স্বত্বাধিকারী
- প্রভঞ্জন ঘোষ
যতই আঁকড়ে রাখি
বাদবাকি সবকিছু হাপিস্ করিয়ে
এক পা বৃক্ষ
দাঁড় করিয়ে রাখতে চায়।
অনন্ত ফল চায়
ফুল চায়,
নি:শব্দ হতে চায়
অম্লজান ব্যাপারী- - -
অমল আলোক ছিনিয়ে
রাত্রি ভরে দিতে চায়,
অন্ধকার অম্বরে
গুনে নিতে চায়
নক্ষত্রের ফুলঝুরি!
যতই আঁকড়ে রাখি
সংশয় ভরে দিতে চায়,
বালু-কাঁটা-একাকীত্ব
কংকর ভুরি-ভুরি- - -
যতই ছেড়ে দেবো ভাবি
সত্য, শুভ, সৌন্দর্য;
কোনমতে আর ছাড়া যায় না,
ঈশ্বর বলেন যেই-
তিনিই এর স্বত্বাধিকারী।
দু'পংক্তি
- প্রভঞ্জন ঘোষ
ইচ্ছে তো করে শোনাই
দু'পংক্তি বলে দেই পাটকেল কথা
ইঁটের গায়ে গিয়ে ঠোকা মারুক
চূড়ো ধরে
ডুবিয়ে দিক পাইরেট্ তরী,
ইচ্ছে তো করে টোকা মারি
ছুঁড়ে মারি এক্স-রশ্মি-
অবিনাশী বীজ গড়াগড়ি খায়
রক্তবীজের ওড়াউড়ি!
মাটি ঢালো- মাটি
চিরহরিৎ- ভূমি ফিরে পাক,
আজকাল আকাশে তেমন
রংধনু দেখি না,
কোথায় তামসবিনাসি বজ্র অসি!
অগরু মিশ্রণ মরুৎভাসি?
হে আমার চিত্তবিনোদন
হে আমার পাথুরে পথের যষ্টি
হে আমার আসর বৈঠকি- - -
হে পুঁতির ওড়াউড়ি
সমগ্রে মিলিত হও
নক্সাঙ্কিত হোক,
সমারূঢ়ে হোক আলপনার উজ্জ্বল প্রণতি।
সুস্থির
- প্রভঞ্জন ঘোষ
দু'দন্ড থিতু হয়ে
যে পাখি গাইছে
তাকে আমাজন র'চে দিও।
দু'হস্ত গজিয়ে
যে তৃণ সবুজ ছড়াচ্ছে
তাকে প্রেইরি গড়ে দিও।
পথের দিশা দেখিয়ে
যে নক্ষত্র জ্বলছে
তার জন্য স্থানাঙ্ক মেপে দিও।
তরঙ্গে ভঙ্গ হয় জ্যোৎস্না বিম্ব
উত-রোলে মগ্নতা ছন্ন হয় - - -
বনমল্লিকার সুরভি
প্রশ্বাসে ভরে নিও,
কবির বক্ষ থেকে শুনে নিও
দু'কলি ছন্দ।
কবিতাগুলো পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।।
ReplyDelete