Best Beautiful Poetic Stanza | Read Bangla Kobita

Beautiful Poetic Stanza | Read Beautiful Forms of Poetry

মজদুর (পার্ট থ্রি)

তুমি তো ঠোঁটে চুম্বনের স্পর্শ দিয়েছিলে।
সে এক অমৃতময় অনুভূতি।
তখন খুব অসুস্থ ছিলাম।
ভালোবাসার অসুখে আক্রান্ত।
তোমাকে একদিন না দেখিলে মনে হত,
আমার ভিতরে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ শুরু হতো।
বুকের ভেতরটা কেমন যেন ‘ধড়ফড়’ করত!
সেইসব এখন অতীত …
এই হৃদয়ে আর ‘উথাল-পাতাল’ ঢেউ খেলে না!
তোমার জন্য এই বুক কান্নাও করে না।
এখন আমার দেহ রোদে পুড়ে …
দিনের শেষে দেহ থেকে ঘামের গন্ধ আসে।

ওহে সংসরতি

সত্যি খুব অবাক লাগছে!
একটাও ভালোবাসা নেই।
যে-না শুধু আমাকেই ভালোবাসবে,
আমার বলার আগেই সে বুঝে ফেলবে!
যার মস্তিষ্কের “নিউরনে” আমি থাকবো।
যে প্রতি অন্ধকারে “ল্যাম্পপোস্ট” হবে;
যার আলিঙ্গনে শুধু আমিই “সন্ধি” হবো।
যার বাণীর প্রত্যেকটা শব্দ হবো আমি,
আমার শান্ত ঘুমের সে কারণ হবে।
এমন সংসরতি কোথায় পাবো?
পৃথ্বী সত্যিই কি গোল!
উফফ! একটুকু শান্তি নেই।

বছর তিন

জানো কত স্মৃতি
বাঁ-পকেটের বুক পাশে রয়ে গেছে!
মায়ের দুটো নত্ ছিলো; সোনার।
আদর করে দিয়েছিল বড় বৌমা-কে।
কিন্তু; কোনদিন সে তা পড়েনি
মাঝে মাঝে আলমারি খুলে
নত্ দুটো নাড়াচাড়া করে।
নাকে দুটো ফুটো করে দিবে
বলেছিল শ্বাশু-মা
আজ তিন বছর হয়ে গেল
মাঝে মাঝে-ই আলমারি খুলে বৌমা …

জখম ক্লান্ত লোচন

ঐ; ঐ রাজীব ওঠ
ভোর চারটা বেজে গেছে
বহুদূর যেতে হবে যে
হ্যাঁ; যেতে পারি কিন্তু,
কবরস্থান-র ওখানে যে
বট গাছটা, দাঁড়ি ছত্রভঙ্গ হয়ে
হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে
যতসব ওটা দেখে-ই ভয়।
শুনেছি পুকুর পাড়ে তেঁতুল
গাছের নিচে তারা সভা করে!

ওই দেখ সুদীপ পাঁচিলের
ওপারে, মনে হয় কিছু ছায়া
হেঁটে যাচ্ছে, শুনতে পাচ্ছিস
হেঁটে যাওয়া ছম ছম শব্দ !
আচমকা কপাট ঠক ঠক
করে বেজে উঠলো।
নিদ্রায় আচ্ছন্ন ক্লান্ত লোচন
চিন্তাশূন্যে স্পন্দন করে উঠল।
‘তোরণের’ ওপাশ থেকে
সুদীপের মুখনিঃসৃত ‘বয়ান’
ভেসে আসছে ‘ঐ রাজীব
ওঠ কাজে যাবি না !
বহুদূর যেতে হবে যে …

আমার গল্পগুলো

মুখের ডগা খামোশ হয়ে গেছে,
বিশেষতঃ চোখ যখন সিক্ত হয়।
কি হাসছেন তো!
সত্য যখন সামনে দাঁড়িয়ে থাকে,
আত্মা মিথ্যার সাথে কেঁপে ওঠে।

দুঃখের আঠা বুকে আঁকড়ে ধরে!
সুখ প্রায়-ই দূরে সরে গেছে;
অনেক কাঁদে বক্ষঃস্থল!
সব জানে চিত্ত, তবুও হাসছি;
সত্যি বলতে কেউ-ই গ্রাহ্য দেয় না।

জীবনের প্রতিটি বক্ররেখা আঁকাবাঁকা।
হাসি ফেভিকল দিয়ে বন্ধ!
রক্ষা পেয়ে যাবে কোথায় ?
তার কোনো জায়গা নেই।

মাঝে মাঝে পিছনে তাকায়,
ব্যর্থতা মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
কিভাবে লুকাবো, কোথায় লুকাবো!
শুধু সিডর নয় আত্মাও এক পাহারাদার।

আমার নাম মজদুর

হ্যাঁ আমি মজদুর!
আমি মজদুর বলেই;
আমার হওয়া না হওয়ার
কেউ ন্যায্যতা দেয় না …
আমি ভেড়া ছাগলের মতো,
তাই আমার কোনো অস্তিত্ব নেই।
আমারই রক্তে সেজেছে
তাদের ভিত্তি ভরাট।
অট্টালিকা গুলি নির্মাণের পরে,
কেউ আমাকে মনে রাখে না!
বরং কবর হয়ে যায়,
দীর্ঘ টাওয়ারের নীচে।

হ্যাঁ আমি ঝুলছি!
ছাদের কিনারা থেকে,
আমার নাম মজদুর!
জীবিত তবে দুরবস্থায়,
আমাকে যে কোথাও গেঁথে দাও
শ্বাস প্রশ্বাস নিবো।
কারণ চিৎ আমার পাথর;
নিজেকে জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপিয়ে
পরতে পিছপা হয় না।
যখন কোন কাজ পাওয়া যায় না,
তখন একজন মজদুর হয়ে যায়।
শুনেছি আজ ‘শ্রমিক দিবস’
আমার মুখে একটু হাসি ফিরিয়ে
দাও সুট বুটের সাহেব।

বিকাশ তুমি কোথায়

মাস গেছে বছর গেছে
আর গেছে অনেক উৎসব
কখনো মন্দির কখনো মসজিদ
কখনো গুরুদ্বার কখনোবা গির্জা
প্রতি মুহূর্তে করেছো তুমি
বলো তো বিকাশ তুমি কোথায় ?

কখনো হিন্দু কখনো মুসলিম
কখনও কাশ্মীর কখনো-বা পাকিস্তান
প্রতি মুহূর্তে করেছো তুমি
বলো তো বিকাশ তুমি কোথায় ?

জীবন বিচলিত হচ্ছে
জীবন কষ্ট পাচ্ছে
হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে
জীবন ঘুরে বেড়াচ্ছে
অসহায় সব নর-নারী
বলো তো বিকাশ তুমি কোথায় ?

কোথাও কবরস্থান ভরা
কোথাও ভরা শ্মশান
কোথাও কাতারে রোগী
কোথাওবা কাতারে বডি
বলো তো বিকাশ তুমি কোথায় ?

চিৎকার করে জীবন কোথাও
কোথাও বন্ধ হচ্ছে চক্ষু
প্রতিটি শ্বাস করছে যুদ্ধ
মনুষ্যের প্রতিটি আশা দিচ্ছে দম
বলো বিকাশ তুমি কোথায় ?

এখানে ভেষজ এর দুর্ভিক্ষ রয়েছে
অক্সিজেনের আকাল চারিদিকে
চলছে জীবন মৃত্যুর ত্রাহিমাম
বলো বিকাশ তুমি কোথায় ?

মারা গেছে মানবতা
পশুতে পরিণত হয়েছে চেয়ার
যাকেই দেখি ভরছে
নিজের নিজের ব্যাগ
বলো বিকাশ তুমি কোথায় ?

করছে মনুষ্য চিৎকার
ভাতের আশায় ভুগছে
পৃথিবী শূন্য! শূন্য মরুভূমি
হচ্ছে প্রতিটি হৃদয়ের কোণ নির্জন
এখানে কাঁদছে প্রতিটি প্রাণ
বলো বিকাশ তুমি কোথায় ?

কোথাও এতিম
কোথাও নিরস্ত মাতা পিতা
কোথাও বিধবা কোথাওবা বিধুর
হচ্ছে পরিবারের পরিবার নির্জন
বলো বিকাশ তুমি কোথায় ?

হাসির আড়ালে

আমি একে একে কত জন্ম হতে দেখেছি !
একে একে সবাই কে চলে যেতে দেখেছি,
নক্ষত্রের কান্না ছড়িয়েছে পুরো বাড়ি,
বারোমাস চলেছে শুধু হাসির ধর্মঘটে।
হয়তো আমিও ভস্মীভূত হলে বেঁচে যেতাম;
আজও আমি বেঁচে,
শুধু মৃত্যুর স্বাদ পেতে।

প্রতিদিন কিছু মিথ্যে হাসির-
আড়ালে চাপা পড়ে যায়,
আমার জীবনের অনেক সত্য গল্প!
একমাত্র আয়নাটাই জানে
ভেতরের প্রতিচ্ছবিটা ঠিক কেমন দেখতে!
তাই নয়নে আর অশ্রু বয় না,
কারণ কষ্ট পাওয়াটা এখন অভ্যাসে-
পরিণত হয়ে গেছে।

মাঝে মাঝে মনে হয়,
পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার কারণ আমি;
আমি না থাকলে সবাই ভালো থাকবে।
একটা সময় ছিল যখন সবার-
সঙ্গে মিশতে ভালোবাসতাম,
এখন সবার থেকে দূরে থাকি!
কারণ ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কষ্ট-
এখন আমার কাছে,
ভালো লাগে কষ্ট গুলোকে-
আঁকড়ে ধরে রাখতে,
আমি না হয় কষ্ট নিয়েই বেঁচে থাকি।

বাঁ-পাশের দরজা

আমি যখন মরবো
আমার কবরের বা-পাশে
ছোট্ট একটা কাঠের দরজা
রেখে দিও;
আমার প্রিয়তমা এসে যদি
দরজা ঠক ঠক করে …

ছেড়ে আসা শহর

শহরের উঁচু উঁচু বিল্ডিংগুলো
আমাকে স্বীকার করে নিতে পারেনি,
পারেনি আপন করে নিতে।

ট্রাফিকের চিৎকারে ব্যস্ত শহর
নিজেকে আলোকিত করতে ব্যস্ত
এবং সুখের ভিড়ে হারিয়ে গেছে বিশ্বাস।

নর-হিংস্র শহর শোষণ করেছে মোর রক্ত
কাঁটার পায়ে বুকে মেরেছে বারুদের লাথ
এবং কৃমি আক্রান্তে গ্রাস করেছে সর্বস্ব।

ভেবেছিলাম সুখ পাবো; আর শান্তি!
কিন্তু শহরে সত্য কোথায়! সব মিথ্যা।
যেন সবাই ভস্মাসুরে পরিণত হয়েছে।

জানি না কোন্ হিরা-মুক্তা খুঁজে
যেন নাট্যশালায় রঙ্গমঞ্চ চলছে
শুধু অভিনয় আর অভিনয়।

শুনেছিলাম এই শহর সভ্যতার শহর
এখানে সভ্য সমাজ বাস করে বলে!

কিন্তু না, এই সভ্য সমাজ সত্যের
টুঁটি চেপে ধরে; এবং
সত্য-ধ্বনি পুড়ে ছাই হয়ে যায়
সভ্য অ্যাসিডের স্রোতে।

বিজয়া দশমী

এসো আজ অধর্মের উপর
ধর্মের জয় করি,
সবাই মিলে বিজয়া দশমী
পালন করি।
এদিক ওদিক উকি মারি,
অপরের মন্দগুলি নিন্দা করি।
নিজের খারাপ লুকিয়ে রাখি,
আর ইমানদারির যজ্ঞ করি।
প্রতি বছর রাবণের পুতলা জ্বালি,
প্রত্যেক মনের মধ্যে রাবণ লুকিয়ে রাখি।
বিজয় ভালো তাহলে মন্দকে
অবশ্যই পুড়তে হবে,
রামের দেশে সীতাকে কেন
ধর্ষিত হতে হবে ?
এসো প্রতিশ্রুতি নিই প্রত্যেক
মহিলাকে সম্মান করি,
এসো আজ বিজয়া দশমী
পালন করি।

ব্যর্থতা

অন্তরের ব্যথা লিখতে এসেছি,
প্রেমের গান সব ভুলে গেছি।
যখন প্রেমের গান বসি লিখতে,
শব্দ যেন বসে বসে কাঁদছে।

গান গজল সব যেন রেগে,
ভাবনা ধারণ করেছে নির্বাকে।
কলমের ব্যথার চিৎকারে,
ডাইরির পেজ বিরক্তে।

সবাই বলেছে প্রেম লিখতে,
প্রতিটি হৃদয়ে ভালোবাসা জন্মাতে।
প্রতিটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে,
তবুও চাইনি কারো মনে বেদনা ভরে দিতে।

ওগো নদী শুনো

দেখতে তুমি সম্পূর্ণ নারী;
সুন্দর যৌবনের সাথে সাথে
মাদকে ভরা শরীর।

আমি দত্তক হতে চাই তোমার,
সিঁদুর ছাড়া সম্পর্ক বজায়
রাখতে চাই।

ছোট ছোট বিষয়ে হাসি, আর
হাসতে হাসতে আলিঙ্গন এবং
সম্ভোগে দিশেহারা হতে চাই।

ভেজা ডাইরি

কত বছর হয়ে গেছে নিজেকে
ভালোবাসি না আর,
হিমঘরে যত্ন করে রেখে দিয়েছি
বস্তায় বাণ্ডিল করে,
আঁধারে যখন কালো দাগ লাগে
বালিশ ভেজায় আঁখি।

বৃষ্টির জলে স্বপ্নের ডাইরি
গেছে ভিজে
অক্ষর গুলো থিতিয়ে ঝাপসা
হয়ে গেছে
যা আর বোঝা যায় না।

এই কুচুটে সমাজ থেকে গায়েব
হয়ে যেতে চাই
যেভাবে জাদুকরের বাক্স থেকে
একজন শিশু ভ্যানিশ হয়ে যায়।

স্বপ্নগুলো এখন ‘জ্বীন’ হয়ে গেছে
যাকে দেখতে পাওয়া যায় না
শুধু মগজে রয়ে গেছে
কাল্পনিক হয়ে।

জানতে চাই

আমি অনেক কিছু জানতে চাই।
অনেক কিছু চাই বুঝতে।
কেন বড়ো শহরের অট্টালিকা
গুলিতে চিৎকার শোনা যায়!
কেন সেই মহল গুলিতে সূর্য
ডোবার শব্দ পাওয়া যায়! কেন?

মানুষ মরে কেন! জন্ম কেন হয় ?
জীবন-মৃত্যুর রহস্য কী! জানতে চাই।
শরীরের বিনাশই কি আত্মার বিনাশ!
তাহলে স্বর্গ-নরক আছে কোথায়?
আকাশের ঐ পারে কী! জানতে চাই সব।

আমি এখন চাই আকাশ থেকে
আমার জন্য এক মোটা
কিতাব নাজিল হোক।

আর বইয়ের সেই প্রত্যেকটা পাতা
পড়ে ইহলোক এবং দেবলোকের
সমস্ত রহস্য জেনে নিই।

সব রহস্য ঈশ্বর জানেন বলে!
কিন্তু, না ঈশ্বর এসেছে
আজ পর্যন্ত; না বই।

প্রকৃতির শৃঙ্গার

আজ প্রকৃতি করেছে শৃঙ্গার
সুগন্ধী ফাগুনে বাতাসে,
বিচিত্র ফুলের ঋতু রঙ্গে
কুসুম কোমর দোলাই নৃত্যে।

ভ্রমর করে ঘূর্ণি ভ্রমণ
ফুলের মধু পান করে,
ডানার দিকে তাকিয়ে তারা
আকাশে উড়ে বহু অলঙ্কারে।

নক্ষত্র সূর্য পাহাড় পর্বত
দিবা রাত্রি থাকে হাসিতে,
সেই স্নিগ্ধ শান্ত বাতাসে
নিশিতে চাঁদ সঙ্গী হয়ে।

নদীর ঐ প্রান্তে সূর্য উঠে
সাগর এর প্রেমে মিশে,
তরঙ্গ যখন উঠছে বেগে
সমুদ্রের নীচে জাহাজ উড়ে।

ওরা

তোমাদের শিরা উপশিরায়
প্রবেশ করবে ওরা!
রক্তে রক্তে করবে চলাচল,
অক্টোপাসের মতো তোমাদের
হাত-পা জড়িয়ে ধরবে।
আর ওরা তোমাদের মগজে
করবে কব্জা।
তখন তোমরা রোবটে পরিণত
হয়ে যাবে; এবং
রিমোট থাকবে ওদের হাতে!
তোমরা চাইলেও আর কিছুই
করতে পারবেনা; কারণ
অসুরেরা ভারতের নাগপুর থেকে
ছড়িয়ে যাবে পুরো পৃথিবীতে।
আর চিবিয়ে খাবে তোমাদের
কঙ্কালসার দেহ।
তখন তোমাদের জীবনে আর
প্রেম আসবে না।
কোন নারীর স্পর্শও পাবে
না তোমরা।
শুধু কঙ্কাল আসবে তেড়ে
মরদের শহর থেকে।

তোমাকে চাওয়া কি ভুল ছিল

আমার উপর সমস্ত
অধিকার তোমারই ছিল
বাগানের সবচেয়ে সুন্দর
গোলাপ তোমার নামে ছিল
তা স্বত্বেও তোমার কাছে
আমার কোন অস্তিত্ব ছিল না
না আমার কোন মর্যাদা ছিল
একটা সময় ছিল যখন
আমার নিজস্ব কিছু নীতি ছিল
তোমাকে চাওয়া সত্যি কি
আমার কোন ভুল ছিল!

তোমার অভিযোগের বাক্স
কখনো শেষ হয় না
হে মৃত্যু আমাকে তোমার
বাহুতে শক্ত করে ধরো
চলার পথে কোন নাগ
আমাকে দংশন করুক
আমার হৃদয়ের ব্যথা
আমার আবেগ পূর্ণ শব্দ
তোমার কাছে কোন মূল্য নেই
হ্যাঁ আমি জীবিত কিন্তু
আমার প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস
অকেজো হয়ে পড়েছে
সত্যি তোমাকে চাওয়া কি
আমার কোন ভুল ছিল
যাকে পারস ভেবেছিলাম
খুলেছি বক্স তো শুধু ধুলো ছিল।

যারা প্রেমিক

যাদের জীবনে ভালোবাসা এসেছে
তাঁরা কবিতা লিখতে শিখেনি।
পড়তে পারলেও অর্থ বুঝতে শিখেনি।
ওরা স্বর-ব্যঞ্জন চিনেছে,
মাত্রা চিনতে শিখেছে,
কিন্তু কবিতা লিখতে শিখেনি।

ওরা ব্যাকরণ পড়েছে
বাক্য গঠন শিখেছে
তাঁরা সম্পর্কে জড়ায় বহুবার
ভিজে আঁচলে মুছতে শিখেছে
তাঁরা শ্রীকান্ত-ও পড়েছে
তবে লিখতে শিখেনি।

ওরা সাইন থিটা-কস থিটা, যোগ-বিয়োগ সব-ই শিখেছে
তাঁরা গবেষক; ওই বলা যায় সমস্ত কৌতুক-র সমাধান
কিন্তু ওরা কবিতা লিখতে শিখেনি।

আমি এখনো ঘুমায়নি

“—মাটি-গাছ-পাহাড়-পর্বত-প্রাণী-শিশু কেউ তো
আমার শরীরটা তোমার দিকে টেনে নাও,
আমি নিজের ভারে ডুবে যাচ্ছি যে…।”
এই চলমান জীবন থুবড়ে পড়েছে
যুক্তি খুঁজে পেলেও বলার ইচ্ছে করে না
কয়েক বছর আগে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়েছিলাম
এবং “যাকে ভালোবাসতাম, তার কাছে সবসময়
ভালো প্রমাণিত হতে চেয়েছিলাম।”

“—তার মানে এই না যে আমি সবসময় খারাপ ছিলাম।”
“কলেজের গণ্ডি পার করার পর আমি আর ঘুমায়নি।”
এখন তো নিজের দেহটা কেউ বোঝ লাগছে! কারণ;
“জীবনের মাঝখানে জানতে পারলাম আমি একা।”
“—তাই শেষ আলাপের শেষ চিঠিটা
যেখানে পৌঁছায় না
আমি ঐখানে কোথাও লুকিয়ে থাকবো…।”

একা আমি

দরজা খুলেই দেখলাম, একটা মেয়ে সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।

লাইফ ইজ আন-এমপ্লয়েড; But “উনসে নাজরে কিয়া মিলি,
রোশন ফিজায়ে হো গাঈ।”

সেদিন দেখলাম একটা লোক খেতে খেতে কাঁদছিল।
একটা ছেলে তার মাকে কলে করে নিয়ে যায়-
ডাক্তারকে টাকা দিতে!

শহরের মধ্য দিয়ে একটি নদী খিল খিল করে হেসে যাচ্ছিল।

আমি তখন একা একা ঘুরে বেড়াতে লাগলাম।
দেখছি-
এখানে তাম্বাকু-গুটকাও পাওয়া যায়।

কোথা থেকে যেন সিগারেট-র ধূয়া উড়ে আসছে। ঘুরে দাঁড়ালাম, দেখতে পাই-
এখানে শাঁক-সব্জিও পাওয়া যায়।

যাইহোক; অনেক কিছু দেখতে পেলাম! এবং বুঝলাম-
“এই শহর আমার প্রেমিকার মতো।
যা প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তন হয়।।”

ভুল মানুষ

তুমি যাত্রাপালায় রাজা দেখেছো! দেখতে ঝলমলে, চকচকে পোশাক। গম্ভীর আওয়াজ, দৃপ্ত হাঁটাচালা;
দেখছো নিশ্চয়!

জানো ছোটবেলাতে প্যান্ডেলের মধ্যে, খড়ের উপরে বসে তাদেরকে অর্থাৎ অভিনেতাদের-কে আমি সত্যিকারের রাজা ভাবতাম। কি যে বোকা ছিলাম!

পরদিন সকালে পুকুর ঘাটে ঐ অভিনেতা-কে দেখেছিলাম। ছেঁড়া স্যান্ডো পরে, অর্ধেক পোড়া বিড়ি টানতে। কঙ্কালসার দেহ, খুব কাশছিল, হয়তো টিবি রোগী ছিল!

সেদিন তাকে দেখে নিজের অজ্ঞতা-কে চিনেছিলাম। ভুল ভেঙেছিল।

সেদিন বুঝেছিলাম মানুষের ঝলমলে পোশাকের ভিতরেও কিভাবে লুকিয়ে থাকে আর একটা অন্য মানুষের চামড়া ঢাকা কঙ্কাল, ধুঁকতে থাকা প্রাণ।

সব দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না জানো! দৃশ্যের ভেতরে দৃশ্যমান-কে দেখার অন্য চোখ লাগে।

প্রেমিক বদল করে হয়তো এখন একটু বেশি দেখতে পাও, তা তুমি এখন তোমার প্রেমিক-কে চশমা দাও। আমাকে নাই বা দেখালে! আমি তো ভেতরটা পর্যন্ত চিনি।
ভালো থেকো।

নীড় হারা রিভেঞ্জ

তাদের সকলকে কাছে পেতে চায়,
যাদের-কে কোনদিন আমি চেয়েছিলাম।

তখন তাদের নিয়ে যাবো ‘অ্যাটনা’ পাহাড়ে,
যেভাবে সবুজ পাহাড় পুড়ে খাক হয়েছিল
তোমাদের প্রেমে। কিংবা আমার প্রিয় শহর
“মাত্রে গা”; যেখানে আমি পুড়ে ছিলাম তোমাদের
হঠাৎ প্রস্থানে। দুঃখ পেয়ে যে ছেড়েছি ‘মাত্রেগা’,

আমি আর ফিরিনি।

আমি হারিয়েছি নীড় হারা পাখির ঝাঁকে।

দুঃখের স্মৃতি শহরে কে থাকতে চায় বলো!
দুঃখ ভাবতে কে চায় প্রিয়তমা?

চলুন আমরা সকলে আমাদের প্রাক্তনদের
নিয়ে যায় ‘অ্যাটনা’ ভলক্যানোতে, যেখানে
তাদের পুড়াবো আমরা নিজেদের মতো করে,
উল্লাস করবো আমাদের প্রেমিকাদের চামড়ার
সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়া দেখে, সত্যিই আমরা
বড় উন্মাদ হবো সেদিন।

রাজীব হোসেন | Rajib Hossain

Anabasarakalina besha of Jagannath | অনবসরকালীন বেশ | অভিজিৎ পাল

19 types of Mashan Thakur | মাসান ঠাকুর | Ranabir Chanda

The Jagannath God in Puri | পুরুষ-প্রকৃতি এবং জগন্নাথ

Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান

Shabdodweep Web Magazine | Beautiful Poetic Stanza | Rajib Hossain

Poetry has a unique way of touching hearts and evoking emotions. A Beautiful Poetic Stanza is more than just words; it is a rhythmic expression of thoughts, emotions, and cultural values. Whether in English or Bengali, poetry has always been a powerful literary form. At Shabdodweep Web Magazine, we celebrate the beauty of poetry and feature works from poets like Rajib Hossain, who has written some of the most beautiful poems in Bengali literature.

The Power of a Beautiful Poetic Stanza

A Beautiful Poetic Stanza holds the power to move readers, inspire thoughts, and create lasting impressions. It is the heart of poetry, where words flow seamlessly, forming verses that resonate with the soul.

Why Poetry Loves to Read

People across the world appreciate poetry because it offers:

Emotional Connection – Poetry often captures deep emotions, making it a relatable literary form.

Aesthetic Beauty – The choice of words, rhyme, and rhythm makes a beautiful poetic stanza a work of art.

Cultural Reflection – In Bengali literature, poetry reflects traditions, values, and history.

Bengali Literature and Bangla Kobita

Bengali literature is renowned for its rich poetic tradition, often referred to as Bangla Kobita. These poems are filled with profound emotions, intricate metaphors, and melodious rhythms. Poets like Rajib Hossain have contributed significantly to Shabdodweep Web Magazine, showcasing the depth and elegance of Bangla Kobita.

The Role of Poets in Crafting Beautiful Poetic Stanzas

Every poet brings a unique touch to poetry. Rajib Hossain, a notable contributor to Shabdodweep Web Magazine, has written countless most beautiful poems that captivate readers. His poetry reflects deep emotions, cultural heritage, and artistic mastery, making his beautiful poetic stanza a source of inspiration for many.

Characteristics of a Beautiful Poetic Stanza

A beautiful poetic stanza stands out because of:

Rhythmic Flow – A seamless blend of words that creates a melodious effect.

Imagery and Metaphors – Vivid descriptions that paint pictures in the reader’s mind.

Emotional Depth – Expressing feelings in a way that connects with the audience.

Why Read Beautiful Poetic Stanzas on Shabdodweep Web Magazine?

Shabdodweep Web Magazine is a treasure trove for poetry lovers. Here’s why you should explore:

Exclusive Content from Renowned Poets – Poets like Rajib Hossain contribute original, high-quality poetry.

Diverse Collection – From romantic verses to philosophical musings, there is something for everyone.

Cultural Enrichment – Reading Bangla Kobita enhances appreciation for Bengali literature.

How a Beautiful Poetic Stanza Inspires Creativity

Many readers and aspiring poets find inspiration in a beautiful poetic stanza. It encourages creativity, offering insights into:

• How to Express Emotions through Poetry

• The Art of Structuring Verses

• Using Literary Devices to Enhance Meaning

Frequently Asked Questions (FAQ) – Beautiful Poetic Stanza

What makes a poetic stanza beautiful?

A beautiful poetic stanza is defined by its rhythmic flow, emotional depth, and artistic expression. It captures the essence of emotions through carefully chosen words.

Where can I read the most beautiful poems?

You can read the most beautiful poems on Shabdodweep Web Magazine, where poets like Rajib Hossain share their best works.

What is Bangla Kobita?

Bangla Kobita refers to Bengali poetry, a significant part of Bengali literature. It includes works from legendary and modern poets, celebrated for their lyrical beauty and depth.

Why should I read poetry on Shabdodweep Web Magazine?

Shabdodweep Web Magazine features original poetry from renowned poets, offering readers high-quality content and deep literary insights.

How can I write a beautiful poetic stanza?

To write a beautiful poetic stanza, focus on rhythm, imagery, and emotions. Reading works from poets like Rajib Hossain can provide inspiration.

Can I contribute my poetry to Shabdodweep Web Magazine?

Yes! Shabdodweep Web Magazine welcomes aspiring poets to submit their work and share their voice with a wider audience.

What is the significance of poetic stanzas in Bengali literature?

In Bengali literature, poetic stanzas form the foundation of Bangla Kobita, capturing emotions, philosophy, and cultural narratives in a lyrical manner.

Conclusion

A beautiful poetic stanza is not just a collection of words; it is an artistic masterpiece that speaks to the soul. Whether you are a poetry enthusiast or an aspiring poet, exploring Bangla Kobita and reading the most beautiful poems on Shabdodweep Web Magazine is a rewarding experience. Discover the magic of poetry with works from poets like Rajib Hossain and immerse yourself in the richness of Bengali literature.

---

Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio