New Bengali Novel 2023 | খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১০) | উপন্যাস

Sharing Is Caring:
BENGALI NOVEL

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১০) [Bengali Novel]

শঙ্খের দেওয়া বার্তায় শ্বশুর-শাশুড়ি মেয়ের বাড়ি এসেছে। ছেলে-মেয়ের কিছুটা হলেও মায়ের অনুপস্থিতির একাকীত্ব ঘুচলো।শঙ্খ নিজের দোষ ত্রুটি এড়িয়ে স্বাতীর একগুঁয়েমি কাহিনীর আশ্রয় নিয়েছে। সেদিনের সামান্য ঘটনায় ঝগড়া করে সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম রাগের মাথায় কাছে পিঠে কোথাও গেছে, তবুও খোঁজাখুঁজি করে যখন কোথাও পেলাম না। থানায় জানালাম। ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমি অসহায়। আপনাদের কাছে যাবে না ও ভেবেই প্রথম খবর দেইনি। আমার ছুটি শেষ হয়ে আসছে। এদের কার কাছে রেখে যাবো। চিন্তায় আমি অস্থির হয়ে আছি। এভাবে আমার জীবন শেষ করার কি দরকার ছিল।

— কে কার জীবন শেষ করলে তোমরা, বোঝা দায়। একটা দীর্ঘশ্বাস পড়লো স্বাতীর মায়ের। স্বাতী বড় জেদী। হার মানতে শেখেনি কখনো। তা বলে…
— আমি জানি মা। ও হ্যাঁ বললে সেটা আর না বলবে না। আবার না বললে কখনোই সেটা হ্যাঁ হবে না। সেটা ভুল বা ঠিক যাই হোক। স্বাতী নিজের জেদ বজায় রাখবেই। অত্যন্ত নরম সুরে শঙ্খ বোঝাতে চায়।

স্বাতীর বাবা সত্যেন বাবু অন্যমনস্কভাবে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিল। কাপটা টেবিলে রেখে বললে, – তোমার কিছু ভুল সিদ্ধান্ত যেটা স্বাতী মানতে পারত না। অথচ তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে করতে হয়েছে। এর ফলে ক্রমশ জমতে থাকা ক্ষোভ আর জেদ তৈরি করেছে। এটা পুরুষ হিসেবে তোমার বোঝা উচিত ছিল।

— এটা আপনি কি বলছেন বাবা! আমার কোন ইচ্ছা জোর করে চাপিয়ে দিইনি কোনদিন। সাফাই শঙ্খের।
— দেখো বাবু। সংসার জীবনে চাওয়া- পাওয়ার একটা সঙ্গতি থাকা দরকার। যেটা তোমার জীবনে কম ছিল। স্বাতী এটা মেনে নিতে পারত না । সত্যেন বাবু জামাইকে পুরানো ছবিগুলো মনে করিয়ে দিল।

শঙ্খ কথার রাশ টানলো না। নীরবতাই শ্রেয় মনে করে চুপ করে রইল। স্বাতীর মা রমলা দেবী রাতের খাবার তৈরির জন্য রান্নাঘরে ঢুকলো। শুভ্র-অভ্র নিজের ঘরে পড়ার বই খুলে বসলো। ক’টা দিনের মানসিক চাপটা দিদিমাকে পেয়ে আজ একটু কম। মেয়েটা দিদিমার কাছে কাছেই রয়েছে।
মেয়ের রান্নাঘরের খুঁটিনাটি জানতো বলেই খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয়নি রমলা দেবীকে। ফ্রিজে রাখা ফুলকপি- মাছ, কুটে তরকারি হল। ডাল, ভাত। সকালে চা খাবার পরে সত্যেন বাবু শঙ্খকে বলল – তুমি থানায় কোন খবর নিয়েছিলে ?
— না-মানে, ওরা এমনিতে খোঁজখবর পেলেই জানিয়ে দেবে বলেই দিয়েছেন। আমতা আমতা জবাব শঙ্খর।
— আরে বাবা, পুলিশের কি দায় পড়ে গেছে ।তোমার দরকার তোমাকে দুবেলা দরবার করতে হবে। তবেই ওদের চেষ্টা থাকবে। সত্যেন মাস্টারের যেন কিছুটা ধমকানি অবাধ্য ছাত্র শঙ্খকে।
— আসলে এদের সামলে বাইরে সেভাবে যেতেই পাচ্ছি না। হাতের কাছে কেউ তো নেই যে তাকে দায়িত্ব দিয়ে একটু বেরোবো, কিছুটা অসহায় অবস্থা প্রকাশ শঙ্খের।

সত্যেন বাবু বললেন, – যাদের একার সংসার তাদের যেভাবে চলতে হয়। হঠকারিতা তাদের মানায় না।
শঙ্খ বলল, – স্বাতী যে এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে, সামান্য ব্যাপারে সব ছেড়ে চলে যাবে। ভাবতেই পারি না। পরে কি হবে ভেবে দেখল না ?
কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন সত্যেন বাবু। তারপর বললেন, – স্বাতীর হঠকারিতার জন্যও তুমিই একমাত্র দায়ী।
— কেন বাবা, আমায় দোষ দিচ্ছেন কেন? অবাক হয়ে প্রশ্ন শঙ্খের।

আবারো কিছু সময় চুপ রইলেন সত্যের মাস্টার। তারপর বললেন – দিনের পর দিন তুমি তাকে দিয়ে তোমার লোভ-লালসা-চরিতার্থ করেছ। আমাদের কাছে বারংবার দরবার করিয়েছ। আমি মান রক্ষায় কষ্ট করে দিয়েছি ও। থামিয়ে দেয় শঙ্খ। এসব আপনি কি বলছেন ? এভাবে আমরা কোনদিন চাইনি আপনার কাছে।
— সাফাই গাইতে এসো না। আমি বিরক্ত হলেও মেয়ের মুখ চেয়ে আবদার মেটানোর চেষ্টা করেছি। কিছুদিন আগেও স্বাতী গিয়েছিল ।আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না বলাতে ও ক্ষোভ করেছিল। সেটা হয়তো তোমার জানা নেই ।তোমার শাশুড়ি মার কথাতে বেজায় চটে গিয়ে বলেইছিল। তাহলে কলকাতায় ফিরবে না। এভাবে সংসার করা ওর পছন্দ নয়। একটানা কথাগুলো বলে কিছুটা হাঁপাতে লাগলো সত্যের মাস্টার।

মাথা নিচু করে খাটে বসে শঙ্খ। ক্রমশ জটিল ঘূর্ণাবর্তে আটকে তার চিন্তাশক্তি। কথা বলার মতো ভাষা তার মুখে নেই। কিভাবে বের হবে এই আবর্ত থেকে চিন্তা করতে থাকে। স্বাতী কোথায় যেতে পারে তা শঙ্খের অজানা নয়। তার জন্য সে দায়ী বুঝেই- চলে গেছে শব্দ দিয়েই শেষ করেছে দায়ভার। অত্যাধিক খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে, কথায় বলে- কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হতে পারে যে!
যে কথাগুলো ভাবনায় ছিল না। এখন মাথায় ক্রমশ ভাবনাগুলো মেঘের মতো ভিড় জমতে শুরু করেছে। যদি স্বাতী থানায় গিয়ে সেই মানুষকে বিনা দোষে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে ছাড়িয়ে নেয়। ওর নামে মিথ্যে করে কেস সাজানো হয়েছে প্রমাণ করে। মানহানির মামলা হয়। তাতে যদি ফেঁসে যায় শঙ্খ। তাহলে কি চাকরি জীবনে কোন ঝঞ্ঝাট বাধতে পারে। কি হঠকারিতা যে মাঝেমধ্যে সে করে ফেলে। এখন তাহলে উপায় ? স্বাতীর খোঁজে ওই জায়গায় যাওয়া মানে ফাঁসি কাঠে মাথা দেওয়া। তাহলে স্বাতী আর কোনদিন নিজের সংসারে ফিরে আসবে কি? ওখান থেকে কোথায় বা যেতে পারে। বাবা-মার কাছে যায়নি, যাবেও না ।তাহলে ? চিরতরে হারিয়ে থাকার মেয়ে সে নয়। আত্মহত্যাই কি স্বাতীর একমাত্র বসার পথ। কেমন যেন শরীরটা কেঁপে উঠল শঙ্খর। ঝাঁকুনিটাই চিন্তা থেকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনলো তাকে।

জামা প্যান্ট পরে শঙ্খ বাইরে বের হলো। উদ্দেশ্য অবশ্যই থানা। প্রথামত যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। দিদিমাকে কাছে পেয়ে ক’দিনের শূন্যতা কিছুটা ভরে উঠেছে। বাচ্চাগুলোর হতাশার মুখগুলো আজ একটু ঝলমলে‌ শুভ্র আর অভ্র কদিন পর স্কুলে গেল‌ আজ সূচি দিদিমার কাজ ছাড়া হয় না। শঙ্খ দায়সারা খোঁজখবর নিতেই থানায় ঢুকলো, থানার বড় বাবুর সঙ্গে কথা হলো। বললেন, – আমরা সমস্ত থানাকে ইনফরমেশন যা দেবার দিয়েছি। জেলা থানা কেও ক্রমশ জানানো চলছে, যে কোন রিপোর্ট আমরা পেলে আপনাকে আমরা জানাবো অবশ্যই।
শঙ্খ বলল – আসলে আমার তো ডিফেন্সের চাকরি। ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। হিসেব মতো আমাকে আগামী ১৩ তারিখে জয়েন করতে হবে। এরপর যে কি হবে কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। কিছুটা হতাশার গলা শঙ্খের।
বড়বাবু বললেন – আপনি সেনা বিভাগের কর্মী। আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার কথা বলে লাভ নেই। খোঁজ পাওয়া যাবে নিশ্চয়ই, তবে নিশ্চিত করে তো দিনক্ষণ বলা যাবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন, খোঁজ পেলে ‘দেন এন্ড দেয়ার’ আপনাকে জানানো হবে।

শঙ্খ থানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামল। হঠাৎ আজ যেন তাকে কেমন দুঃশ্চিন্তা গ্রাস করছে। যে কোন দিন স্বাতী যদি হঠাৎ ফিরে আসে। তাহলে সে কিভাবে তাকে মেনে নেবে ? বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য কি প্রশ্ন করবে ? কোথায় ছিল ?কেন ছিল ? এরকম প্রশ্নবাণ কি স্বাতীর জন্য শঙ্খ করতে পারবে? স্বাতীর প্রত্যুত্তরে আসল চেহারা বের হলে শঙ্খর কি হবে। পুলিশী ঝামেলায় সে কি মিথ্যা ঘটনার মানহানির কেসে জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে স্বাতী ফিরে এলে, নিজে এগুলো করবে না বলেই মনে হয়। কারণ থানা পুলিশ সম্পর্কে তার ধারণা নেই। এ সময়ে স্বাতী ফিরলে কিছুটা আত্মপক্ষ সমর্থন করে রেহাই পেতে পারে সে। কিন্তু তাকে তো যে করেই হোক কদিন পরে জয়েন করতেই হবে। তখন ফিরে এসে ওর বাবা-মায়ের সামনে সত্য উদঘাটন হলে। মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করতে থাকে শঙ্খর। সামনের ফুটপাতের গুমটির দোকান থেকে সিগারেট কিনে ধরায় সে।একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে মনটা হালকা করতে চায় ধোঁয়ার মতই।

ছোট্টবেলা থেকেই শঙ্খ স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার মানসিকতায় ভরপুর। এক রোখা একগুঁয়েমি তার চরিত্র। বাবা-মার কাছে তিরস্কার পেয়েছে বরাবরই। লেখাপড়ায় বরাবরই মাঝারি মানের ছিল বলে, দাদাদের কাছে মার খেয়েছে। অন্যের চাপিয়ে দেওয়া মত কিংবা আদর্শের কথা ওর কাছে চেরতা ভেজানো জলের মতো তিতো লাগতো। সহ্য করতে পারত না। নিজের মতেই চলতে ভালবাসত, তাতে লাভ-ক্ষতির অংক কোনোকালেই করত না। সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বাবা-মায়ের প্রবল আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ওখানে জয়েন করল। শেষ বয়সে ছোট ছেলের জন্য বাবা-মার খুব চিন্তা হতো। এসব চাকরিতে জীবনের কোনো নিরাপত্তা থাকে না বলে।
ওর বাবা বলতো – দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া সৌভাগ্যের, এসব গাল ভরা কথা শুনতে ভালো লাগে। কাগজের পাতায় লেখা পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু যার যায় সে বোঝে ব্যথাটা তার বুকে শেলের মত বিদ্ধ হয়ে থমকে থাকে। দেশপ্রেম শব্দ তার কাছে কুইনাইনের মতো। গিলতেই হয়, নাক মুখ চেপে হজম করতে হয়। আর যে সে ফিরে পাবে না। চিরতরে হারিয়ে ফেলেছে তার সাত রাজার ধন মানিক। মা’র বোবা কান্না শুধু স্রোতস্বিনী নদীর মত বুক ভাসাতো।

শঙ্খ যখন বাড়ি ফিরল সূর্য তখন মধ্য গগনে। শাশুড়ি মা থাকায় রান্না করার ঝামেলা নেই বলে, আজ একটু মুক্ত সে। জামা কাপড় ছেড়ে পাখা চালিয়ে শরীর জুড়ালো খানিক ।আজ একটু গরম পড়েছে। ঝাঁ ঝাঁ করা রোদ্দুরে চারিদিক কেমন যেন খটখটে। গলির কুকুরটা স্বশব্দে কাকে যেন তেড়ে গেল। বার দুই এক ছাদের কার্নিশে বসা কাকটা অসহ্য কা কা কা শব্দে ডেকে চলেছে। কাক ডাকা শব্দটা একটু বিরক্তি থাকে বরাবরই শঙ্খের ।অন্য দিন হলে যেমন একটা বিশেষ শব্দ যোগে ছেড়ে দিত। আজ তেমন কিছুই করলো না ।উদাস ভাবে কর্কশ শব্দটাকে হজম করল। ক’টা দিন উদ্বিগ্নতায় কাটিয়ে সত্যেনবাবু নিজের বাড়ি ফেরার তাগিদ অনুভব করল।
শঙ্খকে বলল – মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে ছুটি বাড়িয়ে নাও। বাইরে বেরিয়ে খোঁজ খবর কর। যাহোক ব্যবস্থা কর ।হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না।
শঙ্খ বলল – খোঁজ খবর তো নিচ্ছি অবশ্যই।
সত্যেন বাবু বললেন -বাড়িতে বসে খোঁজ নিলে হবে? জল জ্যান্ত মানুষটা তো উবে যাবে না? কোথাও না কোথাও আছে। তোমরা শহরের মানুষ তোমরা খোঁজ করতে সুবিধা পাবে।‌ অন্যের দায় কি এতে ?
শঙ্খ কিছুটা ম্রিয়মাণ, বলল – ঠিক আছে দেখছি।

সত্যেনবাবু অবাধ্য ছাত্রকে যেন ধমকালেন, বললেন – কদিনই তো দেখছি দেখছি করছ। তোমার সে তাগিদ কোথায়? ঘরের মানুষটা নেই। কোথায় তা জানো না। তোমার মধ্যে তো কোন চিন্তা নেই যেন।
শঙ্খ বলল – না-বাবা ‌এভাবে বলবেন না। বাচ্চাদের নিয়ে আমি যে কিভাবে দিন কাটাচ্ছি। আমি বুঝি।
সত্যেন বাবু কিছুটা নরম সুরে বললেন – শোনো – তোমার শাশুড়ি মা কদিন থাকলো। আমি আজ রাতেই ফিরে যাব। জমিতে কাজ শুরু হবে। আমার এভাবে থাকা সম্ভব নয়। কোন খোঁজ খবর হলেই আমাকে জানাবে।

দিগন্ত এখন অন্ধকার নামছে। শহরের বাতিস্তম্ভের আলো গুলো সেই অন্ধকার দূর করার তাগিদে আলো ছড়াচ্ছে সারা শহর। চা খেয়ে সত্যেন বাবু ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে রওনা হলেন। দখিনা বাতাস আজ একটু পরশ বুলিয়ে দিল তপ্ত সন্ধ্যাকে। শুভ্র – অভ্র নিজেদের ঘরে পড়তে বসলো। টেবিলের দু প্রান্তে দুটো চেয়ার। দুজনে বসলো নির্বাচিত চেয়ারে। বই খোলার আগেই দুই ভাই একটু খুনসুটি করতে লাগলে নিজেদের মধ্যে। এই বয়সে এমনটাই স্বাভাবিক। দিদিমা ঘরে ঢোকাতে চুপ হয়ে গেল দুজনে।

জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin

New Bengali Novel 2023 | অকপটে অগ্রজকে (পর্ব ২) | অতনু দাশ গুপ্ত

New Bengali Novel 2023 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৮) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১) | উপন্যাস

Bengali Novel 2023 | স্টেশন কান্তার (২য় পর্ব) | উপন্যাস ২০২৩

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Bisholyokoroni | bengali novel | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali novel for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali novel pdf | bengali story for kids | bengali novel reading | short story | bengali novel analysis | bengali novel characteristics | bengali novel competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | bengali novel length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing cmpetitions 2022 | writing competitions uk | bengali novel writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | bengali novel ai | bengali novel app | article writing book | bengali novel bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment