[প্রশংসাপত্র] [৮ই মার্চ, ২০২২ থেকে ২০শে মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত]
[বেশি সংখ্যক পাঠক দ্বারা নির্বাচিত] [মার্চ ১ম সংখ্যা]
[বেশি সংখ্যক পাঠক দ্বারা নির্বাচিত] [মার্চ ১ম সংখ্যা]
বিরহী বাতাস
- কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা
প্রভাতের হাসি, বাতাসের বাঁশি,
প্রেমিক কোকিল গায়।
সজিনার ফুলে, আমের মুকুলে,
মৌমাছি দল ধায়।
আজ এলো বসন্ত মনে,
দখিনা পবন উচাটন মন
চির হরিৎ ফাল্গুনে।
দেখ উচ্ছ্বাস উদাস বাতাস,
ফুলে ফুলে দেয় দোলা।
যেদিকে তাকাই নিজেরে হারাই,
পথিক সে পথ ভোলা !
মোহময়ী রূপে সাজে চরাচর,
কুজনে ভরিছে গাঁ ,
সখি তোরা আজ দেখে যা লো,
জুড়াবে অন্তরের ঘা !
আমার মনের আকাশ ভরেছে,
ধরেছে হিয়ায় টান,
ক্ষণিক ভুলেছি শোক তাপ জ্বালা,
প্রাণে জাগে প্রিয় গান !
বসন্ত হিল্লোল
- কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা
প্রিয় দিদি শীত চলে গেলে। দোদুল দখিন
হাওয়া আঁচল মেলে। সোহাগী বসন্তের
ভুবন! কাঞ্চন টগর করবীর শাখে কিসের
নাচন। পাখপাখালি, গাছগাছালির মনের
তন্ত্রীতে বসন্ত আবেশ। শীতের ধূসরতা
জড়তার চাদর ছিন্ন হোল এক লহমায়।
পাতা ঝরা বনে মায়া মন্ত্রবলে ফাগুনের
ছোঁয়া। পুলকিত বৃক্ষ শ্রেণি, বসন্তের নীরব
পদধ্বনি মাটিও বুঝেছে আজ। সাজে
বনভূমি ফুলের মাধুরী দিয়ে। সাদা ফুলে
গাঁথা মালা। ভালোবাসা প্রিয়ে। দু চোখ
জুড়ানো রূপ। জ্যোৎস্নায় ভেসে যায়
মেঠোপথ। আঁধারের কোন এক অচেনা
পথে হাঁটে কারা! এত পাতা জায়মান,
এত ফুল মুকুলিত। দিগ্বিদিক সবুজের
বাতায়নে আলোর গান গেয়ে যাও, ও
পাখি! বসন্ত নেচে নেচে যায়, পায়ে তার
বকুল মালার ঝুমুর। কানে তার ভাঁটফুল
দুল। গলায় মালিকা তার গন্ধরাজ ফুলে।
খোঁপায় জড়ানো এক মাধবী লতার গোড়ে ।
জোনাকিরা জ্বেলে আলো সন্ধ্যা ভাসায়,
চেতনা জুড়ে সকালের, দুপুরের বিকেলের
চির বসন্তের দুলে দুলে বাহারি হিল্লোল।
গাছ
- কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা
অদৃশ্য বসন্ত প্রেমে জেগে উঠে দেখি,
আমার সদ্যজাত পাতা , খিল খিল হাসে।
আমার সন্তান কুঁড়ি ,আধো ফোটা চোখে,
দেখে তার মুখখানি শিশির ভেজা ঘাসে।
ফুল ফল ভারে আমি যৌবনবতী
হে বসন্ত তুমি বুঝি নদী ইছামতী!
কত রূপে সাজায়েছ আমার জীবন,
অবিরত ঢালে সুধা বসন্ত পবন।
রুক্ষ শুষ্ক পৃথিবীর বুকে,
শিকড়ের নিরন্তর বাধা।
তবু আমি এ বসন্তে সেজেছি,
প্রেমিকা সে রাধা !
শাখায় শাখায় পাখি দোল খায়,
আমারও পরাণ দোলে ,
ঝুরু ঝুরু পাতার দোলায়।
পৃথিবী মায়ের কোলে ,
আমি, চিরন্তন প্রবাহ প্রাণের।
সেজেছি কনের সাজে ,
দিন এল বাসন্তী রঙের ।
♥
ReplyDelete