Best Bangla Kobita Online Read 2023 | Subrata Chakraborty

Sharing Is Caring:

সুব্রত চক্রবর্ত্তী – সূচিপত্র [Bengali Poetry]

শিক্ষক – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

তোমরা শিখিয়েছ ধরে হাত
মানুষ হওয়ার মন্ত্র
সমাজ শিখিয়েছে ব্যর্থতাকে সরিয়ে
সাফল্যের সূর্য ধরে আনতে।

মানবিকতা আজ অসহায়
নেই ছাপ ভালোবাসার
ছাত্র মরে, শিক্ষক খায় মার
বদলে গিয়েছে আজকের সময়।

চাই না এমন বদল হোক
মানুষ গড়ুক শিক্ষক
সবার উপরে সত্য মানুষ
চরিত্র হোক নিষ্কলঙ্ক।

আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা
নীতিতে কর্মে হবে সেরা
অর্থ জীবনের নয় সব
সেবাই হবে ব্রত তাদের।

আজকে যখন তাকিয়ে দেখি
মা বাবা অবহেলিত হন
মাষ্টারমশাই নির্যাতনের শিকার
মনকে শুধাই পরমহংস কোথায়
খারাপটা কেন নিয়েছে বেছে ওরাই?

বিশ্বের পালক – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

তোমার জন্ম হয়েছিল
কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে
কংসের কারাগারে দেবকী মায়ের গর্ভে
বাবা বাসুদেবও বন্দী ছিলেন।

কংসের অত্যাচারে অতিষ্ঠ
সবাই ছিল ভীত
বিধির বিধানে ঘুমিয়ে সবাই
তুমি পিতার মাথায় চেপে,নিলে বিদায়।

যশোদা মায়ের কোলে, নিলে আশ্রয়
গোপনে তুমি বাড়তে থাকলে
কংস বুঝেছিল বিপদ আসন্ন
তোমাকে হত্যা করতে
বার বার দূত পাঠিয়েছিল।

তোমার লীলা খেলা বোঝার
ক্ষমতা ছিল না সবার
সময় মত তুমি করলে বধ
দুরাচারী কংসের হল নিধন।

বিশ্বরূপ দর্শন করিয়ে
মহাভারতের অর্জুনকে বোঝালে
তুমিই হলে জগৎ শ্রেষ্ঠ,সকলের কৃষ্ণ
বিশ্বের তুমি ব্রহ্মাণ্ডের পালক।

ভাদর – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

এসেছে ভাদর মস্ত বাঁদর
যত না দেয়, ক্লান্তি জোগায়
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠের থেকেও দুঃসহ
গরমে গরম, ঝড়ায় শুধু ঘাম।

শ্রাবণের ধারা যখন তখন
থামবার নেই কোন লক্ষণ
শরতের নীল আকাশ
ঢেকে দেয় কালো মেঘের ভেলায়।

তালের মহিমায় সে গর্বিত
নেই কোন লাজ, নাই শরম
অপেক্ষায় মন বিদায় নেবে কখন
ভাদরের গরম আর ধারাপাত।

বাঙালির ঘরে ঘরে আয়োজন
আগমনী বার্তা পাঠায় প্রকৃতি
কাশ ফুলের দোলা,আর ফোটে শিউলি
শিশির জমে ঘাসের ডগায় বা পদ্ম পাতায়।

ভাদ্র মাসে যখন প্রস্তুতি নেয়
তুমুল নিম্নচাপে বাংলা ভাসায়
শেষ হয়ে হয় না শেষ
ভাদ্র নয় মাস, করে পিত্ত গরম।

বৃদ্ধের কান্না – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

উজাড় করে দিয়েছিলাম সময়
তথাপি সংসারে নেই ঠাঁই
ঠিকানা আজ আমার বৃদ্ধাশ্রম
আমি এখন অবসর প্রাপ্ত।

যে খোকাখুকুর জন্য আমার পরিশ্রম
যাদের কান্না ছিল বেদনার মতন
আজকে তাদের বাবা হয়েও
আমি পরাশ্রয়ী পরজীবী,এক লতান গুল্ম।

যেদিন মন মন্দিরে আগুন ধরিয়ে
আমাকে দেখে পড়ল ঝাঁপিয়ে
নতুন করে পরিচয় হল এ সংসারে
পিতা -পুত্র, পিতা – পুত্রী সম্পর্ক গেল মুছে।

আগামী কাল তোরাও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হবি
আমি সর্বদা এই আশীর্বাদ করি
তোদের সন্তান তোদের মতন না হয়
পিতা মাতার যশটি তারা হয়ে দাঁড়ায়।

মৃত্যু আজ এসেছে আমার দুয়ারে
মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে
শরীর হারাচ্ছে সব,বন্ধ হয়েছে কলকব্জা
এসেছ তুমি আমার প্রাণের – মৃত্যু দেবতা।

ফিরে এলো হারিয়ে যাওয়া বন্ধু স্বজন
চোখের জলে করল তাঁরা আপন
আমার সন্তানের দল,ছিনিয়ে নিল সব
টিপ ছাপের মাধ্যমে — আমাকে বিদায় দিল।

সময়ের বিচার – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

সময়ের বিচার সময় করে
বাকি সবাই কেঁদে মরে
গীতায় বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ
ফলের আশা না করে,কর কর্ম।

কর্ম করছেন যারা ভালো
তাদের জন্য কোথায় আলো
অন্ধকারে কাটে দিন
চোখের জল শুধুই সম্বল।

মানুষের চোখের জল
যারা ফেলছে সদাই
তাঁরা আছেন বহাল তবিয়তে
বিচার তাদের করছে কে?

লোভ, নেশা, মদ, মোচ্ছোব
নারী চরিত্রের করছে হরণ
তাঁরাই আছেন সবচেয়ে ভাল
সমাজ সংসারে তাদের কদর কত।

খিদের জ্বালায় শিশু কাঁদলে
মুখে কেউ দেয় না অন্ন তুলে
শিক্ষা থাকতে পায় না কাজ
কে মেটায় সমস্যার বেকার!

ওদের বয়স বেড়ে যায়
ঘরে নেই ভাত, সময় কোথায়
নীরবে নিভৃতে সে ধায়
বিচার তোমার পৃথিবীতে নেই।

হে সমাজ – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

জীবনটা ঠিক জীবন নয়
জীবন নিয়ে খেলা
বাঁচার স্বপ্ন চোখে সবার
কাজটা ওদের,মায়ের কোল খালি করা।

ঐ মেয়েটার কালো রং
ঐ ছেলেটা কেমন বোকা
রঙের অজুহাতে মরে মেয়েটা
মেধা থাকার অপরাধে, ছেলেটা জীবন দেয়।

মেয়েটার বাপের টাকা নেই
প্রাণের তাই নেই কোন দাম
ছেলেটিকে চলবে না উঠতে দেওয়া
কাড়তে হবে জীবনটা।

শিক্ষা নিয়ে কিসের বড়াই
ছেলের হাতের মোয়া যে ভাই
ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে
যাচ্ছে ওরা ওপরে উঠে

শব্দ দিয়ে কি আর যায় লেখা
নাকি যাবে, মায়ের কান্না মোছা;
শয়তানের মা কাঁদেন, পাপের কি ধ্বংস হয়
ধ্বংস হচ্ছে সমাজ জীবন, হাম সাথ সাথ হ্যায়।

ফিরে আসুক সেই বন্য জীবন
মানুষ যেমন সেই ছিল আদম
পোষাক দেখে বিচার করার
আজকের দিনে নেই প্রয়োজন।

যে ছেলেটা হারিয়ে গেল
আকাশ ভরা স্বপ্ন নিয়ে
মানুষ রূপী এই শয়তানদের
প্রকৃত কি আর শাস্তি হবে?

হে সমাজ আর কর কিসের বড়াই
মৃত্যু এলে নড়ে বস, দেওয়ালে দাও পোস্টার
মোমবাতির মিছিল করে দেখিও না দরদ
যদি পথে নেমে, না করতে পার ধ্বংস, শয়তানদের।

বিবেক হীন ভগবান কোথায় তুমি আজকে
অভিমন্যুর মৃত্যু হয়েছিল চক্রবুহ্যে
তুমি আর কত প্রাণ নিতে
ঐ নপুংসক বীরদের পাঠাবে!

নিষ্প্রয়োজন তোমাদের চলে যাও
আগামীর কথা ভেবে শিউরে ওঠে মন
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্ম, খাদ্যে, পশুদেরও অধম
তোমরা করেছ তাদেরও পরাজিত।

পালা বদলের শেষে – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

লোকে বলে বদলে যাও
আমি দেখি সময় বদলায়
সময়ের অজুহাতে মানুষ পাল্টায়
বন্ধ হয় না দুর্নীতির।

শিক্ষা এখন কারাগারে
মস্ত কেউটে ফণা তোলে
সবাই কেমন উদভ্রান্ত
টাকাই এখন মগজাস্ত্র।

উচ্ছে খেলে তিতা লাগে
সুরাই এখন জাগিয়ে রাখে
মধুমেহ রোগে সবাই ভোগে
প্রেশার সবার উঠে আছে।

সবুজ ভরা প্রকৃতির আজ
নেই কোনো প্রয়োজন
বাতাস ভরা কার্বন ডাই অক্সাইড
অক্সিজেন মাস্ক প্রয়োজন।

ভগবান আর শয়তান আজ
এক পিঁড়িতে বসে খায়
সবার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে
আমি পারিনি বদলাতে।

নতুনের আশায় – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

একটি বছর চলে যায়
নব রূপে ফিরে আসে
আশায় বেঁচে থাকি সবাই
এবার জীবন বদলাবেই।

দিন চলে যায় মাস শেষ হয়
জীবন নদী প্রবাহিত হয়
বদলে যায় সময় কেবল
পক্ষ যেমন অমাবস্যা পূর্ণিমার।

বেকার যুবক হন্যে হয়ে
চাকরি বা ব্যবসা খোঁজে
যুবতী মেয়েকে বিয়ে দিতে
তার বাবা মা পাত্র খোঁজে।

জিনিস পত্রের দাম কমবে
মধ্যবিত্ত বাজেট দেখে
বেতন দিতে মাহিনা শেষ
সংসার বাঁচাতে নাভিশ্বাস।

পুরানো সেই গতে চলে
বদলায় না কোনো কিছুই
সালটা শুধু বদলে যায়
বদলায় না সমাজ জীবন।

বনভোজনের সেকাল একাল – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

শীতের রোদে সবাই মিলে
মাততো সবাই বনভোজনে
ইচ্ছে খুশি নিজের মতো
রান্না বান্নার করতো আয়োজন।

বাড়ি থেকে আসতো চাল
মশলা,ডাল, সবজি,ডিম,
কাঠ কুটোয় আগুন জ্বেলে
মজা লাগতো রান্না করতে।

কারোর বাড়ির উঠোন বা বাগান
এটাই ছিল আমাদের স্থান
মিলতাম সব এক জায়গায়
খেলা, পড়ার সাথী সবাই।

হারিয়ে গেছে সেসব দিন
বনভোজন আজ শুধু পিকনিক
ইটের মতন সবার মন
ক্যাটারিং হয় বনভোজনের।

টাকা দিয়ে পিঠ বাঁচায়
দায়িত্ব সবাই এড়িয়ে যায়
আসে এখন পিকনিকে
নিমন্ত্রিত এই ভেবে।

যীশু খ্রীষ্ট – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে
এসেছিলে এই পৃথিবীতে
মানবের মঙ্গল কামনায় জ্বেলেছিলে
আলোর দীপ আপন হাতে।

জেরুজালেমের অশ্ব শালায়,মধ্যরাতে
তুমি এলে মা মেরীর কোলে
ঘাসের গালিচায় মা আর ছেলে
পিতা জাগ্রত রক্ষীর বেশে।

আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে
দুঃখ সবাই ভুলে গেছে
আনন্দ নগর পরিণত হয়
জেরুজালেমের অশ্ব শালার ঘর।

ধীরে ধীরে তুমি হও প্রিয়
নিন্দা করে বিষাক্ত লোক
ধর্ম তখন ওদের হাতিয়ার
তুমি মানব সেবার বার্তা দাও।

শিশু বৃদ্ধ তোমার প্রিয়
তুমি হলে যীশু খ্রীষ্ট
মহান তুমি ক্রুশ বিদ্ধ
তবুও ক্ষমাই তোমার সেরা সম্পদ।

আমার বাংলা – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

আমার কাছে শ্রেষ্ঠ তুমি
আমার দেখা এমন নারী
পৌষের কম্পন দোলায় হৃদয়
এমন সুন্দরী বাংলা আমার।

খেজুরের রস মেলে যেথায়
নলেন গুড়ের মিষ্টি পায়েস
পিঠে পুলি তৈরি হয়
নবান্ন উৎসব গ্রাম বাংলার।

নতুন ধানের নতুন চালে
সুবাস ছড়ায় ঘরে ঘরে
এমন সোনার বঙ্গ দেশে
আমি সুখী জন্ম নিয়ে

সবুজ ভরা আমার বাংলায়
নদী,পুকুর,বিলে ভরা
শীতের সবজি ভরিয়ে দেয়
মিঠে রোদের সোনালী ছায়া।

ফুল ফোটে আপন মনে
ভ্রমর আসে উড়ে উড়ে
গোয়াল ভরা গরু ছাগল
গোলায় আছে জমা ধান।

জীবনের মানে – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

শোনো আমি বলছি
এই মুহূর্তে তোমাকে
পারবো না টাকা দিতে
আমার হৃদয় নেবে তুমি?

টাকা খরচ হয়ে যাবে
তোমার ভালো কাজের দাম
জমা থাকবে সকলের হৃদয়ে
কোনটা তুমি চাও !

কি হলো চুপ কেন
তোমার কাছে নেই কোন উত্তর ;
আমার কাছে আছে
টাকা নয়, মানুষ চাই মানুষ।

সেই মানুষ যার অহংবোধ নেই
যিনি ভালো বাসতে জানেন
যার আছে বিবেক
আত্মসম্মান বোধ প্রবল,
মোছাতে পারে চোখের জল।

জানো সাবিত্রী আমার আছে একটা মন
সে মনে আছে প্রেম ও ভালোবাসা
জীবনের মানে,নয় গো টাকা।

কবির ভাষায় – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

লিখতে হবে তাই লিখছি
এমন যেন হয় না মতি
পুরস্কারের আশায় লিখে
কবি চাই না হতে।

সমাজ যদি বদলে যায়
তবেই লেখকের লেখা সার্থক
প্রতিভা নিয়ে কথা কিসের
পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

আমার নাম থাকুক না থাকুক
তাতে আমার নেই যে দুঃখ
মনের কথা বলব যখন
অস্ত্র হলো আমার কলম।

উত্তর থেকে দক্ষিণ হয়ে
পূর্ব পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়ুক
সবাই পড়ুন লেখা কবির
সমাজ বদলের ভাবনা আনুন।

নতুন পৃথিবী – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

চলো সবাই হাত মেলাই
গড়ে তুলি নতুন বিশ্ব
সে বিশ্বে থাকবে না কোনো
জাত, ধর্মের, ধনী, দরিদ্রের লড়াই।

সমতল থেকে পাহাড়
চারিদিকে মানুষের কষ্ট
ভালোবাসার এক পৃথিবীর
আমরা লিখবো ইতিহাস।

খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
মেটাবো তার অভাব
প্রমাণ করতে হবেই
গল্প নয়, মানুষ মানুষের জন্য।

কর্ম করবে মানুষ,সততার সাথে বাঁচবে
সবাই থাকবে সুখে
দুঃখ বলে থাকবে না কিছুই
নতুন সূর্য উঠবেই।

প্রকৃতি পরিবেশ হয়েছে আজ কঠোর
বাতাসে ভরা বিষ
গাছ লাগিয়ে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাবো
খরা, বন্যার হাত থেকে বাঁচবো।

আলোর উৎসব – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

আলোর মালায় সাজবে শহর
আসছে আলোর উৎসব
দুর্গা মায়ের অন্যরূপে
দেবী কালীকা পূজা পাবে।

তৃতীয়ায় হবে লক্ষ্মী বরণ
ধনতেরাসে সোনা কেনার ধুম
যে যার ক্ষমতায় আনুক
তার সংসার হোক সোনার মতন।

চতুর্দশীতে চোদ্দো শাঁক
সন্ধ্যায় জ্বলবে চোদ্দো দীপ
পূর্ব পুরুষগণ ফিরে যাবেন স্বর্গে
আশীর্বাদ করতে করতে।

অমানিশায় মায়ের পূজার
সবাই করবে আয়োজন
শ্যামা মা কালো হলেও
তার আগমনে জগৎ আলো।

ভাইফোঁটার জন্য বোনেরা সব
প্রস্তুতি নিচ্ছে তাড়াতে যম
এমন ভাই বোন আছে বাংলায়
আলোর উৎসব সার্থক তাই।

আমার গল্প – সুব্রত চক্রবর্ত্তী [Bangla Kobita Online Read]

সবার ওপর নির্ভর করে
পরগাছা বলে ওদের
ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিকে
জীবন যাপন করে পথে,
ওরা হলো যাযাবর।

সীমানা নেই অসীম আকার
ছোঁয়া যায় না শত চেষ্টায়
দুর থেকে দুরে তাকিয়ে দেখো
নীলাকার বর্ণ তার
ওকেই আমরা বলি আকাশ।

চোখে দেখা যায় না
তবে স্পর্শ যে তার পাই
ওকে ছাড়া জীবন অচল
কখনও শীতল,কভু সে গরম
আমরা বলি বাতাস।

২২শে শ্রাবণ – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

ফিরে ফিরে আসে ২২শে শ্রাবণ
শ্রাবণের ধারার মতন ঝরে
দিনটি কেমন কষ্টে কাটে
রবি ঠাকুরের প্রয়াণের।

চলে গেছেন কবি, বহু বছর আগে
তথাপি তিনি বিরাজ করছেন
গল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপন্যাসে
তারই লেখা দিয়ে, পুষ্পাঞ্জলি দিই।

আমি তাঁর কাছে চির ঋণী
তার লেখাতে পাই প্রেম,প্রকৃতি
কবিতা প্রতিযোগিতার একেক পর্বে
আমি করি স্মরণ তাকে।

জীবন যখন আসে শেষ হয়ে
সবাই কি পারে, তার মতো বলতে
পেয়েছি ছুটি বিদায় দেহ ভাই
সবারে আমি প্রণাম করিয়া যাই।

ঠাকুর পদবী,প্রকৃত তিনি হলেন দেব
বৈশাখে তাকে ঘিরেই আয়োজন
শ্রাবণে মৃত্যু দিবস,হয় স্মৃতি তর্পণ
তোমাকে প্রণাম,সূর্যের অপর নাম, কবি রবীন্দ্রনাথ।

সংশয় – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

হতে চেয়েছিলাম একজন মানুষ
কোথায় মানুষ হতে পারলাম
হয়ে গিয়েছি একটা কুয়োর ব্যাঙ
জীবনের ঘাত প্রতিঘাতে করি ঘ্যান ঘ্যান।

ঈশ্বর আল্লা গড — নৈতিক দায়িত্ব
বিশ্বাস অবিশ্বাসের এক চরিত্র
ভাগ্য, ভূত, ভগবান এটাই কি জীবন
তার বিরুদ্ধে বলা,সেটা কি বারণ?

মানুষ কি সত্যি হতে পেরেছি
না ! তবে মেরুদণ্ড নেই কেন
প্রতিবাদ করলেই আমি অপরাধী
ফল, সভ্য সমাজের থেকে হব বর্জন ।

ভয় পেয়ে গেলাম সারা জীবন
এইবার মারটা জোর খেলাম
বুকে, জ্বলে উঠলো চরম আগুন
নিতে হবে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিশোধ।

এলো সব রকম বাধা, বাক্যবাণে হলাম, জর্জরিত
চিৎকার করে খোলা আকাশের তলায়, কাঁদলাম
প্রবল বৃষ্টিতে হাঁটলাম, আমার চোখের জল
মিশে গেলো বৃষ্টির জলের ধারায়, আমি! পুরুষ।

ভারত পথিক – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

বাংলার বুকে উঠেছিল ঝড়
এসেছেন রাজা এক
নতুন সূর্য হেসে উঠেছিল
হলো, ভারতের নবজাগরণ।

নারী যে মানুষ ভুলেছিল সব
জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করতো
শবের সঙ্গে জীবন্তের হতো
সমাধি অসহায় নারীর ।

মাথায় পড়েছিল লাঠির আঘাত
রক্তাক্ত হয়েছিল শরীর
দমেননি তিনি ছেড়েছিলেন হুঙ্কার
পালিয়েছিল নর পশুদের দল।

লুপ্ত হলো সতীদাহ প্রথা
রামমোহন নয়ত কেবল রাজা
মূর্তি পূজার বিরোধী ঘোর
পূজারী তিনি নিরাকার ঈশ্বরের।

এখানেই স্বর্গ এখানেই নরক
দেখিয়েছিলেন ভারতের পথিকৃৎ
জন্মমাসে জানাই তোমাকে প্রণাম
হৃদয়ে তুমি থাকবে চিরকাল।

আশ্রয় – সুব্রত চক্রবর্ত্তী

ঘর্মাক্ত শরীর অবসন্ন দেহ
ফিরে চলি আপন আলয়ে
নিজের যা কিছু তাই দিয়ে
গড়ে তোলা আমার জগৎ।

স্বপ্ন ছিলো আমার হবে
ধীরে ধীরে করেছি সঞ্চয়
রক্ত ঘাম মিশেছে মাটির সাথে
গড়ে তুলেছি নিজের ঘর ।

কতো বাঁধা পেরিয়ে লক্ষ্য পূরণ
আপনার মতো থাকব বলে
এসেছে কতো ঝড় ভেঙ্গে দিতে
অচল থেকেছি সুখের প্রাসাদ গড়বই।

আছি সুখে পরিবার নিয়ে
সুখনীড় আমার আজ হয়েছে
আশ্রয় আমার হোক না কুটির
বালি সিমেন্টের থেকেও দামী সে অনেক।

সুব্রত চক্রবর্ত্তী | Subrata Chakraborty

Bengali Article 2023 | দুর্গা পূজার কথকতা | প্রবন্ধ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | বৃন্দাবন ঘোষ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Novel 2023 | স্টেশন কান্তার (২য় পর্ব) | উপন্যাস ২০২৩

Emblem of Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতীকের অর্থ | নক্‌শা ও তাৎপর্য | 2023

পালা বদলের শেষে | নতুনের আশায় | বনভোজনের সেকাল একাল | যীশু খ্রীষ্ট | আমার বাংলা | জীবনের মানে | কবির ভাষায় | নতুন পৃথিবী | আলোর উৎসব | আমার গল্প | ২২শে শ্রাবণ | সংশয় | ভারত পথিক | আশ্রয় | আজ ২২শে শ্রাবণ | বাইশে শ্রাবণ | মুভি রিভিউ: ২২শে শ্রাবণ | ২২শে শ্রাবণ কেন স্মরণীয় | বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস | ২২শে শ্রাবণ শ্রদ্ধার্ঘ্য ২০২২ | সংশয় শব্দের অর্থ | সংশয় নিরাস | ভারত পথিক | ভারত পথিক কাকে বলে | ভারত কল‍্যানে ভারত পথিক | ভারতের নবজাগরণে | ভারত পথিক রামমোহন | ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায় | আশ্রয় শব্দের অর্থ | আশ্রয় এনজিও | আশ্রয় প্রার্থী অর্থ | আশ্রয় সমার্থক শব্দ | আলংকারিক অর্থে আশ্রয় | আশ্রয় বাক্য রচনা | আশ্রয় ও অন্নসংস্থান অর্থ | আশ্রয় বিপরীত শব্দ | আপনার কাছে জীবন মানে | জীবন মানে কি কবিতা | জীবন মানে সংগ্রাম | বাস্তব জীবনের মানে কি | জীবন এর সংজ্ঞা | জীবন মানে কি উক্তি | সময় ও জীবন | জীবনের বৈশিষ্ট্য | জীবন মানে যুদ্ধ | কবিতার ভাষা কবির ভাষা | কবিতার ভাষা ও নির্মাণ কৌশল | কবির ভাষায় বঙ্গবন্ধু | কবির টিকা | কবির কে ছিলেন | কবিরের দোহা কি | কবি কাকে বলে | কবীর | কবির সম্পর্কে একটি টীকা লেখ | কবিরের দোহা বাংলা | কবির ভাষায় প্রধানমন্ত্রী | নিরাশায় নতুন পৃথিবী | রাখি বন্ধন উৎসব | দোল পূর্ণিমা | হোলি শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে | কালী পূজার নিয়ম | হোলিকা কার বোন | ভাইফোঁটার প্রচলন | হিন্দুদের হলি খেলার ইতিহাস | কালী পূজার বই | তোমার আমার গল্প | আমার গল্প শুনে | আমার গল্প ২ | বিভিন্ন গল্প | ছোট গল্প | হাসির গল্প | পেম গল্প | ডাইরির গল্প | সুন্দর গল্প | গল্পের লিংক | গল্প তোমার আমার | দিন বদলের পালা | দিক বদলের পালা শেষে | কবিতার পালা বদল | দিন বদলের কাহিনী | পালা বদল | পালা বদলের কবি এনায়েত হোসেন | বনভোজন চড়ুইভাতি পিকনিক | হুজুগের সেকাল-একাল | পরিবারের একাল–সেকাল | বিয়ে বাড়ির একাল সেকাল | সালামি প্রথার একাল সেকাল | ছেলেবেলার একাল আর সেকাল | বিষাদের ছায়ায় | যেভাবে সাজাবেন নতুন বছর | হ্যাপি নিউ ইয়ার | রামাযান ও বর্ষবরণ | যীশু খ্রীষ্ট কে | যীশু খ্রীষ্টের জীবনী | যীশু খ্রীষ্ট জীবনী | যিশুর জীবনী | যীশু খ্রীষ্ট জন্ম স্থান | যীশু খ্রীষ্ট ৰ বিষয়ে | যীশু খ্রীষ্ট রচনা | যীশু খ্রীষ্ট অসমীয়া | যীশু খ্রীষ্ট কে | যীশু খ্রীষ্ট কত সালে মৃত্যু | যীশু খ্রীষ্ট কবিতা | যীশু খ্রীষ্টের ৫টি নাম ও তার অর্থ | যীশু কেন মৃত্যুবরণ করেছিলেন | যীশু এবং ইসলাম | যিশুর বংশতালিকা | ঈশ্বর এবং যীশু খ্রীষ্ট ওয়ালপে | যীশু খ্রীষ্ট কাল | করুণাময় যীশু খ্রীষ্ট রচনা | ভারতে এসেছিলেন যীশু খ্রিষ্ট | যীশু কি নবী ছিলেন | যিশু হিন্দু ছিলেন | মহামানব যীশুখ্রীষ্ট | আমার বাংলা অ্যাকাডেমি | দৈনিক আমার বাংলা | আমার বাংলা ফন্ট ডাউনলোড | আমার বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর | আমার বাংলা সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রশ্নোত্তর | আমার বাংলা কবিতা | আমার বাংলা সুভাষ মুখোপাধ্যায় | আমার বাংলা ক্লাস ১২ | আমার বাংলা পড়া ১ | আমার বাংলা ব্লগ | আমার বাংলা বই | আমার বাংলা ক্যালকুলেটর | তৃতীয় শ্রেনীর বাংলা বই | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | High Challenger | Sabuj Basinda

Leave a Comment