ফুল
- মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
সবুজ পাতার ডালের ফাঁকে
হরেক ফুলের মেলা।
হলুদ সাদা লাল ফুল দেখে
শিশুর কাটে বেলা।
ফুলের ঘ্রাণে মৌমাছির দল
ফুলের কাছে আসে।
শিশুর মতো সকল মানুষ
ফুলকে ভালোবাসে।।
রোবট
- মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
বর্তমানের ছেলে মেয়ে
সতত খেলায় মাতি,
সারাটাদিন খেলে তারা
রোবট খেলার সাথি।
সাইকেল হোন্ডা প্লেনের সাথে
আছে মোটরগাড়ি,
রেললাইন সাথে রেল আছে
ড্রোন যে সারি সারি।
মোবাইল ঘড়ি টিভির সাথে
আছে রোবট বাতি,
পিস্তল বন্দুক সকল কিছু
খোকার খেলার সাথি।
এত কিছু থাকার পরেও
চায় যে আরো কিছু,
দিতে চাইলে রোবট কিনে
ঘোরে সবার পিছু।
রেলগাড়ি
- মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
যাতায়াত ভাই করতে পথে
জনগণে।
সাশ্রয়ী যান ট্রেনে চড়ে
অনেক জনে।
বাস, লঞ্চ, বাইক,বিমান হতে
কম যে ভাড়ায়।
কেউ বসে যায় আরাম করে
কেউ যে দাড়ায়।
জনসেবার প্রধান বাহন
এই রেলগাড়ি।
টিকিট নিয়ে কেউবা ছাড়া
যায় যে বাড়ী।
করলে চেক যাত্রীর টিকিট
রেলের টিটি।
কেউবা দেখায় কেউবা শাসায়
নয়ন টিপি।
দেশের স্বার্থে যাত্রী সবাই
পথে পাড়ি।
কাটলে টিকিট ভালো রবে
সব রেলগাড়ি।
ফড়িং
- মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
সকাল,দুপুর,বিকেল বেলা
গায়ের ছেলে মেয়ে।
বাঁশ কঞ্চির ঐ ফড়িং ধরে
গান উঠে ভাই গেয়ে।
লালচে ফড়িং কালচে ফড়িং
হলদে ফড়িং সবার
খোকা-খুকি বিয়ে দিবে
করছে সবি জোগাড়।
খেতে দিবে কোরমা পোলাও
দই এর সাথে মিঠাই।
বিয়ের সাথে বরের বাড়ি
দিবে নানান পিঠাই।
দাওয়াত খেয়ে দোয়া করি
সবাই তাদের তরে।
শান্তি সুখে কাটুক তাদের
নতুন এ সংসারে ।
সংখ্যার ছড়া পড়ি
- মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
এক আর দু'য়ে
বই পড়ো সব বর্ণ ছুঁয়ে।
তিন আর চারে
পড় লেখ বারে বারে।
পাঁচ আর ছয়ে
লেখা পড়া যায় না ক্ষয়ে।
সাত আর আটে
পড়ার সাথে খেলো মাঠে।
নয় আর দশে
এ ধরণী বেড়াও চষে।
জুতো চোর
- মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
মসজিদে নামাজ পড়া আর
জলসা অনুষ্ঠানে,
ধার্মিক যখন জুতো খুলে
যায় যে প্রভুর ধ্যানে।
সেই সুযোগে বক ধার্মিক সব
পিছন সারি থেকে,
মনের মতো দামি জুতো
নিয়ে ছোটে বেকে।
মনে সতত কম্পন থাকে
মাইর খাওয়ার ডরে,
তাইতো দৌড়ে ছুটে পালায়
ভণ্ড জুতো চোরে।।
No comments:
Post a Comment