে আসবে না। রিজিয়া অভিজ্ঞ মানুষের মতো বোঝাতে চায়।
ফেলে আসা সংসারের প্রতিচ্ছবি চোখের সামনে ভেসে আসে স্বাতীর। ছেলে-মেয়ের অসহায় কান্না, যেন শুনতে পায়। মেয়ের জন্য বড় কষ্ট হয়। কিন্তু তিক্ততা জীবনকে কতো পাল্টে দিতে পারে। প্রতিবাদ জীবনকে কতো কঠোর করে দিতে পারে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ স্বাতী নিজেই। কোন কিছুই তার ভাবনার বিষয় নয়। সে এই মুহূর্তে সংসার ত্যাগী। জঘন্য অন্যায়ের প্রতিবাদিনী মূর্তি। নখদন্ত্রহীন সিংহীর মতো গুহায় বন্দী জীবন কাটানো বড়ই কষ্টকর। স্বামীর লালসা চরিতার্থ করার যন্ত্র বা জন্তু হিসেবে জীবন টেনে বয়ে বেড়ানো সম্ভবপর হচ্ছিল না। শৃঙ্খলহীন – স্বাধীনভাবে বাঁচার লড়াই করার লক্ষ্যেই, সবকিছু ত্যাগ করে আসা একটা প্রতীক আজ স্বাতী।
— ঘরে ফেরা আমার আর সম্ভব নয়। তবে তোমাদের অভাবের সংসারে বোঝা হয়েও থাকবো না বোন।একটা দীর্ঘশ্বাস স্বাতীর। কোথাও না কোথাও যেতে তো হবেই।
— মূল কথা বলেন কেন দিদিমণি আমি গরিব খেতে খাওয়া মানুষ আপনি থাকলে খেতে পাবে না এমন কথা নয় আমাদের ডাল ভাত জুটলে আপনারও পাবেন কথাটা তা নয় আসলে আপনি ভদ্র ঘরের মেয়ে মানুষ আমাদের মত মানুষের ঘরে থাকলে বদনাম হবে আরশাদ কিছুটা বোঝাতে চাইছিল।
কিছুটা ম্লান হাসলো সাথী উদাস একটা চাহনি আলো-আঁধারি ঘরটায় চারিদিক ঘুরপাক খেলো, বললে বদনাম যা পাবার ছিল না সেটা তো পাওয়া হয়েই গেছে নতুন করে আর পাবার কিছুই নেই। আপনাদের পড়শি মানুষজন বুঝেছেন আমি আপনার কোন ক্ষতি করিনি।
— এটা তুমি হক কথা বলেছ দিদি? অনেকেই তোমার কথা বলে তোমার মনে খল বুদ্ধি থাকলে কি তুমি কলকাতা থেকে আসতে এখানে রিজিয়ার সরল স্বীকারোক্তি।
আরশাদ-রিজিয়ার সংসারে চার প্রাণীর বদলে পাঁচ জনের সংসার হয়েছে। প্রথম দিনের যে ক্ষোভ কিছুটা বা ঘৃণা ও মনের মধ্যে জায়গা নিয়েছিল দুজনেই। তা ঝরা পাতার মতো ঝরে গেছে। বাড়িতে অতিথি সমাদরে স্বাতীর দিনযাপন চলছে। কথা বার্তায় যেন এক আত্মীয়তার বন্ধন ফুটে ওঠে, অথচ মুসলমান এক রিক্সা চালক। আজাদ কলোনি নামের বস্তির গা ঘেঁষা-ঘেঁষি দুটো ছোট্ট ঘরে, বাস করে দুটো বাচ্চা নিয়ে। দিন আনি- দিন খাই সংসারের হাল হকিকত। অথচ হিন্দু এক মহিলাকে রাত্রিযাপনের উপকারের বিনিময়ে, থানার লক আপে রাত্রি বাস করতে হলো। শ্লীলতাহানির বদনাম দিয়ে মহিলার স্বামী থানায় আর্জি জানিয়েছিল। আর সততার মাশুল গুনতে হয়েছিল আরশাদকে। ঈশ্বর সত্য। শাশ্বত। শয়তান মিথ্যার কান্ডারী। ছলচাতুরির রূপকার। মিথ্যার জাল বিস্তার করলেও সত্যের আলো কে ঢেকে রাখতে পারল না। অন্ধকার ফুঁড়ে আলোর সন্ধান পেলো আরশাদ। সেই বিদুষী মহিলাই চক্রান্তের গন্ধ পেয়ে, নিজের জীবন বিপন্ন করেই- একপ্রকার সুখ- সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়ে আরশাদকে শৃঙ্খল মুক্ত করলো।
— একেই বলে বিধির বিধান। কপালে যা দুর্ভোগ থাকবে সেটাকে তো মেনে নিতেই হবে। কেউ নিস্তার পায়নি- আমিও পাবো না। স্ব-গোক্তির মতো বললে স্বাতী।
— আপনি দিদিমণি হিন্দুর ঘরের বউ আমরা মুসলমান জাতের আমাদের ঘরে আপনার থাকা খাওয়া আপনার জাতের লোকেরা যদি মেনে না নেয় যদি জাত পাত নিয়ে ঝগড়া ঝামেলা হয় বড় ভয় পাই গো দিদিমণি আরশাদের কেমন যেন ভয়ের তো গলা আমরা গরীব মানুষ আমাদের সত্যি কথারও কোন দাম কেউ দেবে না।
— আমাকে তাড়িয়ে দিতে চাইছেন ? সরাসরি কথা স্বাতীর।
— ছিঃ- ছিঃ ! অমন কথা কেন গো দিদি? গোয়ালপোড়া গরু তো, সিঁদুরে মেঘ দেখে মনটা ডরায় গো দিদি। রিজিয়ার বিজ্ঞ কথা।
কিছুটা ম্লান হাসি স্বাতীর। বলে, – আজ আমার কোন জাত নেই। এখন আমি শুধু একজন মানুষ। একজন নারী। আমার এই মুহূর্তে সংসার- স্বামী- সন্তান, কিছুই নেই। আমার পায়ের তলায় কোন মাটি নেই। মাথার উপর হয়তোবা ধু-ধু আকাশ। কোন দিক আমার জন্য নির্দিষ্ট নেই। যে দিক মনে হবে সেদিকে আমার জন্য। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্বাতী।
— দিদিমণি, আমরা গরীব মুখ্য-সুখ্য মানুষ। শিক্ষিত মানুষদের আমরা কিন্তু সম্মান করি। আপনি দোষ নেবেন না, এখনটা থাকুন না। মনটা ভালো হলে পর যাবেন। আরশাদ গুছিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও হয়তো বা আগোছালো বলে ফেলে।
দিনের আলো ফুটলে আরশাদের রুজি- রোজগারের দিনপাত করতে হয়। দুপুরে খেতে যাবার ও সময় পায়না। সন্ধ্যে রাতে ঘরে ফিরে স্নান সেরে খাওয়া – দাওয়া। কথাবার্তা। অবকাশ যাপন। বর্তমান যাদের জীবনে হাঁটি- হাঁটি, পা- পা, তারা ভবিষ্যতের কথা ভাবে না। আজাদ কলোনির অন্য বাসিন্দাদের জীবন-যাপনের ধরন- ধারণ থেকে আরশাদ একটু আলাদা। চিৎকার- চেঁচামেচি, খিস্তি-খেউড়, মধ্যরাত্রি পর্যন্ত কলোনির আকাশ বাতাস মুখরিত থাকলেও আরশাদ কিন্তু ব্যতিক্রম। নেশা-ভাং তার স্বভাব বিরুদ্ধ। সাট্টা- জুয়া না পসন্দ। হই- হট্টগোলের জীবন থেকে নিজে যেমন দূরে থাকা পছন্দ করে। নিজের পরিবারটাও তেমন তৈরি করেছে। রিজিয়া কারো সাতে- পাঁচে থাকে না। নিজের বাচ্চা দুটো নিয়ে ছোট্ট পরিধিতে তার জগৎ। অঙ্গনওয়াড়িতে পাঠায় ছেলেমেয়েকে। ওদের ভাষায় খিচুড়ি স্কুল। পড়াশোনার সাথে মিড ডে মিলের খাবারটুকুও পায়। বসতির জীবন বড়ই বিচিত্র। বাচ্চারা পড়াশোনা করুক, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুক, এমন ভাবনা অধিকাংশের মাথায় নেই। সকালের আলো ফুটলে রুটি- রুজির সন্ধানে বের হতে হয়। নারী- পুরুষের সমান ব্যস্ততা। দিন আনি- দিন খাই,এমন মানুষই বেশি। রিক্সা, রিক্সা ভ্যান চালকের সংখ্যাই বলতে গেলে বেশি। আবার কয়েকটা পরিবার সারাদিন পাড়ায়- পাড়ায় বাড়ি- বাড়ি ঘুরে, কাগজ- প্লাস্টিক কুড়িয়ে সপ্তাহান্তে জমিয়ে রাখা জিনিস বিক্রি করে। বাচ্চাগুলো হাত লাগায়, কুড়োনো থেকে বাছাইয়ের কাজে। বস্তির ঘর-দোর সারাটা দিন যেমন চুপচাপ থাকে। সন্ধ্যের পর ঘরমুখো মানুষগুলোর কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। গুমটির দোকান গুলোয় কেনা- বেচার ঘুম উঠে। রান্নার আয়োজনে ঝুপড়ির আকাশ ধোঁয়ায় ভরে যায়। নেশায় চুর হওয়া মানুষগুলো খিস্তি-খেউড়ে বস্তির চরিত্র ফুটিয়ে তোলে।
সেদিন রাতে নেশায় চুর হয়ে সোভান গাজী বাইরে থেকে ডাকলে আরশাদকে, বললে,- এটা কিন্তু বাবু তুমি ঠিক করোনি। আরশাদ কিছুটা অবাকই। বললে, – কি ব্যাপার গো চাচা ?
— হিঁদুর মেয়ে ঘরে রেখেছো কেন ? ও তো পরের বউ। তোমার কুটুমবো তো হতে পারে না বাপু। কিছুটা জড়ানো গলায় কেমন জোরালো প্রতিবাদী সুর।
— না, না । ভুল বুঝো না চাচা । দিদিমণি থাকতে তো আসেননি ।নেতারা বা আমাদের কলোনীর সবাই জানে। উনি আমাকে সেদিন বাঁচাতেই এসেছেন, ওনার স্বামীর অন্যায় কাজের সমাধান করতে। ঘর ছেড়ে রাগে থানায় এসেছিলেন বলেই আমি ছাড়া পেলাম। আরশাদ শান্তভাবে বোঝাতে চায় সোভান গাজীকে।
আশেপাশে কথার মাঝে জড়ো হয় কয়েকজন। তারাও যেন মেনে নিতে পারেনা মহিলার থাকাটা।
— বেশ কটা দিন হল উনি রয়েছেন তোমার ঘরে। যতই হোক হিন্দু ঘরের বউ। হিন্দু এলাকা থেকে কোন চাপ এলে তখন সামাল দেবে কে ? সামান্য ঝাঁঝালো কথা বাবলুর।
— সত্যি বলতে কি ভাই বাবলু। জোর করে তো মানুষটাকে ঘর থেকে চলে যেতে বলতে পারি না। তবে উনি নিজেই বলেছেন চলে যাবেন। আসলে ঘর সংসার ফেলে চলে আসা তো। বোঝাতে চায় আরশাদ।
— সবই ঠিক আছে আরশাদ দা। খারাপ ভেবো না। তুমি ভালো মানুষ আমরা সকলেই জানি। সেই তোমাকেই তো উপকারের দাম মেটাতে হলো। বাবলুর লাখ টাকার কথা আরশাদকে ছুঁয়ে যায়।
আরশাদ গুম হয়ে যায় চকিতে। কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে রাখতে চায় না। মানুষটা লাভ- ক্ষতি যাই হোক, পিছনের কথা ভাবতে বসে মন ভারি করার পক্ষপাতি নয় সে। এটা ওর মানসিকতা। উপকারের বিনিময়ে যেমন চাওয়ার ঘোর বিরোধী, তেমনটা বিশ্বাস করে ঠকে গেলেও কপালের দোষ দেখে নিজের। অন্যকে দোষ দেয় না।
— ঠিক আছে চাচা, কি করা যায় তাড়াতাড়ি দেখছি। কথা শেষ করে নিজের ঘরের দিকে এগিয়ে আরশাদ।
আজাদ কলোনি যখন রাত্রির গভীরতা মাপতে-মাপতে নিস্তব্ধ হতে থাকে। রাত জাগা পাখিগুলো ডানা ঝাপটায়। শব্দ করে ডাক দেয়। বিছানায় পিঠ পেতে আরশাদ সবকিছুই অনুভব করে। দু চোখের পাতা বুজতে চায় না। কিভাবে সমস্যার মোকাবেলা করবে সে ? একটা মানুষকে কি মুখের উপর চলে যেতে বলা যায়? আবার চলে গিয়ে যদি কোথাও রেলে জান দিয়ে দেয়? কারণ উনি মুখে মুখে বলে- মরা ছাড়া আমার আর রাস্তা নেই।
তাহলে ও কি ভবিষ্যতে আরশাদের উপরেই দায় থাকবে ? বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যায়ে সাহায্য করা হয়েছে বলে ? কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আরশাদের। কিছুটা গরম লাগছে আজ। বাতাসে যদিও রাতের হিমেল হাওয়া। রোজগার ঝুপড়ি ঘরটার তাপমাত্রা একই রয়েছে।
হাতের তালু দিয়েই কপালের ঘাম মুছে আরশাদ। উঠে বসার ইচ্ছা হলেও শুয়েই থাকে। রিজিয়া বাচ্চা দুটোর মাঝে অকাতরে ঘুমোচ্ছে। আরশাদের বর্তমান ভাবনায় তার কোন চিন্তা নেই। থাকার কথা নয়। স্বামীর গরবে গরবিনী সে। মতামত কিংবা পরামর্শ আদান-প্রদান তাদের সংসারে কোনকাল ছিল না- আজও নেই।
জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin
New Bengali Novel 2023 | অকপটে অগ্রজকে | অতনু দাশ গুপ্ত
New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৫) | উপন্যাস
New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৬) | উপন্যাস
New Bengali Novel 2023 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৮) | উপন্যাস
খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
Bisholyokoroni | bengali novel | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali novel for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali novel pdf | bengali story for kids | bengali novel reading | short story | bengali novel analysis | bengali novel characteristics | bengali novel competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | bengali novel length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing cmpetitions 2022 | writing competitions uk | bengali novel writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | bengali novel ai | bengali novel app | article writing book | bengali novel bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder