Best Bangla Kobita Media | Bengali Poetry Style

Sharing Is Caring:

Bangla Kobita Media – Talal Uddin

আমি সত্য ও পৃথিবী – তালাল উদ্দিন

সত্যের আকাঙ্ক্ষা আছে
প্রতিটি মানুষের মনে
তবু, সত্যের স্বর্গীয় সুধা পান করে
হাতে গোনা ক’জনে।
জানি, আমার মনে ও আছে
সত্যের আকাঙ্ক্ষা
সত্যের গোপন খোঁজে
পাড়ি দেব সাগর মহাসাগর
এ মোর শেষ কামনা।
কিন্তু, সত্যের বেসাতি অল্প
তার নেই কোন তীক্ষ্ণ ফলা
হালের পৃথিবীতে সত্য এক
অনাদরহীন কাফেলা
আমি সত্যের কবি
গেয়ে যাই সত্যের গান
সত্যের একেকটি ক্ষুদ্র কণা
আমার কাছে স্বর্গের সমান।।

তারা হল রাত – তালাল উদ্দিন

১.

তারা হল রাত আমার
তারা হল রাত
বেদনা আমারে দেয়
অপার অবকাশ
জীবন পথে
আঁধার হয়ে
ছুটে চলার সাধ
ওঠব শুধু তারার নায়ে
ধরব তার হাত।
বেদনার রঙ্গিনে
স্বর্গের গহিনে
বাতচিত হবে কিছু
সে জগৎ যে আমার
তারা হল রাত আমার
তারা হল রাত
বেদনা আমারে দেয়
অপার অবকাশ।।

২.

সন্ধ্যা মূর্তি নিয়ে বসি
আঁধার জপ করি
তারার নাচন দেখে দেখে
জীবন পথে চলি
আমার জীবন
সে তো তারার আয়োজন
আমার জীবন
সে তো তারাদের কাহন
মননের রঙ্গিনে
কলবের গহিনে
বাতচিত হবে কিছু
সে জগৎ যে আমার
তারা হল রাত আমার
তারা হল রাত
বেদনা আমারে দেয়
অপার অবকাশ।

আমিত্ব – তালাল উদ্দিন

১.

আমার ভুবনে আজ
আমিই আপন
আমি ছাড়া কেউ নেই
আমিই রাজন
যতক্ষণ শ্বাস আছে
জাহ্নবী তটে
আলো বিলিয়ে দেব
সব দুঃখীজনে।।

২.

এ স্বপ্নটা ধীরে ধীরে
দেখে যাব আমি
স্বপ্নের হিমালয়ে
আমি শুধু আমি
আমি ছাড়া কেউ নেই
পৃথিবীতে আর
আমিই লিখিত বাণী
মথি-সমাচার।।

৩.

আমিই কাব্যকথা
নদেরের প্রাণ
আমিই শুনাতে পারি
বুক ভরা গান,

যতক্ষণ শ্বাস আছে
জাহ্নবী তটে
পৃথিবীর জঞ্জাল সব
যাব সাফ করে।

৪.

এ স্বপ্নটা ধীরে ধীরে
দেখে যাব আমি
আমিই আ’নাল হক
নীলকন্ঠ পাখি,
প্রতিদিন স্রষ্টা প্রেমে
ফানাফিল্লাহ্ হই
আমিই মহামুনি
সবলোকে কয়,
যতক্ষণ শ্বাস আছে
জাহ্নবী তটে
পাপীদের হৃদয় ধুলে
স্বচ্ছ আয়না হবে।।

নামাজ (২য় কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

পড়গে নামাজ জেনে শুনে
নিয়ত বাঁধগা মানুষ মক্কাপানে
মানুষে মনস্কামনা
সিদ্ধি কর বর্তমানে
খেলছে খেলা বিনোদ কালা
এই মানুষের তন ভুবনে।।

— ফকির লালন শাহ।

১.

মন হল সে ব্যাপারী
করে পাপ পুণ্যের আড়তদারি
পাপ বেরুলে
দিবে তালা
ছাড়বে না
ছাড়বে না
মানুষের জন্য যেন হয় না
তোর নামাজ
মানুষের জন্য যেন হয় না।।

২.

ছোটখাটো আহকামগুলো
হাদিসে যা আছে জানি
সবকিছু মানবে সঠিক
ছাড়বে না
ছাড়বে না
মানুষের জন্য যেন হয় না
তোর নামাজ
মানুষের জন্য যেন হয় না।।

৩.

সাত আসমান সাত জমিন
গ্যালাক্সির পর
শত গ্যালাক্সি
আর সবুজ শ্যামল এ পৃথিবী
সবই হল মানুষের লাগি
সে কথা ভুলবে না
ভুলবে না
তোর হাতে আছে নামাজের চাবি
“বিসমিল্লাহ ” না বলিয়া খুলিস না
খুলিস না
মানুষের জন্য যেন হয় না
তোর নামাজ
মানুষের জন্য যেন হয় না।।

৪.

পড়গে নামাজ জেনে শুনে
খোদার ঐ আশিস পেতে
মানুষের জন্য যেন হয় না
তোর নামাজ
মানুষের জন্য যেন হয় না।।

পরাণ পঙ্কীরে – তালাল উদ্দিন

১.

পরাণ পঙ্কীরে
কেন তুমি আইলায় ভুবনে?
তুমি দিবানিশি
রোদন করো
বন্ধুয়ার স্মরণে
কেন তুমি আইলায় ভুবনে
পরাণ পঙ্কীরে
কেন তুমি আইলায় ভুবনে।।

২.

সংসার করো এমনি করে
বেশ্যা নারী যেমন করে
সারাদিন টুংটাং করে
মন থাকে তার নাগরে,

কেন তুমি আইলায় ভুবনে
পরাণ পঙ্কীরে
রোদন করো
বন্ধুয়ার তরে।।

৩.

জীবনের সাধ মেটাতে গিয়ে
কত ধুলো লেগেছে
কত কালি মনের মধ্যে
আপনা আপনি বসেছে,
হৃদয়ের কালি মুছে
আয়নায় দেখো নিজেকে,

কেন তুমি আইলায় ভুবনে
পরাণ পঙ্কীরে
রোদন করো
বন্ধুয়ার তরে।।

৪.

তত্ত্বজ্ঞানী মানবেরা
কত তত্ত্ব রচেছে
স্রষ্টা প্রেমের বড় তত্ত্ব
রচিতে কি পেরেছে?
প্রেম সত্য
প্রেম রত্ন
প্রেমিক মনে বিশ্ব ধরে রে,

কেন তুমি আইলায় ভুবনে
পরাণ পঙ্কীরে
রোদন করো
বন্ধুয়ার তরে।।

মান্ধাতার পৃথিবী – তালাল উদ্দিন

১.

যখন আঁধারে ডুবে মেলে ধরা আশা
কূলে একা বসে থাকি, খুঁজি ভরসা
মান্ধাতা খেলে তার আচানক খেলা
বেদনার বালুচরে আমি একেলা।।

২.

নীড় ভাঙ্গা পাখি খুঁজে বেদনার গান
বিপন্ন প্রাণী খুঁজে কিছু পরিত্রাণ
এমন দূষিত জীবন দিতে চায় ওরা
বেদনার বালুচরে আমি একেলা।

৩.

জল তরঙ্গে তুলি জাগরণের গান
আশার পানে ছুটব- এই তো জীবন
তবু তারা পাঁক তুলে আনে ক্লেদাক্ততা
বেদনার খেয়াঘাটে আমি একেলা।।

৪.

মান্ধাতার পৃথিবী আমার শত্রু
সকল উন্নতির হয় অন্তরায়
তাই এ জীবনে পেলাম মন্তরগতি
আমাকে জ্বালিয়ে যাবে মরণ অবধি।।

ধরণীর খেল – তালাল উদ্দিন

ধরণী যারে ডুবিয়ে দিয়েছে
কী করে তারে ভাসাবো আমি
আমি তো আর গাণ্ডিবধারী অর্জুন নই,
যে সকল খেলা হেলায় তুচ্ছ করে
জীবন দিয়েছে অন্যের তরে
তাকে কী করে ফিরাব আমি
আমি তো আর গাণ্ডিবধারী অর্জুন নই।।
এ পৃথিবীর কাজ অনেক বিশাল
মহান তার আয়োজন
আমি এ ক্ষুদ্র মানব
এত কিছু তাই বুঝি না ভাই
ধরণী যার প্রতিপক্ষ
তাদের কোন বিচার নাই,
ধরণী যারে ডুবিয়ে দিয়েছে
কী করে তারে ভাসাবো আমি
আমি তো আর গাণ্ডিবধারী অর্জুন নই।।

নিয়তির খেলে আজন্ম পাপে
যারা পড়ে রয়েছে পেছনের মঞ্চে
জানি, সোনা পুড়ে পুড়ে খাঁটি হয়
কিন্তু, সামনের মঞ্চে কেন বসে থাকে
ভণ্ড আর অকিঞ্চিৎকর জন?
পৃথিবীর কাজ বড়ই অদ্ভুত
এ রকম অনেক প্রশ্নের জবাব নাই
আমি ভালোবাসি পেছনের মঞ্চ
তাই আমার কোন চিন্তা নাই।
ধরণী যারে ডুবিয়ে দিয়েছে
কী করে তারে ভাসাবো আমি
আমি তো আর গাণ্ডিবধারী অর্জুন নই।।

টীকা

গাণ্ডীব – গাণ্ডীব হল অর্জুনের ঐশ্বরিক ধনুক, যিনি হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের পাণ্ডবদের মধ্যে একজন। ধনুকটি ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন।ধনুকটি ১০৮টি স্বর্গীয় রজ্জু নিয়ে গঠিত, এটি দুর্দান্ত শক্তিতে পরিপূর্ণ ছিল এবং বিশ্বাস করা হয় যে এক লক্ষ ধনুকের শক্তি রয়েছে।

তরণী – তালাল উদ্দিন

দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী?

মনে মনে মিল যে হবে
মনে তো কেউ আসেনি
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী।।

আলোর রথে সদা চলি
তবু আঁধার ঘুচেনি
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী

দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী।।

বিরহ যে ভালোবাসি
নিজের দোষে নিজেই হাসি
তবু, আশা পাল তুলেনি
হৃদয়ের দ্বার খুলেনি
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী

দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী।।

মহাসাগরে ভেসে চলি
আকাশ ঢেউয়ে কেমনে বাঁচি
ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে
খুঁজে ফিরি তটিনী
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী

দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
দুঃখটা দিয়া মোরে দিলা না’ক তরণী
ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী
ও ধরণী, কোন বা পথে পাব সঙ্গিনী।।

সেকাল ও একালের শকুনিরা – তালাল উদ্দিন

শকুনি মামারা বড় ভয়াবহ
ছলনা তাদের আশ্রয়
আর ষড়যন্ত্র বড় অস্ত্র
সত্য, সুন্দর ও ধর্ম
তাদের ভালো লাগেনা
ওতে তাদের যমের অরুচি
অর্জুনদের তারা পুড়িয়ে মারতে চায়
কূটকৌশলে জতুগৃহে নিয়ে
এটাই তাদের বীরত্ব।
মাঝে সাঝে তারা সফল ও হয়
পাশার দানে পেয়ে যায়
বড় কোন রাজত্ব।।

এ যুগের শকুনি মামারা আরো ভয়াবহ
সব কুসীদজীবী, দালাল, মুনাফাখোর
লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর নারীবাদীরা
এক হয়ে যায় স্বার্থের তরে
আর উড়িয়ে দেয় তাদের স্বার্থ ধ্বজা
এভাবে কামাতে চায় তারা নাম-ডাক
কেউ কেউ হয়তোবা পেয়ে ও যায়
আর কেউ কেউ প্রয়োগ করে
তাদের ব্রহ্মাস্ত্র গলাবাজি ও স্টান্টবাজি
আর ঘটিয়ে দেয় বড় কোন ঘটনা।

সত্য, সুন্দর ও ধর্ম এদের ও ভালো লাগে না
ওতে তাদের যমের অরুচি
ভয় পায় তারা এ দেশের মূল্যবোধ
সংস্কৃতি, সভ্যতা, বিবেক
আত্মসংযম, মনুষ্যত্ববোধ ও ন্যায়পরায়ণতা
তাই কুট কৌশলে জতুগৃহে নিয়ে
এসব তারা পুড়িয়ে মারতে চায়।।

সৈকতে থাকা সত্যের পদচিহ্ন
যদি ঢেউ এসে মুছে দেয়
তবে কি সত্য সেখানে কোনকালেই ছিল না?
স্বয়ং বিচার করুন।

শকুনি – শকুনি হলেন মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র। প্রথমদিকে, তিনি ছিলেন গান্ধার রাজ্যের যুবরাজ। পরবর্তীতে, শকুনি, তাঁর পিতা রাজা সুবলের মৃত্যুতে গান্ধার রাজ্যের রাজা হন। তিনি হলেন হস্তিনাপুরের রাজা ধৃতরাষ্ট্রের রাজমহিষী গান্ধারীর বড়ভাই এবং কৌরবদের মামা। তিনি বুদ্ধিমান, ধূর্ত এবং বিপথগামী, কপট ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিত্রিত।।

চন্দ্রাবতী – তালাল উদ্দিন

যেদিন আশার খেয়া
চলে যাবে দূরে
তারও সাথে চন্দ্রাবতী তুমিও

সেদিন সিগারেট ফুঁকে
কিংবা দেশি মদ গিলে
মাতাল হব না একটু খানিও
এ যাবৎ আমি অনেক কষ্ট সহেছি
বরং সহে যাব আরো
আমাকে যে মানতে হবে ডিসিপ্লিনের আদি নক্ষত্র।।

চন্দ্রাবতী
অনেক স্বপ্ন ছিলো তোমাকে নিয়ে
দেখব HD-5628 এর আদি-অন্ত
অথবা পাড়ি দেব জীবনের কণ্টকাকীর্ণ পথও
আদতে কিছুই করা হয়নি
শুধুমাত্র নিপাট ভদ্রলোক হওয়া ছাড়া
আমাকে তাই ক্ষমা করে দিও।

যেদিন সব প্রেম চলে যাবে দূরে
তারও সাথে চন্দ্রাবতী তুমিও
সেদিন হতাশার মেঘগুলো হবে না জড়ো
এ হৃদয়াকাশে একটুখানিও
আর দেবদাস হয়ে যাবার তো প্রশ্নই ওঠেনা।

তুমি ভালো থেক সুখে থেক
সে কামনাই অবিরত
যে চলে যেতে চায়
তাকে ধরে রাখার যন্ত্রণা
একেকটা মরণের মতো।।

মুখপোড়া নিয়তি – তালাল উদ্দিন

উদভ্রান্ত কান
আর কিছু অলস দৃষ্টি সম্বল করে
হিজিবিজি ম্যাপটাকে
কমলা টুপিটার ভেতরে গুজে
বহুদূর হেঁটেছি গো আমি
বাংলার পথে পথে
বহু অলস দুপুরে।
বুঝিবা শত সহস্র স্বপ্নের ও অতীতে
এক যুগ ভেবেছি আমি
নানা দুঃসহ স্মৃতি রোমন্থন করে
আর বার বার আওড়িয়েছি মনে মনে
কেন মানুষ বন্দী রবে মুখপোড়া নিয়তির কাছে?

আঁধারের ছলনায় না পড়ে
“অহং রাষ্ট্রী” মন্ত্র ছেড়ে যে মানুষ
চলেছে আলোর পথে
তার পথে কেন পড়বে
চিলেরা, শকুনেরা,
আর বখে যাওয়া মানুষেরা
পোড় খাওয়া এ আমি যতটুকু
বুঝেছি এ জীবনে
মানুষ কী চিরকাল বন্দী রবে
মুখপোড়া নিয়তির কাছে?

কে অপরাধী? – তালাল উদ্দিন

১.

নিয়তিকে প্রশ্ন করি
শ্যারন মাঝি ধরি
যারে আমি ঠকিয়েছি
তারে কী চিনি?
সে বলল, ফিরে দেখো
অহংকার ছাড়ি
পিছনে ফিরে দেখি
সে তো হলাম আমি।।

২.

আঁধারের রথে চড়ি
আঁধারই সাথী
আঁধারের পৃথিবীতে
নিষ্পাপ আমি,
কাঠের চশমা ছেড়ে
স্বচ্ছ জল আনি
আমার দোষের ওজন
পৃথিবীর ও ভারি।।

৩.

জগতের সব ধন-রত্ন
নীলকান্তমণি*
আমি রাজাধিরাজ
এর অধিকারী আমি,
জীবনের শেষ প্রান্তে
জরা-মৃত্যু আসে
আমার পাপের সম্পদ
আমারেই মারে।।

৪.

জগতের সব সুখে
হতে চাই সুখী
অন্যের সুখ কেড়ে
আমি সর্বসুখী,
আসলে সুখ কী?
তা কী জানি আমি
মনে যার শান্তি আছে
সেই হল সুখী।।

৫.

বংশ গৌরব রক্ষা করতে
হত্যা দিয়ে পড়ি
কত নগর কত গ্রাম
ধ্বংস করি,
জীবনের সায়াহ্ন এলে
মনে কষ্ট পাই,
রাজবংশ ক্ষয়ে যায়
গৌরব হারায়।।

পৃথিবীর কোন কিছু
নয় চিরস্থায়ী
কর্মফল ভোগ করবে
হবে যারা পাপী।।

নীলকান্তমণি:

নীল আভাযুক্ত কোরান্ডাম গ্রুপের রত্ন বিশেষ। এটিকে আরবি, ফার্সি, ও উর্দুতে ইয়াকুত বলে। বাঙলা ও সংস্কৃতিতে এই রত্নটিকে নীলকান্তমণি বলে। এটিকে চলতি বাঙলায় নীলা বলা হয়।

অতীত স্মৃতি রোমন্থন – তালাল উদ্দিন

(অতীত স্মৃতি রোমন্থন মানুষকে আশাবাদী এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কম দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা গেছে, নস্টালজিয়া অর্থাৎ স্মৃতিকাতরতা শুধুমাত্র অতীতকে ঘিরে থাকা স্মৃতিময় আবেগ নয়, বরং ভবিষ্যৎ জীবনে আশাবাদী হতে সাহায্য করে। সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর টিম ওয়াইল্ডসচাট এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন এবং তিনিই গবেষণাপত্রটি লিখেন। Source: The Dhaka Times)

১.

অতীত আমার মনের কোণে
জ্বালায় আগুন সঙ্গোপনে
কোন বা পথের ধারে গেলে
খুঁজে পাব তারে
ও মন, খুঁজে পাব তারে।।

২.

গাঙ্গ শালিকের ডানায় চেপে
মাড়োয়ারির রুক্ষ বেশে
খুঁজি তারে পাতালে আসমানে
তাহার দেখা পেতে
ও মন, তাহার দেখা পেতে।।

৩.

মনে বইত কষ্ট জোয়ার
সে জোয়ারের নেই ভাটা আবার
কোথা হতে উদয় হত
পঙ্গপালের দল,
তারা বিছাত পথে কাঁটা
ক্ষত বিক্ষত হত এ পা
জীবন মরণ দিতে হতো
তাদের চরণে।।

৪.

অতীত আমার মনের কোণে
জ্বালায় আগুন সঙ্গোপনে
কোন বা পথের ধারে গেলে
খুঁজে পাব তারে
ও মন, খুঁজে পাব তারে।।

পিরীতি আজ ধরছে আমারে – তালাল উদ্দিন

‘‘প্রেমে ঢর ঢর দু’নয়ন।। পিরীতি মূরতি মানি, শ্যামল বরণ খানি।’’–রামদাস কাটিয়া বাবাজী।

১.

জীবন যৌবন
ধন-মান
লক্ষ কোটির
অমূল্য প্রাণ
দিলাম তোমার চরণে
শোন বন্ধুরে
পিরীতি আজ ধরছে আমারে।।

২.

পিরীতি হল
গলার দড়ি
নিতে হবে
এবার ফাঁসি
তোমার আমার পরাণে
শোন্ বন্ধুরে,
পিরীতি আজ ধরছে আমারে।।

৩.

সমুদ্রের পানি
বানাব কালি
লিখে যাব
তোমার নাম
জনম জনম ধরে রে
পিরীতি আজ ধরছে আমারে
শোন্ বন্ধুরে
পিরীতি আজ ধরছে আমারে।।

৪.

নিতি জপি তোমার নাম
প্রতি নিঃশ্বাসে
তোমার মহিমা খুঁজি
জগৎ মাঝারে,
তুমি মহান
তুমি বিশাল
তাই এ ক্ষুদ্র প্রয়াস
দিলাম তোমার চরণে
পিরীতি আজ ধরছে আমারে
শোন্ বন্ধুরে
পিরীতি আজ ধরছে আমারে।।

আমার পৃথিবী – তালাল উদ্দিন

১.

আমার চাঁদটা রাহুগ্রস্ত
আর সূর্যটা রক্তিম আভা
আমি যদি কোন মহাসাগরে
নাও ভাসাই
তবে অসংখ্য ঝড়েরা
দেয় হানা
আমি কী এতই দুর্ভাগা
যাকে এক বিন্দু ও
ছাড় দেয়া যাবে না
পৃথিবীটা কেন এত নিষ্ঠুর?
জানি না তো দাদা।।

২.

মাঝে মাঝে মনে হয়
জীবনটা হল
বানরের তৈলাক্ত বাঁশ
বেয়ে ওঠার মত
তাই মাঝে সাঝে কেটে যায়
জীবনের ছন্দ,
তবু, আবারো উঠে দাঁড়াই
নৌকার পাল তুলি
আর ছেড়ে দেই হাওয়া
তখনই রাহুর দল এসে দেয় হানা,
আমি কী এতই ভঙ্গুর
যাকে ভাঙ্গার আয়োজন ছাড়া
আর কিছু ভাবা যায় না
পৃথিবীটা কেন এত নিষ্ঠুর?
জানি না তো দাদা।।

আলিশান বাড়ি – তালাল উদ্দিন

১.

আলিশান বাড়ি
তবু, সুনসান নীরবতা
বীণা আছে তান নেই
ধু ধু সব আশা।
যার জোরে চলে সেটি
সে-ই খেলে পাশা
আলিশান বাড়ি তবু
টিকে যাবে দাদা।

২.

সেদিন চুপটি করে
ভেতরের ঘরে
দেখা হয়ে গেল বড়
মালিকের সাথে,
সালাম আদাব টুকে
ফাঁদলাম কথা
আপনার প্রিয় মালী
শশীথারু বর্মা
মারা গেছে কাল রাতে
তার জন্য চাই আমি
এক টুকরো জায়গা।।

(আমি তাকে বললাম যে আমার ছেলে আপনার বাড়িতে ২০ বছর ধরে মালির কাজ করেছে খুব বিশ্বস্ততার সাথে। তার শেষ ইচ্ছা ছিল এ বিশাল বাড়ির কোন এক কোণে তার যেন সৎকার হয়)

৩.

বুঝিবা আমার কথা শুনে
চটে গেলেন বেচারা
না বোঝার ফসল বলে এটা
তাই কর্কশকন্ঠে
বলে গেলেন তাড়াতাড়ি
আমার বাড়ি কি তবে
ছোটলোকের জায়গা?
কথা শুনে মন আমার
হয়ে গেল খারাপ
চোখ ওঠল ছলছল করে
তাই বাড়ালাম পা
পুঁজিবাদ এত নিষ্ঠুর
আগে তা জানা ছিলো না।
দেখি, আমি আলিশান বাড়ি
জানি টিকে যাবে দাদা
এ বাড়ির প্রতিটি ইটে
মিশে আছে
গরীবের রক্ত আর কাঁদা।।

বৃত্তে বন্দী জীবন ও এক মুঠো রোদ্দুরের আশা (১ম কিস্তি)

১.

দিনের অন্বেষণে রাত
হাপিত্যেশের লাল চোখে
হতাশার অগ্নি হল দ্রুত উদগিরণ
কখনো খুঁজে নি সে
বেঁচে থাকার যৌক্তিক কারণ।।
দিনমণি সারাদিন বিলান আলো
তবু সৈন্ধবলবণ পড়ে
সোনালি গতরের ওপর
তাই মেটেনি তার কোন অভিলাষ
কখনো নেয়নি সে
বেঁচে থাকার যৌক্তিক প্রয়াস।।

২.

হাকন্দ পুরাণ* ঘেঁটে
প্রতিদিন খুঁজে ফেরে
ময়ূর ভট্টের* কাব্য,
অভিজ্ঞতার বহরে যোগ হয়
যখন দেখে
আধুনিক ক্ষয়িষ্ণু মূল্যবোধ
মানুষদের ভন্ডামি
বারবণিতাদের নষ্টামি
আর মেকি রঙচঙা দেহ,
মনে করে জীবন তার চির অভিশাপ
কখনো বুঝেনি সে
কেন হয় দুঃখের চাষ?

৩.

সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে
সবকিছু থেমে যায়
কালো আত্মারা
কালো উত্তরীয় গায়ে
হয়ে যায় জড়ো,
তবুও সবকিছু
থেমে থাকেনা
রাতের গভীরে
স্বপ্নরা হয়ে যায় জড়ো।
এভাবে লব্ধ হবে তার
আরাধ্য মঞ্জিল
যেথায় থাকবেনা কোন পাপ,
সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ
আর নষ্ট হওয়ার কষ্ট
পূরণ হবে তার সাধ
পৃথিবীতে থেকে পাবে
অমরাবতীর স্বাদ।।

[বৃত্ত হচ্ছে সরলরেখাকে পুলিশি করার এক চেষ্টা। আমিও এখানে সে রকম এক চেষ্টা তদবির করেছি মাত্র।]

১. হাকন্দ পুরাণ :

ময়ূরভট্টই হাকন্দ পুরাণ রচনা করে ধর্মমঙ্গল-কাব্যধারার প্রবর্তন করেন বলে যে প্রসিদ্ধি আছে, তা সত্য হলেও আজ পর্যন্ত হাকন্দ পুরাণ’-এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত না হওয়াতে ময়ূরভট্ট-বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। কেউ কেউ ময়ূরভট্টকে ‘সূর্যশতক’ নামক শতক-কাব্য রচয়িতা ময়ূরভট্টের সঙ্গে একীকৃত করে থাকেন-কিন্তু এ বিষয়ে নিঃসন্দেহে কিছু বলা সম্ভব নয়। ময়ূরভট্ট রচিত বলে ‘শ্রীধর্মপুরাণ’ নামে যে গ্রন্থ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছে, তা জাল বলে প্রমাণিত হওয়ায় এর সাহায্যে ময়ূরভট্টের প্রতিভা বিচার অসম্ভব।

২. ময়ূর ভট্ট :

ধর্মমঙ্গলের আদি কবি ময়ূর ভট্ট। তাঁর কাল খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক বা এর কাছাকাছি অনুমান করা হয়, কিন্তু তাঁর কাব্যের নিদর্শন পাওয়া যায়নি। তাঁর পরের কবি রূপরামের কাল ষোলো শতক এবং মাণিকরাম গাঙ্গুলির কাল সতেরো শতকের মধ্যভাগ ধরা হয়।

অন্ধ – তালাল উদ্দিন

১.

অন্ধ তার তর্জনী তুলে
আমাদের বুঝাচ্ছে সব
এ হল সত্যের চাদর
যার প্রতিটি বুননে লেখা
মানুষ হল অমর
অথবা
কোন এক হুডখোলা রিকশার
পাশে দাঁড়িয়ে
আমাদের সবক দিচ্ছে বেশ
এ হল দ্রুতগতির খেয়াযান
যা দিয়ে পাড়ি দেয়া যায়
মহাশূন্যের সব
ডিমোস, ফিবোস, টাইটান- সব সব
হাঁ করে তাকিয়ে থেকে
আমাদের গিলতে হয় এসব
আমরা ও যে একেকজন চরমাত্রার গোয়েবলস*।

২.

আর যখন চৈত্রের দুপুরে
দরদর করে ঘাম ঝরে
সোনার গতর হতে
তখন অন্ধ ফের তার তর্জনী তুলে বলে,
পৃথিবীটা এখন ঘন কালো
তোমরা সবে আগুন জ্বালো
তোমরা সবে আগুন জ্বালো।
আমাদের চোখ থেকেও নেই
মস্তিষ্ক থেকেও বিবেক ও বুদ্ধি নেই
আমাদের ও তাই বলতে হয়ঃ
পৃথিবীটা এখন ঘন কালো
তোমরা সবে আগুন জ্বালো
তোমরা সবে আগুন জ্বালো।।

গোয়েবলস :

গোয়েবলস ১৯৩৩-৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং ইহুদি বিরোধী তৎপরতার জন্য তিনি কুখ্যাত ছিলেন। জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক আক্রমণ সূচিত হয়েছিল তাতে তার হাত ছিল এবং এর ফলেই সেখানে ব্যাপক ইহুদি হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়।

তালাল উদ্দিন | Talal Uddin

New Bengali Story | দরজা | শুভাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

Bengali Story 2023 | ভবতোষ মাস্টার | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Story 2023 | কর্ণফূলী | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Story 2023 | নিষিদ্ধ আনন্দ | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bangla Kobita Abritti Songs | Mixed Kobita Bengali Kobita | Sound of bangla kobita lyrics | Sound of bangla kobita in english | Sound of bangla kobita mp3 download | bluetooth bandopadhyay kobita | bratati bandyopadhyay kobita lyrics | bratati bandopadhyay kobita mp3 download | Bangla Kobita Abritti | Best Bangla kobita MP3 Songs | Kobor Bangla Kobita.mp3 | Hits of Bratati Bandopadhyay | Bangla kobita music | Bangla Audio Book | Esho Abritti Kori | Bengali Recitation | Kobita Lyrics Poetry In Bengali | Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Bangla Kobita Media 2024 | Poetry Collection | Book Fair 2024 | bengali poetry | bengali poetry books

Bangla Kobita Media pdf | Bengali Poem Lines for Caption | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Bangla Kobita Media Ebook | poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2023 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Bengali Poem Lines for Caption in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bengali Poetry Folder | Best Bengali Poetry Folder 2023

story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2023 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | Bengali Poem Lines for Caption crossword | writing competition | writing competition malaysia | Bengali Poem Lines for Caption in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bengali Poetry Folder pdf | Trending Bangla Kobita Media | Bangla Kobita Media – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield

spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | English Literature | Bangla Kobita Media examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | Bangla Kobita Media Ranking | positive Best Bangla Kobita Collection | Bengali Poem Lines for Caption about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | freedom poem | sad poetry about life

Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | New Bangla Kobita Media | Writer – Bangla Kobita Media | Top Writer – Natun Bangla Kabita 2023 | Top poet – Natun Bangla Kabita 2023 | Poet list – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Archive – Bangla Kobita Media | Bangla Full Kobita | Online Full Kobita Bangla 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Poetry Video Collection | Audio Poetry Collection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Bangla Kobita Media | Best Poems of Modern Bengali Poets | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Bengali Poetry Libray in pdf

Autograph of Bengali Poetry | India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top Poems of Modern Bengali Poets | Bangla Kobita in Live | Live Bangla Kobita Media | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Youtube Poetry Video | Best Bangla Kobitar Live Video

Live Video Shabdodweep | Bengali to English Poetry | English to Bengali Poetry | Bengali Literature | Full Bengali Life of Poetry | Bangla Kobita Ghar | Online Kabita Archive Library | New Bengali Poetry House | Full Bengali Poetry Collections PDF | Library of Bangla Kobita | Bengali Poetry and Story | Bengali Poetry Writing Competition | World Record of Bengali Poetry Writing | Peaceful Poetry | Online High Trend Bangla Kobita Selection | High Trend Bangla Kobita translation in english | High Trend Bangla Kobita | High Trend Bangla Kobita for instagram | romantic bengali poem lines | bengali short poem lyrics

Leave a Comment