Again and Again Jibanananda Das – Soumya Ghosh
কেন ফিরে যাই জীবনানন্দের কাছে বারবার – সৌম্য ঘোষ
আদি কবি বাল্মীকির ক্রৌঞ্চ মিথুন-বিয়োগে যে শোক প্রকাশ পেয়েছিল শ্লোকরূপে। যে শোক, যে বেদনা, যে অতৃপ্ত- শব্দকে আশ্রয় করে ভাষা পায়, উঠে আসে কবির কলমে তা শুধু কবির কল্পনা হয়েই আর থাকে না, হয়ে ওঠে পাঠকের নিজের জন্যও এক অনন্য অর্থ-ব্যঞ্জনার বাহন। কল্পনা বা অনুভূতি-স্নিগ্ধ যে ভাব তুলে আনে অন্তর থেকে তা স্বতঃ-উৎসারিত।
কবি শামসুর রাহমান একবার বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের পর জীবনানন্দ দাশই আমাদের প্রধান কবি। জীবনানন্দ দাশ আমাদের আধুনিক কবিতাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি রূপসী বাংলাকে ধারণ করেছেন শ্যামল মহিমায়, তাঁর কবিতায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়— ” এরকম কবি যে কোনো দেশেই বিরল, যিনি প্রচলিত ভাষা ব্যবহারের রীতি ভেঙে চুরে লণ্ডভণ্ড করে সম্পূর্ণ নিজস্ব ধরণ, প্রবর্তন করে যেতে পারেন। এবং যার কবিতা বারবার পড়লেও পুরানো হয় না।”
মন আনমনেই গুন গুন করে ওঠেঃ
"কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়
পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবীর মতো সবুজ ঘাস—তেমনি সুঘ্রাণ—
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে!
আমারো ইচ্ছে করে এই ঘাসের এই ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো
গেলাসে-গেলাসে পান করি,
এই ঘাসের শরীর ছানি—চোখে ঘষি,
ঘাসের পাখনায় আমার পালক,
ঘাসের ভিতর ঘাস হ’য়ে জন্মাই কোনো এক নিবিড় ঘাস-মাতার
শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।"
[ঘাস]
রবীন্দ্রনাথ ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো পাঠ করে বলেছিলেন, ‘‘তোমার কবিতাগুলো পড়ে খুশি হয়েছি। তোমার লেখায় রস আছে, স্বকীয়তা আছে, তাকিয়ে দেখার আনন্দ আছে।’’
জীবনানন্দ দাশকে আমাদের মনে রাখতেই হয়। যাপিত জীবনের যে ছায়া আমাদের প্রতিটি ভোরকে সমৃদ্ধ করে জীবনানন্দের প্রতীক। রূপক তাঁর কবিতা সম্পদ। তিনি যা বলেছেন, তা আমাদের প্রেম, প্রত্যয় ও বোধের আলো। যে আলোয় আমরা দেখি প্রিয়তমার মুখ। দেখি জীবনের আগামী। দেখি আমাদের প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল পৃথিবী। তাঁর কবিতায় অনেক নারীর ছায়া পাই। বনলতা সেন, সবিতা, সুরঞ্জনা, সুচেতনা, শ্যামলী—এমন চিত্রকল্পের ছায়ায় উঠে এসেছে বাঙালি ললনার মুখ। যে মুখ কখনো ভেসে উঠছে নদীর ঢেউয়ে, কখনো ছড়িয়েছে এই বাংলার সবুজ প্রান্তরে।
এমনই একটি কবিতাঃ—
"শ্যামলী, তোমার মুখ সেকালের শক্তির মতন;
যখন জাহাজে চড়ে যুবকের দল
সুদূর নতুন দেশে সোনা আছে বলে,
মহিলারি প্রতিভায় সে ধাতু উজ্জ্বল
টের পেয়ে, দ্রাক্ষা দুধ ময়ূর শয্যার কথা ভুলে
সকালের রূঢ় রৌদ্র ডুবে যেত কোথায় অকূলে।
তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকণ্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল, যুবাদের ক্রন্দন সব–
শ্যামলী, করেছি অনুভব।…"
[শ্যামলী]
এই কবিতায় আছে একটি চমৎকার চিহ্নায়ন। তিনি লিখছেন,
"তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকণ্ঠে সাগরের চিল…"
অবাক হয়ে ভাবি, এমন কাল কি দেখছি আমরা এখনও? এখনো তিনি আমাদের সময় থেকে কত এগিয়ে! জীবনানন্দ এমনই একজন অতুলনীয় মায়াবী। একথা ঠিক, কাল কিম্বা দশক কবিকে নির্ণয় করে না। কিন্তু তাঁর চলমান সময় তাঁকে চিত্রে ধরে রাখে। তিরিশের দশকের দিকে তাকালেই দেখতে পাই বোধ ও ভালোবাসা নিয়েই দাঁড়িয়ে আছেন একজনই — জীবনানন্দ দাশ।
প্রথম দিকে জীবনানন্দ, রবীন্দ্র প্রভাবিত ছিলেন। এর কিছু উদাহরণ দেওয়া যাকঃ
(ক)
"একদিন খুঁজেছিনু যারে
বকের পাখার ভিড়ে বাদলের গোধূলি-আঁধারে,
মালতীলতার বনে, কদমের তলে,
নিঝুম ঘুমের ঘাটে-কেয়াফুল, শেফালীর দলে!
-- যাহারে খুঁজিয়াছিনু মাঠে মাঠে শরতের ভোরে"
(খ)
"ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল—
ডালিম ফুলের মতো ঠোঁট যার রাঙা, আপেলের মতো লাল যার গাল,
চুল যার শাঙনের মেঘ, আর আঁখি গোধূলির মতো গোলাপী রঙিন,
আমি দেখিয়াছি তারে ঘুমপথে, স্বপ্নে-কত দিন!
মোর জানালার পাশে তারে দেখিয়াছি রাতের দুপুরে-
তখন শুকনবধু যেতেছিল শ্মশানের পানে উড়ে উড়ে!"
এই পঙক্তিগুলো তাঁর ‘ঝরা পালক’ কাব্যগ্রন্থে স্থান পায় ১৯২৭ সালে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এ সব কবিতায় ‘হেরি’, ‘খুঁজেছিনু’, ‘কহিল’—এমন অনেক শব্দের সাথে তিনি নিজের ভাবনা ও শব্দাবলীর সমন্বয় সাধন করেছেন। তিনি তাঁর চিত্রকল্পে তুলে এনেছেন — ’হিঙুল-মেঘের পানে!’, ‘নিঝুম ঘুমের ঘাটে-কেয়াফুল, শেফালীর দলে!’, ‘চুল যার শাঙনের মেঘ’—এ রকম ভাবনা বিন্যাস। তিনি ট্রাডিশনের অন্তর্গত, একসময় প্রথাসিদ্ধ কবিতার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। শব্দ নির্বাচনে নজরুলের এবং ছন্দে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব ছিল তাঁর কবিতায়। পরবর্তীতে জীবনানন্দ এই তিনজনের থেকেই সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে সরে দাঁড়াতে পেরেছিলেন। “সাতটি তারার তিমিরে” তিনি পরিপূর্ণ নতুন কবি।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনন ও জীবনে এমন একটি রেশ তৈরি করে গিয়েছিলেন, যা থেকে তাঁর পরবর্তী কবিদের বের হয়ে আসা সহজ ছিল না। জীবনানন্দ দাশের সমসাময়িক কবিরাও এই প্রভাবাক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু জীবনানন্দ ওই ঘোর কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন খুব সহজেই। তাঁর শেষ দিকের কবিতাগুলো সেই সাক্ষ্য দেয়। জীবনানন্দ ক্রমশ তা থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হন। তিনি নির্মাণ করেন তাঁর নিজস্ব ভুবন। তাঁর ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
পড়া যাক সেই কাব্যগ্রন্থের কিছু পঙক্তি—
(এক)
"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ির তীরে—এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠালছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হব—কিশোরীর—ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে-ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;"
(দুই)
"এ-সব কবিতা আমি যখন লিখেছি বসে নিজ মনে একা;
চালতার পাতা থেকে টুপ-টুপ জ্যোৎস্নায় ঝরছে শিশির;
………………..
আমের বউল দিল শীতরাতে; আনিল আতার হিম ক্ষীর;
মলিন আলোয় আমি তাহাদের দেখিলাম,….."
(তিন)
"এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে—সবচেয়ে সুন্দর করুণ:
সেখানে সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল;
সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল;
সেখানে ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ;
সেখানে বারুণী থাকে গঙ্গাসাগরের বুকে,—সেখানে বরুণ
কর্ণফুলী ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল;
সেইখানে শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল,…"
বিশ্বকে ভালোবাসার একটি প্রধান শর্ত হচ্ছে নিজেকে ভালোবাসা। কবি নিজেকে কি খুব ভালোবাসতে পেরেছিলেন? এমন প্রশ্ন আসতে পারে। তাঁকে পাঠ করে যা মনে হয়েছে, তিনি প্রকৃতি-নিসর্গের মাঝেই নিজেকে মিশিয়ে দিতে চেয়েছেন। ব্রতী হয়েছেন জল আর আলোর মাঝেই নিজেকে আবিষ্কারের। তিনি সকল চিরন্তনকে গ্রহণ করেছেন নিজের মতো করে। তাঁর ‘মৃত্যুর আগে’ কবিতাটি সেই সাক্ষ্য দেয়। ওই কবিতার শেষ চরণগুলো এই রকম—
"আমরা মৃত্যুর আগে কি বুঝতে চাই আর? জানো না কি আহা,
সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে
ধূসর মৃত্যুর মুখ; —একদিন পৃথিবীতে স্বপ্ন ছিল—সোনা ছিল যাহা
নিরুত্তর শান্তি পায়; যেন কোনো মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে।
কী বুঝিতে চাই আর;—রৌদ্র নিভে গেলে পাখ-পাখালির ডাক
শুনিনি কি? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখিনি কি উড়ে গেছে কাক!"
বাংলা কবিতার পাঠক প্রথম দেখলো এমনই সব শব্দবন্ধ —
“হেমন্ত ফুরায়ে গেছে পৃথিবীর ভাঁড়ার থেকে”
কিম্বা
“শ্বেতাঙ্গ দম্পতি সব সেইখানে সামুদ্রিক কাঁকড়ার মত সময় পোহায়ে যায়”
‘বেলা অবেলা কালবেলা’- র শেষ কবিতার কয়েকটি লাইন এই রকমঃ
"দেখা যাক পৃথিবীর ঘাস
সৃষ্টির বিষের বিন্দু আর
নিষ্পেষিত মনুষ্যতার
আঁধারের থেকে আনে কি ক'রে যে মহা-নীলাকাশ…"
১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯বরিশালে জন্ম নেওয়া এই কবি ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর ১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ খৃস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। জীবদ্দশায় তাঁর সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। এটা বাংলা সাহিত্যের জন্য আজও বেদনা বহন করে চলেছে। কিন্তু তিনি তাঁর উত্তরসূরিদের জন্য যে বোধ নির্মাণ করে গিয়েছেন—তা পঠিত হচ্ছে যুগে-যুগে। তাঁর অমরতা সেখানেই।
‘বোধ’ কবিতাটির অংশ আমাদের সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে।
"মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়—প্রেম নয়—কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!"
যে বিষয়টি আমাকে খুব ভাবায়, তা হলো বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী এই কবি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন বড় দুঃখী। অর্থকষ্ট, সামাজিক আঘাত, অসঙ্গতি তাঁকে খুব ঘরকুনো করে রেখেছিল। ফলে তিনি যা লিখেছিলেন, সবকিছু আমাদের দিয়ে যাননি। আমার কখনো কখনো মনে হয়, না দিয়ে ভালোই করেছেন। দিয়ে কী হবে?
কবি বিনয় মজুমদার বলেছেন—
'‘ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝরে যায়—
হাসি, জ্যোৎস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকে না।
এ আমার অভিজ্ঞতা। পারাবতগুলি জ্যোৎস্নায়
কখনো ওড়ে না; তবু ভালোবাসা দিতে পারি আমি।’'
জীবনানন্দ দাশ আমাদের জন্য যে ভালোবাসার ডালি নিয়ে এসেছিলেন – তার একেকটি পাপড়ি এখনো ঝরে পড়ছে আমাদের মাথার ওপর। সেজন্যই তিনি আমাদের সময়ের একজন মহান কবি।
সৌম্য ঘোষ | Soumya Ghosh
Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022
Rabindranath Tagore’s love for art and literature
Porokia Prem Ekaal Sekaal | পরকীয়া প্রেম (একাল সেকাল) | 2023
Best Tattoo Machine 2023 | ট্যাটু মেশিনের ক্রমবিকাশ | প্রবন্ধ ২০২৩
বোধ কবিতা জীবনানন্দ দাশ | জীবনানন্দ দাশের বিরহের কবিতা | জীবনানন্দ দাশের কবিতা বিশ্লেষণ | বোধ কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের | আবার আসিব ফিরে | জীবনানন্দ দাশের বিরহের কবিতা | জীবনানন্দের খোঁজে | জীবনানন্দ দাশ ও প্রকৃতি | বাংলা প্রবন্ধ | বাংলার লেখক | প্রবন্ধ ও প্রাবন্ধিক | সেরা প্রবন্ধ | শব্দদ্বীপ | শব্দদ্বীপের লেখক | জীবনানন্দ দাশ প্রবন্ধ রচনা | জীবনানন্দ দাশ জীবনী
Again and Again Jibanananda Das Ebooks | jibanananda das poems | jibanananda das bengali | jibanananda das paragraph | Again and Again Jibanananda Das Documentary | jibanananda das poems in english | jibanananda das poems pdf | jibanananda das poem analysis | In Memory of Jibanananda Das | Jibanananda Das – Wikidata | Again and Again Jibanananda Das Wikipedia Quotes by Jibanananda Das | All Jibanananda Das Books PDF Download | Again and Again Jibanananda Das in life | In remembrance of Jibanananda Das | Jibanananda Das Songs Download | Again and Again Jibanananda Das History | Read along with Jibanananda Das | Again and Again Jibanananda Das | Article – Again and Again Jibanananda Das | Again and Again Jibanananda Das in pdf | Again and Again Jibanananda Das Life Experience | MP4 Again and Again Jibanananda Das | Bengali Article | New Article | Full Article | Article Factory | Article Collection | Article Library | Article Journal | English Article | International Article | All article pdf | Trending Article | Best Article | Famous Article | Full time article | Article Writer | Professional Article Writer | Freelance Writer | Again and Again Jibanananda Das Poetry | Again and Again Jibanananda Das in memory | Again and Again Jibanananda Das Collection | Read Again and Again Jibanananda Das | Shabdodweep Writer | Bengali Article Translation | Come Again and Again Jibanananda Das