সত্যেন্দ্রনাথ পাইন – সূচিপত্র [Bengali Story]
ঋতুর গ্রন্থনায় – সত্যেন্দ্রনাথ পাইন [Bengali Golper Apps]
চাহিদা আছে নারী নেই। যেমন বর্তমান ভারতে ভোটার আছে মানুষ নেই, খিদে আছে মূল্যবোধের অভাব, অনটনের কারণে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই, আছে অকালপক্কতার ঘ্যানঘ্যানানি আর অকর্মণ্যতার নিরবচ্ছিন্ন বিদঘুটে নিষ্ক্রিয়তার হাহাকার।। আসলে ঋতু অপুকে জড়িয়ে ঋতু নামেই ডাকে। দুজনেই দুজনকে খুব ভালোবাসে। যা দেখে মেয়েদের মনে ঈর্ষার উদয় হয় মাঝে মাঝেই। এরই মাঝে এসেছে সত্যের ঔদীসীন্য চাউনি। কাউকেই তোয়াজ করেনা,পছন্দও বেশি করেনা। এক কথায় বললে মেয়েদের সম্বন্ধে ওর আগ্রহ ততটা নয় যতটা উৎসাহ আছে। সব মেয়েগুলোই ওকে তাই পেতে যেন মরিয়া। যে কোনো আলাপচারিতায় ওকে দেবজ্ঞানে পুজো করতে সবাই দুঃসাহসী। তাই অত্যন্ত সহজ ভাবেই দাহ্যবস্তুর মতো সত্য র কাছে মেয়েদের ভিড়। যদিও নিরাপদে আগ্নেয়গিরি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তার জুড়ি মেলা ভার।
সেদিন গঙ্গার ঘাটে যখন জাহাজের ভোঁ বাজলো ঘনকালো করেছিলো আকাশের মেঘগুলো, তারারা কাঁপছিলো ভয়ে, পাশে ছিল ঋতুরানী কেডি। পোশাকী নাম যার কাতুকুতু ডিভাইস। সকলে ওকে কেডি বলেই চেনে, জানে। প্রথমেই ঐ ঋতুরানী কেডি ঘোষ এক মুহূর্তে সত্য বিন্যাসে বুদবুদ দিবস উপলক্ষে কব্জায় এনে ফেলেছিল ঐ সত্য সংস্করণে বলা যায়। হঠাৎ কি কারণে সেটা থমকে গেছে কে জানে। সত্য মানে অবলা বিষ্ণুদেব যেন হেসে উঠলো। ” সরে যাও কেডি, একেবারে দূরে সরে যাও। আজকের এই গাঙ্গেয় ফুরফুরে হাওয়া এসো দুজনে মিলে উপভোগ করি। এভাবে ব্যাঙের মতো লাফিয়ো না। দ্যাখো, দ্যাখো, আজকের চাঁদের কিরণ, তারাদের লুকোচুরি, আর নৈশ জাহাজের ভোঁ যেন একটা ঐকতান সৃষ্টি করেছে। এটাই তো ভালো। তাই নয় কেডি! বিশ্বকর্মার কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শুধু মাত্র আমাদের খুঁজে পেতে। কারণ, ভালোবাসা মানে জীবনের সবচেয়ে নিরাপদ নির্ভরযোগ্য বাস্তবতা। সেটায় শুধু মাত্র আবেগ নেই।যেখানে জন্ম সেখানেই সে ব্যস্ত থাকে। ব্যস্। ওখানেই ইতি কেডি সত্যর আধিপত্য বিস্তারের অনন্য জলছবি। অপু আর এগোয়নি। কিন্তু ঋতু যে ছাড়বার পাত্রী নয়। সে বিশ্বকর্মার কারখানায় আগুন জ্বালিয়ে তবেই যে নেবে নিস্তার।
পুরুষ নিয়ে কেডির মনে ভীষণ একটা মৃতদেহ পাওয়া গেছে । তবুও সত্যকে পেয়ে সে পুরোপুরি পুরুষ নিয়ে আর বেয়াদবি করেনা। সে অপরূপা সুন্দরী বালিকা তো নয়ই। বরং একটু বেশি হলেও ছিপছিপে পাতলা গড়ন ও মুখশ্রী যেকোনো একটা আঙুলে সীমাবদ্ধ কালচে ধূসর প্রকৃতির। সে আকাশ থেকে পড়া কোনো অপ্সরা নয় ঠিকই। কিন্তু চলনে, বলনে সর্বদাই মার্সিডিজ গাড়ি।। ভুলেও সত্যকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়নি। তবু তাকে ভালোবাসে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ঐ টিয়া পাখির মতোই। সে দুর্বল নয় বটে। কিন্তু আধিপত্যে ভয়ংকর। অপু মানে অপ্সরার বোন। যে সবসময় চায় কেডি আর সত্যর মিলন। তাতে শিকল না থাকুক, আফিম তো আছেই। ভালোমানুষির মুখোশে ঢাকা একটা নোংরামি থাকলেও নেই।
সত্য আজ পর্যন্ত একটা সিগারেটও ধরিয়ে ধোঁয়া ছাড়েনি। অপুর ভালো লাগে না সেটা। অবশ্য কেডি ভালো বলেই মনে করে সেটাকেই।। একশো এক দেবতার মতো যেন কেডির তাৎপর্য। সে ব্যর্থ নয় জেনেও অবাক সত্যদেব বিষ্ণুকে নিয়ে। সে সদা চঞ্চল চৌধুরী হয়েও সত্যের আদিগন্ত বিস্তৃত উদাসীনতায় স্বপ্ন মনে হয় তার। কোনো মেয়েকেই বিয়ে করতে চায় না কেন কে জানে। হৃদয় যে নেই তাতো নয়। তবে এমন বিচ্ছিন্ন কেন! দুই ঋতু যখন একদমই একা তখনই তারা ঐ সত্য সন্ধানে ব্রতী। আরেক ঋতু মানে অপু। যে সবসময় ঐ ঋতুরানী কেডি ঘোষ আর সত্যর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী।। কিছু একটা তার চাই ই চাই ওদের মাঝখানে। সে চায় তার ঋতু আর সত্যসুন্দরের বিয়ে। সত্যসুন্দরের মনে বাসা বেঁধেছে বিয়ে মানে তো যৌন প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। তাহলে বিয়ে না করলেই কি নয়! বিয়েতে পুরুষ নারী থাকবেই। কিন্তু যদি এমন হয় পুরুষের কাছে নারী হারিয়ে যাবে না মেটানো ক্ষুধা পরিবেশনে তাহলে কেমন হয়।! তাই সে কেডিকে ভালোবাসলেও বিয়ে করতে রাজি নয়। অথচ তার জন্যে তার কান্নারও যেন শেষ নেই। সে যে নিতান্তই কেডিকে খুব ভালোবাসে।।
ঋতুরানী বিয়ে করতে রাজি নয় এ উদাসীন সত্যসুন্দরকে। সে অন্য পুরুষের সন্ধানে বিবিসির জঞ্জালে অনুসন্ধান করতে গিয়ে পেয়েও গেছে কর্তব্যহীন একটা সরল মানুষকে। আর বন্ধু ঋতু বলছে– “দ্যাখ, ঋতু সত্য তোকে বিয়ে করে সংসার পাতবে, পৃথিবীতে এটাই হয়তো নিয়ম। কিন্তু ও, তোর শরীর চায়না, চায় তোর মনটাকে।। তুই ওকে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে মিশে থাক দেখবি ও তোকে অন্য চোখে দেখে। তোর জ্ঞানের পরিধি ওর খুব ভালো লাগে”। তাই ওকে দূরে দূরে ঠেলে যাকে জীবন সঙ্গী করতে চাইছিস সেক্ষণে তোর ভুল বড় ভুল হচ্ছে। সত্যসুন্দরের মনে এতটুকু সাধ নেই তোর শরীরের উপর শুয়ে সে উপভোগ করবে নারী শরীরের উষ্ণতা,সে বরং আরো বেশি করে পেতে চায় তোর অসীম জ্ঞানের আত্মসম্মানবোধ।। তাই সে তোকে এড়িয়ে যায় না, দূরে দূরে থেকে তোকে অনুসরণ করে। কারণ, তুই ওকে ঠিক চিনতে পারিস নি। হীরে পাথর থেকে আলো ছিটকে বের হয়, আর তুই তাকে আলো না ভেবে অসন্তোষের স্বপ্ন দেখছিস।! ওরে ঋতু, সতীর মৃত্যু যেমন হয়না তেমনি ঐ সত্যসুন্দরের মৃত্যু হয়তো তোর কাছে হার মানতে বাধ্য যদি সে তোকে বিয়ে করে সংসার পাতবে ভেবে যৌন ক্রিয়া করে। আফিম খেয়ে বুঁদ হয়ে থাকিস না। বুঝতে শেখ। ও যে তোর কাছে বন্দিত্ব স্বীকার করে পড়ে আছে সেটা তোর পরম সৌভাগ্য। ও সামান্য কিছু লেখা লেখি করে শুনেছি সেটা কোনো ব্যাপার নয়।
কিন্তু ও চায়না দুর্বল যারা তারা চিরদিন সবলের হুকুম তামিল করুক। ও অবলা জীব নয়। ও শয়তান থেকে বাঁচতে হবে এই মর্মে তোর কাছে জ্ঞানের মিনতি করে।। ও ভোগবাদী নয়। ও সমাজের মধ্যে থেকে তোকে বোঝাতে পারেনি। ওটা তার অভাব বা দুর্বলতা। কিন্তু বিশ্বাস কর ঋতু, ও স্বর্গ মর্ত্যের বিলিতি কায়দায় জিভের স্পর্শ করে কামনা ভোগ করতে জন্মায়নি। ও একজন ফিলোজপার। তাকে বুঝতে সময় লাগবে। “তোর কাছে যখন এইটা বোধগম্য হয়েছে তাহলে তুই ওকে নিয়ে থাক। আমি চললাম।” বল্লো — কেডি রানী। আমার তোর কথা শুনে গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে ঋতু ।সৃষ্টি কর্তা যেন তোকে আপাতত জ্ঞানদা ষষ্ঠি করে আমার কাছে পাঠিয়েছে।। প্রমাণ হলো এটা অনিবার্য, এটা তোর বিশেষত্ব এবং ইচ্ছাকৃত। আসলে তুই ওকে বেশি ভালোবাসিস এবং সুগন্ধ পেতে নিমন্ত্রণ জানাস। দ্যাখ ঋতু, আমি যথেষ্ট বুঝেই বলছি ওকে আমার সহ্য হয়না একদম। তাই তো ওর সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
ঋতু বল্লো – দ্যাখ চলতে, হাঁটতে দেরি হয়, কিন্তু একবার শিখে গেলে অনায়াসেই সে দৌড়তেও পারে।। কিন্তু তোর মনের মধ্যে কি যে আছে বুঝি না ভাই। ঋতু তোর নামকরণটা আমি ই করেছিলাম। মনে হচ্ছে ভুল হয়েছিল। তোর আলোচনা, ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল আর বাজারে বিক্রি ইংরেজি সংবাদপত্র যে এক নয় সেটা বুঝতে পারিনি ঋতু। তুই আর একজনকে বরন করে নিচ্ছিস নে। কিন্তু সত্যসুন্দরের মৃত্যু হয়েছে ভেবে তাকে দূরে সরিয়ে দিলে তোর ই মৃত্যু হবে। কেন না, ভেবে দ্যাখ তোর কাছেই শুনেছি — ” তুই ঐ সত্যকে নাকি একদিন জিজ্ঞেস করেছিলি আচ্ছা– সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেল কিন্তু তুমি কেন এখনো পড়ে আছো? কী চাও আসলে আমার কাছে!?” শুনেছি সে কোনো উত্তর দেয়নি। তাহলে বুঝে দ্যাখ ও আসলে কী চায় তোর কাছে!!
আর যাই হোক বাবা, তোর জেদটা ভুলে যা। দেখবি, তোর শান্তি হবে। যাকেই নিয়ে তুই ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিস না কেন কাউকেই আসবাব ভেবে পেন্টিং করিস না। সমাজে তোর যথেষ্ট সুনাম। কিন্তু হোটেল আর বাড়ি এক নয় রে। গুলিয়ে ফেলিস না। বটগাছ বটগাছ ই। সে সাধনা করে সৃষ্টিটাকে জীর্ণ কুটির থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে ভেবেই ঐশ্বর্যের আদলে বাঁধতে চেয়েছে। তাকে এই ভাবে নষ্ট করিস না ঋতু — আমার অনুরোধ। তুই সত্যকে বিয়ের করে ঠাকুর রামকৃষ্ণের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে মনে করে দূরে হারিয়ে যাস না। সত্য বড় ভালো ছেলে। ওর অদৃশ্য উপকরণ বড় সাঙ্ঘাতিক। তাতে ব্যাঘাত দিস না।এইভাবে দুই ঋতু র মনোমালিন্য নিবৃত্ত না হয়ে বরং আরো চরমে উঠলো। যেন শিক্ষক ছাত্রের লড়াই। ঋতু একদিন নিজেই বন্ধু ঋতুর কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেল। কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ে গেল। অপু ঋতু কেডি ঋতুকে হারিয়ে ভেঙে পড়লো। রুপোর ওপর সোনালী রঙের চমক মুহূর্তে মুছে গেল।
অপু — ঋতু ক্ষমা চেয়ে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিল সেটাও টিকলো না। জেদ এতটাই খারাপ যে ঘুমে আচ্ছন্ন কাউকেই আসবাব ভেবে ফেলে দিতেও কুণ্ঠা করে না। তারপরেও আরো কিছু কাল কাটলো। অপু নিজের মতো করে তার নিকট কোনো আত্মীয় স্বজনের কাছে গিয়ে বলল — ” ইডিয়ট বুঝলো না। কী নিদারুণ সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো ঐ কেডি। এর থেকে কোনো সমুদ্রের অথৈ জলে ওর ডুবে মরা উচিত ছিল। মহাকাল ওকে যেন ক্ষমা করে। ও বুঝতে পারুক সত্যসুন্দরের মতো মানুষের মৃত্যু হয় না। ও নিষ্পাপ শিশু। শিশুদের মাঝেই থাকে অবারিত সবুজের সমারোহ। প্রকৃতি ও পরিবেশ বিভাগের যে কেউ ওকে ধ্বংস করতে পারে না আর পারবেও না। তাই বন্ধু ঋতুর উদ্দেশ্যে একটা বেশ বড় চিঠি লিখে দিতে হবে ভেবে লিখলো —
তোর অস্তাচলে এ কোন ব্যাধি
ধরিল তোরে আষ্টেপৃষ্ঠে
জাগালো না তোর মরমী সঙ্গীতের পথে
হে ঋতু, হে মোর প্রাণ,
তুলে নে তোর জেদি অহংকার যত তাড়াতাড়ি
দুঃসাহসী এই চরাচরে
তুই বাঁচবি আর আমরা ও বাঁচবো
ঐ নব-প্রভাতের আলোকে।
চলেছিস —
ভুল পথে বৃথা জেদের অহমিকায়
ঐ লাল্টু ছেলের কথায় ভুলে
ফিরে আয় ঋতু ,ফিরে আয়
অতীতের বানীসভায় যে বহ্নি জ্বালিয়েছিলি
আজ সেটাই ফুলের মতোই
বৃথা ঝরে না যায়
দীর্ঘতম ছায়া নেমে না আসে
ব্যথিত আকাশে।
তোর হবে না কোনো ক্ষতি
আমি কথা দিলাম ।
আজ এই ক্ষণিকের ভুল
যেন হয় না কোনো
শোকের কারণ।
আমার উপলব্ধি ভুল হতে পারে
কিন্তু বিশ্বাস কর ঋতু
আজও আমি ভিড়ের মধ্যে
তোকেই খুঁজি।
যে রসের জ্বরে ভুগছে
সারা পৃথিবী
জারিত হচ্ছে স্মৃতি
তাকে সাজিয়ে রাখ
মনের আলনায়।
শুক্লপক্ষ তিথি থেকে বেরিয়ে আয় ঋতু।
কৃষ্ণপক্ষ রাতে আমারই প্রশংসামুখে
তোকে দেখাতে চাই
সত্য বড় ভালো
যার অসীম ক্ষমায়
নিয়েছি সমস্ত মানবসত্তা
হৃদয় ভরে।
সে নিভন্ত নয়
সে পরমাণু।
সে নিতান্তই
অনির্বচনীয় সুধা মাখা ঐশ্বর্য
তাকে সাজিয়ে রাখ্
পরম যত্নে নিজ বাহুবন্ধনে
ওরে ঋতু
এই আমার শেষ নিবেদন।।
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন | Satyendranath Pyne
Bengali Modern Story 2023 | Ashanto Bonobhumi | Shawkat Noor
New Bangla Galper Library 2023 | Bipasha Chakraborty
From the Myanmar Diaries | অ-শরীরী | মায়ানমারের ডায়েরীর পাতা থেকে | 2023
Bengali Language Interesting Facts | A Mori Bangla Bhasha
WordPress Bengali Golper Apps | New Best Story Blogs | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Best Story Blogs 2023 | Shabdodweep Best Story Blogs | Shabdodweep Writer | Best Story Blogs in India | World’s Best Story Blogs | Best Selling Bengali Golper Apps | Best Story Blogs in Online | Bengali Golper Apps Download | New Bengali Golper Apps | Online Best Story Blogs | Bengali Golper Apps Free | Free Best Story Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Best Story Blogs in English | Full Bangla Galpo 2023 pdf | Google Play Bengali Golper Apps | Free Bengali Golper Apps | Full Bangla Galpo online | New Full Bangla Galpo | Bengali Golper Apps in apk | Audio Bengali Golper Apps | Video Bengali Golper Apps | Horror Adult Story Video | Horror Adult Story Audio | Full Bangla Galpo Audio | Full Bangla Galpo Video | Full Bangla Galpo Netflix | Full Bangla Galpo Read | Full Bangla Galpo Download | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trend Full Bangla Galpo | Mobile Bengali Golper Apps | High ranking Bengali Golper Apps | Blogger Bengali Golper Apps | Top selling Bengali Golper Apps | Android Bengali Golper Apps