[২১শে জানুয়ারি, ২০২২ থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত][বেশি সংখ্যক পাঠক দ্বারা নির্বাচিত] [জানুয়ারি ২য় সংখ্যা]
ছেঁড়া পাতা
- মধুপর্ণা বসু
(১)সব চিহ্ন মুছে যাচ্ছেগাছেদের নিয়ত ক্ষোভেবৈধব্যের সাদা রঙ মাঠেকেঁদেছে বাতাসের অভাবেযুবতীর নাকফুল, দয়িতের পৌরুষ।
(২)কেমন ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টস্বপ্নেরা চীৎকার করেঠেলে দেয় বিদ্যুৎ চুল্লী মুখেআমার নিঃশ্বাস ধার নাওযদি শিশু কেঁদে ওঠেদুধের গন্ধ মেখে নাও।
(৩)অন্ধকার হয়ে গেছে সব বাগান,অপূর্ব নিঃশব্দে বসে প্রজাপতি মনচেয়ে আছে অভুক্ত অস্থির ইচ্ছেরাআসলে রঙের পাঁচমিশালি হলেওসাদা যে আর হৃদয় হয়না!
[২১শে জানুয়ারি, ২০২২ থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত]
[বেশি সংখ্যক পাঠক দ্বারা নির্বাচিত] [জানুয়ারি ২য় সংখ্যা]
পঞ্চম ঋতুতে
- মধুপর্ণা বসু
তোমার কথা ভাবতেই বালাপোষ উষ্ণতা রেখে যায়।
রুক্ষ পাহাড় পর্ণমোচী গাছেদের কানে বলে গেছে আমি অনাহূত অতিথি, তবুও অনাদৃত নই।
কুয়াশা ঢাকা রাজপথে, খবরের কাগজ আর ধোঁয়া ওঠা চায়ে সরব হয় তখন তাপমাত্রায় নামাওঠা।
আমাদের নরম গরম শহরে সন্ন্যাসী শীতের ভীষণ কদর, কালেভদ্রে তার দেখা মেলে...
কাক ভোরের জোগার আর স্কুল পড়ুয়াদের অভাবে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল ভুলে গেছে শহরের অলিগলি ;
কিন্তু এখন তাকে দীর্ঘ অবসর থেকে ডাক দিলাম,
এসে লেকের জলের অগভীর বুকে ধোঁয়া দিয়ে যায়, গঙ্গার এপার ওপার আবছা বয়ারের দুলুনিতে ছেঁড়া পশমের জামাটা আরও একটু জড়িয়ে নেয় নৌকার মাঝি।
ভিজে ভিজে কুয়াশায় গড়ের মাঠে ছুটছে ঘোড়সওয়ার, থমকে থাকে ঘুমভাঙা ট্রামলাইন,
এবার পঞ্চম ঋতুতে মন মেতে উঠুক আমার।
সেই "পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড় ", চেটেপুটে
জয়নগরের মোয়া, কমলালেবুর খোসায়
লেপের আদরে, রোদের চাদরে রঙবেরঙের উলের ভালোবাসায় শীতের খবর আসুক মনেপ্রাণে।
আমাদের শুভক্ষণ, এবার তোমার আরও একটু নিবিড় প্রেমে অবশ করো পাতা ঝরা নিরাসক্ত তপস্যী,
পাইন ঝাউ শাখা, দেবদারুর ডালে ডালে, আমলকী রঙের পাতায় লিখে দাও শীতের
ছবির বিজ্ঞাপন।
আমি পথ চেয়ে আছি দেখতে পাবো ঝরা পাতার সেই শুভক্ষণ।
No comments:
Post a Comment