All Poetry Classic | Famous Poems | Read and Enjoy

Sharing Is Caring:

সুরের লহরী – তালাল উদ্দিন

১.

সুরের লহরী যায় ছুটে যায়
দুলে দুলে ছন্দে ও তালে
দুলে দুলে ছন্দে ও তালে
ঠুনকো সব বন্ধন
মিছে যত ক্রন্দন
দলে-পিষে চলে যাবে দূরে
দলে-পিষে চলে যাবে দূরে।।

২.

মৃগয়ায় যেতে চায়
কাশী যেতে চায় না
সুন্দরী ললনার খাঁজে খাঁজে ছলনা,

কুহেলির সেহেলি মিছে খেলা খেলেছে
হীরা রূপী মনে আজ
কালো কালি লেগেছে

তাই কানপড়া মন্ত্র
মিছে ষড়যন্ত্র
দলে-পিষে চলে যাবে দূরে
দলে-পিষে চলে যাবে দূরে

সুরের লহরী যায় ছুটে যায়
দুলে দুলে ছন্দে ও তালে
দুলে দুলে ছন্দে ও তালে।।

৩.

আমারই ভালোবাসা
পৃথিবী জুড়িয়া
কখনোবা হয়ে যায় উত্তাল দরিয়া

বকুলের পাপড়িতে
আমাজন ছেয়েছে
পৃথিবীর মতো এ মনটাও সেজেছে

তাই মিথ্যে বুজরুকি
সিপাহি সান্ত্রী
দলে-পিষে চলে যাবে দূরে
দলে-পিষে চলে যাবে দূরে

সুরের লহরী যায় ছুটে যায়
দুলে দুলে ছন্দে ও তালে
দুলে দুলে ছন্দে ও তালে।।

পথের রসালো আলাপ (২য় কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

তারপর কী খবর? বলে যাও
বহুদিন দেখিনি তো তোমাকে
সেদিন শুনেছি
জীবনের পাশা খেলায়
হেরে গেছো
কোন এক অপয়া যুবতীর কাছে,
বাহ! দেখালে তো বেশ
পরাজয়ে এত মধু
তুমি ছাড়া আর কে পেয়েছে এ ভবে।

কবিবর, আপনার বাগ্মিতায়
রীতিমতো মুগ্ধ আমি
সত্যিই প্রশংসার যোগ্য আপনি
আপনি ও তো দেখালেন বেশ
অভিনয়ে বাফটা,কান
এমনকি অস্কার ও পেয়ে যেতে পারেন
তবুও কি জানেন না এটুকু
পরাজয় আছে বলে
জয়ে এত মধু।।

২.

বাছাধন, জানি সেটা আমি
ভেতো বাঙালির এ এক দোষ
খেজুরে আলাপ ফাঁদার
জানে শত অভিনব কৌশল,
আচ্ছা বাদ দাও এসব
কেমন যাচ্ছে হাল-চাল,
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ঝেড়ে কেশে এসবের
বৃত্তান্ত বল দেখি এবার।
কবিবর, আপনার কাছে তো
কোন লুকোছাপা করতে পারি না
বাস্তবে দিনগুলো যাচ্ছে বেশ কঠিন
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি
দেশের বাইরে গিয়ে ভালো মানের
গবেষণা করব(কেতাবী ভাষায় পিএইচডি)
নাকি এ ছাপোষা জীবনকে বরণ করে
আদিখ্যেতা দেখাব
ভালো মতন কোনটারই সুরাহা
করতে পারছি না আর।
কবিবর মুচকি হাসলেন
বললেন, ও আচ্ছা এসব ব্যাপার স্যাপার
জীবনকে কঠিন করে ভাবলে
জীবন তোমাকে তার এমন সংজ্ঞাই দিবে।

লক্ষ্য স্থির করে তারপর এগিয়ে চলো
কোন বাধা বিপত্তি গুনার টাইম নেই এ যাত্রায়
বহু পরে রেওয়ামিলে মিলাবা হিসাব-নিকাশ
এভাবেই হয়ে যায় মানুষের বিকাশ।

৩.

সামনেই ত্রিরাস্তার মোড়
যাবার সময় হয়েছে
আমার ও আপনার
কত কথা বলা হলো দু’ জনে
ভুল চুক যা হলো
ক্ষমা করে দেবেন এবার
কবিবর মুচকি হাসলেন
বললেন, সে কী
ভালো থাকিস
গুড বাই
দেখা হবে আবার।।

তবুও – তালাল উদ্দিন

[ Abstract with proposal:
I love you in a stormy night
I love you in a shabby hut
I love you for the pains you gave
That are equal to 10 times world
Still I Iove you
And I am waiting for you.]

চোখের তারায় বিলিয়ে দেব
আলো তোমাকে
এ মনের ঘরে করবে বসবাস,
এ দুঃখ গুলো অশ্রু হয়ে
মিশে যায় সাগরে
মেঘ হয়ে সে ঘটায় সর্বনাশ
হায়! মেঘ হয়ে সে ঘটায় সর্বনাশ।

এ বাতাসের সাথে
কাঁদার এক বড় অভিলাষ
ঝড় হয়ে সে ঘটায় সর্বনাশ
হায়! ঝড় হয়ে সে ঘটায় সর্বনাশ।

তবু, চোখের তারায় বিলিয়ে দেব
আলো তোমাকে
এ মনের ঘরে করবে বসবাস
এ মনের ঘরে করবে বসবাস।।

এ যাতনাগুলো আমার
শুকনো খড়ের মতো
এক ফুঁতে যাবে যে জ্বলে

আমি কাঁদতে চাই বেশি
কোন এক নৃত্য করা সাগরে
তখন সুনামি হয়ে সে ঘটায় সর্বনাশ
হায়! সুনামি-রূপে সে ঘটায় সর্বনাশ।

তবু, চোখের তারায় বিলিয়ে দেব
আলো তোমাকে
এ মনের ঘরে করবে বসবাস
এ মনের ঘরে করবে বসবাস।

আমার কল্পনা গুলো
মিশে যায় ভুবনে
রঙধনু হয়ে সে ঔজ্জ্বল্য ছড়ায়

আমি হেঁটে যেতে চাই
কোন এক অগ্রহায়ণ খোলা মাঠে
তখন ফসল হয়ে সে ছড়ায় হাসির ভাপ
তখন মনে জাগে অনুরাগ
হায়! তখন মনে জাগে অনুরাগ।

আমার যাতনা গুলো
শুধু অনুরণন ছড়ায়
মাঝে সাঝে বিকেলের কাব্য হয়ে যায়

আমি চলে যেতে চাই
কোন এক ভালোবাসা পূর্ণ গ্রামে
তখন পবিত্র হয়ে সে মুগ্ধতা ছড়ায়
তখন মনে জাগে অনুরাগ
হায়! তখন মনে জাগে অনুরাগ।

আমি শুদ্ধতা দেখিনি
তাই কাছে ডাকিনি
এর বেশি কিছু নেই আর বলার
তবু,চোখের তারায় বিলিয়ে দেব
আলো তোমাকে
এ মনের ঘরে করবে বসবাস
এ মনের ঘরে করবে বসবাস।।

দোকানি (১ম কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১.

আঁধারের ঘরে পসরা সাজিয়ে বসেছি
দূত হয়েছে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য
প্রেতাত্মাদের ভয়ংকর চিৎকার
ডাকাবুকো ভূতদের বড় বড় চোখ
পাহাড়সম জিহবা
আর কাঁটাযুক্ত পা
তাদের ভয় ধরানো কন্ঠ ও বাদ যাবেনা।

আরো আছে মৃত মানুষদের গলিত দেহ
তাদের নাড়িভুঁড়ি
ফাঁসি কাষ্ঠে জিহ্বা বের হয়ে যাওয়া
মানুষের ছবি
কীট পতঙ্গ, সাপ-খোপদের এক অংশ
নরক যাতনা ভোগ করা
এক মানুষের মূর্তি
যার হৃদয় চিবিয়ে খাচ্ছে এক বড় মাকড়সা
নরকের আগুন আর রক্তের নদীর কথা তো
বাদ দেওয়া যাবেনা।

২.

এ ব্যবসার পলিসি ও কিন্তু প্রণয়ন করতে হয়
ভাবছেন ভুল শুনেছেন, না ঠিকই শুনেছেন
যেমন ধরুন পণ্য পরিকল্পনা থেকে
পণ্য বাজারজাতকরণ অবধি
সবকিছু করেন তিনি
আমি নিছক এক দোকানি
বড়জোর বলতে পারেন তাঁর আজ্ঞাবহ সঙ্গী।

তাই আমাকে ও নিয়ম মেনে ট্যাক্স দিতে হয়
নরকের ফেরেশতাকে
মাঝে সাঝে শয়তান এসে হানা দেয়
তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে
তখন চাঁদা না দিয়ে থাকতে পারে না এ ভবানী
আমি এক আজব দোকানি।।

নির্জনে – তালাল উদ্দিন

[Abstract:
Sometimes, I go crazy
Sometimes, I become unfettered
And my mind goes dispersed
When I see the unexpected events
Happening before my eyes
So, I can’t ressist myself
From shooting a sharp comment
Hope that you will understand,
Heal the world
And make it a better living place.]

১.

নির্জনে বসিয়া আমি
বাজাই গো সানাই
আঁধারের চরম সত্য
তারে ধরতে চাই,
দুই কেজি বুট আনলাম
গরুর শিং আর তিসি
শয়তানি তাজটা
ধরতে চাই গো আজি।
পা পা পা পা
কং কং আমার সাথী
আঁধারের এ দেশে
আমি বড় পাপী।।

২.

রুদ্র নৃত্য করি
মহাপ্রলয় এলে
মহাবিনাশী মন্ত্র জপি
আঁধার আনব বলে,
শিরায় উপশিরায়
রাহু কেতক খেলে যায়
সব কিছু ধ্বংস করে
বাঁচব একাকী।
পা পা পা পা
কং কং আমার সাথী
আঁধারের এ দেশে
আমি বড় পাপী।।

৩.

রক্তের হোলিখেলায়
শাসক দল মাতে
দিনশেষে সব দোষ
দেও দানবের ঘাড়ে,
পৃথিবীর শান্তি চাই
আগাছা মুক্ত চাই
মরণের মেশিন হাতে
ছুটব একাকী

পা পা পা পা
কং কং আমার সাথী
আঁধারের এ দেশে
আমি বড় পাপী

নির্জনে বসিয়া আমি
বাজাই গো সানাই
আঁধারের চরম সত্য
তারে ধরতে চাই।।

অণুকাব্য (২য় কিস্তি) – তালাল উদ্দিন

১১.

মালতীমাধবের যত নাট্যলীলা দেখেছেন
দেখেছেন পৃথিবীর আলো-আঁধারি রূপ
সংসারে তার মন তাই দেয়নি সাড়া
তাই হলেন বনগামী
মৃকন্ডুমণি।

— (মৃকন্ডুমণি)।

১২.

বাঁধের ওপর বাঁধ
তার ওপর স্বপনের সমাধি
গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধল মনে
যখন প্রিয়া হল অন্য কারো পত্নী।।

— (কাঁটার আঘাত)

১৩.

যেদিন কোন পুণ্যাত্মার
ললাট হতে
স্বর্গীয় আলো হল অন্তর্হিত
সেদিন পৃথিবী
মনের সুখে ধ্বংস করল
গরীবের কুঁড়েঘর
আর ধনীর চামড়া জুতো অবিরত।।

— (প্রকৃতির প্রতিশোধ)

১৪.

যারে আমি ধরি
সে হয়ে যায় সোনা রে
আমার হাতে
পরশ পাথর আছে
ও বন্ধুগণ
আমার হাতে
পরশ পাথর আছে।।

— (আমি এক পরশ পাথর)

১৫.

মুক্ত জীবন
সত্য জীবন
বলছি ভুবন জুড়ে
নীল গগণের চাঁদ হবে গো
দাওনা পেখম তুলে।।

— (পেখম)

১৬.

স্বপ্নের দীপ জ্বেলে
বহুদূর হেঁটে যাই
বাংলার পথে
দেখি মুহাম্মদের, কৃষ্ণের, বুদ্ধের ধর্ম
মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।।

— (বাংলার ধর্ম)

১৭.

আসলেই জীবন কী?
চলছে যেমন তেমন
নাকি এ জীবন হলো
মরীচিকার মতন
বার বার স্বপ্ন দেখায়
ভেঙ্গে ফেলে যখন তখন।।

— (জীবনের সংজ্ঞা)

১৮.

অবিবেচকের পাশা খেলা
অনেকটা চাকরের মনিবের মেয়ে
হরণের মতন
তারপর হবে কতক
ফালতু দু:খের আগমন।

— (অবিবেচক)

১৯.

পদ্যের প্যাঁচালো খেলা
আর গদ্যের ঝাঁঝালো কথা
আমাকে ভুগিয়েছে বার বার
তাই সবিনয় নিবেদন
ছুটি চাই এবার।।

— (সবিনয় নিবেদন)

২০.

মনের আগুন বড় আগুন
এ জঙ্গম পৃথিবীর বুকে
এ আগুনে সব ছারখার হবে
যদিও তা কাবাঘরে পড়ে।।

— (মনের আগুন)

২১.

মেলেছে নতুন ডানা
ফুটেছে বৃন্ত
সুখের লগনগুলো
ওড়ে ওড়ে ক্লান্ত
এই তো বসন্ত
মোর এইতো বসন্ত।।

— (বসন্ত)

২২.

ধীরে ধীরে পাতা উল্টে
খুঁজে ফিরি বাংলার ইতিহাস
চিল-কাক-বক হতে
হালের দূষিত বাতাস
এবং কিছু কথা
কিছু স্মৃতি
কিছু দীর্ঘশ্বাস
মন মাঝি প্রতিদিন গেয়ে চলে
হায়! হায়! কী করিলি সিরাজ।।

— (ইতিহাস)

২৩.

দুশ্চিন্তারা ধীরে ধীরে
খেয়ে নিচ্ছে
আমার সোনালি মন
ক্রমশ চলে যাচ্ছি
মৃত্যুর ভেতর।।

— (দুশ্চিন্তা)

২৪.

জানিনা চোখে
কতটুকু জল জমা হলে
কপোল বেয়ে অশ্রু ঝরে
শ্রাবণের অবিরল জলধারার মতন।।

— (অশ্রু)

২৫.

লালমিয়া হাঁটে যায়
রোজ রোজ ঠকা খায়
বন্দরে বন্দরে
নজরানা দিয়ে যায়,

সানাইয়ের মূর্ছনায়
লাল মিয়া চমকায়
এখন চাইবে কিছু
যা না চাইলেই পাওয়া যায়।

পাল তোলা নৌকায়
যাবে সে লঙ্কায়
স্নান করে তেল দেবে
বাদামী অলকায়।।

— (লাল মিয়া)

২৬.

সেদিন ও এনেছিলো সে গোল্ডেন ফিশ
আর গিয়েছিলো ড্রাগনের দেশে
মেডিয়ার অসিলতা সাথে করে
ওগো, মেডিয়ার অসিলতা সাথে করে।।

— (এইতো সেদিন)

২৭.

আর্গো এসেছে আজ বাংলার
প্রতিটি দলিতের ঘরে
তাই, যেতে হবে অতিদূরে
মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য পেরিয়ে
অতিদূর জুপিটারে
জেসানের মত ভেসে ভেসে।।

— (আর্গো)

২৮.

গুণটানা নায়ের মত
চলছে জীবন
স্বপনের সিঁড়ি বেয়ে
ওঠছে এখন
আমার জীবন
সে তো মহা আয়োজন
আমাতেই হারিয়ে যায়
পুরো ত্রিভুবন।।

— (আমার জীবন)

২৯.

পৃথিবীতে এসেছি গো একেলা
ফের যেতে হবে একেলা
মেঘে মেঘে হয়ে গেছে অনেক বেলা
সাঙ্গ হয়নি তবু জীবনের খেলা।।

— (জীবনের খেলা)

৩০.

কোন কাজে আমি
করি না হেলা
মানি না কোন অন্যায় খেলা
মানুষের প্রেম
মানুষের কথা
দর্প করে বলি
আমি সে ব্রহ্মচারী
ওগো, আমি সে ব্রহ্মচারী।।

— (ব্রহ্মচারী)

৩১.

আমি এক ধৈর্যশীল আত্মা
শুনেছিলাম কোন একদিন
রাহু কেতকের দেশে
তাই বেঁধেছিলাম বাসা
আর যদি মৃত্যুর পরে
দেখা হয়ে যায়
কোন এক আত্মার মিছিলে
তখন দৃপ্ত স্লোগান তুলে
চলে যাব একা
সে এক অনিঃশেষ যাত্রা।।

— (অনিঃশেষ যাত্রা)

জন্ম-রহস্য – তালাল উদ্দিন

১.

মেঘ গর্ভবতী হলে গর্জন করে
এভাবে জন্ম দেয় বৃষ্টির
তিলোত্তমার নগরে জন্ম হয়
বেশ্যাদের
যারা জন্ম দেয়
দালাল, দুর্নীতিবাজ
কুসীদজীবী, লুটেরা
আর রাতের রাজা ও রাণীদের।
ডাইনি, পেত্নীরা ও বসে নেই
একমুহূর্তের তরে
জন্ম দেয় তারা বহু নাগ সন্তান
যারা অন্ধকারের ভীতি ছড়িয়ে
মানুষদের দাস বানাতে চায়
পান করতে চায় তারা
অমরত্বের সুরা
এভাবে পৃথিবীতে নেমে আসে
হাজার বছরের পুরনো সে রাত
আর সবকিছু দখল করে নেয় শয়তানেরা।

২.

মেঘ গর্ভবতী হলে গর্জন করে
এভাবে জন্ম দেয় বৃষ্টির
সাঁইবাবার নগরে জন্ম হয়
পুত-পবিত্র সাবিত্রীদের,

যারা জন্ম দেয় সৎ, দেশপ্রেমিক
ন্যায়বান, একনিষ্ঠ সাধক
বীরপুরুষ আর ধর্মভীরু নারী ও পুরুষদের,

বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট নারীরা ও বসে নেই
একমুহূর্তের তরে
জন্ম দেয় তারা বহু গরুড়রূপী মানব সন্তান
যারা অন্ধকারে আলো ছড়াতে চায়
শোষণ ও বঞ্চনার শেষ দেখতে চায়
তারা তো অমৃত সুধা পান করতে চায় না
কিন্তু অবশেষে পান করতে হয় সে সুধা
এভাবে পৃথিবীতে নেমে আসে স্বর্গের কোন রাত
আর সবকিছু দখল করে নেয় ফেরেশতারা।।

মানুষের জন্য – তালাল উদ্দিন

১.

এ মাটির দেহে
নরম মনে
স্বপ্ন বুনেছি এটা
এ জীবনের সকল সোনালি ফসল
মানুষের জন্য হবে তোলা,
যখন দেখি রাস্তার ধারে
ক্ষুধিতের হাহাকার
ডাস্টবিনে মেশে
কুকুর আর মানুষ
কে নেবে কার অধিকার?
তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে
কোথা আছে মানবাধিকার?
মানুষের ভিড়ে মানুষ পিষ্ট
অধিকাংশই দুরাচার।

২.

আজ অত্যাচারীর খড়গ হস্তে
ব্রাত্যরাই খায় মার
বুদ্ধিজীবীরা টকশোতে বসে
বিবেকের বাণী আওড়ায়
নদীতটে বসে
এতসব ভাবি
খুঁজি সে অদ্রিসম ‘জুলফিকার’
আনতে চাই রুশোর অমর বাণী
“মানুষের আছে স্বাধিকার।”

৩.

মহা মনিষীরা মানুষের জন্য
জীবন সঁপেছে
কেঁদেছে বহুবার
বহুদিন বলেছে
মানুষই রত্ন
করো না’ক কোন অবিচার
আমি তাদেরই সুরে
জীবন গড়েছি
শপথ করেছি এবার
মানুষ হবে মানুষের জন্য
কেটে যাবে কৃষ্ণকাল।

৪.

মানুষের জন্য জগৎ সৃষ্টি
এসেছে বেদ-বাইবেল-কোরআন
যুগে যুগে বলেছে মানুষই শ্রেষ্ঠ
মানুষই গরীয়ান।।

হালের সুখ ও স্বপন – তালাল উদ্দিন

১.

হালের স্বপ্ন-সুখে
মজে কোন ছার
ওতে শুধু দুঃখ আছে
আছে হাহাকার,
বাড়ি-গাড়ি অট্টালিকা
অজস্র আপন
ওসব দেখবে কালে
দু’দিনের আপন।
হালের স্বপ্ন সুখে
মজে যায় যেজন
অফুরন্ত গ্লানি তার
ভাগ্যের লিখন।

২.

স্বপ্নে দেখেছো তুমি
মদিরাক্ষী নারী
সে তো এক তুচ্ছ জীব
পৃথিবীর প্রাণী
স্বপ্নটা ছেড়ে দাও
পৃথিবীর হাটে
মকরন্দ খুঁজে ফির
মধুকর হয়ে
তুমিই দেখবে কালে
মানুষই আপন
হালের স্বপ্ন-সুখে
তুচ্ছ হয় মন।।

কবিতার মৃত্যু – তালাল উদ্দিন

১.

কাব্যলক্ষ্মী এসেছেন ধরায়
অরফিউসের মতো বোধন বীণা
বাজিয়ে যাচ্ছেন চারদিকে
সে কি করুণ রাগিনী,
কেউ কেউ মূর্ছা গেল
সে করুণ সুরে
এদের অধিকাংশ কাব্যসুধাকর
কারো কারো অবশ্য কিছুই হলো না
এদের অধিকাংশ নির্জীব পাথর
কবিতার মৃত্যুতে তাদের কিছু যায় আসে না।।

২.

আমি ও ব্যথিত না হয়ে পারি নি
উন্নাসিকের মতো আচরণ করতে ও বাদ রাখিনি
তাই, খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন রেখেছি
কার মৃত্যু হল? কেন হল?
কোথায় পাওয়া গেল মৃতদেহ যখন মৃত্যু হল?
সে কি আসলেই মারা গেল?
নাকি অন্য জগতে চলে গেল?
আমি শুধু প্রশ্ন করে যেতেই থাকলাম
কিন্তু সে সবের কোন সদুত্তর পাইনি।।

সময় পরিভ্রমণ – তালাল উদ্দিন

সোলার ফটোভোল্টে অজস্র তরঙ্গ নিক্ষেপ করে
আমি অর্জন করলাম অফুরন্ত শক্তি
ফ্লোরিজেনকে হাজার ধন্যবাদ
তার সুভাস ছড়ানো গুণে
তীর হারা এ আমি
এখনো মাটির গন্ধ শুঁকতে পাই
এখনো ফুলের নিটোল কোমলতায়
সে আদি ভালবাসা পাই।

আমি আজ ২৫ আলোকবর্ষ দূরে
কোন এক বৃদ্ধ জ্ঞানীর সন্ধানে
তাতার বাহিনীর নৃশংসতায়
সে আদিম বর্বরতা খুঁজি-
চোখ খুলে দেখতে পেলাম অবারিত মাঠ
পুরোটা সবুজে ঢাকা
আমার চোখ তৃপ্ত হল তাতে
কিন্তু খানিক পরে, এক বীভৎস দৃশ্য দেখলাম
চারদিকে শুধু সারি সারি লাশ
আর লাশের পোড়া গন্ধ।

মাঠের এক পাশে একটা কুল গাছ ছিল
আমি গাছের নিচে বসে ভাবতে থাকলাম
বোধ হয়, এ জনপদ আর কোনদিন
জনকোলাহলে মুখরিত হবে না
আকাশসম অট্টালিকা বোধ হয় আর হবে না,

হঠাৎ আমার খুব ঘুম পেল
আমি তখন খাবারের পুঁটলিটা
গাছের ডালে ঝুলিয়ে
ঘুমিয়ে পড়লাম।

সম্ভবত এক কি দু’ঘন্টা পরে
আমি ঘুম থেকে জেগে ওঠলাম
চোখ কচলে চারপাশটা যখন তাকালাম
তখন রীতিমতো তাজ্জব বনে গেলাম
আর প্রচন্ড ভিমরি খেলাম,
কেননা আমার সামনে এখন পড়ে আছে
ইয়াপেল্লাই সব অট্টালিকা
মানুষদের চেঁচামেচি আর কান্না
তবে কি আমি হাজার বছর ধরে ঘুমিয়েছি?
তবে কি আমাকে কেউ চ্যাংদোলা করে
অন্য শহরে নিয়ে গেছে?
তবে কি আমি ঘুমের মধ্যে হেঁটে অন্য জায়গায়
চলে গেছি?
এরকম নানা প্রশ্ন আমার মনে এসে উঁকি দিতে লাগল
কিন্তু আমি সেসবের কোন সদুত্তর পাইনি।।

এক নদীর কথা – তালাল উদ্দিন

সেদিন এক নদীর সাথে কথা হল
ইটিমণি দিয়ে
সে আমায় বললে
ওহে বন্ধু, তুমি বুঝবে না কোনদিন
বহে চলার কষ্ট কাকে বলে।

তার কথা শুনে বেশ তাজ্জব বনে গেলাম
নির্বাক দৃষ্টি মেলে
এ-দিক ও-দিক তাকিয়েছিলাম ও কিছুক্ষণ
অতঃপর মাথা ঠান্ডা করে বললাম
হে প্রাণোচ্ছল বন্ধু, তুমি এত মুষড়ে পড়েছ কেন?

ও পাশ থেকে একটা কষ্টের হাসি এল
এবং বলতে লাগলঃ
রাত যত গভীর হয়
রাজ্যের শত বড় বড় জাহাজ
ভিড় জমায় আমার বুকে
তখন অ-নে-ক কষ্ট হয় আমার
ভাবি, বেঁচে থেকে কী লাভ এ ধরায়?
আমার কে আছে? আমি কার?

তার কথা শুনে ফের তাজ্জব বনে গেলাম
আকাশের দিকে অপলক তাকিয়ে বললাম-
দেখ বন্ধু এটাই জীবন
এখানে সফলতা আসবে
ব্যর্থতা আসবে
বিষণ্নতা আসবে
তোমাকে এসব মানিয়ে নিতে হবে
ঠিক দক্ষ নাবিকের মত হাল ধরে।

তোমাকে আমাদের বড় প্রয়োজন
সভ্যতা মেরামতের কাজে
মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠার কাজে
তোমাকে বড় প্রয়োজন এ সভ্য সমাজে।

মনে হল
কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে বেচারি
আমার কথাগুলো শুনে
তাই নিঃসঙ্কোচে বললে আমায়
তুমি ঠিকই বলেছ বন্ধু
আমি আমার কাজ করে যাব
কেননা কর্মই জীবন
গতিই জীবন
সফলতা, ব্যর্থতা তো পরের হিসাব।
হঠাৎ পোঁ পোঁ বা ক্যা ক্যা এ রকম
এক আওয়াজ শুনতে পেলাম
মানে লাইন কেটে গেলে
যে রকম আওয়াজ হয় আর কি।

মনিটরের পর্দায় দেখলাম
তখন ভেসে ওঠল এক ইংরেজি লাইন
ওতে লেখাঃ
The connection is not available right now.

প্রজ্ঞা – তালাল উদ্দিন

দেখ, মানুষ আজ প্রজ্ঞার জামা খুলে ফেলে
কুহকিনী, ডাকিনী, মায়াবিনী মরীচিকার মোহে
ঘুরপাক খাচ্ছে অবিরত
অধুনা, তাই, দিকে দিকে বের হচ্ছে
অজ্ঞানতার মিছিল শত শত,
সে যাই হোক- সত্য কথা বলি
হতে পারে কোন এক ভার্সিটির ক্যাম্পাস থেকে ও।।

দেখ, জ্ঞানের সাগর আজ কূলে কূলে ভরা
এক আঁজলা জল ও কেউ গ্রহণ করেনি
তাঁর ভরা যৌবন হতে,
শুধু ফি বছর পাঠ্যবইকে আ-খোক্কস খা-খোক্কস করা
তারপর সেটিকে চিবুতে চিবুতে ব্যস্ত থাকবে তারা।

জ্ঞান যেন আজ সফেদ পাঞ্জাবি পরা
কোন এক খট্টাশ মৌলভী সাহেব
টিকি পরা পুরোহিত
গির্জার ফাদার আর মঠের ভান্তে
দিক বিদিক লাফালাফি করে
অবশেষে রণে ভঙ্গ দেওয়া,
দেখ, জ্ঞানের সাগর আজ কূলে কূলে ভরা
এক আঁজলা জল ও কেউ গ্রহণ করেনি
তাঁর ভরা যৌবন হতে।।

দেখ, আদতেই মানুষ যদি প্রজ্ঞার জামা খুলে ফেলে
তাহলে অবিচার, অত্যাচার, অন্যায় বেড়ে যাবে
বাঁধহীন উদ্দামতা, নগ্নতা, অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে
জেঁকে বসবে তথাকথিত স্বাধীনতা
আর বখে যাওয়া নারীবাদ।
সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হবে
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধ্বংস হবে
মোটের ওপর, নষ্ট হবে সামাজিক শৃঙ্খলা
মানুষ বন্দী হবে ভ্রান্তির বেড়াজালে।।

দৃপ্ত শপথ করেছি তাই
শরতের শুভ্রমেঘ
আর বসন্তের কোকিলের কাছে
শীতের ঝরাপাতা আর নীলাভ আলোর কাছে,

আমি প্রমিথিউস হয়ে
আগুনের ঝান্ডা হাতে নিয়ে
পুড়িয়ে দেব শত অজ্ঞানতার কালো দুয়ার।

তালাল উদ্দিন | Talal Uddin

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৬) | উপন্যাস

New Bengali Article 2023 | অযোধ্যা গ্রামে প্রাচীন জমিদারদের আশ্চর্য স্থাপত্য নিদর্শন

New Bengali Article 2023 | বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ সামান্যই

Top Bengali Poetry 2022 | কবিতাগুচ্ছ | কল্যাণ সুন্দর হালদার

Shabdodweep Web Magazine | All Poetry Classic | Talal Uddin

When we think of poetry, we are often drawn to its timeless nature and the way it captures the essence of human emotions, experiences, and thoughts. All Poetry Classic refers to a collection of poems that have stood the test of time, continuing to inspire and resonate with readers across generations. These famous poems encompass the works of some of the world’s greatest poets, from Shakespeare to Tagore, from Dickinson to Neruda.

Here, we will dive deep into the beauty of All Poetry Classic, explore some of the most celebrated poems in literary history, and highlight how platforms like Shabdodweep Web Magazine are contributing to the continued appreciation of classic poetry, alongside showcasing contemporary poets like Talal Uddin.

What is All Poetry Classic?

All Poetry Classic is a term that refers to a curated collection of some of the most influential and beloved poems throughout history. These poems are celebrated for their depth, emotional range, and universal themes. From the lyrical beauty of William Wordsworth’s nature poems to the introspective musings of Emily Dickinson, All Poetry Classic represents the finest works of literary genius.

These poems have endured for centuries, not just because of their historical significance, but because of their emotional and intellectual power. They explore fundamental human experiences—love, loss, nature, death, and the passage of time—with unparalleled insight and artistry.

Famous Poems in All Poetry Classic

Some of the famous poems that are widely regarded as part of All Poetry Classic include works by poets such as:

“The Road Not Taken” by Robert Frost

A beloved poem that explores choice, reflection, and the journey of life. This piece is often quoted for its memorable lines, “Two roads diverged in a wood, and I— I took the one less traveled by.”

“If” by Rudyard Kipling

This inspirational poem offers guidance on how to live life with strength, patience, and integrity. Kipling’s verses have remained a source of encouragement for generations.

“I Wandered Lonely as a Cloud” by William Wordsworth

This nature poem is a hallmark of Romantic literature, highlighting the beauty of the natural world and its profound impact on the human spirit.

“Ode to a Nightingale” by John Keats

Keats’ masterpiece expresses themes of mortality and the longing for transcendence through the immortal song of the nightingale.

“The Raven” by Edgar Allan Poe

Known for its haunting rhythm and melancholic tone, Poe’s “The Raven” explores themes of grief and loss, leaving readers with a sense of emotional unease.

These poems, along with many others, form the heart of All Poetry Classic. Whether you read them in a classroom, study them for their literary techniques, or simply enjoy them for their emotional resonance, these works continue to shape our understanding of poetry and literature.

The World’s Largest Poetry Site: A Gateway to All Poetry Classic

When it comes to exploring All Poetry Classic, there is no better place to start than the world’s largest poetry site. This platform offers a vast collection of classic poems from poets all over the globe, making it easy for anyone with an internet connection to discover and enjoy these masterpieces. Whether you are a poetry enthusiast, a student, or a teacher, the world’s largest poetry site offers an extensive library of famous poems that spans centuries of human expression.

At the same time, this platform also provides an opportunity for modern poets to share their works. In fact, digital platforms like Shabdodweep Web Magazine serve as a bridge between classic and contemporary poetry, allowing readers to explore both timeless pieces and fresh, innovative voices.

Shabdodweep Web Magazine: A Home for All Poetry Classic and Contemporary Works

Shabdodweep Web Magazine has long been a respected platform for literature, including All Poetry Classic. It not only provides a rich collection of classic poems but also features contemporary voices that carry the same emotional depth as traditional poets. One of the emerging voices in contemporary Bengali poetry on the site is Talal Uddin, whose works continue to captivate readers.

Talal Uddin’s poetry, often introspective and deeply personal, adds a modern touch to the timeless appeal of All Poetry Classic. His poems, like many found on Shabdodweep Web Magazine, invite readers to reflect on their own experiences while being rooted in the cultural and literary traditions of Bengal.

Talal Uddin: A Contemporary Poet in the Tradition of All Poetry Classic

While All Poetry Classic represents the voices of past literary masters, poets like Talal Uddin are carving their own place in the world of contemporary poetry. His work on Shabdodweep Web Magazine exemplifies the evolution of modern poetry while still adhering to the emotional richness found in the classics. His poems, often published alongside discussions of traditional poets, highlight the fluidity of poetry across time and style.

The Timeless Relevance of All Poetry Classic

The enduring appeal of All Poetry Classic lies in its universal themes. Whether it’s the beauty of nature, the pain of loss, or the joy of love, these poems touch on emotions and experiences that are as relevant today as they were centuries ago. This timelessness is what makes classic poetry so valuable in the modern world, where fast-paced technology often sidelines the deep, reflective nature of literature.

Reading All Poetry Classic can provide much-needed perspective in today’s chaotic world, reminding us of the power of words to soothe, provoke, and inspire. Whether you seek comfort, solace, or thought-provoking insights, famous poems from across the ages can offer a respite from modern life’s demands.

FAQ on All Poetry Classic with Respect to Shabdodweep Web Magazine

  1. Where can I read All Poetry Classic?
    You can read All Poetry Classic on digital platforms such as the world’s largest poetry site and Shabdodweep Web Magazine, which offers an extensive collection of both classic and contemporary poetry.
  2. Can I read contemporary poems alongside classics?
    Yes, Shabdodweep Web Magazine offers a combination of All Poetry Classic as well as contemporary poetry. Modern poets like Talal Uddin are featured alongside traditional works, creating a diverse and rich literary experience.
  3. How can I contribute my own poetry to Shabdodweep Web Magazine?
    If you’re a poet and wish to contribute your work to Shabdodweep Web Magazine, you can submit your poems for publication. The platform welcomes new voices in the world of poetry, providing an opportunity for writers to reach a global audience.
  4. What is the role of Shabdodweep Web Magazine in preserving All Poetry Classic?
    Shabdodweep Web Magazine plays a significant role in preserving and promoting All Poetry Classic by offering a space for these classic works to be read, studied, and enjoyed by a wider audience. It also integrates contemporary poetry, ensuring that the tradition of poetry continues to evolve.

Conclusion

All Poetry Classic represents the finest works in the literary world, offering timeless poems that continue to resonate with readers. Through platforms like the world’s largest poetry site and Shabdodweep Web Magazine, both classic and contemporary poetry are accessible to readers everywhere. Modern poets like Talal Uddin are contributing to the evolution of poetry, ensuring that the beauty of poetry remains relevant and alive for future generations. Whether you’re drawn to the works of Shakespeare or the latest poem by a new writer, All Poetry Classic offers something for everyone.

If you’re looking to explore famous poems and experience the emotional depth of classic and modern poetry, visit Shabdodweep Web Magazine today and immerse yourself in the rich world of poetry.


Sabuj Basinda | High Challenger | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment