2023 New Bengali Story | গল্পগুচ্ছ | রানা জামান

Sharing Is Caring:
2023 New Bengali Story

নাকানিচুবানি – রানা জামান [2023 New Bengali Story]

বাইরে হৈ চৈ আনন্দের, আর রোক্সানার মনে উৎকণ্ঠা নিরন্তর। ও কখনো সাহসী হয়ে উঠে, কখনো ভীত। কিছু একটা করা দরকার; কিন্তু সে কিছুই করতে পারছে না। মনে হচ্ছে ওর: ও যেন বাস করছে একটা বিচ্ছিন্ন দ্বিপে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে, ল্যান্ডফোনটাও-কক্ষে একটা টেলিভিশন থাকলেও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ওয়াইফাই। কীয়েক্টা অবস্থা!

বেঁচে থাকতে হলে পালাতে হবে, এই সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছে রোক্সানা। কিন্তু পালাবে কিভাবে? দরজায় বাইরে তালা। ও উঠে আলগোছে দরজার ছিটকিনি আটকে দিলো। এবং সাথে সাথে ওর মনে হলো ও অনেকটা হয়ে গেছে স্বাধীন-এখন মা-বাবা বা অন্য কেউ ইচ্ছেমতো ঢুকে ওর মনের উপর খবরদারি করতে পারবে না। ও এমনভাবে কক্ষটাকে দেখলো যেন এই কক্ষে সে এই প্রথম ঢুকেছে। কক্ষটায় একটিমাত্র জানালা। জানালায় গ্রিল দেয়া আছে ও জানে। তবুও সে এগিয়ে গেলো জানালায়। পর্দা সামান্য সরিয়ে গ্রিল ধরে খানিক টেনে দেখলো খোলা যায় কিনা। নিজের পেশির দিকে তাকিয়ে নিজকেই বিদ্রূপ হাসলো রোক্সানা। সরে বিছানায় এসে বসলো। এই কক্ষ দিয়ে দরজা ছাড়া বাইরে যাবার অন্য কোন রাস্তা নেই।

কথাটা মনে হতেই রোক্সানা ঢুকলো বাথরুমে। বায়ুরন্ধ্রটা দেখে মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠলো ওর। ছুটে গেলো বায়ুরন্ধ্রটার কাছে। স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে খোলা যাবে। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে স্ক্রু-ড্রাইভার? চলে এলো শয্যাকক্ষে। বিউটিবক্স খুলে নেল-কাটার নিয়ে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালো। সময় নাই! যা করার খুব দ্রুত করতে হবে। কমোডের উপর উঠে বায়ুরন্ধ্রের সকল স্ক্রু খুলে ফেললো একে একে। বায়ুরন্ধ্রের গ্রিলটা খুলে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললো: শেষ পর্যন্ত একটা পথ করা গেলো। সে উঁকি দিয়ে নিচে দেখার চেষ্টা করলো-চারতলা থেকে রাস্তার মানুষকে তেমন ছোট দেখা যায় না।

এবার নিচে নামার ব্যবস্থা করতে হবে। বায়ুরন্ধের গ্রিলটা নিচে রেখে দ্রুতই কক্ষে ঢুকলো রোক্সানা। বিছানার চাদরটা ফালিফালি করে মাথায় মাথায় গিট দিয়ে ঢুকলো ফের বাথরুমে। কমোডের গোঁড়ায় একমাথা বেঁধে চাদরের দড়ির বাকিটা বায়ুরন্ধ্র দিয়ে ফেলে দিলো বাইরে।

এখন রোক্সানার সাহস বেড়ে ডিঙ্গিয়ে যাচ্ছে আকাশ। সে ওড়নাটা গায়ে চমৎকার করে পেঁচিয়ে নিলো যাতে দড়ি বেয়ে নামার সময় সমস্যার সৃষ্টি না করে। কিছু টাকাও তো সঙ্গে নেয়া দরকার। এটা ওটা হাতড়ে যা পেয়েছে তা গুঁজে নিলো কোমরে। এবার দুঃসাহসের কাজটা করতে হবে ওকে। শেষবারের মতো বাথরুমে ঢুকার আগে শয্যাকক্ষের দিকে তাকালো রোক্সানা। গত পাঁচ বছর সে এই কক্ষটায় রাত কাটিয়েছে নিজের কক্ষ হিসেবে।

আর কি ফিরে আসতে পারবে এই শয্যাকক্ষে? আবেগে চোখের কোলে চলে এলো অশ্রুবিন্দু। সে হাতের পোছায় অশ্রু মুছে ঢুকে গেলো বাথরুমে। কমোডের উপর দাঁড়িয়ে বাইরে ছুড়ে দেয়া দড়ি টেনে এনে কোমড়ে প্যাঁচানো ওড়নার ভেতর দিয়ে বের করে ফের ছুড়ে দিলো বায়ুবন্ধ্র দিয়ে বাইরে। এবার বায়ুরন্ধ্রে উঠার পালা। বেশ কঠিন কাজ। আগে পা দিতে পারলে সহজ হতো। কিন্তু অনেক উঁচু থাকায় তা সম্ভব না।

দুই হাতে বায়ুরন্ধ্রের কিনার ধরে আস্তে আস্তে উপরে উঠে মাথা গলিয়ে দিলো বাইরে। উঁচুকে তেমন উঁচু মনে হচ্ছে না আর। বায়ুরন্ধ্র দিয়ে পুরো শরীর বের করে ঝুলে পড়লো দড়িতে। দড়ি ছেড়ে আস্তে আস্তে নামতে থাকলো নিচের দিকে। হঠাৎ বাথরুমে ঘট করে বিকট শব্দ হওয়াতে উপরে তাকালো রোক্সানা। সরসর করে দড়ি নিচে নামতে থাকায় বেশ ভয় পেয়ে গেলো। দড়ি ছিঁড়ে গেলো নাকি? একটা ঝাঁকি দিয়ে দড়ি নামা গেলো থেমে এবং সাথে সাথে এক ঝাপটা পানি পড়লো ওর মুখের উপর। উপরে তাকিয়ে দেখে কমোডটা আটকে আছে বায়ুরন্ধ্রের মুখে।

ব্রাশ ফায়ার – রানা জামান [2023 New Bengali Story]

মনের সুখে ভাটিয়ালি গাচ্ছে কদ্দুস। ওর বাম হাত লাঙ্গলের কটিতে এবং ডান হাতে একটা বাঁশের চিকন লাঠি। গানের ফাঁকে ফাঁকে হাই হাট হাট বলার সাথে যে বলদ একটু শ্লথ ওটার পাছায় খোঁচা মারছে লাঠি দিয়ে। তাতে বলদের চলার গতি বেড়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে তাকাচ্ছে সূর্যের দিকে। দুপুর হবার আগে আরেকটা চাষ দিতে হবে ক্ষেতে। পেট ভরে পান্তাভাত খেয়ে এসেছে; তাই পেট নিয়ে চিন্তা নাই! হুকা টানতে পারলে আরো জোশ পেতো; আশেপাশে কোনো হাল চলছে না, বা কেউ কোনো ক্ষেতে কাজও করছে না- ও-ও হুকা নিয়ে আসেনি। হুকা টানার তৃষ্ণা ভুলতে জোরে ‘ও মাঝি রে!’ গানে লম্বা টান দিয়ে দক্ষিণে তাকিয়ে সামনের পাড়া থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে থেমে গেলো ওর গান। ও থামায় থেমে গেলো হালও।

দূরে লোকজনের ছুটাছুটি দেখে কদ্দুস ভাবলো সবাই আগুন নিভাতে যাচ্ছে। ওর-ও যাওয়া দরকার। হাল থেকে লাঙ্গলটা খুলে দুই বলদের কাঁধের জোয়াল একটু ঢিলা করে দৌড়াতে শুরু করলো আগুনের উৎসের দিকে। কাছাকাছি গিয়ে উল্টো পরিস্থিতি দেখে বিস্মিত হয়ে একজনকে জিজ্ঞেস করলো, কী ব্যাপার? তোমরা আগুন না বুজাইয়া দৌড়াইয়া এদিকে আইতাছো ক্যান?
দৌড়ানো না থামিয়ে একজন বললো, পাক বাহিনী আয়া পড়ছে। মতিন চাচার বাড়িতে আগুন দিছে। বাড়িত গিয়া বৌ পোলাপান নিয়া পালাও!

কিন্তু কদ্দুস না পালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলো ওদিকে। ও মনে মনে বললো: পাক বাহিনী কী করতাছে দেখতে হইবো! কদ্দুস বাড়িটার কাছাকাছি গেলো। অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটার সামনে।
একজন কথা বলছে সবাইকে উদ্দেশ্য করে, তোমাদের কুনু ডর নাই। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের ভাই। আমাদের সাহায্য করতে আসছে। মতিন পাকিস্তানের শত্রু। এই গ্রামে পাকিস্তানের আরো কুনু শত্রু থাকলে নাম কও। আইজ আমরা সবাইকে উচিত শিক্ষা দিয়াম।

গ্রামের লোকেরা কেউ কিছু না বললে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মেজর আকরাম পাঠান লোকটির কাছে এসে বললো, কোউ কুচ নেহি বলরাহারে। দ্যান উই উইল কিল অল অব দেম!
মসজিদের ইমাম মৌলানা ছানাউল্যা পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো ওদের কাছে। মেজরকে একবার দেখে এগিয়ে গেলো লোকটার দিকে। লোকটাকে ও চিনে। রাউতি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জহির উদ্দিন।
মৌলানা ছানাউল্যা জহির উদ্দিনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো, আফনের ভুল হইতাছে চেয়ারম্যান সাব। এই গেরামে কুনু পাকিস্তানের শত্রু নাই। অহনো কেউ মুক্তিযুদ্ধে যায় নাই।

মেজর আকরাম কিছু কিছু বাংলা বুঝে। সে হোলস্টার থেকে পিস্তল বের গুলি করে দিলো ছানাউল্যাকে। গুলিটা লাগলো ছানাউল্যার কপালের মাঝখানে। তৎক্ষনাৎ ছানাউল্যা মারা গেলেন। ওর লাশটা কাটা কলাগাছের মতো পড়লো জহির উদ্দিনের পায়ের কাছে। ভয় পেয়ে এক চিৎকার দিয়ে দুই পা পিছিয়ে গেলো জহিরউদ্দীন।

তখন দুটো পাঞ্জাবি সেনা আব্দুল মতিন ও তাঁর স্ত্রী কুলসুমকে টেনে নিয়ে এলো বাড়ির বাইরে। কুলসুম মুখে শাড়ির আঁচল দিয়ে কাঁদলেও আব্দুল মতিন নির্বিকার। তিনি তাকিয়ে আছেন জহির উদ্দিনের দিকে।
মেজর আকরাম জহির উদ্দিনকে বললো, আস্ক হিম হোয়ার হিজ সান।

— ইয়েস স্যার!

বলে ভয়ার্ত জহির উদ্দিন এগিয়ে গেলো আব্দুল মতিনের দিকে। আব্দুল মতিনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, তোমার পোলা কোথায় আছে না কইলে ওরা তোমাদের দুই জনরে মাইরা ফালাইবো। তোমার একটা মাইয়া আছে না? হে কই?

তখন আব্দুল মতিন হাউমাউ করে কেঁদে দিলেন। স্বামীকে ডুকরে কাঁদতে দেখে কুলসুমকে ডুকরে কাঁদতে লাগলেন। কিছু বুঝতে না পেরে জহির উদ্দিন জিজ্ঞেস করলো, কী হইলো? অমন কইরা কান্দাছো ক্যান?
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আব্দুল মতিন বললেন, আমার মাইয়াডা ডরায়া উগারের নিচে লুকাইছিলো। ঘরে আগুন দেওয়াতে পুইড়া মইরা গেছে।

আব্দুল মতিনের কথা শুনে মেজর আকরাম এগিয়ে এলো ওঁর দিকে। সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো, টোমার ছেলে কোটায়?
আব্দুল মতিন বুঝতে পারলেন পাক বাহিনীর এই সৈন্যরা ওদের মেরে ফেলবে। আগুনে পুড়ে মেয়েটা মারা গেলো। ছেলে যুদ্ধ থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে কিনা আল্লাহ জানেন। এরা দেশের শত্রু, বাঙালির শত্রু। অস্ত্র না থাকায় এদের হত্যা করতে না পারলেও ঘৃণা ছুড়তে পারবেন। এই ভাবনা ভাবার সাথে সাথে মন থেকে মৃত্যুভয় উধাও হয়ে গেলো আব্দুল মতিনের।

আব্দুল মতিন প্রতিটি শব্দে জোর দিয়ে বললেন, আমার পোলা শহীদ যুদ্ধে গেছে। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গেছে। মেজর আকরাম হো হো করে হেসে দিলো। হাসি থামিয়ে বললো, তোমার সান আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কী করিবে? পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অনেক অনেক শক্তিশালী। আমাদের কাছে একে ফরটি সেভেন আছে। তোমার সানের কাছে কী অস্ত্র আছে?

আব্দুল মতিন খুব বুদ্ধি খাটিয়ে উত্তর দিলেন। তিনি বললেন, বাংলার দামাল ছেলেদের কাছে সাহস আছে। আর আছে বঙ্গবন্ধুর সাত-ই মার্চের ভাষণ।
মেজর আকরামের রাগ উঠে গেলো চরমে। সে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সৈনিকের একে ফরটি সেভেন রাইফেলটা নিয়ে বেয়নেটটা ঢুকিয়ে দিলো আব্দুল মতিনের পেটে। বেয়নটটা টেনে বের করতেই আব্দুল মতিনের রক্তাক্ত দেহটা পড়ে গেলো সেখানে। এক চিৎকার দিয়ে কুলসুম হানাদার সৈনিকের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে এদিকে ছুটে আসতে থাকলেন। তখন মেজর আকরাম হুকুম দিলো, ফায়ার!
সাথে সাথে সৈনিকরা কুলসুমকে ব্রাশ ফায়ার করলো। চার সৈনিকের একে ফরটি সেভেনের ব্রাশ ফায়ারে কুলসুমের রক্তাক্ত মরদেহটা আব্দুল মতিনের পায়ের কাছে পড়ে গেলো। চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকা গাঁয়ের লোকগুলো হয়ে গেলো হতভম্ব।

না বলা কথা – রানা জামান [2023 New Bengali Story]

যুদ্ধ চলছে, তুমুল যুদ্ধ চলছে ক’দিন যাবৎ; থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আকবর।একাই চালিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধ। নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করছে ও। যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় সারারাত ঘুম হয়নি। কিন্তু ঘুম দরকার। সকালে একটা সিডেটিভ খেয়ে গেলো গভীর ঘুমে। কিন্তু ঘুম পুরা হবার আগেই ডাক পড়লো ওর।

সকাল আটটায় বাহির থেকে প্রথম ডাকটা এলো, আকবর…

ঘুম ভাঙল না আকবরের। ভোরের দিকে যে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়েছে, ওর কি এক ডাকে ঘুম ভাঙ্গে? এবার দুটো ডাক এলো; কিন্তু ঘুম ভাঙল না আকবরের।

তৃতীয় ডাক দেবার আগেই আকবরের বড় ভাই নেকাব্বর আলী বাড়ির বাইরে এসে বললেন, এইভাবে ডাকাডাকি না কইরা তুমি ঘরে গেলেই পারো লুৎফর!

লুৎফর বললো, ও এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই বড় ভাই?

না লুৎফর!

কী করে রাত জাইগা ও?

কী জানি কী করে! তোমার কী জরুরি দরকার ওরে?

কিছুটা বড় ভাই।

তাহলে ঘরে গিয়া ওরে জাগাও যেভাবে পারো। আমি হাটে যাইতাছি।

নেকাব্বর চলে যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যের দিকে। লুৎফর ঢুকলো বাড়ির ভেতরে। আকবরের কক্ষটা আলাদা। আকবরের কক্ষের দরজা ভেজানো। লুৎফর বারান্দায় উঠে আকবরের কক্ষের দরজা খুলে ঢুকলো ভেতরে। আকবর কোলবালিশ আঁকড়ে ধরে উপুড় হয়ে বেঘোরে ঘুমুচ্ছে। ওর গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডাক দেবার জন্য ডান হাত বাড়িয়েও ফিরিও নিলো লুৎফর।একটা দুষ্টুমি করার ইচ্ছে জেগে গেলো ওর মনে। সংলগ্ন ওয়াশরুমে ঢুকে মগে করে পানি এনে আকবরের মাথার কাছে দাঁড়িয়ে মুখ টিপে একবার হেসে ঢেলে দিলো মগের পুরো পানি আকবরের মাথায়।

নাকে-মুখে পানি ঢুকায় কাশতে কাশতে ধড়ফড়িয়ে বিছানায় উঠে বসলো আকবর। পানি ঢালার জন্য বকা দিতে যাবে, তখন লুৎফরকে দেখে মুখ বন্ধ করে দুই হাতে মুখমণ্ডলের পানি মুছে বললো, সারারাত ঘুমাতে পারি নাই। তাই ফজরের আগে ঘুমের ঔষধ খেয়ে শুইছিলাম। কী খবর বন্ধু? কোনো জরুরি বিষয়?

সিলভিয়াকে দেখতে আসছে আজ।

সিলভিয়া কে?

লুৎফর আকবরকে মারার জন্য ডান তুলে বললো,সিলভিয়াকে চিনিস না! আমার ছোট বোন!

হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলাম, তাই মনে আসছিলো না!

কী হয়েছে ওর?

ওকে দেখতে আসছে আজ।

ওকে দেখতে আসছে মানে?কে দেখতে আসছে? ও আগে ওকে দেখে নাই?

ওর বিয়ে দিতে হবে না? ওকে দেখতেই নেত্রকোণা থেকে ছেলেপক্ষ আসছে।

কথাটা শোনা মাত্রই আকবরের মাথা ঝিম ধরে উঠলো। সে পড়ে গেলো বিছানায়। লুৎফর ভয় পেয়ে গেলো।গায়ে ধাক্কা দিয়ে বুঝতে পারলো জ্ঞান হারিয়েছে আকবর! কী করবে বুঝতে না পেরে একবার দরজা দিয়ে বাইরে তাকালো। কাউকে দেখতে না পেয়ে মগটা নিয়ে ফের ওয়াশরুমে ঢুকলো। এবার মগের পানির পুরোটা গায়ে না ঢেলে এক আঁজলা পানি তুলে ছিটিয়ে দিলো আকবরের মুখে।

আকবর ফের উঠে বসে জিজ্ঞেস করলো, আমি কোথায়?

এবার লুৎফরের রাগ হলো খানিকটা। একটু কণ্ঠ চড়িয়ে বললো, তামাশা করছিস ক্যান? ছেলেপক্ষ দুপুরে আসছে। তোকে নিতে আসলাম সাহায্য করার জন্য। না গেলে না কর, আমি চলে যাবো!

আকবর এবার বললো, আগে ছেলে দেখতে হয়। ছেলে পছন্দ হবার পর না মেয়ে দেখাতে হয়!

ছেলে আমাদের পছন্দ হয়েছে।

আমাকে না নিয়েই সিলভিয়ার জন্য ছেলে দেখে পছন্দ করে ফেলেছিস তোরা! তাহলে আমার দরকার কী! আমি যাবো না!

কী মুস্কিল! আমরা ছেলে দেখি নাই।

এই না বললি দেখেছিস!

ছবিতে দেখেছি।

ছবিতে দেখেই পছন্দ করে ফেললি!কী আশ্চর্য!

সমন্ধটা এনেছে আমার বড় মামা।

যেই আনুক ছেলের খোঁজ-খবর নিয়েছিস?

আজকে ওরা সিলভিয়াকে দেখে যাক, তারপর ছেলের খোঁজ খবর নিতে থাকবো।

তোরা গাড়ি উল্টা চালাতে চাচ্ছিস। এতে আমার সায় নাই!

তোর কী হয়েছে বল আকবর? সেই প্রথম থেকেই না না করে যাচ্ছিস। তুই কি চাচ্ছিস না সিলভিয়ার বিয়ে হোক?

না চাচ্ছি না!

কী বলছিস তুই! তোর ছুটি শেষ হবে কবে?

পরশু?
তুই খুলে বল, কী সমস্যা তোর? তোর জন্য মেয়ে দেখবো?

দরকার নাই!

তাহলে চল।

না..মানে?
আবার মানে মানে করছিস কেন?

ছেলেপক্ষকে আসতে মানা করে দে।

কোনো কারণ ছাড়াই?

আমার না বলা কথা থেকে কারণটা খুঁজে বের কর!

রানা জামান | Rana Zaman

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | কল্যাণ সুন্দর হালদার

Best Bengali Poetry 2022 | কবিতাগুচ্ছ | নীলমাধব প্রামাণিক

New Bengali Story 2023| লোকের কথা | মনসুর আলি

Top Bengali Poetry 2022 | সুশান্ত সেন | কবিতাগুচ্ছ

bengali story new | indian poems about death | 2023 new bengali story | 2023 new bengali story books for child pdf | 2023 new bengali story books for adults | 2023 new bengali story books | bengali story books for child | 2023 new bengali story books pdf | 2023 new bengali story for kids | 2023 new bengali story reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short 2023 new bengali story definition | short story english | short story for kids | short 2023 new bengali story generator | bengali story 2023 | short 2023 new bengali story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long 2023 new bengali story | long 2023 new bengali story instagram | 2023 new bengali story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | 2023 new Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Bengali Writer | Shabdodweep Bengali Story | Updated 2023 new Bengali Story | update 2023 new Bengali Story | 2023 new Bengali Story – top list | 2023 new Bengali Story – best story | 2023 new Bengali Story – top story | Best seller – 2023 new Bengali Story | Best seller 2023 – 2023 new Bengali Story | 2023 new Bengali Story – Best book

Leave a Comment