Bangla Galpa 2023 | তাপভ্রষ্ট ধরিত্রী | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা

Sharing Is Caring:
Bangla Galpa 2023

তাপভ্রষ্ট ধরিত্রী – কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা [Bangla Galpa 2023]

তারিণী জ্যাঠামশাইকে কারা যেন বলেছে – আমাদের পৃথিবীর নাকি দুর্দিন আসছে। খুব তাড়াতাড়ি এর বিনাশ। বাজার যাওয়ার পথে নরেন মাস্টারকে দেখে ভদ্রলোকের সেই কথাটা মনে পড়ে গেল। দাঁড় করিয়ে জ্যাঠা সেই প্রশ্ন করলো নরেনকে। বিষয়টা শুধু হ্যাঁ বা না উত্তর দেওয়াও সম্ভব নয়। তাই মাস্টার তারিনিবাবুকে সামনের রবিবার নিজেদের বাড়িতে আসতে বললেন।

রবিবারের সকাল। জ্যাঠাকে তার পড়ার ঘরে বসালেন নরেন মাস্টার। প্রবীণ তারিণী বাবুর কোন কিছুর জানার প্রচণ্ড কৌতূহল। ‘আচ্ছা মাস্টার, আমাদের পৃথিবী কী সত্যিই বিপদের মুখে ! দিব্যি তো আছি বলে মনে হয়। তবে মাঝে মাঝে গরম বেশি লাগে, বৃষ্টি সময়ে হয় না, যখন দরকার তখন হয় না।আকাশে বেশি তারা দেখতে পাই না, টিয়া পাখির ঝাঁক, মৌচাক দেখতে পাই না। গাছপালা কমছে, ছায়া নেই, মাটির বাড়ি নেই।’ – ঠিক বলেছে জ্যাঠা। অনেকদিন ধরে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন এবং লিখিত নথি প্রকাশ করে এই পৃথিবীর পরিবেশের অসঙ্গতির কথা বলছেন। আর এখন তো প্রায় খালি চোখে ও অনুভূতিতে সহজেই বোঝা যাচ্ছে প্রকৃতির পরিবেশে ভয়ানক অস্বচ্ছতা।

জ্যাঠার সংযোজন – ‘আমরা ছোট বেলায় দেখেছি, নির্মল আকাশ, বিমল বাতাস আর কি সুন্দর সবুজের সামিয়ানা, মধুর কুজন। সত্যি মাস্টার, কিছু একটা ঘটছে।’ আসলে পরিবেশ নিয়ে একসময় চিন্তার কোন কারণ ছিল না – মাস্টার বলে। পাহাড়, নদী, বন, মাটি, বাতাস, জল, সব জীবকুল, পতঙ্গকুল, পাখি, আর গাছ নিয়ে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হওয়ার জন্য অনেক কোটি বছর সময় লেগেছে এই পৃথিবীর। তারপর মানুষের আবির্ভাব অনেক কাল পরে। আর মানুষ বেশি বুদ্ধিমান হিসেবে জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্রুত উন্নতি করে পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ এবং যুগপৎ ক্ষতি সাধন করতে শুরু করে শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে। আর আজকের পৃথিবী – পরিবেশ তার ফলশ্রুতি।

‘আমরা পুরনো মানুষ, পরিবেশটা কী একটু বুঝিয়ে বল, মাস্টার।’ – জ্যাঠার প্রশ্ন। গুছিয়ে বলার চেষ্টা করে নরেন মাস্টার। ‘মাটি, জল, বাতাস, গাছপালা লতা, সমস্ত প্রাণী, কীট পতঙ্গের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান হল পৃথিবীর পরিবেশ। বিশেষজ্ঞরা পরিবেশ কে আবার তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন। (১) ভৌত বা প্রাকৃতিক পরিবেশ। ধরিত্রীর সব জড় ও জীবের সমষ্টি। আলো, মাটি, জল, হাওয়া, গাছপালা আর জীবজন্তু সবকিছুকে নিয়েই এই প্রাকৃতিক পরিবেশ। (২) জীবজ পরিবেশ – যেখানে এই পৃথিবীর মানুষ সমেত সমস্ত জীবের পারস্পরিক মধুর সম্পর্কের মেলবন্ধন। এখানে উদ্ভিদ ও প্রাণী দুটো প্রধান উপাদান। এই পরিবেশে ছত্রাক ও ব্যাকটিরিয়া সংযুক্ত। (৩) সামাজিক পরিবেশ, যা সমাজবদ্ধ মানুষের তৈরি। তার আচার ব্যবহার, রীতিনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা, সর্বোপরি মূল্যবোধ, বোধ, সবকিছুর শৃঙ্খলিত বন্ধন এই পরিবেশের মূল কথা। প্রথম দুটো পরিবেশ তৈরি করেছে ধরিত্রী নিজেই। আর এই আদি পরিবেশ সবসময় পরিবর্তিত হচ্ছে। শেষের পরিবেশ মানুষের তৈরি, সভ্যতা শুরু হওয়ার সময় থেকে। এটাও পরিবর্তনশীল।

2023 New Bengali Story

তারিণী জ্যাঠামশাই সামনে পিছনে মাথা দোলাচ্ছে। বলে – ‘ভাবলে বেশ জটিল লাগে মাস্টার, তবে অনেকটা পরিষ্কার হল।’ কিন্তু মূল সমস্যাতে যেতে হলে আরো কিছু আলোচনা প্রয়োজন, জ্যাঠামশাই – নরেন বলে। সম্মতি নিয়ে মাস্টার পরবর্তী পর্যায়ে। পরিবেশের কথা যখন এলো, বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। অঞ্চল ভেদে পরিবেশের বিভিন্নতা।একটা বিশেষ অঞ্চলের জন্মানো উদ্ভিদ, মানুষ ও প্রাণীকুল নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে শুধু নয়, সেখানকার জড় পদার্থ, যেমন জল,বাতাস, মাটি,সূর্যের আলো, চাঁদের আলো সকলের সঙ্গেও আত্মীয়তার সূত্রে নিজেদের বেঁধে ফেলে। বাস্তুতন্ত্র হল পরিবেশের একক। স্থানিক বা আঞ্চলিক জীব-পরিমণ্ডল এক বাস্তুতন্ত্র। অবশ্যই সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করে বাস্তুতন্ত্রের আবর্তন। এখানে জীব যতই ক্ষুদ্র হোক বা বৃহৎ হোক প্রত্যেকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরা যাক, একটা বিশেষ ফলদায়ী গাছ। সে গাছের বাসিন্দা পিঁপড়ে, আর নানান কীট পতঙ্গ। আর শাখায় শাখায় নানান দেশীয় পাখি ও শীতের পরিযায়ী পাখি বাসা বাঁধে। সে গাছে যখন, ফুলের কুঁড়ি বা মুকুল ধরে, গাছের দেহবাসি পতঙ্গের সাহায্যে ঘটে পরাগ মিলন। ফলে ফলে ভরে যায় শাখা প্রশাখা। সেই গাছ যোগাচ্ছে অক্সিজেন, খাদ্যপ্রাণ সমৃদ্ধ ফল।ওই গাছের পতঙ্গের সাহায্যে চাষীর মাঠের সবজী খেতের ফোটা ফুলগুলোতে পরাগমিলন ঘটছে। আমরা পাচ্ছি টাটকা সবজি, চাষী পাচ্ছে তার উপযুক্ত মূল্য। সবজি খেতের উৎপাদনে সাহায্য করে নানান বন্ধু কীট পতঙ্গ, যারা আশপাশের জলাভূমি বা আগাছায় বাসা বেঁধে থাকে। ফলনের সার্বিক কাজে সূর্যালোক, বৃষ্টির জল কী পরিমাণ মদত যোগায় , তা বলাই বাহুল্য। মানুষের কাছে মৃত্তিকা হল প্রাণ ধারণের আধার। বিস্তীর্ণ খেতে ধান চাষ করে নিজেদের প্রয়োজনীয় শস্য ও বিক্রয় যোগ্য শস্য উৎপাদনের পর দেখা গেল ধানের খড় বিক্রি হচ্ছে না। কারণ খড় ক্রয়ের খরিদ্দার নেই। কেন নেই? – মাটির বাড়ির অভাব। বেশির ভাগ ইটের বাড়ি গ্রামে গ্রামে, ঘর ছাওয়ার দরকার নেই। ওদিকে চাষী চাষ করে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে, তার লাঙ্গল নেই, লাঙ্গলের গরু নেই যে খড় খাবে। অগত্যা মাঠে পুড়িয়ে দেওয়া বা ঘরের জ্বালানি করা ছাড়া অন্য পথ নেই। কুমারের মাটির হাঁড়ি কলসি তৈরিতে কিছু খড় প্রয়োজন হত, এখন হয় না। জ্বালানি মানে ধোঁয়া, ধোঁয়া মানে কার্বন গ্যাস মিশছে বাতাসে। তাহলে, প্রথমে শৃঙ্খল কাটলো বাস্তুতন্ত্রের তারপর বাতাসে দূষণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও চাহিদা পূরণের সাথে সাথে প্রাণচঞ্চল বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠলো। মানুষের আবাস ভূমি বাড়লো, কোথাও বা সবুজ গাছগাছালি ভরা ভূমি রূপান্তরিত হল কারখানাতে। দূষণের সূচনা পর্ব। জ্যাঠামশাই, এ পর্যন্ত বোঝা গেল! খুব সংক্ষেপে বললাম কিন্তু। তারিণী বাবু – ‘সবটাই তো আমার দেখা, কিন্তু এভাবে তো ভাবিনি বাপু কোনদিন!’ ঠিক বলেছেন জ্যাঠা, ভাবলে কোন তল পাওয়া যাবে না। এবারে আমরা ‘গ্রীনহাউস’ এ ঢুকবো। জ্যাঠামশাই অবাক হয়ে মাস্টারের দিকে শুধু চেয়ে থাকে। ‘আপনি স্কুলে পড়ার সময়, বিজ্ঞান বইয়ে কাচের জারের মধ্যে চারা গাছের পরীক্ষা দেখেছিলেন। গ্রীনহাউস মানে গাছপালার যত্ন নেওয়ার জন্য কাচের ঘর। কাচের ভিতর দিয়ে তাপ প্রবেশ করে, ঘরে পরিমিত তাপ থাকে, যে কারণে গাছটি বেঁচে থাকে। আমাদের এই ধরিত্রীকে ওই গ্রীনহাউস-এর মত ঘিরে রয়েছে বায়ুমণ্ডল। ধরার প্রাণশক্তি সূর্যরশ্মি বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর ভেদ করে ভূ-স্তরে আসে। অবলোহিত শক্তি (infra red energy) রূপে মহাশূন্যে পুনরায় চলে যাওয়ার সময় বেশ কিছু তাপশক্তি পৃথিবীকে ঘিরে রাখা বায়ুমণ্ডলের মধ্যে রয়ে যায়। ফলত আমাদের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কিছু কিছু বাড়ে। বিশেষজ্ঞ ও ভূ-বিজ্ঞানীরা অভিমত দিয়েছেন, পৃথিবীটা একটা গ্রীনহাউস। এই গ্রীনহাউস সত্তা আছে বলেই, ধরিত্রীর বুকে প্রাণের সঞ্চার । না হলে হয়তো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হত আনুমানিক মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জীবন সৃষ্টি সম্ভব ছিল না ।

‘তাহলে সমস্যাটা কোথায়, মাস্টারবাবু’ – তারিণী জ্যাঠা প্রশ্ন করে। ‘সমস্যাটা হল, বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ। জীবাশ্ম ও কাঠের জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এর ফলশ্রুতি। তাছাড়া পচা জৈব আবর্জনা ও ধানখেত থেকে নিঃসৃত গ্যাস মিথেন, ইলেকট্রনিক শিল্প, রঙ শিল্প, রেফ্রিজারেশন প্রক্রিয়া জাত ক্লোরোফ্লুরকার্বন, বনাঞ্চলের বিনাশ ও অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে র ব্যবহার জনিত নাইট্রাস গ্যাস বৃদ্ধি, বায়ু মণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। পৃথিবীর সার্বিক পরিবেশ রক্ষায়, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুন সুইডেনের স্টকহোম শহরে বিশ্বের ১১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এক সম্মেলনে সামিল হন। সেই থেকে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর সব দেশে পালিত হয়। তারপর বিগত এই পঞ্চাশ বছর ধরে অনেক বিখ্যাত পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা কমানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু বায়ু মণ্ডলের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে। বলা হচ্ছে এই বৃদ্ধি ১.৫ এর মধ্যে ধরে রাখতে না পারলে সমূহ বিপদ এই পৃথিবীর। তাপমাত্রা বৃদ্ধি না বন্ধ করতে পারলে কয়েক দশকের মধ্যে জীব জগতের বিনাশ শুরু হবে – এই হল ভবিষ্যতবাণী। হিমবাহের গলন, সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলস্তর বৃদ্ধি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তাপমাত্রার অতি বৃদ্ধি, ধারাবাহিক বায়ুদূষণ জনিত রোগ বৃদ্ধি এবং নানাবিধ সমস্যার চিত্রমালা, মানব জাতিকে সত্যিই কি ভাবাচ্ছে! অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মাটির পৃথিবী ক্রমশ কংক্রিটের হচ্ছে, হচ্ছে নদীর মৃত্যু, জলদূষণ, অরণ্যের বিনাশ। যানবাহনের নির্গত গ্যাসে, বিদ্যুৎ চুল্লির ধোঁয়ায়, নির্মাণ শিল্পের ধুলোয় মানুষ আজ গ্যাস চেম্বারের বাসিন্দা। বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অপরিণামদর্শী মনোভাব, তাপমাত্রার বৃদ্ধি, যাকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’ এখন মানুষ তথা বিশ্ব প্রকৃতির কাছে এক অশনি সংকেত। যার সামনে কী মানুষের অসহায় আত্ম সমর্পণ!

তারিণী জ্যাঠামশাই নির্বাক শ্রোতা, নরেন মাস্টারের পড়ার ঘরে। তখন দুপুর হলেও গভীর ধোঁয়াশায় ঘেরা।

কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | Krishna Kishore Middya

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৪) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৫) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৬) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2023 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৮) | উপন্যাস

তাপভ্রষ্ট ধরিত্রী | ধরিত্রী দিবস | ধরিত্রী দিবসের তাৎপর্য কী | বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০১৯ | ধরিত্রী সম্মেলন ২০২২ | বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২২ | ধরিত্রী সম্মেলন ২০২০ | বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২০ | বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২১ | বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন কি | ২য় ধরিত্রী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয় | বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন প্রথম কোথায় অনুষ্ঠিত হয় | বাংলা প্রবন্ধ | বাংলার লেখক | প্রবন্ধ ও প্রাবন্ধিক | সেরা প্রবন্ধ | শব্দদ্বীপ | শব্দদ্বীপের লেখক | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

bengali story new | indian poems about death | 2023 new bengali story | 2023 new bengali story books for child pdf | 2023 new bengali story books for adults | 2023 new bengali story books | bengali story books for child | 2023 new bengali story books pdf | 2023 new bengali story for kids | 2023 new bengali story reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short 2023 new bengali story definition | short story english | short story for kids | short 2023 new bengali story generator | bengali story 2023 | short story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | 2023 new Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Bengali Writer | Shabdodweep Bengali Story | Updated Bengali Story 2023 | update 2023 new Bengali Story | 2023 new Bengali Story – top list | 2023 new Bengali Story – best story | 2023 new Bengali Story – top story | Best seller – 2023 new Bengali Story | Best seller 2023 – 2023 new Bengali Story | 2023 new Bengali Story – Best book | New Bangla Galpa 2023 | Bangla Galpa 2023 pdf | Bangla Galpa 2023 video | Bangla Galpa 2023 video download | Full pdf – Bangla Galpa 2023 | Full video – Bangla Galpa 2023 | youtube – Bangla Galpa 2023 | pdf download – Bangla Galpa 2023 | trending story – Bangla Galpa 2023 | Best Bangla Galpa 2023 | Top Bangla Galpa 2023 | Best selling Bangla Galpa 2023 | Top selling Bangla Galpa 2023 | Bangla Galpa 2023 book | pdf book – Bangla Galpa 2023

Leave a Comment