প্রণতি
- শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
প্রণতি
সমস্ত পাখির শৈশবের মধ্যেই থাকে
চোখ বাড়িয়ে দি বুঝে উঠতে পারার দিকে
ফিরে দেখি শৈশব ।
প্রণতি
আমার কবিতার জুঁইফুল
পিতৃগণের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলাম
নিজের আনন্দের কথা জানিয়ে এসেছে ।
প্রণতির সব জ্বর এই নিলাম
স্রোতের জ্বরকুলে নৌকার সংসার ।
স্বাধিষ্ঠান
- শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
নিয়মের নিয়মিত আয়োজনে কখনো ভুলে বসি নখের কোনায় পেঁয়াজের গন্ধ
একমাত্র সিঁড়ি পৃথিবীর বুক
অন্য চিন্তাও আছে
জ্ঞানকে বৃদ্ধ করি রামায়ণ পাঠে ।
একদিন যাব স্বাধিষ্ঠান ভেঙে ?
কেউ কি ছিল
অসহায় নখের কোনায় ঘর বাঁধতে চায় দলিত সিঁড়ি !
ভাদ্র
- শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
নগ্ন বালিতে পাপপূণ্যপাপ ?
ওখানে নারীরা অন্ধকার পীড়িত শুক্র
ডানা মেলি ব্রহ্মার স্থানে
বিষণ্ণ অথচ উজ্জ্বল সিদ্ধ মধু ।
কী রকম ব্যাপ্ত করেছ সতত শরীরের জড়ুল ভাদ্র !
প্যাডেল করছি পিছিয়ে থাকা সত্যের জন্য । আমার কবিতা থুতনিতে রাগী!
এখানে বাগদেবী আরাধনা করা হয় না !
বকম বকম উড়ে এসে বসল দস্তয়ভস্কির বইয়ের প্রচ্ছদে,
পূর্ব দিকেই ঢলে পড়ে সূর্যপ্রেত, ডানাওয়ালা বনানী ।
রজনীগন্ধা ক্যালেন্ডার
- শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
প্রণতি সরল রজনীগন্ধার ক্যালেন্ডার
জল ও শুকনো পাতার গান মনে করবো
একটু হেরফের হবে কবরের তুলাদণ্ড
চলো প্রণতি জেনে নি মুখোশ সাম্রাজ্যের উত্থানের কারণ ।
নোটবইয়ে লেখা বায়ুকোণে বিপদসীমায় দাঁড়িয়ে আছে স্তন্যপায়ী বাঁশি।
মহৎ-সূত্র পুনরায় পুরাণগন্ধা । প্রণতি কি জানতো না ট্রাফিকসংহিতা উত্তরপূর্বে বহমান ?
উত্থানও স্তন্যপায়ী
অক্ষরেখায় দীর্ঘপাঠক্রম
মেরুদন্ডী উপপাদ্যে এখনো স্থির বর্ণদুর্গ ।
আচার্য ঋত্বিক চক্রবর্তী বললেন : ক্যালেন্ডারে জুড়ে দিও রবি নক্ষত্রের শ্যামলী বাড়ির ন্যায়-অন্যায় ?
নমহস্তুতে
- শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
শাড়ি উড়েছিল আগুনের উত্তাপে
অপবিত্র তিথি ! তাও স্পর্শ করেছিলাম বসন্তকন্যার কানের লতি
নিখুঁতভাবে ফোটাতে পারিনি আকন্দের বরাত
শুধু পেয়েছি আশ্রম মাঠের বিকালবেলা ।
বসন্তকন্যা নাও
সত্ত্বায় মৃত্যুর মতো আনন্দ
নাও আমার ঘামের নমহস্তুতে লোকালয় ।
রাগচূড়া
খুব ঘুমিয়ে পড়ে দেখি মাকড়সা ও নন্দীর স্বপ্ন ।
No comments:
Post a Comment