প্রদ্যোৎ পালুই – সূচিপত্র [Bengali Article]
আশা নিরাশার দোলাচলে বাঁকুড়া জেলার কাঁসা শিল্প [Bengali Article]
অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টীলের সামগ্রী যেভাবে বাসন-কোসনের বাজারে থাবা বসিয়েছে তাতে কাঁসা, পেতলের কদর কতখানি থাকবে তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ ছিল। তবে সেই সন্দেহ কিছুটা নিরসন হয়েছে বাঁকুড়া শহরের অদূরে কেঞ্জাকুড়ায় গিয়ে। সেখানে বাড়িতে বাড়িতে কাঁসা-পেতলের কারখানা। অলিতে গলিতে শুধু কাঁসা পেটানোর শব্দ। দেখে মনে হতে পারে, এখনও এভাবে কাঁসার বাসনের কাজ হয় !
কেঞ্জাকুড়া ছাড়াও বিষ্ণুপুর শহর এবং এই ব্লকের অযোধ্যা গ্রাম, সিমলাপালের পুখুরিয়া, হিড়বাঁধ ব্লকের মলিয়ান-সহ বাঁকুড়া জেলার একাধিক স্থানে এখনও কাঁসা, পেতলের বাসন তৈরীর কারখানায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ পাওয়া যায়। তবে কেঞ্জাকুড়ায় শিল্পী সংখ্যা সর্বাধিক। বাঁকুড়া শহর থেকে ২২ কিমি দূরে দ্বারকেশ্বর নদের তীর ঘেঁষা রুখা-শুখা গ্রাম কেঞ্জাকুড়া। বেশ বড় গ্রাম। চার হাজারেরও বেশী জনসংখ্যা। পরিবার সংখ্যা প্রায় সাড়ে আটশো। এর মধ্যে ৩২০ টি পরিবারে কাঁসার বাসন তৈরীর কারখানা আছে। যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে ‘শাল’। আরও শ’তিনেক পরিবারের কেউ না কেউ ঐসব কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। ফলে গ্রামের প্রায় আশি শতাংশ পরিবার কাঁসা শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। বলা ভাল, এটাই তাদের জীবন জীবিকা। এই ৩২০টি কারখানার মালিকদের নিয়ে একটি বেশ আঁটো-সাঁটো সংগঠন আছে। যেখানে আছে ‘শাল’ চালানোর নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন। সকলকে তা মেনে চলতে হয়। ফলে হাজারো সমস্যার মধ্যেও সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় কেঞ্জাকুড়ার কাঁসার কারখানাগুলো নিজস্ব ঐক্যের ভিত্তিতে আজও বেশ রমরমা।
কথা হচ্ছিল সঞ্জয় চন্দের সঙ্গে। তাঁর পরিবার এই কাজের উপর নির্ভর করে চলে। নিজের কারখানায় থালা তৈরী করেন। নিজেরা চারজন ছাড়াও বাইরের দুজন তাঁর কারখানায় কাজ করেন। কারখানা নিজের হলেও সেখানে সবকিছু নিজের নয়। মেশিন নিজের, শালের জায়গাসমেত বাড়িটি নিজের। বাকি সবকিছু চুক্তিভিত্তিক। নিজেরা মূলত সেখানে শ্রম বিক্রি করেন। কারণ তাঁরা কাঁচামাল কিনে থালা তৈরী করেন না। শুধু তিনি নন। গ্রামের কেউই করেন না। এখানে মহাজনী প্রথায় ব্যবসা চলে। কাঁসার জন্য কাঁচামাল লাগে তামা এবং টিন। তার যোগান দেন মহাজন। আবার তৈরী হওয়া থালা কিনেও নেন তাঁরা।
তামা আর টিন ৭:২ অনুপাতে মিশিয়ে মন্ড তৈরী করা হয়। সেই মন্ড গরম অবস্থায় মেশিনের সাহায্যে রুটি বেলার মত করে পাত তৈরী করা হয়। সেই পাত আগুনে পুড়িয়ে প্রয়োজন মত পেটাই করে থালার আকৃতি দেওয়া হয়। ছোট মেশিনের সাহায্যে থালার কানাগুলো লেবেল করার ব্যবস্থা আছে। মন্ডকে বেলে পাত তৈরীর মেশিন কোন কারখানা মালিকের নেই। তা মূলত মহাজনের আছে বলে জানালেন সঞ্জয়বাবু। তাঁরা ওই কাজের জন্য কেজি প্রতি ১২ টাকা করে চার্জ নিয়ে পাত বানিয়ে দেন। ১ কেজি ৫০ গ্রাম আকরিক ধাতু মহাজন সরবরাহ করেন। কাজের সময় কিছু গুঁড়ো পড়ে নষ্ট হওয়ার জন্য ৫০ গ্রাম ছাড় দিয়ে ১ কেজি ধাতুর বাসন বুঝে নেন। এজন্য মজুরি দেন ১৩০ টাকা। কেঞ্জাকুড়াতে তৈরী থালা এবং বাটি সবেতেই এই হিসেবে লেনদেন চলে মহাজন এবং কাঁসার কারখানা মালিকের মধ্যে। এছাড়া থালায় নক্সা করার ব্যবস্থাও আছে। সকলে তা করতে পারেন না। দু-চার জন শিল্পী এই নকশার কাজ করেন। সেজন্য মজুরী আলাদা। যাঁরা অপরের কারখানায় কাজ করেন তাঁরাও কাজের ভিত্তিতে মজুরি পান। সারাদিনে ১০-১২ ঘন্টা কাজ করে কম-বেশি দুশো থেকে আড়াইশো টাকা মজুরি পান একজন শ্রমিক। আগুনের কাছে থেকে প্রচন্ড শ্রমের বিনিময়ে এই রোজগারে অনেকের অসন্তোষ আছে। কিন্তু মহাজনের উপর চাপ দিলেও তাঁরা কমিশন সহজে বাড়াতে চায় না। কারণ আজকের দিনে কাঁসার বাসনের চাহিদা কম।
বিষ্ণুপুর শহরে যে কয়টি কারখানা আছে তাতে থালা-বাটির পরিবর্তে কাঁসা, পেতলের কাজ বলতে মূলত কলসী তৈরীর কাজ হয়। একসময় ৮০-৯০টি পরিবার এই পেশায় যুক্ত থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২০টির মতো পরিবার এই কাজে যুক্ত আছে বলে জানালেন কাঁসাশিল্পী সমীর কালী। তার মধ্যে বেশীর ভাগ পরিবার কলসী তৈরীতে যুক্ত। কয়েকটি পরিবার অবশ্য কাঁসার ঘটি এবং গ্লাসও তৈরী করে। কলসী তৈরীতে তামা এবং দস্তা লাগে। শিল্পী সমীর কালী বলছিলেন, বিষ্ণুপুরের কাঁসার বাসন তৈরীর কারবারও চলে কেঞ্জাকুড়ার মতো একইরকম মহাজনী প্রথায়। তবে দস্তায় লোহা এবং অন্য ধাতু বেশী মিশে থাকে বলে এখানে ছাড়ের হার একটু বেশি। কেজি প্রতি ১৫০ গ্রাম। কলসী তৈরিতে মজুরী কেজি প্রতি ১২০ টাকা। তাঁর মতে, বিষ্ণুপুরের কলসীর গুনগত মান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর কিম্বা আরামবাগের বালিদেওয়ানগঞ্জের কলসীর চেয়ে অনেক উন্নত। তাই এখানকার কলসীর চাহিদা বেশি। অথচ বিক্রির সময় মুড়ি-মুড়কির এক দর। তাঁরও মতে, মহাজনেরা সহজে মজুরি বাড়াতে চান না। ফলে সারাদিনে ১০ ঘন্টা আগুনের কাছে থেকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ৩০০ টাকার বেশী রোজগার করা কঠিন হয়ে যায়। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট-সহ শারীরিক ক্ষতি তো আছেই। তাই নুতন প্রজন্মের ছেলেরা এই কাজে আসতে চাইছে না। সেজন্যই দ্রুত কমে যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের কাঁসাশিল্পের কাজ। এভাবে চললে যে কয়টি কারখানা টিম-টিম করে চালু আছে তাকেও বেশীদিন টিকিয়ে রাখা যাবে না।
বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকে দ্বারকেশ্বর নদের তীরে অযোধ্যা গ্রামেও কাঁসার বাসনের জন্য বেশ নামডাক আছে। এখানে থালা তৈরির কাজই প্রধান। অবশ্য গুনমানে কেঞ্জাকুড়ার তুলনায় তা অনেক উন্নত এবং নক্সাযুক্ত বলে জানালেন সেখানকার কাঁসা শিল্পী তাপস কর্মকার। অযোধ্যার থালা ডিজাইন এবং সৌখিনতার জন্য বিখ্যাত। এখানেও একইভাবে মহাজনী প্রথায় ব্যবসা চলে। নক্সা এবং ডিজাইনের জন্য মজুরি একটু বেশি। কেজি প্রতি ১৪২ টাকা। কেঞ্জাকুড়ার মতোই কাঁচামাল সরবরাহ করেন মহাজন এবং কেজিতে ৫০ গ্রাম করে ছাড় দিয়ে উৎপাদিত সামগ্রী বুঝে নেন। বর্তমানে অযোধ্যাতে ৪০টি পরিবারে এই কারখানা আছে। সঙ্গে আরও কিছু পরিবারের লোক এই কাজে যুক্ত। তাপসবাবুরও মতে, প্রচন্ড পরিশ্রম আর মজুরি কম হওয়ায় লেবার সমস্যা আছে। তাই এই শিল্প সমস্যার সম্মুখীন।
সিমলাপালের পুখুরিয়া গ্রাম মূলত কাঁসার ছোট বড় বাটি তৈরীর জন্য বিখ্যাত। ৩১৬টি পরিবারের বাস ঐ গ্রামে। তার মধ্যে ৭০টি পরিবারের নিজস্ব কারখানা আছে। এছাড়া শতাধিক পরিবার অপরের কারখানায় কাজ করেন। সেখানেও কারখানা চলে মূলত মহাজনী প্রথায়। কাঁচামাল হিসেবে তামা এবং টিন সরবরাহ করেন মহাজন। অন্যান্য জায়গার মতো উৎপাদিত সামগ্রী কিনেও নেন তাঁরা। এখানে মহাজন কেজি প্রতি মজুরি দেন ২৫০ টাকা বলে জানালেন বেনীমাধব কর্মকার। যেটা অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যদিও এর মধ্যে অন্যান্য অনেক খরচ ধরা থাকে। ফলে কারিগররা কেজি প্রতি ৬০-৬৫ টাকার বেশি মজুরি পান না। অবশিষ্ট মজুরি থেকে কারখানা মালিকের যন্ত্রপাতি, জ্বালানী, নিজের লভ্যাংশ ইত্যাদির খরচ মেটান। কাঁসা শিল্পের ভবিষ্যৎ ভাল নয় বলে অভিমত বেনীমাধব বাবুর। তাঁরও মতে, পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি নির্ধারিত হয় না। তবুও বর্তমান ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের মধ্যে কিছু নিশ্চিত রোজগারের তাগিদে কিছু মানুষ এখনও এই পেশায় নিযুক্ত আছেন। তাছাড়া রাজ্যের বাইরেও পুখুরিয়ার বাটির চাহিদা ভাল। তাই কারখানা এখনও বন্ধ হয় নি। তবে কতদিন চালু থাকবে সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন।
হিড়বাঁধের মলিয়ান গ্রামে মূলত কাঁসার থালা তৈরি হয়। সেখানেও কাঁসাশিল্প একই পদ্ধতিতে মহাজনী প্রথায় চলে। মলিয়ানে ২৫টি কারখানা এখনও টিকে আছে। শতাধিক পরিবার এই কাজে যুক্ত। মজুরি এবং বিক্রি সবই কেঞ্জাকুড়ার মতোই। এখানকার কারিগরদের মতে, প্রচন্ড শ্রমের বিনিময়ে মজুরি মোটেই আশানুরূপ নয়। ফলে অনেকে এই কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ স্থানের কাঁসা শিল্পের মূল সমস্যা একটাই, পরিশ্রম বেশি কিন্তু মজুরি সেই তুলনায় কম। তবুও যেহেতু এই শিল্পের অগ্রগতি মহাজন এবং কারিগরদের বোঝাপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ তাই তৃতীয় পক্ষ এখানে নাক গলায় না। নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করেন। তাছাড়া কাঁসার বিকল্প হিসেবে স্টীলের বাসন একটা বড় জায়গা দখল করে নিলেও কাঁসার বাসনের চাহিদা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে এমন নয়। হিন্দুদের বিয়ে, অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, সাধভক্ষন, শ্রাদ্ধকার্য-সহ যে কোন অনুষ্ঠানে কাঁসার সামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়ার প্রথা চালু আছে। ফলে মহাজনেরাও হাত গুটিয়ে নেয় নি। কিন্তু শ্রম আর শারীরিক ক্ষতির কথা ভেবে এই কাজে মজুরির বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শরীরের নিরাপত্তার জন্য মাস্ক-সহ প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। উভয়পক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতায় শিল্পটি এখনও চালু থাকলেও বিকল্প আয়ের সন্ধান পেলে অনেকেই এই কাজ থেকে চলে যাচ্ছেন। আশানুরূপ মজুরি না পেয়ে প্রত্যেক এলাকাতেই শ্রমিক এবং কারিগরদের কেউ কেউ এই কাজ ছেড়ে ঠেলাগাড়ি, অটো বা টোটো চালাচ্ছেন। কেউ কেউ ছোটোখাটো অন্য ব্যবসা করছেন। ফলে বাঁকুড়া জেলার কাঁসা শিল্প একসময় রাজ্যে অন্যতম কুটির শিল্প হিসেবে অনেক মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করলেও এখন তা সঙ্কটের মুখে। তাই স্বাস্থ্যবিধ মেনে চলা, শিল্প ভাতা প্রদান এবং যুক্তিগ্রাহ্য মজুরির বিষয়টিতে সরকারিভাবে নজর না দিলে অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক মানুষের কাজ হারানোর সম্ভাবনা থেকে যাবে। সেই সঙ্গে একটা অন্যতম কুটির শিল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রদ্যোৎ পালুই | Pradyut Palui
ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৭) | উপন্যাস | Bengali Novel 2023
শ্রমিক আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু | প্রবন্ধ ২০২৩ | Bengali Article 2023
“স্তন কর” বিরোধী নারী আন্দোলন ও নাঙ্গেলির (Nangeli) আত্মত্যাগ | Bengali Article 2023
সুশান্ত সেন | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩ | Bengali Poetry 2023
বাঁকুড়া জেলার কাঁসা শিল্প | কেঁঞ্জাকুড়ার কাঁসার বাসন শিল্প | কাঁসা শিল্পের জন্য কোন এলাকা বিখ্যাত | কাঁসা পিতল শিল্প | ধামরাইয়ের কাঁসা-পিতল শিল্প | কাঁসা শিল্প কোন শিল্পের অন্তর্গত | কাঁসা ও পিতলের পার্থক্য | কাসা চেনার উপায় | আসল পিতল চেনার উপায় | কাঁসা কোন কোন ধাতুর মিশ্রণ | কাসা ও পিতল চেনার উপায় | কাঁসা কি | কাঁসা ও ব্রোঞ্জ | বাংলা প্রবন্ধ | বাংলার লেখক | প্রবন্ধ ও প্রাবন্ধিক | সেরা প্রবন্ধ ২০২২ | শব্দদ্বীপ | শব্দদ্বীপের লেখক | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
bengali article writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali article rewriter | article writing | bengali article writing ai | bengali article writing app | bengali article writing book | bengali article writing bot | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali article writing format | article writing gcse | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | bengali article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | article writing on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder