নিমাই জানা – সূচিপত্র [Bengali Poetry]
ক্রোমোজোম ও বিলিরুবিন দধীচির যজ্ঞের ঘোড়া – নিমাই জানা
রগরগে হিমালয়ের নিচে বসে থাকা সকলেই বিলিরুবিনের ঠ্যাং চিবোচ্ছিল লাল কেশরের অন্ধকারে দুটো হাত ঢুকিয়ে এক একটা প্যাপিরাস রক্তের ক্রোমোজোম দাঁত আর বিষাক্ত যৌন গ্রন্থির মৃত্যুর স্থানাঙ্ক জ্যামিতির জ্যোৎস্না বলয় দিয়ে,
বাবারা কাগজ ফুলের মতো অমৃত ভূমধ্যসাগর, এক একদিন স্নান পরবর্তী ভূগোল পড়ে নেয় দধীচির মতো ব্রহ্ম তেজা হাড় দিয়ে
আমি বারবার অন্ধ ঋষিদের লাল অবতল রাস্তায় নেমে রক্তাক্ত স্নায়ুপথে দুটো পা ঢুকিয়ে এক একটা যজ্ঞের লাল ঘোড়াদের হত্যা করে দুই হাতে নরম নখর দিয়ে চুষে চুষে খাচ্ছিলাম এ জন্মের সব প্যারা টাইফয়েড উপসর্গ, ক্লোরামফেনিকল একটি পিপাসার্ত স্থলপদ্মের নাম
মৃত্যু মাঝ রাতে কখনো আসে না যখন মৃত্যু প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন কালো নদীর পাড়ে পোশাক খুলে রেখে নীল স্নান করে অধাতব পাথর থেকে কংক্রিট মাছের বাতাস হয়ে উড়তে উড়তে এ পৃথিবীর যৌন গন্ধকে সাদা রুপোলি বিষাক্ত পটকার লাইকোপোডিয়াম ক্ষার ও পিশাচদের ভয় দেখাতে রাতের দরজায় গিয়ে বসে থাকে
একদিন এসেছিল অংশুমান মধ্যরাতের কোন এক উন্মাদ আর সেরিব্রাল পালসির নিশাচর গোবর্ধন পুরোহিত সেজে, পোশাকের তলায় পাতলা সম্ভোগ (র )চিহ্ন, পাহাড় দিয়ে জলপ্রপাতের লাল হাড়ের গুঁড়ো গুলোকে রক্তাল্পতায় ডুবিয়ে ছুঁড়ে দিত অষ্টাদশ জগতের নির্বীজ ঈশ্বর
সব ধমনী তন্ত্রের কালো জিরাফের উলঙ্গ মৈথুন দণ্ডটি লাল আপেল ফলের গোলার্ধকরন বাণপ্রস্থ নিয়ে সাদা জামরুল স্তনের ভেতর ঢুকে গেল, আমি শুধু মৃত্যুর সুষুপ্তি জীবনচক্র দেখছিলাম সেরেবেলাম কেঁচো দিয়ে
ইসোমাপ্রাজল ও ধৃতরাষ্ট্রের আগ্নেয় শক্তির অপরাবৃত্ত – নিমাই জানা
মুক্তা উল নিটিং সেন্টার, আমার গলার কাছে মেষ পালকদের বদ রক্ত সেলাই করে দিচ্ছে কিছু রেশম নারীর কসাইখানা দিয়ে, বিষাক্ত শুকতারা আজ নদীর ভেতর থেকে গলাকাটা মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছে সেলেনিয়াম ভর্তি কালো গর্তের ভেতর, বাবা শুধু নবম ঋষিদের গলা ভর্তি ইসোমাপ্রাজল,
সমুদ্রের অববাহিকার ত্রিশূলহীন ধ্বংসপ্রাপ্ত ছত্রাক রোগ পেরিয়ে কাঁটা কম্পাসের শিরদাঁড়াগুলো ঝাউ গাছের পান্থপাদপ হয়ে সমুদ্র সাপের জীবিত কঙ্কাল খাইয়ে দিচ্ছে আমাদের মতো গলায় মোম ঢালা মাংসাশীদের,
চটচটে পা গুলো জঙ্গলে ঢুকে যাওয়ার পর আমি পরাজীবনের ভ্যাজাইন উপত্যকা খুঁজে আরও ধৃতরাষ্ট্র হয়ে যাওয়ার মন্ত্রবীজ থেকে লাল ক্যালোরিফিক আগ্নেয়শক্তি বের করি ফুসফুস থেকে রক্ত গড়িয়ে অ্যান্টিসেপটিক দাঁত গুলোকে সাপের পৌষ্টিকতন্ত্রে ঝুলিয়ে রাখার জন্য
এখনো আমাদের বাবার জন্মগত রেচনতন্ত্রের পাললিক বৃষ্টিপাতের ক্ষয়রোগ আসবাবপত্রের গায়ে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম মরীচিকার সুদৃশ্য উটেরা লাল তরোয়াল খুলে বিশুদ্ধ হিলিয়ামের সমর্পণ উগরে দিচ্ছে পৃথিবীর শীতল কক্ষপথের নিউট্রনে,
শব্দহীন ঈশ্বর চিহ্নেরা যুদ্ধের পর ব্রহ্মাস্ত্র রেখে যাচ্ছেন দধীচি আশ্রমে, গিলে খাচ্ছে ব্রহ্মতেজ আমি সাদা প্যাপিরাস, গলার ভিতর থেকে সারস উড়ে যাওয়ার আগে ক্লিওপেট্রা আমার তলপেটে নিষিক্ত সোনালী গলগণ্ড রেখে গেল, আমি কিছু বিদ্যুৎবাহী সামুদ্রিক মাছের চাষ করছি জীবিত বিছানার ভেতর
ভিনিগার অস্ত্রাগারের সোনালী মাছ ও মাকড়সা সঙ্গম দৃশ্য – নিমাই জানা
অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বুকের মতো লাল ধনাত্মক পাখি গুলো মৃত্যুর দ্রবীভূত সংবহন তত্ত্বের কাছে নিয়ে যায় কাঁটাযুক্ত মাছ, নীল নীল রক্তের মজ্জা রসের ভিতর ঢুকে যাওয়ার পর আমার শরীরটাকে তিনটা খন্ডে বিভক্ত করে লাল ভিনিগারে ডুবিয়ে রেখেছে গলাকাটা চেরি ফল ব্যবসায়ী
আমার ভেতরে মৃত পালঙ্কের হরিণী আছে, আর কোনো শুক্রহীন বিছানা থেকে বেরিয়ে লাল গর্ভস্থ ভ্রুণেরা নিজেই জীবিত মানুষদের আত্মার গুণিতক সংখ্যা বের করছে
হে মহাপ্রবাহের ত্রিবিধ বিস্ফোরণ, অস্ত্রাগারের নীল সেনানী আর ধন্বন্তরি বিষয়ক নক্ষত্র যোগের ঘাতক অযোগবাহ চিহ্ন গুলোকে সঙ্গমের মতো চটচটে ধাতুবীজের পলল গর্তের ভেতরে আরও একবার আঠারো লক্ষ রাত্রির গন্ধর্ব দেবতারা অনিষিক্ত ভ্রুণের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে কোন এক রুদ্রাণীর লালাভ গর্ভের অনিষিক্ত প্রতিবন্ধীদের,
জননেন্দ্রিয়হীন নারীরা দীর্ঘ অপরাজিতার শেকড় মুখে নিয়ে এ পৃথিবীর অভিশাপগ্রস্ত ফলাহার শেষে অলৌকিক ঋতুচক্রের সন্ন্যাস পদের গর্ভবতী মেষ পালকের মতো পালক গজিয়ে মহাশূন্যে উড়ে যায়,
আমি শুধু যৌগিক পিত্তরস খাই স্ট্রবেরি গোলাপজামের রস দিয়ে
বাবার মতো সরীসৃপ শিমুল তুলো নামে এক বিধৃত উপত্যকায় নৃসিংহ মূর্তিকে রোপণ করে যায় পায়ের কাছে গোদাবরী জেগে উঠলে, মহাপ্রলয়ে বেরিয়ে আসছে এখন গুম খুন,
খুনের মতো রক্ত, আগুন, শ্মশান, জৈবিক ছায়াপথ, মাথা, মস্তিষ্ক লাল ভেষজ পদার্থ আমার এখন দীর্ঘ শ্বাসকষ্টের অপুংজনি গজিয়ে উঠছে বুকের ঊর্ধ্বাঙ্গে
রক্ত আসলে অদৃশ্য সাপের সবুজ ঠোঁট, গোনাডো ট্রপিক শুকতারার মতো আমি ব্রহ্ম রাজ্যের অজয় শিরদাঁড়া নিয়ে পৃথিবীর ধুম্রজালিকা তৈরি করলাম, এখনই দক্ষিণায়ন সমগ্র শুরু হবে আমাদের মতো চক্রাকার মৃত দশরথ লাল অক্ষরেখার কাঁকড়াদের অষ্টাঙ্গিক ছুঁয়ে ছুঁয়ে, ১৮ ব্রহ্মাণ্ডে পাড়ি দিচ্ছেন শুক্রাচার্য ও ধীবর
পিশাচের রাজপ্রাসাদ ও নীল মস্তিষ্কের অবৈধ ব্রণবীজ – নিমাই জানা
পাহাড়ের গায়ে ছুরি খুবলে দিচ্ছিল একটা পুরুষ কাঠের মত উন্মত্ত শিশু, ধোঁয়া আর চুল্লির অসম্পৃক্ত পোড়া গন্ধ উড়িয়ে দেওয়ার আগে মাছ এদের ঠোঁটের অধঃস্তন বিন্দুতে হোয়াংহো পুঁতে দিচ্ছে
জটিল মনস্তত্ত্বের রোগ একটি হাঁ ভর্তি উনুনের দোকান, আমাদের কিছু মৃত্যুর রংয়ের তরল হিউমার বিক্রি হচ্ছিল পালকের সব গাছগুলোতে,
এই মন্দিরের চাতাল থেকে কিছু নপুংসক চেয়ারের নিচ থেকে লাল ধূসর লেজগুলো কিভাবে গলাধঃকরণের নেশা করে পেপাইন গোলা জল নিয়ে এক কাপ ভর্তি উনুনের রেচন খাচ্ছিল
বিদিশা জানে অস্ত্রাগারের ধনাত্মক ঠোটে ঘোড়াদের যৌবন ক্রিয়া থেমে গেলে এক একটা অশ্বখুরাকৃতি হ্রদের নীল পাঞ্জাবি পরা বটগাছের তলায় ঘুমায় এ জন্মের নারকীয় অভিনেত্রী
অট্টহাস্য করলে পিশাচেরা মরে যায় ত্রিশূল দিয়ে নিজের মাথাকে খুবলাই, লাল চারা গাছ লাগাই অশোকের চারা গাছ লাগাই এখন কিছু ব্রহ্মাস্ত্র ভেজা জিভ দিয়ে, কেটে ফেলছি সাইকোপ্যাথিক নীল মস্তিষ্কের পাখনা ওয়ালা রাজপ্রাসাদ
টু এম এল বিষধর সাপেদের লেজ থেকে খসে পড়া দাঁতগুলো নিয়ে আমি কিছু কঙ্কাবতী নদীর চরে খোলস ফেলার নামে ফেলে আসি এ জন্মের সব অবৈধ ব্রণবীজ,
ঘোড়ারাই অপ্রস্তুত অন্তর্বাস পরে অলৌকিক পারলৌকিক ক্রিয়ায় বিলীয়মান নক্ষত্র প্রদেশে উড়ে যায়, আমি শুধু চামুণ্ডা দুমুখো সাপ নিশাচর চরিত্রাভিনেতা রক্তকোষের দ্রাক্ষা ফল নিয়ে নেমে আসি অদ্ভুত প্লাটিপ্লাস হিমোফিলিক্স জ্যামিতিক রক্তের নয়ন তারা নিয়ে, স্টেরয়েড হরমোনাল রতির পাশে কিছু গর্ভবতী বিদূষক রাখলাম
শুকতারা নদীর কাঞ্চনজঙ্ঘা ও ময়ূরাক্ষী বাসীর শ্মশান – নিমাই জানা
রক্তের আর কোন মায়াবীগন্ধ নেই, সারা শরীরে রক্তস্ফোটকের অসুখগুলো গজিয়ে ওঠার আগে বাবার মতো যারা নিশুতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুকনো শুকনো বাদাম বীজের গর্তে হাত ঢুকিয়ে পচে যাওয়া পাকস্থলী ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে বাড়ি ফিরে আসে তার মাথায় কিছু কর্পূরের মতো গন্ধক মিশ্রিত রং গুলো কাটা মানুষের গলার প্রাণায়াম করছে
মৃত্যুর মতো ঘুমাতে এতগুলো দরজা লাগিয়ে রাখার কোন দরকার নেই, উনুনের কাছে মাঝরাতে জমাট থাকলেই শ্মশানের কথা মনে হয়।
আটঘরা কাঠ, ফেসওয়াশের সিসি, হাফ জল ভর্তি খালি বোতল গলার কাছে জমে আসা টক্সিক পদার্থ, পায়ুদ্বারে ঘা আর জ্বর কমার বিদিশা নারীটি একা একাই গলার কাছ থেকে মোম খণ্ডটি ডুবিয়ে এ জন্মের পাপ কথা স্বীকার করল আরো একটি অধাতব পাথরের কাছে
নিশুতি সেদ্ধ ডিম ভাজা দোকান আর পেট্রোলিয়াম খনি ভর্তি সাদা রস থেকে বীর্যপত্রের কিছু নিশাচর রক্তক্ষয়ী আঙ্গুলের তিলন্ত পাড়ায় জেগে ওঠে নৃতাত্ত্বিক মাংসাশী বংশধর
আলোর মতো কে বয়ে যায় এই বিবিধ রাতের পরশুরাম পুরের দিকে যেখানে মৃত্যু নেই জন্ম নেই দক্ষিণায়ন নেই ঈশ্বরের দরজা নেই ভীষ্ম নেই কৃষ্ণ কুমারগনেই শুধু চক্রাকার ব্রহ্মবিদের লোভ ফেলে হিংসা ফেলে ক্রোধ ফেলে দুটো দেশালাই কাঠির অগ্রভাগে বারুদের লবণ পত্র জ্বালালেন
আমি শুধু অভিনয়ের মতো মাত্রাতিরিক্ত পিচ্ছিল শুকতারা পোশাক নিয়ে গর্তের ভেতরে ছোপ ছোপ সাপ ভর্তি একাকী কাঞ্চনজঙ্ঘা পেরিয়ে বরফের সম্ভোগ, হিমোফিল শরীরে বাল্মিকী গুঁজে দিয়ে লেখচিত্রের ময়ূরাক্ষী বাঁশি বাজিয়ে জলঙ্গি পেরিয়ে যাব নিশাচর স্বরবর্ণের রক্তাক্ত গলা কাটা নিয়ে, ইচ্ছামতী মাঝে মাঝে আসেন জিভের তলায় রাখা কোন সাপের আঁশের মতো কৃষ্ণ মার্গের রঙিন ঔষধি বৃক্ষ নিয়ে
সালোয়ারের বারকোড – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
শহরে দৌড়ায় চেরিংক্রশের ব্যস্ত নার্স
বর্ষার অবাধ্য ছাতা আম্রপালি ঘরে
কে এত জোনাকি ঢালে বিদ্যুৎ জুড়ে
ছোঁয়াছুঁয়ি মৌরিফুল , স্লিভলেস ওভারব্রিজ
পায়ে পায়ে কাদা জল নরম সেলুলয়েড
বিন্দু বিন্দু খেলা অহেতুক বাইফোকাল
কি এত চারাগাছের ভার কার্নিশ বেয়ে
মানিপ্লান্ট চাঁদ লোফালুফি আলপথ জুড়ে
কার ঘরে কে বসে এমন হত্যার দুপুর, বৈশাখী
সাইকেলের লম্বা পালক ছুঁয়ে
নীল সালোয়ার ইথার আর এন্টিভেনাম পাশাপাশি পাতাল জুড়ে
তবুও তো সীতা চুরি হয় দুপুর বেলায়
ভাঙ্গা পৃথিবীর গোলকটি স্টিলের বাটি
জলজ ব্যাঙাচি নক্ষত্রের কান্না শুনে
শুকতারা ,পুরুষ মানুষ পাশাপাশি উদরে বসে
কে কার মাথায় সিঁদুর আলো জ্বালিয়ে চলে
ভোর রাতে ঘুম ভাঙলো বিছানা, অন্তিম সন্ন্যাসীর হাতে নিমডাল
একটি গোপন পাসওয়ার্ড – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
অঙ্গুরীমাল দেহ ছুঁয়ে দেখার আগেই বেজে উঠে গভীর রাত, অবিকল বিউগল বাঁশির মতো
তুমি কি ঈশ্বর নারী এমন অকপট সবুজ সাজের জোনাকি জ্বেলে যাও ধূপগন্ধে,
আমার ভেতর মৃতপ্রায় সাদা পায়রা ভেবে গুছিয়ে রাখি
অসুস্থ বুকের রেখাচিত্র পৃষ্ঠা, সন্ন্যাসী শরীর
ইলোরা দেহের উত্তাপ খুঁজে বেড়ায় বিলুপ্ত ডোডো,
গ্রেমেটারে তখন ঘুমের সাংখ্য যোগ পাখি হয়ে বিছানার পাশে বসে থাকো
অযুত দিন চিরায়ত পর্ণমোচী হলুদ আমার তোমার বিচ্ছিন্ন সংসারে,
একমুখী চারাগাছ বেড়ে উঠছে মিউট মোডে
সংক্রমণ খুঁজতে অযৌন নোটিফিকেশন মুছে ফেলি তরঙ্গ ইমোজি দিয়ে
তোমার বাহুতে মেটাফিজিকসের একটি ধারালো হোয়াটসঅ্যাপ আছে
সিঁড়ি ধরে নামি পারদের ওয়েদার রিপোর্টে
যশোর রোডের ধারে দুটি অ্যান্ড্রয়েডের চিন্ময় বালক রেখে এসেছি, গোপন পাসওয়ার্ডে
উদ্বায়ী শিফন অথবা স্বরবৃত্ত অক্ষর – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
তোমার অক্ষরেরা শিফন শাড়ির জলে ভিজে যাচ্ছে কেবল
পায়ে পায়ে হেঁটে বেড়ায় গভীর অন্ধকারের পথ, রাজপথে
সংকীর্ণ হলুদ নামাবলী গায়ে, পিঠে এমন অদ্ভুত সুগন্ধির রুমাল চেপে রাখো
সব বিষধর পাশ বালিশের খাঁজে
ডোরাকাটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা মাতৃভাষার ব্যঞ্জন বর্ণময় সিঁধ
তোমাকে বড় একাকী মনে হলো আজ এই আদরের হাতে নীল আকাশ জানে
তুমি কত একাকী গভীর রাতের চাঁদের মতো,
স্রোতস্বিনী আমার কষ্ট কথা বুকে চেপে
ঈশ্বর তোমার তলপেটে গভীর ভ্রূণের মতো এক দীর্ঘ কবিতা রুয়ে যায়
বিসর্গ সন্ধিতে , খুব কষ্ট তোমার কলমের গন্ধ শুঁকে নিতে
লেখা আছো অথচ তোমাকে পড়তে পারি না
প্রেমিকার হাফ দোয়াত রঙে ডুবিয়ে রাখার পর
তুমি ক্রমশ গোলাপি বিলীয়মান হলুদ কার্টিস কাগজ ফেনোফথ্যালিনেই
তোমাকে পড়ে ফেলতে হয় রসায়নাগারে
ডাক পিয়ন তিলক এঁকে দেওয়ার পর
তুমি আসলে কালো কালি মাখা অদ্ভুত এক ঈশ্বর, ABTA টেস্ট পেপারের গন্ধ
বিষাদের প্রদীপ অথবা প্লিজারাস কাপড়ের দানাময় ফুলেরা
তোমার গা বেয়ে ঝরে পড়ে অশৌচের ঘরে
প্রযত্নে আততায়ী ও অস্বচ্ছ পিনকোড আঁটা বিবাগী পাঞ্জাবি পরে তোমার পিঠ খুলে দেখি
তুমি আসলে বিলুপ্ত ডোডো সহচর, ভ্যালিয়াম পোস্টকার্ড
তৃতীয় উপসর্গ দোষ অথবা শুক্লপক্ষ – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
এই জরায়ুময় অন্ধকারের মাঠে এসে মাঝে মাঝে হারিয়ে ফেলি বাণপ্রস্থের তৃতীয় উপসর্গ দোষটি,
দেহের মধ্যমাংশ থেকে বের করে আনি
আমার অগ্রজ শিরদাঁড়া ও অনুসর্গ কাঁটা কম্পাসের দেহ গহ্বরকে
পায়ের কাছ থেকে বের করে আনি
অঙ্গুরীমাল ও পিলসুজ ৯১ রঙের বর্ণহীন নারীময় ধ্রুবতারাদের শরীর
মধ্যাহ্নকালীন বর্ণমালা ভেঙে বাবা একদিন মাঠের থেকে ফিরে এসে আমাকে নতুন ধুতি পরিয়ে দিলেন
আমি তখন বেদনার্ত গানের পর অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ আর বৈষ্ণব চিহ্ন থেকে নেমে
অসীম বটবৃক্ষের তলায় ফণীমনসার দেহে বৃত্তচাপ রোপণ করছি ,
অদ্ভুত রঙের মায়ের হাফ কড়ে আঙ্গুল থেকে বের করে আনছি বিদ্রোহের বিষুব রেখা
তারপর থেকে সকলেই নদীয়া নগরের ভূগোলক সিন্ধু উপত্যকা নগরীর
অপালা নারীর জীবনচরিত পড়ছে অন্তিম শয়ান কক্ষে
অশ্বত্থ বৃক্ষের পাশ দিয়ে হেঁটে চলছি খালি পায়ে,
আমাদের সকলের হাতে একাদশ তুলসী পাতা, এক মুষ্টি তরল মৃত্তিকা,
এক ছটাক ইক্ষু রস, দুই কপর্দক মুদ্রা, তিনটি সাদা শাড়ির সম্প্রদান লিখছি নৈর্ঋত বর্ণে
এখন পদ্মাসনে বসে আছি, শুক্ল পক্ষের দশম্যাং তিথৌঃ
প্রদীপ নির্বিকার জ্বলছে
সম্প্রদান কারক অথবা লালাভ উত্তরাখণ্ড – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
কুরুক্ষেত্র নামক অনুর্বর শিলাক্ষেত্র থেকে উঠে আসা পাথুরে মূর্তিটি
অনেকটাই মায়ের মতো জলজ মূলরোম,
অশোক ফুলের গর্ভাশয় রেণুকে ছুঁয়ে থাকা হাড়গোড়
আমি এখন বিভাজিকা মাপছি উত্তরাখণ্ডের হিমোগ্লোবিন দিয়ে
উৎসব আজ বোধহয় তোমার ঘরে একাকী এসেছে বিজয়া দশমীর দিনে
আমার হলুদ জামাটি গভীর অন্ধকারে ধর্ষিতা হলো, নিওনের সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পের নিউকোসারকোসিস উপসর্গ,
আঁচলের নিচে তরল সাপটি একা হিস হিস করছে, ধূসর খোলসের জন্মদিন আজ
পাথরের ভিতর অঙ্গুরীমাল তার পিঠে কিছু ধর্ষিতা অঙ্গের কাঁটা চিহ্নটি লাগিয়ে
নিকোটিন আগুনের দ্রাব্যতা খায় অর্জুন তুমি
কতবার আমার সাথে ধর্ষণ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলো বিসর্গ চিহ্নে, তোমাকে সম্প্রদান করি এখন
কেদারনাথের কাছে এই মর্মস্পর্শী মায়াজাল রেখে নেমে আসি
আমার বিকৃত মুখমন্ডলের কাছে, জ্বলছে উৎসবমুখর আলো,
আমি কন্যাভ্রূণের কাছ থেকে সতীপীঠের গল্প কথা শুনি,
৫১ টি তপোবনের কাছে জ্বলছে এই অদৃশ্য কামাখ্যা আমি পুরুষ বালকের মতো
এক কৃষ্ণ ঘরের ভেতর ঢুকে যাচ্ছি মায়াবী পালক …
ঈশ্বরী নেমে আসলে আমি জ্বরের নৌকা থেকে ফিরে আসি ধূসর বিবর্ণ ঘরে,
নৌকাটি হিস্টেরেকটমির আলোকময় ঋতুচক্র মেখেছে সুগন্ধি বস্ত্রে
চাঁপাতলার মাঠে দ্রবীভূত দুঃখ থাকে – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
চাঁপা তলার মাঠে কিছু মৃত্যু বিষয়ক কবিতা পোঁতা থাকে
গাছেরা অংকুর থেকে বেরিয়ে আসলেই তাদের মাথায় মায়ের মতো
কেউ কেউ হলুদ পাতার শাড়ি পরে নাচে অযোগবাহ সন্ধি কালে
আমি তাদের দেহে সাদা রঙের পতাকা রেখে,
পুকুর থেকে বৃত্তাকার পৃথিবীর মতো এক মাটির কলসি জল আনি
মাথায় রাখি এক ব্যাগ শোক ও কালঘাম
চারটে লম্ব বৃত্তাকার সরলরেখার উপর প্রতিদিন গাছেদের দুঃখ বাড়তে বাড়তে সন্ন্যাস হয়ে যায়
আমি গুঁড়ো গুঁড়ো মাটি দানা খাই,
উদ্ভিদ শেকড় খায়, সাপ খায় রাত্রিকালীন বিষ, মা খায় আমার উচ্ছিষ্ট লালাভ বমি
সাগর সব রাত্রিকালীন কবিতা পড়তেই মায়েরা শুরু করে পরিপাকতন্ত্রের ধারাপাত
শ্মশান যাত্রীরা পতাকা রেখে নেমে আসে সমভূমি তলায় আমি
গিরিখাতের ভেতর থেকে নিভৃত মায়ের প্রকাণ্ড নাভি খুঁজে বের করতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি
সঙ্গমহীন পুরুষের মতো পাখিরা জেগে ওঠার পর অদৃশ্য চারাগাছ হেসে ওঠে আমার নপুংসকতা দেখে
তারপর মৃতেরা দক্ষিণ জানালায় বাস করে আজীবন
ঝিনুকটি নূপুর পরে পিচ্ছিল দাগ রেখে যায় অনুর্বর ৬৪ ঘরে
বাবার মতো …
আগুন বিষয়ক কবিতায় ইনসুলিন থাকে – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
আগুন বিষয়ক কবিতা লেখার আগে
আমি কিছু পার্বত্য গিরিখাতের কাঁচা মাংসের সাথে পারদ গিলে খাই
আমি চতুর্ভুজ পিনহোল ক্যামেরায় নিজের একটি অদ্ভুতুড়ে ছায়াছবি এঁকে রাখি
রাত্রি কালাচের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে
তবে কি আমি দিন দিন অসদবিম্বের পরিযায়ী গর্ভকেশর হয়ে যাচ্ছি,
আমি নয় আমার নারীটি এখনো এক বুক গভীর কড়াইয়ের উপর দাঁড়িয়ে
সহস্র ক্ষেত্রফলের ডিম্বাণু আলাদা করছে,
আমি হলুদ পাতাবাহারের সঙ্গম খাচ্ছি
নতুন গামছার তলায় বেঁধে রাখি পূর্ণিমা তিথির লিউকোরিয়া ফুল,
আমিও অলৌকিক ঈশ্বরীর হলুদ জারোয়া শাড়ি হয়ে ইছামতীর কালো জলে
ডুবসাঁতারে নেমে স্থল পদ্ম কুড়িয়ে তুলি, ঈশ্বরের খড়্গে ম্যানগ্রোভ প্রবাহ
আমার সঙ্গম ঘোরের নেশা থেকে দুটো ছেদবিন্দু আলাদা করি,
প্রাণীদের যৌন চিহ্ন ভেঙে দিচ্ছে লগারিদম
আমার চোখের ধ্রুবপদ কখনো মৃৎশিল্পী হতে পারে না
আমি আসলে পিশাচ,
আমার রসালো দাঁতের ঈশ্বরী মেডিকেটেড এক্রিফায়েড ইনসুলিন খায়, আত্মহত্যা করে
বর্ণমালা ও বাবার পিঠের কালি দোয়াত – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
বাবার পিঠে শীতকালের পঞ্চ ব্যঞ্জন ঝুলে আছে
দুপুরের মতো ক্লোরোফিল উদ্বায়ী হওয়ার আগে
এই ৫২ অক্ষরের বর্ণমালা ভিজে যাচ্ছে একা একা ডিসেম্বরের লিউকোরিয়া বৃষ্টিপাতে
ভিনিগার তরলের সাথে সবাই কেমন রাইবোজোমের মতো উদ্বায়ী হতে চায়,
কোন কাল্পনিক সরলরেখা আমাকে হত্যা করে দেওয়ার মতলব আঁকলেই
আমি উলঙ্গ পায়ের পাতা ঘসে উত্তাপ ফিরিয়ে আনি ভেজা বিছানার ভেতর
সব বিছানাই বর্গক্ষেত্রের হতে নেই
বর্গক্ষেত্রের ভেতর থাকা দুঃখগুলো একাকী মেহেদি পাতার চোখে
বৈতরণীর ছায়াপথ এঁকে ফিরে, দুঃখের কোন জ্যামিতিক ফিগার নেই,
লিটমাস দুঃখের প্রশমন ক্ষণ নির্ণয় করে ভোররাতে
আমিও নীলাভ পুকুরের পাড়ে ভর সন্ধেবেলায়
দু’কলম পানকৌড়ির ধাতব শরীর রাখতে গিয়ে আটকে পড়ি অবাধ্য সংক্রমণময় শিরদাঁড়ায়,
বাবার পিঠে স্থলপদ্মটি বাদাম রঙের
ক্লোরোফিল বিহীন সংশ্লেষ ঘটল না বলে
আমি নিতান্তই নিরর্থক ভিক্ষুকের মতো চলে যাচ্ছি দিকশূন্যপুরের দিকে
আমাদের শরীর তখন মজলিস বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে
চোখে তখন সাড়ে এগারোটার রাত্রি,
নিশ্চুপে বসে আছি ঘড়িটির সরু ও ক্ষীণকায় কাঁটার দিকে তাকিয়ে
দেওয়ালে থাকা এই যান্ত্রিক পুরুষটির দুই মাস অন্তর মৃত্যু হয়
শীতকাল আসলে ফেব্রিক কালারের পাখি – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
শীতকাল বলে কিছু নেই, আসলে হাফহাতা জামার ভেতর
দুই দশক পুরনো এক নবম শ্রেণীর গণিত খাতাকে খুঁজে পাওয়া,
আমি এখন বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করি না ভেজা উপপাদ্য খাতায়
লোমশ পোশাকটির স্থানাঙ্ক ভাঙ্গা কাঁচফলের মতো
নীল রঙের সর্পগন্ধা ফুলটি আমাকে অহেতুক ভিজিয়ে যাবে
গুঁড়ো গুঁড়ো হলুদ রঙের রাক্ষুসে বরফ দিয়ে
পেঁজা তুলোর ক্যাম্প ফায়ার জ্বেলে তরল গোমুখ সাপেরা
এই শীতের দৈর্ঘ্য হিসাবে দৌড়াবে পরজীবী হয়ে
শীতকালে কোন মানুষের ছায়া দীর্ঘতর হয় না,
ঘরের ভেতর জীবন্ত ভূমধ্য সাগরের তলায়
আমার শরীরের শীতকাল ঝরে যাবে একদিন পর্ণমোচী পাথর হয়ে,
চোখের সিলিকন ভাঙ্গা উঠোনের পাশে ত্রিশূল খুঁচিয়ে মারবে এক শীতরঙের ফেব্রিক পাখিকে
কেউ কেউ শীতকালের রাতে ভ্যালিয়াম জিভে সরবিট্রেট ফুল খেতে চায়,
আমি কি কাউকে বিষধর শীতের পোশাক খুলতে দেখেছি নিয়ন আলোর নিচে,
আর্সেনিক অন্তর্বাস
অমৃতাক্ষর পুরুষটির কোন কাল্পনিক জ্যামিতিক চিত্র নেই
একলা থাকা শান্তির শহরে বরফের গলনাঙ্ক ছুঁতে পারি না
আমি গহীন প্রদেশে যেতে পারি উলঙ্গ দূর্বা ঘাসের শীতকাল নিয়ে
আমার ঠোঁটের নিষিদ্ধ ৩ পেগের প্লাজমা সরোদ বাজাচ্ছে
অগাস্টান ও রাতের ধর্মক্ষেত্রগুলি – নিমাই জানা [Bengali Forms of Poetry]
আরণ্যকের শ্রমণভূমি হয়ে আমি পাথরের প্রলাপ লিখে ফেলছি
আলপথের পাশে ভেজানো ৩৬০° অলিখিত বৃত্তচাপ ধর্মক্ষেত্রে,
পড়ার ঘরের নাইটেঙ্গেল জলজ সারসটি
পালক খসাল বীজগাণিতিক কোসাইন থার্মোমিটারের উপর, সূর্য রাত খায়নি
স্থলভূমির স্বস্তিক বিষয়ক অবিভাজ্য সরোবরে মেদিনী পুরোহিত
মানুষের চোখের ওপর এঁকে দেবেন পল্লবীর ভূমধ্য চলন,
আমরা আগুনের কৌণিক ক্ষতচিহ্ন গুলো ভুলে যাবো এবার
সকলের পিঠে নৈমিত্তিক গতিপথের তুলসী বৃক্ষেরা গোলাকার কিনারা দেখতেই
চকমকি জ্বেলে সবুজ হয়ে নিরাসক্ত নৃত্য করবে
আমি একটি দিগন্তহীন মহাপুরুষের কাল্পনিক শৃঙ্গচিহ্ন লিখে ফেলবো
অযোধ্যা ক্ষেত্রফলের উপর বসে, ধ্যানস্থ নাগচম্পা মাথায়
শাঁখের সবুজ চলনের পাশে দাঁড়িয়ে আবারো নত মস্তকে খুলে ফেলব কিছু অদ্রাঘিমার ক্ষতস্থান,
অন্ধ বাবা-মা পৌরাণিক পদার্থ বৃত্তান্ত শোনাবে হিতোপদেশ কাহিনী
হিমাচল আপেলের দৈর্ঘ্যে নিজেকে স্নান করিয়ে দিতে হবে আবারো একবার,
বিচক্ষণ তরল ডুয়ার্সের গলিত সেবিকা ইস্ট্রোজেন ফেলে গাইবে মহাগীত
এখন একটি আগুনের প্রয়োজন নিজেদের শুদ্ধ করার আগে
নীললোহিত একবার ছিন্ন করবে দুর্বার স্টেফাইলোকক্কাস রচিত দ্রাক্ষাফল
কদম ভূপতি বৃষ্টিচ্ছায় পোশাক পরে সবুজ উজাগর চাঁদের পাশে নেমে আসবে
পরিযায়ী বস্ত্রালয়ের নেশাখোর সঙ্গম,
রাত নিয়ে আসুক পথিক, কবিতা লেখো চিরায়ত সুধারস খনিজ দিয়ে
নিমাই জানা | Nimai Jana
New Bengali Story 2023 | করিমের একদিন | তালাল উদ্দিন
Suryamukhi | সূর্যমুখী | শওকত নূর | Best 2023
Shesh Belay | শেষবেলায় | মনসুর আলি | Best 2023
New Bengali Story 2023 | সন্দেহের কাঁটা | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা
Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Poetry Collection | Book Fair 2022 | bengali poetry | bengali poetry books | bengali poetry books pdf | bengali poetry on love | bangla kobita | poetry collection books | Bengali Forms of Poetry for beginners | Bengali Forms of Poetry online | poetry collection in urdu | poetry collection submissions | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2022 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Forms of Poetry in pdf