Advantages & Disadvantages of Tattoo | ট্যাটুর উপকারিতা এবং অপকারিতা | Bengali Article 2023

Sharing Is Caring:

ট্যাটু হলো একটা হুজুগে ফ্যাশন। উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে কারও তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। শরীরে ট্যাটু ধারণ করার বিজ্ঞান সম্মত উপযোগিতা আজও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাটুর উপকারিতা | Advantages of tattoo

প্রাচীন কালে উল্কি ব্যবহারের প্রারম্ভিক ইতিহাসে মনে করা হতো ট্যাটু বা উল্কি শরীরে রোগ নিরাময়ের একটা পদ্ধতি এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল বদ্ধমূল ধর্মীয় বিশ্বাস। তবে উল্কি দ্বারা রোগ নিরাময় হয়েছে কি না তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ লোক সমক্ষে আসেনি। সবটাই ছিল বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। অত‌এব বিশ্বাসে মিলায় বস্তু…, কাকতালীয়ভাবে হয়তো কোন সময় কোন সুরাহা মিলে থাকতে পারে। কারণ উল্কির প্রাচীন উপকরণ যে গোদুগ্ধ, গোমূত্র বা চর্বি, শরীর বিশেষে তা থেকে কারও কোন সুফল হয়তো মিলেছে। আর পল্লবিত সেই গুজব কুসংস্কারাচ্ছন্ন জনমানসে বিশ্বাসটা আরো ব্যাপক ও মজবুত হয়েছে।

অপকারিতা | Disadvantages of tattoo

ট্যাটুর অপকারিতা বহুমুখী এবং সুদূরপ্রসারী। মুখে বা শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গে কি নিম্নাঙ্গে যেখানেই ট্যাটু আঁকা হোক না কেন,ট্যাটু জনিত শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা সব ক্ষেত্রেই সমান। অত‌এব খেয়াল বা সখের বশে ‘উঠল বাই তো কটক যাই’, একেবারেই ঠিক নয়। হুজুগে মেতে বা বন্ধু বান্ধবদের পরামর্শ শুনে অথবা প্রিয় নায়কের অনুকরণে ট্যাটু যদি করতেই হয় তো প্রাথমিক কয়েকটি বিষয় বিশদে জেনে নেওয়া ভালো। যেমন,

(ক) প্রথমত একজন স্পেশালিস্ট ডার্মাটোলজিষ্ট বা চর্ম বিশারদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।সব ত্বক ট্যাটু একসেপ্ট করে না। অনেকের ত্বকে থাকে অনেক সমস্যা। আপাতত কিছু ধরা না পড়লেও, ট্যাটুর পর তা মাথা চাড়া দিতে পারে, যেমন চুলকানি, খোস-পাঁচড়া, র‌্য‌াশ ইত্যাদি। সুতরাং তেমন কোন সমস্যা সম্বলিত ত্বকে ট্যাটু ধারণযোগ্য কি না, অথবা কি ধরণের ট্যাটু গ্ৰহণযোগ্য, একমাত্র কোন চর্ম বিশারদ‌ই তার নিদান দিতে পারেন। একবার ট্যাটু হয়ে গেলে, পরে সমস্যা দেখা দিলে আর কিছু করার থাকে না। অনেক সময় ‘কিলোয়েড’ সংক্রমণ দেখা দেয়, ট্যাটু ক্ষেত্রের স্কিন ফুলে ওঠে।এই জন্য ট্যাটু করার পূর্বে স্কিন পরীক্ষা করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

(খ) বর্তমানে ট্যাটু এক ধরণের শিল্পের আকার নিয়েছে। বহুলোক এই পেশায় নিযুক্ত হয়ে পড়ছেন, ফলে ভালো-মন্দ, দক্ষ-অদক্ষ নিরূপণ বেশ কঠিন। ট্যাটু এক উন্নত মানের আর্টের মধ্যে পড়ে। ভালো ট্যাটু-আর্টিস্টের দক্ষ হাত না পড়লে অসুবিধে দেখা দিতে পারে। কারণ, শিক্ষা নবিশ অনেক ট্যাটু শিক্ষার্থী দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার আগে উপায়ের ধান্দায় হাতে-কলমে কাজে নেমে পড়েন। Expert hand না হলে ট্যাটু করার মূল উদ্দেশ্যটাই বিফলে যাবে। সেকারণে ট্যাটু করার পূর্বে দক্ষ ট্যাটু আর্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা বিধেয়।

(গ) বর্তমানের নীতি হলো ‘ফেল কড়ি মাখো তেল, ‘কেউ বিনা পারিশ্রমিকে বা বিনামূল্যে ট্যাটু বানিয়ে দেবে না। খরচ আছে। যথেষ্ট খরচ আছে। ট্যাটু নির্মাণ সংস্থা বা ট্যাটু পার্লার আছে প্রচুর। বাজার ধরার জন্য বহু সংস্থা কম খরচে ট্যাটু করে দিতে সম্মত হবে।বিপদটা সেখানেই। কথায় বলে, ‘সস্তার তিন অবস্থা।’ তাই আগে ভাগে হাতে পয়সা জমিয়ে তবে ট্যাটুর কথা চিন্তা করা দরকার। যেখান সেখান থেকে সস্তায় ট্যাটু করালে পশ্চাতে মূল্য চোকাতে হবে, কিন্তু নিরাময় হবে না। তাই ভালো সংস্থা, অর্থাৎ যারা নামী কোম্পানির দামী ডিসপোজেবেল নিড্‌ল ব্যবহার করেন, যন্ত্রপাতি জীবাণু মুক্ত রাখতে যত্ন নেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং কর্মীবৃন্দ আন্তরিক, সেই সমস্ত পার্লারের সহায়তা নেওয়া উচিত।দাম দিলে মান সাধারণত ভালো হয়।

(ঘ) ট্যাটু যথেষ্ট বেদনাদায়ক। বিদ্যুৎ চালিত আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ট্যাটু আঁকা হয়। দাঁতের ডাক্তারের ড্রিল মেশিনের মতো,যার মাথায় আছে অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সূচ।এই সূচের মাথায় থাকে কালি লাগানো।সূচটি প্রতিবারে চামড়া ছিদ্র করে ডের্মিস স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। পার্লারে গিয়ে কান ফোটালে যতটা ব্যথা লাগে,ট্যাটু তৈরির ব্যথা তার ও দ্বিগুণ। অত‌এব যন্ত্রণা সহ্য করার মতো সহ্যশক্তি ও মানসিক প্রস্তুতি না থাকলে অর্ধপথে রণে ভঙ্গ দিয়ে অর্থ ব্যয় করে হাস্যাস্পদ হয়ে কোন লাভ নেই।এমন অনেক ডিজাইনের ট্যাটু আছে যা একদিনে হয় না, একাধিক দিন লেগে যায়।

(ঙ) ট্যাটু সম্পর্কিত কিছু নিয়ম কানুন আছে, সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে যত্ন সহকারে মেনে চলা পালনীয় কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। নিয়মগুলি দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। ট্যাটু করার পূর্বে কিছু এবং ট্যাটুর পরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা পালন করা খুবই দরকার। ট্যাটু করার পূর্বে ত্বকে জমে থাকা ধুলো ময়লা পর পর কয়েক দিন সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা এবং ট্যাটুর পর নির্দিষ্ট বেশ কিছু দিন জল না লাগানো বা রোদে ঘোরা ঘুরি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

আগাম সতর্কতা

ট্যাটু করার আগাম সতর্কতা হিসেবে পরিণামের জন্য কিছু মৌলিক চিন্তা ভাবনা থাকা প্রয়োজন। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে অপ্রত্যাশিত কিছু একটা ঘটে গেলে প্রতিকারের পথ পাওয়া কঠিন।

প্রত্যেকে চায় উপযুক্ত ক্যারিয়ার গড়ার পর মনোমত কর্ম সংস্থান। এমন অনেক সরকারি বেসরকারি অফিস কাছারি আছে যেখানে ট্যাটু বা উল্কি এ্য‌লাউ নয়।সব ঋতু ট্যাটুর উপযুক্ত নয়।গরমকাল অপেক্ষা শীতকাল‌ই হলো ট্যাটু করাবার পক্ষে শ্রেষ্ঠ সময়। অত‌এব পারতপক্ষে শীতকালটিকে বেছে নেওয়া ট্যাটুকারীদের কাছে উচিত কাজ হবে।প্রেমের নেশায় প্রেমিক বা প্রেমিকা পরষ্পর পরষ্পরের নাম প্রেমের স্মারক স্বরূপ নিজেদের শরীরে খোদাই করে রেখে দেয়।পরে যদি প্রেম ভেঙে যায়, তখন নাম আর মোছা যাবে না। ভবিষ্যতে নতুন করে প্রেমে পড়তে গেলে ওই ট্যাটু করা নাম‌ই অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। অত‌এব, ‘look before you leap.’

ট্যাটু বা উল্কি আঁকার ফ্যাশনটা কয়েক বছর হলো খুব বেড়ে গেছে।ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র মাথা তুলছে ট্যাটু পার্লার।সব পার্লার নিরাপদ নয়।অথচ আট থেকে আশি সেখানে লাইন লাগাতে ব্যস্ত।ট্যাটু পার্লারের চারপাশে যারা ভিড় জমাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই হয়তো জানেন না,ট্যাটুতে যে কালি ব্যবহার করা হয় তাতে ‘এজোডাই’ নামের মারাত্মক ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ একটি রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় যা অন্য কিছুর সংস্পর্শে এলে বিপজ্জনক রূপ ধারণ করে। ট্যাটুর জন্য সাধারণত ৩৮ প্রকার কালি ব্যবহার করা হয় এবং সব রকমের কালিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকটি মিশিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই কালি ট্যাটু মেশিনের সূচের সাহায্যে চামড়ার স্তর ভেদ করে শরীরের মধ্যে প্রবেশ ক’রে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করে। শরীরের সঙ্গে মানিয়ে গেলে ভালো,অন্যথায় সারা জীবনের জন্য যন্ত্রণাদায়ক বহু উপসর্গ বহে বেড়াতে হবে।ট্যাটু যেমন সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকে তেমনি কালিতে মিশ্রিত ক্ষতিকারক রাসায়নিকটি ও সারা জীবনের অবাঞ্ছিত অতিথি হয়ে রয়ে যায়।

ট্যাটু আঁকার ফলে প্রচুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে থাকে শরীরে। নানান জাতীয় ত্বকের রোগা তো আছেই, এমন কি দুরারোগ্য মারণ ব্যাধি এইডস্‌ এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থেকে যায় অনেক ক্ষেত্রে। তবে ট্যাটুর এই ক্ষতিকারক প্রভাব এড়াতে ক্ষণস্থায়ী ট্যাটু বা স্টিকার ট্যাটু ব্যবহার করা সকল দিক থেকে ঝুঁকি মুক্ত।সূচ দিয়ে শরীরে ছিদ্র করার প্রয়োজন হয় না।উপলক্ষ অনুযায়ী উপযুক্ত এবং মানানসই স্টিকার ট্যাটু দোকান থেকে কিনে শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে স্থানে লাগিয়ে নিলে প্রয়োজন মিটে যায়।সাপ ও মরবে, লাঠি ও অক্ষত থেকে যাবে।

প্রবোধ কুমার মৃধা | Probodh Kumar Mridha

ট্যাটুর ইতিহাস ও আমরা | History of Tattoo | Reasons for using tattoos | 2023

Bengali Article 2023 | আশা নিরাশার দোলাচলে বাঁকুড়া জেলার কাঁসা শিল্প

Bengali Article 2023 | শ্রমিক আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু | প্রবন্ধ ২০২৩

Bengali Poetry 2023 | প্রতিম ঘোষ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

ট্যাটুর উপকারিতা এবং অপকারিতা | ট্যাটু বা উল্কি কতটুকু ক্ষতিকর | ট্যাটু করার সতর্কতা | ট্যাটু করার আগে যা জানা উচিত | ট্যাটু ধারনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি | ট্যাটু করার আগে ও পরে যা করবেন | ট্যাটু করার ১০টি টিপ্‌স | ট্যাটু করার ক্ষেত্রে সতর্ক | উল্কি ব্যবহারে সতর্ক থাকুন | ট্যাটু করালে কি রক্ত দেওয়া যায় | কেন শরীরে ট্যাটু আঁকে মানুষ | শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকার বিষয় | চোখের মণিতে ট্যাটু | ক্ষতিকর উল্কি | ট্যাটুর ইতিহাস ও আমরা | ট্যাটু ব্যবহারের কিছু কারণ | শরীরে ট্যাটু আঁকায় ক্যানসারের ঝুঁকি | ট্যাটুর ইতিহাস ও আমরা | ট্যাটুর ইতিহাস | ট্যাটু ব্যবহারের কিছু কারণ | ট্যাটু বিষয়ক কিছু জ্ঞাতব্য তথ্য | পৃথিবীর প্রাচীনতম ট‍্যাটুর ইতিহাস ও বিবরণ | ট্যাটুর ইতিহাস – অ্যাডিসন অ্যান্ডারসন | ট্যাটুর ইতিহাস | ট্যাটু করতে চান? | ট্যাটু সম্পর্কিত বিস্ময়কর যত তথ্য | ট্যাটু করা ট্যাবু নয় তো? | ভারতে ট্যাটু সংস্কৃতির ইতিহাস | উল্কি – উইকিপিডিয়া | প্রাচীনতম ট‍্যাটু কিট আবিষ্কার | ট্যাটু করানোর আগে জেনে নিন ইতিহাস | ট্যাটু আবিষ্কার করেন কে এবং কীভাবে | জেনে নিন ট্যাটু এবং এর প্রাচীন ইতিহাস | দেশ-বিদেশের ঐতিহ্যবাহী ট্যাটুর গল্প | জানুন ট্যাটুর ইতিহাস | ট্যাটু করাতে চান শরীরে? | রহস্যময় ট‍্যাটু থেকে যৌনতা | ট্যাটু এবং ছিদ্রগুলির একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস | খোলা পিঠে ট্যাটুর উঁকি | টেটুর ডিজাইন | ঢাকায়ও এখন ট্যাটুর ছড়াছড়ি | উল্টানো ক্রস ট্যাটুর অর্থ | ট্যাটুর ভয়াবহতা থেকে সতর্ক ইউরোপ | সারা শরীরে ট্যাটু | হাতের ট্যাটু দেখে খুনের কিনারা | ট্যাটু মেশিনগুলির অবিশ্বাস্য ইতিহাস | ট্যাটু বা উল্কি কতটুকু ক্ষতিকর | ট্যাটু করার আগে ও পরে যা করবেন | ট্যাটু করা কি হারাম | ট্যাটু করতে কত টাকা লাগে | শরীরে ট্যাটু থাকলে কি নামাজ হবে | ট্যাটু করার নিয়ম | ট্যাটু কি | ট্যাটু মোছার উপায় | কেন শরীরে ট্যাটু আঁকে মানুষ | ট্যাটু আঁকার ভয়াবহ পরিণতি | শরীরে ট্যাটু আঁকার শাস্তি | ট্যাটু করা কি নিরাপদ | উল্কিতে যামিনী রায়, নন্দলাল | স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করবে ট্যাটু | ট্যাটু করালে কি রক্ত দেওয়া যায় | বাংলা প্রবন্ধ | বাংলার লেখক | প্রবন্ধ ও প্রাবন্ধিক | সেরা প্রবন্ধ ২০২৩ | শব্দদ্বীপ | শব্দদ্বীপের লেখক | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Advantages & Disadvantages of Tattoo | The Pros and Cons of Having Tattoos | 13 Advantages and Disadvantages of Tattoos | benefits of no tattoos | disadvantages of tattoo in india | tattoo disadvantages for job | advantages of tattoos | advantages and disadvantages of tattooing animals | pros and cons of tattoos essay | social benefits of tattoos | disadvantages of tattoo blood donation | 7 Astonishing Health Benefits Of Tattoos | Tattoo Disadvantages | Never Enough Tattoo Shop | Astro tips For Tattoo | Tattoo Designs for Men | Tattoo Stencil | Tattoo Care | Tattoo Wallpapers | A brief history of tattoos | Who first invented tattoos? | When was tattoo invented? | What was the first tattoo ever? | What is the purpose of a tattoo? | History of tattooing | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment